Tag: ukraine

ukraine

  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করতে চাইছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এজন্য ভারতের (PM Modi) ওপরই ভরসা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একটি শান্তি-প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে।

    মোদির রফাসূত্র (PM Modi)

    সম্প্রতি তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে কীভাবে দাঁড়ি টানা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ইউক্রেনকে যদি কিছু আপোস করতে হয়, তবে তার বিনিময়ে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হবে না। এর অর্থ হল, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। তবে ইউক্রেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ঝোঁকের ভারসাম্য বজায় রাখতে হতে পারে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    ভারত-চিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গও

    ওই আলোচনায় এসেছে ভারত-চিনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের (PM Modi) সংঘর্ষের প্রসঙ্গও উঠেছে। গত কয়েক দশক ধরে চিনা ফৌজের লাগাতার আক্রমণের জেরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূখণ্ড হারিয়েছে ভারত। তার পরেও ভারত চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। বড় কোনও আঞ্চলিক ছাড় দিতেও অস্বীকার করেছে ভারত। তাওয়াং এবং অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশের ওপর বেজিং যে দাবি করেছিল, সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিভের (ইউক্রেনের রাজধানী) চোখে মোদি অনেক কম সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ক্রমশ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে আদর্শ মধ্যস্থতাকারীই হিসেবে দেখছে। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইউক্রেনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ারও। পশ্চিমে ইউক্রেনের যেসব বন্ধু দেশ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির ভারতের। সেই কারণেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের (PM Modi) ওপর ক্রমেই নির্ভর করতে শুরু করেছে জেলেনস্কির দেশ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    Ajit Doval: লক্ষ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ, মোদির পর শান্তির বার্তা নিয়ে মস্কো যাচ্ছেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফিরে এসেছেন মস্কো সফর সেরে। এবার ফের মস্কোভা নদীর পাড়ে পা রাখতে চলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা (Russia Ukraine War) উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়া সফরে থাকবেন ডোভাল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দেখা করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে।

    শান্তির বার্তা (Ajit Doval)

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন ডোভাল। এই সফরে প্রাক্তন আমলা ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। ব্রিকস-এনএসএ বৈঠকের পাশাপাশি, ডোভাল মস্কোয় জুলাইয়ের শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনাগুলি ফলো করার সম্ভাবনা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন রাশিয়ান ও চিনা কাউন্টারপার্টদের সঙ্গে। গত মাসে পুতিনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে জানিয়েছিলেন, ডোভাল তাঁর ইউক্রেন সফরের পর শান্তি সম্পর্কিত ধারণা নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো সফরে যাবেন। সেই সফরেই যাচ্ছেন ডোভাল। তবে তাঁর সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    কী বলছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস

    এদিকে, রাশিয়ান দূতাবাসের তরফে খবর, দিন কয়েক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ও তাঁদের পশ্চিমী পৃষ্ঠপোশকদের ধ্বংসাত্মক নীতির মূল্যায়ন শেয়ার করেছেন। রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেছেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ফোনালাপের পর প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, দুই রাষ্ট্রনেতা রাশিয়া ও ইউক্রনে সংঘাত নিয়ে মত বিনিময় (Ajit Doval) করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক ইউক্রেন সফর থেকে অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করেছেন। তিনি আলোচনা ও কূটনীতির পাশাপাশি সংঘাতের একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে আন্তরিক ও বাস্তব সম্পৃক্ততার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, সংঘাতের তাড়াতাড়ি, স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সমর্থন করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে হামলার ষড়ষন্ত্র, গণহত্যার পরিকল্পনা, গ্রেফতার পাক তরুণ

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বৈঠকে দুই পক্ষই রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ভারত কখনওই নিরপেক্ষ ছিল না। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে ছিলাম। ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আমরা আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের সম্মান করি। এই দ্বন্দ্বের আশপাশের সব সমস্যা প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে চিন, ব্রাজিল ও ভারত। আমি (Russia Ukraine War) এই বিষয়ে আমাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি (Ajit Doval)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    PM Modi: “হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জোর দিয়েছি”, বাংলাদেশ ইস্যুতে বাইডেনকে বলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছি।” মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis) নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।”

    মোদির শিরঃপীড়ার কারণ হিন্দু নিপীড়ন (PM Modi)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে হিংসার আগুন জ্বলছে বাংলাদেশে। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দুদের। ঘরবাড়ি জ্বালানোর পাশাপাশি করা হয় খুন। হিন্দু মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় হিন্দু পদাধিকারিদের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর হিংসা ওঠে চরমে। পড়শি দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিরঃপীড়ার কারণ, তার আঁচ মিলেছিল ১৫ অগাস্ট, ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। এদিন দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্খী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।”

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধী জঙ্গি জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করল বাংলাদেশ সরকার

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    বাইডেনকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত সব সময় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। আমেরিকা ও ভারত দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।” ইউক্রেন ইস্যুতেও কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মত বিনিময় হয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে। বর্তমান (Bangladesh Crisis) যুগে যুদ্ধে যে কোনও সুফল মেলে না, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বার্তা মাসখানেক আগে তিনি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে, সেই একই মন্ত্র তিনি দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেও। ভলোদিমির জেলেনস্কিকে (Volodymyr Zelenskyy) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।”

    শান্তির ললিত বাণী (PM Modi)

    পোল্যান্ড সফর সেরে মোদি গিয়েছেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। সেখানেই বুদ্ধের দেশের প্রতিনিধি আরও একবার বিশ্বকে শোনালেন শান্তির ললিত বাণী। বললেন, “যুদ্ধ করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। সমাধান পেতে হবে মুখোমুখি কথাবার্তা ও কূটনীতির মাধ্যমে। যুদ্ধ করে সময় নষ্ট না করে আমাদের তাই উচিত সেই পথে হাঁটা।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে একথা বলছেন, তখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে মাসখানেক আগে রাশিয়া সফরে গিয়েও মোদি পুতিনের কানে দিয়েছিলেন এই ‘শান্তি-মন্ত্র’।

    ‘যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান মেলে না’

    তার পরেও বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। মস্কো (রাশিয়ার রাজধানী)-কিয়েভের (ইউক্রেনের রাজধানী) এহেন যুদ্ধের আবহেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বরাবর যুদ্ধ থেকে দূরে থেকেছি। কিন্তু তার মানে আমরা নিরপেক্ষ নই। আমরা শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধ এবং মহাত্মা গান্ধীর দেশের মানুষ। আমি এখানে শান্তির বার্তা নিয়েই এসেছি।” তিনি বলেন, “আমি পুতিনের মুখের ওপর বলেছিলাম, এটা যুদ্ধের সময় নয়। যুদ্ধক্ষেত্রে এখন সমাধান পাওয়া সম্ভব নয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করে বলছি, শান্তি স্থাপনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিতে ভারত প্রস্তুত। আমি যদি এখানে ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভূমিকা নিতে পারি, তা-ও করব। আমি বন্ধু হিসেবে আপনাকে সে বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই। ইউক্রেন-রাশিয়ায় শান্তির সূর্যোদয় দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ’’, পুতিন ও জেলেনস্কিকে মোদির আলিঙ্গন নিয়ে কৌশলী জয়শঙ্কর

    কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের একটি শিশু হাসপাতালে রাশিয়ার হানায় মৃত শিশুদের আত্মার শান্তি কামনা করেন মোদি (PM Modi)। পরে বলেন, “যুদ্ধের বলি হয়েছে নিষ্পাপ শিশুরা, এটা হৃদয়বিদারক। মানবিকতায় বিশ্বাসী কোনও ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা মেনে নিতে পারেন না।”

    পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মোদির সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টা তিনেক বৈঠক শেষে সেই তিনিই খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “একটি ইতিহাস তৈরি হল। ইউক্রেনের স্বাধীনতার পর এই প্রথম এ দেশে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের (Volodymyr Zelenskyy) জাতীয় সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে ভারত (PM Modi)। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    PM Modi: জেলেনস্কির কাঁধে হাত রাখলেন, বুকে জড়িয়ে ধরলেন মোদি, দেখল গোটা বিশ্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড থেকে লম্বা ট্রেন সফর (প্রায় ১০ ঘণ্টা) করে ইউক্রেনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের আকাশ একেবারেই নিরাপদ নয়, তাই রেলে করেই মোদি পৌঁছান জেলেনস্কির দেশে। প্রসঙ্গত এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন ইউক্রেন সফর করেছিলেন, তখন তিনিও একইভাবে রেলযাত্রার মাধ্যমেই কিয়েভে পৌঁছেছিলেন। পোল্যান্ডের মতোই ইউক্রেনেও মোদিকে স্বাগত জানাতে প্রবাসী ভারতীয়রা ভিড় করেছিলেন এদিন। মোদির নামে জয়ধ্বনিও দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। সেখানে উপস্থিত প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘‘ভারতের অবস্থান পরিষ্কার, এটি যুদ্ধের সময় নয়। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানবতার এই সঙ্কট কাটাতে হবে।’’ সেদেশের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেই ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি-তে যান মোদি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত শিশুদের শ্রদ্ধা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ১৪০ কোটির দেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির কাঁধে হাত রেখেই মোদিকে ঘুরতে দেখা যায় এদিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সম্মান জানিয়ে জেলেনস্কিকে আলিঙ্গনও করেন। পাশাপাশি কিয়েভ (Kyiv) পৌঁছে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাও নিবেদন করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রসঙ্গত, মোদিই হলেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি ইউক্রেন সফর করছেন।

    মোদির (PM Modi) ট্যুইট

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘বাপুর আদর্শ সর্বজনীন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আশা দেয়। আমরা সবাই যেন মানবতার কাছে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করি।’’

    আরও একটি বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘জেলেনস্কি এবং আমি কিয়েভের মাল্টিমিডিয়া মার্টিরোলজিস্ট এক্সপোজিশনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে যে শিশুরা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’’

    প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে

    ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হিস্ট্রি-তে যুদ্ধে নিহত শিশুদের শ্রদ্ধা জানানোর পরেই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক শুরু হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালেই স্বাধীন হয় ইউক্রেন। তারপর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন, অর্থাৎ ৩৩ বছর পরে। গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। এর ঠিক দেড় মাসের মাথায় ইউক্রেন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধের আবহে দুই দেশে প্রধানমন্ত্রীর এমন সফরকে (Kyiv) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    মোদির সফরের আগেই ড্রোন হামলা

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ইউক্রেন জুড়ে ধারাবাহিক ড্রোন হানাদারি শুরু করে রাশিয়া। চেরকাসি, কিরোভোহার্ড, পোলতাভা এবং সুমি প্রভৃতি এলাকাগুলিতে ১৬টিরও বেশি রুশ ড্রোন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তবে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফল ভাবে ড্রোন হামলার মোকাবিলা করেছে। ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪টি হামলাকারী ড্রোনকে ইতিমধ্যে সফল ভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

    ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে চার চুক্তি সম্পাদন

    এর পাশাপাশি মোদির এই সফরের মধ্যে চারটে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে ভারত ইউক্রেনের মধ্যে। এগুলি হল কৃষি, ওষুধ, সংস্কৃতি ও মানবতা সংক্রান্ত চুক্তি। ইতিমধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন সফরকে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছেন, শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তাঁর এই সফর। মোদির (PM Modi) সফরকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে ট্যুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    PM Modi Ukraine Visit: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড সফর শেষে ১০ ঘণ্টার ট্রেন সফর করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Ukraine Visit)। এই প্রথম পূর্ব ইউরোপের এই দেশে পা পড়ল কোনও ভারতীয় রাষ্ট্রনেতার। শুক্রবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi Zelenskyy Meet)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সেই বৈঠকে জেলেনস্কিকে কী বার্তা দেন মোদি তার দিকে তাকিয়ে সারা বিশ্ব। অতীতে, বারবার রাশিয়া ও ইউক্রেন, দুই দেশকেই যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক (Modi Zelenskyy Meet)

    ইউক্রেনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে চলমান যুদ্ধ ছাড়াও বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জনগণের মধ্যে ভাব বিনিময়, মানবিক সহায়তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ফের একবার আলোচনা এবং কূটনীতির পথে দ্বন্দ্বের মীমাংসার বার্তা দেবেন মোদি, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকরা। প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Ukraine Visit) ইতিমধ্যেই এই সংঘাতের দ্রুত সমাধানের জন্য ভারত বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন (Modi Zelenskyy Meet)। মোদির কথায়, ‘‘ভারত শান্তির সেতু হতে চায়, কোনও পক্ষ নিতে নয়।’’

    শান্তিই সমাধান (PM Modi Ukraine Visit)

    টানা ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রার শেষে সাত ঘণ্টার কিয়েভ সফর। আবার ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রায় প্রত্যাবর্তন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্ব ইউরোপ সফরের তৃতীয় দিন কাটতে চলেছে এই নিয়মেই। জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’’ যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না ভারত (PM Modi Ukraine Visit)। তবে শান্তি ফেরানোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বার্তা সমন্বয়ের দায়িত্ব নিয়ে রাজি নয়াদিল্লি (Modi Zelenskyy Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    PM Modi: পোল্যাল্ড পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, শান্তি ফেরানোর আশায় যাবেন ইউক্রেনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৫ বছরে প্রথম। পোল্যান্ডে পা দিলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৯৭৯ সালে পোল্যান্ড গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই। তার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ বছর। এবার গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     রাজধানী ওয়ারশর বিমানবন্দরে নামতেই রাজকীয় অভ্যার্থনা জানানো হয় নমোকে। বুধবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ওয়ারশর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান। সেখানে তাঁকে উষ্ণ অভ্যার্থনা জানানো হয়। এর পর হোটেলে পৌঁছে পোল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয়দের অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন বেলায় ২ দেশের সফরে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরের বিশেষ আকর্ষণ অবশ্যই তাঁর ইউক্রেন সফর। ২৩ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী যাবেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে। বুধবার রওনা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নিজের ভাবনাচিন্তা ভাগ করে নেওয়ার জন্য উন্মুখ।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    এদিন সকালে জারি করা এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি পোল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও ইউক্রেনে একটি আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করছি। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমার পোল্যান্ড সফর। পোল্যান্ড মধ্য ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। গণতন্ত্র ও বহুত্ববাদের প্রতি আমাদের পারস্পরিক প্রতিশ্রুতি আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে। আমাদের অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি আমার বন্ধু প্রাইম মিনিস্টার ডোনাল্ড টাস্ক ও প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুডার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য উন্মুখ। আমি পোল্যান্ডের প্রাণবন্ত ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব।”

    ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান!

    এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান, “পোল্যান্ড থেকে আমি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে ইউক্রেন সফর করব। এটি কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেন সফর। আমি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি এবং চলমান ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেব। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দ্রুত প্রত্যাবর্তনের আশা করি।” প্রধানমন্ত্রীর আশা, তাঁর এই সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক যোগাযোগের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা হিসেবে কাজ করবে এবং আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত সম্পর্কের ভিত্তি তৈরিতে সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: কার বিরুদ্ধে পথে? আরজি কর কাণ্ডে একের পর এক ভুল পদক্ষেপ মমতার, কী কী?

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কিভ (Ukraine) সফরে (ইউক্রেনের রাজধানী) শিক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে (PM Modi)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: বাতাসে বারুদের গন্ধ, জেলেনস্কির ডাকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্টে ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। তারপর এই প্রথম কিভ (ইউক্রেনের রাজধানী) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অগাস্টেই রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা দিবস। এই মাসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউক্রেনও। তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে আমন্ত্রণ জানায় ইউক্রেনও। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই কিভ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি! (PM Modi)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে দাঁড়ি টানতে নানা সময় উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েও সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জড়িয়ে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। ২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে প্রথমবার মুখোমুখি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের সময় নয়। কূটনৈতিক কৌশলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

    বাতাসে বারুদের গন্ধ

    জুন মাসে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ইতালির ওই সম্মেলনে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকও করেছিলেন মোদি। জাপানেও একান্তে কথা হয়েছিল দুই রাষ্ট্রনেতার। ফোনেও কথা হয়েছে একাধিকবার। প্রত্যেকবারই উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তার পরেও যুদ্ধ চলছেই। মোদি-জেলেনস্কির এহেন কথোপকথনের আগে কিন্তু মোদি-পুতিনের আলিঙ্গনের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে জৈব চাষ, বছরে ৪ কোটি আয় দিল্লির দীপকের

    জেলেনস্কি বলেছিলেন, “বৃহত্তম গণতন্ত্রের (PM Modi) প্রধানমন্ত্রী একজন যুদ্ধাপরাধীকে আলিঙ্গন করছেন। শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে এটা বিরাট একটা ধাক্কা।” উষ্মা প্রকাশ করেছিল আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছিলেন, “আমরা ভারতকে বলছি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তাদের সমর্থন প্রয়োজন।”

    চলতি মাসেই ভারত-ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। ১৯ জুলাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে আলোচনা (Russia Ukraine War) হয়েছে। তিনি জানিয়েছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে আরও মজবুত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share