Tag: UK

UK

  • PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    PM Modi: বহু প্রতীক্ষিত এফটিএ সই হবে আজ, লন্ডনে প্রবাসীদের অভ্যর্থনায় মুগ্ধ মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার তাঁর সফর শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্য হল প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা (India UK Trade Deal)। তাঁর এই সফরের একটি বড় ফল হতে পারে ঐতিহাসিক ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর।

    কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (PM Modi)

    বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হল দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন গতি দেওয়া। স্টার্মার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চেকার্স-এ। এটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারিভাবে নির্ধারিত গ্রামীণ বাসভবন। এর অবস্থান লন্ডনের উত্তর-পশ্চিমে ৫০ কিলোমিটার দূরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডসের সঙ্গে সম্ভবত বৃহস্পতিবার দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

    এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কার

    গত মে মাসে ভারত ও ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদন করে। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ভারতীয় রফতানির ৯৯ শতাংশই শুল্কমুক্ত হবে। স্বাভাবিকভাবেই লাভবান হবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এই চুক্তির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলির জন্য হুইস্কি, গাড়ি এবং অন্যান্য পণ্য ভারতে রফতানি করাও আরও সহজ হবে। ফলে উপকৃত হবে দুই দেশই। এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে বাড়বে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণও। প্রসঙ্গত, এফটিএ নিয়ে গত তিন বছর ধরে আলোচনা চলছে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে। শেষমেশ (PM Modi) চূড়ান্ত হয় চুক্তিটি। সেই চুক্তিটিতেই এবার শিলমোহর পড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই ব্রিটেন সফরে। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় ১০০ শতাংশ বাণিজ্য মূল্যের আওতায় পড়া প্রায় ৯৯ শতাংশ পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়া হবে (India UK Trade Deal)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের সহযোগিতা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, গবেষণা, স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক-সহ নানা ক্ষেত্রে বিস্তৃত।” প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ সালে ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডী। ব্রিটেন ভারতে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ, যার মোট লগ্নির পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত

    এদিকে, ব্রিটেনে ভারতের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেনে প্রায় ১,০০০ ভারতীয় কোম্পানি ১ লাখের কাছাকাছি মানুষের কর্মসংস্থান করেছে (PM Modi)। ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেনে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভারতের উন্নয়নের প্রতি তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী বলেও বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ব্রিটেনের ভারতীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পাওয়া উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি অভিভূত। ভারতের অগ্রগতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও নিষ্ঠা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায় (India UK Trade Deal)।”

    চার দিনে দুই দেশ সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে ২১ জুলাই থেকে। এই সময় চার দিনের বিদেশ সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে তিনি দু’দিন থাকবেন ব্রিটেনে, আর বাকি দু’দিন থাকবেন দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছেন রাজার দেশে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন সাক্ষাৎ করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও। লন্ডন সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। সেখানেও তিনি যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর আমন্ত্রণে। ২৬ জুলাই মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মলদ্বীপে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে, বিশেষ করে মুইজ্জুর জমানায় ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে যে শীতলতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে (PM Modi)।

    জানা গিয়েছে, এদিন (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন ভারতীয় (India UK Trade Deal) সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ। বৈঠক চলবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সন্ধে সাড়ে ৬টায় সাংবাদিক বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। রাত্রি ৯টায় প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে (PM Modi)।

  • PM Modi: লন্ডনে পা রাখলেন মোদি, বৈঠক করবেন স্টারমারের সঙ্গে, সই হবে ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    PM Modi: লন্ডনে পা রাখলেন মোদি, বৈঠক করবেন স্টারমারের সঙ্গে, সই হবে ঐতিহাসিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার লন্ডনে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং এখানে তিনি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Deal) সম্পাদন করবেন ব্রিটেনের সঙ্গে, যাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খালিস্তানপন্থীদের কথাও উঠে আসবে এই আলোচনায় — এমনটাই মনে করা হচ্ছে, কারণ ব্রিটেনে সম্প্রতি বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে খালিস্তানপন্থীদের। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের গাড়ির উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির এটি চতুর্থ ব্রিটেন সফর বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বিক্রম মিস্রি।

    খালিস্তানপন্থী ইস্যু নিয়ে আলোচনা

    বিদেশ দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে ব্রিটেন সরকার ইতিমধ্যেই খালিস্তানপন্থী ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং তারা জানিয়েছে যে এই ধরনের শক্তিকে তারা ব্রিটেনের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। বিক্রম মিস্রি আরও জানিয়েছেন, যারা ভারত থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে, তাদের বিষয়টিও আলোচনা করা হবে ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে। নিজের সাংবাদিক সম্মেলনে বিক্রম মিস্রি উল্লেখ করেন, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক ২০২১ সাল থেকে খুবই উন্নত হয়েছে।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা করবেন মোদি (PM Modi)

     ২৩ এবং ২৪ জুলাই ব্রিটেনে থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এবং একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হবে স্টারমারের সঙ্গে। মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর বিস্তারিত সফরে উঠে আসবে বিভিন্ন অংশীদারিত্বের আলোচনা — যথা: বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, জনস্বাস্থ্য এবং শিক্ষা। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা বেশ কয়েক বছর ধরেই আটকে রয়েছে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও ব্রিটেনের বাণিজ্য দ্বিগুণ করা অর্থাৎ ১২০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে পৌঁছে দেওয়া। মঙ্গলবারই এই বাণিজ্য চুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে দেশের মন্ত্রিসভা।

    চুক্তির ফলে কতটা লাভবান হবে ভারত?

    এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (Free Trade Deal) ফলে ব্রিটেনে রফতানি করা ভারতের কিছু পণ্য, যেমন চামড়া, পোশাক, জুতো, গয়না, সামুদ্রিক মাছ ও খেলনার উপর থেকে শুল্ক অনেকটাই কমে যাবে। এরফলে সেসব পণ্যের দাম ব্রিটেনে সস্তা হবে। অন্যদিকে, ভারতেও ব্রিটিশ পণ্য—যেমন স্কচ, হুইস্কি, জাগুয়ার-ল্যান্ডরোভার গাড়ি, চকলেট, কসমেটিকস ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম কম দামে আমদানি করা যাবে। এছাড়া, ভারতীয় পেশাদাররা ব্রিটেনে গিয়ে কাজ করলে, সামাজিক সুরক্ষা খাতে দুই দেশকে আলাদা করে টাকা দিতে হবে না। বেতনের প্রায় ২০ শতাংশ টাকা বাঁচবে। ৬০ হাজারের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী উপকৃত হবেন। উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াতে এই চুক্তিকে বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোদির (PM Modi)  এই সফরে সঙ্গী হচ্ছেন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা এই চুক্তিতে সাক্ষর করবেন। এরপর চুক্তি কার্যকর হতে গেলে ব্রিটিশ সংসদের অনুমোদন লাগবে।

    নজর মোদির মলদ্বীপ সফরেও

    অন্যদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে দেখা করার পরে প্রধানমন্ত্রী মোদি উড়ে যাবেন মলদ্বীপের উদ্দেশে। মলদ্বীপ (Maldives) সফরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সফর করবেন ২৫ এবং ২৬ জুলাই, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মইজুর (Mohamed Muizzu) আমন্ত্রণে। এই সফরে ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন প্রকল্প এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কূটনৈতিক প্রভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে মলদ্বীপ সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

  • PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) স্বাক্ষর করতে দু’দিনের জন্য ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের লক্ষ্যই হল ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। ব্রিটেন থেকে তিনি যাবেন ভারত মহাসাগরের বুকের দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপে। মহম্মদ মুইজ্জু জমানায় ভারত-মলদ্বীপ তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক মজবুত করতেই ব্রিটেন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মলদ্বীপে। ২৬ জুলাই তিনি যোগ দেবেন দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে।

    ব্রিটেন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, ’২৩-’২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ব্রিটেনে। স্বাক্ষর করবেন এফটিএ-তে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে তা হবে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী অগ্রগতি। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ব্রিটেনে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমে যাবে। ভারতে বিক্রি করা সহজ হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো ব্রিটিশ পণ্যও। প্রসঙ্গত, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে গত তিন বছর ধরে এফটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মূল লক্ষ্য হল, দেশীয় বাজারে প্রবেশাধিকার অর্জনের পথ মসৃণ করা এবং উভয় দেশের জন্য বাণিজ্য সহজ ও উন্নত করা।

    এফটিএ-র লক্ষ্য

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈচিত্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশেরই লক্ষ্য হল একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কমিয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ভারত (PM Modi) ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতের ৯৯ শতাংশ রফতানি করা পণ্যের ওপরই ট্যাক্স কমে যাবে। ব্রিটেন থেকে আমদানি সহজতর হবে হুইস্কি ও গাড়ির মতো পণ্যের (FTA)।এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘ তিন বছর ধরে আলাপ-আলোচনা চলেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাজারেই সুগম হবে পণ্য প্রবেশাধিকারের পথ। কেন্দ্রের দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে একটি উন্নততর বাণিজ্য পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দুই দেশের এই চুক্তি কেবল যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে উন্নত করবে তাই নয়, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতাও আরও দৃঢ় হবে।

    মোদিকে আমন্ত্রণ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই কারণেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে থাকাকালীন অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। খতিয়ে দেখবেন কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের অগ্রগতি। একটি সূত্রের (PM Modi) খবর, ভারত ও ব্রিটেন এই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন বাকিংহামশায়ারের চেকার্সে। ষোড়শ শতকের এই প্রাসাদোপম বাড়িটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কান্ট্রি রেসিডেন্স। স্টার্মারের পাশাপাশি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের পরে চলতি বছরের দীপাবলির আগে ভারত সফরে আসবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “সফরের সময় মোদি-স্টার্মারের সঙ্গে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের সমগ্র পরিসর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। তাঁরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও মত বিনিময়ও করবেন (PM Modi)।”

    চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই

    উল্লেখ্য, গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারি বিবৃতিতে (FTA) বলা হয়েছিল, “টেলিফোনে মোদি-স্টার্মার আলোচনার পরে চূড়ান্ত হয়েছে চুক্তির রূপরেখা।” তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, “বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এই চুক্তি নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার লিখেছিলেন, “একটি শক্তিশালী ও নিরাপদ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা কমানোই আমাদের পরিবর্তিত পরিকল্পনার অংশ।”

    কে কী রফতানি করে

    মনে রাখতে হবে, ভারত ব্রিটেনে রফতানি করে চর্মজাত জিনিস, কাপড়, জুতো, খেলনা, সামুদ্রিক পণ্য, দামি জহরত এবং গয়না। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানি করে স্কচ হুইস্কি, জিন, জাগুয়ার, ল্যান্ডরোভারের মতো গাড়ি, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, প্রসাধনী, চকোলেট এবং নরম পানীয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে। তবে স্থানীয়দের স্বার্থের কথা ভেবে আপেল, চিজ, দুগ্ধজাত পণ্য চুক্তির আওতায় আনেনি ভারত। আর তাই এগুলি আমদানির ক্ষেত্রে মিলবে না কর ছাড় (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাতে অনুমোদন দিতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে। ছাড়পত্র লাগবে ব্রিটেনের পার্লামেন্টেরও। তবেই কার্যকর হবে চুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে এফটিএ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তা কার্যকর হতে বছরখানেক সময় লাগবে (FTA)।

  • Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের মাটিতে সমবেত কণ্ঠে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলেছিলেন মেহেন্দুপুর বালাজির মহন্ত নরেশপুরী মহারাজ। সেটা বছরদুয়েক আগের কথা। তবে সেটা ছিল ফ্রান্স। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) ‘ভারত গৌরব’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেশপুরী মহারাজ। সেখানেও তিনি গেয়েছিলেন হনুমান চালিশা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন অনেকেই।

    ব্রিটেনের পার্লামেন্টে গীত হল হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    এবার আরও একবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টেই সমবেত কণ্ঠে গীত হল হনুমান চালিশা। এবার অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ইউরোপীয় দেশ সফরের সময় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে পাঠ করা হল ভগবান হনুমানের স্তবগাথা। বাগেশ্বর ধামের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ‘বাগেশ্বর ধামবাবা নামে পরিচিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর উপস্থিতিতে ভক্তি সহকারে শ্লোক পাঠ করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লোক, সাংসদ এবং পার্লামেন্ট আধিকারিকদের।’ ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বাগেশ্বর ধামের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘লন্ডনের পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধেয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রী হনুমান চালিশা পাঠ…পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল অতিথি ভক্তি সহকারে পাঠ করেছেন…”

    পাক হাইকমিশনের বাইরেও পাঠ হনুমান চালিশা

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস (Hanuman Chalisa) করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী ভারতীয়রা পাক হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে সমবেত কণ্ঠে পাঠ করেছিলেন হনুমান চালিশা। এবার ব্রিটিশ সাংসদদের হনুমান চালিশা পাঠ করিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ। তবে তাঁর পোশাক এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও খবর হয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুরের এই তরুণ ঋষি স্টাইলিশ স্নানগ্লাস ও দামি জ্যাকেট পরা বিমানে চড়ে এমনকি ক্রুজ উপভোগ করার ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বাগেশ্বর ধাম সরকার নামেও পরিচিত (UK Parliament)। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ গর্গ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি (Hanuman Chalisa)।

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন।” শনিবার এ কথা জানালেন ব্রিটেনের (UK) সচিব লিসা নন্দী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারত সফরে (Terrorism)। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দীর্ঘ ও অত্যন্ত গভীর। সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া, ক্রীড়া বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সচিব লিসা নন্দী।

    কী বললেন লিসা নন্দী (UK)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি সমবেদনা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন। এই মর্মান্তিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্রিটেন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে। আমরা জানি, এই হামলার কারণে সমগ্র ভারতবাসী ব্যথিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক বহুদিনের ও গভীর। আপনাদের ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সমর্থন ও সম্মান জানাতে মৌনতা মেনে নীরবতা পালন করতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, হৃদয়ের। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের সঙ্গে আছি।” তিনি জানান, তাঁর এই সফরটি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি নতুন সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতীকও।

    ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ

    নন্দী বলেন (UK), “সৃজনশীল শিল্পের সর্বক্ষেত্রেই, ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ, তা সিনেমা হোক, ফ্যাশন, টিভি, সঙ্গীত কিংবা গেমিং (Terrorism)। আমরা এসব ক্ষেত্রে সত্যিই দক্ষ, এবং বিশ্বজুড়ে এই পণ্যগুলো রফতানি করি। কিন্তু আমরা জানি, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি অর্জন করতে পারি এবং এক সঙ্গে আরও বড় সাফল্য পেতে পারি। আমাদের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপ এখানকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য সফর করানো-সহ নানা কাজ করছে, যাতে ভারত ও ব্রিটেনের মানুষ প্রকৃত এর সুফল পেতে পারে। আমরা মনে করি, অন্যান্য সকল সৃজনশীল শিল্পেও এই মডেলের মাধ্যমে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।”

    ভারতের প্রতি তাঁর উৎসাহ প্রকাশ করে তিনি বলেন (UK), “এই গ্রীষ্মে ভারতীয় মহিলা দল পুরুষ দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফর করবে।” তাঁর আশা, ভারতীয় খেলোয়াড়রা ব্রিটেনের তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, ঠিক যেমন ইংল্যান্ড লায়নসেস ফুটবল দল তাদের দেশে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছে (Terrorism)।

  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েল-ইরাক দ্বন্দ্ব, তেহরানের পাশে মুসলিম রাষ্ট্র, তেলআভিভের পাশে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার কাকভোরে ইরানে প্রত্যাঘাত করেছে ইজরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে (Other Nations Reaction) আকাশপথে হামলা চালিয়েছে তেলআভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী) (Israel Iran Conflict)। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ মুসলিম দুনিয়া।

    ইরানের পাশে পাকিস্তান (Israel Iran Conflict)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ইসলামিক রাষ্ট্রে হামলার তীব্র নিন্দা করেছে আর এক ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তান। ইসলামাবাদের (পাকিস্তানের রাজধানী) অভিযোগ, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ইজরায়েল। ইজরায়েল এই হামলার যোগ্য জবাব পাবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে ইসলামিক রাষ্ট্রে আঘাত হানার পর ফুঁসে উঠেছে পাকিস্তান। হামলার নিন্দা করে পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইরানের ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছে পাকিস্তান। এই হামলা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার রাস্তা নষ্ট করছে। এই হামলায় আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। যা হচ্ছে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী ইজরায়েল। পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়েছে, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের কাছে আবেদন জানাব তারা যেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করে ও ইজরায়েলের বেপরোয়া ও অপরাধমূলক আচরণের অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করে।” এক্স হ্যান্ডেলে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, “শান্তির পথ খুঁজতে ইরান ও তার প্রতিবেশী দেশগুলির পাশে রয়েছে পাকিস্তান। হিংসা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম দেখানোর আবেদন জানানো হচ্ছে।”

    পাশে সৌদি আরবও

    ইসলামিক রাষ্ট্র ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে আর এক মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরব। ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা করেছে তারা। এক্স হ্যান্ডেলে সৌদি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “সৌদি আরব ইজরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অঞ্চলটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করা এই পরিস্থিতির অবনতি রোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” ইরানের (Israel Iran Conflict) পাশে দাঁড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরাকও।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ প্যাকেজে কী কী সুবিধা মিলবে জানেন?

    তবে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসনের বার্তা, “আমরা ইরানকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে তাদের তরফে কোনও রকমের প্রত্যুত্তর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় বাধ্য করবে আমেরিকাকে।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি যে নিজেকে (Other Nations Reaction) ইরানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্ষা করার অধিকার ইজরায়েলের রয়েছে (Israel Iran Conflict)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jana Gana Mana: ব্রিটিশ-ভূমে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন পাকিস্তানিরাও!

    Jana Gana Mana: ব্রিটিশ-ভূমে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন পাকিস্তানিরাও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার। ব্রিটেনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত জন-গণ-মন (Jana Gana Mana) গাইছেন এক দল ভারতীয়। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন পাকিস্তানিও (Pakistanis)। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন তাঁরাও। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে ধরা পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা। ভাইরাল ভিডিওয় শোরগোল।

    ভারতের স্বাধীনতা দিবস (Jana Gana Mana)

    বৃহস্পতিবারই স্বাধীনতার ৭৮তম বর্ষ উদযাপন করেছে ভারত। দেশজুড়ে ভারতবাসী কেমনভাবে স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, সেই ছবি সম্বলিত নানা ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনই একটা ভিডিওই নজর কেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতা দিবসে ব্রিটেনের পিকাডেলি সার্কাস এলাকায় জড়ো হয়েছেন অনেক ভারতীয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তাঁরা গাইছেন জন-গণ-মন। এই অনুষ্ঠানেই পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে যোগ দিয়েছেন কয়েকজন। জাতীয় পতাকা ছাড়াও যোগ দিয়েছেন আরও কয়েকজন পাকিস্তানি। জন-গণ-মন-র সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন তাঁরাও। ভারতীয়দের মতোই মাথা নিচু করে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন তাঁরা (Jana Gana Mana)।

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Farid Qureshi (@faridqureshi_uk)

    কী বললেন পাক সাংবাদিক

    পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমের এক সাংবাদিক ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, “ব্রিটেন আলাদা করেছিল। আবার ব্রিটেনেই তাঁরা একত্রিত হয়েছেন।” ফরিদ কুরেশি নামের ওই সাংবাদিক আরও লিখেছেন, “পাকিস্তানি ও ভারতীয়রা এক সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে। এই ভিডিওয় শ্রোতারা ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছেন। আগের ভিডিওটি পিকাডলি সার্কাসে পাকিস্তানি ও ভারতীয় উভয় সম্প্রদায়কেই সমানভাবে পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করার। এর কৃতিত্ব গায়ক আমির হাশমির।”

    ইতিমধ্যেই ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শিক্ষিত মানুষরা এমনটাই করেন।”

    ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় ভারত ও পাকিস্তান। ব্রিটিশ শাসন থেকে একই সঙ্গে মুক্তি পেলেও, পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে ১৪ অগাস্ট, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের একদিন আগে (Pakistanis)। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন-গণ-মন। কবিগুরু রচিত সেই সঙ্গীতই গাইলেন পাকিস্তানিরাও (Jana Gana Mana)।

     

      

  • Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (UK issues) শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, এবার সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বাঁচাতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। যাঁরা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকেও। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ? (UK issues) 

    সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্টে এক নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। রটে যায় ওই হামলাকারী একজন অভিবাসী এবং ইসলামিক কট্টরপন্থী। তার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কার্যত যা দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। তবে ইতিমধ্যেই এ ঘতনায় ঘটনায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian Embassy)

    মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে নির্দেশিকা জারি করে হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এখানে যে ভারতীয়রা রয়েছেন এবং যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় হাইকমিশন। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর খবরে নজর রাখুন, তারপর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিন। যেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সেই জায়গাগুলোয় এড়িয়ে চলুন। কোনও প্রয়োজন হলে হাইকমিশনের এমারজেন্সি নম্বর ৪৪২০৭৮৩৬৯১৪৭ এবং মেল আইডি inf.london@mea.gov.in-তে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share