Tag: UK

UK

  • Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০ দিন পার ঋষি সুনাকের, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রথম নন-শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০০তম দিন পার করলেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। এক টিভি সাক্ষাত্কারে, সুনাক জানান যে কেন তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। সুনাক বলেন, “আমার জন্য এটি কর্তব্য। হিন্দুধর্মে ধর্মের মূল অর্থই হল কর্তব্য। আর এভাবেই আমি বড় হয়েছি। সঠিক কাজ করার লক্ষ্যে অবিচল থাকার চেষ্টা করব।”  

    তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত, যিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak) হিসেবে দীপাবলির একদিন পর গত বছর ২৫ অক্টোবর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই হয়েছিল সুনাকে রাজ্যাভিষেক। তাঁর পূর্বসূরি লিজ ট্রাস মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…  

    সুনাক (Rishi Sunak) আরও বলেন, “যদিও এটি দুঃস্বপ্নের মতো কাজ ছিল… আমার ধারণা ছিল, আমি পার্থক্য আনতে পারি। জানতাম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পরিস্থিতিতে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি। আমি সেবায় গভীরভাবে বিশ্বাস করি। আমি জানতাম, যে আমি দেশের জন্য একটি পার্থক্য আনতে পারি।”

    গীতা ছুঁয়ে শপথ 

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির (Rishi Sunak)। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষতা। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই। 

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি(Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পরেই এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানাল ব্রিটেন। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলেকজান্ডার এলিস বলেন, “আমরা অবশ্যই ভারতকে ইউএনএসসি-এর সদস্য হওয়ার দাবিতে সমর্থন করি। ইউএনএসি-র সংস্কারগুলি প্রাতিষ্ঠানিক, বাস্তবতা কম।”  

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে। ইউএন (United Nations) এবং ইউএনএসসি- তে কিছু দেশ এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। পরে কিছু দেশ আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো। আমরা চাইব ভারত একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক।”

    তিনি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক (United Nations) কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন- এর উদাহরণও দেন। বলেন, দেশগুলি আজকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতও অর্থ ঋণ দিয়েছে।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, যে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

    ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে এর আগে ভারতকে সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার গলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হতে পারে চিন। কারণ বেজিংয়ের কাছেও রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। যা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারেন তাঁরা। গত দু’বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

    সমর্থন ফ্রান্সেরও 

    গত কয়েক বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের অমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা (United Nations) রয়েছে বলে সওয়াল করে আসছে ভারত। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মঞ্চেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের নেতৃত্বে ‘Maintenance of International Peace and Security: New Orientation for Reformed Multilateralism’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘের ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভেরে। ভারত ছাড়াও জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় ঠিক কি বলেছেন (United Nations) ফরাসি রাষ্ট্রদূত? তাঁর কথায়, “ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করি আমরা। বিশ্বের নতুন শক্তিগুলির উত্থান মেনে নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি শক্তপোক্ত করতে ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) ওপর জোর দিলেন ব্রিটেনের (Britain) নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে দু দেশের মধ্যে বৈঠক হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। তার পর একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দু দেশের মধ্যে। ঠিক ছিল, দীপাবলির আগেই ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ স্বাক্ষর করবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে। তবে দীপাবলির ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ব্রিটেনের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় চুক্তি স্বাক্ষর।

    ঋষি উবাচ…

    সম্প্রতি লন্ডনের গিল্ডহলে লর্ড মেয়রস বাঙ্কোয়েটে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক গ্লোবাল গ্রোথের অর্ধেকটা সরবরাহ করবে। আর ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলিয়ে ভর্তি করবে মাত্র কোয়ার্টার। তিনি বলেন, সেই কারণে আমরা ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড ডিলে যোগ দিতে চাইছি। এর পরেই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। একই কাজ করতে চলেছি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। ব্রিটেনের সঙ্গে চিনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা আপাতত অতীত বলেও জানান ঋষি সুনক। চিন যেহেতু ব্রিটেনের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে ক্রমেই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তাই ব্রিটেন চিনের দিক থেকে সরে আসবে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মনে করেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, চিনে ক্রমেই লঙ্খিত হচ্ছে মানবাধিকার। এর পরেই ঋষি সুনক বলেন, এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা এখন অতীত। আমাদের নয়া ধারণা হল, বাণিজ্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কার। তিনি বলেন, চিন ক্রমেই আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

    ব্রিটেন যে ইউক্রেনের পক্ষে, এদিন তা আরও একবার জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, ব্রিটেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। চিনে লকডাউন নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন ঋষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    Rishi Sunak: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়ছে দেশ, সুনকের বাগানে ১৬ কোটির মূর্তি দেখে ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) দফতর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে বসানো হয়েছে একটি ধাতুর ভাস্কর্য। এটি কিনতে দেশটির সরকার খরচ করেছে ১৫ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড। যা  ভারতীয় প্রায় ১৬ কোটি টাকার সমান। ভাস্কর্যটি ব্রোঞ্চের। আর এত টাকা খরচ করে ভাস্কর্য কেনায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ঋষি সুনক এ বাগানটি নতুন করে সাজাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে এখানে বসেছে নতুন ভাস্কর্য।     

    যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) সংবাদমাধ্যম দ্য সানের খবর অনুযায়ী, বিখ্যাত ভাস্কর হেনরি মুর ১৯৮০ সালে ‘ওয়ার্কিং মডেল ফর সিটেড ওমেন’ নামের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। এটি গত মাসে নিলামে তোলা হয়েছিল। সেই নিলাম থেকে ভাস্কর্যটি কিনে নেয় যুক্তরাজ্যের সরকারি আর্ট কালেকশন বিভাগ। এজন্য তারা খরচ করে ১৫ লক্ষ পাউন্ড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও 

    যুক্তরাজ্যে (Rishi Sunak) যখন মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, সাধারণ মানুষকে আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে এবং তাদের নিজেদের খরচ কমাতে হয়েছে তখন প্রধানমন্ত্রীর বাগানের জন্য ১৬ কোটি টাকা দিয়ে ভাস্কর্য কেনার বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি দেশের জনতা।

    কী বলল প্রধানমন্ত্রীর দফতর?   

    দ্য সানকে একজন ভাস্কর (Rishi Sunak) বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “মুরের খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্পকর্ম এ ভাস্কর্যটি। কিন্তু তবুও বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এটিকে অযথা খরচ হিসেবেই ধরা হবে।”

    সমালোচনা হওয়ার পরে এ নিয়ে মুখ খুলেছে প্রধানমন্ত্রীর (Rishi Sunak) দফতর। তাদের বক্তব্য, “ভাস্কর্য কেনায় কোনও রাজনীতিবিদ জড়িত ছিলেন না।” বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে এটি বসানো হয়। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গত ৪০ বছর ধরে মুরের ভাস্কর্য রয়েছে। যেগুলো মাঝে মাঝে পরিবর্তন করা হয়।     

    এদিকে যুক্তরাজ্যের (Rishi Sunak) আর্ট কালেকশন বিভাগের মালিকানায় রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার মূল্যবান শিল্পকর্ম। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তাদের এসব শিল্পকর্ম রাখা আছে।  

    ভাস্কর্যটির (Rishi Sunak) নিলাম সংস্থা ক্রিস্টির ওয়েবসাইট অনুসারে, ভাস্কর্যটি গর্ভধারণ তথা মাতৃত্বের শক্তিশালী অনুভূতি প্রকাশ করে। হেনরি স্পেন্সার মুর ১৯৮৬ সালে মারা যান। তাঁকে ২০ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ শিল্পীদের একজন বলে মনে করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Modi Rishi Meet: মোদি-ঋষি সাক্ষাৎ, তারপরই ভিসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    Modi Rishi Meet: মোদি-ঋষি সাক্ষাৎ, তারপরই ভিসা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি ২০ সম্মেলনে (G 20 Summit) গিয়ে ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) পার্শ্ববৈঠক করেছিলেন কয়েকজন রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে। মঙ্গলবার ওই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি বৈঠক করেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের (Narendra Modi Rishi Sunak Meet) সঙ্গে। এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ঋষি (Rishi Sunak) নিলেন এমন এক সিদ্ধান্ত, যার জেরে হাসি ফুটবে কয়েক হাজার ভারতীয়ের মুখে। এদিনই ব্রিটিশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৩ হাজার ভারতীয় পেশাদারকে প্রতি বছর ভিসা দেবে ব্রিটেন।

    কী জানাল ব্রিটিশ সরকার? 

    ব্রিটিশ সরকার জানায়, ভারতই প্রথম ভিসা ন্যাশনাল কান্ট্রি, যারা এই স্কিম থেকে উপকৃত হবে। ব্রিটেনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে অফিস সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (Rishi Sunak)। এই অফিসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-ব্রিটেন অভিবাসন নীতিকে আরও পোক্ত করতে গত বছর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এই ভিসা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত।

    ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও মঙ্গলবার মন্তব্য করেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে চুক্তির মান নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। প্রসঙ্গত, চলতি বছরই দিওয়ালির সময় ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে টালমাটালের জেরে শেষ পর্যন্ত আর স্বাক্ষরিত হয়নি ওই চুক্তি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস জনসন। প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন লিজ ট্রাস। ওই পদে তিনি ছিলেন মাত্র ৪৪ দিন। তার পর ইস্তফা দেন তিনিও। এই সব কারণে স্বাক্ষরিত হয়নি ভারত ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। ট্রাসের পরে প্রধানমন্ত্রী হন ঋষি সুনক। তার পর ফের গতি পেয়েছে এই চুক্তির বিষয়টি। দুই দেশই চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করতে আলোচনা করছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    ভিসা নিয়ে ব্রিটেনের সিদ্ধান্তের কথা ট্যুইট করে জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস। তাতে লেখা হয়েছে, আজ ব্রিটেন-ভারত ইয়ং প্রফেশনালস স্কিম কমফার্মড করা হল। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ডিগ্রি এডুকেটেড ভারতীয় নাগরিকরা দু বছর পর্যন্ত ব্রিটেনে বসবাস করতে আসতে পারবেন এবং কাজ করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    UK Prime Minister: ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ রাজা-রানির থেকেও বেশি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি। তার পর তিনি বাসিন্দা হবেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের। এই বাড়িতেই থাকেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীরা।  ব্রিটেনের রাজা-রানি থাকেন বাকিংহাম প্যালেসে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) এবং তাঁর স্ত্রী অক্ষত মূর্তির সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে বাকিংহাম প্যালেসের বাসিন্দাদের সম্পত্তির বহরকে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমের তরফে করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ১.৩ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার। ব্রিটেনের ২২২তম ধনীতম বাসিন্দার তালিকায় রয়েছেন সুনক দম্পতিও। সেই তুলনায় প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্পত্তির পরিমাণ কম। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৬৬ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়ানের পর রাজা হন তৃতীয় চার্লস। রানি হন ক্যামেলিয়া। এই রাজা ও রানির সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে ৫৩৬ ও ৩৫০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) ঋষি সুনক প্রাক্তন হেজ ফান্ড ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী অক্ষত ভারতের অন্যতম ধনীতম ব্যক্তির এনআর নারায়ণ মূর্তির কন্যা। টেক জায়েন্ট ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা এই নারায়ণ। জুলাই মাসে যে রিচ লিস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে নারায়ণ কন্যা অক্ষতর অংশীদারিত্বের পরিমাণ ১.২ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) স্ত্রী অক্ষত একজন ফ্যাশন ডিজাইনারও। ব্রিটেনে রয়েছে তাঁর প্রাইভেট ইনভেস্ট ফার্ম। সেখানেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি। ঋষি এবং অক্ষত দু জনেরই বয়স ৪২। স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ার সময় দু জনের আলাপ। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গার্ডিয়ান পত্রিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের চারটি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে একটি আবার লস এঞ্জেলেসে, পেন্টহাউস। এই বাড়িতেই শুট্যিং হয়েছে বিখ্যাত ছবি বে ওয়াচ-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Democracy in India: ভারতের গণতন্ত্র ঢের বেশি ভাল, মুফতির মন্তব্য প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সিং, নিশানা করলেন বিবেকও

    Democracy in India: ভারতের গণতন্ত্র ঢের বেশি ভাল, মুফতির মন্তব্য প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র সিং, নিশানা করলেন বিবেকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তাঁর এই নিয়োগে খুশি তামাম ভারত (India)। এহেন আবহে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে তাল কাটলেন জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি (PDP) নেত্রী মেহবুবা মুফতি। বেফাঁস মন্তব্যের জেরে মঙ্গলবার তাঁকে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ সিং। তাঁর দাবি, বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে ভারতের গণতন্ত্র (Democracy in India) ঢের বেশি ভাল। মুফতিকে মুখের মতো জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রীও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি মনোনীত হওয়ার পরেই ট্যুইট করেন মুফতি। লেখেন, এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত যে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী পাবে ব্রিটেন। গোটা ভারত তা উদযাপন করছে। তবে ব্রিটেন একজন জাতিগতভাবে সংখ্যালঘুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিলেও, আমরা এখনও এনআরসি এবং সিএএ-র মতো বিভাজনকারী ও বৈষম্যমূলক আইনে শেকলবন্দি হয়ে রয়েছি।

    এদিন এই প্রসঙ্গেই নাম না করে মুফতিকে একহাত নিয়েছেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। তিনি বলেন, যিনি ভারতের স্বাধীনতা ও ভারতীয় গণতন্ত্রের (Democracy in India) ইতিহাস জানেন, তিনি স্বীকার করবেন যে ভারতের গণতন্ত্র বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় ঢের ভাল। তিনি বলেন, আমি এ কথা বলতে পেরে গর্বিত যে বাজপেয়ির আমলে আমরা এপিজে আবদুল কালামকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছিলাম। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পেয়েছিলাম রামনাথ কোবিন্দকে। এবং এখন পেয়েছি দ্রৌপদী মুর্মুকে।

    জিতেন্দ্র প্রসাদ বলেন, ঘটনাচক্রে এঁরা সবাই সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কিংবা দুর্বল শ্রেণির প্রতিনিধি। মুফতির নাম না করে তিনি বলেন, আপনি যদি ভাবেন জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ, তাহলে আমি মনে করি ভারতের রাষ্ট্রপতি জম্মু-কাশ্মীরেরও রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, যাঁরা এই ধরনের কথা বলতে পারেন, তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিতে বোধহয় দ্বিধাগ্রস্ত। মুফতিকে নিশানা করেছেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, মেহবুবা মুফতিজি জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কি কোনও সংখ্যালঘুকে মেনে নেবেন?  সত্যি কথাটা বলুন তো।   

    আরও পড়ুন: ঋষি সুনকের নিয়োগ নিয়ে মুফতির মন্তব্য হতাশার জের, বলছে আরএসএস

    মুফতিকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রীও। কাশ্মীর ফাইলসের ডিরেক্টর ট্যুইট বার্তায় লেখেন, যেদিন ভারতের সমস্ত মুসলমান কাফের শব্দটিকে নিষিদ্ধ করবে, শর্তহীনভাবে সরব হবেন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, স্বীকার করবেন কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, তাঁরা প্রথমে নিজেদের ভারতীয় এবং তারপর অন্যকিছু ভাববেন এবং একই উন্মাদনা নিয়ে বলবেন ভারত মাতা কী জয় এবং বন্দে মাতরম। আপনি প্রস্তুত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India UK Relations: ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতেই জয়শঙ্করকে ফোন ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের, কী আলোচনা হল জানেন?

    India UK Relations: ঋষি প্রধানমন্ত্রী হতেই জয়শঙ্করকে ফোন ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের, কী আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোক্ত হচ্ছে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক (India UK Relations)!

    ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। চলতি মাসের ২৮ তারিখে শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষি মনোনীত হতেই ট্যুইট বার্তা পাঠান ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর পরে পরেই ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি ফোন করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar)। দুই দেশের দুই নেতা ইউক্রেন রাশিয়া দ্বন্দ্ব, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। প্রসঙ্গত, দুই দেশের এই দুই নেতার এহেন আলোচনা হল এমন একটা সময়ে যখন ইউক্রেনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভারতীয় নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছাড়তে বলেছেন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ট্যুইট করেন ব্রিটিশ ফরেন সেক্রেটারি। লেখেন, আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ভাল লাগল। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেছি। এবং এটাও জানিয়েছি, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বক্তব্য ও অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানাব। বছর বিয়াল্লিশের ঋষি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। পরে আসেন রাজনীতিতে। ২০১৫ সালে প্রথম জিতে পা রাখেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ব্রিটেনের ২১০ বছরের ইতিহাসে তিনিই সে দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিটেনের প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। তিনি সে দেশের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত হওয়ার পর প্রথা মেনে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পা রাখার আগে প্রথা মেনে ঋষি তা করেনও। পরে বলেন, তিনি এমন একটা সময় দেশের দায়িত্বভার নিচ্ছেন যখন ব্রিটেন গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যা আরও বেড়েছে। ব্রিটেনবাসীর আশা পূরণ করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে রয়েছে জি-২০ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ঋষি এবং মোদির। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলাপচারিতা হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ২৮ অক্টোবর শপথ নেবেন তিনি। তিনিই ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যিনি ওই পদে বসতে চলেছেন। আদ্যন্ত হিন্দু (Hindu) ঋষি বাড়িতে পালন করেন সমস্ত ধর্মীয় আচার। আসুন জেনে নিই, কে এই ঋষি সুনক?

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের (Punjab) বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতর সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষত। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি (Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি (Rishi Sunak)। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩০ এর রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করব’, ঋষিকে বার্তা মোদির

    ঋষির (Rishi Sunak) সম্পত্তির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি। ব্রিটেনে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। ইয়র্কশায়ারে ঋষির নিজস্ব ম্যানসন রয়েছে। ঋষি ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতর সম্পত্তি আছে সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটনে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন ঋষিও। সেবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দলের লিজ ট্রাসের সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনিও। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর শিকে ছেঁড়ে ঋষির কপালে। দিনটা ছিল দীপাবলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share