Tag: turkey

turkey

  • Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    Boycott Turkey: বিমান পরিষেবা থেকে চকোলেট, পাক-বন্ধু তুরস্কের পণ্য বয়কটে ব্যাপক সাড়া দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে সরাসরি ইসলামাবাদের পক্ষ নেয় তুরস্ক। ২০২৩ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো থেকে উদ্ধার কাজ চালায় ভারত। অপারেশন দোস্ত নামে সেই অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচায় ভারত। সেটা বেমালুম ভুলে অকৃতজ্ঞ, বিশ্বাসঘাতক তুরস্ক (Boycott Turkey) পাকিস্তানকে সেনা, ড্রোন সরবরাহ করে দেয়। এই আবহে দেশের কম বেশি সমস্ত মহলেই দাবি উঠেছে তুরস্কের পণ্য বয়কটের। ব্যবসায়ী, গ্রাহক, নির্মাতা সংস্থা- প্রত্যকেই এই একই দাবি জানিয়েছে। এই আবহে তুরস্কের এক সংস্থা, সেলেবি, যারা বিমানবন্দরে পরিষেবা দেয়, তাদেরকে বাতিল করা হয়েছে। তুরস্ক থেকে আসা ফল, চকলেট পোশাক- এই সমস্ত কিছুই বয়কটের দাবি উঠেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতীয়রা তুরস্কের পণ্য এবং পরিষেবা বয়কট করছেন, সেনিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে।

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী সেলেবির ছাড়পত্র বাতিল

    বিমান বন্দরের পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির ওপর উপর প্রথম পদক্ষেপ করা হয় (Boycott Turkey) ১৫ মে। ভারত সরকারের সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি এই পদক্ষেপ করে। বিমানবন্দরে পরিষেবা প্রদানকারী তুরস্কের সংস্থা সেলেবির নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিল করে দেয় তারা।

    তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানেও ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    অন্যদিকে, ভ্রমণ সংস্থা মেক মাই ট্রিপ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে তুরস্ক এবং আজারবাইজানে ফ্লাইট বুকিং ৬০ শতাংশ কমেছে। একই সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করার সংখ্যা ২৫০ শতাংশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, তুরস্কের পাশাপাশি আজারবাইজানও পাকিস্তানকে সরাসরি সমর্থন করেছিল। এ নিয়ে মেক মাই ট্রিপ-এর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে দেশের প্রতি এক তীব্র অনুভূতি দেখা গিয়েছে। এর ফলে আজারবাইজান এবং তুরস্কের বুকিং ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে বিমান বাতিলের (Boycott Turkey) পরিমাণ ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

    ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’-এর আহ্বান

    সাম্প্রতিক প্রকাশিত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়কট তুরস্ক আন্দোলন ব্যাপক গতি পাচ্ছে ভারতে। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, সাড়ে চার লক্ষ ডিস্ট্রিবিউটর নিয়ে গঠিত ‘অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশন’, তারা বেশ কয়েকটি তুরস্কের পণ্যের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্পূর্ণ বয়কট (Boycott Turkey) করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বিরাট সংগঠনের আহ্বানে বেশ চাপেও পড়ে গিয়েছে তুরস্ক। এই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার (Boycott Turkey Movement) ফলে তুরস্কের চকোলেট, ওয়েফার, জ্যাম, সিরাপ, চা, কফি, কুকিজ, প্যাকেটজাত মিষ্টি, বডি ওয়াশ, প্রসাধনী, ত্বকের যত্নের মতো পণ্যগুলিও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পণ্য বয়কটের আহ্বানের ফলে তুরস্কের ২,০০০ কোটি টাকার খাদ্য পণ্যের ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    পোশাক বয়কটও চলছে সমানতালে

    রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে, ফ্লিপকার্টের নিয়ন্ত্রিত Myntra এবং রিলায়েন্স নিয়ন্ত্রিত Ajio তুরস্কের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, জাতীয় স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। Myntra বর্তমানে যাঁরা সার্চ করছেন, তাঁরা তুরস্কের Trendyol, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ডগুলি খুঁজে পাননি। একইভাবে, রিলায়েন্সের Ajio সংস্থা তুরস্কের কোম্পানিগুলির পণ্যগুলিকে ‘স্টক আউট’ করে দিয়েছে। Trendyol, Koton, LC Waikiki প্রভৃতি ব্রান্ড সেখানে দেখা যাচ্ছে না।

    তুরস্কের ফল বয়কট, পাক-বন্ধুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

    অন্যদিকে, ভারতে যে সমস্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরা রয়েছেন, তাঁরা তুরস্ক থেকে আসা ফল সম্পূর্ণভাবে বর্জন করছেন। হরিদ্বারের গ্রাহকরা বলছেন যে ভারতে সমস্ত তুরস্কের ফল বর্জন করা উচিত। একজন গ্রাহক এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমরা কীভাবে একটি দেশকে সমর্থন করতে পারি! যারা আমাদের শত্রু দেশের সঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষ সমস্ত কিছু বর্জন করছে ওই দেশের। তাই আমাদেরও এটি বর্জন করতে হবে।’’ একই চিত্র দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, সেখানে ফল ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে তুরস্কের (Boycott Turkey Movement) আপেল বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে হিমাচলপ্রদেশের কৃষকরা তুরস্কের আপেল আমদানি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে একশো শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

    শিক্ষাক্ষেত্রেও চলছে বয়কট

    দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতেও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সে দেশে সঙ্গে শিক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কর্মসূচি তারা বাতিল করছে। এই আবহে এগিয়ে এসেছে আইআইটি মুম্বই, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া সহ শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। একই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যেমন মৌলানা আজাদ জাতীয় উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়, লাভলী প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি এমন পরিস্থিতিতে তুরস্কের সঙ্গে সমস্ত রকম শিক্ষা সংক্রান্ত সম্পর্ক তারা ছিন্ন করেছে।

    সেলেবির মামলায় উঠে এল জাতীয় স্বার্থের কথা

    এদিকে, সোমবারই দিল্লি হাইকোর্ট তুরস্কের সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মামলার শুনানিতে বলেছে, সেলেবির বিরুদ্ধে যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তা জাতীয় স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। কারণ তুরস্ক সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে এবং ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের বিরোধিতা করেছে।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি শচীন দত্তের এজলাসে। এখানেই দেশের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করেন এবং তিনিও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘শত্রুরা ১০ বার প্রচেষ্টা করতে পারে আঘাত হানার, তাদেরকে একবার সফল হতে হয়। কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে দশবারই সফল হতে হয়। তাই এখানেই জাতীয় সুরক্ষা খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষত বেসরকারি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে।

    ‘‘সাবধানের মার নেই’’, পর্যবেক্ষণ আদালতের

    অন্যদিকে, সেলেবির পক্ষ থেকে এই মামলার সওয়াল জবাব করেন মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, ‘‘একতরফাভাবে কথা শোনা হয়েছে এবং তাঁর কোম্পানিকে কোনও কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি।’’ সেলেবির আইনজীবী বলেন, ‘‘১৭ বছর ধরে এই সংস্থা কাজ করছে এবং বিভিন্ন বিমানবন্দরে পরিষেবা দিয়ে আসছে।’’ কিন্তু সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা বারবার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টির উপরে জোর দেন। এর পরই আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘সাবধানের মার নেই’’। জানা গিয়েছে, সেলেবি তাদের সঙ্গে কেন্দ্রের চুক্তি সিল করা খামে জমা দিয়েছে। আদালতে বুধবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে এই মামলার।

  • Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    Bangladesh: এবার বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডকেও দেখানো হল গ্রেটার বাংলাদেশের ম্যাপে, পোস্টার পড়ল ঢাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানকে অস্ত্র ও সেনা দিয়ে সাহায্য করে তুরস্ক (Turkey)। তার মাশুল অবশ্য গুনতে হচ্ছে তুরস্ককে। নিরাপত্তা থেকে উড়ান, শিক্ষা, বাণিজ্য- সব ক্ষেত্রেই এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে ভারত। তবে তুরস্কের ভারত বিরোধিতা এবার দেখা গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)। ভারত মুখ ফেরাতেই নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে এই দেশ। এক সর্বভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফের একবার হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে তুরস্ক। ওই সংবাদমাধ্যমের খবর, তুরস্কের একটি এনজিও সমর্থিত ইসলামিক সংগঠন বাংলাদেশের ঢাকায় গজিয়ে উঠেছে। জানা যাচ্ছে, এই সংগঠনের নাম ‘সালতালাত-ই-বাংলা’। এই সংগঠনই এবার দাবি তুলেছে গ্রেটার বাংলাদেশের। এনিয়ে নতুন একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে তারা। ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও গোটা উত্তর-পূর্বকে বৃহত্তর বাংলাদেশ বা গ্রেটার বাংলাদেশের অংশ বলে দাবি করা হল।

    মানচিত্রের পোস্টার সাঁটানো হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)

    শুধু তাই নয়, এই ম্যাপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও অন্যান্য এলাকাতেও লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মূলত যে জায়গাগুলিতে পড়ুয়া ও যুব সম্প্রদায় যায়, সেখানেই এই গ্রেটার বাংলাদেশের (Bangladesh) পোস্টার লাগানো হয়েছে। এদিকে আবার ইউনূস সমর্থকরা এই ম্যাপের সমর্থনও জানিয়েছে। তারাও বিভিন্ন জায়গায় দাবি করছে, অন্তত উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশের অংশ করা হোক।

    ২০২৪ সালে পতন হয় হাসিনা সরকারের, তারপরেই বেড়েছে ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত হয়। এর পর থেকেই সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের পাশাপাশি বেড়েছে ভারত বিরোধিতাও। ওপার বাংলা থেকে ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্য এসেছে ভারতের বিভিন্ন অংশ দখল করার। শুধু তাই নয়, এই আবহে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপও বেড়েছে। সাম্প্রতিক, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আন্দোলনের নামে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। সেখানেও উঠে আসে বাংলাদেশ যোগ।

  • Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    Operation Sindoor: ৯টি বিমানবন্দরের পরিষেবায় পাক-বন্ধু তুরস্কের সংস্থার ‘সুরক্ষা ছাড়পত্র’ বাতিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্কের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থা সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করল দিল্লি। সেলেবি এভিয়েশন ভারতের ৯টি বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা দিত বলে জানা গিয়েছে। এগুলি হল- দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, কোচি, কান্নুর ও গোয়া। তুরস্কের এই সংস্থাটি ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর এই ছাড়পত্র পেয়েছিল বলে জানা যায় (India Turkey Relation)। প্রসঙ্গত, ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। এই আবহে বাতিল হল সেলেবি এভিয়েশনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র।

    কড়া অবস্থান নিল কেন্দ্র (Operation Sindoor)

    তুরস্কের রাষ্ট্রপতি এরদোয়ান সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়েছেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে ড্রোন ও সেনা দিয়েও সাহায্য করেছে তুরস্ক। খবরে প্রকাশ, সেলেবি এভিয়েশনের অন্যতম সত্ত্বাধিকারী হলেন এরদোয়ানের মেয়ে। সেই কারণেই ভারত সরকার এমন কড়া অবস্থান নিল বলে মনে করা হচ্ছে (Operation Sindoor)। জানা যাচ্ছে, সেলেবি এভিয়েশন ২০০৯ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে কাজ শুরু করে এবং পরে দিল্লি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুসহ অন্যান্য বড় শহরে কাজ ছড়িয়ে দেয়। এই সংস্থা যাত্রী পরিষেবা, কার্গো, সার্ভিস, বিমানের লোড কন্ট্রোল ইত্যাদি পরিচালনা করত।

    বাতিল রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, তুরস্ক সমেত বাংলাদেশ ও তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি ভবনে। কিন্তু তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল বিদেশ মন্ত্রক। এই অনুষ্ঠানেই তুরস্কের রাষ্ট্রদূত আলি মুরাদ এরসয় ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁর পরিচয়পত্র উপস্থাপন করতেন। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরেই বদলে গিয়েছে ভারত ও তুরস্কের সম্পর্ক। এই আবহে দেশজুড়ে তুরস্কের পণ্য বয়কটের ব্যাপক দাবি উঠেছে। বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে তুরস্কের (India Turkey Relation) এমন এমন অবস্থান। জানা যাচ্ছে, তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত চ্যাভানার্ট থাংসুমফ্যান্ট এবং বাংলাদেশি হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহরও ওই একই অনুষ্ঠানে নিজেদের পরিচয়পত্র উপস্থাপন করার কথা ছিল। তবে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করে দিল কেন্দ্র।

  • Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    Operation Sindoor: বয়কট তুরস্ক! এবার পাক-বন্ধুর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক যুদ্ধের পরিস্থিতিতে (Operation Sindoor) পাকিস্তানকে (Pakistan) সরাসরি সমর্থন করেছে তুরস্ক। এই আবহাওয়া এ দেশে তুরস্কের পণ্য বর্জনের দাবি জোরদার হয়েছে। এই আবহে তুরস্কের সঙ্গে ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। জানা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ সালে তুরস্কে ভারতের রফতানির পরিমাণ ছিল ৫.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যা এদেশের মোট রফতানির দেড় শতাংশ। অন্যদিকে তুরস্ক থেকে ভারত আমদানি করেছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার যা মোট আমদানির ০.৫%।

    তুরস্কে আমদানি ও রফতানি কী কী হয়?

    অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তুরস্কে ভারতের (Operation Sindoor) রফতানি করে তেল, খনিজ জ্বালানি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, রাসায়নিক, ওষুধ, ট্যানিং এবং ডাইং আইটেম, প্লাস্টিক, রাবার, তুলা, কৃত্রিম তন্তু এবং ফিলামেন্ট, লোহা, ইস্পাত, অটো এবং এর উপাদান। অন্যদিকে ভারত তুরস্ক থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে তার মধ্যে রয়েছে মার্বেল, তাজা আপেল, সোনা, শাকসবজি, চুন, সিমেন্ট, খনিজ তেল, রাসায়নিক, প্রাকৃতিক মুক্তা, লোহা এবং ইস্পাত। তুরস্ক কোম্পানিগুলি মেট্রো রেল, টানেল নির্মাণ, বিমানবন্দর পরিষেবা, শিক্ষা, মিডিয়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

    বুধবার জেএনইউ তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে

    কিন্তু এই পুরো চিত্রটি এবার বদলে যেতে পারে (Operation Sindoor) বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পরে পাকিস্তানকে যেভাবে তুরস্ক সেনা এবং ড্রোন সরবরাহ করেছে, তাতেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফের একবার পুনর্বিবেচনার জায়গাতে চলে এসেছে। গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করেছে। একই সঙ্গে বাতিল হয়েছে চলচ্চিত্রে শ্যুটিংও। মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশের ফল বিক্রেতারাও তুরস্ক থেকে আপেল আমদানি করছেন না। ২০২৩ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ভারত সেখানে ত্রাণ সরবরাহ করে, অপারেশন দোস্ত নামে। তারই প্রতিদান স্বরূপ অকৃতজ্ঞ তুরস্ক পাকিস্তানকে সেনা ও ড্রোন সরবরাহ করল (Operation Sindoor)।

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

  • Turkey: সোমবার রাতে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক  

    Turkey: সোমবার রাতে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে ৪৭ হাজার মানুষের মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছে দেশটি। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলির ঘরবাড়ি। উদ্ধারকাজ এখনও  শেষ হয়নি। এরমাঝেই আবারও ফিরে এল সেই চেনা আতঙ্ক। আবারও কেঁপে উঠল চারদিক।  হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়িঘর। শক্তিশালী ভূমিকম্প ফের জানান দিয়ে গেল বিপদ কাটেনি এখনও।

    আবার কখন কাঁপল তুরস্ক (Turkey)

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা নাগাদ ভূমিকম্প ঘটে। এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের (Turkey) দক্ষিণের আন্তাকিয়া শহর। পড়শি দেশ সিরিয়া ছাড়াও, মিশর এবং লেবাননেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪।

    সেখানকার স্থানীয় মেয়র কী বলছেন

    হাতায়ের মেয়র লুৎফু সাভাস বলেন, নতুন করে ভূমিকম্পে ফের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন। সোমবার তিন জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতের সংখ্যা ৬০০-র বেশি। এর মধ্যে সামানদাগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

    তুরস্কের (Turkey) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলছেন

    সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানান, “হাতায় এলাকায় এখনও অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। তার মধ্যেই নতুন করে ফের ভূমিকম্প হয়েছে। অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।”
     
    দু’সপ্তাহ আগের ভয়াবহতার রেশ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তূপে জমা হয়ে থাকা শহর ছেড়ে বর্তমানে সীমান্তের একটি পার্কে তাঁবু খাটিয়ে রয়েছেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যে থেকে একজন সোমবারের ভূমিকম্পের সময় পার্কেই ছিলেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলেন ‘‘মনে হচ্ছিল, পায়ের নীচের মাটি দু’ভাগ হয়ে যাচ্ছে, পৃথিবী বুঝি দু’ভাগ হয়ে গেল।’’
    এরকমই একটি সোমবারে ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ দফায় দফায় দুলে ওঠে তুরস্ক-সিরিয়া। মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার পেরিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। হাজার হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

  • Turkey: বিগত ১০০ বছরেও এমন ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক, বললেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট

    Turkey: বিগত ১০০ বছরেও এমন ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক, বললেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক (Turkey) এবং সিরিয়ার ভয়াবহ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের তলা থেকে এখনও উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ।

    কী বললেন তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট

     তুরস্কের (Turkey) প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোগান এদিন বলেন, বিগত ১০০ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেননি তুরস্কবাসী। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান দফতরে টানা ৫ ঘণ্টা ধরে ক্যাবিনেট বৈঠক চলেছিল সেসময় প্রতিদিন। 

    আজ থেকে ৮৪ বছর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্ক (Turkey) এমন ভয়াবহ ভাবে কেঁপে উঠেছিল বলে জানা গেছে। এর ফলে সেসময় ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের মৃত্যুর রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পকেও। মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এর্ডোগান আরও জানান, ভূমিকম্পের ফলে তুরস্কে ৪৭ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ১১ হাজার বাসিন্দা আজ গৃহহারা।

    অপারেশন দোস্তের জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানাল তুরস্ক (Turkey)

    ভারত থেকে মোট ৭টি বিমান উড়ে গেছে এখনও অবধি তুরস্কে (Turkey)। উদ্ধারকর্মী, চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত কুকুর, ত্রাণ সমস্ত কিছুই পৌঁছানো হয়েছে অপারেশন দোস্তের মাধ্যমে। সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬ এবং ৮ বছর বয়সী দুটি শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করার মুহুর্তগুলি বিশ্বজুড়ে সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে , এজন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তুরস্ক। ২৩ টন ত্রাণ নিয়ে তুরস্কের (Turkey) উদ্দেশে সপ্তম বিমান রওনা হতেই সেদেশের রাষ্ট্রদূত ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভারতের জনগণ আরও একটি বিমানের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল।

    প্রসঙ্গত সেখানে ভ্রাম্যমান হাসপাতালও তৈরি করছে ভারতীয় সেনা। লাগাতার সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রত্যেকেই ট্যুইট করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    Earthquake: ভূমিকম্প মেঘালয়, মণিপুরে! ফের কাঁপল তুরস্ক, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক দিনে বারবার ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে মাটি কেঁপেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার কাঁপল মেঘালয়। মঙ্গলবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের তুরা এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৭। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে তুরা এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। মেঘালয়ে ভূমিকম্পের ৫ ঘণ্টা আগেই উত্তর-পূর্বের আরও এক রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। রাত ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ কম্পন(Earthquake) অনুভূত হয়েছে মণিপুরের নোনে জেলায়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৩.২।

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কম্পন (Earthquake)অনুভূত হয় অরুণাচলপ্রদেশে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প হয় দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায়। রিখটার স্কেলে কম্পাঙ্ক ছিল ৪.৪। এর অভিঘাত অনুভূত হয় উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গত রবিবার কম্পন অনুভূত হয় গুজরাটে। এর আগে সুরাটেও কম্পন অনুভূত হয়। রবিবার সকালে মহারাষ্ট্রের কোলাপুরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

    ফের ভূমিকম্প তুরস্কে

    সোমবার ফের ভূমিকম্প (Earthquake) হয় তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অন্তত ৬৯ জন। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.‌৮। বেশ কয়েকবার আফটারশক অনুভূত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবারের ভূমিকম্পের (Earthquake)কেন্দ্র ছিল মালাতিয়া প্রদেশের ইসিলিউরত শহর। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, কাহরামানমারাসে একটি কারখানা ধসে পড়ায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ইসিলিউরত শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েছে। আটকে বেশ কয়েকজন। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তান

    ফের ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানও। মঙ্গলবার ভোরে আফগানিস্তানে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। যদিও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। তবে এই নিয়ে গত পাঁচদিনের মধ্যে ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের মাটি। ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আফগানিস্তানের জাতীয় ভূমিকম্প (Earthquake) কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৪টে ৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.১ এবং ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। প্রায় একই সময়ে ভোর পাঁচটা নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় তাজিকিস্তানে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    Indian Army: দেশের জন্য! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে তুরস্কে পাড়ি ভারতীয় সেনা জওয়ানের, সেখানেই পেলেন সুখবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় যখন মৃত্যুমিছিল, তারই মধ্যে ভারতীয় এক সেনা জওয়ান পেলেন এক খুশির খবর। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কে পৌঁছে সুখবর পেলেন যে বাবা হয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেই সেনা জওয়ানের নাম রাহুল চৌধুরী ও তিনি উত্তরপ্রদেশের হাপুরের বাসিন্দা।

    সাতদিন কেটে গিয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের। দুই দেশেই মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের এই পরিস্থিতিতে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯৯ জনের ভারতীয় সেনার দল গেছে তুরস্কে। সেই দলের সদস্য রাহুল চৌধুরী তুরস্কে দুর্গতদের উদ্ধার করতে গিয়ে পেলেন এই খুশির খবর।

    পরিবারের আগে দেশসেবায় গেলেন ভারতীয় সেনা জওয়ান

    নিজের স্ত্রী যখন আট মাসের সন্তানসম্ভবা, তখন তিনি পরিবারের দায়বদ্ধতা দূরে সরিয়ে দেশের কথা ভেবে পাড়ি দিয়েছিলেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে। অন্যান্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রাণের সন্ধান করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারত যে দল পাঠিয়েছে তাতে নাম ছিল রাহুলের। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একা ফেলে যেতে চাইছিলেন না তিনি। তবে নিজের কর্তব্য থেকেও সরে আসতে নারাজ ছিলেন। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সিজারের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি। পরিবার না দেশের জন্য কাজ, কোনটা বেছে নেবেন, সেই নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন রাহুল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝতে না পেরে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পুরো বিষয়টি বলেন। কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।” রাহুলের স্ত্রী তাঁকে বলেন,  “আমার নাম এই অভিযানে রাখা হয়েছে, তখন সে বলে যে আমার উচিত দেশের কাজ যেন আগে করি। দেশসেবাই প্রথম ধর্ম।”

    আরও পড়ুন: দিল্লি, মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে আয়কর হানা, কর্মীদের ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

    এর পরেই তিনি নির্দ্বিধায় দেশের হয়ে অন্য দেশের সাহায্যে চলে যান। এর পর তুরস্কগামী বিমানে উঠেই তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তুরস্কে পৌঁছেই রাহুল জানতে পারেন, পুত্র সন্তান হয়েছে। সকলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। রাহুলের বন্ধু এবং সহকর্মীরা চান নবজাতকের নাম যেন ‘তুর্কি চৌধরী’ রাখা হয়।

    তবে একা রাহুল নন, তুরস্কে উদ্ধারকাজে যাওয়া উত্তর প্রদেশেরই বাসিন্দা ভারতীয় সেনার সেপাই পদে কর্মরত কমলেশ কুমার চৌহানও তুরস্কে পৌঁছনোর পরই বাবা হওয়ার সুখবর পেয়েছেন৷

LinkedIn
Share