Tag: un

un

  • India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    India Rebukes UN Report: রাষ্ট্রসংঘের মায়ানমার সংক্রান্ত রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ করল ভারত (India Rebukes UN Report)। নয়াদিল্লির তরফে একে পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস এইচ অ্যান্ড্রুজের তৈরি ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পাহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) ঘটেছিল, তা ভারতে থাকা মায়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

    রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে (India Rebukes UN Report)

    মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লোকসভার সদস্য দিলীপ সইকিয়া বলেন, “ওই রিপোর্টে যেসব অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, সেগুলির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।” তিনি বলেন, “রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট ও একপেশে।” রাষ্ট্রসংঘকে তাঁর অনুরোধ, তারা যেন যাচাই করা হয়নি এমন তথ্য এবং সংবাদমাধ্যমর বিকৃত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছায়। সইকিয়া বলেন, “আমার দেশ বিশেষ প্রতিনিধির এমন পক্ষপাতদুষ্ট ও সংকীর্ণ বিশ্লেষণ প্রত্যাখ্যান করছে।” রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার পর ভারতে থাকা মায়ানমারের শরণার্থীরা হয়রানি, আটক এবং দেশান্তর করার হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন।

    তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন

    যদিও ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পহেলগাঁওকাণ্ডের সঙ্গে মায়ানমারের নাগরিকদের কোনও যোগই ছিল না। এই ধরনের যে কোনও দাবি তথ্যগতভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন (India Rebukes UN Report)। সইকিয়া বলেন, “রিপোর্টটি প্রমাণের ভিত্তিতে নয়, রাজনৈতিক পক্ষপাত দ্বারা পরিচালিত হয়েছে বলে মনে হয়। ভারত সব সময় বাস্তুচ্যুত সব মানুষের প্রতি মানবিক আচরণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তিনি বলেন, “ভারতে বর্তমানে ২০ কোটিরও বেশি মুসলমান বসবাস করছেন। এটি বিশ্বের মোট মুসলমান জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ। তাঁরা অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছেন (Pahalgam Terror Attack)।”

    ভারতের দীর্ঘদিনের নীতির উল্লেখ করে সইকিয়া বলেন, “মায়ানমারে স্থায়ী শান্তি ফিরতে পারে কেবলমাত্র রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।” তিনি জানান, ভারত মায়ানমার-নেতৃত্বাধীন ও মায়ানমার-নিয়ন্ত্রিত শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে যাচ্ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য আসিয়ান (ASEAN) ও রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে (India Rebukes UN Report)।

  • Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    Pakistan: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধারাবাহিকভাবে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘ (UNSC) দিবসের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভথনেনি হরিশ এই মর্মে আহ্বান জানান পাকিস্তানকে (Pakistan)।

    ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির আহ্বান (Pakistan)

    তিনি বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে আহ্বান জানাচ্ছি যে বেআইনিভাবে অধিকৃত এলাকাগুলিতে অনবরত যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, সেখানে জনগণ পাকিস্তানের সামরিক দখল, দমন, নিষ্ঠুরতা এবং বেআইনি সম্পদ শোষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করছে।” হরিশ এদিন আরও একবার জানিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর সব সময়ই ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিনশ্বর অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল, আছে এবং চিরকাল ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অবিনশ্বর অংশ হিসেবেই থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের সুপ্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে তাঁদের মৌলিক অধিকারগুলি ভোগ করছেন। অবশ্যই আমরা জানি, এই ধারণাগুলি পাকিস্তানের কাছে একেবারেই অচেনা।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হরিশ জানান, অধিকৃত কাশ্মীরে নিত্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। অবৈধভাবে দখলদারির পাশাপাশি সেখানে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শাসনযন্ত্রের ওপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ থামাতে জনতার ওপরই খড়্গহস্ত প্রশাসন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, জখম শতাধিক। রাষ্ট্রসংঘে তথ্য দিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলল ভারত।

    “বসুধৈব কুটুম্বকম”

    এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ ভারতের “বসুধৈব কুটুম্বকম” – এই চেতনার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন (Pakistan)। ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সবার সমৃদ্ধির পক্ষে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “এটি শুধু আমাদের বিশ্বদৃষ্টির ভিত্তি নয়, বরং এটাই সেই কারণ যার জন্য ভারত সর্বদা সকল সমাজ ও জনগণের জন্য ন্যায়, মর্যাদা, সুযোগ ও সমৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই কারণেই ভারত বহুপাক্ষিকতা, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ওপর আস্থা রাখে।” রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) খোলা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হরিশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে রাষ্ট্রসংঘের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এর প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিও স্বীকার করেন।

    রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা

    তিনি বলেন, “যে সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক সংস্থা – রাষ্ট্রসংঘের প্রাসঙ্গিকতা, বৈধতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি, সেই সময়ে এই বিতর্কের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।” তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘ উপনিবেশমুক্তি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি আশার আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে। এই সংগঠনটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আশার প্রদীপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি উপনিবেশ-মুক্তির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের নতুন রাষ্ট্রগুলির উদ্ভবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী মানদণ্ড নির্ধারণ করেছিল, এবং আমাদের মনোযোগকে মহামারী, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির দিকে কেন্দ্রীভূত করেছিল (Pakistan)।”

    পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন প্রেমচন্দ্রনও

    হরিশের এহেন মন্তব্যের দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসংঘের ফোর্থ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছিলেন ভারতের প্রতিনিধি কেরলের বাম সাংসদ প্রেমচন্দ্রন। হরিশের মতোই তিনিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করে। সেখানকার মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। পাক সেনা ও তাদের সহযোগীরা সেই নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা করছে (UNSC)।” পাকিস্তানের (Pakistan) মুখোশ খুলে দিয়ে প্রেমচন্দ্রন বলেন, “পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ, যেখানে সামরিক একনায়কতন্ত্র চলে। ভুয়ো নির্বাচন, জনপ্রিয় নেতাদের কারাদণ্ড, ধর্মীয় উগ্রবাদ, রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের জনক এই দেশ। ফলে অন্যকে জ্ঞান দেওয়া ওদের উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।

    প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘ সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকী হিসেবে পালিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-সহ অধিকাংশ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের দ্বারা এই প্রতিষ্ঠাতা দলিলের অনুমোদনের পর জন্ম হয় রাষ্ট্রসংঘের (Pakistan)।

  • India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    India: ‘‘যারা ১৯৭১ সালে ৪ লক্ষ মহিলাকে গণধর্ষণ করেছিল…’’, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিল ভারত (India)। নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেছিল পাকিস্তান। তারই জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে একহাত নেন ভারতের প্রতিনিধি। তামাম বিশ্বকে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামাবাদের অনুমোদিত ৪ লাখ মহিলার ওপর সংঘটিত গণধর্ষণ অভিযানের কথা। ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক’ আলোচনার সময় এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে।

    পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা (India)

    বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত পর্বতনেনি হরিশ পাকিস্তানের মিথ্যাপূর্ণ তথ্যের কড়া সমালোচনা করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চকে অপব্যবহার করে প্রচার চালানোর অভিযোগও তোলেন তিনি। হরিশ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত প্রতি বছরই আমাদের আমার দেশকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানের এই ভ্রান্তিপূর্ণ বিষোদ্গার শুনতে হয়, বিশেষত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে — যে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রতি তারা লোভাতুর দৃষ্টি দেয় সর্বক্ষণ।” তিনি বলেন, “এটাই সেই দেশ যারা ১৯৭১ সালে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালনা করেছিল এবং নিজেদের সেনাবাহিনী দিয়ে ৪ লক্ষ মহিলা নাগরিকের ওপর পরিকল্পিত গণধর্ষণ চালিয়ে এক গণহত্যার অভিযানে অনুমোদন দিয়েছিল। বিশ্ব পাকিস্তানের এই প্রচারের ভেতরটা স্পষ্টভাবেই দেখতে পায় (UNSC)।”

    পাকিস্তান নিজেদের জনগণকে বোমা মারে

    হরিশ পাকিস্তানকে এমন একটি দেশ হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তারা নিজেদের জনগণকে বোমা মারে এবং পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায়। তিনি আরও বলেন, “ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক সমাজের নজর ঘোরাতে ভুল দিকনির্দেশনা করছে, করছে অতিরঞ্জনও। এভাবেই তারা তাদের দোষ আড়াল করার চেষ্টা করছে (India)।” ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ বলেন, যে দেশ নিজের নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করে এবং গণহত্যা চালায়, সেই দেশ মানবাধিকারের নামে মুখ খোলার যোগ্যই নয়। রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর সাইমা সেলিম অভিযোগ করেন, কাশ্মীরি নারীরা কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত যৌন হিংসার শিকার হয়ে আসছেন। তাঁর বক্তব্য, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) প্রতিবেদনগুলিতে কাশ্মীরি নারীদের দুর্দশা প্রতিফলিত হওয়া উচিত।

    বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য

    পাকিস্তানের এহেন অভিযোগ খারিজ করে দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের দীর্ঘদিনের অবদান ও শান্তির অপরিহার্য প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের প্রাথমিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন (UNSC)। উদাহরণ হিসেবে তিনি ছয়ের দশকে কঙ্গোয় ভারতীয় নারী চিকিৎসক আধিকারিকের নিয়োগের ঘটনাটিরও উল্লেখ করেন (India)। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের চিরাচরিত অভিযোগেরও কঠোর প্রতিবাদ করেন হরিশ। তিনি বলেন, প্রতি বছর পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বক্তব্য পেশ করে। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। হরিশ বলেন, পাকিস্তান অধিকার নিয়ে নানা কথা বলে। অথচ নিজের দেশেই বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যায়। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত মাসে পাক সেনা কীভাবে খাইবার পাখতুনখোয়ায় বোমাবর্ষণ করেছিল। নারী, শিশু নির্বিশেষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই হিংসায়। এর পরেই হরিশ বলেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল, চিরকালই থাকবে। কারও অতিরঞ্জিত বক্তব্য এখানে ছাপ ফেলতে পারবে না (India)।

    সাইমা সালেমের বক্তব্য

    পাক কূটনীতিবিদ সাইমা সালেম সভায় অভিযোগ করেছিলেন যে, কাশ্মীরি মহিলারা কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের জবাবে ভারতীয় প্রতিনিধি বলেন, যে দেশ নারী, শান্তি ও নিরাপত্তার নামে কুমিরের কান্না কাঁদে, তারাই সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়েছে (UNSC)। পাকিস্তান নারী সুরক্ষার কথা বলার আগে নিজের অতীতের দিকে তাকাক। তিনি বলেন, নারীর অধিকার ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের রেকর্ড নিষ্কলঙ্ক ও অক্ষত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার মিথ্যে প্রচার চালিয়ে পাকিস্তান বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সার্চলাইটের নামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) অত্যাচার চালিয়েছিল তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান (অধুনা পাকিস্তান)। সেবার পাক সেনা হত্যা করেছিল তিন লাখেরও বেশি বাঙালিকে। শুধু তাই নয়, প্রায় চার লাখ মহিলাকে পাকিস্তানি সেনার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল (India)। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সহায়তায় জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের (UNSC)।

  • UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    UNSC: চলতি মাসেই ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ অক্টোবর সম্ভবত ভারত সফরে আসছেন তালিবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান (Afghanistan) সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পর এই প্রথম হতে চলেছে নয়াদিল্লি ও কাবুলের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের ও মন্ত্রিস্তরের কূটনৈতিক সফর। আফগান বিদেশমন্ত্রীর এই সফরকে ভারত –আফগানিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি বড় ধরনের পুনর্গঠন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো ফের উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি দ্রুত অগ্রগতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC) আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে ৯ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নয়াদিল্লি সফরের ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আপনারা সবাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির দেওয়া সেই ছাড়পত্র দেখেছেন, যা আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর ৯ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফরের অনুমতি দিয়েছে।”

    আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (UNSC)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড় এবং তালিবান নেতাদের সফরে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা, এই ঘটনাগুলি দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য। বাণিজ্য, যোগাযোগ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য

    জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন আগে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও আফগান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মধ্যে যে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল, আপনারা সেটা জানেন।” এছাড়াও, আফগান পক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের যৌথ সচিব পর্যায়েও আলোচনা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি (Afghanistan) ভূমিকম্পের সময় আমরা কুনার প্রদেশে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে পেরেছিলাম। পরবর্তীকালে চাবাহার হয়ে আরও ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয় (UNSC)।

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে বিদেশমন্ত্রী বিক্রম মিস্রি এবং অন্য শীর্ষ কর্তারা আফগানিস্তানের তাদের সমকক্ষদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে আসছেন। তাঁরা দুবাইয়ের মতো নিরপেক্ষ স্থানে বৈঠক করেছেন। তবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের এই প্রথম ভারত সফর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি নির্দেশ করছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (UNSC)।

  • Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Prabowo Subianto: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ‘ওম শান্তি ওম’ বলে ভাষণ শেষ করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রতিনিধি। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। বুধবার সেই ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) স্বদেশের সংস্কৃতি মেনেই ভাষণ শুরু করলেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। আর শেষ করলেন ‘ওম শান্তি ওম’ (Om Shanti) বলে। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই ঘটনা। রাষ্ট্রসংঘের ৮০তম সাধারণ সভায় অংশ নিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই তিনি উচ্চারণ করেন ‘ওম শান্তি ওম’। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    ‘ওম শান্তি ওম’ (Prabowo Subianto)

    দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ নাগরিকই মুসলমান। সেই দেশেরই প্রেসিডেন্ট তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘ওম স্বস্তিয়াস্তু’ বলে। বক্তব্যের একেবারে শেষে বলেন ‘ওম শান্তি ওম’। তাঁর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁকে কুর্নিশ জানান নেটিজেনরা। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, “ইহুদি, মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ সব ধর্মই এক। আমাদের সকলের একটা মানব পরিবার হিসেবে বসবাস করা উচিত। ইন্দোনেশিয়া এই দৃষ্টিভঙ্গিকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট? 

    ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “যেখানেই শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দেওয়ার অঙ্গীকারে অটল আমরা।” তিনি বলেন, “ইন্দোনেশিয়া গাজা বা প্যালেস্তাইনের অন্য কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ হাজার কিংবা তারও বেশি সংখ্যক আমাদের সন্তানদের পাঠাতে প্রস্তুত।” সুবিয়ান্তো (Prabowo Subianto) বলেন, “আজ ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর অন্যতম বৃহৎ অবদানকারী দেশ। আমরা কেবল কথায় নয়, বাস্তবে মাটিতে উপস্থিত থেকে যেখানে শান্তি রক্ষার প্রয়োজন, সেখানেই সেবা দিতে থাকব।” যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়ে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি ইন্দোনেশিয়ার পূর্ণ সমর্থনের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, “ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন – দু’টিই যেন স্বাধীন ও সার্বভৌম হয় এবং হুমকি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত থেকে নিরাপদে বেঁচে থাকতে পারে।” গাজায় বিধ্বংসী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (Prabowo Subianto) বলেন, “জাতিসমূহের এই সমাজকে অবশ্যই দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এই বিপর্যয় থামানোর জন্য। না হলে পৃথিবী প্রবেশ করবে এক অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায়, যেখানে যুদ্ধ হবে অবিরাম এবং হিংসা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে (Om Shanti)।”

  • Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    Trump Tariffs: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপিয়ে এবার নিজের ঘরেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত চড়া শুল্কের (Trump Tariffs) কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবজেক্ট বিশেষজ্ঞরা, যাঁদের ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিষয়ে গভীর জ্ঞান রয়েছে। তাঁদের মতে, ভারতের সঙ্গে এই শুল্ক-সংঘর্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘কৌশলগত ভুল’ (Strategic Blunder)। তাঁরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক শিবিরকে অবিলম্বে এই নীতি সংশোধনের আহ্বানও জানিয়েছেন। কারণ ভারত হল এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

    ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ (Trump Tariffs)

    ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসনের এই “ভারত নীতিতে বদল” নিয়ে কড়া বার্তা আসছে স্বদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেই। একে ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি গুরুতর কৌশলগত সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে, যাতে তারা স্বল্পমেয়াদি ও ভ্রান্ত বক্তৃতার পেছনে না ছুটে, দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নিজেদের ভ্রম সংশোধন করতে পারে।

    মার্কিন অর্থনীতিবিদের বক্তব্য

    বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফ্রি স্যাকস ভারতের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ককে “যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতির সবচেয়ে নির্বোধ কৌশলগত পদক্ষেপ” বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি আত্মঘাতী এবং ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত। কারণ ভারত হল এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পর্কের দেশগুলির একটি। বৈশ্বিক জোট যখন ইতিমধ্যেই সংকটে রয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হয়নি ভারতের মতো ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে এমন বিপ্রতীপ আচরণ করা।” কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস সারা বিশ্বের বহু সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন (Trump Tariffs)। ক্রিস্টাল বল ও সাগর এনজেটির ব্রেকিং পয়েন্টস অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতের ওপর এই শুল্ক কোনও কৌশল নয়। এটি নাশকতা।” তাঁর মতে, ভারতের ওপর আরোপিত এই অযৌক্তিক ও বেপরোয়া শুল্ক আমেরিকার অর্থনীতির কোনও উপকারে আসেনি, বরং এটি আরও বেশি করে ব্রিকস (BRICS) দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের প্রভাব হিসেবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলির মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। তাঁর মতে, মার্কিন প্রশাসনের এই শুল্কনীতির ফলস্বরূপ কোনও অর্থনৈতিক সুফল আসেনি, যেমনটি ট্রাম্প প্রশাসন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এর ফলে কেবল বিপরীত প্রতিক্রিয়াই তৈরি হয়েছে (Strategic Blunder)।

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর নিকি হ্যালিও

    ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও। তিনি আমেরিকার শুল্ক নীতির ভারতের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “নয়াদিল্লির সঙ্গে গত ২৫ বছরের অগ্রগতিকে ভেস্তে দেওয়া একটি কৌশলগত বিপর্যয় হবে।” হ্যালি বলেন, “ভারত এশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি মূল্যবান স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অংশীদার, যা চিনের আধিপত্য মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি ওয়াশিংটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে শক্তিশালী কৌশলগত বার্তাও পাঠিয়েছেন। বলেছেন, “ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নয়, বরং মিত্র হিসেবে দেখতে হবে। কারণ এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের জন্য নয়াদিল্লি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Trump Tariffs)।”

    হ্যালির সাফ কথা

    হ্যালি ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনাও করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশকে শাস্তি দেওয়া হলেও, চিনের মতো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যারা রাশিয়ার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে।” ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন ভণ্ডামিকে ওয়াশিংটনের একটি ‘কৌশলগত বিপর্যয়’ (Strategic Blunder) বলে আখ্যা দিয়েছেন হ্যালি। তাঁর মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। হ্যালির ভাষায়, “এশিয়ায় চিনের আধিপত্যের পাল্টা ভারসাম্য রক্ষার একমাত্র দেশ হল ভারত।” তাঁর মতে, এটা বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠন ও বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। হ্যালির সতর্কবার্তা (Trump Tariffs), ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অসচেতনভাবেও সর্বশেষ শুল্ক-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বকে আরও গভীর হতে দেয়, তাহলে এটি আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি ফাটলের সূচনা করবে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা, শক্তির ভারসাম্য চলে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।’ হ্যালির প্রস্তাব, ট্রাম্প প্রশাসনকে উচ্চপর্যায়ের আলাপ-আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অবনতির (Strategic Blunder) সর্পিল ধারা বদলে দিতে হবে। তাঁর সাফ কথা, ‘শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ কখনওই কোনও সমাধান হতে পারে না (Trump Tariffs)।’

  • India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    India: যৌন হিংসা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিল ভারত, স্মরণ করানো হল ’৭১-এর অপরাধের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে (Pakistan) ধুয়ে দিল ভারত (India)। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে মহিলাদের যৌন হিংসার শিকার হতে হচ্ছে। এর পরেই ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে তাদের নিজেদেরই মহিলাদের বিরুদ্ধে নিন্দনীয় অপরাধের রেকর্ড স্মরণ করিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক এলডোস ম্যাথিউ পুন্নোস স্পষ্ট করে দেন, পাকিস্তানের অন্যদের নীতি শেখানোর কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) লাখ লাখ নারীর ওপর পাক সেনাবাহিনী যে ভয়াবহ যৌন হিংসা চালিয়েছিল, তা এক লজ্জাজনক ইতিহাস।” রাষ্ট্রসংঘে ভারতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পুন্নোস বলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও কিশোরীরা আজও অপহরণ, পাচার, জোরপূর্বক বিয়ে এবং ধর্মান্তরের শিকার হচ্ছেন। দেশের বিচারব্যবস্থাও এই নারীর প্রতি অপরাধগুলিকে বৈধতা দেয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটি কতটা বিদ্রূপাত্মক যে যারা এসব অপরাধ করছে, তারাই এখন ন্যায়বিচারের রক্ষক সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামি নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।”

    পুন্নুসের বক্তব্য (India)

    ২০২৪ সালে সাসটেনেবল সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরে পাকিস্তানে ২৪,০০০-রও বেশি অপহরণ ও কিডন্যাপের ঘটনা, ৫,০০০টি ধর্ষণের ঘটনা এবং ৫০০টি “অপমানজনক” হত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে বহু ভুক্তভোগী ছিলেন হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিশোরী, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পুন্নুস (India) বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে আইনি সহায়তা পর্যন্ত সর্বাত্মক সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত-সম্পর্কিত যৌন হিংসার নৃশংস কার্যকলাপে যুক্ত অপরাধীদের (Pakistan) কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানাতে হবে এবং ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে হবে।” তিনি বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক হিংসার মোকাবিলায় ভারত দেশীয় পর্যায়ে যেমন কাজ করছে, তেমনি বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা মিশনগুলিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” তিনি জানান, যৌন শোষণ ও নির্যাতনের শিকারদের সাহায্যে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের ট্রাস্ট ফান্ডে অবদান রাখা প্রথম দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। এছাড়া ২০১৭ সালে ভারত রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে স্বেচ্ছায় একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার লক্ষ্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে এ ধরনের অপরাধ নির্মূল করা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে (India) রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যকলাপে যৌন শোষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের সার্কেলে যুক্ত হয়েছে ভারত। পুন্নোস মনে করিয়ে দেন, ভারত ২০০৭ সালে লাইবেরিয়ায় প্রথম সর্বমহিলা পুলিশ ইউনিট পাঠিয়েছিল এবং এখনও রাষ্ট্রসংঘের মিশনে নারী কন্টিনজেন্ট পাঠিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এই দলগুলি স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল বিষয়গুলির (Pakistan) সমাধান করতে অসাধারণভাবে সফল হয়েছে” (India)।

  • UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও (UNSC) কূটনৈতিক সাফল্য পেল ভারত। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) নাম উল্লেখ করেছে সরাসরি। ২৪ জুলাই প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা পরিষদ ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সংঘটিত জঙ্গি হামলার সঙ্গে টিআরএফকে যুক্ত করেছে। পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গি হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরপরাধ হিন্দু পর্যটককে।

    টিআরএফ হামলার দায় কবুল করে (UNSC)

    ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে উপস্থাপিত ৩৬তম বিশ্লেষণাত্মক সহায়তা ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিআরএফ দু’বার ওই হামলার দায় কবুল করে এবং হামলাস্থলের একটি ছবিও প্রকাশ করে। যদিও এর ঠিক চার দিন পর এই দাবি প্রত্যাহার করা হয় এবং তারপর আর কোনও গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও। এই পাকিস্তানের প্রবল চেষ্টার পরেও টিআরএফের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করার এবং নিজেদের নাম এই প্রসঙ্গ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা সত্ত্বেও, শেষমেশ সেটি অন্তর্ভুক্তি করা হয়। এতেই কূটনৈতিক জয় দেখছে ভারত।

    টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক

    নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান আগে এপ্রিল মাসে পরিষদের এক প্রেস বিবৃতি থেকে টিআরএফের নাম উল্লেখ করা বাদ দেওয়াতে পেরেছিল। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা মনিটরিং টিমের এই প্রতিবেদন পাকিস্তানের এই চেষ্টা সফল হতে দেয়নি। সেখানে স্পষ্টভাবেই টিআরএফের নামোল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে টিআরএফের পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে অপারেশনাল সংযোগ সম্পর্কেও একাধিক সদস্য রাষ্ট্রের মতামত উঠে এসেছে। রাষ্ট্রসংঘের নথি অনুযায়ী, এক সদস্য রাষ্ট্র বলেছে যে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হত্যাকাণ্ড হামলা লস্কর-ই-তৈবার সাহায্য ছাড়া ঘটতেই পারত না। অন্য এক রাষ্ট্র আবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি টিআরএফকে লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক বলে আখ্যা দিয়েছে (UNSC)। যদিও একমাত্র রাষ্ট্র পাকিস্তানই এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, লস্কর-ই-তৈবা এখন নিষ্ক্রিয়। বস্তুত, পাকিস্তানের এই দাবি নিরাপত্তা পরিষদে আদৌ পানি পায়নি।

    নিরাপত্তা পরিষদের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদের এই পর্যবেক্ষণগুলি এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে এপ্রিল ও মে মাসে কমিটিকে দেওয়া গোপন ব্রিফিংয়ের পর। সেখানে টিআরএফের উদ্ভবকে লস্কর-ই-তৈবার একটি ছদ্মপ্রতিনিধি সংগঠন হিসেবে এবং একটি নতুন নামে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
    যদিও পাকিস্তান বারবার অস্বীকার করেছে যে টিআরএফ বা পিপলস এগেইনস্ট ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টের মতো সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ। এরা লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদের শাখা হয়ে কাজ করে। এদের নিরপেক্ষ নাম শুধুমাত্র তাদের আসল পরিচয় ঢাকতে ব্যবহৃত হয়। তবে এখন টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের একটি আনুষ্ঠানিক মনিটরিং রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পাকিস্তানের এই অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

    ভারতের জয়

    এর আগে পাকিস্তান তার জাতীয় সংসদে গর্ব করে বলেছিল, তারা টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে পেরেছে। কিন্তু মনিটরিং টিমের এই রিপোর্ট এখন প্রেস বিবৃতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভিত্তি হিসেবেই ব্যবহৃত হবে (UNSC)। টিআরএফের এই নামোল্লেখের মাধ্যমে ভারত টিআরএফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হবে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে, যেখানে ভারত এই গোষ্ঠীকে একটি বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে। ভারতের এই প্রচেষ্টা সফল হলে টিআরএফের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল, অস্ত্র সরবরাহ এবং ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে (Pahalgam Attack)।

    সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন

    উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটিতে লস্কর-ই-তৈবা  এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জম্মু ও কাশ্মীরে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পুনরুত্থানকে নির্দেশ করে (UNSC)। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই বলেছিলেন, রাষ্ট্রসংঘের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগে টিআরএফের নামোল্লেখ না করতে পাকিস্তান যথাসাধ্য চেষ্টা করছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষণ দল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ভারতের কূটনৈতিক (Pahalgam Attack) প্রচেষ্টার একটি স্বীকৃতি। কারণ এতে রেকর্ড করা হয়েছে যে, সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান-ভিত্তিক এই গোষ্ঠীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে (UNSC)।

  • India Slams Pakistan: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি

    India Slams Pakistan: রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে একেবারে ধুয়ে দিলেন ভারতের প্রতিনিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে আক্রমণ শানাল ভারত (India Slams Pakistan)। মঙ্গলবার ভারতের তরফে পাকিস্তানকে নিশানা করে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা, সামাজিক ও আর্থিক সূচকে যেখানে ভারত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, সেখানে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ, ধর্মান্ধতা ও ধারাবাহিক ঋণ নিতে নিতে দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছে।

    পাকিস্তানকে নিশানা ভারতের (India Slams Pakistan)

    রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations) ভারতের রাষ্ট্রদূত পর্বথনেনি হরিশ বলেন, “ভারত একটি মজবুত গণতান্ত্রিক দেশ, যা উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এক স্পষ্ট মডেল তৈরি করেছে। আর সেখানে আমাদের প্রতিবেশী দেশ একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।” তিনি বলেন, “ভারত যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে ঋণ চেয়ে বেড়াচ্ছে। ভারত একটি পোক্ত গণতান্ত্রিক, উদীয়মান অর্থনীতি এবং বহুত্ববাদী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ। উল্টোদিকে, পাকিস্তান ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাসবাদে নিমজ্জিত এবং আইএমএফের কাছে ধারাবাহিক ঋণগ্রহীতা একটি দেশ।”

    ভারত দায়িত্বশীল রাষ্ট্র

    হরিশ বলেন, “ভারত একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সব সময়ই অংশীদারদের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থেকেছে, বিশেষ করে রাষ্ট্রসংঘে, যাতে বিশ্বে আরও শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন করা যায়।” প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের খোলা বিতর্কে অংশ নিয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। বিতর্কের বিষয় ছিল, বহুপাক্ষিকতা ও শান্তিপূর্ণ বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা (India Slams Pakistan)।

    জঙ্গিবাদের প্রতি ভারতের জিরো টলারেন্স নীতির প্রসঙ্গও এদিন বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন হরিশ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স একটি মৌলিক নীতির মধ্যে পড়ে, যা স্বীকৃত ও সম্মানিত হওয়া উচিত।” হরিশের দাবি, উল্টোদিকে পাকিস্তান এমন কিছু কাজকর্মে লিপ্ত, যা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে যেসব আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়, সেই সব কাজকর্মে লিপ্ত থেকে কাউন্সিলের একজন সদস্যের জ্ঞান দেওয়া শোভনীয় নয়।”

    এদিনের মঞ্চে ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের কথাও মনে করিয়ে দেন হরিশ। সেখানে (United Nations) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তিনি জানান, এই ঘটনার পর ভারত অপারেশন সিঁদুর চালু করে। এই অভিযানে ভারত পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গিঘাঁটিগুলির ওপর আঘাত হানে। হরিশ বলেন, “এই সামরিক অভিযান ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক এবং উত্তেজনাহীন (India Slams Pakistan)।”

  • Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে গিয়ে ফাঁপরে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। তিনি যখন বলেন, “ভারত মুসলমানদের জঙ্গি রূপে চিত্রিত করছে”, তখন তাঁর এই বক্তব্যের (UN) তীব্র প্রতিবাদ করেন এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক।

    বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি সাংবাদিক

    মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ভারতে মুসলমানদের অপমান ও তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।” বিলাওয়ালের এই দাবির পরেই তাঁকে ধুয়ে দেন আহমেদ ফাতহি নামে এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক। তিনি বলেন, “আপনি আজ যেটা বললেন যে, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে ভারত মুসলিমদের হেয় করার জন্য ব্যবহার করছে—আমি দু’পক্ষেরই ব্রিফিং দেখেছি। যতদূর মনে পড়ে, ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিফিং পরিচালনা করেছিলেন এক মুসলিম সেনা অফিসার।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রসঙ্গত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন দু’জন উচ্চপদস্থ মহিলা সেনা অফিসার— ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার পাইলট উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও। এই ঘটনার (UN) মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনীতে জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদানের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Bilawal Bhutto)।

    বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ছে দেখে খানিক ভড়কে যান বিলাওয়াল। একপ্রকার প্রায় ঢোঁক গিলে মেনে নেন ফাতহির পেশ করা যুক্তি। সাংবাদিকের মন্তব্যে যে তিনি চরম অপ্রস্তুতে পড়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই ভাঙবো তবু মচকাবো না! ওই সাংবাদিক পরে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁকে থামিয়ে নিজের কথা বলে চলেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়। আমরা ১.৫ বা ১.৭ বিলিয়ন মানুষের ভবিষ্যৎকে কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না, যাদের খেয়ালে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এটাই যেন নতুন স্বাভাবিক অবস্থা, যা আসলে একটি বিকৃত পরিস্থিতি — এবং ভারত সরকার তা এই অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” বিশ্ব দরবারে কাশ্মীর ইস্যুতে যে পাকিস্তান বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এদিন তা কবুল করে নেন বিলাওয়াল। তিনি (UN) বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের অভ্যন্তরে বা বাইরে কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা যে বাধাগুলির মুখোমুখি হই, তা এখনও রয়েছে (Bilawal Bhutto)।”

LinkedIn
Share