Tag: UK

UK

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    London: হিন্দু সহপাঠীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা, লন্ডনের স্কুলে বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনজন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কার করল লন্ডনের স্প্রিংওয়েল স্কুল (London)। মুসলিম পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এক হিন্দু সহপাঠীকে তারা জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Forced Conversion) করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। এরপরই মূলত অভিভাবকদের চাপে ওই মুসলিম পড়ুয়াদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে ওই মুসলিম ছাত্ররা জোর করে ওই হিন্দু ছাত্রকে নিজের নাম রাখতে বলে মহম্মদ এবং তাকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে এই বিষয়ে। এর পাশাপাশি ওই হিন্দু ছাত্রের হাতের ধাগাও কাঁচি দিয়ে কেটে দিতে চেয়েছিল ওই মুসলিম ছাত্ররা, এমনটাই অভিযোগ।

    হিন্দু ছাত্রকে হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ (London) 

    শুধু তাই নয়, ওই হিন্দু ছাত্রকে (Forced Conversion) হালাল মাংস খাওয়ারও পরামর্শ দেয় তারা। মুসলিম ছাত্ররা জানিয়েছিল যে হালাল মাংস খেলে হিন্দু ছাত্রটি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। প্রসঙ্গত, হিন্দু ছাত্রটি একজন নিরামিষ ভোজী জানার পরেও এমন কাজ করতে থাকে ওই মুসলিম পড়ুয়ারা (London)। ঘটনাটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন ওই হিন্দু ছাত্রটি বাড়ি ফেরে এবং তার ব্যবহারে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তার অভিভাবকরা।

    ফোন করে বাড়িতে একদিন ওই ছাত্র জানায় সে নিজের নাম মহম্মদ রাখতে চায় 

    ওই হিন্দু ছাত্রের মা জানিয়েছেন যে এক দিনে ফোন করে হঠাৎই তাঁর ছেলে বলে যে আমার নাম পরিবর্তন করে মহম্মদ রাখব। এরপরেই আসল সত্য বেরিয়ে আসে। জানা যায়, মুসলিম বন্ধুরা ওই হিন্দু পড়ুয়াকে ক্রমাগত উস্কানি দিচ্ছিল ইসলাম ধর্মান্তরিত হতে (London)। এরপরে ওই হিন্দু ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষয়টি জানান। আরও অভিযোগ করেন অভিভাবকরা যে এ ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে হিন্দু ছাত্রটিকে উত্যক্ত করা হচ্ছে। এরপরেই ওই ঘটনার ওপর তদন্ত শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগের সত্যতা সামনে আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এরপরেই ওই তিন মুসলিম ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনের ভারত সফরে এলেন ইংল্যান্ডের (India UK Relation) বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। বুধবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। সদ্যই ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। তার পর (Free Trade Agreement) থেকে ল্যামিই প্রথম পদস্থ কর্তা, যিনি রাজার দেশ থেকে এলেন ভারত সফরে। প্রসঙ্গত, টানা ১৪ বছর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে তাদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হন কিয়ের স্টার্মার।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Relation)

    জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ল্যামি। পরে তিনি যাবেন লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে, এশিয়ান (ASEAN) বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে। লাওসের এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এদিন নয়াদিল্লিতে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর-ল্যামি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর।

    মোদি-স্টার্মার আলোচনা

    ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়ের জন্য স্টার্মারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের (India UK Relation) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে স্টার্মারও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। টেলিফোনিক ওই আলোচনায় দুই রাষ্ট্রনেতাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপায়ণ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার ফোনে মোদিকে জানিয়েছিলেন, যেটা দু’তরফের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক হবে (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি), সেটা বাস্তবায়িত করতে তিনি এক পায়ে খাড়া।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি-সহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টাকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ব্রিটিশ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে স্টার্মার-মোদির টেলিফোনিক আলোচনার নির্যাস। প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জটিল এবং নয়া উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মায় জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গভীর সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, গত জুনে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগে আগে ল্যামি জোর দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) চূড়ান্ত করার ওপর (India UK Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Unrest in Leeds: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেনের লিডস! আক্রান্ত পুলিশ, অভিযুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী নেতা

    Unrest in Leeds: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেনের লিডস! আক্রান্ত পুলিশ, অভিযুক্ত প্যালেস্টাইনপন্থী নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র শুক্রবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ব্রিটেনের (UK) লিডস (Unrest in Leeds)। এখানেও যোগ মিলল এক বাংলাদেশি মুসলিমের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের দখলে চলে যাচ্ছে! হিংসার ঘটনায় ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে হল ব্রিটেনের পুলিশকে। তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাস ও গাড়িতে। জানা গিয়েছে, হামলার নেপথ্যে নাম উঠে এসেছে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা গ্রীন পার্টির নেতা মতিন আলির। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাতে দেখা যাচ্ছে উন্মত্ত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, পুলিশের গাড়ি উল্টে দিচ্ছে পুলিশের গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি পুলিশকে আক্রমণ করছে উন্মত্ত জনতা। অবশেষে আক্রমণকারীদের (Unrest in Leeds) চাপে পড়ে পুলিশকে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে হয়।

    হামলার নেপথ্যে প্যালেস্তাইনপন্থী (Unrest in Leeds) নেতা মতিন আলি 

    হামলার নেপথ্যে উঠে আসা গ্রীন পার্টির (UK) মতির আলি প্যালেস্তাইনপন্থী নেতা বলেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, গত বছরের সাত অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে সরাসরি প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করেন মতিন আলি এবং তিনি সেই সময়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্তাইনদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।’’ শুধু তাই নয় লন্ডনে ইজরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল।

    ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের (Unrest in Leeds) হাতে চলে যাচ্ছে? 

    এই অবস্থাতেই বারবার প্রশ্ন উঠছে, ব্রিটেন কি তবে উগ্র মুসলিমদের (Unrest in Leeds) হাতে চলে যাচ্ছে? তার কারণ সম্প্রতি ব্রিটেনে ক্ষমতা বদল হয়েছে। সে দেশে লেবার পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি পরাস্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় দুদিন আগেই মার্কিন রিপাবলিকান উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জেডি ভ্যান্স দাবি করেন, লেবাররা ক্ষমতায় আসার পরে কার্যতই ইংল্যান্ড হয়ে উঠতে চলেছে প্রথম ‘সত্যিকারের ইসলামিক’ দেশ, যাদের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে! ওয়াকিবহাল মহল বলছে, মার্কিন রিপাবলিকান উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর এই দাবি নিছক মিথ্যা নয়, তা লিডসের তাণ্ডবেই পরিষ্কার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ বছর পর ফের ব্রিটেনের কুর্সিতে বসেছে লেবার পার্টি। ২০১০ সালের পর এই প্রথম লেবার পার্টির কোনও (India UK Relation) নেতা হতে চলেছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। লেবার পার্টির তরফে ব্রিটেনের কুর্সিতে যিনি বসতে চলেছেন তিনি কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। জয়ের পর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যৎ ফিরে পেয়েছে।”

    স্টার্মারের মাথায় কাঁটার মুকুট! (Keir Starmer)

    স্টার্মারের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁর বছর দুয়েকের শাসনে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক তুঙ্গে উঠছে, এমনটা বলা যায় না। তবে সম্পর্কের অবনতিও হয়নি। এবার স্টার্মারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের জল কোন খাতে গড়ায়, সে দিকেই তাকিয়ে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ। স্টার্মার যে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন, সেই সময় সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ব্রিটেনের ঘাড়ে করের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে নিট ঋণের পরিমাণ ব্রিটেনের বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটপুটের সমান। দেশের (Keir Starmer) পাবলিক পরিকাঠামো নড়বড়ে, জীবনযাপনের মান কমছে তীরের বেগে। সঙ্কটের মুখে সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। এহেন আবহে কুর্সিতে বসেছেন স্টার্মার।

    স্টার্মারের সামনে গুচ্ছ চ্যালেঞ্জ

    বস্তুত, কাঁটার মুকুট পরেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। গত বছর সেই জায়গাটা দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে ওই তালিকার ছ’নম্বরে। তাই ব্রিটেনকে ফের পূর্বাবস্থায় ফেরানোটাই স্টার্মারের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেনবাসীর জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করাও তাঁর আশু কর্তব্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট না করেই উন্নয়ন করতে হবে এই সব ক্ষেত্রে। এসব ‘ঘরোয়া সমস্যা’র সমাধানও যেমন করতে হবে স্টার্মারকে, তেমনি মজবুত করতে হবে ভারত-ব্রিটেন (পড়ুন, লেবার পার্টির) সম্পর্কও।

    আর পড়ুন: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    তলানিতে ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তলানিতে ঠেকে ভারত ও লেবার পার্টির সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়াও অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। স্টার্মারের আগে লেবার পার্টির রাশ ছিল জেরেমি করবিনের হাতে। তাঁর ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্যই নয়াদিল্লির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ককেই দ্রুত ফেরাতে হবে জেরেমি জমানার আগের অবস্থায়।

    প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা স্টার্মারের

    ঋষি সুনক যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিরোধীদলের নেতা ছিলেন স্টার্মার (Keir Starmer)। সেই সময়ই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলতেন। ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের ওপর খালিস্থানপন্থীরা যখনই হামলায় চালাত, তখনই তার কড়া নিন্দা করতেন স্টার্মার। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, তাঁর দল সরকারে এলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইবে। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। তাই এবার তাঁর পালা প্রতিশ্রুতি রক্ষার।

    ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ক্ষমতায় এলে তিনি যে ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, নির্বাচনী প্রচারেই তা জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ভারতের সঙ্গে তিনি যে মুক্ত-বাণিজ্যের চুক্তি করতেও বদ্ধপরিকর, সেটাও জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির এই নেতা। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী স্টার্মার। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল দেশ। বিভিন্ন (India UK Relation) আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষা বলছে, অচিরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে আসবে মোদির ভারত। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে মুখিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।

    ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী!

    তিনি যে হিন্দু-বিরোধী নন, তিনি যে ব্রিটেন থেকে ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী, তা-ও ভোটের আগে বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন স্টার্মার। সেই কারণেই হিন্দুদের উৎসব হোলি কিংবা দেওয়ালির মতো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের। স্টার্মারের এই কৌশলে কাজ হয়েছে। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয় হিন্দু ভোটাররা একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ফ্যাক্টরই এবার ব্যাপকভাবে কাজ করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, প্রবাসী হিন্দু কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশের ভোট এবার পড়েছে লেবার পার্টির ঝুলিতে। তাই স্টার্মারের জয় হয়েছে নিছক কেক-ওয়াক।

    স্টার্মারের জয়ের পর তাঁকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই দুই রাষ্ট্রনেতা ‘মজবুত অর্থনৈতিক বন্ধন’ গড়ে তুলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার মোদিকে (India UK Relation) এ-ও বলেছিলেন, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চলা দোটানায় ইতি টানতে প্রস্তুত ব্রিটেন।

    আসলে মোদির ভারতকে এড়িয়ে যাওয়ার যে কোনও উপায়ই নেই লেবার পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের (Keir Starmer)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India UK Relation: রাজার দেশে লেবার পার্টির জয়, কোন খাতে বইবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের জল?

    India UK Relation: রাজার দেশে লেবার পার্টির জয়, কোন খাতে বইবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের জল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলে গিয়েছে প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা। ব্রিটেনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। হার হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি)। ব্রিটেনের (India UK Relation) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন লেবার পার্টির কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)।

    ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ (India UK Relation) 

    গত কয়েক বছরে হাল খারাপ হয়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতির। অথচ এই সময় ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যাশিতভাবেই সুনক কিংবা স্টার্মার যিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁকেই বজায় রেখে চলতে হবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক। কারণ বর্তমানে ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। তাই সুনক হেরে গিয়ে স্টার্মার জয়ী হওয়ায়ও ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

    ক্ষমতায় স্টার্মারের দল

    ভারতের মতো বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেনও। সে দেশেরই হাউস অফ কমনসে (ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার মতো) বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। এক সময় ব্রিটেনের এই দলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল ভারতের। পরে ভাঁটা পড়ে সেই সম্পর্কে। লেবার পার্টির রাশ যখন জেরেমি করবিলের হাতে ছিল, তখনই ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কে চিড় ধরে। ভারত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন জেরেমি। তার জেরেই তলানিতে ঠেকে ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্ক। ফলে, ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সুসম্পর্কের (India UK Relation) বাতাবরণ তৈরি করতে হবে স্টার্মারকে। কারণ নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতির গ্রাফ। ব্রিটেনকে সরিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই ভারতকে এড়িয়ে কিছুই করার জো নেই স্টার্মারের।

    দলীয় অবস্থান পরিবর্তনের স্টার্মার

    সে কথা ভালো করেই জানেন স্টার্মারও। তাই ২০২০ সালে লেবার পার্টির রাশ হাতে আসার পরে পরেই দলীয় অবস্থান পরিবর্তনের পথে হাঁটতে শুরু করেন ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী। ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক মেরামত করতে তিনি প্রথমেই যে কাজটি করেছিলেন, সেটি হল প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয়রা একটা ফ্যাক্টর। তাই ভোট বৈতরণী ভালোভাবে পার হতে গেলে যে তাঁদের উপেক্ষা করা যাবে না, তা বুঝেই সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছিলেন স্টার্মার (India UK Relation)। দেওয়ালি এবং হোলির মতো হিন্দু-উদযাপিত উৎসবগুলিতেও যোগ দিচ্ছিলেন তিনি (Keir Starmer)। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও লেবার পার্টির এই নেতার কথায় বারংবার উঠে এসেছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জয়বায়ু সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই ‘খেয়েছেন’ প্রবাসী ভারতীয়রা। তার জেরেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়েও বেশি আসন পেয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের হাল ধরতে চলেছেন স্টার্মার।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাড়ছে ভারতের গুরুত্ব

    কনজার্ভেটিভ পার্টির জমানায় যেখানে ব্রিটেন ক্রমশই তলিয়ে গিয়েছে, প্রায় (প্রায় বললাম এই কারণে যে কনজার্ভেটিভ পার্টি ব্রিটেন শাসন করেছে ১৪ বছর, আর মোদি ১০ বছর) সেই একই সময় ভারতের হাল ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর নেতা নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভারতের উত্থান লক্ষ্যণীয়। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত (India UK Relation)। তাই ভারতের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক দ্রুত মেরামত করাই যে তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে, তা বুঝেছিলেন স্টার্মার। নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও তিনি বলেছেন, “পরিবর্তনের কাজ আজ থেকেই শুরু হবে (ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হয়ত প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে তাঁর এই সংক্ষিপ্ত বাক্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক ইঙ্গিত। যারই একটি হল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত।)।”

    স্টার্মারকে শুভেচ্ছা মোদির

    এদিকে, ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

    স্টার্মারের লক্ষ্য

    ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের সেতুবন্ধন করার পাশাপাশি অভিবাসন নীতি ও বাণিজ্য চুক্তির মতো বৈদেশিক নীতিগুলিতে গুরুত্ব দেওয়াও লক্ষ্য স্টার্মারের (Keir Starmer)। অভিবাসন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও ঐক্যমত্যে আসতে হবে তাঁকে। ব্রিটেনের শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত ভারতীয়দের অস্থায়ী ভিসার বিষয়ে আলোচনা করে ভারসাম্যমূলক আইন প্রণয়ন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে স্টার্মারের। এফটিএ নিয়েও পদক্ষেপ করতে হবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের হবু বাসিন্দাকে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এফটিএ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ভারত-ব্রিটেনের। এনিয়ে ১৪ রাউন্ড বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টিকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে স্টার্মারকে (India UK Relation)। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো রাহুল রায়চৌধুরী যথার্থই বলেছেন, “নয়া লেবার সরকারের কাছে ভারতের গুরুত্ব একটুও কমবে না বলেই আমার বদ্ধমূল ধারণা।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের ‘হাউস অফ কমনসে’ রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তালিকায় কারা?

    লেবার পার্টির তরফেও বলা হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে নয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব খুঁজবে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে এফটিএ, তেমনি রয়েছে নিরাপত্তা, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন। কিছুদিন আগে স্বয়ং স্টার্মারই (Keir Starmer) বলেছিলেন, “যখন দুটি জাতির ইতিহাস আমাদের মতোই জড়িয়ে থাকে, তখন এটি একটি দীর্ঘ ছায়া ফেলতে পারে। তবে আজকের ভারতে আমি সেই (India UK Relation) ছায়া দেখতে পাচ্ছি না।” ভারতকে যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন, তার আরও প্রমাণ হল, লেবার দলের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠনের একমাসের মধ্যে ভারত সফরে আসবেন নবনিযুক্ত ব্রিট বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি। গতকালই, ডেভিডকে মনোনীত করেছেন স্টার্মার। এর পরই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ল্যামিকে অভিনন্দন-বার্তা পাঠিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UK Election 2024: ব্রিটেনে চলছে ভোট, ক্ষমতায় ফিরবেন সুনক? না কি বাজি মারবেন স্টার্মার?

    UK Election 2024: ব্রিটেনে চলছে ভোট, ক্ষমতায় ফিরবেন সুনক? না কি বাজি মারবেন স্টার্মার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৪ জুলাই। নির্বাচন চলেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্সে’ (UK Election 2024)। এর আসন সংখ্যা ৬৫০। নির্বাচন শেষে এদিনই শুরু হবে ভোট গণনা। জানা যাবে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওয়েস্ট মিনিস্টারের রাশ কার হাতে থাকবে। এদিন নির্বাচন শুরু হয়েছে সকাল ৭টায়। চলবে রাত ১০ অবধি।

    মূল লড়াই (UK Election 2024)

    এবারের মূল লড়াই প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি) ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) সঙ্গে লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মারের। ইয়র্কশায়ারে রিচমন্ডে এবারও প্রার্থী হয়েছেন ঋষি। ব্রিটেনের বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, ভরাডুবি হবে ঋষির দলের, হারতে পরেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, এবার প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন স্টার্মার। পাঁচ বছর আগে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটের পক্ষে বিপুল সাড়া মিলেছিল। তাই ‘হাউস অফ কমন্সে’ ৩৬৫টি আসনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছিল কনজারভেটিভ পার্টি।

    অকাল ভোট

    প্রধানমন্ত্রী (UK Election 2024) হয়েছিলেন বরিস জনসন। পরে দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং করোনা অতিমারী বিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগে ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বরিস। প্রধানমন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়ে ঋষির কপালে। তার আগে অবশ্য ৪৯ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছিলেন লিজ ট্রাস। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, সে দেশে নির্বাচন করাতে হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে। গত ২২ জুন আচমকাই রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ঠিক হয়, হাউস অফ কমন্সের নির্বাচন হবে ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার।

    আর পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    ব্রিটেনের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে ৯৮টি রাজনৈতিক দল। জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, লেবার পার্টি পেতে পারে ৪০ শতাংশ ভোট। সুনকদের দল পেতে পারে ২০ শতাংশের সামান্য বেশি কিছু ভোট। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থী দল রিফর্ম ইউকে-র ঝুলিতে পড়তে পারে ১৬ শতাংশ ভোট। এবারের নির্বচনী প্রচারে ঋষি (Rishi Sunak) হাতিয়ার করেছেন ব্রিটেনে মাইগ্রেশন ইস্যুকে। দেশের আর্থিক হাল বদলেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, সাধারণ নির্বাচনের আগে নিজেদের জন্য পৃথক ইস্তেহার প্রকাশ করেছিলেন ব্রিটেনের ১০ লাখ হিন্দু ভোটার। সে দেশের ২৯টি হিন্দু সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবার প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য হিন্দু ম্যানিফেস্টো ইউকে ২০২৪’। ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহলের মতে, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে সে দেশের হিন্দু ভোটারদের (UK Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আমেরিকার গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করায় অভিযুক্ত, উইকিলিক্‌‌স-এর (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange)। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আমেরিকায় পৌঁছনোর কথা অ্যাসাঞ্জের। এ সপ্তাহেই মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তথ্য বলছে মার্কিন আদালতে তিনি দোষীই সাব্যস্ত হবেন। তবে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও ব্রিটেনের কারাগারে ইতিমধ্যেই সেই ৫ বছর কাটিয়ে এসেছেন তিনি। তাই এবার তিনি মুক্তিও পেতে পারেন। তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেতেও পারেন অ্যাসাঞ্জ।

    অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ২০০৬ সালে হুইসেল-ব্লোয়িং ওয়েবসাইট উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাক এবং আফগানিস্তানে হওয়া সংঘাত সংক্রান্ত পাঁচ লক্ষ গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। এই কারণে চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকাতে তাঁকে অপরাধীও ঘোষণা করা হয়। উইকিলিক্‌‌সের তরফে প্রকাশিত ওই গোপন নথিতে থাকা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ২০০৭ সালে ইরাকে আমেরিকার হেলিকপ্টার থেকে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।  এই নথি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। এর পরে ২০১০ সালেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন সরকার। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাসাঞ্জ পাল্টা দাবি করেন, মার্কিন সরকারের একাধিক গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই তিনি চক্রান্তের শিকার। 

    পাঁচ বছর ব্রিটেনের জেলে

    আত্মরক্ষার জন্য ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সে বছরের এপ্রিলেই ইকুয়েডর সাহায্যের হাত সরিয়ে নেয় এবং দূতাবাসেই গ্রেফতার করা হয় উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতাকে। এর পর ব্রিটেনের একটি জেলে অ্যাসাঞ্জ কাটিয়ে ফেলেন পাঁচটি বছর। অ্যাসাঞ্জের তথ্য ফাঁস নিয়ে মামলা শুরু হয় আমেরিকার নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের একটি আদালত। ব্রিটেন থেকে তাঁকে আমেরিকার হাতে প্রত্যর্পণ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হবে না বলে মনে করে অ্যাসাঞ্জের অনুগামীরা একে মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দাগেন। অবশেষে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আমেরিকার শর্ত মেনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছেন বলে উইকিলিকস সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Studying Abroad: বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে কোন দেশকে অগ্রাধিকার দেন ভারতীয় পড়ুয়ারা?

    Studying Abroad: বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে কোন দেশকে অগ্রাধিকার দেন ভারতীয় পড়ুয়ারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট মোবিলিটি রিপোর্ট অনুসারে প্রায় ১০.৩ লক্ষ ভারতীয় পড়ুয়া বিদেশে (Studying Abroad) পড়াশোনা করছে। সাম্প্রতিককালে, বিদেশে শিক্ষার সুযোগ খোঁজার ক্ষেত্রে ভারতীয় পড়ুয়াদের পছন্দই কানাডা। কয়েক বছর আগেও ভারতীয়রা বেশিরভাগ আমেরিকায় পড়তে যেতে চাইতেন। কিন্তু সম্প্রতি তার পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর আমেরিকান পলিসি (NFAP) এর তথ্য থেকেই এই চিত্র পরিষ্কার। তবে গত বছরের শেষ থেকে ভারত-কানাডা কুটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরে ভারতীয় পড়ুয়ারা (Indian Students) আবার অন্য কথা ভাবছে।

    কানাডায় পড়ার আগ্রহ

    এনএফএপি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত দুই দশকে (Studying Abroad) কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভারতীয় পড়ুয়া (Indian Students) ভর্তির হার ৫৮% বেড়েছে, যেখানে ২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪৫%। আমেরিকায় ভিসার সুবিধা, থাকার ভালো বন্দোবস্ত, আধুনিক ব্যবস্থাপনা সব থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় পড়ুয়ারা ক্রমেই কানাডায় পড়তে যেতে চাইছেন। শীর্ষস্থানীয় কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্র নথিভুক্ত রয়েছে (কানাডার প্রায় ১৪% শিক্ষার্থী ভারতীয়)। শিক্ষার্থীরা এখানে ডেটা সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল এবং এমবিএ প্রোগ্রাম সহ বেশ কিছু বিষয় অধ্যয়ন করতে আসে। 

    ভারত-কানাডা কুটনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব

    কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক এখন প্রায় তলানিতে। এর প্রভাবে গত বছরের শেষ ভাগ থেকেই কানাডায় পড়তে আসা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের (Indian Students) সংখ্যা বিপুল ভাবে কমতে শুরু করেছে। খোদ কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বর্তমান সম্পর্কের জেরে এ দেশে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে।’’ ২০২২ সাল পর্যন্ত কানাডায় পড়তে আসা বিদেশি পড়ুয়াদের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই ছিল সর্বাধিক। এ দেশে অন্তত ৪২ শতাংশ বিদেশি পড়ুয়াই আসতেন ভারত থেকে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের শেষ দিকে প্রায় ৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে সেই সংখ্যা। 

    আরও পড়ুন: ডাক্তারিতে সুযোগ, পরে আইএএস! চাকরি ছেড়ে ২৬ হাজার কোটির কোম্পানি রোমান সাইনির

    কানাডার উদ্বেগ

    কানাডায় এই মুহূর্তে ভারতীয় প্রায় তিন লাখ ১৯ হাজার ছাত্র-ছাত্রী আছেন। তিন লাখ ১৯ হাজারের মধ্যে শতকরা প্রায়  ৮৯ শতাংশ উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কানাডায় গিয়েছেন। ভারতীয় শিক্ষার্থীরা ২০২১-২০২২ সালে সে দেশের শিক্ষা ভান্ডারকে ৪৯০ কোটি ডলার দিয়েছে। এই টাকা ওয়াইপড আউট হয়ে গেলে কানাডার শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা বড় সংকট দেখা দিতে পারে। তাই, অনেকের অনুমান ভারত-কানাডার সম্পর্ক যাইহোক, শিক্ষা ব্যবস্থায় তার আঁচ পড়বে না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে দু’দেশের কূটনৈতিক টানাপড়েনের জেরে ভারতীয় পড়ুয়ারাও (Indian Students) এখন অন্যত্র পড়তে যাওয়ার কথা ভাবছেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে, ইউএসএ-র বিভিন্ন নামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে (Studying Abroad) বেছে নিচ্ছেন ভারতীয় ছাত্ররা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Blood Transfusion Scandal: ২ দশক ধরে চলা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারির আসল সত্য প্রকাশ্যে! কী ঘটেছিল?

    Blood Transfusion Scandal: ২ দশক ধরে চলা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কেলেঙ্কারির আসল সত্য প্রকাশ্যে! কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পাঁচ দশক আগের কেলেঙ্কারি। ছ’বছর ধরে চলা তদন্ত। অবশেষে সামনে এল সত্য। সম্প্রতি শেষ হওয়া তদন্তে জানা গিয়েছে ব্রিটেনে ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস সি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল। কিন্তু এই রোগের চিকিৎসা করাতে এলে সে দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের গাফিলতিতে (Blood Transfusion Scandal) মারা যায় প্রায় ৩০০০ মানুষ। কিন্তু এত বড় ঘটনাটি এতদিন সম্পূর্ণভাবে লুকিয়ে গেছিল সে দেশের সরকার। কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনা। সত্যি সামনে আসতেই এবার ক্ষতিপুরণ ঘোষনা করলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Blood Transfusion Scandal) 

    জানা গিয়েছে সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র এনএইচএসের গাফিলতিতে ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ এইচআইভি এবং হেপাটাইটিস সি দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল দূষিত রক্তের পণ্য এবং ট্রান্সফিউশন দ্বারা। অনেক হিমোফিলিয়া আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্য সংক্রামিত রক্তের নমুনা দিয়েছিলেন। এরপর সেই স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অযত্ন ও অবহেলার ফলে শুদ্ধ ও দূষিত রক্তের নমুনা মিশে যায়। আর সেই রক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত করা হলে তাদের রক্তও সংক্রমিত হয়ে যায়। ফলে দূষিত রক্তের প্রভাবে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মারা যায় প্রায় ৩০০০ মানুষ। 

    ক্ষতিপূরণ ঘোষণা সরকারের 

    অন্যদিকে ভোটের আগে এই কেলেঙ্কারি (Blood Transfusion Scandal) ফাঁস হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। জানা গিয়েছে সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ২০ লক্ষ পাউন্ড দেওয়া হবে। আর যাদের হেপাটাইটিস সংক্রমণের ফলে লিভারের ক্ষতি হয়েছে তারা প্রায় ১০ লক্ষ পাউন্ড পাবে। 

    আরও পড়ুন: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    এই ক্ষতিপূরণের টাকা ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। আপাতত চলতি মরসুমে দুলক্ষ পাউন্ড দেওয়া হবে, বছরের শেষে মিলবে মোটা অঙ্কের কিস্তি। সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত (Blood Transfusion Scandal) চার হাজার মানুষকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের অবর্তমানে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে তদন্তের দায়িত্বে থাকা কমিটি জানিয়েছে, এই ভয়ানক কেলেঙ্কারির (Blood Transfusion Scandal) কথা গত পঞ্চাশ বছর ধরে বেমালুম চেপে রাখা হয়েছে। সংক্রামিত রক্তের এই তদন্তকে এনএইচএস এর ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ চিকিৎসা বিপর্যয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share