Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    Arambagh: টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি! আরামবাগে তৃণমূলের প্রধান-উপ প্রধান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, অস্বস্তিতে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট মিটলেও কিছুতেই কমছে না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান ও উপপ্রধানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলে। একে অপরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন খানাকুলের পোল-১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুজনে। খবর পেয়ে জমায়েত হন তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল (Arambagh) থানার পুলিশ বাহিনীও। পুলিশের সামনেও চলে বচসা। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর খানাকুলের পোল ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান সাবিনা খাতুন বনাম উপপ্রধান সেখ সাবির আলির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বুধবার সেই দ্বন্দ্বের রেষ গিয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিসে। ঘটনার সূত্রপাত পঞ্চায়েতের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে। প্রধানের অভিযোগ, উপপ্রধান সেখ সাবির আলি তার কাছের কয়েকজনকে বেআইনিভাবে পঞ্চায়েতের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। তা হতে না দেওয়ায়, উপপ্রধান ও আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর রুমে ঢুকে প্রথমে হুমকি দেয়। পরে, তাঁকে চেয়ার থেকে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা উপপ্রধানের অভিযোগ, প্রধান সাবিনা খাতুন ও তাঁর স্বামী দুজনে মিলে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি করছে। এমনকী পঞ্চায়েতে টেন্ডারের শেষ দিন হলেও প্রধান নিজের ঠিকাদারকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে অন্যদের টেন্ডার কপি জমা নেয়নি। আমি তার প্রতিবাদ করেছি। আর কিছু ঘটেনি।

    আরও পড়ুন: মালগাড়ির গতিই দায়ী! কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোন পথে চলছে রেলের তদন্ত?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন প্রধান অনুগামী তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মীরা। শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ। উপপ্রধানকে তাঁর অফিসের ভিতরে বিক্ষোভ দেখান। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় খানাকুল থানার পুলিশ বাহিনী । তারাই গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীদের। তবে, তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধানের প্রকাশ্যে এহেন দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসক দল। খানাকুল ১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতি বলেন, দলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়। যদি কেউ কোনও দোষ করে তা খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Post Poll Violence: ভূপতিনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম গৌরহরি মাইতি। তাঁর বাড়ি ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর অঞ্চলের ১৯৮ নম্বর বুথ ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামের। তাঁর ছেলে শশাঙ্ক মাইতি স্থানীয় বিজেপি নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Post Poll Violence)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বিজেপি কর্মী শশাঙ্কের বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) করে তৃণমূল। ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল বোমা, বন্দুক নিয়ে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু, বাড়িতে শশাঙ্ককে না-পেয়ে তাঁর বাবা-মা এবং স্ত্রীকে মারধর করে। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বেরিয়ে আসায় দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, গুরতর আহত অবস্থায় বিজেপি নেতার বাবাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুগবেড়িয়া হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শশাঙ্কের স্ত্রী খুকুমণি মাইতি অভিযোগ করেন, ” আমাদের বাড়িতে তৃণমূলের বিরাট দলবল হামলা চালায়। আমরা বিজেপি করি বলে টার্গেট করেছিল। আগেও বেশ কয়েকবার ওরা হামলা চালিয়েছে। প্রায়ই শাসানি দিত ওরা। রাতে হামলাকারীরা বোমা ও বন্দুক নিয়ে এসেছিল। আমাদের মারধর করছিল দেখে শ্বশুর ছুটে এসেছিলেন। তিনিও হামলার শিকার হলেন।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “এ বারের নির্বাচনে কাঁথি লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই রাগেই ওরা দল বেঁধে এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস কায়েম করার চেষ্টা চালাচ্ছে।” যদিও গোটা ঘটনা সাজানো বলে দাবি করেছেন অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উত্তমকুমার মাইতি। তিনি বলেন, “গতকাল এমন কোনও হামলার খবর জানা ছিল না। বিজেপি নেতার বাবা রাতে খাওয়া-দাওয়া করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arambagh: বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বহু কর্মী ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে, হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আরামবাগের সালোপুর-২ পঞ্চায়েতের ডোঙ্গল এলাকায় ফের এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মেরেছে তৃণমূল।

     ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের ডোঙ্গলে মাঠে কাজ করার সময় একা পেয়ে এক বিজেপি কর্মীকে লাঠি ও বাঁশপেটার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। প্রহৃত শঙ্কর রায় নামে বিজেপি কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় আরামবাগ থানায় উপপ্রধান উত্তম বেরা এবং তাঁর সঙ্গী প্রসেনজিৎ আদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে খেতে বাদাম তোলার কাজ করছিলেন শঙ্কর। সেই সময়েই তাঁর ওপরে হামলা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “লোকসভায় এই পঞ্চায়েতে প্রায় ১ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল। এটাই আমাদের অপরাধ। ফল প্রকাশের পর থেকেই উপপ্রধান হুমকি দিচ্ছিলেন। বাবাকে একা পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।” উপপ্রধানের দাবি, “গ্রামে ওদের পরিবারগুলি নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। মিথ্যা আমাদের জড়ানো হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাসাপাতালে আহতকে দেখতে যান বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ এবং আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ। বিমান বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি শম্ভুনাথ বেরা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। শুনেছি পাড়াগত ঝগড়া থেকে এই ঘটনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া বিল পেতে পুরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি। বিদ্যুৎ দফতরের এক ঠিকাদার সংস্থার কর্তার এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের রাজনীতি। ওই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ এক এমআইসি-র কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও একটি অডিও ক্লিপ জনসমক্ষে এনেছে ওই ঠিকাদার সংস্থা। যদিও সেই অডিও ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    বিক্ষোভ বিজেপি-র (Balurghat)

    শনিবার বালুরঘাট (Balurghat) শহরের বেশ কিছু এলাকায় পথবাতি কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বালুরঘাট শহরে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক ভরাডুবির শাস্তি হিসেবেই বালুরঘাট পুরসভা এভাবে পথবাতি বন্ধ করেছে। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে এল কাটমানি তত্ত্ব। মঙ্গলবার কাটমানি নিয়ে বালুরঘাট পুরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, বালুরঘাট পুরসভা তো দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে গেছে। ওখানে তো সব কাজেই কাটমানি দিতে হয়। আমরা এই সব নিয়ে আমরা বালুরঘাট পুরসভায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিলাম।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ী

    ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্তা সৌমেন সরকার বলেন, ‘খিদিরপুর শ্মশানের চুল্লির কাজের ও অন্য যে সব কাজ করেছি, তার বকেয়া দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে। ওই টাকার পেমেন্ট পেতেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই দফায় দশ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তবুও, আজ পর্যন্ত আমার কাজের বকেয়া টাকা পরিশোধ দেওয়া হয়নি। তাই, আমি কর্মীদের বেতন দিতে পারিনি। তাঁরা গত শনিবার দিন কাজ করেননি। তাই আমি ফোন করে ওই কাটমানির টাকা ফেরত চেয়েছি। আমি আর পুরসভায় কাজ করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানিয়েছি।’

    পুরসভার এমআইসি কী বললেন?

    এই বিষয়ে এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘ওই এজেন্সি কাজ বন্ধ করে রেখেছিল বলে তাঁকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু, তিনি নাকি চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা ফেরানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে বলছেন। আমি তাঁকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বললে তিনি রাজি হননি। অর্ধসমাপ্ত অডিও ক্লিপ তিনি ভাইরাল করেছেন।’

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘ওই ঠিকাদার সংস্থার মালিক সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। নইলে তিনি সব ব্যাপারেই ষড়যন্ত্র কেন খোঁজেন। তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল তা তিনি করেননি। তাই ডিফল্টার হিসেবে আমরা চিহ্নিত করব না কেন, সেই চিঠি দিয়েছি। ওই এজেন্সির মালিকের কোনও বিল বকেয়া নেই। গত দুই মাসের বিলও ট্রেজারিতে পাঠানো আছে। আসলে ওই চিঠি দেওয়ার পরই মনগড়া কথা বলছেন তিনি। আমি শহরের বাইরে কাজে আছি। ফিরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলীয় কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের হুমকি দিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সৌরভ সিং

    TMC Conflict: দলীয় কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের হুমকি দিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সৌরভ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমনাথ শ্যাম ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারির সঙ্গে প্রকাশ্য বচসায় জড়িয়ে পড়লেন পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সৌরভ সিং। এবারে সাংসদ পার্থ ভৌমিকের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি। এছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় আছে, তিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী (TMC Conflict) কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদ্যুৎ পাল নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে একটি গন্ডগোল চলছিল তৃণমূল নেতা সৌরভ সিংয়ের। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা সৌরভ সিং এলাকার এক ব্যবসায়ী প্রদ্যুৎ পালকে ২০২০ সালে ১০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। আর সেই টাকা চেয়ে ব্যবসায়ীকে ফোন করেন সৌরভের এক পরিচিত। ওই ব্যক্তির সঙ্গে বচসাও হয় ব্যবসায়ীর। এরপরই সোমবার সৌরভ ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে আসেন। বিষয়টি জানাতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারিও সেখানে হাজির হন। এরপরই সৌরভের সঙ্গে অভিমুন্য তেওয়ারি প্রকাশ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের সামনেই দুই তৃণমূল নেতা একে অপরকে গালিগালাজ করেন। যদিও তৃণমূলের নেতাদের এই কাদা ছোড়াছুড়ি (TMC Conflict) দেখে লোকে হাসহাসি করেন। ব্যবসায়ী বলেন, সৌরভের কাছে আমি টাকা পাই। উলটে ও আমার বাড়িতে এসে মেরে ফেলার হমকি দিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৮, জখম ৬০

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল নেতা (TMC Conflict) সৌরভ সিং বলেন, ব্যবসায়ী কোনও টাকা পান না। আমি টাকা পাই। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রয়েছে বর্তমান কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারি। এখানে ট্রাক বা ছোট গাড়িতে যত মাল সাপ্লাই হয়, সেখান থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে প্রতি গাড়ি কমিশন খান তৃণমূল কাউন্সিলর। এর পিছনে বড় বড় মাথা আছে। বিষয়টি সাংসদ পার্থ ভৌমিককে আমি জানিয়েছি। অন্যদিকে, কাউন্সিলর অভিমুন্য তেওয়ারি বলেন, সৌরভ আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমি আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    বিষয়টি জানার পর পরই জগদ্দলের বিধায়ক সেমনাথ শ্যাম ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, আমি এলাকায় কোনও অশান্তি ছড়াতে দেব না। কাউন্সিলরকে গালিগালাজ করা ঠিক নয়। আমার জগদ্দল এলাকায় এসব চলবে না। আর কেউ খুন করার হুমকি দিয়ে থাকলে তা ঠিক করেনি।  সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বৈঠক শেষ করে এলাকা ছাড়তেই হামলা চালাল তৃণমূল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রবিবার দুর্গাপুরে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সহ প্রায় সব নেতা-কর্মীরা চলে যান। অভিযোগ, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজন কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ে সামনে থাকা দু থেকে তিনটি বাইক ভাঙচুর করে। জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপদা বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন কার্যালয়ে বসেছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। বুকে, পেটে গুরুতর চোট লেগেছে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের বাইকগুলি ভাঙচুর করে। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। হামলার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৫, জখম বহু যাত্রী

    হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ কী বললেন?

    সোমবার সকালে সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে, দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রথম এই চতুরঙ্গ ময়দানে এসেছিলাম। আবার এখানকার সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার পরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস প্রশাসনকে  সব কিছু বলা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ এই সব চায়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার বাদ দিলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। ভোটের (Election Result 2024) ফল বের হওয়ার পর দলের এমন হাল খুঁজতে উত্তরবঙ্গে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আসেন তিনি। এরপরই উত্তরবঙ্গের এক দাপুটে নেতাকে সরকারি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর দলের এই সিদ্ধান্তে পদ হারানোর ভয়ে ঘুম ছুটেছে একাধিক নেতার।

    উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি, পদ গেল সৌরভের (Election Result 2024)

    শুক্রবার এক নির্দেশিকায় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এসজেডিএ এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীকে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে সেই পদ সামলানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে প্রবল হইচই শুরু  হয়েছে দলের অন্দরেই। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারে জয় মিলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে অল্প ভোটে (Election Result 2024) হেরেছে দল। কিন্তু, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ে চূড়ান্ত খারাপ ফলের জেরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। শিলিগুড়ি পুরভোটে ৩৭টি ওয়ার্ডে জিতেছিল দল। কিন্তু, লোকসভায় কার্যত একটি ওয়ার্ড বাদে সব ওয়ার্ডে হেরেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়িতেও চূড়ান্ত হতাশাজনক ফল হয়েছে। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, দল কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বলতে পারব না। তাছাড়া আমি শুধু একা নয়, দলের অনেক নেতার এলাকাতেই খারাপ ফল হয়েছে। সময় হলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তে হবে

    শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলেও একদল নেতার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, সম্পত্তির বৃদ্ধি ভালভাবে নিচ্ছেন না মানুষ। তাই উত্তরে হার। আসলে অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরির প্রয়োগ দরকার এখানেও। হয় কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তেই হবে।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “আমি সৌরভের অপসারনের বিষয়টি জানতাম না। তবে, অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরি ঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের পারফর্ম করতেই হবে। উত্তরের এই এলাকায় আমরা খারাপ ফল করেছি। নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি, জীবনযাত্রা পাল্টে যাওয়া, সবই দল নজরে রেখেছে এটুকু বলতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: দাঁইহাটে ধরাশায়ী তৃণমূল, চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Election Result 2024: দাঁইহাটে ধরাশায়ী তৃণমূল, চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানে বিপুল ভোটে (Election Result 2024) জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আনন্দ উল্লাস করে উৎসব পালন করা দরকার। কিন্তু, ভোটের ফল মিটতেই একেবারেই অন্যচিত্র ধরা পড়ল দাঁইহাটে। লোকসভায় জয়ী হলেও এই পুসভায় তৃণমূলকে হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর তারপরই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    দাঁইহাট পুরসভায় ধরাশায়ী তৃণমূল! (Election Result 2024)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁইহাট পুরসভায় ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। কোথাও কোনও বিরোধী সদস্য নেই এক জনও। শহরে শক্তপোক্ত সংগঠন রয়েছে, এমন দাবি করে না প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। তবুও, এই শহরে লোকসভা ভোটে (Election Result 2024) বিজেপি প্রায় আড়াই হাজার ভোটে পিছনে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। লোকসভা ভোটের পর ১৩ জুন প্রথম পুরবোর্ডের বৈঠক ডেকেছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনি-সহ মাত্র তিন জন সদস্য হাজির হয়েছিলেন বৈঠকে। কোরাম না হওয়ায় শেষপর্যন্ত বৈঠক বাতিল করেন চেয়ারম্যান। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে বাকিদের অনুপস্থিতির বিষয়টি তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এর আগে দুপক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। পরে, তা মিটে যায়। এবার ফের দ্বন্দ্ব সামনে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    ভোটে হারের জন্য চেয়ারম্যান দায়ী!

    শহরে দলের ভোট-বিপর্যয়ের জন্য পুরপ্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বৈঠকে অনুপস্থিত তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিরা। শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলজিৎ মণ্ডল বলেন, “চেয়ারম্যান সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসে সহজেই পদ পেয়েছেন। তাই এখনও তৃণমূল হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি বরাবরই দলীয় কাউন্সিলরদের উপেক্ষা করে বিরোধীদের হয়ে কাজ করে চলেছেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি লোকসভা ভোটে (Election Result 2024) বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলেও তিনি কথা শোনেননি। পুরপ্রধানের জন্যই আজ শহরে ন’টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব সবই জানেন।”

     সরে যাওয়ার আগে ওঁদের সব দুর্নীতি ফাঁস করে দেব

    চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন,  “আমি সিপিএম থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম উন্নয়নের কাজ করব বলে। পদের জন্য নয়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের বক্তব্য, আমি নাকি বিজেপির হয়ে কাজ করছি। দলের ক্ষতি হবে বলে ভোটের আগে এ নিয়ে কিছু বলিনি। কিন্তু, এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওঁরা দলবিরোধী কাজ করে চলেছেন। আমি সরে যাওয়ার আগে ওঁদের সব দুর্নীতি ও দলবিরোধী কাজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলে যাব। এ সব দলীয় নেতৃত্বকে আগেই জানিয়ে রেখেছি।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    দাঁইহাট শহর তৃণমূল সভাপতি রাধানাথ ভট্টাচার্য বলেন, “চেয়ারম্যান বিজেপির হয়ে ভোটে কাজ করেছেন, এ কথা মানতে পারছি না। এ ভাবে আকচাআকচি না করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত কাউন্সিলদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভোট পরিবর্তী হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় ভ্যাম্বে কলোনি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম রঞ্জিত অধিকারী। তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    তৃণমূলের ঝান্ডা ধর, নাহলে এলাকা ছাড় (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই পোলিং এজেন্টকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দলীয় দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায়ের বিরুদ্ধে। সেখানেই তৃণমূল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায় সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী রঞ্জিত অধিকারী বলেন,” নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যেত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্যও বলা হত। আমি না যাওয়াই বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলীয় কার্যালয়ে বলা হয়, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে, নাহলে এলাকা ছাড়তে হবে। সেখানে মারধরও করা হয়।”

    আরও পড়ুন: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বর্ধমান-দুর্গাপুর (Durgapur) বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন,”দিকে দিকে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া এবং আক্রান্ত। রঞ্জিতকেও পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”এইসব বিজেপির নাটক। বাংলা থেকে বিদায় হয়ে গিয়েছে ওরা। তাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Cooch Behar: “আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর বিজেপি কর্মীদের ওপর বারবার হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিনহাটা। বিজেপি করার অপরাধে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     বিজেপি কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল (Cooch Behar)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি করার অপরাধে দিনহাটা (Cooch Behar) -২ নম্বর ব্লকের নিগমনগর এলাকায় বাপ্পা বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর সময়েই বিজেপি কর্মীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলা বিজেপি কর্মীকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বীনা হেমব্রমের বলেন, গভীর রাতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য সহ বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের বাড়িতে ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালায়। আমার স্বামী বিজেপির কর্মী বলে তাঁর ওপর চড়াও হয়। আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমার ওপর হামলা চালায়। আমি মেঝেতে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি  (BJP) কর্মী বাপ্পা বিশ্বাস বলেন, আমার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা, এটা জানার পরেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর পেটে লাথি মারল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। তবে, সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই জড়িত নয়। বিজেপি কর্মীরা নিজেদের বাড়িঘর ভেঙে এইসব নাটক এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share