মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবায় ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ঘটনার পর শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা আতসকাচের তলায়। তার ওপর বহুকাল ধরে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট হয়নি। অথচ হই হই করে চলছে কলেজের ইউনিয়ন রুম! এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। ওই মামলাতেই বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল আদালত।
সব কলেজের ইউনিয়ন রুম বন্ধ!
গত ২৫ জুন কসবার ল’ কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রে এই অভিযোগও সামনে আসে যে রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নরুমে বহিরাগতদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যতদিন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন রুম বন্ধ থাকবে। জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে হবে। নয়তো ইউনিয়ন রুম তালাবন্ধই থাকবে। এই মর্মে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে নোটিশ জারি করতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত।
ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য?
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতিদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, কোনও নির্বাচন না হওয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন চলছে কলেজগুলিতে, যা বেআইনি। এরপরেই, গোটা রাজ্যের সব কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের রুম বন্ধের নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। একইসঙ্গে, ছাত্র ভোট নিয়ে কী ভাবছে রাজ্য? হলফনামা দিয়ে আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কসবা মামলায় কেস ডায়েরি জমার নির্দেশ
অন্যদিকে, কসবা ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে তদন্ত রিপোর্ট এবং কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজকেও হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।