Tag: ukraine

ukraine

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত রইল ভারত, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত রইল ভারত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) বর্ষপূর্তি। রাশিয়ার (Russia) আক্রমণের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত ইউক্রেন। এই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে (UN) পাশ হল প্রস্তাব। এই ভোটে অংশ নেয়নি ভারত (India)। অংশ নেয়নি চিন সহ ৩২টি দেশও। রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৪১টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ৭ সদস্য দেশ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ…

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার ছিল তার বর্ষপূর্তি। এর ঠিক একদিন আগে ভোটাভুটি হয় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা ও নিরাপত্তা পরিষদে এই ইস্যুতে ভোটাভুটি হয়েছে। প্রতিবারই ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। এবারও অন্যথা হয়নি তার।

    রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। দু দেশের সংঘাতের কারণে অগুণতি জীবন হারিয়েছে। মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে এবং লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সাধারণ মানুষের ওপর হামলা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তিনি আরও বলেন, ভারত রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতিগুলিকে সমর্থন করে। আমাদের দেশেও আমরা আলোচনা ও কূটনৈতিক পদ্ধতিতে কোনও সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আমাদের মনে হয় এই প্রস্তাবে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি সুরক্ষিত করার যে পন্থার কথা বলা হয়েছে, তাতে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর সেই কারণেই আমরা ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখছি।

    আরও পড়ুুন: অক্টোবরকে ‘হিন্দু হেরিটেজ’ মাস ঘোষণার দাবি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্টেট সেনেটরের

    এদিন ভোটাভুটির সময় নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেন রুচিরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। গত বছর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে পুতিনকে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। মোদির সেই সুরের প্রতিধ্বনিই এদিন শোনা গিয়েছে রুচিরার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ভারত সব সময়ই রাষ্ট্রসংঘের নীতিগুলিকে সমর্থন করে এসেছে। এই নীতিগুলি আমরা মেনে চলি। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাসও করি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Russia Ukraine: ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া, বিদ্যুৎ বিপর্যয়

    Russia Ukraine: ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া, বিদ্যুৎ বিপর্যয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক বছর হতে চলল বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) যুদ্ধ। এবার ইউক্রেনে মরিয়া আক্রমণ চালাল রাশিয়া। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দিনভর ইউক্রেনে তুমুল মিসাইল আক্রমণ চালাল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। এদিন বেশ কয়েক ডজন রকেট, ক্রুজ মিশাইল এবং কামিকাজে ড্রোন দিয়ে চালানো হয় হামলা। ইউক্রেনের আধিকারিকরা জানান, এদিন হামলা চালানো হয়েছে রাজধানী কিভেও। আর দু সপ্তাহ পরেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বর্ষপূর্তি হবে। তার ঠিক আগেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালাল মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি বলেন, পুরো আক্রমণ পর্বে রাশিয়া অন্তত ৭০টি মিশাইল ছুড়েছে। তারা বেছে বেছে নাগরিক ও পরিকাঠামোর ওপর আঘাত করছে।

    হামলা…

    তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশতঃ ওরা আঘাত করছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ হামলার শিকার হচ্ছেন আমাদের দেশের অনেকে। তাঁদের আত্মীয়-স্বজনকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার নেই। কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসচকো সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, রাজধানী কিভের ওপর ১০টি মিসাইল (Russia Ukraine) ছোড়া হয়েছে। ইউক্রেনের খারকিভ ওব্লাস্ট শহরের রাজ্যপাল বলেন, হামলায় অন্তত আটজন সাধারণ মানুষ জখম হয়েছেন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি জানান, খারকিভে এদিন অন্তত ১২টি রকেট হানা হয়েছে। প্রসঙ্গত, খারকিভ হল ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। তিনি জানান, রাশিয়ার হামলার জেরে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। খারকিভের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ শুক্রবার সকাল থেকে বিদ্যুতের অভাবে নিদারুণ দুর্ভোগ ভোগ করছে। জাপোরিঝাঝিয়া শহরের মেয়র আনাতোল্লি কুর্তিয়েভ বলেন, বিপুল সংখ্যক রকেট হানার ঘটনায় শহরের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শিকার।

    আরও পড়ুুন: কানাডার আকাশে ওড়া ‘রহস্যময় বস্তু’ গুলি করে নামাল মার্কিন ফাইটার জেট

    যদিও এই হামলায় জখম হওয়ার কোনও খবর মেলেনি। রাশিয়া ইউক্রেনের (Russia Ukraine) পূর্ব ডনেস্ক শহরে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভিযোগ, দুটো রাশিয়ান ক্রুজ মিশাইল শুক্রবার ইউক্রেনের বর্ডার অতিক্রম করেছে। রোমানিয়ান এয়ারস্পেসে  গিয়ে পরে ফের ইউক্রেনে ফিরে এসেছে। যদিও ন্যাটোর সদস্য রোমানিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের দেশের বর্ডারের ২২ মাইলের মধ্যে চলে এসেছিল রাশিয়ান মিশাইল, যদিও এয়ারস্পেস অতিক্রম করেনি। তবে মলদোভার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়ান মিশাইল তাদের এয়ারস্পেস অতিক্রম করেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা চালায় বলে অভিযোগ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia Ukraine: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মোদির ওপরই ভরসা হোয়াইট হাউসের

    Russia Ukraine: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মোদির ওপরই ভরসা হোয়াইট হাউসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটা যুদ্ধের সময় নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ কথা বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মোদির সেই ‘বাণী’ হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল বিশ্বের ছোট বড় দেশগুলির রাষ্ট্র প্রধানদের। তবে মোদির সে কথায় কান দেননি পুতিন (Putin)। সেই কারণে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে শুরু হওয়া এখনও চলছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) যুদ্ধে যে দাঁড়ি টানতে পারেন একমাত্র মোদিই, এবার তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে আমেরিকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ…

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে গোটা বিশ্ব ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। রাশিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের পাশেও দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। আমেরিকা সহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন। সেই কারণেই যুদ্ধ এখনও থামেনি। এমতাবস্থায় এল হোয়াইট হাউসের বিবৃতি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাত শেষ করার যে কোনও প্রকার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।

    হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনের হাতে এখনও সময় আছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia Ukraine) সংঘাত শেষ করার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাব।

    আরও পড়ুুন: বেলআউট প্যাকেজ পেতে ‘কঠোর’ পদক্ষেপ করতে চলেছে পাকিস্তান!

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পুতিনকেই দায়ি করেছেন কিরবি। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনই একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সরাসরি দায়ি। যুদ্ধ বন্ধে এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য একাধিকবার পুতিনকে আবেদন করেছেন, কিন্তু পুতিন তাতে সাড়া দেননি।

    গত বছর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের (Russia Ukraine) সময় নয়। সে প্রসঙ্গ টেনে এদিন কিরবি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাস সঠিক এবং আমেরিকা সব সময় মোদির এই ধরনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Orthodox Christmas: যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা পুতিনের, অক্সিজেন খুঁজছে রাশিয়া?

    Orthodox Christmas: যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা পুতিনের, অক্সিজেন খুঁজছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এতদিনেও যুদ্ধে ইতি টানার প্রয়োজন বোধ করেনি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেন। যদিও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেখা হতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। তার পরেও থামানো যায়নি যুযুধান দুই দেশকে। তবে শেষমেশ যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে এই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে মাত্র ৩৬ ঘণ্টার জন্য, অর্থোডেক্স ক্রিসমাস (Orthodox Christmas) উদযাপন করতে।

    ক্রিসমাস…

    ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয়েছে ক্রিসমাস। তবে রাশিয়া, ইউক্রেনের মতো কয়েকটি দেশে ক্রিসমাস পালিত হয় অন্য দিনে। এই দুই দেশের মানুষ মনে করেন, ২৫ ডিসেম্বর নয়, যিশু জন্মেছিলেন জানুয়ারির ৬ অথবা ৭ তারিখে। এই দিনকে বলা হয় অর্থোডক্স ক্রিসমাস। এক সময় হাতে গোণা কিছু মানুষ এই অর্থোডক্স ক্রিসমাস পালন করলেও, এখন সেন্ট্রাল এবং ইস্টার্ন ইউরোপিয়ান এবং মিডিল ইস্টের দেশগুলিতে ঘটা করে পালিত হয় অর্থোডক্স ক্রিসমাস। বেলারুশ, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, কাজাখস্থান, মেসিডোনিয়া, মল্ডোভা, সার্বিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং আরও কয়েকটি দেশ ২৫ ডিসেম্বরের পরিবর্তে পালন করে অর্থোডক্স ক্রিসমাস (Orthodox Christmas)। সেই কারণে এই দেশগুলিতে জানুয়ারির ৭ তারিখে পাবলিক হলিডে। আর্মেনিয়া এবং লেবাননেও পালিত হয় অর্থোডক্স ক্রিসমাস। তবে তারা দিনটি পালন করে জানুয়ারির ৬ তারিখে। আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার খুব বেশি মানুষ অর্থোডক্স ক্রিসমাস পালন করেন না। তাই এই দেশগুলিতে জানুয়ারি ৬ কিংবা ৭ তারিখে ছুটিও থাকে না।  

    আরও পড়ুুন: জোট সরকারকে হুমকি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের, কেন জানেন?

    কেন কেউ ২৫ তারিখে যিশুর জন্মদিন পালন করেন, কেনইবা অন্যরা অন্য দিনে? এর কারণ দুটি ক্যালেন্ডার চালু থাকায়। এই দুটি ক্যালেন্ডার হল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এবং জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। যাঁরা জুলিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে চলেন, তাঁরা রক্ষণশীল। তাঁদের কাছে যিশুর জন্ম দিন জানুয়ারির ৭ তারিখে। আর যাঁরা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেন, তাঁদের কাছে যিশুর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। 

    তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে ইউক্রেন। মস্কোর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের নেপথ্যে কোনও অভিসন্ধি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান ইউক্রেন এবং তার মিত্র দেশগুলিও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তো বলেই ফেললেন, আমার মনে হয় তিনি (পুতিন) কিছুটা অক্সিজেন খোঁজার চেষ্টা করছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

  • S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার অভিযোগ ঠিক নয়, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা ঠিক নয়। পশ্চিম বিশ্বকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফয়দা তোলার যে অভিযোগ উঠছে, তা রাজনৈতিক ও গাণিতিক দু দিক থেকেই আমি জোরালভাবে অগ্রাহ্য করছি। জয়শঙ্কর বলেন, ইউক্রেনের (Ukraine) যুদ্ধে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অন্য দেশের থেকে কম দামেও তেল কেনে, তাতেও আগের থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    তিনি বলেন, ইরানে তেলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বা ভেনেজুয়েলায় যা চলছে, তাতেও তেলের দাম চড়া। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, এই পরিস্থিতিতে বাজার ঘুরে সব থেকে ভাল দর খোঁজাটাই কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সব চেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। জয়শঙ্কর বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করেছিল ভারত। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং মস্কোর পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টাও করেছিল নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সাইপ্রাস থেকে অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি কিনেছে ১০ হাজার ২০০ কোটি ডলারের জ্বালানি। জয়শঙ্করের কথায়, এটি আমরা যা কিনেছি, তার ছ গুণ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদে যে নীতির কথা বলা হয়েছে, সব দেশই বলবে যে তারা সেগুলি সমর্থন করে। কিন্তু গত ৭৫ বছরে গোটা বিশ্বে কী ঘটেছে দেখুন। রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত সদস্য কী সেই সনদ মেনে চলে? অন্য দেশে সেনা পাঠায় না? জয়শঙ্করের দাবি, যেহেতু ইউরোপ এখন ভারতের সাবেকি জায়গাগুলি থেকে জ্বালানি কিনছে, তাই নয়াদিল্লিকে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার ওপর বেশি ভরসা করতে হচ্ছে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, গত ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা জ্বালানি কিনছি রাশিয়া থেকে। এটি নতুন কিছু নয়…এই ষাট বছরে ইউরোপ সহ পশ্চিমের বহু দেশ পাকিস্তানের সেনা শাসককে অস্ত্র বিক্রি করেছে। সেই সময় একমাত্র দেশ যে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনি বলেন, তাই আজ যদি রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের কোনও বোঝাপড়া হয়ে থাকে তার কারণ আমাদের অঞ্চলে সেনা শাসনকেই গুরুত্ব দিয়েছে পশ্চিমি দুনিয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    Russia Ukraine War: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War) কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় একথা বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।এদিন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এই যুদ্ধের প্রভাব যে বিশ্বজুড়ে পড়বে, তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ভারত বিশ্বাস করে আলোচনা ও কূটনৈতিক স্তরে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ রাশিয়া ইউক্রেন কোনও দেশকেই দীর্ঘস্থায়ী কিছু দেবে না। এতে কোনও দেশেরই স্বার্থসিদ্ধি হবে না। সমস্যার সমাধানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু দেশকেই আলোচনার টেবিলে বসতে অনুরোধ করেছেন।

    মোদি বলেছিলেন…

    যুদ্ধ (Russia Ukraine War) যে কোনও স্থায়ী সমাধান নয়, তা নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। গত সেপ্টেম্বরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদি বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। রশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে উদ্যোগী হতে পুতিনকে উৎসাহিতও করছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    রশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) ব্যাপক প্রভাব যে বিশ্বজুড়ে পড়বে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন ভারতের  বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, যুদ্ধের প্রভাব পড়বে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের ক্ষেত্রে। এটা যে একটা উদ্বেগের বিষয়, তাও জানান তিনি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে ভারত যে দুই দেশকেই নিরন্তর বলে যাচ্ছে, তাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। আলোচনা ও কূটনৈতিক পথেই যে যুদ্ধে ইতি টানা যেতে পারে, জানান তাও।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এদিন ভারত-অস্ট্রিয়ার দৃঢ় বন্ধনের ওপর জোর দেন। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, বিনিয়োগ চুক্তি এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটরস এগ্রিমেন্ট করতে অস্ট্রিয়ার সমর্থনও চান জয়শঙ্কর। এই চুক্তিগুলির ইতিবাচক প্রভাব যে দুই দেশের অর্থনীতিতে পড়বে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত-অস্ট্রিয়ার বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতে ব্যবসা করছে দেড়শোরও বেশি অস্ট্রিয়ান কোম্পানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Russia Oil Export: তেল বিক্রি নিয়ে ডিক্রি জারি পুতিনের, জানেন কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    Russia Oil Export: তেল বিক্রি নিয়ে ডিক্রি জারি পুতিনের, জানেন কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বেঁধে দেওয়া দরে যারা তেল কিনতে চাইবে, নতুন বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের তেল (Russia Oil Export) বিক্রি করা হবে না। সম্প্রতি এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের এই ডিক্রি প্রকাশিত হয়েছে সরকারি পোর্টাল ও ক্রেমলিন ওয়েবসাইটে। 

    রাশিয়ার তেল…

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সমুদ্রপথে সরবরাহ করা রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন। শুধু তাই নয়, এই ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা এই জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলি গোটা বিশ্বের জন্য তেল কেনার দর বেঁধে দিয়েছিল ব্যারেল পিছু ৬০ ডলারে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুতিনের ডিক্রি, যে বিদেশি ব্যক্তি এবং সংস্থা বেঁধে দেওয়া দরে তেল কিনতে চাইবে, রাশিয়ার দরজা তাদের জন্য বন্ধ।

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে দু’ রকম কথা বলছে পশ্চিম’, বললেন জয়শঙ্কর

    চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে যুদ্ধ বাঁধে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের। তার পর গোটা বিশ্ব কার্যত ভাগ হয়ে গিয়েছে আড়াআড়িভাবে। একদল দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার পক্ষে, অন্যদল ইউক্রেনের পাশে। এর পরেই রাশিয়ার ওপর নানা বিধিনিধেষ জারি করে পশ্চিমের দেশগুলি। বেঁধে দেয় রাশিয়ার তেলের দরও। রাশিয়ার (Russia Oil Export) অভিযোগ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও জি-৭ অপরিশোধিত তেলের যে দর বেঁধে দিয়েছে, উৎপাদন খরচের দিক থেকে তা ১২ থেকে ১৫ ডলার কম। তাই যারা ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ সহ পশ্চিমি দুনিয়ার বেঁধে দেওয়া দরে তেল কিনতে চাইবে, নতুন বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের তেল বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিনের দেশ। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের পর রাশিয়াই বিশ্বের দ্বিতীয় তেল রফতানিকারী দেশ। তাই রাশিয়ার একটা সিদ্ধান্তেই বদলে যেতে পারে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। কারণ রাশিয়া যদি সত্যিই তেল রফতানি বন্ধ করে দেয়, তাহলে তামাম বিশ্বে বাড়বে তেলের দর। আমরা জানি, তেলের দর বাড়লে বাড়ে মুদ্রাস্ফীতিও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Zelensky: ইটের বদলে পাটকেল! ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত ইউক্রেনের, গোলায় জখম ২ রুশ আধিকারিক

    Zelensky: ইটের বদলে পাটকেল! ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত ইউক্রেনের, গোলায় জখম ২ রুশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়াকে (Russia) ইটের জবাব পাটকেলে দিল ইউক্রেন (Ukraine)! ভ্লাদিমির পুতিন বাহিনীর হাত থেকে অধিকৃত অঞ্চল ছিনিয়ে নিতে ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত করল ভলোদিমির জেলেনস্কির বাহিনী। দিন কয়েক ধরে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ ফৌজ। বুধবার তারই জবাব দিল ইউক্রেন (Zelensky)। জেলেনস্কির বাহিনীর গোলাবর্ষণে গুরুতর জখম হয়েছেন রুশ প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক। এঁরা হলেন, পুতিনের অন্যতম উপদেষ্টা তথা রাশিয়ার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন এবং মস্কো স্বীকৃত সার্বভৌম ডনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের মুখ্য প্রশাসক ভিতালি খোটসেঙ্কো। রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডনেৎস্কের একটি হোটেলে বৈঠক করছিলেন রুশ প্রশাসনের এই দুই আধিকারিক। আচমকাই হোটেলে আছড়ে পড়ে গোলা। গুরুতর জখম হন দুজনেই।

    ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক…

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আগেই ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল মস্কো। গত কয়েক বছর ধরে ওই দুই অঞ্চলে সক্রিয় মস্কোপন্থী সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি। যদিও ওই অঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি রাশিয়া। ২০১৪ সালে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়ায় গণভোট করিয়ে দখল নিয়েছিল মস্কো। সেই একই কায়দায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরের গোড়ায় ইউক্রেনের ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের পাশাপাশি জাপোরিজিয়া ও খেরসনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির কথা ঘোষণা করেছিল পুতিন সরকার। তাদের দাবি, ডনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজিয়া ও খেরসন এই চার অঞ্চলের ৮০ শতাংশেরও বেশি অধিবাসী রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: ৭০টিরও বেশি মিসাইল হামলা রাশিয়ার! মৃত ৪, ইউক্রেন জুড়ে ‘ব্ল্যাকআউট’

    এদিকে, বুধবারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে অস্ত্র সাহায্যের আবেদন জানাতে আমেরিকা সফরে গিয়েছেন জেলেনস্কি (Zelensky)। এদিন তিনি মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণও দেন। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন বেঁচে রয়েছে এবং লাথি মারছে। তিনি বলেন, ইউক্রেন তার লাইনেই রয়েছে। এবং আমরা কখনও আত্মসমর্পণ করব না। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে কয়েক হাজার মানুষের। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। যদিও এটা যুদ্ধের যুগ নয় বলে পুতিনকে বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share