Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। লিড না পেলে সেই এলাকায় কী পদক্ষেপ করবেন, তার ব্যাখ্যা করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী? (Bankura)

    তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বাঁকুড়ার (Bankura) মঙ্গলবার প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে বুথে লিড পাবো, সেই বুথে জান লড়িয়ে দেব। যে বুথে পাবো না সেই বুথে আমি তো দূরস্ত, আমার দলের কোনও কর্মীকেও আসতে দেব না।’ ওন্দা ব্লকের নতুনগ্রাম এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “কোন কোন বুথে তৃণমূল ও বিজেপি লিড পাচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে রাখা হবে। যে বুথে তৃণমূল লিড পাবে সেখানে জান লড়িয়ে দেব। আর যেখানে তৃণমূল লিড পাবে না সেখানে আমি তো দূরস্ত আমার কোনও কর্মীকেও যেতে দেব না”। এখানেই থেমে থাকেননি। সুজাতাকে হুমকির সুরে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “তোমরা ভোটের বেলায় বড় ফুলকে দেবে, আর চাওয়ার বেলায় ছোট ফুলের কাছে চাইবে তা হয় না। তোমরা বারেবারে এখান থেকে বিজেপিকে জিতিয়েছ। এবারও যদি তাই হয় তাহলে এবার তোমাদের কথা শুনতে আমরা আর আসবো না। তোমরা বিজেপির সঙ্গে বুঝে নেবে।”পরে, সুজাতা মণ্ডলের যুক্তি, এই এলাকা থেকে বারবার বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দা এলাকাকে উন্নয়নের জোয়ারে ভরিয়ে দিচ্ছেন। এতে তাঁদের যন্ত্রণা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখার বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তৃণমূল এখন ঠেলায় পড়ে এমন মন্তব্য করছে। এরকম মন্তব্য ওরা যত করবেন, তত মানুষের থেকে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার দিনই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আবারও পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। এবারের ঘটনাস্থল সন্দেশখালির সুখদোয়ানি।

    ঠিক কী হয়েছে? (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে, ইট বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। এমনকী ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে দেখানো হয় বিক্ষোভ। তাড়া খেয়ে দুই তৃণমূল নেতা পালিয়ে যান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামে পুলিশ ও র‍্যাফ। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দুর্গা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ ইট বিক্রি করে দিয়েছেন তৃণমূলের দুই নেতা। একজনের নাম সঞ্জীব আড়ি। তিনি অঞ্চল সভাপতি। অপরজন দেবব্রত ভুঁইয়া। তিনিও এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চর বিক্রি করে দোকান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এই দুই নেতার ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ইট ঠিকাদার চিত্ত অধিকারীকে বিক্রি করে দিয়েছেন এই দুই নেতা। এরপর ঠিকাদার সেই ইট তুলতে এলে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা নাক গলাতে এসে বিপাকে পড়েন। তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। মহিলারা তাড়া করেন তাঁদের। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে একটি ঘরের ভিতর ঢুকে যান দুই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে গোটা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে র‍্যাফ। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতা দেবব্রতর বাইক ভাঙচুর করেন। অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে তাঁর ভাইপোকে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, গ্রামবাসীদের ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ মাটিতে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা দেবব্রত ভুঁইয়া বলেন, এলাকায় কালভার্টের কাজ চলছে। সেটার জন্য কিছু ইট কম পড়ে। আমি ঠিকাদারকে বলেছিলাম পঞ্চায়েতের ইট নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু, এখানকার পুজো কমিটি বলেছে ইট দেব না। এরপর ঠিকাদার সেই ইট নামিয়ে দেয়। আর আমরা মিটিংয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ঘিরে ধরে বলে শাহজাহান এই করেছে ওই করেছে। আর কিছুই হয়নি। বাকি যা যা বলছে সব মিথ্যা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির মডেলেই অন্যের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার বাসিন্দা কামালউদ্দিন আহমেদ। অভিযোগ, তাঁর জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান। কামালউদ্দিনের দাবি, মাসাদুল খানের কাছ থেকে তাঁর বাবা সাড়ে তিন শতক জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। আর এই জায়গা এখন কামালউদ্দিন আহমেদ সহ তাঁর আরও তিন ভাই ও দুই বোনের নামে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাসাদুল খান জোরপূর্বক সেই জমি দখল করতে চাইছে। ঠিক যেমন শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল একদম সেই রকম। শুধু তাই নয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি রানিতলা থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। কিন্তু, পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে ভগবানগোলার এসডিপিওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাই। শমিরুদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জমি জোর করে দখল করতে চাইছেন মাসাদুল। তিনি তৃণমূলের দাপুটে নেতা। থানাকে হাত করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না এখন। উল্টোপাল্টা কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান বলেন, “সালটা ২০১৪। সেই সময় প্রাক্তন সিপিএম প্রধানের নেতৃত্বে আমার জমি দখল করা হয়। জোর করে আমার জায়াগায় বাড়ি করা হয়। এমনকী আমি থানায় অভিযোগ করি। এরপর সালিশি সভা হয়। এরপর দেড় শতক জায়গা আমি ওদের দিয়ে দিই। আসলে ওরা আমার জমি দখল রেখেছিল। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: নিশীথের দিকে তেড়ে গেলেন উদয়ন, উত্তপ্ত দিনহাটা, বনধ

    Cooch Behar: নিশীথের দিকে তেড়ে গেলেন উদয়ন, উত্তপ্ত দিনহাটা, বনধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় আটকানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ওই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দিকে তেড়ে আসেন। ফলে দুজনেই প্রকাশ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। মাথা ফেটেছে দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্রর। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিনহাটায় ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে তৃণমূল। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে ফিরছিলেন নিশীথ। সেই সময় আবার দিনহাটা (Cooch Behar)  পুরসভার পুরপিতার বাড়িতে উদয়নের জন্মদিন পালন হচ্ছিল। অভিযোগ, নিশীথের কনভয় ওই এলাকায় আসতেই তা ঘিরে ধরার চেষ্টা করা হয়। তখনই নিশীথ প্রামাণিকের দেহরক্ষীরা লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর নজিরবিহীন ঘটনা আসে প্রকাশ্যে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন নিশীথ প্রামাণিক। ওই সময়ই বেরিয়ে আসেন উদয়ন গুহও। তিনি নিশীথ প্রামাণিকের দিকে তেড়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র সহ আহত হন একাধিক ব্যক্তি। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হিমশিম খায় পুলিশ। আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “আমরা সারা দিনের সভা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় দিনহাটার পাঁচমাথা মোড়ে তৃণমূলের লোকজন জড়ো হয়। আমরা সেখানে পৌঁছতেই অতর্কিত তৃণমূল আক্রমণ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। আমাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রকারের আক্রমণ করা হয়নি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ আমার কনভয়ে ইট-পাটকেল, তির-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। তিনি বলেন, “গন্ডগোল দেখে আমায় নামতে হয়েছে গাড়ি থেকে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন বলেন, “লাঠিসোঁটা, তির-ধনুক নিয়ে ঘুরছে। পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছে ওরা।” তিনি আরও বলেন, আমার জন্মদিন উপলক্ষে কর্মীরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা আমাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: কাটমানির লড়াই? তৃণমূলের প্রধানকে দলবল নিয়ে ঘেরাও করে বসলেন দলেরই উপ প্রধান!

    Jalpaiguri: কাটমানির লড়াই? তৃণমূলের প্রধানকে দলবল নিয়ে ঘেরাও করে বসলেন দলেরই উপ প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের উপ প্রধানের হাতে ঘেরাও তৃণমূলেরই প্রধান। লোকসভা ভোটের মুখে ব্যাপক অস্বস্তি শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করল তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠী। লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে এল তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মোটা টাকার বিনিময়ে আসন কিনেছেন বর্তমান প্রধান। আদিবাসীদের বঞ্চিত করে উন্নয়ন করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে চা বাগানের বাসিন্দাদের নিয়ে জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাজেশ মণ্ডলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের উপ প্রধান টিগা রাউতিয়া। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ আধিকারিকেরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের উপ প্রধান টিগা রাউতিয়া বলেন, আমি যেহেতু আদিবাসী তাই আমাকে প্রধান অবজ্ঞা করে।আমাকে আড়াল করে কাজকর্ম করে। আমাকে কোনও মিটিংয়ে ডাকে না। আমার এলাকায় পানীয় জল নেই,রাস্তা ভাঙা, কিছুই কাজকর্ম হচ্ছে না। আমাকে গ্রামের মানুষ বারবার চেপে ধরছেন। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই আজ গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রধানকে ঘেরাও করা হয়েছে। প্রাক্তন উপ প্রধান তথা তৃণমূলের চা শ্রমিক নেতা মহেশ রাউতিয়া বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান টাকার বিনিময়ে এই আসন কিনে রাজত্ব চালাচ্ছে। বিনা টেন্ডারে কাটমানি নিয়ে কাজ করাচ্ছেন। আমাদের উপ প্রধান এই সবের বিরোধিতা করায় তাকে অন্ধকারে রেখে অফিস পরিচালনা করছে। আমরা আজ ডেপুটেশন দিলাম। দলকে সব জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, যা কাজকর্ম হচ্ছে তা আইন মেনেই হচ্ছে। বর্তমান উপ প্রধানের বাবা তিনি যা অ্যাকশন প্ল্যান করে গিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আমরা সবাই তৃণমূল। একসাথে মিটিং এ বসে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু, ভোটের মুখে ফেসবুকে প্রচার করে তারপর আন্দোলন এর পেছনে কী যোগসূত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, এই গ্রামপঞ্চায়েতে কাটমানির লড়াই। প্রাক্তন উপ প্রধান বলছে বর্তমান প্রধান টাকার বিনিময়ে প্রধান হয়েছে। কি অদ্ভুত কাণ্ড। গোটা পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডগুলিতে এই একই চিত্র।আর এর জেরে শহর সংলগ্ন চা বাগানে পানীয় জল, রাস্তাঘাট সব ধরনের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত স্থানীয় আদিবাসী সমাজ। যা লজ্জার। মানুষ দেখুক কারা এই রাজ্য চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “কাজ না করেও ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন তৃণমূলকর্মীরা”, ক্ষোভ জানিয়ে বললেন বঞ্চিতরা

    Nadia: “কাজ না করেও ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন তৃণমূলকর্মীরা”, ক্ষোভ জানিয়ে বললেন বঞ্চিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির টাকা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই টাকা দিতেই সামনে চলে এসেছে দুর্নীতি। তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন এলাকার মানুষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রকৃত শ্রমিকেরা মজুরি না পেলেও, প্রধানের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। মজুরি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। নদিয়ার রানাঘাট ব্লকের বারাসত পঞ্চায়েতের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বেশ কয়েক বছর আগে ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। অথচ রাজ্য সরকার ঘোষিত মজুরি প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা নেই। যার ফলে তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য,  কাজ না করেও প্রধান-ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এলাকায় আমাদের মতো জবকার্ডধারীরা ৮০ থেকে ৯০ দিন কাজ করেও মজুরি প্রাপকদের তালিকায় নাম নেই। কিন্ত এক দিনও কাজ না করেও পুরো ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন অনেকে তৃণমূলকর্মীরা। অতীতে আবাস দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়ে ছিল নদিয়ার (Nadia)  বারাসাত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও প্রধানের পরিবারের একাধিক সদস্যদের আবাস তালিকায় নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ১০০ দিনের টাকা বণ্টন ঘিরেও জব কার্ড প্রাপকদের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি দাবি করেছেন, এখানেও রয়েছে ‘বিরোধীদের রাজনীতি।’ তিনি বলেন, “যত জনের জব কার্ড রয়েছে তার থেকেও বেশি জন টাকার জন্য আবেদন করেছেন। এরপর তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১,৪৫৮ জন মজুরির জন্য আবেদন করেছেন। অথচ, জব কার্ড প্রাপকের সংখ্যা ১,২৫৩। কেন্দ্র যখন টাকা দেয়নি, কেউ কিছু বলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা দিতেই বিরোধীদল হট্টগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ। ভোটের কর্মীদের লুটেপুটে খাওয়ার জন্যই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার স্কিম নিয়েছে তৃণমূল। আসলে এটা তৃণমূলের দলীয় তহবিলে নিজস্ব খরচ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rachana Banerjee: ‘চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার’, রচনার বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড়

    Rachana Banerjee: ‘চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার’, রচনার বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুর থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল টাটা। নতুন করে বড় কোনও কারখানা গড়ে ওঠেনি হুগলিতে। আর সেই হুগলিতে প্রচুর কারখানা গড়ে ওঠার কথা বলেছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। যা সামনে আসতেই নেটিজেনরা তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করেছেন। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্যে চারিদিকে হাসাহাসি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Rachana Banerjee)

    হুগলি কেন্দ্রে এবার দুই তারকা দিদির লড়াই। রচনার (Rachana Banerjee) বিপরীতে ভোটের ময়দানে তাঁর পুরোনো বন্ধু, সহকর্মী বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে নেমেই পরপর হোঁচট খাচ্ছেন রচনা। কিছুদিন আগেই তৃণমূল প্রার্থীর একটি মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘হুগলির মানুষ খুব লাকি যে আমাকে দেখতে পাবে’, এই মন্তব্য নিয়ে সমাজের নানান স্তরে বিদ্রুপের মুখে পড়েছিলেন রচনা। এবার আরও একধাপ এগিয়ে হুগলির শিল্প নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে অভিনেত্রী। রাজ্যে শিল্প নেই, লোকসভা ভোটে বিরোধীদের মূল হাতিয়ার এটি। অথচ রচনার চোখে হুগলিতে নাকি শিল্পের অভাব নেই! পরিস্থিতি এমন গোটা রাস্তা নাকি চিমনির ধোঁয়ায় ভরপুর। রচনা বলেছেন, ‘আমি যখন এলাম দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি থেকে শুধু ধোঁয়াই ধোঁয়া, রাস্তাঘাট অন্ধকার। শুধু ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এত কারখানা হয়েছে, তাহলে কী করে বলছেন কারখানা হয়নি, হয়েছে আরও হবে।’

    আরও পড়ুন: দলীয় কর্মী সম্মেলনে অসম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন তৃণমূলের নেতারা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে নেটিজেনরা কটাক্ষ করেছেন

    তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যে নেটিজেনদের মধ্যে হাসির রোল, কটাক্ষের বন্যা বইছে। একজন নেটিজেন লিখেছেন, ‘একটা কথা আপনি (Rachana Banerjee) শুধু ঠিক বলেছেন চারিদিক অন্ধকার’। অপর একজন বলেছেন, ‘দিদি গো ওটা তোমার দিদি নম্বর ১-এর চিমনির ধোঁয়া’। শুধু আম জনতা নয়, রচনার মন্তব্য ঘিরে নাম না করেই অভিনেত্রীকে একহাত নেন শ্রীলেখা মিত্র। তিনি লিখেছেন, ‘চোখ জ্বালা করছে ধোঁয়াতে। কী ধোঁয়া, কী ধোঁয়া’। অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক সরাসরি লেখেন, ‘রচনা ব্যানার্জি চারিদিকে এতো ধোঁয়াই ধোঁয়া দেখেছেন, গোটা অষ্টাদশ শতকের ইউরোপে শিল্প বিপ্লবে এতো ধোঁয়া উৎপাদন হয়নি’।

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    রচনাকে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এতদিন ওঁনাকে লোকে টিভির পর্দায় দেখেছেন। এবার রাজনীতির ময়দানে এসে দেখুক, আমি ওঁনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি আমার ভালো বন্ধু, আমরা সবসময় বন্ধু থাকব’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করব না’, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাফ জানালেন হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে প্রথমদিন থেকে মেনে নিতে পারেননি ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বিদ্রোহ সামাল দিতেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু, তাতে বরফ গলেনি। বহরমপুরের প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দিয়েছেন। সেই শীর্ষ নেতৃত্বকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে হুমায়ুন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউসুফের হয়ে তিনি প্রচার করবেন না। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বড় সংসারে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি থাকে। আলোচনায় সবটা মিটে গেছে। দলের হয়ে সবাই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

    ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকেও কাটল না জট (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) তিনটি লোকসভা আসনে তৃণমূলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। স্বাভাবিকভাবে তাতে আমন্ত্রিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ এবং ভরতপুরে বিধায়ক হুমায়ুন। বহরমপুরের প্রার্থী পছন্দ-না হওয়ায় প্রথমে ওই দু’জনই দলের লোকসভা প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ঘটনাক্রমে প্রস্তুতি বৈঠক থেকে মুর্শিদাবাদের তাঁদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “যারা এখন বিদ্রোহ করছেন, তাঁরা যেন এটা ভুলে না-যান ২০২৬ সালে তাঁদেরও ভোট আছে।” সাংগঠনিক বৈঠক শেষে দলের জেলা চেয়ারম্যান নিয়ামত শেখ এবং বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে একটি বেসরকারি হোটেলে একান্তে বৈঠকও করেন ফিরহাদ। কিন্তু, সেই বৈঠক শেষেও দেখা গেল নিজেদের অবস্থানে অনড় দুই তৃণমূল বিধায়ক। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দু’জন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, “রাগ-অভিমান কারও ওপর করিনি। তাই সেটা ভঞ্জন হওয়ারও কারণ নেই। আমার কাছে অনেক ‘অফার’ রয়েছে। তবে অন্য কোনও দলে আমি যাব না। এই দলেই থাকব এবং এই দলেরই অন্যায় দেখলে, ভুল দেখলে প্রতিবাদ করব। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে আমি কখনও প্রচার করব না। অন্য প্রার্থীর হয়ে প্রচার করব, না কি নিজের জন্যই প্রচার করব, সেটা সময় বলবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    Arambagh: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও আরামবাগে (Arambagh) প্রচারে, দেওয়াল লিখনে এগিয়ে বিজেপি। এই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে এমনই চিত্র। আরামবাগে দেওয়াল লিখন নিয়ে টক্করে তৃণমূল -বিজেপির। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থী মিতালি বাগের নাম ঘোষণা করেছে। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মোট সাতটি বিধানসভা রয়েছে। চারটি বিধানসভা রয়েছে বিজেপির দখলে,তিনটি রয়েছে তৃণমূলের দখলে।

    দেওয়াল লিখন-প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি (Arambagh)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে আরামবাগ (Arambagh) কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। আর সেই দেওয়াল লিখন, প্রচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো হাতের রং তুলি নিয়ে খোশ মেজাজেই ছুটছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এই মুহূর্তে আরামবাগ মহকুমার অলিতে গলিতে যেদিকে ঘুরবেন বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল দেওয়ালে ফুটে উঠেছে। যদিও এখনও বিজেপির দলীয়ভাবে কোন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। একপ্রকার বলা যায়, নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির দেওয়াল লেখনে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূলকে। রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় তৃণমূল থাকলেও একপ্রকার বলাই যায় আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র এখন বিজেপির দখলে। কারণ, এই লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে আরামবাগ মহাকুমার চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভায় এখন বিজেপির দখলে। যার জেরে একপ্রকার তৃণমূল অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। যদিও বিজেপির দাবি তারা ইতিমধ্যেই লোকসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ অংশই দেওয়াল লিখন এর কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

    আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে চেপে চুটিয়ে প্রচার সারলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ

    ১৬ হাজার দেওয়াল লিখন সম্পূর্ণ

    গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইতিমধ্যে ১৬ হাজার দেওয়াল-লিখন হয়ে গিয়েছে। আরও হবে। ১০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে ‘সম্পর্ক স্থাপন’ও সম্পূর্ণ। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “দু’মাস সময় পাওয়ায় তৃণমূলের ফাঁকফোকর আরও বাড়বে। মানুষকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে যে সব ভুল ওরা বোঝাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা সঠিক তথ্য-সহ আরও প্রচারের সময় পাচ্ছি।” বিমানের দাবি, গত ৫ দিনেই ৭২টি পথসভা করা হয়েছে। তা ধারাবাহিকভাবে চলবে। দু‘মাস সময় পাওয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে আরও জোর দেওয়া হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী  বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে হাজার পাঁচেক দেওয়াল-লিখন সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি আরও প্রায় হাজার দশেক দেওয়ালে রং হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে দেওয়াল লিখনে ভরে যাবে লোকসভা কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: তৃণমূলে মোহভঙ্গ,ভোটের মুখে একঝাঁক ছাত্র-যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই জেলায় জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক জেলায় সংখ্যালঘুরা ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপিতে যোগদান করছেন। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    কেন বিজেপিতে? (BJP)

    সন্দেশখালি সহ নানা জায়াগায় মহিলাদের অসম্মান ও দলের কার্যকলাপে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ‘ সোমবার বিজেপি’তে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু ছাত্র-যুব নেতা। বিজেপি জেলা দফতরে তাদের দলে যোগদান করান বিজেপি-র বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা। সোমবার দুপুরে ৫০ জন ছাত্র ও যুব নেতা তৃণমূল থেকে যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এদের মধ্যে আছেন বর্ধমান রাজ কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুরজ ঘোষ সহ অনেকে। বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা সুরজ ঘোষ বলেন, ‘চাকরির নামে দুর্নীতি। সব কিছুতেই দুর্নীতি তৃণমূলে। আত্মসন্মান নিয়ে তৃণমূল দলটা করা যায় না। তাই, আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সঙ্গে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতা সহ ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। আগামীদিনে আরও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন।’

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরা’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপি’র জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা জানান,’মোদিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এরা দলে যোগ দিলেন। তৃণমূলের প্রতি তাঁরা তিতি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এরা এতই আগ্রহী ছিলেন যে তড়িঘড়ি এদের দলে নেওয়া হল। সামাজিক রাজনৈতিক কাজে এরা যুক্ত হবেন।’ দলবদলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ বলেন, যাদেরকে আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিই, তাদেরকে বিজেপি (BJP) নিচ্ছে দলে। তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির  বর্ধমান জেলায় কোন সংগঠন নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share