Tag: turkey

turkey

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

  • Turkey: সোমবার রাতে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক  

    Turkey: সোমবার রাতে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে দেশটি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির ঘরবাড়ি। উদ্ধারকাজ এখনও  শেষ হয়নি। এরমাঝেই আবারও ফিরে এল সেই চেনা আতঙ্ক। আবারও কেঁপে উঠল চারদিক।  হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়িঘর। শক্তিশালী ভূমিকম্প ফের জানান দিয়ে গেল বিপদ কাটেনি এখনও।

    আবার কখন কাঁপল তুরস্ক (Turkey)

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ভূমিকম্প ঘটে। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের (Turkey) দক্ষিণের আন্তাকিয়া শহর। পড়শি দেশ সিরিয়া ছাড়াও, মিশর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪।

    সেখানকার স্থানীয় মেয়র কী বলছেন

    হাতায়ের মেয়র লুৎফু সাভাস বলেন, নতুন করে ভূমিকম্পে ফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন। সোমবার তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা ৬০০-র বেশি। এর মধ্যে সামানদাগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

    তুরস্কের (Turkey) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলছেন

    সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানান, “হাতায় এলাকায় এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। তার মধ্যেই নতুন করে ফের ভূমিকম্প হয়েছে। অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।”
     
    দু’সপ্তাহ আগের ভয়াবহতার রেশ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তূপে জমা হয়ে থাকা শহর ছেড়ে বর্তমানে সীমান্তের একটি পার্কে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যে থেকে একজন সোমবারের ভূমিকম্পের সময় পার্কেই ছিলেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেন ‘‘মনে হচ্ছিল, পায়ের নীচের মাটি দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে, পৃথিবী বুঝি দু’ভাগ হয়ে গেল।’’
    এরকমই একটি সোমবারে ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ দফায় দফায় দুলে ওঠে তুরস্ক-সিরিয়া। মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার পেরিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • Turkey: বিগত ১০০ বছরেও এমন ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক, বললেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট

    Turkey: বিগত ১০০ বছরেও এমন ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক, বললেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক (Turkey) এবং সিরিয়ার ভয়াবহ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের তলা থেকে এখনও উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ।

    কী বললেন তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট

     তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোগান এদিন বলেন, বিগত ১০০ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেননি তুরস্কবাসী। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান দফতরে টানা ৫ ঘণ্টা ধরে ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল সেসময় প্রতিদিন। 

    আজ থেকে ৮৪ বছর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্ক (Turkey) এমন ভয়াবহ ভাবে কেঁপে উঠেছিল বলে জানা গেছে। এর ফলে সেসময় ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের মৃত্যুর রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পকেও। মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর্ডোগান আরও জানান, ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কে ৪৭ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ১১ হাজার বাসিন্দা আজ গৃহহারা।

    অপারেশন দোস্তের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানাল তুরস্ক (Turkey)

    ভারত থেকে মোট ৭টি বিমান উড়ে গেছে এখনও অবধি তুরস্কে (Turkey)। উদ্ধারকর্মী, চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত কুকুর, ত্রাণ সমস্ত কিছুই পৌঁছানো হয়েছে অপারেশন দোস্তের মাধ্যমে। সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬ এবং ৮ বছর বয়সী দুটি শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার মুহুর্তগুলি বিশ্বজুড়ে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে , এজন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তুরস্ক। ২৩ টন ত্রাণ নিয়ে তুরস্কের (Turkey) উদ্দেশে সপ্তম বিমান রওনা হতেই সেদেশের রাষ্ট্রদূত ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের জনগণ আরও একটি বিমানের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল।

    প্রসঙ্গত সেখানে ভ্রাম্যমান হাসপাতালও তৈরি করছে ভারতীয় সেনা। লাগাতার সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রত্যেকেই ট্যুইট করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিনে বারবার ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে মাটি কেঁপেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার কাঁপল মেঘালয়। মঙ্গলবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের তুরা এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৭। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে তুরা এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। মেঘালয়ে ভূমিকম্পের ৫ ঘণ্টা আগেই উত্তর-পূর্বের আরও এক রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ কম্পন(Earthquake) অনুভূত হয়েছে মণিপুরের নোনে জেলায়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.২।

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কম্পন (Earthquake)অনুভূত হয় অরুণাচলপ্রদেশে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প হয় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পাঙ্ক ছিল ৪.৪। এর অভিঘাত অনুভূত হয় উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গত রবিবার কম্পন অনুভূত হয় গুজরাটে। এর আগে সুরাটেও কম্পন অনুভূত হয়। রবিবার সকালে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

    ফের ভূমিকম্প তুরস্কে

    সোমবার ফের ভূমিকম্প (Earthquake) হয় তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অন্তত ৬৯ জন। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.‌৮। বেশ কয়েকবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবারের ভূমিকম্পের (Earthquake)কেন্দ্র ছিল মালাতিয়া প্রদেশের ইসিলিউরত শহর। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, কাহরামানমারাসে একটি কারখানা ধসে পড়ায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ইসিলিউরত শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। আটকে বেশ কয়েকজন। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান

    ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানও। মঙ্গলবার ভোরে আফগানিস্তানে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। যদিও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে এই নিয়ে গত পাঁচদিনের মধ্যে ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের মাটি। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় ভূমিকম্প (Earthquake) কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.১ এবং ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় একই সময়ে ভোর পাঁচটা নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় তাজিকিস্তানে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় যখন মৃত্যুমিছিল, তারই মধ্যে ভারতীয় এক সেনা জওয়ান পেলেন এক খুশির খবর। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কে পৌঁছে সুখবর পেলেন যে বাবা হয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সেনা জওয়ানের নাম রাহুল চৌধুরী ও তিনি উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা।

    সাতদিন কেটে গিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের। দুই দেশেই মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের এই পরিস্থিতিতে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯৯ জনের ভারতীয় সেনার দল গেছে তুরস্কে। সেই দলের সদস্য রাহুল চৌধুরী তুরস্কে দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে পেলেন এই খুশির খবর।

    পরিবারের আগে দেশসেবায় গেলেন ভারতীয় সেনা জওয়ান

    নিজের স্ত্রী যখন আট মাসের সন্তানসম্ভবা, তখন তিনি পরিবারের দায়বদ্ধতা দূরে সরিয়ে দেশের কথা ভেবে পাড়ি দিয়েছিলেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে। অন্যান্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রাণের সন্ধান করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারত যে দল পাঠিয়েছে তাতে নাম ছিল রাহুলের। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একা ফেলে যেতে চাইছিলেন না তিনি। তবে নিজের কর্তব্য থেকেও সরে আসতে নারাজ ছিলেন। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সিজারের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি। পরিবার না দেশের জন্য কাজ, কোনটা বেছে নেবেন, সেই নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন রাহুল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝতে না পেরে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি বলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।” রাহুলের স্ত্রী তাঁকে বলেন,  “আমার নাম এই অভিযানে রাখা হয়েছে, তখন সে বলে যে আমার উচিত দেশের কাজ যেন আগে করি। দেশসেবাই প্রথম ধর্ম।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি, মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    এর পরেই তিনি নির্দ্বিধায় দেশের হয়ে অন্য দেশের সাহায্যে চলে যান। এর পর তুরস্কগামী বিমানে উঠেই তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তুরস্কে পৌঁছেই রাহুল জানতে পারেন, পুত্র সন্তান হয়েছে। সকলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। রাহুলের বন্ধু এবং সহকর্মীরা চান নবজাতকের নাম যেন ‘তুর্কি চৌধরী’ রাখা হয়।

    তবে একা রাহুল নন, তুরস্কে উদ্ধারকাজে যাওয়া উত্তর প্রদেশেরই বাসিন্দা ভারতীয় সেনার সেপাই পদে কর্মরত কমলেশ কুমার চৌহানও তুরস্কে পৌঁছনোর পরই বাবা হওয়ার সুখবর পেয়েছেন৷

  • Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২১ হাজার, প্রবল ঠান্ডায় নেই আশ্রয়, খাবার

    Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২১ হাজার, প্রবল ঠান্ডায় নেই আশ্রয়, খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২১ হাজার। দুই দেশের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি রয়েছেন হাজার চল্লিশেক মানুষ। প্রচুর মানুষ নিখোঁজ। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধারকাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিপর্যয়ের পাঁচ দিন পরে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। সন্ধান মিলছে একের এক লাশের। এদিকে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা এলাকাগুলিতে রাষ্ট্রসংঘের প্রথম চিকিৎসক দল পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বৃহস্পতিবার জানান তিনি সিরিয়া যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের কাজে নিয়োজিত রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।  

    ভূমিকম্প…

    সোমবার কাকভোরে ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে, ভূগর্ভের প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। প্রথমবার ওই কম্পনের পর অন্তত শতাধিকবার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক ও সিরিয়া।

    তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন শীতকাল। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দুই দেশ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা মাইনাসেরও নীচে। যাঁরা আশ্রয়হীন হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। গৃহহীন অনেকেরই আবার সে সুযোগ হয়নি। প্রবল ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। খাবার ও পানীয় জলের অভাবে তাঁদের অনেকেরই প্রাণ বিপন্ন। ফলে ক্রমেই দানা বাঁধছে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    ভূমিকম্প (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, তারা ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য তুরস্ককে ১.৭৮ বিলিয়ন সাহায্য দেবে। দুটি প্রকল্প থেকে অবিলম্বে দেওয়া হবে ৭৮০ মিলিয়ন। ত্রাণ এবং পুনর্গঠনের জন্য আলাদাভাবে দেওয়া হবে ১ বিলিয়ন। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ, আর্থিক সাহায্য, ওষুধ ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ছ’ টি বিমানে করে ত্রাণ সামগ্রী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সদস্যদের তুরস্কে পাঠিয়েছে ভারত। পাঠানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    Shehbaz Sharif: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশে যেতে না তুরস্ক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে (Turkey) যেতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীকে মুখের ওপর না বলে দিয়েছে তুরস্কের সরকার। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অতিথি আপ্যায়ণের মতো সময় এবং সুযোগ তাদের এখন নেই। তারা কেবলমাত্র উদ্ধারকারী দলকেই চায়।

    ভূমিকম্প…

    সোমবার কাকভোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। তার জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হাজার হাজার বাড়ি। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বহুতল। মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। কনকনে ঠান্ডায়ই উদ্ধারকার্য চালাতে শুরু করে তুরস্ক ও সিরিয়ার উদ্ধারকারী দল। তুরস্কের এহেন বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারত থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল, ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ছ টি বিমান। ভ্রাম্যমান একটি হাসপাতালও পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে। সেখানে কেবলই ভূমিকম্পের জেরে জখম মানুষেরই চিকিৎসা হবে।

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানও। ৫১ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে ইসলামাবাদ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় তারা পাঠিয়েছে ২১ টন ত্রাণ সামগ্রীও। জানা গিয়েছে, বুধবারই পাকিস্তানের দুটি বিমান রওনা দিয়েছে ইস্তানবুল ও দামাস্কাসের উদ্দেশে।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সশরীরে তুরস্কে যেতে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তুরস্কের আঙ্কারায় যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শেহবাজ। শাহবাজের তরফে এহেন ঘোষণার পরে পরেই তুরস্কের তরফে শাহবাজ শরিফকে সে দেশে যেতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর ভূতপূর্ব বিশেষ সহকারী আজম জামিল ট্যুইট-বার্তায় বলেন, রাষ্ট্রের অতিথির দেখভাল করার সময় এখন নেই। দয়া করে কেবল উদ্ধারকারী দলই পাঠান। তুরস্কের তরফে এই প্রতিক্রিয়ায় যারপরনাই অস্বস্তিতে পাক সরকার। মুখ বাঁচাতে ইসলামাবাদের তরফে অবশ্য চেষ্টার কম কসুর করা হয়নি। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের তুরস্ক সফর পিছিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে উদ্ধারকাজ চলছে। সেজন্য পিছিয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর (Shehbaz Sharif) সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    Earthquake: ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পেরল ১৫ হাজার, তুরস্ক-সিরিয়ার পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey) ও পড়শি দেশ সিরিয়ার (Syria) বিস্তীর্ণ অংশ। সোমবার কাকভোরে অনুভূত হয় প্রথম ভূমিকম্প। তার পর আরও দুবার। বুধবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। অসংখ্য বাড়ি পড়েছে ভেঙে। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালেও হয়েছিল এরকম ধ্বংসাত্মক একটি ভূমিকম্প। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮ হাজার ৮০০ মানুষ। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ভূমিকম্প বিপর্যস্ত সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি এক মাসের বেতন দান করেছেন তুরস্কের ত্রাণ তহবিলে। অন্যান্য সাহায্যও পাঠিয়েছে তাইওয়ান। তুরস্ক ট্যুইটার অ্যাক্সেস ফিরিয়ে এনেছে। সিরিয়ায় যাতে আরও বেশি করে ত্রাণ আসতে পারে তাই দুটো নতুন বর্ডার খুলে দেওয়া হয়েছে। হাসান নামে সিরিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, জিন্দেইরিশ শহরে হাজার হাজার বাড়িতে ধরেছে ফাটল। ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে।

    তুরস্কের পাশে ভারত…

    এদিকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ভারতের ছ নম্বর বিমানটিও পৌঁছে গিয়েছে তুরস্কে (Earthquake)। উদ্ধারকারী দল, ডগ স্কোয়াড এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাঠানো হয়েছে এই বিমানেও। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ খবর জানিয়েছেন। এর আগে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও তুরস্কে পাঠিয়েছে ভারত। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে জীবিতদের উদ্ধার করতে ডগ স্কোয়াডের বিশেষ প্রশিক্ষিত চারটি কুকুর আগেই পাঠিয়েছিল ভারত। পাঠানো হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন বিশেষ প্রশিক্ষিত সদস্যকেও। তুরস্কের উদ্ধারকারী দলকে সহযোগিতা করতেই গিয়েছে ভারতের এই দল। তাঁদের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল জীবনদায়ী বিভিন্ন ওষুধও।    

    এদিকে, ফের কম্পন হতে পারে এই আশঙ্কায় হাজার হাজার শহরবাসীকে বসতবাড়িতে ফিরে যেতে নিষেধ করেছেন তুরস্কের প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। সিরিয়া এবং তুরস্কের কম্পন বিধ্বস্ত অঞ্চলে জীবন্ত মানুষের সন্ধান পেতে আঁতিপাঁতি করে খুঁজছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, গুরুতর জখম না হলে এখনও অনেকেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধার কাজে ঘটছে বিঘ্ন। তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ অঞ্চলে বর্তমানে তাপমাত্র রয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বাধ্য হয়ে সব হারানো মানুষগুলো ঠাঁই নিয়েছেন পথে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও গাড়ি কিংবা অস্থায়ী তাঁবুতে। তুরক্সের অ্যাক্সেস দ্রুত খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে দিয়েছেন ট্যুইটারের সিইও ইলন মাস্ক।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছেন না কেউ কেউ’, বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    অন্যদিকে, ভূমিকম্পের (Earthquake) খবর আগাম দিতে না পারায় এবং উদ্ধারকাজ ঠিকঠাক না হওয়ায় সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তুরস্কের বিরোধী দলগুলি। বুধবার তার জবাবে সরকারের তরফে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইওয়্যাপ আর্দোগাঁ স্বীকার করে নিয়েছেন সরকারের খামতির কথা।  

    এদিকে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। অর্থ সংগ্রহ করতে আগামী মাসে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ডোনার কনফারেন্স করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরশুলা ভন দার লেয়েন পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন সিরিয়া ও তুরস্ক সরকারকে। তিনি বলেন, এরকম একটি বিপদের দিনে কেউই একা থাকবেন না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    Dog Squad: তুরস্কে উদ্ধার কাজে ‘হাত’ লাগিয়েছে জুলি, রোমিও, হানিরা, এরা কারা জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earth Quake) বিপর্যস্ত তুরস্ক (Turkey)। বিপদের দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভারত (India)। সোমের পর মঙ্গলবারও ওষুধপত্র এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের উদ্ধারকারী দল। প্রবল ঠান্ডায় কার্যত প্রাণ বাজি রেখে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাদের সাহায্য করতেই ভারত থেকেও গিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এই দলের সঙ্গেই গিয়েছে ডগ স্কোয়াডের (Dog Squad) চারটি সারমেয়। এরা হল জুলি, রোমিও, হানি এবং র‌্যাম্বো। শেষতক পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, তুরস্কে গিয়ে উদ্ধারকাজে ‘হাত’ও লাগিয়েছে এই চার সারমেয়।

    বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর…

    তাদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্যও। ল্যাব্রেডর প্রজাতির এই চারটি কুকুর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। গন্ধ শুঁকে জীবন্ত মানুষ কিংবা লাশের হদিশ দিতে পারে এরা। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ওই কুকুরগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশের পরেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে। এই দুই দলে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১০১ জন সদস্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কমান্ডান্ট গুরুমিন্দর সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক, প্যারামেডিক্স এবং চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম।

    আরও পড়ুুন: ভূমিকম্পের মধ্যেই জন্ম, ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সিরিয়ার ‘বিস্ময় শিশু’

    মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের এই বিপদের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সাহায্য করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১১ সালে জাপানে তিনবার এবং ২০১৫ সালে নেপালে একবার প্রবল ভূমিকম্প হয়। তখনও ভারতের তরফে গিয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তুরস্কে যাওয়ার আগে প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশে কীভাবে কাজ করতে হয়, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে গঠিত হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাজ করতে তারা প্রথম যায় জাপানে, ২০১১ সালে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে। ২০১৪ সালে ভুটানে রিভার রেসকিউ অপারেশনেও যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

    প্রসঙ্গত, সোমবার কাকভোরে আচমকাই কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল। কম্পন অনুভূত হয় তিনবার। প্রথমবার কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৮। কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে অসংখ্য বহুতল। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share