Tag: un

un

  • Global Terrorist: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আব্দুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    Global Terrorist: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আব্দুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬/১১-র মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী লস্কর-ই-তৈবা নেতা এই আব্দুল রহমান মাক্কিকে (Abdul Rehman Makki) ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ (Global Terrorist) বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল রাষ্ট্রসংঘ। সোমবার, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস এবং আল কায়েদা নিষিদ্ধ কমিটির আওতায়, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান মাক্কি-কে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভারত এর দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু গত বছর জুনেও ভারতের এই প্রয়াস রুখে দেয় চিন। এবার চিনের আপত্তি ধোপে টিকল না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে এটা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জয় বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। 

    চিনের বিরোধিতা 

    ভারত বরাবর মাক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চেয়েছিল। এর আগে, গত বছর জুন মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস এবং আল কায়েদা নিষিদ্ধ কমিটির আওতায়, পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আব্দুল রহমান মাক্কি-কে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত এবং আমেরিকা। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে ভেটো প্রয়োগ করে সেই প্রস্তাব পাশ হওয়া আটকে দেয় বেজিং। মাক্কি হল লস্কর-ই-তৈবা প্রধান তথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের শ্যালক। ২০১০ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ থেকে তাকে ‘স্পেশালি ডেজিগনেটেড গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    কে এই মাক্কি

    লস্কর-ই-তৈবায় মাক্কি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছে। লস্করের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য সে তহবিল সংগ্রহের কাজও করত। মার্কিন ঘোষণার ফলে, আমেরিকার এক্তিয়ারভুক্ত তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। মার্কিন নাগরিকদের তার সঙ্গে কোনওরকম আর্থিক লেনদেনও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে মাক্কির কোনও খবর দিতে পারলে ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত নাশকতার জন্য তহবিল সংগ্রহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মাক্কিকে। সেই থেকে পাক জেলে রয়েছে সে।২০০৮ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা মুম্বইয়ে তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে খুন করেছিল। সব মিলিয়ে ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসে মোট ১৬৬ জন নিহত হয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sudan UN Mission: রাষ্ট্রসংঘের সুদান মিশনে ভারত থেকে যাচ্ছে এক প্লাটুন মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী

    Sudan UN Mission: রাষ্ট্রসংঘের সুদান মিশনে ভারত থেকে যাচ্ছে এক প্লাটুন মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনাইটেড নেসশনস ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্সে রয়েছে ভারতীয় ব্যাটেলিয়ন। এই ব্যাটেলিয়নেই রয়েছে মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীও। এই মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীর থেকে এক প্লাটুনকে পাঠানো হবে সুদানের (Sudan UN Mission) অ্যাবিই অঞ্চলে। এই মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে সুদানে পাঠাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত (India) থেকে এ পর্যন্ত যত মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) তরফে, তার মধ্যে সুদানেরটাই হবে সব চেয়ে বড়। রাষ্ট্রসংঘের তরফে প্রথম ভারতীয় মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে পাঠানো হয় লাইবেরিয়ায়, ২০০৭ সালে।

    মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী…

    রাষ্ট্রসংঘে ভারত প্রথম মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায় ২০০৭ সালেই। সেবারই ওই বাহিনীর একাংশকে মোতায়েন করা হয় লাইবেরিয়ায়। ফর্মড পুলিশ ইউনিট লাইবেরিয়ায় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এই ইউনিটে ছিল ভারতীয় মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীও। সে দেশের রাজধানী মনরোভিয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চলে তারা টহলও দেয় দিনরাত। ভারতীয় মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীর সমর্থনে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে লাইবেরিয়ার পুলিশ বাহিনী। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের যে মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী সুদানে (Sudan UN Mission) পাঠানো হবে, সেই বাহিনীর মাথায় থাকবেন দুজন আধিকারিক। অন্যান্য পদাধিকারি আধিকারিক থাকবেন ২৫ জন। এটা দিয়েই তৈরি হবে এনগেজমেন্ট প্লেটুন। তারা যাতে নিরাপত্তার দিকটি নিবিড়ভাবে দেখাশোনা করতে পারে তাই এই ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে অ্যাবেইতে স্বাগত জানানো হবে। কিছু দিন আগে এখানেই ঘটেছিল হিংসার ঘটনা। লঙ্ঘিত হয়েছিল মানবাধিকার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নারী ও শিশু। মূলত তাঁদের সুরক্ষা দিতেই পাঠানো হচ্ছে মহিলা শান্তিরক্ষী বাহিনী। এবং যে বাহিনী পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় বাহিনী থেকে। অ্যাবেইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর। অ্যাবেইবাসীর নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের মানবিক সাহায্যও করবে এই বাহিনী। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত শান্তি রক্ষার কাজে বিভিন্ন দেশে ৭১ বার বাহিনী পাঠিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (Sudan UN Mission)। তার মধ্যে ৪৯ বারই যোগ দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। সব মিলিয়ে দু লক্ষেরও বেশি ভারতীয় যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের পাঠানো ওই বাহিনীতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘আপনার মন্ত্রীকে প্রশ্ন করুন সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে?’’, পাক সাংবাদিককে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের ‘এপিসেন্টার’ এখনও সক্রিয়। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ফের একবার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে (Pakistan) বেআব্রু করলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান ও চিনের দ্বিচারিতা নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে অংশ নিয়ে বুধবার তিনি বলেছিলেন, যে দেশ ওসামা বিন লাদেন এবং প্রতিবেশী দেশের সংসদে হামলাকারীদের আশ্রয় দেয়, অন্যদের উপদেশ দেওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই তাদের। মানুষকে বিভ্রান্ত না করে ভালো প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর।

    জয়শঙ্কর বলেন…

    বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে হিলারি ক্লিনটনের মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে জয়শঙ্কর বলেন, এক দশক আগে হিলারি ক্লিনটন তাঁর পাকিস্তান সফর চলাকালীন বলেছিলেন, যদি তুমি নিজের বাগানে সাপ রাখ, তাহলে সেই সাপ শুধুমাত্র আপনার প্রতিবেশীদেরই কামড়াবে, এই আশা করতে পারেন না। তিনি বলেন, পাকিস্তান পরামর্শ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ। সেই কারণেই গোটা বিশ্ব পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে মনে করে।

    ইসলামাবাদকে নিশানা করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, পাকিস্তানের মন্ত্রীরা রয়েছেন, তারা বলতে পারবেন পাকিস্তান কতদিন সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ চালু রাখার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিশ্ব বোকা নয়, তারা ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত দেশ ও সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আমার পরামর্শ হল, নিজেদের কার্যকলাপ শোধরান ও একজন ভাল প্রতিবেশী হওয়ার চেষ্টা করুন।

    আরও পড়ুন: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    চিন ও পাকিস্তান যেভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে, এদিন সে প্রসঙ্গও টানেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। দুই প্রতিবেশী দেশের নাম না করেই তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ কোনও সীমান্ত, নাগরিকত্ব বা জাতি মানে না। সন্ত্রাসবাদের বিপদ যে দিন দিন বাড়ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বা হুমকি বর্তমানে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি আল কায়দা, দয়েশ, বোকো হারাম ও আল সাবাব সহ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি কীভাবে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার কথা মনে আছে?’, কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানকে জবাব জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে (Pakistan) মুখের মতো জবাব দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। বুধবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছিল শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ২০০১ সালের সংসদ হামলার ঘটনা এবং আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বিঁধলেন পাকিস্তানকে।

    কাশ্মীর ইস্যু…

    দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। তারই অঙ্গ হিসেবে এবার নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলে পাকিস্তান। তার পরেই প্রতিবেশী দেশটিকে একহাত নেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। লাদেন এবং সংসদ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে সমসাময়িক প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকরভাবে মোাকাবিলার ওপর। তা অতিমারি, জলবায়ু পরিবর্তন বা সন্ত্রাস হতে পারে। কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাজানো তথ্য এবং গুরুত্বহীন অভিযোগ নতুন কিছু নয় বলেও মন্তব্য করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, বিশ্ব যাকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে না, তাকে জাস্টিফাই করার প্রশ্নও ওঠে না। জয়শঙ্কর বলেন, এটা অবশ্যই সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এর পরেই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংসদের হামলার প্রসঙ্গ টানেন জয়শঙ্কর।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    এদিন জয়শঙ্করের (S Jaishankar) আগে বলতে ওঠেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো। তার পরেই তাঁকে কার্যত বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, আজ থেকে আঠারো বছর আগে ১৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লক্সর-ই-তইবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কয়েকজন সদস্য হামলা চালায় পার্লামেন্টে। প্রকাশ্যে গুলিও চালায় তারা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ন’ জনের। পাকিস্তানের মদতেই সংসদে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চলতি মাসের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছে ভারত। মঙ্গলবার তাই রাষ্ট্রসংঘে যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইভেন্টে বক্তৃতা দেন। সেখানেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতের (India) স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) দেখা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে। মঙ্গলবার রুচিরা দেখা করেন গুতেরাসের সঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি আলোচনা করেন কীভাবে সফল করা যাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ডিসেম্বরের সভা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবে ভারত। অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, আজ, রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি। তাঁর সঙ্গে প্রোগ্রাম এবং কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে হবে বৈঠক। তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।

    ভারতের অবস্থান…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেবার আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রসংঘে শান্তি রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা। গত বছর অগাস্টের পর এবার ডিসেম্বরে ফের সভাপতিত্ব করার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। যে পনেরটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তারা প্রত্যেকই সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ আসে অ্যালফাবেটিক্যালি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে রুচিরা কম্বোজের (Ruchira Kamboj) বৈঠকে জি-২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণে বৈশ্বিক নানা বিষয় তুলে ধরার একটা সুযোগ মিলবে এই জি-২০তে। প্রসঙ্গত, এই জি-২০ শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতবারই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ঘানার হাত থেকে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতিত্বের রাশ এল ভারতের (India) হাতে। আর শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) জানিয়ে দিলেন ভারত রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে। জোর দেওয়া হবে বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে।

    ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি…

    এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সিতে সেই একই স্পিরিট নিয়ে আসব। আমরা দুটি প্রধান বিষয়ে আলোকপাত করব। একটি হল, উন্নীত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং অন্যটি হল বিশ্ব সন্ত্রাস দমন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কম্বোজ জানান, অক্টোবরে ভারতে এই কমিটির বিশেষ বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দিল্লি ঘোষণার সঙ্গে এক মত হয়ে সন্ত্রাস দমন কমিটিও স্বীকার করেছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে জঙ্গিরা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    সন্ত্রাসবাদই যে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের শিরঃপীড়ার কারণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদের রক্তচক্ষু গভীর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এর শিকড়। প্রকৃতিগতভাবে এটি ট্রানজিশনাল। এই সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অন্তত এটা এই সময়ের দাবি। রুচিরা কম্বোজ বলেন, ভারত এই কমিটির চেয়ারে রয়েছে। গোটা বিশ্ব যাতে এক যোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার চেষ্টা করবে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, গত ২২ বছর ধরে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ((UNSC)) সংস্কার সাধনের কথা বলে আসছেন। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চিও নড়িনি। তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ দমন শীর্ষক এক বিতর্ক সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে পাঁচটি। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভারত অস্থায়ী সদস্য। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বারংবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নানা সময় ভারত নিয়েছে নির্ণায়কের ভূমিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • World Population: ৮০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁল বিশ্বের জনসংখ্যা, অচিরেই চিনকে টপকে যাবে ভারত!

    World Population: ৮০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁল বিশ্বের জনসংখ্যা, অচিরেই চিনকে টপকে যাবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন বিস্ফোরণ! বিশ্বের জনসংখ্যা (World Population) ছুঁয়ে ফেলল ৮০০ কোটির মাইলস্টোন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা পার হয়েছিল ৪০০ কোটির চৌকাঠ। যার অর্থ, মাত্র ৪৮ বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে বিশ্বের জনসংখ্যা।

    ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা…

    জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৭০০ কোটি। আর এ বছর হল ৮০০ কোটি। অর্থাৎ ১১ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা পেরল ১০০ কোটি। যা রেকর্ড বই কি!  রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। তার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যা।

    রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক গতিতে যে জনসংখ্যা (World Population) বেড়েছে, তার কারণ একদিকে যেমন বেড়েছে গড় আয়ু, তেমনি অন্যদিকে কয়েকটি দেশে সন্তান জন্মের হার অত্যন্ত বেশি। জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং উন্নত ওষুধ আবিষ্কারের কারণে কমেছে মৃত্যুহারও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে জনসংখ্যা।

    আরও পড়ুন: চিনা আগ্রাসন রুখতে পূর্ব লাদাখে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত, জানেন?

    বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যাও। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে যাবে ভারত। তার পরেই ভারতের জনসংখ্যা হয়ে যাবে বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারত ও চিন দুই দেশের জনসংখ্যাই ১৪০ কোটির বেশি। ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চিনের থেকেও ঢের বেশি। কেবল ভারত নয়, গোটা পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়ই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়ই বাস করেন গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ। আর পূর্ব এশিয়ায় বাস করেন ২৬ শতাংশ।

    তবে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালে ভারত চিনকে টপকে গেলেও, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই নিম্নগামী। কারণ ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৩৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছোঁবে ৯০০ কোটির ঘর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার করে মতাদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট (Internet) এবং সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) মাধ্যমগুলিকে হাতিয়ার করে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করছে। এমনকী যুব সম্প্রদায়ের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে তাদের। শনিবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কমিটির এক সম্মেলনে এ কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    নয়াদিল্লিতে চলছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) স্পেশাল মিট। আলোচ্যসূচি, কাউন্টারিং দ্য ইউজ অফ নিউ অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিজ ফর টেররিস্ট পারপাসেস। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন জয়শঙ্কর। তখনই তিনি জানান, কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা হাতিয়ার করছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সন্ত্রাসবাদ যে মানবতার বিরুদ্ধে বড় বিপদ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। উল্লেখ করেন রাষ্ট্রসংঘের চেষ্টার কথাও। তিন বলেন, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত দু দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তার পরেও নির্মূল হয়নি সন্ত্রাসবাদ। তাঁর অভিযোগ, কোনও কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায্য করছে। এশিয়া এবং আফ্রিকায়ও সন্ত্রাসবাদ ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিদেশমন্ত্রীর। সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের সহযোগীরা, বিশেষত মুক্ত সমাজ দ্রুত নিজেদের আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যায় শিক্ষিত করে তুলছে। বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, টাকা ব্যবহার করে, স্বাধীনতা, সহমত ও প্রগতিকে আক্রমণ করে।

    আরও পড়ুন: অর্থায়নের কারণেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদের, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে বললেন এস জয়শঙ্কর

    বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তহবিলে চলতি বছর পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় চার কোটি ১০ লক্ষ টাকা) অনুদান দেবে ভারত। সেই অনুদান থেকে সদস্য দেশগুলির পরিকাঠামো উন্নত করার পাশাপাশি জঙ্গি হামলা মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এদিনের ভাষণে সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধে সতর্ক হতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরের বাইরে এই ধরনের সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে। শুক্রবার শুরু হয়েছে এই বিশেষ সম্মেলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Lifestyle for Environment: দুদিনের সফরে ভারতে আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Lifestyle for Environment: দুদিনের সফরে ভারতে আসছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল (un secretary general) অ্যান্টনিও গুতেরেস দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে। কেবল মোদি নন, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব সাক্ষাৎ করবেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও। দু দিনের সফরে ভারতে আসছেন অ্যান্টনি গুতেরেস। সেই সময়ই তিনি দেখা করবেন মোদি এবং জয়শঙ্করের সঙ্গে। গুতেরেসের মুখপাত্রই এ খবর জানিয়েছেন।

    অক্টোবরের ১৮ থেকে ২০ এই দুদিন ভারত সফরে আসছেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত-রাষ্ট্রসংঘ যৌথভাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। অংশ নেবেন লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট (Lifestyle for Environment) মিশনেও। গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, গুতেরেসের এই দু দিনের ভারত সফরে তিনি দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। গুজরাটের মধেরা গ্রামেও যাবেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল। এই গ্রামেই রয়েছে সূর্য মন্দির। গ্রামটিকে সম্প্রতি একশো শতাংশ সৌরশক্তির গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। গুতেরেসের মুখপাত্র জানান, গুজরাটের মধেরায় গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল চাক্ষুষ করবেন সোলার রুফটপ। ওই গ্রামের ১৩০০ বাড়িতে বসানো হয়েছে ওই রুফটপ। ভারত সফর শেষে গুতেরেস চলে যাবেন ভিয়েতনামে।

    এই প্রথম ভারত সফরে আসছেন গুতেরেস। এর আগে তিনি ভারত সফরে এসেছিলেন ২০১৮র অক্টোবরে। গুতেরেসের ভারত সফরের কথা জানানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফেও। মন্ত্রকের খবর, গুতেরেস প্রথমে মুম্বইয়ের তাজমহল প্যালেস হোটেলে ২৬\১১য় মৃতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করবেন। মুম্বই আইআইটির একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি। অক্টোবরের ২০ তারিখে গুতেরেস সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। গুজরাটের কেভাদিয়ার একতা নগরে লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট (Lifestyle for Environment) মিশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। উদ্বোধন করবেন বুকলেট, লোগো এবং ট্যাগলাইনের। কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করার কথাও রয়েছে গুতেরেসের। পরে মাধেরায় দর্শন করবেন সূর্য মন্দির। প্রধানমন্ত্রীর পর বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবেন গুতেরেস। বিশ্ব উদ্বেগ সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দ্বিপাক্ষিক ওই বৈঠকে।

     

LinkedIn
Share