Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সাত সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে হানা দেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। অভিযান চলার সময় স্থানীয় দমদম থানার আইসি তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যান। কিন্তু, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ঢুকতে দেননি। ইডি-র অভিযান চলার সময় রাজ্য পুলিশের সেখানে নাক গলানোর চেষ্টার ঘটনা প্রথম বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। ইডি-র অভিযানের সময় থানার আইসি কেন ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    থানার আইসিকে ঢুকতে বাধা ইডি-র (ED)  

    সাত সকালে ইডির তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর খলিসাকোটা পল্লিতে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস। সুবোধবাবুর বাড়ির চারদিকে তখন গিজগিজ করছেন জওয়ানরা। দমদম থানার আইসি নিজের পরিচয় দিয়ে এগিয়ে যান। খবর পেয়ে সুবোধবাবুর বাড়ির ভিতর থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ইডির এক আধিকারিক। তাঁকে নিজের পরিচয়ও দেন বঙ্কিমবাবু। কিন্তু, ইডির (ED) কর্তা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও অনুমতি নেই। পরে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস বলেন, ‘এটা আমার এরিয়া। সেই কারণেই আমি এখানে এসেছিলাম। আমার জানার অধিকার রয়েছে ভিতরে কী হচ্ছে।’ যদিও ইডির তরফে ভিতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান আইসি।

    অয়ন শীলের বাড়িতে পাওয়া ফাইলে নাম ছিল সুবোধের!

    এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটা পল্লির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়েই নিজের ছেলেমেয়েকে পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে ইডি (ED)। গত বছর অক্টোবর মাসে সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফাইল পাওয়া গিয়েছিল। ফাইলে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুবোধ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই এদিন ইডি হানা দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নানের আগে বড়সড় বিপত্তি! অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হল বেশ কয়েকটি দোকান সহ অস্থায়ী ক্যাম্প। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ, মেলা চত্বরে সাগরের জল যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি খরচ করে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। জলে চলে যায় কোটি কোটি টাকা।

    কত দোকান প্লাবিত হল? (Gangasagar)  

    মূলত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অমাবস্যার কোটালের কারণে সাগরের জলে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) প্লাবিত হয়ে যায় ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন দোকান ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। সব মিলিয়ে ২০টি দোকানে জল ঢুকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে আনা হয় সেখানকার মানুষজনকে। তবে, পুণ্যস্নানের আগে দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সমুদ্র এগিয়ে আসছে শুনেছিলাম। তবে, এভাবে দোকানে জল ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারিনি।  

    গতবারের তুলনায় সাগর ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে

    বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবল্লা, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগরপাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি-র

    এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য যা খরচ করা হয়েছে, তা বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। কাজও ঠিকমতো হয়নি। সমস্তটাই তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে মানুষ। না হলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: তৃণমূলের মদতে সক্রিয় মাটি মাফিয়ারা, চুরি হয়ে যাচ্ছে চাষিদের জমি

    Santipur: তৃণমূলের মদতে সক্রিয় মাটি মাফিয়ারা, চুরি হয়ে যাচ্ছে চাষিদের জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার শান্তিপুরে (Santipur) ভাগীরথীর চরে মাটি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের প্রধানের মদতেই চলছে এই বেআইনি কারবার। বাধা দিতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে মাটি মাফিয়ারা। চরম আতঙ্কিত চাষিরা। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে চাষিদের অভিযোগ।

    তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় মাটি মাফিয়ারা (Santipur)

    শান্তিপুরের (Santipur) হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়ার গঙ্গার চরে চাষিদের জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই জমিতে চাষ করছেন তাঁরা। সেখানেই থাবা বসাচ্ছে মাটি মাফিয়ারা। জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভোর থেকে মাটি ট্রলারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফলে, নতুন করে এলাকায় ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। আর তৃণমূলের প্রধান এই বেআইনি কারবারে মদত দিচ্ছেন। এমনকী তাঁর পরিবারের লোকজনও এই বেআইনি কারবারে যুক্ত রয়েছেন। অভিযোগ মাটি কাটতে বাধা দিতে গেলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে মাটি মাফিয়ারা।

    জমিতে চাষ করতে পারছেন না চাষিরা

    চাষিদের বক্তব্য, গঙ্গার ধারে প্রচুর জমি ছিল। ভাঙনের কারণে সব তলিয়ে গিয়েছে। তাই, গঙ্গার চরে আমরা চাষ করি। সেই জমি থেকে দেদার মাটি কাটা হচ্ছে। তৃণমূলের প্রধানের মদতে মাটি মাফিয়ারা এসে এই কারবার চালাচ্ছে। আমরা আর জমিতে চাষ পর্যন্ত করতে পারছি না। জমিই আমাদের ভরসা। সেই জমি কেড়ে নিলে আমরা আর সংসার চালাতে পারব না। চরম সংকটে পড়ব। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বার বার জানানোর পরও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মাটি কাটা বন্ধ হোক।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের প্রধান বীরেন মাহাত বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ মাটি কাটলে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর এই সব বেআইনি কারবারে কাউকে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি পাচারেও মদত তৃণমূলের! পথে নেমে আন্দোলন বিজেপি-র

    Birbhum: বালি পাচারেও মদত তৃণমূলের! পথে নেমে আন্দোলন বিজেপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের জমানায় বীরভূম (Birbhum) জুড়ে গরু পাচারের পাশাপাশি বালি পাচারও সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গরু পাচার মামলায় কেষ্ট এখন তিহারে রয়েছেন। তারপরও এই জেলায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমেনি। শাসক দল এবং প্রশাসনের কর্মীদের একাংশের মদতে বেআইনিভাবে পাম্পের সাহায্যে বালি তুলে তা পাচার করা চলছে। বিজেপির পক্ষ থেকেই এমনই অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রশাসনের সব স্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

     বালি পাচার রুখতে আন্দোলনে বিজেপি (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া এবং ময়ূরেশ্বর থানা এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীতে বহু বালিঘাট রয়েছে। বৈধ ঘাটের সঙ্গে একাধিক অবৈধ ঘাট রয়েছে বলেও অভিযোগ। অবৈধ ঘাটগুলি থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বৈধ ঘাটগুলি থেকেও বিভিন্নভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের একটি দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ময়ূরেশ্বরের কলেশ্বর মোড়ে একটি ছাপাখানায় হানা দিয়ে বালির ঘাটের বেশ কিছু নকল চালান উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই ছাপখানার মালিককে। ওই চালান দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে বালিপাচার হচ্ছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেআইনি বালি পাচারের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে সাঁইথিয়ার তালতলা থেকে কোটাসুর পর্যন্ত পদযাত্রা, পথসভা হয়। কোটাসুর মোড়ে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধও করা হয়। তারপরেও বেআইনি বালি পাচার থামেনি বলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। মঙ্গলবার বিজেপি-র পক্ষ থেকে জেলাশাসক, ময়ূরেশ্বর থানার ওসি ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

    পাম্প বসিয়ে বালি তোলা চলছে, সরব বিজেপি

    বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, শাসক দল ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মীর মদতে সাঁইথিয়া থেকে ময়ূরেশ্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় নৌকার উপরে পাম্প মেশিন বসিয়ে ময়ূরাক্ষী নদীর নীচে থেকে যথেচ্ছ হারে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব ক্ষতিই হচ্ছে না, ধস নেমে জনবসতি ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবিলম্বে বেআইনি এই কারবার বন্ধ করতে হবে।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দলের কেউ বেআইনি বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত আছে বলে জানা নেই। যদি থেকে থাকে তাহলে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করলে দল মাথা ঘামাবে না।

    অতিরিক্ত জেলাশাসক কী বললেন?

    বীরভূমের (Birbhum) অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) অসীম পাল বলেন, পাম্পের সাহায্যে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ঠেলার নাম বাবাজি, চাপে পড়ে আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখার নির্দেশ রাজ্যে

    Uttar Dinajpur: ঠেলার নাম বাবাজি, চাপে পড়ে আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখার নির্দেশ রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। বহু আবেদন করেও মেলেনি টাকা। ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে এবার ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ (শহর) লেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সামনের মাসে কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসছে। তাই, তড়িঘড়ি প্রকল্পের নতুন নামকরণ বাধ্যতামূলকভাবে লেখার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য। অন্যান্য জেলার মতো উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর ও ডালখোলা পুরসভাতেও আবাস যোজনার ফলক বদল নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু। ১০০ দিনের মতো এই প্রকল্পের টাকা বন্ধের আশঙ্কায় রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশ মানতে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    নতুন নির্দেশিকায় কী রয়েছে? (Uttar Dinajpur)

    গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ঘটনা ঘটেছে। শহরের ‘সবার জন্য বাড়ি’-প্রকল্পের বাড়িতে তা ছিল না বলে অভিযোগ। নির্দেশ অনুযায়ী, ফলকে ইংরেজি ও বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার পাশাপাশি, উপভোক্তার নাম, কোন অর্থবর্ষের টাকায় বাড়িটি তৈরি হয়েছে, কত টাকায় তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য এবং উপভোক্তাদের অংশ কতটা সবই লিখতে হবে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, শহর অঞ্চলে বসবাসকারী অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য বাড়ি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র দেয় দেড় লক্ষ, রাজ্য দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দিতে হয়। আর এতদিন ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক না থাকায় উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায় একাধিক পুরসভায় এই প্রকল্পের বাড়ি শাসক দলের ঘনিষ্ঠরা পেয়ে গিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁদের একাধিক পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায়, অযোগ্য হয়েও যাঁরা বাড়ি নিয়েছেন তাঁরা ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছেন।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    ইসলামপুর পুরসভার পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, নির্দেশ কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির পাশাপাশি বাংলার বাড়ি লেখা যেতে পারে। ডালখোলার পুরপ্রধান স্বদেশ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার কথা রয়েছে। তার আগে, নামের ফলক বদলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর। নির্দেশ কার্যকর করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) কাঁথি শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা। এমনকী মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে সরস্বতী পুজো খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। আর এতেই আতঙ্কিত নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।

    আদালতের কী নির্দেশ রয়েছে? (East Medinipur)  

    গত বছর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) কাঁথির শাসকদলের এক ছাত্র নেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে। পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্ত অধরা থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশে কাঁথি মহকুমা আদালতে ওই ছাত্র নেতা আত্মসমর্পণ করেন। পরে জামিনে ছাড়া পান। তবে তাঁকে জেলার বাইরে থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশকে অমান্য করে সোমবার কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি ক্লাবের সরস্বতী পুজোর খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভদীপ। আর তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। অভিযুক্ত ছাত্র নেতার মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আতঙ্কিত নির্যাতিতা পরিবারের লোকজন

    নির্যাতিতার বাবা বলেন, অভিযুক্ত যুবক বহাল তবিয়তে কাঁথিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা করছেন। বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি জানানোর পরও পুলিশ কিছু করেনি। খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ছাত্র নেতার সঙ্গে থাকা ছবি ফেসবুকেও পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ। আদলতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁকে সমর্থন করছেন? প্রশ্ন করা হলে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন,আইনি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। কোনও মন্তব্য করব না।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বিজেপি-র

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, তৃণমূল করে বলে সাত খুন মাফ। আদালতের নির্দেশকে মানছেন না। আসলে তৃণমূলের দৌলতে গোটা রাজ্য অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জীবিতকে মৃত দেখিয়ে চাকরি চুরি তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য

    Hooghly: জীবিতকে মৃত দেখিয়ে চাকরি চুরি তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চাকরি চুরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর তারজন্য চাকরির প্রকৃত প্রাপককে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) আরামবাগ এলাকায়। এখনও চাকরির জন্য সরকারি দফতরগুলিতে ঘুরছেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) আরামবাগের প্রতাপনগর এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জায়গা দান করেন জীবনকৃষ্ণ নাথ নামে এক ব্যক্তি। জমি দেওয়ার বিনিময়ে তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা তিনি পাননি। এখন তাঁকে মৃত বলে দাবি করে সেই চাকরি করছেন তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেনের ভাই মহম্মদ সিদ্দিকী। জীবনকৃষ্ণবাবু বলেন, প্রতাপনগর জল প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছি। প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয় তখন আমাকে বা আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়া হয়নি। বদলে চাকরি পান এলাকার তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেনের ভাই। এ নিয়ে কোর্টকাছারি করছিলাম বলে বাড়ি থেকে উৎখাতেরও চেষ্টা হয়। নানা হুমকি দেওয়া হয়। তাই, এলাকা ছেড়ে চলে যাই। আর এই সুযোগে তৃণমূল নেতা আমাকে মৃত দেখিয়ে তাঁর ভাইকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাই কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। নিয়ম মেনে ভাই চাকরি পেয়েছে। কারও চাকরি চুরি করা হয়নি। তৃণমূল নেতার ভাই মহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, অপারেটর পদে আমি দীর্ঘদিন ধরেই চাকরি করছি। আমার বেতনও আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে। সমস্ত কাগজপত্র আছে। সরকারি নিয়ম মেনেই সবটা হয়েছে। আর ওই ব্যক্তি তো আদালতে গিয়েছেন। আদালত নিশ্চয়ই একটা নির্দেশও দেবে। তখনই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    স্থানীয় আরান্ডি-১ গ্রামপঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান তেগদিরা খাতুন বলেন, সদ্য পদে বসেছি। এ নিয়ে কিছু জানি না। আদালতে বিষয়টি গড়িয়েছে। সেখানে যা নির্দেশ দেবে, সেই নির্দেশ কার্যকরী করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে

    Sheikh Shahjahan: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর বাহিনী ইডি আধিকারিকের ওপর হামলা করে নিজের দাপট দেখিয়েছেন। আগে অপকর্ম করেই কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ফের স্বমহিমায় দলে ক্ষমতা দেখাতেন। সেই পুরানো ছকে ঘটনার পর থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু, তাঁর এই কুকর্মের জন্য শাসক দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। তাই, এবার আর পিঠ চাপড়ে বাহবা না দিয়ে দল তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তারই প্রতিফলন হল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষর পদ থেকে শাহজাহানকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, শাহজাহানের পরিবর্তে এখন থেকে ওই পদ সামলাবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তবে, কি শাহজাহানের ডানা ছাঁটা শুরু করল দল? এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

    জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি থেকে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে লিড দিয়েছিল শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনী। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর পরই তিনজন বিজেপি কর্মীকে গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কিছুদিনের জন্য। পরে, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে একই মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মাথায় মন্ত্রীর হাত থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি। তিনি শুধু আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। বিজেপি কর্মীদের খুন করার পুরস্কার হিসেবে পঞ্চায়েত সদস্য থেকে জেলা পরিষদের টিকিট পান। আর বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এবার ইডি কাণ্ডে দলের মুখ পুড়িয়েছেন শাহজাহান। তাই দলও তাঁর পাশ থেকে সরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।

    পরিবারের লোকজনকে জেরা করা হতে পারে!

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ছবি দিয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফকে সতর্ক করেছে ইডি। শাহজাহান পালিয়ে গেলেও তাঁর বাড়িতে ফের তল্লাশি অভিযান চালানোরও প্রস্তুতি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শাহজাহানের খোঁজ পেতে তাঁর পরিবারের লোকজনকেও জেরা করা হতে পারে। তবে তার আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আধা সামরিক বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন ইডি কর্তারা। হতে পারে এরপর থেকে আরও বড় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকহীন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে। সন্দেশখালি, বনগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও কোর কমিটির কেউই এদিন তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি লোকসভা  নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপরেই এদিন জোর দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।

    প্রথম বৈঠকে গরহাজির জেলার একাধিক শীর্ষ নেতা (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) চাকলায় দলের কর্মীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক বৈঠকের পর মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার। আগের বৈঠকে সোমনাথ শ্যামের আসার পরেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের পর সংঘাত শুরু হয়েছিল সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে। দু’জনের এই দ্বন্দ্ব অনেকদূর গড়িয়েছিল। দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকেও আসতে হয়েছিল নৈহাটিতে। সেই বৈঠকও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এদিনের বৈঠকে অবশ্য অর্জুন-সোমনাথ দু’জনেই সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, সুজিত বসু, তাপস রায়ের মতো জেলার শীর্ষ নেতারা গরহাজির ছিলেন।

    বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির নির্দেশ

    দু’ঘণ্টার বৈঠকে কীভাবে এই জেলার কোর কমিটি আরও সফলভাবে কাজ করতে পারে, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় ১৬ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। এ-নিয়ে দু’টি প্রস্তাব উঠে এসেছে। একটা হল, চার সাংগঠনিক জেলার সকলকে নিয়ে কনফারেন্স করতে হবে। অন্যটি হল, লোকসভার আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি বেশি করে দলের কর্মীদের তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বনগাঁর শংকর আঢ্য, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের মতো জেলায় বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করতে হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠক নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গোটা ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা থেকে বহু প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা আমাদের কাছে চিন্তার। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, পুরো বিচার না করে কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে যেন বাদ না যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    Sheikh Shahjahan: ‘হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি’! বিস্ফোরক অর্চনা মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) কোথায় রয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    হিন্দুদের ১৩৯ একর জমি কেড়ে রোহিঙ্গা কলোনি! (Sheikh Shahjahan) 

    বিজেপির মুখপাত্র অর্চনা মজুমদার বাংলা সংবাদ মাধ্যমের একটি বিতর্কসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আমি বসিরহাটের বিজেপির দায়িত্বে আছি। সন্দেশখালিতে কাজ করি। আমি যেটা দেখেছি, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ২০২১ সালের পরে অবিচারে হিন্দুদের সম্পত্তি ১ টাকা দরে জোর করে গান পয়েন্টে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে নিয়েছেন। তিনটি ট্রাস্ট-সুমাইয়া আবেদা ট্রাস্ট, হাবু আবু সিদ্দিকি ট্রাস্ট এবং বাসন্তী এডুকেশন্যাল ট্রাস্ট তৈরি করে রোহিঙ্গা কলোনি গড়েছেন। হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের কাছ থেকে প্রায় ১৩৯ একর জমি কেড়ে নিয়ে রোহিঙ্গা কলোনি ও তিনটি ট্রাস্ট গড়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকার উপরে। তিনি আরও বলেন, ওই জমিগুলি কোনও মুল্য না দিয়েই গায়ের জোরে তিনি দখল করেছেন।

    বাম আমল থেকে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট (Sheikh Shahjahan)  

    বাম আমলে মূলত সন্দেশখালি এলাকায় তোলাবাজির মুখ্য ভূমিকা ছিল শাহজাহান শেখের (Sheikh Shahjahan)। তৃণমূলে আসার পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ হতেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মেছোভেড়ি থেকে ইটভাটা, এমনকী মাটি বেচাকেনাতেও তোলা দিতে হত এই শাজাহানকে। এলাকায় কোনও ভেড়ি থেকে বিঘা প্রতি তোলা আদায়ের রেট চার্ট তৈরি হত তাঁরই তত্ত্বাবধানে। সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিলেন এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তিনি আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share