Tag: Trumps tariffs

  • Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    Trumps Tariffs: মার্কিন শুল্ক-গুঁতো, হারানো সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন ভারত-চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্কহার (Trumps Tariffs) প্রযোজ্য হয়েছে আমেরিকার। এমতাবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিন (India China) পৌঁছেছেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার এই চড়া শুল্ক হার ভারতের রফতানি খাত এবং উচ্চভিলাষী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। চিনের ওপরও চড়া শুল্ক চাপিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটি এমন একটি সময়ে করেছেন, যখন চিনের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রত্যাশিতভাবেই মোদি-জিনপিং সম্পর্কে নয়া মোড় দেখা দিতে পারে। সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ট্রাম্পের শুল্ক-গুঁতোর ধাক্কায় দুই দেশই এবার আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

     ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ (Trumps Tariffs) 

    সাম্প্রতিক এক সম্পাদকীয়তে চ্যাথাম হাউসের চিয়েটিগজ বাজপাই ও ইউ জিয়ে লিখেছেন, “ভারত কখনওই চিনের বিরুদ্ধে সেই প্রতিরক্ষার প্রাচীর হতে যাচ্ছিল না, যেটি পশ্চিমী বিশ্ব (বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ভেবেছিল। তাই মোদির (India China) চিন সফর একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরার ইঙ্গিত দিচ্ছে।” ভারত ও চিন অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ। চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ভারত চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তবে ভারতের প্রবৃদ্ধি যদি ৬ শতাংশের ওপরে থাকে, এবং দেশটির ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি ও ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার স্টক মার্কেটে পৌঁছয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৮ সালের মধ্যেই ভারত পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে।

    সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং

    বেজিং-ভিত্তিক উসায়া অ্যাডভাইসরির প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ কিয়ান লিউ বলেন, “তামাম বিশ্ব এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, চিন ও ভারত, কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার (Trumps Tariffs)।” যদিও এ সম্পর্ক অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ও দীর্ঘস্থায়ী সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এটি গত চার দশকের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। এর জেরে বাতিল করা হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট, ভিসা ও চিনা বিনিয়োগ স্থগিত থাকে। ফলে পরিকাঠামো প্রকল্পের গতি ধীর হয়ে যায়, এবং ভারত ২০০–রও বেশি চিনা অ্যাপ, যার মধ্যে টিকটকও ছিল, নিষিদ্ধ করে (India China)।

    ভারত–চিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

    আইআইএসএসের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় প্রতিরক্ষা, কৌশল ও কূটনীতি বিষয়ক প্রবীণ গবেষক অঁতোয়ান লেভেস্ক বলেন, “দুই দেশের আলোচনা প্রয়োজন, যাতে অন্য শক্তিগুলির প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ এশিয়ার বৃহত্তর স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ভারত–চিন সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান (Trumps Tariffs)।” সীমান্তের পাশাপাশি দুই দেশের বিরোধ রয়েছে আরও কয়েকটি বিষয়ে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বত, দালাই লামা, এবং যৌথ নদীর ওপর চিনের পরিকল্পিত বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। তবে ট্রাম্পের শুল্ক-সংঘাতের জেরে আপাতত দুই দেশই এসব বিরোধ এক পাশে সরিয়ে রেখে নতুন করে সব শুরু করতে চাইছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হবে, ভিসা সংক্রান্ত কিছু ছাড় দেওয়া হতে পারে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চুক্তিও আসতে পারে।

    অবস্থান বদলেছে ভারত

    বর্তমান প্রেক্ষিতে অবস্থান বদলেছে ভারত। গবেষণা সংস্থা এশিয়া ডিকোডেডের  প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অর্থনীতিবিদ প্রিয়াঙ্কা কিশোর বলেন, “মনে রাখবেন, একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এক জোট চিনকে চাপে রাখতে।” কিন্তু বর্তমানে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে ভারত সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত। কিশোরের মতে, তাই এটি একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ এবং মাল্টিপোলার বিশ্বদৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করে, যেটি ভারত ও চিন উভয় দেশই বিশ্বাস করে (Trumps Tariffs)।

    এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী

    চিনে আয়োজিত দু’দিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, ভারত, ইরান, পাকিস্তান এবং রাশিয়া। আগে ভারত এই সংস্থার গুরুত্বকে খাটো করে দেখেছে। কারণ, বছরের পর বছর ধরে এটি উল্লেখযোগ্য কোনও ফল প্রসব করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের অবনতিই ভারতকে এসসিওর গুরুত্ব নতুন করে আবিষ্কার করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, ট্রাম্পের শুল্ক সংঘাতের মধ্যে চিন বৈশ্বিক দক্ষিণের সংহতির প্রতীকী (India China) দিকটিকেও মূল্য দেবে। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের স্বার্থেই ক্রমেই কাছাকাছি আসছে নরেন্দ্র মোদির ভারত ও শি জিনপিংয়ের চিন (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    Trumps Tariffs: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ট্রাম্প!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘তাঁবে’ রাখতে গিয়ে নিজের পায়েই নিজে কুড়ুল মেরেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! দু’দফায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ (US GDP) শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs) করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যার জেরে চিড় ধরেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, ভারতকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে নিজেই উচিত শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চারবার ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও একবারও ফোন ধরেননি ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ভারত-মার্কিন অর্থনীতিতে অতিরিক্ত শুল্কের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ভারতকে চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।

    ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়়া শুল্ক আরোপ (Trumps Tariffs)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। পরে ফের একপ্রস্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়। ২৭ অগাস্ট সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকেই এই নয়া শুল্কহার কার্যকর হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তার জেরেই খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    এসবিআইয়ের রিপোর্ট

    স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতিতে। এর ফলে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতি। শুধু তাই নয়, এটি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি করলেও, বড় ধাক্কা দিতে পারে প্রবৃদ্ধিতে। এসবিআইয়ের রিসার্চের একটি নোটে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও মূল্যস্ফীতির চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা মূলত সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও দুর্বল ডলারের প্রভাব থেকে উদ্ভূত। বিশেষ করে আমদানি-নির্ভর খাতগুলি যেমন ইলেকট্রনিক্স, গাড়ি এবং টেকসই ভোগ্যপণ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে (Trumps Tariffs)।”

    এসবিআইয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নয়া শুল্কহারের কারণে আমেরিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমতে পারে ৪০-৫০ বেসিস পয়েন্ট। শুধু তাই নয়, দুর্বল মার্কিন ডলার ও ব্যয়মূল্য বৃদ্ধির কারণেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে মুদ্রাস্ফীতিও। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২৬ সালে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশ। তবে এই হার তার চেয়েও অনেক বেশি হতে চলেছে। এর মূল কারণ চড়া হারে শুল্ক চাপানোর প্রভাব।

    জানা গিয়েছে, মার্কিন পাইকারি দামের ক্ষেত্রে গত তিন বছরের মধ্যে সব চেয়ে বড় মাসিক বৃদ্ধি রেকর্ড হয়েছে, যেখানে জুলাই মাসে লাফিয়েছে প্রায় ১ শতাংশ। বছরে ৩.৩ শতাংশ হারে বেড়েছে প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স। শুল্ক-সংবেদনশীল আমদানি করা পণ্য যেমন আসবাবপত্র, পোশাক, প্রক্রিয়াজাত সামগ্রী এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে (US GDP) সব চেয়ে তীব্র দামের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে (Trumps Tariffs)।

  • Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    Trumps Tariffs: ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতীয় বস্ত্রের জন্য ৪০টি দেশের বাজার ধরার ভাবনা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trumps Tariffs)। তার পরেই মার খেতে পারে ভারতের বস্ত্রশিল্প (Textile Exports)। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি বিশ্বের ৪০টি দেশে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে বলে খবর। সরকারি এক আধিকারিক জানান, এই ৪০টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ব্রিটেন। তাঁর মতে, এই ৪০টি দেশে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা হল এমন একটি কৌশল গ্রহণ করা যেখানে নিজেদেরকে উচ্চমানের, টেকসই ও উদ্ভাবনী বস্ত্রপণ্যের নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অর্থাৎ, এক ঢিলে দুই পাখি! একদিকে ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির মোকাবিলা করা হবে। অন্যদিকে, বিশ্বের দরবারে ভারতীয় বস্ত্রকে তুলে ধরাও হবে।

    সরকারি আধিকারিকের বক্তব্য (Trumps Tariffs) 

    তিনি বলেন, “ভারতীয় শিল্পখাতের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা (যার মধ্যে ইপিসিএস এবং ওই দেশগুলিতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনগুলিও অন্তর্ভুক্ত) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। জানা গিয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই ২২০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে যে ৪০টি দেশের জন্য বিশেষ যোগাযোগের পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলিই বহুমুখীকরণের প্রকৃত চাবিকাঠি ধরে রেখেছে। প্রশ্ন হল, কেন এই ৪০টি দেশকেই বেছে নেওয়া হয়েছে? সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, “এই ৪০টি দেশ একসঙ্গে টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানিতে ৫৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতের জন্য বাজার অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির বিশাল সুযোগ তৈরি করছে। বর্তমানে ভারতের অংশীদারিত্ব মাত্র প্রায় ৫-৬ শতাংশ (Trumps Tariffs)। বিষয়টি উপলব্ধি করে সরকার এই ৪০টি দেশের প্রতিটিতে বিশেষ মার্কেটিং করার পরিকল্পনা করছে, যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে ঐতিহ্যবাহী বাজারের পাশাপাশি উদীয়মান বাজারকেও।”

    মার্কিন চড়া শুল্ক হার

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের শুল্ক, যা ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে, ৪৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি রফতানিকে প্রভাবিত করবে। আধিকারিকদের মতে, ভারতের এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলস্‌ (ইপিসিএস) হবে বৈচিত্র্যকরণ কৌশলের মেরুদণ্ড (Textile Exports)। তারা বাজারের মানচিত্র তৈরি করবে, উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন পণ্য চিহ্নিত করবে এবং সুরাট, পানিপথ, তিরুপুর ও ভদোহির মতো বিশেষ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে ৪০টি দেশের সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করবে। ইপিসিএসের কাছ থেকে আরও আশা করা হচ্ছে যে, তারা ভারতের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী, বাণিজ্য মেলা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা বৈঠকে অংশগ্রহণে নেতৃত্ব দেবে। একইসঙ্গে ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’ ধারণার অধীনে বিভিন্ন খাতে প্রচারও করবে। কাউন্সিলগুলি রফতানিকারকীদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) ব্যবহারের উপায়, টেকসই মানদণ্ড পূরণ এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেশন পাওয়ার বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি বলেন, “এই ভৌগোলিক অঞ্চলের সঙ্গে এফটিএ এবং আলোচনার ফলে ভারতীয় রফতানি প্রতিযোগিতামূলক হবে এবং এই খাতে প্রবৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে (Trumps Tariffs)।”

  • PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    PMO: ট্রাম্পের শুল্কধাক্কার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জরুরি বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trumps Tariffs) আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তার জেরে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ভারতীয় রফতানিকারীদের। ঘটনার মোকাবিলার ২৬ অগাস্ট, মঙ্গলবার একটি জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) সূত্রে খবর। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি ডাকা হয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন ভারতীয় রফতানিকারীরা বুধবার থেকে কার্যকর হতে চলা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি আগের ২৫ শতাংশ শুল্ককে দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। প্রথমে এই শুল্কহার ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫ শতাংশ।

    শুল্কবৃদ্ধির ধাক্কা (PMO)

    ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই উল্লেখযোগ্য শুল্কবৃদ্ধির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যেসব ভারতীয় ব্যবসা করছেন, তাঁদের লাভের পরিমাণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক রফতানিকারী এবং রফতানি উন্নয়ন পরিষদগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বর্তমানে পঁচিশ বছরের শুল্ক কাঠামোর কারণে ইতিমধ্যেই যে ক্ষতি হয়েছে, তা মূল্যায়ন করতেই এই যোগাযোগ করা হচ্ছে। শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, আগের ২৫ শতাংশ শুল্কও তাঁদের লাভের মার্জিনকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে এবং তার জেরে মার্কিন বাজারে তাঁদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আগের চেয়ে বেশ দুর্বল হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা সার্বিক অর্থনীতিজুড়ে স্বস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বদলে লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ কৌশল খুঁজে দেখছেন। এখন তাঁরা মনোযোগ দিচ্ছেন খাতভিত্তিক সহায়তা ব্যবস্থার দিকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলিকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সাহায্য করতে পারে।

    জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প

    রফতানিকারীরা জরুরি ঋণসীমা গ্যারান্টি প্রকল্প (Emergency Credit Line Guarantee Scheme) চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এটি জামানতবিহীন কার্যকরী মূলধন দেবে এবং সরকারের ঝুঁকি কভারেজের আওতায় আসবে। তবে নীতিনির্ধারকেরা খাতভিত্তিক কেন্দ্রীভূত হস্তক্ষেপের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। আধিকারিকদের ধারণা, এমন লক্ষ্যভিত্তিক পদ্ধতি বিস্তৃত কর্মসূচির তুলনায় বেশি কার্যকর ফল দিতে সক্ষম। জানা গিয়েছে, ইদানিং সরকারের মনোযোগ বিশেষভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং রফতানিমুখী উৎপাদন ইউনিটগুলি রক্ষার দিকে। এগুলিকে বহিরাগত অর্থনৈতিক বিঘ্নের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলি (Trumps Tariffs) বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে খাতভিত্তিক ঋণ সুবিধা, যা জামানত দ্বারা সুরক্ষিত থাকবে, তা প্রকৃত অর্থে সাহায্য করতে পারবে (PMO)।

    সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রফতানিমুখী ইউনিট ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পগুলিকে রক্ষা করাই এখন সরকারের কৌশলের মূল লক্ষ্য। কারণ বহির্বিশ্বের ধাক্কায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রত হয় এই খাত। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার (Trumps Tariffs) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। কারণ টেক্সটাইল, চর্মজাত পণ্য সামগ্রী, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য এবং কেমিক্যাল খাত – সব ক্ষেত্রেই বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে নয়া শুল্কের ধাক্কা (PMO)।

  • Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘মানতে পারছে না ভারতের উত্থান, নিজেকে সকলের বস্ ভাবেন’, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই প্রেক্ষাপটে, নাম না করে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, “কেউ কেউ নিজেকে সকলের বস ভাবেন এবং তাঁরা ভারতের উত্থান মেনে নিতে পারেন না।”একইসঙ্গে রাজনাথ সিং অভিযোগ করেন, “ভারতীয় পণ্য বিদেশে যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য একাংশ মানুষ  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

    কী বললেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)?

    রবিবার রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ভারতের দ্রুত উন্নতি দেখে খুশি হতে পারছেন না। তাঁরা এটি পছন্দ করছেন না। (তাঁরা ভাবেন), সকলের ‘বস্‌’ তো আমি, তা হলে ভারত কী ভাবে এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে? অনেকেই চেষ্টা করছেন যাতে, ভারতীয়দের হাতে তৈরি জিনিস সেই সব দেশের তৈরি জিনিসপত্রের চেয়ে বেশি দামি হয়ে যায়। ওই জিনিসগুলির দাম বেড়ে গেলে, সেগুলি আর বিশ্ববাসী কিনতে চাইবেন না। এই চেষ্টাই চলছে। কিন্তু আমি পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, কেউই ভারতকে বিশ্বের একটি বড় শক্তি হয়ে ওঠা থেকে আটকাতে পারবে না।” রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) আরও বলেন, “আপনারা জেনে খুশি হবেন, প্রতিরক্ষা খাতে এখন আমরা ২৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রপ্তানি করছি। এটা ভারতের শক্তি, এটা ভারতের নতুন প্রতিরক্ষা খাত। এবং এর রফতানি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

    অর্থনীতিতে এগোচ্ছে দেশ, মন্তব্য মোদির

    একই দিনে বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উত্থান নিয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই গতি এসেছে আমাদের কাছে সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের ভাবনা থেকে। আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং সৎ প্রচেষ্টা থেকে এই গতি এসেছে।”

    দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়েই ট্রাম্প সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ভারতের দেওয়া টাকাই ইউক্রেন যুদ্ধ চালানোর কাজে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তিনি ভারত এবং রাশিয়া—দুই দেশের অর্থনীতিকেই ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন। এই মন্তব্যের পরেই নয়াদিল্লি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, দেশের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। এক বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ট্রাম্প (Donald Trump) যে দাবি করেছেন তা “অন্যায্য ও অযৌক্তিক”। বিদেশ মন্ত্রক আরও জানায়, রাশিয়া থেকে আমেরিকাও তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড, প্যালাডিয়াম এবং অন্যান্য রাসায়নিক কিনে থাকে।

LinkedIn
Share