Tag: Total Lunar Eclipse

Total Lunar Eclipse

  • Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ রয়েছে কলকাতা তথা ভারতবাসীর। আগামী রবিবার হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। এটিই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সকলে। এত সময় ধরে পূর্ণগ্রাসের পর্ব চলা সত্যিই বিরল। মোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ।

    দেখা যাবে কলকাতা থেকে, ৮২ মিনিট ধরে ‘ব্লাড মুন’!

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭-৮ তারিখে যে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) হবে, তা চলবে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এতক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ সে ভাবে হয়নি। এটি ৭ সেপ্টেম্বর রাত ০৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট। তবে, পূর্ণগ্রাস শুরু হবে রাত ১১টা থেকে। চলবে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুরো ৮২ মিনিট! আর এই গোটা সময়টায় চাঁদের রং হয়ে উঠবে রক্তিম (Blood Moon)। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই দেখা যাবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় থেকে স্পষ্ট এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অবশ্যই অনুকূল থাকতে হবে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।

    কী এই ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon), কেন এত আগ্রহ?

    ব্লাড মুন নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। রূপকথা থেকে শুরু করে হাড়হিম করা ভৌতিক কাহিনিতে ব্লাড মুন-এর একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। বহু প্রাচীন সভ্যতায় এর নির্দশন মেলে। এমনকী, এখনও পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতে ব্লাড মুন পৌরাণিক কাহিনী ও কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেখানে একে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ব্লাড মুন হয় আলোর তরঙ্গের কারণে। তাঁদের মতে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। সেই আলো প্রতিফলিত হলে, আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। গ্রহণ তখনই ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) ক্ষেত্রে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসে। ফলে, সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের উপরে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ পুরোপুরি কালো কিন্তু হয় না। বদলে লাল হয়ে ওঠে। সূর্য আর চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খায়। এই বায়ুমণ্ডল ছোট তরঙ্গ (নীল এবং বেগুনি)-কে ছেঁকে নেয়। শুধু দীর্ঘ (লাল, কমলা) তরঙ্গই চাঁদে গিয়ে পৌঁছোয়। সে কারণে চাঁদকে রক্তিম দেখায়। তাকেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon)।

  • Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালেই শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসীরা। ২০২৫ সালের আগে আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবার সম্ভাবনা নেই।তবে সেই আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সময় বরফে ঢাকা দৈত্যাকার ইউরেনাস গ্রহকে দেখার সুযোগ পাবে সকলে।এবার ফিরে আসা যাক পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে (Total Lunar Eclipse)।এই চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে পুরোপুরি লাল রঙের দেখায় একে ব্লাড মুনও বলে।আমরা ছোটোবেলা কম বেশী সকলেই মনগড়া রাহু কেতুর গল্প পড়েছি। কিন্তু বড়ো হয়ে পাঠ্যবই পড়ে জানতে পেরেছি চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।

    নাসার মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল দেখানোর কারণ আর আকাশ নীল হওয়ার কারণ একই। আবার সেই একই কারণেই সূর্যাস্ত লাল দেখায়। একে বলা হয় রেইলি স্ক্যাটারিং। আলো তরঙ্গের মাধ্যমে এগোয়। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নীল আলোর ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য হয়। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে লাল আলোর তুলনায় কোনও কণা দ্বারা আরও বেশি সহজে বিক্ষিপ্ত হয়। অন্যদিকে, লাল আলো সরাসরি বায়ুমণ্ডলের মধ্য বেরিয়ে যায়।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে ঢাকা পড়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলো। সেই সময় প্রতিসরণের ফলে আলো ঠিকরে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদকে লাল দেখায়। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা চাঁদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়।এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম বর্ণের দেখায়।আর সেই থেকেই নাম ব্লাড মুন (Blood Moon)।

    কমলা ও লাল এই দু’টি দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কম বিচ্ছুরিত হয়। ওই দু’টি আলোকরশ্মি তাই বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বায়ুমণ্ডলে ওই দু’টি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মির প্রতিসরণ ঘটে। আর তার ফলে সেই আলো কিছুটা বেঁকে গিয়ে পড়ে চাঁদের গায়ে। তাই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল আভা দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Total Lunar Eclipse: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    Total Lunar Eclipse: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) ঘটতে যাচ্ছে  ৮ই নভেম্বর। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা,এশিয়া ও নিউজিল্যান্ড মহাদেশের মানুষেরা এই চন্দ্রগ্রহণটি দেখতে পাবে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ এই চন্দ্রগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে।
    এর আগে সূর্যগ্রহণ ঘটেছিল দীপাবলির পরের দিন। এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৬ই মে। এই বিশেষ দিনটিতে রয়েছে দেব দীপাবলী, তাই অনেক জ্যোতিষী এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করেছেন। অনেকে চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) আগের দিনটিকে দেব দীপাবলি হিসেবে পালন করবে।
    চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।
    পঞ্জিকা মতে, ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা বেজে ৩২ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬টা বেজে ১৮ মিনিটে শেষ হবে। গ্রহনের সময়কাল হবে প্রায় ৪৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। ভারতের সব জায়গায় এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না। মূলত পূর্ব ভারতেই এই গ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। যে সব জায়গা থেকে এই গ্রহন দৃশ্যমান হবে না সেখানে সূতক কাল কার্যকরী হবে না। ভারতের কলকাতা,পাটনা,শিলিগুড়ি, রাঁচি,গুয়াহাটি সহ পূর্ব ভারতের নানা স্থানে দৃশ্যমান হবে।

    জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) সূতক সময়কে অশুভ বলে মনে করা হয়। যা গ্রহনের ০৯ ঘন্টা আগে শুরু হয় এবং গ্রহন শেষ হওয়ার পরে শেষ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতেও দৃশ্যমান হবে, তাই গ্রহণকালে এর সুতককাল ভারতেও বৈধ হবে। চন্দ্রগ্রহণের সুতককালের সকাল ৯.২১ থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে সকাল ৬.১৮ মিনিটে।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় এই জিনিসগুলির বিশেষ যত্ন নিন

    • বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহনকালে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে  হয়।
    • সূতক কালের সূচনার পর পূজা প্রভৃতি ধর্মীয় কাজ করা হয় না।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় ভ্রমণ করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় কোনোও শুভ কাজ করা হয় না।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘুমানো উচিত নয়।
    • গ্রহণের সময় ধারালো বস্তু ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে গ্রহণের পর গঙ্গা নদীতে স্নান করার পর অভাবী কাউকে দান করা বিশেষ শুভ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share