Tag: ukraine

ukraine

  • Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল রাশিয়ার (Russian plane crash) এক সামরিক বিমান। বুধবার, ইউক্রেনের ৬৫ জন যুদ্ধ বন্দিকে নিয়ে রাশিয়ায় ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমান৷ রাশিয়ার বেলগোরদে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৭৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে৷ রুশ সরকার জানিয়েছে,স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ ওই যুদ্ধ বিমানটি ভেঙে পড়ে৷ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইএল ৭৬ যুদ্ধ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়৷ বিমানে থাকা প্রত্যেক যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।

    দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে রহস্য

    ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার (Russian plane crash)৷ সেই কারণেই ৬৫ জন বন্দিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৬৫ জন সেনা ছাড়াও ওই বিমানে আরও ৯ জন বিমানকর্মী ছিলেন৷ ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। বিমানটিতে যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে রাশিয়া দাবি করলেও, ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই যুদ্ধবিমানে করে মিসাইল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ বিমানে কোনও যুদ্ধবন্দি ছিল না৷ সেই কারণেই ইউক্রেন সেনা ওই রুশ যুদ্ধবিমানটিকে ধ্বংস করে দেয়৷ রাশিয়ার সংসদের স্পিকার ভ্যাচেল্যাভ ভোলোদিন অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন তাদের নিজেদের সেনাদেরই হত্যা করেছে৷ রাশিয়ার একটি তদন্তকারী দল এবং একটি জরুরী পরিষেবা দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে পিঙ্ক সিটি ঘুরে দেখবেন ম্যাক্রোঁ, বৃহস্পতিবার ভারত আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    ভাইরাল ভিডিও

    সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার (Russian plane crash) বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি বেলগোরোদের ইয়াবলোনোভো গ্রামের কাছে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই এলাকা পুরো বরফের চাদরে ঢাকা। আকাশে দেখা যায়, একটি বিমান ক্রমশ নীচে নেমে আসছে। তারপর, প্রচন্ড বিস্ফোরণের সঙ্গে দিগন্তে দেখা যায় একটি আগুনের গোলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত মেটাতে জনসংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রাশিয়ার মহিলাদের কাছে পুতিনের আর্জি, ৮ বা তার বেশি সন্তান প্রসব করে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। বড় পরিবার আদর্শ পরিবার নীতিকে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মস্কোতে ওয়ার্ল্ড রুশ পিপলস কাউন্সিলের ভাষণে একথা বলেন পুতিন। 

    কেন এই আবেদন

    প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে রাশিয়ার জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি ৩ লক্ষের বেশি মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আগামী দশকে আমাদের লক্ষ্য হবে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ানো। আমাদের অনেক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চার, পাঁচ বা তারও বেশি সন্তান নিয়ে শক্তিশালী বহু-প্রজন্মের পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষা করেছে৷ আমাদের ঠাকুমা বা তাঁর মায়েরা ৭-৮ জন সন্তানের জন্ম দিতেন। এখনও অনেক বাড়িতে ৪-৫টা সন্তান হয়। আসুন আমরা পরিবারের এই ট্র্যাডিশন বজায় রাখি। পরিবার তো শুধু সমাজ বা রাষ্ট্রের ভিত্তি নয়, এটা নৈতিকতা এবং দায়িত্ববোধের বিষয়।”

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আর কী বললেন পুতিন

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর বক্তব্য আপলোড করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন এবং রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই পুতিন বলেন,”প্রকৃত রুশ নাগরিক ছাড়া এই বিশ্বে রাশিয়ার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। এটা নিজেদের উন্নততর জাত ভাবার বা শুদ্ধ রক্তের কোনও ব্যাপার নয়। রাশিয়ার সংবিধানেই বলা আছে, রুশ ভাষা আদতে একটা রাষ্ট্রগঠনের ভাষা। আর তাই রুশ নাগরিকত্ব জাতীয়তাবাদের থেকে অনেক বেশি কিছু।” রুশ প্রেসিডেন্ট জাতীয়তাবাদের কথা বললেও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লান্ত সেনা, বহু মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাই জাতিকে রক্ষা করতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলছেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লিতে সম্পন্ন হল ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক (US 2+2 Ministerial Dialogue) বৈঠক। এখানে হাজির ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সূত্রের খবর বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে তেমনই উঠে এসেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশ যৌথভাবে ‘কমব্যাট ভেহিকেল’ বা সাঁজোয়া গাড়ি তৈরি করবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের মধ্যে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর ট্যুইট

    বৈঠকের (US 2+2 Ministerial Dialogue) পরেই ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি লেখেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা সদর্থক হয়েছে।’’ 

    ট্যুইট এসেছে বিদেশমন্ত্রী এর জয়শঙ্করের তরফ থেকেও। তিনি জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি, মহাকাশ অভিযান, প্রযুক্তি এ সমস্ত বিষয়ে।

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে এককাট্টা ভারত-আমেরিকা

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশই চীনের আগ্রাসন এবং দাদাগিরি রুখতে প্রয়াস চালাচ্ছে। অন্যদিকে, পশ্চিম এশিয়ার যা কিনা মধ্যপ্রাচ্য নামে পরিচিত, সেখানে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল আকার ধারণ করেছে। সে নিয়েও দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ তো চলছেই। এর পাশাপাশি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান এবং লেবাননও। দুদিন আগেই সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। অভিযোগ, এই অস্ত্র হামাসের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর। আবার লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লাও ইজরায়েলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি ক্রমসই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন প্রশ্নে ঐক্যমত্যে পৌঁছলেন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শনিবার শুরু হয়েছে জি২০ সম্মেলন। নয়াদিল্লির এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন গৃহীত হয়েছে। এই ডিক্লারেশন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ঘোষণার পর ইউক্রেন প্রশ্নে স্বমত স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি।

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন

    নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর। এদিন উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ আস্থাহীনতারই পরিণতি। আমাদের এই আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি বলেন, “একুশ শতক বিশ্বকে নতুন দিক নির্দেশ দেওয়ার শতক। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পুরনো সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি, তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব।”

    সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র

    প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit) বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।” তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে এই যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠে আমাদের ভরসা রাখতে হবে বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর।”

    দিল্লি লিডার্স ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে প্রয়োজন স্থায়ী এবং উপযুক্ত শান্তি। জি২০-এর সদস্য দেশগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এই বলে যে, কেউ যদি পরমানু অস্ত্র প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার কৌশল নেয়, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’।

    যৌথ ঘোষণাপত্রের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম ও আপনাদের সহযোগিতায় নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) সম্মেলনের ঘোষণাপত্র এসে পৌঁছেছে। এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার প্রস্তাব ছিল আমার। সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সহমত হয়ে এটি গৃহীত হল। দেশের সমস্ত মন্ত্রী, শেরপা ও সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War News: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার ছক কষছে রাশিয়া?

    Russia Ukraine War News: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার ছক কষছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দুই আগে রাশিয়ার (Russia Ukraine War News) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবনের ওপর উড়তে দেখা গিয়েছিল দুটি ড্রোন। সে দুটিকে গুলি করে নামায় রাশিয়া। তাদের অভিযোগ, পুতিনকে হত্যা করতেই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই বদলা নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন রাশিয়ার গুপ্তচররা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যার ভার পুতিন দিতে পারেন ওয়াগনার গ্রুপকে। ওয়াগনার গ্রুপ মূলত ভাড়াটে সেনার দল। এই বাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠানোর পর থেকেই গতি বদলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের।

    ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেই সময় রাশিয়া সফরে এসেছিলেন ইজরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি প্রশ্ন করেছিলেন জেলেনস্কিকে হত্যা করা হবে কিনা। তখনই রুশ (Russia Ukraine War News) প্রেসিডেন্ট আশ্বাস দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হবে না। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ড্রোন ‘হামলা’র চেষ্টা হওয়ায় মত বদলেছেন পুতিন। চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে তিনি রাশিয়ার গুপ্তচরদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে সূত্রের খবর। ড্রোন হামলার পিছনে কারা, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মস্কো।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যাভিষেক তৃতীয় চার্লসের, শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন মোদি

    মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, রাশিয়ার মধ্যে থেকেই ওড়ানো হয়েছিল ড্রোন। যার অর্থ, পুতিনের বিরুদ্ধে দেশেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। ড্রোন ওড়ানো তারই বহিঃপ্রকাশ। এদিকে, শনিবার ইউক্রেনের (Russia Ukraine War News) বায়ুসেনা কিয়েভে রাশিয়ার হাইপারসোনিক মিসাইলকে গুলি করে নামিয়েছে। টেলিগ্রাম পোস্টে বায়ুসেনার কমান্ডার মিকোলা ওলেস্চুক বলেন, এই সপ্তাহের শুরুর দিকে কিনঝেল-টাইপের ব্যালিস্টিক মিশাইল হামলার চেষ্টা করেছিল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। তিনি বলেন, হ্যাঁ, ইউনিক কিনঝেলকে আমরা গুলি করে নামিয়েছি। ৪ মে রাতে আক্রমণের চেষ্টা হয়েছিল। সেই সময় সেটিকে কিয়েভে গুলি করে নামানো হয়েছে। মিকোলা বলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড থেকে ছোড়া হয়েছিল কেএইচ-৪৭ মিশাইল। পেট্রিয়ট মিশাইলের সাহায্যে সেটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    Kremlin: রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা! কাঠগড়ায় ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) ওপর ড্রোন (Drone) হামলা! প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে লক্ষ্য করে ওই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) দিকে। রুশ প্রশাসন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি সুস্থই রয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য রাশিয়ার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, রাশিয়ার ড্রোন হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

    ক্রেমলিনের (Kremlin) দাবি…

    বুধবার ক্রেমলিনের (Kremlin) তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানববিহীন দুটি ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে এসে ধাক্কা মারে। এর পরেই ড্রোন দুটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। মস্কোর মেয়র বলেন, রাশিয়ার রাজধানীর ওপর দিয়ে কোনও বিমান কিংবা ড্রোনকে উড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

    রাশিয়ার ওপর এই ড্রোন হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ক্রেমলিনের ওপর আছড়ে পড়ছে দুটি ড্রোন। চোখ ধাঁধাঁনো আগুনের ঝলকানি মিলিয়ে যাওয়ার পর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে রাশিয়ার দাবি, পুতিনকে হত্যা করতেই জোড়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মস্কোর (Kremlin) অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র মিখাইলো পোডোলাইক বলেন, ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ইউক্রেন ক্রেমলিনে হামলা চালায়নি। কারণ এতে মিলিটারি কোনও উদ্দেশ্য সাধন হবে না। তাঁর দাবি, এটা মস্কোর নাটক। তিনি বলেন, ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালানোর প্রস্তুতির আগে এটা রাশিয়ার একটা অজুহাত মাত্র। তিনি বলেন, ইউক্রেন কেবলমাত্র প্রতিরোধ করছে। রাশিয়া (Kremlin) ভূখণ্ডে ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত হামলা চালায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    Maa Kali: মা কালী পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন, ট্যুইটে দুঃখ প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Maa Kali) পোস্টার বিতর্কে এবার ক্ষমা চাইল ইউক্রেন (Ukraine)। ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমিন ঝোপার একটি ট্যুইট করে দুঃখ প্রকাশ করেন। বিতর্কিত ট্যুইটটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ঝোপার। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক ট্যুইটে হিন্দু দেবী কালীকে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছিল। সেই ট্যুইটের জন্য আমরা দুঃখিত। ইউক্রেন এবং এ দেশের জনগণ অনন্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে সম্মান করে এবং আমাদের প্রতি ভারতের (India) সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। সেই বিতর্কিত ছবিটি ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি… 

    সম্প্রতি ট্যুইটারে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, দুটি ছবির কোলাজ। কোলাজের একদিকে ধোঁয়ার মতো পাক খাওয়া মেঘ। অন্য দিকে মেঘের মধ্যে থেকে মা কালীর (Maa Kali) বিকৃত ছবি। ওই ছবিতে মা কালীর বেশ মেরিলিন মনরোর মতো। গলায় মুণ্ডমালা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই ভারতে শুরু হয় বিতর্ক। মা কালীর ওই ছবি পোস্ট করা হয়েছিল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। এহেন আবহে ভারতীয় নেটিজেনরা, বিশেষকরে সনাতনী হিন্দুরা দাবি তুলেছিলেন, ইউক্রেনকে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সাহায্য না করে ভারত। এর পরে পরেই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

    এ প্রসঙ্গে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, ভারতের থেকে সাহায্য চাইতে সম্প্রতি দিল্লিতে এসেছিলেন ইউক্রেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। সেই মুখোশের পিছন থেকে ইউক্রেন সরকারের বাস্তব রূপটা বেরিয়ে এসেছে। একটি প্ররোচনামূলক পোস্টারে মা কালীর (Maa Kali) ক্যারিকেচার পোস্ট করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্ত হিন্দুর ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এর পরে পরেই ক্ষমা চেয়ে নিল ইউক্রেন (Ukraine)।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

LinkedIn
Share