Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়রের অপদার্থতায় ১৫ দিন ধরে বিষ জল পান করলেন শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরবাসী। এমনই অভিযোগ বিজেপির। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল পান না করার জন্য মেয়রের আবেদনে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র গৌতম দেব স্বীকার করেন, প্রায় গত ১৫ দিন ধরে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে তা দূষিত। পিএইচই থেকে দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই জল ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত। অক্সিজেন কম। তাই এই জল যেন এখন থেকে আর কেউ পান না করেন।

    কেন দূষিত জল সরবরাহ করা হল? (Siliguri)

    গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ মেরামতে জন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পানীয় জল প্রকল্পে তিস্তার জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, শহরবাসী যাতে জলকষ্টে না পড়েন তারজন্য মহানন্দা নদীর জল সরবরাহ করে কাজ করা হচ্ছিল। সেই জলের নমূনা পিএইচই কলকাতায় পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট এসেছে, এই ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত, এই জল পানের অযোগ্য। এখন প্রশ্ন হল, পরীক্ষা না করে কেন মহানন্দার জল নেওয়া হল? অনেক আগেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, রাজ্যের ভয়ঙ্কর দূষিত নদীগুলির মধ্যে মহানন্দা প্রথম তিনে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আগে কেন পরীক্ষা করে দেখা হল না?

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

     কী বলছেন মেয়র?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, শহরবাসী (Siliguri) যাতে জলকষ্টে না পড়েন তার জন্য মহানন্দার জল নিয়ে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই জলের নমুনা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসতে পাঁচ-ছ’দিন সময় লাগে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা শহরবাসীকে এই জল পান না করার আবেদন জানাচ্ছি।

    দূষিত জল পান করে বাড়ছে পেটের রোগ!

    গত দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে পেটে ব্যথা। সেই সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) হাসপাতালে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা নৌকাঘাটের চম্পা রায়, শান্তিনগরের জবা ঘোষ বলেন, আমরা সারা বছর পুরসভার জল খাই। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহ ধরে এই জল খাওয়ার পর থেকে আমরা দেখছি হঠাৎ করে পেটে কামড় দিচ্ছে, তারপর ব্যথা। কখনও কখনও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। তাই হাসপাতালে এসেছি। 

    বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী

    বিজেপির শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মেয়রের অযোগ্যতাতে এই জিনিস ঘটেছে। শিলিগুড়ি মানুষ আজ ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে। এনিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এনিয়ে মেয়রকে জবাবদিহি করতে হবে। যদি তিনি সন্তোষজনক উত্তর না দেন এবং এই বিষ জল পানের ফলে শহরের বিপর্যয় দেখা যায়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আগামীদিনে চরম আন্দোলন নামব। মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা আমরা বরদাস্ত করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: অর্জুনের আশঙ্কাই সত্যি হল! ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি

    Lok Sabha Election 2024: অর্জুনের আশঙ্কাই সত্যি হল! ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল গন্ডগোল করতে পারে, এমনই আশঙ্কা করে কমিশনে চিঠি দিয়েছিলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তাঁর আশঙ্কা প্রকাশ করার মধ্যে গণনার ঠিক আগেই ফের ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতার বাড়ি সামনে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Lok Sabha Election 2024)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটলেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার আগেই নতুন করে অশান্তি ছড়াচ্ছে ভাটপাড়ায়। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি উমাশঙ্কর সিংয়ের বাড়ির সামনে মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আটচালা বাগান রোড এলাকায় গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি দোকানে বসেছিলাম। আচমকা বোমাবাজির আওয়াজ শুনে ছুটে আসি। ঘটনাস্থলে এসে দেখি রাস্তায় ধোঁয়া হয়ে রয়েছে। বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে চলে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ভয়েস মেসেজ করে অর্জুন সিংকে গুলি করে খুন করার হমকি দেওয়া হয়। এনিয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    বোমাবাজি করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল

    বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ভোট (Lok Sabha Election 2024) গণনার দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই মানুষকে ভয় দেখাতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা নানান পন্থা অবলম্বন করছে। বোমাবাজির ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। আর এলাকায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ফলে, কারা বোমাবাজি করেছে তা পরিষ্কার। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব আপনারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করুন, না হলে এর পাল্টা প্রতিরোধ তৈরি হলে তখন সামাল দিতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi:  “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সপ্তম দফা ভোটের আগে বাংলায় শেষ সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপের জনসভা থেকে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন মোদি। সেই সভায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে মথুরাপুরের অশোক পুরকাইত, জয়নগরের অশোক কান্ডারি এবং ডায়মন্ড হারবারের অভিজিৎ দাস উপস্থিত ছিলেন।

    তৃণমূলের একটাই অস্ত্র এটা হতে দেবো না‘ (Narendra Modi)

    তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ কে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, “তৃণমূল এবং জোট ‘ইন্ডিয়া’ বাংলাকে উল্টো দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির প্রতি বাংলার ভালবাসা তৃণমূল সহ্য করতে পারছে না। সেই জন্য ওরা ক্ষেপে গিয়েছে। কী সব বলে। বাংলার প্রতি তৃণমূলের ঘৃণা দেখতে পাওয়া যায়। ওদের কাছে একটাই অস্ত্র – ‘এটা হতে দেবো না’। উন্নয়নের জন্য মোদি যা করে, তৃণমূল হতে দেব না বলে বাধা দেয়।

    বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চায় তৃণমূলের

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘আমরা সত্তরোর্ধ্বদের জন্য আয়ুষ্মান প্রকল্প এনেছি। কিন্তু তৃণমূল বলছে, ‘‘বাংলায় এটা হতে দেবো না’। কেন্দ্র সরকার মৎস্যজীবীদের এত যোজনা চালাচ্ছে। কত টাকা দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূল সেই সব যোজনা হতে দেয়নি। তৃণমূলের মানুষের জন্য কোনও সহানুভূতি নেই। শুধু তোলাবাজ এবং কাটমানি নিয়েই ওদের যত ভাবনা। এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন না? মথুরাপুরে নদী কাটা বন্ধ করতে কেন্দ্র টাকা পাঠায়। তৃণমূল সেই টাকা খেয়ে নিয়েছে। তৃণমূল সব কাজে কাটমানি চায়। বাচ্চাদের মিড-ডে মিলেও কাটমানি চাই ওদের।’’

    মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দিচ্ছে তৃণমূল

    এদিনের সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে। এমন দল বাংলার সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে না। তুষ্টিকরণের জন্য সংবিধানের ওপরও হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। আমাদের সংবিধান দলিতদের সংরক্ষণ দিয়েছে। কিন্তু, বাংলায় তার লুট হয়েছে। মুসলিমদের ভুয়ো ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে।”

    তৃণমূল বাংলার অস্তিত্ব নষ্ট করতে চায়

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “তৃণমূল মঠ এবং সন্তদের অপমান করে। রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানের সন্তদের অপমান করে গালিগালাজ দেই। তৃণমূলের গুণ্ডা এই সব মঠে হামলা চালাচ্ছে। মোদি আরও বলেন, “ভারত বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি থেকে তৃতীয় বড় অর্থনীতি হতে চলেছে। বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলা হওয়ার প্রয়োজন। চার জুন থেকেই বিকশিত ভারত নির্মাণ হবে। এই জন্য বাংলা থেকে বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে হবে। এই জন্য আপনাদের আশীর্বাদ চাই।”

    এই নির্বাচন আলাদা!

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচনে বাংলায় এটা আমার শেষ সভা। এরপর আমি ওড়িশা, পঞ্জাবে চলে যাব। আমার শেষ সভায় এই পবিত্র মাটিতে আসার সুযোগ পেয়েছি। এই নির্বাচন আলাদা এবং অদ্ভুত। মানুষ ১০ বছরের উন্নতি এবং ৬০ বছরে দুর্দশা দেখেছে। ভারতে অনাহারের ছিল। যে দেশ আমাদের থেকে ছোট ছিল, তারা কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। আমাদের কাছে যুব সম্প্রদায় এবং এত বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সারা বিশ্বে ভারতের গুণগান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও শেষ দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) বাকি রয়েছে। ১ জুন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সপ্তমদফা ভোটের আগে বিজেপির জেলা সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Lok Sabha Election 2024)

    গত ২০ মে বনগাঁ লোকসভায় ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন মালিদা ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে দুপক্ষের কর্মী-সমর্থক জখম হন। তবে, তৃণমূলের হামলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। জখম কর্মীদের দেখতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ঘুরে যাওয়ার পর আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান তৃণমূল প্রার্থী তথা বনগাঁর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তাঁর মতো তৃণমূল নেতার মুখে শোনা গেল বিতর্কিত মন্তব্য। তিনি বলেন, “বিজেপির জেলা সভাপতি গ্রামে এলে পিছমোড়া করে তাঁকে বেঁধে রাখবেন।” কর্মীদের এই নিদান দেওয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতির সমালোচনায় মুখর হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    যদিও এ নিয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও পাল্টা এক হাত নেন বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কাজ হল হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো। এসব বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে। তাই, এই ধরনের আওয়াজ দিচ্ছে। আমি দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার পর ওই এলাকা. গিয়েছিলাম। আবারও যাব। আমি ওইসব হুমকি কে ভয় পাই না। তবে, এটুকু বলতে পারি, ৪ জুনের পর সাধারণ মানুষই বিশ্বজিৎ দাসকে বেঁধে রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj) উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুদিন আগেই কলকাতার রাজপথে খালি পায়ে সাধুসন্তরা মিছিল করেন। রবিবার নৈহাটি শহরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে সাধু-সন্তরা মিছিল করেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? (Kartik Maharaj)

    শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ (Kartik Maharaj) আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    আরও পড়ুন: সকালেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, রেমালের রেশ সোমেও

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) ইস্যুতে নৈহাটি শহরে মিছিলে হেঁটে সাধু সন্তরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানালেন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নৈহাটির গৌরীপুর চৌমাথা থেকে মিছিল করেন সাধু-সন্তরা। এই মিছিল থেকে স্বামী আত্মপ্রকাশানন্দ সরস্বতী বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে চাই সাধু-সন্ন্যাসীদের অপমান ও হিন্দুদের ওপর অপমান সহ্য করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা না চাইলে বাংলার মানুষ এবং সমস্ত সাধু সন্তরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী অল্প সংখ্যক ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে বিশাল হিন্দুসমাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। সাধু সন্তদের টার্গেট করে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আমরা দাবি জানাচ্ছি। হিন্দু জাগরন মঞ্চ বারাকপুর জেলার পক্ষ থেকে এই মিছিল নৈহাটির বড়মা মন্দিরের কাছে গিয়ে শেষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    Siliguri: ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার, দায়ের হল অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা চুরি, গরু চুরির মতোই জমি দখলের ভয়ঙ্কর দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতারা। সম্প্রতি জমি দখলের চেষ্টায় শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার পর এমনই অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার পরপরই একই এলাকায় ফের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি মাফিয়াদের এই দাপটের পিছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের যুক্ত থাকার অভিযোগ জোরালো হয়েছে।

    ফের জমি দখল! ১০ লক্ষ টাকা দাবি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ার (Siliguri)

    এবার জমি দখলের অভিযোগ করলেন সুব্রত ছেত্রী নামে এক ব্যক্তি। রামকৃষ্ণ মিশন কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব চাপে পড়ে গিয়েছে। আর তাতেই সাহস পাচ্ছেন জমিহারারা। এ রকমই একজন সুব্রত ছেত্রী। ভক্তিনগর থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে ১৯৯৩ সালে তিনি পাঁচ কাঠা জমি কিনেছিলেন। তার অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা সেই জমি দখল করে নিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিলেই তারা জমি ফেরত দেবে। সেই মতো অনলাইনে কিছু টাকা দেওয়ার পর বাকি টাকা আর তিনি দিতে পারেননি। তাই জমিও ফেরত পাননি তিনি। সুব্রত ছেত্রী বলেন, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, গিয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা থানার আইসির ঘরে বসে গল্প গুজব করছে। তাই ভয়ে চলে এসেছিলাম। কিন্তু, রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনার পর সাহস পাই। আবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি। প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে, আইনজীবীর মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ সেই অভিযোগ নেয়।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    তৃণমূল ক্ষমতায় আসতে জমি মাফিয়াদের দাপট বেড়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) সেবক রোড এলাকা থেকে শুরু করে ইস্টার্ন বাইপাস পর্যন্ত একরের পর একর জমি মাফিয়ারা দখল করে নিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মদত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়ারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। থানায় বসে জমি মাফিয়াদের আড্ডা মারার ঘটনায় সেটাই প্রমাণ হয় বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।

    সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

    বিজেপির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল নেতারা বড় জমি মাফিয়া। ডাবগ্রাম-ফুলবাডি বিধানসভা এলাকায় একসময় শিলিগুড়ির এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জমির অবৈধ কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে আর দেখা যায় না। কিন্তু, তাঁর অনুগামীরা বসে নেই। রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় সেটাই প্রমাণ হয়েছে। আমরা চাই এনিয়ে সিবিআই তদন্ত হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal Update: আছড়ে পড়বে রেমাল, হাওড়ায় বেঁধে রাখা হল লঞ্চ, তালা দেওয়া হয়েছে ট্রেনে

    Cyclone Remal Update: আছড়ে পড়বে রেমাল, হাওড়ায় বেঁধে রাখা হল লঞ্চ, তালা দেওয়া হয়েছে ট্রেনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মোংলার কাছে ল্যান্ডফল ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal Update)। মোংলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর ল্যান্ডফলের প্রবল সম্ভাবনা। সেই সময় তার গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০ সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত সাগর দ্বীপ থেকে ২১০ কিমি দূরে রেমাল। ক্যানিং থেকে ২৩০ কিমি দূরে রেমাল।

     তালা দেওয়া হয়েছে ট্রেনে (Cyclone Remal Update)

    ভোর থেকেই শুরু বৃষ্টি, বেলা বাড়তেই ভয়ঙ্কর দুর্যোগের আভাস। শনিবার রাতেই বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে রেমাল (Cyclone Remal Update)। তা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে বাংলার দিকে। আজ, রবিবার মধ্য রাতেই ঘূর্ণিঝড় সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে ল্যান্ডফল করবে। ইতিমধ্যেই ‘রেমাল’ তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। রেমালের প্রভাবে ঝড়ের গতি এতটাই হতে পারে যে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন বেলাইন হতে পারে। ট্রেন গড়িয়ে গিয়ে অন্য ট্রেনে ধাক্কা মারতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। শালিমার রেল ইয়ার্ডে ট্রেনের চাকায় বাঁধা হল চেন-তালা। রেলের ট্র্যাকে দেওয়া হল স্টপার।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    হাওড়ায় বেঁধে রাখা হচ্ছে লঞ্চ

    একদিন আগেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের নির্দেশ দিয়ে হাওড়া কলকাতার মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হচ্ছে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান বাপি মান্না বলেন, এই দু’দিন কোনও লঞ্চ চলবে না। লঞ্চগুলিকে আর্মেনিয়ান ঘাট এবং হাওড়া ঘাটে মোটা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এমার্জেন্সির জন্য লঞ্চের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

    দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে

    সুন্দরবন থেকে শুরু করে কলকাতা, দুই ২৪ পরগণা সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বেলা বাড়তেই দুর্যোগ বাড়বে। সুন্দরবনের দুর্গম এলাকা গোসাবা ব্লক। চারি ধারে ঘিরে রয়েছে একটার পর একটা নদী। রেমাল (Cyclone Remal Update) আছড়ে পড়তে পারে এই সুন্দরবনেই। সেই কারণেই সকাল থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে গোসাবা বিডিও অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে। এদিকে রেমালের প্রভাবে উত্তরেও বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পাহাড়ের নদীগুলি ফুঁসে উঠতে পারে। হড়পা বান আসতে পারে এই আশঙ্কায় আবহাওয়া দফতর থেকে দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়াও উত্তরের জেলাগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনাকেন্দ্রে দশ ঘণ্টা মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। এই ১০ ঘণ্টা দলীয় কর্মীদের। সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না। এমনকী দরকার হলে জল- বিস্কুট খেয়ে পড়ে থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দলীয় কর্মীদের দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    আগামী ৪ জুন লোকসভা আসনের গণনা। বালুরঘাট কলেজে করা হয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম। সাতটি বিধানসভার ইভিএম রাখা হয়েছে সেখানে। এবারে প্রায় ১৮ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। প্রায় প্রত্যেক রাউন্ডে ১৪টি টেবিলে গণনা হবে। এই গণনাকেন্দ্রের অন্যতম বড় ভূমিকা দলীয় কাউন্টিং এজেন্ট। বিজেপির তরফে ১১০জন কাউন্টিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এবারের গণনাকেন্দ্রে যারা ইংরেজি জানেন ও অঙ্কে সাবলীল তাঁদেরকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে রাখছে বিজেপি। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যেখানে সুকান্ত’র পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সেখানেই সুকান্ত দলীয় কর্মীদের গণনাকেন্দ্রের কাজ কী, তা খাতায় কলমে শেখান।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    গণনাকেন্দ্রে কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    বৈঠকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কথা অনুযায়ী এবারে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে গণনা হবে। এই ১০ ঘণ্টায় কোনওভাবেই কাউন্টিং হল ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে চকোলেট ও জল খেয়ে মাঠে পড়ে থাকতে। বিগতদিনে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল গণনাকেন্দ্রে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল গণনাকেন্দ্রের ব্যালট বক্স লুট করেছিল। তাই এবার সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে আমি ও দলীয় কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে পড়ে থাকব।’ যদিও তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, ‘গণনাকেন্দ্রে কারচুপি তৃণমূল নয়, বিজেপি করে। এরা ইভিএমেও কারচুপি করে। হেরে গেলে তখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপায় বিজেপি। এটা ওদের পুরানো অভ্যাস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Santipur: লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপির প্রধানকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন বিজেপির প্রধান। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Santipur) গয়েশপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তাঁর ভাই। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Santipur)

     শান্তিপুর (Santipur) থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের গঙ্গা সংলগ্ন বহু কৃষকের জমি ভাঙনে চলে গেছে নদীগর্ভে। এখন গঙ্গার ধারে চাষের যে জমি রয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের নেতৃত্বে সেই সব কৃষকের জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে নেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ গয়েশপুর এলাকাবাসীর। আনোয়ার হোসেন এলাকার ইটভাটার মালিক। শাসক দলের নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। দিনের পর দিন তাঁর লোকজন মাটি কেটে নিয়ে যায়।  শুক্রবার রাতে তৃণমূল নেতা আনোয়ার হোসেনের ভাই অলি হোসেন মণ্ডল মাটি কাটছে জেনে এলাকাবাসী প্রথমে শান্তিপুর থানায় ফোন করে জানায়। একটি পুলিশ গাড়ি তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর বন্ধ থাকে মাটিকাটা।  এরপর পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবারও মাটি কাটা হচ্ছে কিনা তা দেখতে এলাকাবাসীর  পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সহ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল মণ্ডল সেখানে যান। বিজেপির প্রধানের ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড, শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাইক ভাঙচুর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রধান সহ কয়েকজন এলাকাবাসীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে,  বিজেপির প্রধান শ্যামল মণ্ডলের হাত ভেঙে যায় ও মাথায় গুরুত্ব আঘাত লাগে।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকাবাসীর বক্তব্য, তৃণমূল নেতার মদতে প্রতিদিন রাতে এভাবেই অবৈধভাবে কৃষকদের জমির মাটি চুরি করা হয়। এমন কী ভয় দেখানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখে ভাটায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, সম্পূর্ণ ঘটনা ঘটনার কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন মণ্ডলের ভাই সানোয়ার হোসেন মণ্ডল। তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ এই প্রধান কয়েকজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ভাটায় থাকা বিভিন্ন শ্রমিক এবং ড্রাইভারদের বেধড়ক মারধর করে। শ্রমিকরা প্রতিবাদ করেছে। কোনও হামলা চালানো হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেশপুরে তৃণমূল ভোট করতে দেবে না। কর্মীদের কাছে থেকেই আগাম জেনেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। তবে, বুকে বল ছিল তাঁর। কারণ, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। আর তাই ভোটের আগের রাতে এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে হতাশ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই বলে অভিযোগও করেছিলেন। আর ভোটের দিন দিনভর তৃণমূলের “লুঙ্গি বাহিনীর” উদ্দাম নৃত্য দেখলেন রাজ্যবাসী। এমনই দাবি বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থীও কেশপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। হিরণকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বাঁচানোর আর্জি জানালেন মহিলারা।

    আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো নিয়ে যাও, কাতর আর্জি মহিলার (Hiran Chaterjee)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের পাঁওসা। ভোটের দিন দুপুরে গাড়ি নিয়ে সদ্য এলাকায় ঢুকলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গাড়ি ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রামবাসীরা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। বুকে ভয়। মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এক মহিলা বললেন, “রাম কে নিয়ে যান। নিয়ে যান আপনি। ওকে মেরে দেবে ওরা।” এক গ্রামবাসী বললেন, “ভোটের আগের রাত থেকে ওরা অশান্তি করছে। মহিলাদেরও ছাড়ছে না। আর আমাদের ওই ছেলেটিকে বলছে মেরে শেষ করে দেব।” আরও এক মহিলা কার্যত আতঙ্কে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো তুমি ওকে নিয়ে যাও।” হিরণের হাত ধরে কার্যত অঝোরে কেঁদে ফেললেন মহিলারা। পাল্টা হিরণও আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কিছু হবে না। আমি আছি। আমি থাকব।” কেশপুরের মহিলারা যখন চরম আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, তখন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীকে দেখা গেল ভোটের পর আবির খেলতে। উচ্ছ্বাসে মাতলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল!

    হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। মানুষ নিজের ভোট দিতে পারিনি। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। দলীয় কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। তাই, কেশপুরে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আক্রান্তদের সঙ্গে আমি সবসময় পাশে রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share