Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। যতদিন যাচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়়ছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। পাট্টার রেকর্ড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করছে তৃণমূল। যা নিয়ে সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল? (Sandeshkhali)

    জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এমন গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে, যাঁরা পাট্টা পাওয়া সত্তেও জমির ‘রেকর্ড’ করাতে পারেননি। তাঁদের যাতায়াত ও খাওয়া খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল নেতৃত্ব স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে দু’টি কমিটি গড়েছে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।আর স্থানীয় কমিটিতে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি- এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, উত্তম পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মেছোভেড়ি করে মাছ চাষ করতেন। অনেকেরই সেই জমি ‘রেকর্ড’ হয়নি। অভিযোগ, উত্তম ভূমি দফতরে প্রভাব খাটিয়ে সেই সব জমির ‘রেকর্ড’ করাতে দেননি। ইজারার টাকাও দেননি। নারায়ণের কথায়, “রেকর্ড করাতে গিয়ে পাট্টাপ্রাপকদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বহু ক্ষেত্রে।” তিনি আরও বলেন, “জেলা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের জমির রেকর্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব।” সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাহান বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বার বার সোচ্চার হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। ফলে, পাট্টা পেয়ে জমি দখলে রাখতে পারেননি গ্রামবাসীরা। আর রেকর্ড করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে, শাহজাহান বাহিনীর লোকজন জমি ভোগ করে আসছিল। এতদিন পর হুঁশ ফিরল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, পাট্টা রেকর্ড করার কথা বলে এলাকাবাসীকে লোভ দেখাচ্ছে। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    Sandeshkhali: পুলিশ নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! শাহজাহানের মতো অন্তরালে থেকেই ‘বাণী’ দিলেন শিবু হাজরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনও পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। তবে, তিনি অন্তরালে থেকে কখনও কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কখনও স্পিডবোটে করে এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এবার তাঁর সাগরেদ শিবু হাজরাকে গ্রেফতারের দাবিতে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি। তারপরও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। শাহজাহানের মতো তিনি অন্তরালে রয়েছেন। সেখান থেকে বাণী দিলেন। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন! সাফাই শিবুর (Sandeshkhali)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এলাকায় মহিলাদের অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছে। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন শিবু। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সবই ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর নেপথ্যে রয়েছেন সিপিএমের নিরাপদ সর্দার এবং বিজেপির বিকাশ সিংহ। ওঁরা মানুষকে উত্ত্যক্ত করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছেন। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।” মহিলাদের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন প্রসঙ্গে শিবু বলেছেন, “আমি কখনওই কাউকে রাতে ডাকিনি। কেন ডাকতে যাব? দলের মিটিং থাকলে খবর দেওয়া হত। সেখানে থাকার জন্য কাউকে জোর করা হয়নি কখনও।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মানুষের প্রশ্ন, পুলিশ শিবুকে খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ ও বহাল তবিয়তে রয়েছে। নিজের মতো করে বক্তব্য রাখছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ শিবুকে গ্রেফতার করার সাহস দেখাচ্ছে না।

    গ্রেফতারির দাবি উঠলেও অধরা শিবু

    শিবুর পোলট্রি ফার্মে গত বৃহস্পতিবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে তাঁর বাড়ি, বাগানবাড়ি। অভিযোগ, এলাকায় জমি জবরদখল করে শিবু, শাহজাহান, উত্তমরা মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন মূলত মহিলারা। বঁটি, কাটারি, বাঁশ, লাঠি হাতে তাঁরা সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সামনে বসে পড়েছিলেন। শিবুর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। তারপরও শিবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। গোপন ডেরায় দিব্যি আছেন শিবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, তারকা-সাংসদ নুসরতের ফোন ‘সুইচড অফ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লাগামছাড়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসছে সন্দেশখালি। মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলে হাড়হিম হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে সেখানকারই সাংসদ, একজন মহিলা, তিনি কোথায়? কোথায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান? সেখানকার মানুষরা এবার সাংসদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছেন। অভিযোগ করছেন, এত সবের পরও নুসরত জাহানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর ফোন সুইচ অফ।

    সাংসদের মোবাইল সুইচড অফ, সরব মহিলারা (Sandeshkhali)

    সাংসদকে নিয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলারা বিস্ফোরক সব অভিযোগ করছেন। রাতবিরেতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিগ্রহেরও অভিযোগ উঠছে। গ্রামের এক মহিলা বলেন, “নুসরত জাহানকে তো ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমরা তো অন্য পার্টি করি না। আমরা টিএমসি পার্টিই করি। ভোট দিই টিএমসি- কে। না দিলে তো হবে না। আমরা না দিলেও ভোট পড়ে যায়।” সাংসদ গ্রামে শেষ কবে এসেছেন, স্মৃতি হাতড়েও মনে করতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “সাংসদকে আমাদের সমস্যার কথা বলতে গেলে শোনেন না তো! অনেক দিন আগে এসেছেন। দু-তিন বছরেরও বেশি আগে এসেছিলেন। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতো আমাদের কাছে এসে কথা বলেন। কাউকে মা সম্বোধন করেছিলেন। সব সময় পাশে থাকার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, সমস্যায় পড়লে জানানোর কথা বলেছিলেন। এখন নিজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এক মহিলা বলেন, নিজের জন্য তিনি সাংসদ হয়েছেন। আমাদের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি সাংসদ হয়নি।

    সাংসদ অডিওবার্তায় কী বলেছিলেন?

    সন্দেশখালিজুড়ে (Sandeshkhali) তোলপাড় চলছে। একবারের জন্য এই মাটিতে পা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি সাংসদ নুসরত জাহান। কেবল অডিও বার্তায় নুসরত বলেছেন, “আমি আগুনে ঘি ঢালব না। আমি সংসদের কাজে দিল্লিতে ছিলাম। কিছুদিন আগে ফিরেছি। দিল্লি থেকে ফিরে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছি। প্রশাসনকে সবরকমভাবে সাহায্য করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের পর শিবুর কীর্তি নিয়ে চর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান ‘বেপাত্তা’ হওয়ার পরে হাজারো ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে গিয়েছে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার সামনে আসছে বিভিন্ন অভিযোগ। অভিযোগ, গত সাত-আট বছরে এ ভাবেই সন্দেশখালি গ্রামে একরের পর এক জমি হাতিয়ে নিয়েছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর বাহিনী। ইদানীং এ সবের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন গ্রামের মানুষ।

    জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষ! (Sandeshkhali)

    ইডি হানা দেওয়ার পর থেকে ফেরার সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  ডন শাহজাহান। তাঁর বাহিনী এসে এলাকা দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, লাভ কিছু হয়নি। এলাকার মানুষের প্রতিরোধে শাহজাহান বাহিনী পিছু হটেছে। এলাকার অত্যাচারিত মানুষ একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, জেলিয়াখালি ৬ নম্বর স্লস গেট চত্বরে বছর পাঁচেক আগে ৭-৮টি পরিবারের কাছ থেকে খুব অল্প দামে প্রায় ৮ একর জমি কেনেন শিবপ্রসাদ। সে সময়ে তিন লক্ষ টাকা বিঘা সেই জমির দাম শিবপ্রসাদ দিয়েছিলেন মাত্র এক লক্ষ টাকা করে। এই এলাকারই ৬ নম্বর পাড়ায়, যেখানে শিবপ্রসাদের পোলট্রি, সেই জমির পরিমাণও নয় নয় করে আট একর। এখানে কিছু পরিবারের বাস ছিল। তাঁরা জমি ছাড়তে চাননি। অভিযোগ, জোর করে জায়গা-জমি লিখিয়ে নিয়ে, মারধর করে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হয় বলে অভিযোগ। জেলিয়াখালি পঞ্চায়েতের ভাঙা তুষখালি মৌজায় প্রায় ৭০০ বিঘা জমি লিজ়ে নিয়ে শিবপ্রসাদ মাছের চাষ করেন। বছর তিনেক ধরে চলছে সেই কারবার। বহু মানুষকে লিজ়ের টাকা দেননি, টাকা চাইলে উল্টে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শিবুর বাহিনীর বিরুদ্ধে। বহু জমি এভাবে দখলে রেখেছে।

    জলাভূমি ভরাট

    সন্দেশখালি-২ ব্লক অফিস ও থানার সামনে একটি জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ আছে শিবুর বিরুদ্ধে। মালিককে সামান্য কয়েক হাজার টাকা হাতে ধরিয়েছিলেন। শিবুর দাপটে কেউ মুখ খোলেননি সেই সময়ে। ওই জমি ভরাট করে দরমার বেড়া দিয়ে স্কুল তৈরি হচ্ছে। গ্রামের এক মহিলার কথায়, “স্কুল তৈরি তো বাহানা। আসলে জায়গাটা নজরে পড়েছে শিবুর, তাই যে ভাবে হোক দখলে রাখতেই এমন কাজ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    Sandeshkhali: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে এসে পার্টি ছেলেরা দেখে যেত, কার বাড়িতে সুন্দরী বউ রয়েছে। রাতে তাঁকে পার্টি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হত। স্বামীই তাঁর সুন্দরী স্ত্রীকে পার্টি অফিসে পৌঁছে দিতেন। রাতভর নির্যাতন চালানোর পর ভোররাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাহিনী দিনের পর দিন এই কর্মকাণ্ড করত বলে অভিযোগ। এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন মহিলারা। এবার তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    শাহজাহান-বাহিনী নিয়ে সরব বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকে ফেরার শাহজাহান। তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দারকে তৃণমূল সাসপেন্ড করার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। শিবু হাজরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, শেখ শাহাজাহান একা নয়, গ্রামে এরকম আরও অনেক গুন্ডা রয়েছে, যাদের অত্যাচারে এতদিনে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে গ্রামের মেয়েদের। এক মহিলা অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, “বাড়ির মেয়েদের কোনও সম্মান দেয়নি। মেয়েদের শেষ করে ফেলেছে। রাত সাড়ে দশটার সময়েও মেয়েদেরকে উঠিয়ে আনত পার্টি অফিসে। বিষয়টি সামনে আসতেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। জানা গিয়েছে, রাজ্যেও আসতে পারে তদন্তকারী দল। গোটা ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা।

    রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নির্যাতনের ভিডিও দেখাবে বিজেপি

    এই আবহের মধ্যেই সোমবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা দেন। বিজেপি-র প্রতিনিধি দলও সেখানে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এদিন দিনভর সন্দেশখালিতে উত্তেজনা রয়েছে। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনে ভিডিও বিজেপি-র পক্ষ থেকে রাজ্য জুড়ে দেখানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সব কর্মসূচির আগে-পরে এই ভিডিয়ো ব্যবহার করা হবে বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান নাকি ‘জাতির জনক’! অনুগামীদের গানে বিতর্ক তুঙ্গে

    Sheikh Shahjahan: ফেরার তৃণমূল নেতা শাহজাহান নাকি ‘জাতির জনক’! অনুগামীদের গানে বিতর্ক তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি হানার পর থেকে সন্দেশখালির ‘ডন’ শেখ শাহজাহান এখন গর্তে ঢুকে রয়েছেন। পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারছে না। শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন এলাকার মহিলারা। আর তাকে কেন্দ্র করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। এই আবহের মাঝে তৃণমূলের ফেরার নেতা শাহজাহানকে নিয়ে গান ভাইরাল হয়েছে। আর সেই গানে তৃণমূল নেতাকে ‘জাতির জনক’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

    ভাইরাল হওয়া গানে কী রয়েছে? (Sheikh Shahjahan)

    এমনিতেই এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হতে অনেকেই তাঁকে নানা মণীষীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অনেক সময় মণীষীদের সঙ্গে তাঁর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চাও হয়েছে। এবার সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচারকারী তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ‘জাতির জনক’ বলায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়। শাহজাহানের মতো কুখ্যাত নেতাকে জাতির জনক বলায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভাইরাল গানটিতে দেখা যাচ্ছে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে হাঁটছেন। কোথাও আবার ঝাঁঝালো বক্তৃতা দিচ্ছেন। আর তাতেই মন মজেছে শাহজাহানের অনুগামীদের। গানের প্রতিটি লাইনে বারবার বলা হয়েছে, ‘বাদশা তুমি শাহজাহান ভাই, উত্তর ২৪ পরগনা তোমাকেই চায়’। কোথাও তিনি ‘বাদশা’, কোথাও ‘জাতির জনক’, কোথাও ‘নারীদের ত্রাতা” থেকে ‘গরিবের রবিন হুড’ হেন কোনও বিশেষণ বাদ দেননি তাঁর অনুগামীরা। আর এই নিয়ে একটি গানও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাহজাহান বাহিনী সুন্দরী মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করত। সেই সময় তৃণমূল নেতার অনুগামীদের তৈরি করা গানে বলা হচ্ছে তিনিই নারীদের ত্রাতা। গানের লাইন ঠিক এই রকম, ‘বাজি রেখে প্রাণ, যে বাঁচায় নারীর সম্মান, রাখি মন কুটিরে, স্বপ্ন জুড়ে ভাই শাহজাহান।’ এখানেই শেষ নয়, অনুগামীরা মজেছেন শাহজাহানের হাসিতেও। গানে-গানে তাই গাইতে শোনা গিয়েছে, ‘তোমার মিষ্টি হাসি-ভালবাসি লাভ ইউ সুলতান।’

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    শাহজাহানের অন্যতম সাগরেদ উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল। এখন শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মাথা থেকে হাত সরায়নি শাসক দল। তবে, সন্দেশখালি ইস্যুতে যেভাবে দিনে দিনে পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল, তাতে শাহজাহানের ওপর কতদিন দল আস্থা রাখতে পারে, তা নিয়ে অনুগামীরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাই, শাহজাহানের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জাতির জনক বলতে আমরা মহাত্মা গান্ধীতে বুঝি। এভাবে মহিলাদের ওপর নির্যাতনকারী, তোলাবাজকে জাতির জনক বলায় মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করা। এই ধরনের গান অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীর নামে থাকা বার্ধক্য ভাতা হাতিয়ে নিতেন তৃণমূল নেতা!

    South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীর নামে থাকা বার্ধক্য ভাতা হাতিয়ে নিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্ধক্য ভাতা নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে হাত করে একসঙ্গে দুটি বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন এক তৃণমূল নেতা। হাতিয়ে ছিলেন অন্যের আবাস যোজনার বাড়িও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে। এতদিন এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। এবার পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। আর তার পরই দুর্নীতি পর্দাফাঁস হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম বাসুদেব মাইতি। তাঁর দাদা বসুদেব মাইতি বিজেপি কর্মী। তৃণমূল নেতা নিজের নামে বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করেন। আর তাঁর দাদা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু, তাঁর নামে কোনও টাকা এলেও তিনি তা পেতেন না। সরাসরি সেই টাকা তৃণমূল নেতার অ্যাকাউন্টে ঢুকে যেত। বিজেপি কর্মী বসুদেব মাইতি বলেন, বহুবার এই বিষয়ে পঞ্চায়েতে আবেদন করেছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এমনকী তাঁর আরও অভিযোগ, আমার নামে আসা আবাস যোজনার বাড়িও হাতিয়ে নিয়ে তৃণমূল নেতা ভাই। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বাসুদেব মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি কোনও কিছুই বলতে রাজি হননি। বিজেপি বোর্ড ক্ষমতায় এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন, তালিকায় নাম আলাদা হলেও অ্যাকাউন্ট নম্বর তৃণমূল নেতার ছিল। ফলে, বিজেপি কর্মী ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কুলপি ব্লকের শিক্ষার কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, এই ধরনের কোনও অভিযোগ এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে, ওই ব্যক্তি ব্লকে এসে যোগাযোগ করলে অবশ্যই তিনি তাঁর টাকা ফেরত পাবেন। বিজেপি নেতা বিকাশ মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধ আমাদের দলের কর্মী বলে তাঁর বার্ধক্য ভাতা পরিকল্পিতভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও কিছুই কারণ নয়। আমাদের দাবি, বকেয়া সমস্ত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: শাহজাহান এখনও অধরা! তৃণমূল মুখ ফেরাতেই গ্রেফতার সাগরেদ উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান ফেরার। তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নেতৃত্বে চলত তাণ্ডব। আর তার জেরেই গত তিনদিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। আর এই সব ঘটনার জন্য আদতেই মুখ পুড়ছিল তৃণমূলের। তাই, তড়িঘড়ি শনিবার সকালে সাসপেন্ড করা হল উত্তমকে। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠল পুলিশ। গত তিনদিন ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা উত্তমকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন।

    সাসপেন্ডের পরই গ্রেফতার উত্তম (Sandeshkhali)

    শনিবার দুপুরে রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ছ’বছরের জন্য তৃণমূল থেকে উত্তমকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরই এবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হল। আর দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হন উত্তম। তবে, সবটাই লোক দেখানো বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ৭ জানুয়ারি জনরোষ আছড়ে পড়েছিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali)। উত্তমকে ধরে ফেলেছিলেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশই তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে, ছেড়ে দেয়। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে তিনি ফেরার ছিলেন। কেউ তাঁর আর হদিশ পাচ্ছিলেন না। অনেকের মতে, পুলিশের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন উত্তম। দল মাথা থেকে হাত তুলে নিতেই উত্তম গ্রেফতার হয়ে যায়।

    গ্রামবাসীদের জমি দখল করে উত্তমের ভেড়ি!

    শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা আর উত্তমের বিরুদ্ধেও এলাকায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ রয়েছে। পার্টি অফিসে সুন্দরী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালানো হত। প্রকাশ্যেই তৃণমূল নেতাদের এই অত্যাচারের বিষয়ে মহিলারা গর্জে ওঠেন। উত্তম-শিবুর গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা, ঘেরাও করা হয় থানা। বিক্ষোভে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মহিলারা। বাঁশ, কাটারি, দা, হাতা, খুন্তি, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অলিগলিতে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পোলট্রি ফার্ম, বাগানবাড়িতে। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের জমি জোর করে দখল করে ওই ফার্ম তৈরি করেছিলেন উত্তমেরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৯০ শতাংশ ভেড়ি গ্রামবাসীদের জমি দখল করে তৈরি করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    Birbhum: সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন মেনে কাজ করতে গিয়ে তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়তে হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অনুব্রতের গড় বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি এলাকায়। প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’ দেখলেন এলাকাবাসী। হুমকি সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। সিভিক ভলান্টিয়ারকে হুমকি দিলেও কোনও পুলিশ আধিকারিক তার প্রতিবাদ করার সাহস দেখায়নি। এই ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালবেলা বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি শহরে দুজন বাইক আরোহী হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তা দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল ওই বাইক আরোহীদের জরিমানা করার জন্য গাড়ির ছবি তোলেন। অভিযোগ, এরপর বাইক থেকে নেমে অভিযুক্তরা কৃষ্ণকে হেনস্থা করে। শুধু তাই নয়, যে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি বিষয়টি জানার পরই সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্যাজ খুলে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সিভিক ভলান্টিয়ার কৃষ্ণ গোপাল মণ্ডল বলেন, “রাস্তা দিয়ে বাইক চড়ে হেলমেট ছাড়া যাচ্ছিল দেখে আমি ছবি তুলছিলাম। তখন ওরা বলল ভাল করে ছবি তোল। দেখে নেব বাকিটা। তারপর ডালিম বলে একজন এসে আমাকে বললেন, তোর ব্যাজ খুলে নেব। আমায় চিনিস তুই। আমি বললাম, না চিনি না। আইন মেনে কাজ করার জন্য আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হল। আমি বিষয়টি ওপরতলায় জানিয়ে দেব।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    সিউড়ির ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের আইএনটিটিইউসির সাধারণ সম্পাদক শেখ ডালিম বলেন, “আমাদের ড্রাইভার বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওর গাড়ির ছবি তোলে ওই সিভিক। তারপর ড্রাইভার বলেন দাদা আমি ভুলে গিয়েছি হেলমেট নিতে। ও স্বীকারও করে। তারপরও ওই সিভিক তাকে ছাড়েনি। আমি কোনও হুমকি দিইনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘সুন্দরী কম বয়সী বউদের পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিতে হত’, গর্জে উঠলেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ছিল না মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার! বাড়ির কম বয়সী বউদের তুলে নিয়ে যেত তৃণমূলের নেতারা। এরপর পার্টি অফিসে রাতভর চলত বাড়ির মাহিলাদের উপর অমানবিক পৈশাচিক অত্যাচার। যৌনশোষণ করে তৃণমূল নেতাদের মন ভরলে তবেই ছাড় মিলত।” এই ভাবেই অভিযোগ করেন জেলিয়াখালির গ্রামবাসীরা। রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পলাতক নেতা শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুগামি উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মহিলারা ব্যাপকভাবে সরব হওয়ায় শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার প্রথমে লাঠি, ঝাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদে এবং শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতভর প্রতিবাদী মহিলাদের টার্গেট করে ব্যাপক মারধর করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কয়েকজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হত!

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলাদের বক্তব্য বলেন, “তৃণমূল পার্টির লোকেরা আগে এসে দেখে যাবে কোন বাড়ির বউ বেশি সুন্দরী। এরপর তাঁদের মধ্যে যে কম বয়সী তাঁর বাড়িতে হুমকি চলে আসত। বাড়ির বউকে ছেড়ে দিতে হতো তাঁদের হাতে। তুমি স্বামী হতে পারো, কিন্তু তোমার কোনও অধিকার ছিল না। তুলে নিয়ে চলে যেত তৃণমূলের পার্টি অফিসে। এক দিনের জন্য নয়, রাতের পর রাত ভোগ করত নেতারা। ততক্ষণ পর্যন্ত রেহাই নেই ঠিক যতক্ষণ পর্যন্ত নেতাদের মন না ভরত। সারারাত পার্টি অফিসে রেখে, ভোর বেলায় ছেড়ে দেওয়া হতো বউদের। ঠিক এই ভাবে দিনের পর দিন আমাদের গ্রামবাসীর উপর অত্যাচার এবং যৌন নির্যাতন চালাতো সন্দেশখালির কুখ্যাত নেতা শাহজাহান বাহিনী।”

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব হয়েছেন শুভেন্দু

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআর করা হয়েছে। প্রধান অভিযোগ হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। মানুষের সম্পত্তি জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে প্রাণের ভয় দেখানো হত। আর তাই জেলিয়াখালিতে মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে শুক্রবার উত্তেজিত জনতা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “চোর মমতার বিরুদ্ধে বাংলায় হিন্দু সমাজের জনজাগরণ ঘটেছে। বাংলার মায়েরাই সেই রাস্তা দেখিয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share