Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Balurghat: ভোটের মুখে ফের সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, জখম বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Balurghat: ভোটের মুখে ফের সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, জখম বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের আবহ সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে, তার আগে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গারামপুরে রক্ত ঝরল। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। জখমরা গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গঙ্গারামপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকায়। এই সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য্য, গঙ্গারামপুর থানার আইসি শান্তনু মিত্র সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বর্তমানে এলাকা জুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। চলেছে পুলিশি টহলদারি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার গঙ্গারামপুরের পুরানপাড়া এলাকায় পতাকা লাগিয়েছিলেন। শুক্রবার গভীর রাতে রাতে তৃণমূলের কর্মীরা সেই পতাকার ওপর জোর করে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বচসা হয়। তারপর হাতাহাতি হয়। এর জেরে বিজেপির ৩ জন কর্মী আহত হন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিহত করলে তৃণমূলের ১ জন আহত হন। দুই পক্ষ মিলে ৪ জন গুরুতর আহত হলে তাদের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চলছে তাদের চিকিৎসা। এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আমাদের কর্মী তাঁর বাড়ির এলাকায় ৩ দিন আগে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগায় সেই সময় তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীরা আমাদের পতাকার ওপর জোর করে তৃণমূলের পতাকা লাগায়। বাধা দিতে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের কর্মীর ওপর চড়াও হয়। আমাদের কর্মীর বাড়ির লোক যখন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে তখন তাঁদের ওপরও চড়াও হয়। তৃণমূল ভয় পেয়েছে তাই এখন আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করছে। আমরা এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, আমাদের দলীয় কর্মীরা ওই এলাকায় দলীয় পতাকা লাগাতে যান। সেই সময় বিজেপির কর্মীরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের একজন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আমরা থানাতে অভিযোগ দায়ের করছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একাধিকবার সিবিআই হানা দিয়েছে। শাহজাহান বাহিনীর অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহজাহানের ভাই আলমগীরও সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার ফের সিবিআই হানা দিল সন্দেশখালিতে। এবার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিম মোল্লার বাড়িতে নোটিস দিল সিবিআই। হাজিরার জন্য ফের ডাক পড়েছে আব্দুল আলিমের।

    কে এই আব্দুল আলিম? (Sandeshkhali)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের একটি টিম প্রথমে গিয়েছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ন্যাজাট থানায়। তারপর সেখান থেকে আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে যান সিবিআই অফিসাররা। প্রসঙ্গত, এই আব্দুল আলিমকে  তৃতীয়বার নোটিস দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজামে ডাকছে সিবিআই। কিন্তু আগের দু’বারের নোটিসের পরও হাজিরা দেননি তিনি। এবার ফের নিজাম প্যালেসে হাজিরার জন্য তৃতীয় দফায় আব্দুল আলিমের বাড়িতে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল আলিম নামে এই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তবে, তাঁর স্ত্রী আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। কিন্তু, ইডির অফিসাররা সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকা তো দূরে থাক, উল্টে এক তীব্র জনরোষের মুখে পড়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তারপর থেকেই এলাকা থেকে দীর্ঘদিন বেপাত্তা থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহান। এবার ইডি হামলার ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজেই বার বার হানা দিচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ঠিক কী হয়েছিল, সেই নিয়ে এবার তদন্তে নেমেছে অপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল আলিমকে প্রথমে ১৩ মার্চ নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সেই নোটিসে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ফের দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তারপরও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কী কারণে বার বার হাজিরা এড়াচ্ছেন এই ব্যক্তি? আব্দুল আলিমের পরিবারের অবশ্য বক্তব্য, ওই ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাই যেতে পারছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    Balurghat: “নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না”, বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিক্ষুব্ধ নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat) তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই দলে পাত্তা পাচ্ছেন না বিপ্লব মিত্রের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে নয়, অনুগামীদের নিয়ে তৈরি ‘টিম বিপ্লব’ই এই নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে নেমে পড়েছে।

    নির্বাচনী পরিকল্পনায় ডাকা হয় না (Balurghat)  

    জেলাজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, দলের অভ্যন্তরে এই অবিশ্বাসের বাতাবরণে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ফেসবুক যুদ্ধ। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে একটি টি-শার্টের বুকে লেখা, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লবের সঙ্গে মৃনালের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।সম্প্রতি যে নির্বাচনী কমিটি করা হয়েছে, সেখানেও বিপ্লব অনুগামীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন তাঁর বিরুদ্ধ অনুগামীরা। এই অবস্থার মধ্যে জেলার প্রচুর নেতা- কর্মীরা তাঁদের অবস্থান ঠিক করতে পারছেন না, চুপ করে রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু, এর মধ্যে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তুলেছে। এই পোস্ট প্রসঙ্গে মৃণাল সরকার এদিন বলেন, ‘দলের নির্বাচনী কোনও পরিকল্পনা বা প্রস্তুতিতে আমাকে ডাকা হয় না। আমি তাই নিজের বুথেই কাজ করছি।

    বিপ্লব অনুগামী তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    ‘টিম বিপ্লব’ তত্ত্ব মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতারা। বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত জেলা কমিটি ও নির্বাচনী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক মিত্র বলেন, ‘আমাদের দলে টিম বিপ্লব বলে কোনও শব্দ নেই। আমরা সবাই টিম মমতা, টিম তৃণমূলের। যাঁরা এই দল করে তাঁরা সকলেই আমাদের দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Kalyani: কল্যাণীতে বিজেপি প্রার্থী শান্তনুকে প্রচারে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁ লোকসভায় তৃণমূলের থেকে গতবার ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রটি বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি। কল্যাণী (Kalyani) বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নাম ঘোষণার পর থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ও কর্মীসভা করছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। বুধবার কল্যাণীর গয়েশপুরে প্রচারে আসেন তিনি। সেখানে প্রচারে বাধার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কল্যাণী (Kalyani) থানার গয়েশপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপল্লির মাঠ থেকে বিজেপির মিছিলের কথা ছিল। সেই মতো বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই আনন্দপল্লি মাঠে আসেন শান্তনু ঠাকুর। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ‘বিজেপি চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। শান্তনুকে উদ্দেশ্য করে ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও। পালটা চোর স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরাও। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তৃণমূল কর্মীরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। বিজেপি কর্মীরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কল্যাণীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি সান্যাল।

    আরও পড়ুন: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “তৃণমূল ভয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। তাই ওদের হাজার হাজার হার্মাদদের প্রচারে বাধা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে আমিই জিতব। সেটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এই বাধায় ভয় পাওয়ার ছেলে আমি না। ৩৬ ইঞ্চি বুকের পাটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবো।” গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শান্ত এলাকাকে অশান্ত করতে এসেছেন শান্তনু ঠাকুর। সাধারণ মানুষ শান্তনু ঠাকুরকে আর চাইছে না। তাই বাধা দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Murshidabad: “পাঁচ পয়সার কাজ করেননি”, তৃণমূল প্রার্থী খলিলুরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাগরদিঘির কাবিলপুর এলাকায়। সাধারণ মানুষ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তুমুল বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকের কাবিলপুর গ্রামে বহুদিন ধরে একটি রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিধায়ক কেউ কোনও উদ্যোগ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে, সাধারণ মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় প্রচারে আসতেই সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়েছেন। আমরাই তাঁকে ভোট দিয়েছি। সাংসদ হওয়ার পর তিনি পাঁচ পয়সার কাজ করেননি। তাঁর ভোট চাওয়ার অধিকার নেই। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, আমাদের সামান্য দাবি,  এলাকার রাস্তাটা ঠিক করার। তৃণমূল সেটা করেনি। ভোটের আগে প্রতিবার রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে আর কেউ মনে রাখে না। এবারও ভোট চাইতে আসায় আমরা ক্ষোভের কথা তৃণমূল প্রার্থীকে বলেছি।

    আরও পড়ুন: আরএসএস-এর উদ্যোগে ১,২৫০ বিদ্যালয় চলছে জম্মু-কাশ্মীরে, শেখানো হচ্ছে দেশপ্রেম

    প্রচারে ব্লক সভাপতি ছিলেন না, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এলাকায় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন, অথচ সেখানে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নেই। যা নিয়ে দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নূরে মেহবুব আলম বলেন, আসলে তৃণমূল প্রার্থী দেরিতে আসায় আমি যেতে পারিনি। আর আমার এদিন শরীর খারাপ ছিল। তাই, এদিন আমি বের হতে পারিনি। তৃণমূলের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিক্ষোভ নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থীর খলিলুল রহমান কিছু বলেননি। তিনি শুধু বলেন, রাস্তাটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতদিন কেন হয়নি তা জানা নেই। তবে, মানুষ যদি ফের আমাকে জিতিয়ে নিয়ে আসেন, এই এলাকার বেহাল রাস্তা তৈরি করা হবে আমার প্রথম কাজ। আর ব্লক সভাপতির প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, আমি ব্লক সভাপতিকে খুঁজছি। ফলে, তিনি যে ব্লক সভাপতির ওপর বেজায় চটেছেন তা বলা বাহুল্য।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রার্থী এর আগে সাংসদ হয়ে যে কিছু করেননি তার জ্বলন্ত প্রমাণ হয়ে গেল এদিনের ঘটনা। প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তিনি। আসলে এই সব প্রার্থীকে কেউ ভোট দেবে না। এখন থেকে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    Arjun Singh: “দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ”, বিস্ফোরক অর্জুন, ফিরে পেলেন জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরই মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। দোলের দিন ভাটপাড়ায় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপরই বুধবার বিকেলে অর্জুন সিং কে জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছেই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। রাজ্য পুলিসের যে নিরাপত্তা তাঁর সঙ্গে রয়েছে তা এবার তিনি ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও তাঁর এই নিরাপত্তা ছিল। তবে, তৃণমূল চলে যাওয়ার পর তিনি তা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ফের আগের নিরাপত্তা ফিরে পেলেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা”।

    সাধারণ মানুষ নয়, দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ (Arjun Singh)

    ভাটপাড়ায় রং খেলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ যদি দুষ্কৃতীদের নিরাপত্তা দেয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা যা হওয়ার তাই হচ্ছে। বারাকপুরে পুলিশি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    ভাটপাড়া প্রকাশ্যে গুলি চলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন

    জানা গিয়েছে, ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার হোলি উৎসবের দিন হিন্দি ভাষী প্রধান এলাকা ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামনগর কলোনি এলাকায় দুই গোষ্ঠী  মধ্যে রং খেলা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনার জেরে পরপর ৩ রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। যদিও পালানোর সময় একটি বাইক এলাকাতেই ফেলে যায় তারা। পরে, ঘটনাস্থলে এসে ভাটপাড়া থানার পুলিশ বাইকটিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বুধবার এলাকা থমথমে ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল দেয়। ভাটপাড়া থানা ও বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে এলাকায় শান্তি ফেরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। গুলি কাণ্ডে রোহিত সাউ ও সানি বর্মা নামে দুই দুষ্কৃতীকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করেছে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তাদেরকে বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে।  ঘটনার জেরে বুধবারও চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়। এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, হোলির মতো উৎসবের দিনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কিছু করতে পারছে না। এলাকার মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছে। তাই, লোক দেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা বললেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছেড়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে তৃণমূলের হামলা, আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপি-র সক্রিয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম নিমাই হালদার। তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত।

    আক্রান্ত কর্মীর বাড়িতে বিজেপি প্রার্থী (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মী নিমাইবাবুর নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) কৃষ্ণচন্দ্রপুর বুথে ২৫০ ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছিল। আহত নিমাই হালদারের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বুথে বিজেপি লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে নিমাইবাবুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আর এতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তাঁর ওপর রাগ ছিল। আর তাই, গত সোমবার সামান্য বিষয় নিয়ে তৃণমূল কর্মী মধু ঘোষের সঙ্গে নিমাই হালদারের বচসা বাধে। এরপরই মধু ঘোষের ছেলে নন্দন ঘোষ সহ আরও কয়েকজন বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক পেটায়। গুরুতর জখম বিজেপি কর্মীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জখম ওই বিজেপি কর্মী নিমাই হালদারের পরিবারের সঙ্গে এদিন দেখা করতে যান মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত বলেন, বিজেপি বুথে ভাল ফল করেছে বলে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা তা মেনে নেব না। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় অস্বীকার করেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাপি হালদার। তিনি বলেন,পারিবারিক গন্ডগোল কে বিজেপি রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী তাঁকে মারধর করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    Nadia: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকাকে বাড়ির গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার আরবান্দি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আরবান্দি দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নির্যাতিতা নাবালিকা বিজেপির বুথ সভাপতির ভাইঝি। তৃণমূল নেতা ছেলে রিন্টু বিশ্বাস এই অপকর্ম করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা বেঁচে নেই। মায়ের সঙ্গে থাকে সে। এক আত্মীয়কে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন ওই নাবালিকার মা। বাড়িতে একা ছিল নাবালিকা। অভিযোগ, আচমকা শোওয়ার ঘরে ঢুকে নাবালিকাকে গোয়ালঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন তৃণমূল নেতার ছেলে। শারীরিক নির্যাতনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। ঘটনার পর থেকেই ওই নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং ওই নাবালিকার শরীর থেকে অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হতে শুরু করে। এরপর পরিবারের লোকজনেরা তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাদকুল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হয় নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে। কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ওই নাবালিকার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে। বর্তমানে ওই নাবালিকা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে রিন্টু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “শুধু পরিবার বিজেপি করে বলে এক নাবালিকাকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ করেছেন তৃণমূল নেতার ছেলে। শুধু ওই অভিযুক্তই নন, তাঁর পরিবারের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। প্রশাসনকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।” শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাই দেবনাথ বলেন, “এখানে ধর্ষণের কোনও গল্পই নেই। ওই তরুণ-তরুণীর দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক। শুধু তৃণমূল সমর্থক বলেই যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর

    Bankura: “কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে না দেওয়ার অভিযোগ বার বার করে বিরোধীরা। শান্তিপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার জন্য এবারের লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের বিশেষ নজরে রয়েছে বাংলায়।  ইতিমধ্যেই ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে রাজ্যে। নজিরবিহীনভাবে এত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যে এবার ভোট করাতে চলেছে কমিশন। স্পর্শকাতর এলাকা তো বটেই, গ্রামের ওলিগলি সর্বত্রই চষে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।

    কমিশনকে কী হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল প্রার্থী? (Bankura)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী মেজিয়ায় প্রচারে গিয়ে বলেন, ” কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবো। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করব। কিন্তু, যেন ওরা গুলি না চালায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে।” প্রসঙ্গত, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপডেট করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে প্রতিদিন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের। এই নির্দেশিকা জারি হতে না হতেই এবার পরোক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তৃণমূল প্রার্থী। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাসী রেখা পাত্র, পাচ্ছেন ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা!

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী অযথা কেন গুলি চালাতে যাবে? তাহলে কী তৃণমূল প্রার্থী অন্যান্য নির্বাচনের মতো বোমা, বন্দুক দিয়ে আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন, আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে? কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী শান্তি বজায় রাখার জন্য রয়েছে। শান্তি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share