Tag: UK

UK

  • Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা ঋণখেলাপি। পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। ঋণখেলাপি সেই বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির (Vijay Mallya Nirav Modi) খোঁজে এবার লন্ডন পাড়ি দিচ্ছে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের দল। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই ঋণখেলাপির প্রত্যর্পণের চেষ্টা করবে ওই তদন্তকারী দল। এজন্য ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন ওই দলের সদস্যরা। সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই দলের লন্ডন সফর নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।

    নীরব-বিজয়-সঞ্জয়

    নীরব মোদি হিরে ব্যবসায়ী। বিজয় মালিয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক। এই দুই (Vijay Mallya Nirav Modi) ঋণখেলাপি ছাড়াও আরও এক পলাতক ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের বিষয়েও গতি আনতে চাইছে নয়াদিল্লি। তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারি। ইউপিএ জমানায় একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লন্ডন ও দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।

    প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলবে

    অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চললে এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে বলে চুক্তি রয়েছে নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও নীরব ও বিজয়কে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও, আইনি জটে এখনও তা সম্পন্ন হয়নি। সেই কারণেই ফের একবার চেষ্টা করছে ভারত।

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষস্তরে কথা বলে পলাতক নীরব, বিজয় ও সঞ্জয়কে দেশে ফেরানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে তাঁদের নামে-বেনামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনও জানাবে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএ আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতীয় গোয়েন্দাদের দলটি।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ টাকা তছরুপের অভিযোগে কাঠগড়ায় নীরব। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালানোর অভিযোগ লিকার ব্যারন বিজয়ের বিরুদ্ধে। আর সঞ্জয় দেশ ছাড়েন ২০১৬ সালে, ইডি এবং আয়কর দফতর তদন্ত শুরু করতেই (Vijay Mallya Nirav Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    PM Modi: মোদির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা ‘অবধারিত’, এবার বলছে ব্রিটিশ দৈনিকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। তার ওপর লোকসভা নির্বাচনের আগে উদ্বোধন হচ্ছে ভারতবাসীর আবেগের রাম মন্দিরের। তাই কেন্দ্রে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি (PM Modi)। ব্রিটেনের জনপ্রিয় দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ানে’র দাবি, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরা ‘প্রায় অবধারিত’।

    হ্যাটট্রিক করতে চলেছে বিজেপি

    মাসখানেক আগেই শেষ হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্তানে জয়ী হয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যা বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে পদ্ম-শিবিরকে। ব্রিটেনের ওই দৈনিকের কলামে বলা হয়েছে, এই কারণে ২০২৪ সালে বিজেপি হ্যাটট্রিক করতে চলেছে। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটের ভিত্তিতে নির্বাচনী বিশ্লেষকরাও জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-ই ফের আসতে চলেছে।

    প্রতিপক্ষ ছন্নছাড়া 

    ‘দ্য গার্ডিয়ানে’ বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এর সঙ্গে রয়েছে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা। এটা দেশের বৃহত্তম হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করবে। বিশেষত, উত্তরের হিন্দু বলয়ে। ২০১৪ সাল থেকে মোদি যেহেতু জিতে আসছেন, সেহেতু রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে বিজেপির জয় হবে অনায়াস। দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে বিজেপির প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও, গোটা দেশের প্রেক্ষিতে তারা ছন্নছাড়া ও দুর্বল। সংবাদপত্রটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী – জাতীয় কংগ্রেস চলতি মাসে জয়ী হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। গোটা দেশের মধ্যে তারা ক্ষমতায় রয়েছে তিনটি রাজ্যে। এভাবে বিজেপির সঙ্গে লড়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে ব্রিটিশ ওই দৈনিকটির প্রতিবেদনে।

    আরও পড়ুুন: সুখ-শান্তিতে ভরে উঠুক নতুন বছর, দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি

    বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইন্ডি’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জোটের অন্দরেও রয়েছে মতানৈক্য। যদিও এই জোট বিজেপিকে পরাস্ত করার শপথ নিয়েছে, তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ কোনও ইস্যুতে আলগা হয়ে যেতে পারে জোটের বাঁধন। প্রতিবেদনটির দাবি, সেই কারণেও কেন্দ্রে বিজেপি ক্রমেই হয়ে উঠছে অপরাজেয়। বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সঙ্কল্প যাত্রা’র প্রশস্তিও গাওয়া হয়েছে ইংরেজি দৈনিকের ওই প্রতিবেদনে।

    বলা হয়েছে, গত ন’বছরে বিজেপি জনকল্যাণমূলক কী কী কাজ করেছে তার ফিরিস্তি দিতে গোটা দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে হাজার হাজার সরকারি আধিকারিককে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’ মাস ধরে জনগণের কাছে এসব তুলে ধরবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জেরেই যে বিজেপি ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে, গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জনসভায় তা দাবি করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • 14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের (14 Hours Fasting) ব্যবধান রাখতে হবে। সেই বযবধান ১৪ ঘণ্টা হলে সবচেয়ে ভাল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ১০ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ যদি নিজেদের খাদ্য গ্রহণ করে তা শরীরকে সতেজ রাখবে। গবেষণা বলছে কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত বিরতি দিয়ে খাবার খান। কখনওই খাবার সময় পরিবর্তন করবেন না। ঘুম থেকে ওঠার পর ১০ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিন তাহলে যা খেলেন তা হজমের জন্য পুরো সময় পাওয়া যাবে।

    ঘুম ভাল হয়, মেজাজ ঠিক থাকে

    শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে৷ ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে আমাদের শরীর প্রভূত ক্ষতি হয়৷ সবসময় কেমন যেন একটা ক্লান্তির ঘোর লেগে থাকে শরীরে, এমনকি মনেও৷ আসলে, স্ট্রেস আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে৷ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে বলে জানা যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুম ভাল হয়। মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে।

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেদ ঝরে দ্রুত

    ১৪ ঘণ্টার উপবাস আমাদের শরীরের মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া, শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। এই নিয়ম মানলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। মন স্থির হয়, মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতি শক্তি  বাড়ে ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই নিয়ম মানলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে, নতুন স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ডাউনিং স্ট্রিটে দীপাবলির রোশনাই, সুনককে ক্রিকেট ব্যাট উপহার জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ডাউনিং স্ট্রিটে দীপাবলির রোশনাই, সুনককে ক্রিকেট ব্যাট উপহার জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীপাবলির অনুষ্ঠান পালন করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। রবিবার দীপাবলি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তাঁকে স্বাগত জানান সুনক ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। পরে সুনক ও তাঁর স্ত্রীকে বাসভবনের বাইরে প্রদীপ জ্বালাতে দেখা যায়।

    সুনককে ব্যাট উপহার

    এদিন সুনকের হাতে দীপাবলির উপহার হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির স্বাক্ষর করা একটি ব্যাট তুলে দেন জয়শঙ্কর। সুনক ক্রিকেটপ্রেমী। সেই কারণেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এমন উপহার। সুনককে একটি গণেশ মূর্তিও উপহার দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। উপহার পেয়ে যারপরনাই খুশি ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।

    জয়শঙ্করের ট্যুইট-বার্তা 

    এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা তাঁকে জানিয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও ইউনাইটেড কিংডম সক্রিয়ভাবে সম্পর্ককে যথাযথ রাখতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। মিস্টার ও মিসেস সুনককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তার জন্য। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান সুনক ও তাঁর স্ত্রী।

    চার দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। তাঁর এই সফরের মধ্যেই পড়েছে দীপাবলি। সেই উপলক্ষে এদিন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান সুনক। স্ত্রী কয়োকো জয়শঙ্করকে নিয়ে সুনকের বাসভবনে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। চলতি সফরে জয়শঙ্কর ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি ছাড়াও দেখা করবেন একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব ও বিশিষ্টজনের সঙ্গে। সুনক যে হিন্দু, তা আগেও নানা সময় একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন তিনি। তবে ঘটা করে দীপাবলি পালন করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এবার গেল (S Jaishankar)। স্ত্রীকে নিয়ে দীপাবলির প্রদীপও জ্বালালেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

  • Rishi Sunak: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রদীপ জ্বালালেন ব্রিটিশ হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বললেন ‘‘শুভ দীপাবলি’’

    Rishi Sunak: ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রদীপ জ্বালালেন ব্রিটিশ হিন্দু প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, বললেন ‘‘শুভ দীপাবলি’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি পালন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। দীপের আলোয় সেজে উঠল ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। ভারতীয় দীপ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠলেন ইংল্যান্ডের হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। দিলেন ব্রিটেন এবং বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা। একথা ঠিক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভারতের ভূখণ্ডে জন্ম না নিলেও হিন্দু ধর্মের পরম্পরা এবং ঐতিহ্যকে ব্রিটেনের ভূখণ্ডেও ভুলে যাননি। পাশাপাশি, তিনি ভারতের জামাই-ও। অনুষ্ঠানে সামিল ছিলেন স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিও। 

    দীপাবলিতে ঋষি সুনক (Rishi Sunak)

    ভারতীয় হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি, আচার, পুজো, অর্চনা এবং বিশ্বাসের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (Rishi Sunak)। তিনি গত বছরেও ইংল্যান্ডের মাটিতে দীপাবলি উৎসবে যোগদান করেছিলেন। একেবারে প্রদীপ জ্বালিয়ে আনন্দ ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবছরও দীপাবলির কয়েক দিন আগেই আলোর উৎসবে যোগদান করলেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ জানালেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অতিথিদেরও। উৎসবে যোগদান করে সকলের সঙ্গে হাসি, ঠাট্টায় মেতে উঠলেন দীপাবলির আনন্দে।

    দীপাবলির ছবি বিনিময় ঋষি সুনকের

    দীপাবলির উৎসবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (Rishi Sunak) যোগদানের ছবি তাঁর অফিসিয়াল এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে শেয়ার করা হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, “দীপাবলির আগে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক হিন্দু সম্প্রদায়ের অতিথিদের ডাউনিং স্ট্রিটে আমন্ত্রণ  জানিয়েছেন। অন্ধকারকে দূর করার বার্তা দিয়ে তিনি আলোর উৎসবে সকলের সঙ্গে মেতে উঠেছেন। ব্রিটেন ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মানুষকে শুভ দীপাবলি।” শেয়ার করা ছবিতে খুশির চিত্র ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, সকলের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় রীতিমতো মজে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

    বিশ্বকে শুভেচ্ছা বার্তা

    এই দিন দীপাবলির ছবি বিনিময়ের পাশপাশি ঋষির (Rishi Sunak) অফিস থেকে ব্রিটেন এবং বিশ্ববাসীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়। বিশেষ ছবিতে দেখা যায় স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বছর জি২০ সম্মলেনে ভারতে এসে ঋষি গর্বিত হিন্দু বলে পরিচয় দেন নিজেকে। দিল্লিতে অক্ষরধাম মন্দির দর্শন করেন। ২০২০ সালে চ্যান্সেলর থাকার সময় তাঁর বাসভবন ১১ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে দীপ জ্বালাতে দেখা যায়। ২০২২ সালে শপথ নেওয়ার পর নিজের বাসভবনে দীপাবলি পালন করেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গের বাণিজ্য চুক্তির বিষয়েও কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসাও করেন ঋষি সুনক।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sindh: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    Sindh: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ অগাস্ট কালো দিন পালন করলেন বালোচ ও সিন্ধের (Sindh) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরাও। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ অগাস্ট। এদিনই ইংল্যান্ডবাসী দেখলেন এই প্রতিবাদ আন্দোলন। সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে। সেদিন তারা বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশকে জোর করে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে। তারই প্রতিবাদে এদিন মিছিল হয়েছে।

    প্রতিবাদ মিছিল

    প্রতিবাদ মিছিলে (Sindh) শামিল হওয়া বাসিন্দারা এদিন ট্রাফালগার স্কোয়ার থেকে হেঁটে যান ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত। এই ডাউনিং স্ট্রিটেই থাকেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এদিন সিন্ধ বালোচ ফোরামের তরফে প্রতিবাদীরা প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন। তাতে বলা হয়েছে, হাজার হাজার বালোচ এবং সিন্ধবাসীর জীবন রক্ষা করুন ব্রিটেনের রাজা। প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর প্রতিবাদীরা যান পার্লামেন্ট স্কোয়ারের দিকে। এখানে পাক সরকারের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন বালোচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের নেতারা। বক্তৃতা দেন ওয়ার্ল্ড সিন্ধ কংগ্রেস এবং বালোচ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের নেতারা। ছিলেন বিভিন্ন মানবাধিকার কমিশনের কর্তারাও।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বালুচিস্তান এবং সিন্ধ প্রদেশে পাকিস্তান যে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে, এদিন সেই অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পাকিস্তানের (Sindh) নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে দমন করা হচ্ছে তাঁদের প্রতিবাদী আন্দোলন। বালোচ এবং সিন্ধ প্রদেশে যে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও সোচ্চার হন তাঁরা। পাক সরকার বালোচ ও সিন্ধ ভাষাকে দমন করার চেষ্টা করছে। বদলে দিতে চাইছে বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

    পাকিস্তানের ধর্মও চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সিন্ধ প্রদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের জোর করে বিয়ে এবং ধর্মান্তকরণের জন্যও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সিন্ধ এবং বালোচ রয়েছেন ১৯ মিলিয়ন। অথচ সিন্ধের প্রধান ভাষা বালোচ নয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে ধর্মও। পাকিস্তানের এহেন আচরণেই ক্ষিপ্ত বালোচ ও সিন্ধ প্রদেশের বাসিন্দারা। পাকিস্তানের কবলমুক্ত হতে চান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রথম নন-শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০তম দিন পার করলেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। এক টিভি সাক্ষাত্কারে, সুনাক জানান যে কেন তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সুনাক বলেন, “আমার জন্য এটি কর্তব্য। হিন্দুধর্মে ধর্মের মূল অর্থই হল কর্তব্য। আর এভাবেই আমি বড় হয়েছি। সঠিক কাজ করার লক্ষ্যে অবিচল থাকার চেষ্টা করব।”  

    তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak) হিসেবে দীপাবলির একদিন পর গত বছর ২৫ অক্টোবর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই হয়েছিল সুনাকে রাজ্যাভিষেক। তাঁর পূর্বসূরি লিজ ট্রাস মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…  

    সুনাক (Rishi Sunak) আরও বলেন, “যদিও এটি দুঃস্বপ্নের মতো কাজ ছিল… আমার ধারণা ছিল, আমি পার্থক্য আনতে পারি। জানতাম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরিস্থিতিতে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি। আমি সেবায় গভীরভাবে বিশ্বাস করি। আমি জানতাম, যে আমি দেশের জন্য একটি পার্থক্য আনতে পারি।”

    গীতা ছুঁয়ে শপথ 

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির (Rishi Sunak)। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষতা। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই। 

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি(Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পরেই এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানাল ব্রিটেন। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলেকজান্ডার এলিস বলেন, “আমরা অবশ্যই ভারতকে ইউএনএসসি-এর সদস্য হওয়ার দাবিতে সমর্থন করি। ইউএনএসি-র সংস্কারগুলি প্রাতিষ্ঠানিক, বাস্তবতা কম।”  

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে। ইউএন (United Nations) এবং ইউএনএসসি- তে কিছু দেশ এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। পরে কিছু দেশ আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো। আমরা চাইব ভারত একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক।”

    তিনি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক (United Nations) কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন- এর উদাহরণও দেন। বলেন, দেশগুলি আজকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতও অর্থ ঋণ দিয়েছে।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, যে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

    ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে এর আগে ভারতকে সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার গলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হতে পারে চিন। কারণ বেজিংয়ের কাছেও রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। যা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারেন তাঁরা। গত দু’বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

    সমর্থন ফ্রান্সেরও 

    গত কয়েক বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের অমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা (United Nations) রয়েছে বলে সওয়াল করে আসছে ভারত। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মঞ্চেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের নেতৃত্বে ‘Maintenance of International Peace and Security: New Orientation for Reformed Multilateralism’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘের ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভেরে। ভারত ছাড়াও জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় ঠিক কি বলেছেন (United Nations) ফরাসি রাষ্ট্রদূত? তাঁর কথায়, “ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করি আমরা। বিশ্বের নতুন শক্তিগুলির উত্থান মেনে নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি শক্তপোক্ত করতে ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) ওপর জোর দিলেন ব্রিটেনের (Britain) নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে দু দেশের মধ্যে বৈঠক হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। তার পর একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দু দেশের মধ্যে। ঠিক ছিল, দীপাবলির আগেই ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ স্বাক্ষর করবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে। তবে দীপাবলির ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ব্রিটেনের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় চুক্তি স্বাক্ষর।

    ঋষি উবাচ…

    সম্প্রতি লন্ডনের গিল্ডহলে লর্ড মেয়রস বাঙ্কোয়েটে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক গ্লোবাল গ্রোথের অর্ধেকটা সরবরাহ করবে। আর ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলিয়ে ভর্তি করবে মাত্র কোয়ার্টার। তিনি বলেন, সেই কারণে আমরা ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড ডিলে যোগ দিতে চাইছি। এর পরেই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। একই কাজ করতে চলেছি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। ব্রিটেনের সঙ্গে চিনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা আপাতত অতীত বলেও জানান ঋষি সুনক। চিন যেহেতু ব্রিটেনের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে ক্রমেই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তাই ব্রিটেন চিনের দিক থেকে সরে আসবে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মনে করেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, চিনে ক্রমেই লঙ্খিত হচ্ছে মানবাধিকার। এর পরেই ঋষি সুনক বলেন, এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা এখন অতীত। আমাদের নয়া ধারণা হল, বাণিজ্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কার। তিনি বলেন, চিন ক্রমেই আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

    ব্রিটেন যে ইউক্রেনের পক্ষে, এদিন তা আরও একবার জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, ব্রিটেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। চিনে লকডাউন নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন ঋষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) দফতর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে বসানো হয়েছে একটি ধাতুর ভাস্কর্য। এটি কিনতে দেশটির সরকার খরচ করেছে ১৫ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড। যা  ভারতীয় প্রায় ১৬ কোটি টাকার সমান। ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্চের। আর এত টাকা খরচ করে ভাস্কর্য কেনায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ঋষি সুনক এ বাগানটি নতুন করে সাজাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে এখানে বসেছে নতুন ভাস্কর্য।     

    যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) সংবাদমাধ্যম দ্য সানের খবর অনুযায়ী, বিখ্যাত ভাস্কর হেনরি মুর ১৯৮০ সালে ‘ওয়ার্কিং মডেল ফর সিটেড ওমেন’ নামের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। এটি গত মাসে নিলামে তোলা হয়েছিল। সেই নিলাম থেকে ভাস্কর্যটি কিনে নেয় যুক্তরাজ্যের সরকারি আর্ট কালেকশন বিভাগ। এজন্য তারা খরচ করে ১৫ লক্ষ পাউন্ড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও 

    যুক্তরাজ্যে (Rishi Sunak) যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, সাধারণ মানুষকে আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এবং তাদের নিজেদের খরচ কমাতে হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রীর বাগানের জন্য ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ভাস্কর্য কেনার বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি দেশের জনতা।

    কী বলল প্রধানমন্ত্রীর দফতর?   

    দ্য সানকে একজন ভাস্কর (Rishi Sunak) বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “মুরের খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পকর্ম এ ভাস্কর্যটি। কিন্তু তবুও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটিকে অযথা খরচ হিসেবেই ধরা হবে।”

    সমালোচনা হওয়ার পরে এ নিয়ে মুখ খুলেছে প্রধানমন্ত্রীর (Rishi Sunak) দফতর। তাদের বক্তব্য, “ভাস্কর্য কেনায় কোনও রাজনীতিবিদ জড়িত ছিলেন না।” বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে এটি বসানো হয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গত ৪০ বছর ধরে মুরের ভাস্কর্য রয়েছে। যেগুলো মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা হয়।     

    এদিকে যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) আর্ট কালেকশন বিভাগের মালিকানায় রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মূল্যবান শিল্পকর্ম। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাদের এসব শিল্পকর্ম রাখা আছে।  

    ভাস্কর্যটির (Rishi Sunak) নিলাম সংস্থা ক্রিস্টির ওয়েবসাইট অনুসারে, ভাস্কর্যটি গর্ভধারণ তথা মাতৃত্বের শক্তিশালী অনুভূতি প্রকাশ করে। হেনরি স্পেন্সার মুর ১৯৮৬ সালে মারা যান। তাঁকে ২০ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ শিল্পীদের একজন বলে মনে করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share