Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের জব কার্ডের বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মহিলারা। শনিবার দিন করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেনিয়া এলাকায় কুলপি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের প্রতিনিধিরা ১০০ দিনের জব কার্ডের লিস্ট নিয়ে যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সরকারি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।

    এলাকাবাসীর কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের তালিকায় রয়েছে একাধিক বেনিয়ম। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেরই নাম নেই, আবার যাঁরা কাজ করেননি এমন অনেকের নাম রয়েছে তালিকায়। তালিকায় নাম রয়েছে, বরণ হালদার। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে যায়। কখনও কোদাল হাতে ধরেনি। অথচ তার নাম রয়েছে। আর চন্দনা সরকার, প্রভুরানি শিকারির মতো বাসিন্দার তালিকায় নাম নেই। আর তালিকার বিষয়টি জানতে পেরেই মহিলারা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা কাজ করেছেন অবিলম্বে তাঁদেরকে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমরা এই তালিকা মানি না।

    দলের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে সরব পঞ্চায়েত সদস্য

    করঞ্জলী পঞ্চায়েতেরই কাটাবেনিয়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যার পাশাপাশি তাঁর  স্বামী বুবুন চক্রবর্তী বলেন, প্রাক্তন প্রধান ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে নিজের স্বার্থে লাগিয়েছে। এমনকী নিজের ব্যক্তিগত কাজ এই ১০০দিনের মাধ্যমে তিনি করিয়েছেন। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকাও আমরা পাইনি। কুড়ি হাজার টাকা করেও তিনি দেননি। পরে,  ঘটনাস্থলে কুলপি থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ ওঠে। করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শান্তনু কয়াল বলেন, এলাকার মানুষ যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী  আম্বিয়া বিবি বলেন, তৃণমূল টাকা লুটের জন্য এই তালিকা তৈরি করেছে। প্রশাসন ওদের হয়ে কাজ করছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিচ্ছে না। তাই, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। যারা এই তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    Sandeshkhali: জনরোষে জ্বলছে সন্দেশখালি, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ফের লাঠি, দা হাতে পথে মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষ কী জিনিস, তা বৃহস্পতিবারই দেখিয়ে দিয়েছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমেই ছিল। পুলিশি ধড়পাকড় বা অন্যান্য কারণে বাসিন্দাদের কিছুটা ভীত এবং সন্ত্রস্ত মনে হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়তেই দেখা গেল অন্য চিত্র। সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    উল্লেখ্য, এই শিবু হাজরার বিরুদ্ধেই এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় (Sandeshkhali) এফআইআরও করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের দাবি হল, শাহজাহান শেখ, শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। এই দাবিতে এদিনও আগের মতোই লাঠি, বাঁশ, দা এবং কাটারি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, শাহজাহানের দলবল একালায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। রাতে মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় পার্টি অফিসে। শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। বোঝাই যায়, অত্যাচারের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তাঁদের দেওয়ালে পিঠ থেকেছে। এবার এলাকার ‘বাঘে’দের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছেন অত্যাচারিতরা।

    আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম (Sandeshkhali)

    এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাইকে চেপে এসে তারা নাকি মারমুখী হয়ে ওঠে। 

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল অনেক আগে থেকেই। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    Sandeshkhali: থমথমে সন্দেশখালিতে বন্ধ দোকানপাট, এফআইআর-পাল্টা এফআইআরে চাপা উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। মহিলারা যেভাবে ঝাঁটা এবং লাঠি হাতে পথে নেমে  বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাতে এরকম ঘটনা আগে কোথাও ঘটেছে বলে অনেকেই মনে করতে পারছেন না। শুধু বিক্ষোভ দেখানোই নয়, মহিলারা প্রকাশ্যে শাহজাহান এবং তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তোলেন। সব মিলিয়ে দিনভর উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটেছে সন্দেশখালি। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলারা যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে অনেকেই অবাক।

    থমথমে এলাকা, দোকান বন্ধ (Sandeshkhali)

    সেই সন্দেশখালি শুক্রবার ছিল থমথমে। বৃহস্পতিবারের সেই বিক্ষোভ, উত্তেজনা কিছুই ছিল না। কিছু দোকান খোলা থাকলেও অধিকাংশই বন্ধ। রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যাও বেশ কম। বোঝা গেল অশান্তি বা নতুন করে হাঙ্গামার ভয়ে অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। একটি করেছেন অভিযুক্ত শিবু হাজরা। তিনি শতাধিক মহিলার নামে ভাঙচুর এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা  এফআইআর করেছেন তার বিরুদ্ধে। সেখানে শিবু হাজরার সঙ্গে তৃণমূলের কয়েকজন মাতব্বরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ (Sandeshkhali) জানিয়েছে, গতকালই গ্রেফতার করা হয়েছে মোট পাঁচজনকে। একই দিনে তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

    কেন ফের পথে নেমেছিলেন মহিলারা? (Sandeshkhali) 

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। শাহজাহান (Sandeshkhali) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

    Arabul Islam: গ্রেফতার হলেন ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজার

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে একাধিক ঝামেলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছিলেন ভাঙড়ের এই দাপুটে নেতা। বোমাবাজি, তোলাবাজি, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। লোকসভা ভোটের আগে আরাবুলের গ্রেফতারি নিয়ে জোর চর্চা শুরু।

    কেন গ্রেফতার আরাবুল? (Arabul Islam)

    সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে ঝামেলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় তাঁকে। একইসঙ্গে আইএসএফ কর্মী খুনের ঘটনাতেও আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দু’টি ঘটনাতেই আরাবুলের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার সময় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে যে ঝামেলা হয়েছিল তাতেই এই গ্রেফতারি বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি বৈদিক ভিলেজে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বামনঘাটায় রেজ্জাক মোল্লাকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে খুন হয়। তাতেও নাম জড়ায় তাঁর। গত বছর ১৫ জুন বিজয়গঞ্জ বাজারে গন্ডগোলের ঘটনায় খুন, অস্ত্র আইন, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মচারীদের কাজে বাধা-সহ একাধিক ধারায় মামলা হয়। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর কাশীপুর থানায় তাঁকে ডাকা হয়। আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আসেন উত্তর কাশীপুর থানায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ। মূলত, ১৫ জুন সেই পুরানো মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় আরাবুলকে। গ্রেফতারের পর লালবাজারে আনা হয় তাঁকে। পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে।

    নিছক লোক দেখানো গ্রেফতারি, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আরাবুল (Arabul Islam) প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। বরং, তিনি বলেন, “এই গ্রেফতারিকে নিছক লোক দেখানো। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একটু বিরিয়ানি দেবে, ভাল কম্বল দেবে। ও ওখানে ভালভাবেই থাকবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বা কোনও বিরোধীরা নয়, সন্দেশখালির মানুষ এবার তৃণমূলের ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে বৃহস্পতিবার  পথে নামলেন সন্দেশখালির মহিলারা। এ বার তাঁদের সরাসরি দাবি, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং আরও এক তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কেন ফের পথে নামলেন মহিলারা? (Sheikh Shahjahan)

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালিতে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামলেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

    বিক্ষোভকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভরত মহিলাদের বক্তব্য, “শাহজাহানেরা (Sheikh Shahjahan)  দিনের পর দিন ধরে জমি দখল করেছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা যাব না। এতদিন শিবপ্রসাদ, শাহজাহানদের ভয়ে মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সয়েছি। বাইরে থেকে গুন্ডা এনে আমাদের উপর অত্যাচার করত। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই রাস্তায় নেমেছি। কারণ,  পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে বলে শাহজাহানের কাছে যাও। শাহজাহান বলে শিবু হাজরার কাছে যাও। আমরা কোথায় যাব? এটা চলতে পারে না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় দাদাগিরি দেখাতে গিয়েছিল ফেরার “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহানের বাহিনী। তারপরই এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী দুই তৃণমূল কর্মী তো নদীতে লাফ মেরে লঞ্চে উঠে প্রাণে বাঁচেন। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল মাটি হারাচ্ছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শিবুপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁরা শেখ শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই দুই তৃণমূল নেতা জোর করে এলাকার মানুষদের সম্পত্তি দখল করে মাছ চাষ করছেন। মাছের ভেড়ির লিজের টাকা পর্যন্ত দিচ্ছেন না। ফলে লিজের টাকা দেওয়া ও জমি ফেরতের দাবি  তুলে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে বুধবার দুপুরে সন্দেশখালির ত্রিমোহিনীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এই বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের নানা রকম হুমকি দিতে শুরু করে। তারপরেই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তৃণমূলের বাইক বাহিনীকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে এলাকাছাড়া করেন। দুজন তৃণমূল কর্মী তো নদীতে ঝাঁপ দেন।

    তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্মে আগুন, চলল গুলিও

    এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে কয়েক হাজার এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, তৃণমূল বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে এলাকায় অত্যাচার শুরু করেছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শান্তি ফেরানোর জন্য অবিলম্বে ওই দুই তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। বুধবার রাতে শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নামানো হয়েছে র‍্যাফও।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় সিপিএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। ১৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন।” বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার অবজারভার বিকাশ সিংহ বলেন, ‘এলাকার মানুষ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তৃণমূল পরিকল্পনা করে সেই বিক্ষোভকারীদের ওপর অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করে। এলাকার ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের হামলা চালাতে সাহায্য করেছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্প তালুকের  রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার বটলিং প্লান্ট চত্বর। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ব্লক নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, স্থানীয়দের বাধায় কাজ করতে বাধা পান ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয়রা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। আর ঠিকাদারের হয়ে ব্লক নেতৃত্ব দালালি করতে আসে বলে অভিযোগ। তারা হামলা চালায়। ফলে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্পতালুকে বটলিং প্লান্টে নতুন ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। বুধবার বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে কারখানার সামনে জড়ো হন। তাঁরা বহিরাগতদের কার্যত ঢুকতে বাধা দেন। এরপরই ঠিকাদারের হয়ে দাঁড়ান তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ব্লক নেতৃত্বে পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় চারজন জখম হন। স্থানীয়দের বক্তব্য, কারখানায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে কাজ করাচ্ছে ঠিকাদার। আমরা সবাই তৃণমূল করি। অথচ আমাদের কাজ না দিয়ে বাইরের লোকজনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না। তাই, আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা হামলা চালায়। আসলে ঠিকাদারের হয়ে তৃণমূলের একাংশ দালালি করতে এসেছে। ওরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা জগবন্ধু বাউরি বলেন, নিয়ম মেনে ঠিকাদার কাজের বরাদ পেয়েছেন। তিনি কাজ করতে এলে কিছু মানুষ তাদের বাধা দেয়। আর বহিরাগতদের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে গিয়েছে। আমরা চাই, যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন, তিনি যাতে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা রমণ শর্মা বলেন, শিল্পতালুকে গোষ্ঠী কোন্দলে নতুন নয়। আর টাকার বিনিময়ে কারখানায় নিজের লোক ঢোকানো হয়। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবার সেই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের কোন্দলের জেরে প্লান্টের কাজ না বন্ধ হয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে বীরভূমে (Birbhum)। কেষ্টর অনুগামীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কেষ্ট বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখের ডানা ছাঁটা হয়। কিন্তু তারপরও শিক্ষা হয়নি! ফের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় কাজল শেখের অনুগামীরা। সূত্রের খবর, হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নানুরের থুপসারা অঞ্চলের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কেন হামলা? (Birbhum)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে (Birbhum) কাজল-কেষ্ট বিবাদ নতুন নয়। মুকুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী কেষ্ট অনুগামী হিসেবে পরিচিত। কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে তিনি মেলামেশাও করেন না। কাজলের হয়ে তিনি কেন কাজ করেন না, এটাই তাঁর অপরাধ। আর সেই জন্যই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। কাজল অনুগামীদের হামলায় আহত হয়েছেন মুকুল শেখ। তিনি আবার থুপসরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সরিনা বিবিকেও বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। হামলার জেরে ফেটেছে মাথা। হাতও ভেঙে গিয়েছে সরিনা বিবির। ছাড় পায়নি তাঁদের দুই মেয়ে। সব থেকে নির্মম ঘটনা হচ্ছে, তৃণমূল কর্মীর দুই মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কাজল অনুগামীরা তাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী চরম আতঙ্কিত। তারা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণের নিন্দা করেছেন সকলে। থুপসারা অঞ্চলের যুব নেতা সেখ আজাহার, থুপসারা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জামরুল শেখ ও তৃণমূল নেতা আলম শেখের নেতৃত্বে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আহতের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় নানুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কাজল শেখ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, আদালতে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ

    South 24 Parganas: বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, আদালতে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। বিচারক পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রয়োজনে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার কথা তিনি বলেন। মূলত পুলিশি তদন্তে ওপর বিচারকের যে ভরসা নেই, তা এদিনের স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  বিষ্ণুপুর ১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। নির্বাচনের পর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূলের মারের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। যদিও হাসপাতালের তরফে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বলা হয়, লিভারজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। যদিও হাইকোর্টে সেই রিপোর্টের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “একজন চিকিৎসকের ১৬১ ধারায় পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে। কিন্তু, সেই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মামলাকারীর।” মামলাকারীর বক্তব্য, বয়ান গ্রহণের কোনও ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়নি। কেন করা হয়নি সেটা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারী অফিসার, ডিএসপিকে স্বচ্ছভাবে ভরসাযোগ্য তদন্ত করতে হবে। মামলাকারীদের প্রশ্নে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ স্বচ্ছভাবে, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দেবে। না হলে অন্য এজেন্সিকে তদন্তের দায়িত্ব দেবে আদালত।”বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ মার্চ। তার আগে মামলাকারী তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে হলফনামা জমা দেবে।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী বললেন?

    মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, “চিকিৎসক থেকে সাক্ষী সবাইকে পুলিশ নিজের মতো করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে। তাই ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়নি। আর ঠিক একই কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। উল্টে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠিয়ে চাপে রাখছে পুলিশ।

    রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতকে কী বলা হল?

    রাজ্যের তরফে অবশ্য বলা হয়, “কোর্টের নির্দেশ মতো আমরা সব তদন্ত করছি। এখানে একটা অসুস্থ লোকের মৃত্যুকে রাজনীতির মোড়ক দিতে গিয়ে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যপূরণে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদে থমকে রয়েছে উন্নয়ন। গ্রামের উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, ওই গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে হাত দিচ্ছে না তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। ওই গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল জিতেছে। শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ দত্তক নিয়েছেন বলে ওই গ্রামের বেহাল রাস্তার উন্নয়ন করছে না বলে এদিন এমনই অভিযোগ তুলেছেন  সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ফলে, বেহাল রাস্তা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশনও দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    জেলা সদর বালুরঘাটের অদূরে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ওই গ্রামের নাম চকরামপ্রসাদ। আর এস এসের স্বেচ্ছা সেবক শহিদ চুরকা মূর্মুর গ্রাম বলে খ্যাত ওই  তফসিলি ও আদিবাসী-প্রধান এই গ্রামটিকে প্রায় বছর তিনেক আগে ‘দত্তক’ নেন বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গ্রামবাসী বিপ্লব দেবনাথ বলেন, যেহেতু এই গ্রামটি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিয়েছেন। তাই এই গ্রামটি বিজেপির গ্রাম বলেই পরিচিত। তাই এই গ্রামের মানুষকে বঞ্চনা করতেই তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ এই রাস্তার কাজে হাত দিচ্ছে না। আমাদের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। এই গ্রামটি আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছে আর এই গ্রামে বেশিরভাগ বিজেপির। তাই প্রশাসন থেকে এই রাস্তাটি সংস্কার করছে না।

    ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, চকরাম গ্রামের মানুষের সঙ্গে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। ওই গ্রামের রাস্তার জন্য আমি গত বছর মে মাসে ৫০ লক্ষ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে দিয়েছি। কিন্তু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ তৃণমূলের নেতারা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই রাস্তাটি করা যাবে না। তাই রাস্তাটি ফেলে রেখেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ আটকে রাখার অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। ওই  রাস্তার টেন্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে কাজ শুরু হতে একটু সময় লাগে। তবে, দ্রুত ওই রাস্তার কাজ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share