Tag: ukraine

ukraine

  • Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    Indian Goods: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহারের পথে ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অটল জেদের কাছেই হার মানতে চলেছেন মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! অন্তত ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি আনন্দ নাগেশ্বরনের বলা কথায় মিলল তারই ইঙ্গিত। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তিনি আশা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শীঘ্রই ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর আরোপিত শাস্তিমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পারস্পরিক শুল্ক কমাবে। নাগেশ্বরনের বক্তব্যে আশার আলো দেখছেন চড়া শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রফতানিকারীরা।

    ভারতের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার বক্তব্য (Indian Goods)

    নয়াদিল্লির এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগেশ্বরন জানান, অগাস্ট মাসে ওয়াশিংটন যে ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করেছিল, তা নভেম্বরের শেষের দিকেই প্রত্যাহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস ৩০ নভেম্বরের পর এই শাস্তিমূলক শুল্ক আর থাকবে না। এটি কোনও সুস্পষ্ট সূচক বা প্রমাণের ভিত্তিতে আমি বলছি না, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে এটি আমার আশা। আমি বিশ্বাস করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শাস্তিমূলক শুল্ক নিয়ে একটি সমাধান হবে এবং আশা করি পাল্টা শুল্ক সম্পর্কেও সমাধান হবে।”

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত

    প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ইঙ্গিত, পারস্পরিক শুল্ক, যা বর্তমানে ২৫ শতাংশ রয়েছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে আনা হতে পারে। তিনি জানান, সামগ্রিক শুল্কবিষয়ক বিরোধের সমাধান হতে পারে আগামী ৮–১০ সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এটি তার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন, কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তার ভিত্তিতে নয় (Indian Goods)। প্রসঙ্গত, নাগেশ্বরনের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটা সময়, যার কয়েক দিন আগেই ভারতের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি বৈঠক, যেহেতু ট্রাম্প প্রশাসন গত মাসে ভারতীয় রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত চড়া শুল্ক হার ঘোষণা করেছিল। কারণ হিসেবে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই মস্কো থেকে জ্বালানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে ভারত (Indian Goods)।

  • PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    PM Modi: “ওঁর অনুভূতিকে অনুভব করি”, ট্রাম্পের ‘‘বন্ধু’’ মন্তব্যের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের এই চড়া শুল্কনীতির জেরে এক অক্ষে চলে আসে ভারত-রাশিয়া ও চিন। এতেই প্রমাদ গোনে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই তিনি বলেন, “আমি সব সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বন্ধু। নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষই থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আমার বিশেষ বন্ধু। সব সময় বিশেষ থাকবেন। আমি তাঁকে খুব পছন্দ করি। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি যা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটা বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।” ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি ট্রাম্পের অনুভূতিকে অনুভব করেন।

    মোদির ট্যুইট বার্তা (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য এল এমন একটা সময়ে, যখন ট্রাম্প বলেন, তিনি সর্বদা মোদির বন্ধু থাকবেন। অথচ এর ঠিক একদিন আগেই তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আমেরিকা ভারতকে সব চেয়ে গভীর, অন্ধকার চিনের হাতে হারিয়ে ফেলেছে।’ প্রত্যুত্তরে ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুভূতি ও আমাদের সম্পর্কের ইতিবাচক মূল্যায়নের গভীর প্রশংসা করি এবং সম্পূর্ণভাবে অনুভব করি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক এবং ভবিষ্যৎমুখী সামগ্রিক ও বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে।” তবে প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন যে তিনি ট্রাম্পের অনুভূতির “প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন”, তখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তার বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করতে এড়িয়ে গিয়েছেন। যার অর্থ হল, এই সম্পর্কের উত্তাপ শিথিল করতে হলে পেছনের দিকে কিছু কাজ করতে হবে।

    ইতিবাচক বাক্য বিনিময়

    দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ইতিবাচক (PM Modi) এই বাক্য বিনিময় এই ধারণাকে জোরালো করে যে, ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকদের ভারতবিরোধী উত্তেজক মন্তব্যের ঝড় সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার দরজা এখনও খোলা রয়েছে। ট্রাম্প ও তাঁর আধিকারিকরা একাধিকবার ভারত বিরোধী মন্তব্য (Donald Trump) করলেও, ভারত সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেনি, করেনি কোনও পদক্ষেপও। ট্রাম্পের সমালোচনাও করেনি। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের কৃষি ও দুগ্ধ খাত আমেরিকার জন্য খোলার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় আটকে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্পর্কের শীতলতা। শুক্রবারও ট্রাম্প ভারতকে নিশানা করে জানান, যখন তিনি চিনে অনুষ্ঠিত এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিয়ানজিনে হাসিমুখে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ছবি প্রদর্শন করার পর আরও বিব্রত বোধ করেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    এর পরেই মোদি, পুতিন ও শি জিনপিংকে এক (PM Modi) সঙ্গে হাঁটতে দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লেখেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমরা ভারত ও রাশিয়াকে হারিয়েছি সবচেয়ে গাঢ়, অন্ধকার চিনের কাছে। তারা যেন এক সঙ্গে দীর্ঘ ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ কাটায়!’ এরই কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেন। তিনি জানান, সম্পর্কটি এখনও ‘বিশেষ’ এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী বন্ধন বজায় রেখেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি সর্বদা (প্রধানমন্ত্রী) মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তিনি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। আমি সর্বদা বন্ধু থাকব। তবে আমি ঠিক এই বিশেষ মুহূর্তে তিনি যা করছেন তা পছন্দ করি না। কিন্তু ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে আমাদের মতবিরোধ হয় (PM Modi)।”

    ট্রাম্পের ভোল বদল

    সম্প্রতি ট্রাম্প ও তাঁর সহকারীরা ভারতের ব্যাপারে আরও সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। অথচ গোটা সপ্তাহটা ধরে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতকে “ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট”ও বলা হয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন সংঘর্ষকে বলা হয়েছিল “মোদি যুদ্ধ”। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও তিনি এই সম্পর্ককে “একতরফা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য অসমতার কারণে। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও (Donald Trump) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের শক্তি এবং স্থায়ীত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় দিনের শেষে, দু’টি মহান দেশ এটি সমাধান করবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    PM Modi: একসঙ্গে গাড়িতে সফর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে কথা মোদি-পুতিনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথম যখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’। তারপর মস্কোভা নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে গ্যালন গ্যালন জল। বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যদিও জারি রয়েছে শান্তি প্রচেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার পুতিনকে মোদি বলেন, “ভারত আশা করে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে আসবে।”

    ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট (PM Modi)

    দিন দুয়েক আগেই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভারতে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। চিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেন যে, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্প্রতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি সম্প্রতি পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত মোদির। তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে সব পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে এগিয়ে যাবে। দ্রুত যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এটাই সমগ্র মানবজাতির আহ্বান।”

    একই গাড়িতে মোদি-পুতিন

    এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একই গাড়িতে করে শীর্ষ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে যান। পরে উভয় পক্ষের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী পুতিনের সঙ্গে তাঁর নিজের ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের কার্যক্রম শেষে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাই। তাঁর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই গভীর চিন্তাশীল হয়।” সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই চেয়েছিলেন যে এসসিও সম্মেলনের ভেন্যু থেকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের স্থান রিটজ-কার্লটন হোটেলে যেতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক সঙ্গে সফর করবেন। এজন্য তিনি প্রায় ১০ মিনিট মোদির জন্য অপেক্ষাও করেন (Ukraine)। সূত্রের খবর, “এরপর দুই নেতা এক সঙ্গে তাঁর গাড়িতে ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকের ভেন্যুতে পৌঁছানোর পরেও তাঁরা প্রায় ৪৫ মিনিট গাড়িতেই আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিলেন। এর পর দুই নেতা পূর্ণাঙ্গ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে (PM Modi)।”

    ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

    উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আমেরিকা। তারপর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন মোদি-পুতিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রুশ প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে তেল বাণিজ্যের নিন্দে করেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধে অর্থায়ন করার জন্য নয়াদিল্লিকে কাঠগড়ায় তোলেন। গত মাসে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা এশিয়ায় সর্বোচ্চ। এর উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ওই জ্বালানি কেনার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া। আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Ukraine), তাদের জ্বালানি আমদানি নীতিকে জাতীয় স্বার্থই পরিচালনা করবে। নয়াদিল্লি মার্কিন শুল্ককে অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অমূলক বলেও আখ্যা দিয়েছে (PM Modi)।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ আখ্যা

    এদিকে, গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে দেগে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “শান্তির রাস্তা আংশিকভাবে হলেও নয়াদিল্লির মধ্যে দিয়েই যায়। ভারত যা করছে তার কারণে আমেরিকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।” অন্যদিকে, ভারত তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রেখেছে। রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে বলেন, “ভারতীয় কোম্পানিগুলি যেখানে সর্বোত্তম চুক্তি পাবে, সেখান থেকেই (তেল) কিনতে থাকবে।” ভারতের দাবি, চিন এবং ইউরোপও সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনছে। কিন্তু ওয়াশিংটন বিশেষভাবে নয়াদিল্লিকেই নিশানা করছে। রাশিয়াও ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সমালোচনা করেছে। জানিয়ে দিয়েছে, ভারতের নিজস্ব বাণিজ্যিক অংশীদার বেছে (Ukraine) নেওয়ার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এসসিও সম্মেলনের জন্য চিনের তিয়ানজিনে পৌঁছন, তখনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “এই (ইউক্রেন) যুদ্ধের অবসান অবশ্যই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হতে হবে।” জেলেনস্কি এও (Ukraine) বলেন, “ভারত প্রয়োজনীয় চেষ্টা করতে এবং রাশিয়া ও অন্যান্য নেতার কাছে যথাযথ বার্তা পৌঁছে দিতে প্রস্তুত (PM Modi)।”

  • Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    Ukraine Russia War: ক্রিমিয়া স্বীকৃতি, পূর্ব ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসন! যুদ্ধ-বন্ধের জন্য ট্রাম্পের কাছে কী কী শর্ত রাখলেন পুতিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিলেন রাশিয়ার Ukraine Russia War ) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে শর্ত সাপেক্ষে — কিয়েভকে বড় অংশের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে এবং ক্রিমিয়ার উপর মস্কোর অধিকার স্বীকার করতে হবে। সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তাঁকে এই প্রস্তাব দেন পুতিন। ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। একাধিকবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তার মাঝে শুক্রবার আলাস্কায় ট্রাম্প এবং পুতিনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়— দীর্ঘ পাঁচ বছর পর। বৈঠক শেষে একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকও করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। উভয়েরই দাবি, বৈঠক ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক হয়েছে।

    ভূখণ্ডের বিনিময়ে শান্তি ও ক্রিমিয়া স্বীকৃতি চায় রাশিয়া

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরকদমে চলছে। সম্প্রতি আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর এবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউক্রেনকে পুরোপুরি ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সরে যেতে হবে। অন্যদিকে, রাশিয়া খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে অগ্রগতি বন্ধ রাখবে। পাশাপাশি রাশিয়া ক্ষুদ্র কিছু দখলকৃত এলাকা — যেমন সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৪৪০ বর্গকিমি জমি — ফেরত দিতে পারে।

    রাশিয়ার প্রধান দাবিগুলো হলো

    ইউক্রেনকে ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যেতে হবে

    রাশিয়া এই দুই অঞ্চল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবে

    সুমি ও খারকিভ অঞ্চলের কিছু অংশ ইউক্রেনকে ফেরত দেওয়া হবে

    ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হবে না

    রাশিয়ার উপর আরোপিত কিছু ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে

    ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলে রুশ ভাষাকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে

    ইউক্রেনে রুশ অর্থোডক্স চার্চ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে

    ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে হবে; তবে ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে

    নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় নেতাদের বলেছেন যে, পুতিন ইউক্রেনকে “ডনবাস পুরোপুরি ছাড়তে” বলেছেন — এটি রাশিয়ার বহু পুরনো অবস্থান।

    ইউরোপের উদ্বেগ ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া

    ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে এই চুক্তির প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ডট একে “পুতিনের স্পষ্ট জয় এবং ট্রাম্পের পরাজয়” বলে মন্তব্য করেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফিওনা হিল বলেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি আদায় করতে পারেননি — যেটি ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী দেশের কোনো অংশ ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, ডনবাস রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ক্ষেত্র হতে পারে। যদিও তিনি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের (ট্রাম্প-পুতিন-জেলেনস্কি) সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন।

    ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি

    আপাতত ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ আছে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। আর ডোনেৎস্ক প্রদেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অংশ আছে রাশিয়ার দখলে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক চেয়েছে। লুহানস্কের প্রায় পুরো জায়গাই আপাতত রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে, ইউক্রেন। পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তবে বৈঠকের পর আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এর পর বাকিটা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির উপর নির্ভর করছে। তাঁকেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন জেলেনস্কি। তার পরে কী হয়, আপাতত সে দিকেই চোখ সারা বিশ্বের।

    থাকছেন ইউরোপের অন্য নেতারাও

    শুধু ট্রাম্প-জেলেনস্কি নন, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা একাধিক ইউরোপীয় নেতার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন আলোচনায় অংশ নেবেন। ট্রাম্প-জেলেনস্কির এই বৈঠক সোমবার দুপুর ১টায় (মার্কিন সময়) অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সময় অনুসারে, বৈঠকটি শুরু হবে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) ভয়ঙ্কর হামলা চালাল ইউক্রেন। মৌমাছির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে (Operation Spiderweb) ১১৭টি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার কমপক্ষে ৫টি এয়ারবেসে হামলা চালানো হয়। ৪০টিরও বেশি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই খবর। রাশিয়ার বুকে এটাই সবথেকে বড় ড্রোন হামলা। আজ, সোমবার ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছেন। আর ঠিক তার আগেই রবিবার রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন। অপরদিকে একই দিনে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ হামলায় ১২ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নতুন মোড়

    রাশিয়ার (Russia Ukraine War) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিভ বাহিনী এফপিভি ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুর অঞ্চলে। ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুরে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। কারোর মৃত্যু হয়নি। এই হামলায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, সাইবেরিয়ায় প্রথম হামলা চলে। এরপর একে একে সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ইউক্রেনের ড্রোন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে তাদের দেশের সিকিউরিটি সার্ভিস এই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই স্পেশাল অপারেশনের কোড নাম- ‘পাভুত্যনা’ বা স্পাইডার ওয়েব (Operation Spiderweb)। মাকড়শার জালের মতোই রাশিয়ার ঘাঁটিগুলিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সূত্রের খবর, বিগত এক বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। কার্গো ট্রাকে লুকিয়ে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাকের ডালা খুলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন বেরিয়ে আসে এবং নিশানা করে সেনাঘাঁটিগুলিতে। রাশিয়া যদি প্রত্যাঘাত করে, তা প্রতিহত করার জন্য ইতিমধ্যেই সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    কীভাবে ড্রোন পৌঁছালো রাশিয়ার গভীরে?

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক থেকে দেড় বছর ধরে এই অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রথমে এফপিভি ড্রোনগুলো গোপনে রাশিয়ার অভ্যন্তরে পাচার করা হয়। পরে, কাঠের তৈরি মোবাইল কেবিন আলাদাভাবে পাঠানো হয় রাশিয়ায়। এই কেবিনগুলো ছিল দেখতে সাধারণ মোবাইল হাউজের মতো, কিন্তু ছাদের ভেতরে লুকানো ছিল ড্রোনের আস্তানা। এসব কেবিন লোড করা হয় ট্রাকের ওপর, এবং চালকদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানঘাঁটির আশপাশে পৌঁছে পার্ক করানো হয়। রুশ চালকরা হয়তো জানতেনই না তারা কী বহন করছেন। কারণ ড্রোনগুলো ছিল কেবিনের ছাদে লুকানো, গোপন কন্টেইনারে।

    হামলার নাটকীয় শুরু

    যখন সব ট্রাক নির্দিষ্ট অবস্থানে পার্ক করা হয়, তখন দূর থেকে এসবিইউ অপারেটররা কন্ট্রোল নিয়ে নেন। ট্রাকের ছাদ খুলে যায় রিমোটের মাধ্যমে এবং একের পর এক ড্রোন উড়ে যেতে থাকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে। কিয়েভের নানা ভিডিওয় দেখা যায়, ড্রোন ক্যামেরা থেকে সরাসরি দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার লাইন ধরে রাখা যুদ্ধবিমান — টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3) এবং এ-৫০ (A-50)-এর মতো কৌশলগত বিমান — যেগুলোকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। অপারেশন এখানেই থেমে থাকেনি। ড্রোন ছেড়ে দেওয়ার পর, এই ট্রাকগুলোতেও বিস্ফোরক বসানো ছিল। ফলে যখন রাশিয়ান বাহিনী ট্রাকগুলো পরীক্ষা করতে আসে বা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন ট্রাকগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে, বলে খবর।

    রাশিয়ার ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) দাবি, এই হামলায় রাশিয়ার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের বিমান ধ্বংস হয়েছে। বিশেষ করে টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3)-এর মতো স্ট্র্যাটেজিক বোমার বিমানগুলো এখন আর নির্মিত হয় না, তাই এই ক্ষতি সহজে পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই অপারেশন আধুনিক যুদ্ধনীতিতে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। মাত্র ৫০০ ডলার মূল্যের ড্রোন ব্যবহার করে, গোপন উপায়ে সেগুলো শত্রুর ঘাঁটির ভেতরে পৌঁছে দিয়ে, কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটি দেখিয়ে দেয়, কৌশলী পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কতটা কার্যকর হতে পারে। অপারেশন স্পাইডারওয়েব শুধুই একটি সামরিক সাফল্য নয়, এটি ভবিষ্যতের গোপন যুদ্ধকৌশলের (Operation Spiderweb) একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

    শান্তি-চেষ্টায় জল

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিন বছরব্যাপী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি, ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছিল রুশ-ইউক্রেন প্রতিনিধি দল। সেখানে বন্দি বিনিময়ে রাজি হয় দু’পক্ষ। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এরইমধ্যে আজ, সোমবার ফের ইস্তানবুলে ফের এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। আলোচনায় বসার জন্য সম্প্রতি কিয়েভকে প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। তাতে সাড়া দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি। জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট দিনে ইস্তানবুলে উপস্থিত থাকবেন তাঁর মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। তবে রবিবারের ঘটনাবলির পর বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

  • Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)! হোয়াইট হাউসকাণ্ডের জেরে ইউক্রেনকে সব রকম সামরিক সহায়তা দেওয়া (Ukraine Peace) বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ (Volodymyr Zelenskyy)

    তিনি বলেন, “শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আমাদের বৈঠকটি যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হয়নি। এটা দুঃখজনক যে এটা এভাবে ঘটেছে। এখন সময় এসেছে সব কিছু ঠিক করার। আমরা চাই, ভবিষ্যতের সহযোগিতা ও যোগাযোগ গঠনমূলক হোক।” মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Volodymyr Zelenskyy) বলেন, “আমি শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার দেশ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি ও আমার দল সর্বদা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত।” জেলেনস্কি বলেন, “কেউই এই যুদ্ধ চায় না।”

    যুদ্ধ শেষ করতে রাজি

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য দ্রুত কাজ করতে প্রস্তুত এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বন্দিদের মুক্তি এবং আকাশ ও সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি; যদি রাশিয়াও একই কাজ করে। এর আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য অসামরিক পরিকাঠামোর ওপর বোমা-হামলা নিষিদ্ধ করা উচিত। আমরা পরবর্তী সব পদক্ষেপ খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই। এবং একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য করেছে, আমরা তা সত্যিই মূল্যবান বলে মনে করি। আর আমরা সেই মুহূর্তটির কথা মনে করি, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে জ্যাভেলিন সরবরাহ করেছিলেন, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

    জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন যে কোনও সময় এবং যে কোনও সুবিধাজনক বিন্যাসে খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। আমরা এই চুক্তিকে বৃহত্তর নিরাপত্তা ও দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি (Ukraine Peace)। আমি সত্যিই আশা করি, এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে (Volodymyr Zelenskyy)।”

  • Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি

    দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে

    হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

LinkedIn
Share