Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরার পর এবার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির এলাকায় গেল সিবিআই (CBI)। শঙ্কর বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে রেশন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও শঙ্কর নিজে সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফরেন্সিক দল নিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা সোমবার সকালে বনগাঁয় পৌঁছেছেন। রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্করের বাড়িতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে যায় সিবিআই।

    সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডি-র ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই দিনই বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। শঙ্করের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান। এমনকি, ইডির গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। বনগাঁ থানায় অভিযোগও হয়। সেই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও সিবিআইয়ের (CBI) দল শঙ্করের বাড়ির এলাকায় গিয়েছিল। তবে তখন তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। সোমবার বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সে দিন রাতে কারা ছিলেন, ইডিকে কারা বাধা দিয়েছিলেন, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    শঙ্করের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ

    এর আগে তারা সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ফরেন্সিক দল। ইডির দু’জন আধিকারিকও সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে গিয়েছিলেন। শাহজাহানের বাড়ি, অফিস, বাজারে তল্লাশি চালানো হয়। ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। একই ভাবে এদিন বনগাঁয় শঙ্করের বাড়ি থেকেও নমুনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে টিকিট পাননি অর্জুন সিং। পার্থ ভৌমিকের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এতে বেজায় চটেছেন এবং দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন অর্জুন। অর্জুনের অনুগামীরাও রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। দত্তপুকুর, ভাটপাড়ার মেঘনা মোড়ে অর্জুন অনুগামীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এবার পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অর্জুন।

    পার্থ সকলকে উস্কে সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল (Barrackpore)

    পার্থ ভৌমিককে নিয়ে অর্জুন বলেন, ১০০ শতাংশ পার্থর ভূমিকা ছিল। ওই তো সকলকে উস্কে থেকে দলের সাংসদকে গালাগাল করাচ্ছিল। ওই তো সব করাচ্ছিল। সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারীদের প্রকাশ্য বারাকপুরে (Barrackpore)’বিদ্রোহ’কে অর্জুন ‘স্ক্রিপ্টেড’ বলেন এদিন। অর্জুন সিং বলেন, “স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী দু’জন বিধায়ককে দিয়ে বলানো, সিন ক্রিয়েট করা হয়। বলানো হয়, এরা ক্ষতি করে দেবে। আমি দিদিকে বলেছিলাম, এরা তো ২০১৯-এও আমার বিরুদ্ধে ছিল। তবে আমার দিদি, অভিষেকের ওপর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে, আমাকে ডেকে এভাবে যা করা হল।” রাজনীতিতে একটা জিনিস চলে, বিরোধীদের একত্রিত করে একজনের উপর আঘাত করে শেষ করে দেওয়া। এটা রাজনীতিতে হয়। তাই হয়েছে। আমার সঙ্গে এটা হয়েছে, আমি কিছুটা শকড। তবে আমার আগে ভাবা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, তাতেই আঘাতটা হল।

    বিশ্বাস করা ভুল হয়েছে

    বেশ কিছুদিন ধরেই বারাকপুরে (Barrackpore) অর্জুন সিংকে নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীরা। সূত্রের খবর, সোমনাথ শ্যাম দলকে প্রকাশ্যে জানিয়ে রেখেছিলেন, অর্জুনকে প্রার্থী করা হলে প্রচারে যোগ দেবেন না। সোমনাথ শ্যাম একা নন। সুবোধ অধিকারীও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে যারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করে, যারা বারাকপুরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এক সময়, কোনওভাবেই মানুষ তাদের মানবে না। অর্জুনের দাবি, বিজেপি থেকে এলেও বিশ্বজিৎ দাস বনগাঁয় টিকিট পেলেন। তাহলে তিনি কেন পেলেন না? অর্জুন বলেন, “কোথাও না কোথাও আমারই ভুল হয়েছে। আমি বিশ্বাস করেছি। এটা কারও সঙ্গে করা উচিত না। আমাকে বলে আনা হয় বারাকপুরের জন্য। আমি বুঝতেই পারলাম না কিছু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    Ranaghat: “গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না”, মুকুটমণি প্রার্থী হতেই তোপ জগন্নাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বড় ব্যবধানে জিতবো। তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর কড়া আক্রমণ করলেন রানাঘাটের (Ranaghat) বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, ভোটে আরও ভালো ফলাফল হবে। সাধারণ মানুষের কোনও উপকার করেনি মুকুটমণি। তাই এবার ওই এলাকার বিজেপি কর্মীরা আরও ভালোভাবে নির্বাচনে লড়াই করতে পারবে।

    তৃণমূল ডুবন্ত নৌকা (Ranaghat)

    ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২ টি আসনে লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। একের পর এক চমকও রয়েছে সেই প্রার্থী তালিকায়। তবে, রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রে সদ্য বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করা এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী নির্বাচিত করল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তার  সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ  জগন্নাথ সরকার। সুতরাং,এবছর ভোটের লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার কারণ মুকুটমণি অধিকারী এবং জগন্নাথ সরকারকে নিয়ে বিজেপির দ্বন্দ্ব এর আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরেই মুকুটের দলবদল এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তার প্রার্থী হওয়ার কারণ। জগন্নাথ বলেন, তৃণমূল দল এখন ডুবন্ত নৌকা। এখানে সবাই চোর। যারা আদর্শ বিজেপি কর্মী তারা কখনও বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগদান করে না। তাঁর মস্তিষ্ক সুস্থ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে, এর প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে না।

    গদ্দারকে কেউ বিশ্বাস করবে না

    তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী  মুকুটমণি অধিকারীকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, অন্য কেউ ভোটে দাঁড়ালে হয়তো জয়ের ব্যবধানটা এক লক্ষ হত। তবে, মুকুট ভোটে দাঁড়ানোর কারণে ব্যবধানটা দু লক্ষ পেরিয়ে যাবে। কারণ, তৃণমূল এই গদ্দার মুকুটমণি অধিকারীকে কেউ বিশ্বাস করবে না। আর সাধারণ মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতি এবং তাদের হিংস্রতা চোখের সামনে দেখেছে। শুধু তাই নয় মুকুটমণি অধিকারীকে অনভিজ্ঞ, অপরিণত,লোভী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও অভিহিত করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    Barrackpore: “বারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলে এনেছিল”, পার্থকে তৃণমূল প্রার্থী করতেই তোপ অর্জুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে ব্রিগেডের সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে প্রার্থী করা হয়েছে। আর সাংসদ অর্জুন সিংকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। আর তারপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাস্তায় আন্দোলনে নামলেন তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করে অর্জুন অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    শুরু হল তৃণমূল প্রার্থী হয়ে প্রচার (Barrackpore)

    কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের একাধিক জায়গায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের নামে পোস্টার পড়েছিল। নাম ঘোষণার আগে পোস্টার প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে, অর্জুন বিরোধী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী বেশ কয়েকমাস ধরে নতুন প্রার্থীর দাবি জানাচ্ছিলেন। অর্জুনকে কোনওভাবে যাতে প্রার্থী না করা হয় তার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। আর বিভিন্ন মিটিং, পথসভায় অর্জুনের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এই আবহের মধ্যে এই লোকসভায় রাজ চক্রবর্তীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। বারাকপুর শিল্পা়ঞ্চল জুড়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার পড়েছিল। এসবের পরই এদিন পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে অর্জুন বিরোধীরা উজ্জীবিত। অর্জুন বিরোধীদের বক্তব্য, পার্থ ভৌমিক ভূমিপুত্র। মন্ত্রী হয়ে তিনি প্রচুর কাজ করেছেন। দলীয় নেতৃত্ব যোগ্য মানুষকে প্রার্থী করেছেন। বিপুল ভোটে তিনি জয়লাভ করবেন। ইতিমধ্যেই পার্থ ভৌমিকের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর নামে পোস্টারও বিভিন্ন জায়গায় টাঙানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     রাস্তা অবরোধ করলেন অর্জুন বিরোধীরা

    অর্জুন সিংকে দল এবার টিকিট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের একাংশ। বিশেষ করে অর্জুন অনুগামীরা মুষড়ে পড়েছেন। এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দত্তপুকুর এলাকায় অর্জুন অনুগামীরা বনগাঁ রোড অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বারাকপুর (Barrackpore) কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে অর্জুন সিংকে প্রার্থী করতে হবে। পরে, পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    আগে জানলে তৃণমূলে আসতাম না

    পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা হওয়ায় ক্ষুব্ধ অর্জুন। তিনি বলেন,”দেড় বছর ধরে দলের দায়িত্বে ছিলাম না। শুধু সাংসদ ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল বারাকপুরে (Barrackpore) টিকিট দেওয়া হবে। দলে যিনি এনেছিলেন তিনিই বলেছিলেন। এবার টিকিট দেওয়া হয়নি।” এবার কি তাহলে নতুন পথে হাঁটবেন অর্জুন? বললেন না কিছু। তবে অর্জুন বলেন, “আক্ষেপ থাকবে। দেড় বছর ধরে দল বলে নিয়ে এল টিকিট দেবে বারাকপুরে। আগে জানলে তো আমি আসতামই না। আমি বারাকপুরের মানুষকে ঠকাইনি। আমাকে বারবার টোপ দেওয়া হচ্ছিল, এখানে চলে যান ওখানে চলে যান। আমি বারাকপুর ছেড়ে যাব না তো। এখানে জন্মেছি, এখানে মরব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    Nadia: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে। যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদের উৎসাহ যুগিয়েছে এই তৃণমূল সরকার। রবিবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে একটি বেসরকারি লজে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি।

    মোদির নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার চলছে (Nadia)

    তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংসদ ছিলেন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। মূলত, কর্মীদের আরও উৎসাহ বাড়াতে এদিন তিনি কৃষ্ণনগরে আসেন। একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিজেপি একমাত্র দল যেখানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কমিউনিস্ট পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সবাই ভাঁওতাবাজির দল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নদিয়ার দুই লোকসভা কেন্দ্রে  প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে গতবারের জয়ী প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল। মহুয়া মৈত্র সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রাজনৈতিক বিতর্কে সৃষ্টি হয়েছিল। জল্পনা হচ্ছিল, তিনি কি আবারও লোকসভার টিকিট পাবেন কিনা। অন্যদিকে সদ্য বিজেপি থেকে আশা বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারীকে রানাঘাটের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করল তৃণমূল। দিন কয়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরআগে রানাঘাট কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর ছিল তৃণমূলের দখলে। সেই কারণেই কৃষ্ণনগরকে পাখির চোখ করে রাস্তায় নামছে বিজেপি।

    তৃতীয়বারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে

    কিছুদিন আগেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জনসভা করে গেছেন কৃষ্ণনগরে। শুধু তাই নয় বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজ্য নেতৃত্ব একাধিকবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠক করেছে তাদের উৎসাহ বাড়াতে। এবার সেই উৎসাহের পারদ আরও বাড়াতে কৃষ্ণনগরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তার আব্বাস নাগভি। সেই সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। তিনি বলেন, এর আগে হয় রিমোট কন্ট্রোলের সরকার চলেছে, না হয় রোবট দিয়ে সরকার চালানো হয়েছে। গত দশ বছর ধরে এমন একটি সরকার চলছে যাদের রোবট কিংবা রিমোট কিছুই নেই। নিজের শক্তিতে তৃতীয়বারের জন্য সরকারে আসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Contai: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলে ধাক্কা, ভোটের আগে আড়াইশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    Contai: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলে ধাক্কা, ভোটের আগে আড়াইশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগর্জন সভা ঘিরে তৃণমূলের রাজ্যের শাসক শিবিরের চাপ বাড়াল বিজেপি। খোদ রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির বিধানসভা এলাকা রামনগরের আড়াইশোর বেশি সংখ্যালঘু পরিবার এল গেরুয়া ছাতার তলায়। ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার ঠিক আগের দিন, শনিবার সকালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বের ওপর আস্থা রেখে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) সাংগঠনিক জেলা পার্টি অফিসে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর হাত থেকে পদ্ম পতাকা তুলে নেন ২০০-র বেশি পরিবারের সদস্যরা। আবার বিকেলে রামনগরে কিষাণ মোর্চার সভায় ৫০টি পরিবার বিজেপিতে যোগ দেয়। আর এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি পূর্ব মেদিনীপুরের সংখ্যালঘু ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসের দিক থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন? জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

    কোথায় হল যোগদানপর্ব? (Contai)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কারামন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে রামনগর ব্লকের কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০০-র বেশি সংখ্যালঘু  পরিবার শনিবার সকালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এদিন কাঁথি (Contai) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দলীয় পার্টি অফিসে আসেন সংখ্যালঘু পরিবারগুলির সদস্যরা। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপকুমার দাস ও আসন্ন লোকসভা ভোটে কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। বিকেলে রামনগরের সিএস ময়দানে বিজেপি-র কিষাণ মোর্চার সভায় ফের ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া বসন গায়ে জড়ায় ৫০টি পরিবার।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কাঁথি (Contai) সংগঠনিক জেলা বিজেপি-র সভাপতি তথা দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপকুমার দাস বলেন, ‘তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতির যে কারণেই সংখ্যালঘু ভোটাররাও মুখ ফেরাচ্ছেন। তৃণমূলের ওপর রাজ্যের মানুষের আস্থা নেই। এখন তো শুধু ট্রেলার দেখছেন, ভোটের আগে আসল সিনেমা দেখবেন!’ তবে রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল ও গিরি তাঁর এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের এই বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘তৃণমূল সরকার পদে পদে আপনাদের লুটছে’, শিলিগুড়ির সভা থেকে তোপ মোদির

    Narendra Modi: ‘তৃণমূল সরকার পদে পদে আপনাদের লুটছে’, শিলিগুড়ির সভা থেকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকার মহিলা বিরোধী সরকার দলিত, আদিবাসী, ওবিসির রেশন যোজনাতেই দুর্নীতি করেছে। এদের নেতা মন্ত্রী রেশন দুর্নীতিতে এখন জেলে রয়েছে। শনিবার শিলিগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলকে এভাবেই আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । তিনি বলেন, মোদি সরকার তাঁর গরিব পরিবারগুলিকে রেশনের সঙ্গে সঙ্গে বিনা খরচে চিকিৎসার গ্যারান্টিও দিয়েছে। কিন্তু, দুর্নীতিগ্রস্ত গরিব বিরোধী তৃণমূল সরকার এখানে আয়ুষ্মান যোজনা কার্যকর করছে না। তৃণমূল সরকার পদে পদে আপনাদের লুটছে।

    ১৪ লক্ষ বোনকে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার (Narendra Modi)

     নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, এই ময়দানে আমি বহুবার এসেছি। এখানে এসে মিনিভারতের দর্শন হয়। যে বর্ণাঢ্যতা এখানে দেখি, খুব কম জায়গায় তা নজরে আসে। আমি যখনই উত্তরবঙ্গে এসেছি আশীর্বাদ পেয়েছি। বিশেষ করে আমাদের মা, বোন, মেয়েরা যে স্নেহ পাই বলার নয়। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহের অনেক সাথী এখানে এসেছেন। নিজের পরিবারের লোকের মাঝে এসে খুব ভাল লাগছে। বিনামূল্যের রেশনের এই যোজনাকে মোদি ৫ বছর আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর লাভ চাবাগানের শ্রমিকসাথিরা পাবেন। কিন্তু, তৃণমূল, কংগ্রেস, বামেদের ইন্ডি জোট আপনাদের নিখরচায় রেশন দেওয়ার বিরোধিতা করছে। এখানকার সমস্যা প্রথমে বামেরা শোনেনি। পরে, তৃণমূলও সরিয়ে রেখেছে। তৃণমূল তো গরিবের জমি দখলে ব্যস্ত। সে কারণে আপনারা যখন আমাকে সুযোগ দিলেন, আমি আমার পরিবারের সব সদস্যদের মানে আপনাদের সেই সুবিধা দিয়েছি। উজ্জ্বলা গ্যাস দিলাম। কিন্তু, এখানকার তৃণমূল সরকার ১৪ লক্ষের বেশি বোনকে উজ্জ্বলার কানেকশন নিতে দিচ্ছে না। নারী দিবসে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গ্যাস সিলিন্ডার ১০০ টাকা আরও কমে যাবে। আমি জানি করোনার কারণে আমার গরিব পরিবার কত চিন্তায় পড়েছিলেন। সেকারণে মোদি দেশের পরিবারজনকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার যোজনা শুরু করে। আমার লক্ষ্য ছিল, কোনও গরিবের সন্তানকে যেন রাতে না খেয়ে না ঘুমোতে হয়।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মোদি

    সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে ফের তোপ

    বারাসতের সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন মোদি। পরে, সেখানে নির্যাতিতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। এবার শিলিগুড়ি সভা থেকে ফের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)  বলেন, সন্দেশখালিতে আদিবাসী মহিলাদের ওপর অত্যাচার তৃণমূলের নেতারা যা করেছে তা দেশজুড়ে চর্চা চলছে। সেখানকার মহিলারা তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় সিবিআই হানা দেয়। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে পৌঁচ্ছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসক শফিকুল মোল্লার বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। সন্দেশখালির ডুগরিপাড়া গ্রামে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকেরা। এর আগে ভুগরিপাড়া গ্রামের আরও একটি বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। দিন আলি মোল্লা নামের ওই গ্রামবাসীর ছেলে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা। এর পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে।

    চিকিৎসকের ভা়ড়াটেদের জিজ্ঞাসাবাদ (CBI)

    কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রে তাদের দল পৌঁছে গিয়েছে সেই শাহজাহানের ডেরায়। ডুগরিপাড়ার চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক হলেও তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি স্কুল চলে। স্কুলটির নাম সরবেড়িয়া ডুগরিপাড়া চাইল্ড অ্যাকাডেমি। এছাড়া ওই বাড়ির নীচের তলায় অনেক ভাড়াটে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁদের কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সন্দেশখালিতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। সিবিআইকে দেখে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঘরের তালা ভেঙেছে সিবিআই

    ডুগরিপাড়ার এই বাড়ির একটি ঘরের তালাও ভেঙেছে সিবিআই (CBI)। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে ইডির ওপর হামলার সময়ে এই বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে, শফিকুল সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। চিকিৎসকের কন্যা বলেন, হঠাৎ করে ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমি জানি না কেন ওঁরা এসেছেন। বাবা এখন বাড়িতে নেই। শাহজাহানকে এলাকার নেতা হিসাবে চিনি। আমাদের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত নেই। ৫ জানুয়ারি ঘটনার দিন আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, উড়ল ছেলের হাতের আঙুল

    Bomb Blast: তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, উড়ল ছেলের হাতের আঙুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে (Bomb Blast) ঘটেছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেকেই। বাজির আড়ালে বোমা তৈরি হত বলে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে। সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকমাস। এবার সেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধানের বাড়িতে বাজি বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত হয় প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণপদ মণ্ডলের ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মছলন্দপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ফুলতলা দাসপাড়া এলাকায়। এলাকাবাসীরা বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে দৌড়ে যান।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Bomb Blast)

    বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। শুক্রবার রাতে দাসপাড়া এলাকা তৃণমূল নেতার বাড়ির ছাদ বিস্ফোরণে ঝলসে যায়। তারস্বরে চিৎকার করতে থাকেন তৃণমূল নেতার ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আচমকা বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) মতো আওয়াজ পাই। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখি কৃষ্ণদার বাড়ির ছাদে বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা ছুটে সেখানে যাই। প্রাক্তন প্রধানের বাড়ির ছাদের ওপর আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর ছেলে। তার বাঁ হাতের পাঁচটি আঙ্গুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছাদে শুয়ে কাতরাচ্ছিল সে। দ্রুত তাকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত হাসপাতালে। তবে, এত বাজি কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দত্তপুকুরের বাজি বিস্ফোরণের পর এলাকায় বাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও প্রাক্তন প্রধানের ছেলে এত বাজি কোথা থেকে নিয়ে এসেছে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন এলাকাবাসীরাও।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    প্রাক্তন প্রধান কৃষ্ণপদ মণ্ডল বলেন, এই বাজি কিনে নিয়ে এসেছিল ছেলে। সেগুলি ছাদে রোদে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই শুক্রবার রাতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, আদতে বিস্ফোরণের (Bomb Blast) কী কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বাজি ছাড়াও সেখানে অন্য কিছু ছিল কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে কোনও নাম ঘোষণা হয়নি। এরইমধ্যে অর্জুন সিং বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বলে পোস্টার পড়ল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। যা নিয়ে নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। অফিসিয়াল নাম ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও এভাবে পোস্টার দেওয়ার অর্থ দলবিরোধী কাজ। জানা গিয়েছে, দলেরই একটি অংশ ইতিমধ্যেই অর্জুন যাতে কোনওভাবে প্রার্থী হতে না পারে তারজন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে বারাকপুরে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Barrackpore)

    পোস্টারের মধ্যে লেখা রয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore)  লোকসভায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। পোস্টারে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে অর্জুনের ছবি রয়েছে। যদিও পোস্টার নিয়ে অর্জুন কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তবে, অর্জুন বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী কোনওভাবেই চান না অর্জুন এবার প্রার্থী হোক। দুদিন আগেই দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোমনাথ বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখা নেতাকে আপনারা চিনে রাখুন। কখনই সমর্থন করবেন না। এসবের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের একাধিক দাপুটে নেতা জোট বেঁধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। অর্জুন প্রার্থী হলে তাঁরা এলাকায় প্রার্থীর হয়ে কাজ পর্যন্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদের কী আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। আর অর্জুন বিরোধী এই আবহের মধ্যেই তাঁর নামে পোস্টার ঘিরে জোর চর্চা চলছে। অর্জুন ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা এই পোস্টার দিয়েছে বলে জল্পনা চলছে।

    অর্জুন-সোমনাথ অনুগামীদের মধ্যে মারামারি

    এই পোস্টারের ঘটনা সামনে আসার আগে সোমনাথ-অর্জুন অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছে বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অর্জুন অনুগামী তৃণমূলের শ্রমিক নেতা চন্দন রজক কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সোমনাথ শ্যাম ঘনিষ্ঠ বিনোদ সাউ ও তাঁর সহযোগীরা সাংসদ অর্জুন সিং এর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন চন্দন। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র সহ লোহার রড নিয়ে চন্দনের বাড়ির সামনে হামলা চালান বিনোদ ও তাঁর দলবল। যার জেরে চন্দনের মাথা ফেটে যায়। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যকেও মারধর করা হয়। অন্যদিকে, বিনোদ সাউ এর ওপর সাংসদ ঘনিষ্ঠ সুরাজ সিং ও তাঁর দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তিনিও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুরাজ সিং বলেন, এলাকায় যথেষ্ট সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। সেটা দেখলেই ঘটনার সত্য সামনে আসবে। ঘটনার সময় আমি ছিলামই না। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। দুপক্ষের মধ্যে হামলা, অর্জুনের পোস্টার সামনে আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share