Tag: Unsc

Unsc

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে বিশ্বের ৩৩টি দেশে প্রতিনিধি দল (All Party Delegation) পাঠাচ্ছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর (Operation Sindoor) আরও একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটা হল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিশ্বের দরবারে ঐক্যবদ্ধ ভারতের চেহারাটা তুলে ধরা। সেই ‘মহাভারতের যুগ’ থেকে বিপদের সময় ভারত যে এক হতে পারে, বিশ্বমঞ্চে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়াও এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর আর একটা উদ্দেশ্য।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয় জঙ্গিদের মাথারা। পাক জনগণের ভিড়েও মিশে গিয়েছে কয়েকজন। তার পরেও পাকিস্তান বারবার দাবি করছে, সন্ত্রাস কিংবা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের বিজয় নিয়েও মিথ্যা বক্তব্য পরিবেশন করে চলেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    খোলা হবে পাকিস্তানের মুখোশ

    পাকিস্তানের এই মিথ্যা বলার অভ্যাস এবং দেশটি যে আদতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এবং জঙ্গি তৈরির কারখানা, বিশ্বের দরবারে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারত সরকার তৈরি করেছে ৭টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিটি প্রতিনিধি দলেই শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে একাধিক সাংসদ রয়েছেন। রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৮ জন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য-সহ মোট ৩৩টি দেশে পৌঁছবে এই প্রতিনিধি দলগুলি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, রবিবারের মধ্যেই প্রতিনিধি দলগুলি তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই প্রচার অভিযান চলবে ১০ দিন ধরে। অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেসের শশী থারুর, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ ও বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, ডিএমকের কানিমোঝি ও করুণানিধি, এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। এই উদ্যোগের সমন্বয় করছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    যে দেশগুলিতে যাবে প্রতিনিধি দল

    ভারত যে ৩৩টি দেশ বেছে নিয়েছে, সেগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, ইজরায়েল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার (All Party Delegation), স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইটালি, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর (Operation Sindoor), ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, নাইজিরিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপিন্স।

    গুরুত্বপূর্ণ ২৫

    জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ২৫টি দেশ ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১৫টি দেশ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে আরও ৫টি দেশ। আরও ৫টি দেশ রয়েছে, যারা প্রভাবশালী। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত দেশের কাছে যাচ্ছি, যাদের সংখ্যা ১৫।” বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা ষড়ঙ্গী বলেন, “আমরা এমন পাঁচটি দেশেও যাচ্ছি, যারা শীঘ্রই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে। কিছু নির্দিষ্ট দেশকে বাছাই করা হয়েছে, যাদের কণ্ঠ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়। এই দেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিনিধিরা ২৫টিরও বেশি দেশে যাচ্ছেন।” তিনি জানান (Operation Sindoor), ১৫টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বাকি ১০টি হল অস্থায়ী সদস্য। প্রতি দু’বছর অন্তর বদলে যায় এই অস্থায়ী সদস্যপদ (All Party Delegation)। জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা-র নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হলেন অপরাজিতা। এই দলটি যাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুরে। ইতিমধ্যেই তাঁরা রওনা দিয়েছেন জাপানের উদ্দেশে।

    পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। যে ১০টি দেশ অস্থায়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়, তাদের মেয়াদ দু’বছর। পাকিস্তানের টার্ম শেষ হতে আরও ১৭ মাস বাকি। ভুবনেশ্বরের সাংসদ অপরাজিতা বলেন, “আমাদের সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিভিন্ন দলের সাংসদরা এক সঙ্গে বিভিন্ন দেশে যাবেন এবং সেখানকার আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন, আমাদের অবস্থান তুলে ধরবেন। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ প্রচারে পাকিস্তানের পদ্ধতির নিন্দাও করবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব (Operation Sindoor)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিনিধি দল বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে চায় যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”

    তৃণমূলের কৌশলী চাল!

    যে সাতটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে, তার একটি দলে নাম ছিল সাংসদ তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের। তবে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার এবং (All Party Delegation) পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার পরেও মুখ খোলেননি পাঠান। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণে ইউসুফের বদলে ওই প্রতিনিধি দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ইউসুফকে ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঠানো হলে মুসলমানদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধস নামতে পারে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে (Operation Sindoor)। অতএব…

  • Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    Vikram Misri: ‘অপারেশন সিঁদুর’ একটি লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক অভিযান, বিশ্বকে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালিত হয়েছে, তা লক্ষ্যযুক্ত, পরিমিত এবং অনুত্তেজক। রাষ্ট্রসংঘের (UNSC) ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের এ কথা জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি (Vikram Misri)। তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন গত ২২ এপ্রিল, তা আমাদের কাছে উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী ছিল।” তাঁর ইঙ্গিত, লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ এই হামলার দায় স্বীকার করলেও, পরে সুরক্ষার অজুহাতে পিছিয়ে যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি আদায়ে জোর চেষ্টা করে চলেছে জানিয়ে মিস্রি ওই রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের জানান, এ থেকে স্পষ্ট এখানে কোনও পরিকল্পনা কাজ করছে। এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিক্রিয়া কেবল জঙ্গি লক্ষ্যবস্তুতেই পরিমিত এবং অনুত্তেজক স্ট্রাইকের মধ্যেই ছিল।”

    বর্বরোচিত সন্ত্রাসী আক্রমণ (UNSC)

    এদিকে, পাকিস্তান কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় বেসরকারি পরিকাঠামোগুলিতে নিরন্তর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলাকে বর্বরোচিত আক্রমণ আখ্যা দিয়ে মিস্রি বলেন, “বিশ্ববাসী এর প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পদক্ষেপ কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেই পরিচালিত হয়েছে।” মিস্রি বুধবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি জবাব দেয়, তাহলে ভারতও জবাব দেবে। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অফ কন্ট্রোল বরাবর গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি জানান, ভারত পাকিস্তানের কোনও সামরিক কাঠামোয় আঘাত করেনি, আঘাত করেছে জঙ্গি সংগঠনগুলির ৯টি ঘাঁটিতে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তান যদি অসামরিক পরিকাঠামোয় হামলা করে, তাহলে ভারতও জবাব দেবে।

    ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে

    বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মিস্রি বলেন, “ভারতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে যে, তারা যে ৯টি জায়গায় আঘাত হেনেছে, সেগুলি ব্যবহৃত হত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও অভিযানের ঘাঁটি হিসেবে।” জানা গিয়েছে, জঙ্গি পরিকাঠামোটি এমন একটি কমপ্লেক্সে অবস্থিত যেখানে মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ছাত্রাবাস ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার এলাকা রয়েছে। ভারত এই কমপ্লেক্সগুলিকে আঘাত করেছে, যা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। মিস্রি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মিশন সমস্ত ইউএনএসসি (UNSC) সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। মিস্রি (Vikram Misri) বলেন, ‘‘হত্যার পদ্ধতির মাধ্যমে নিহতদের পরিবারবর্গকে ইচ্ছাকৃতভাবে মানসিক আঘাত দেওয়া হয়েছিল, সঙ্গে এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল যে তারা যেন এই সংবাদ পৌঁছে দেয়। এই হামলার পেছনে স্পষ্ট উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফিরে আসাকে ব্যাহত করা।’’

    ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ’’

    ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “ভারতীয় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের ওপর নজরদারি করছে এবং ভারতে আরও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ‘‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্যে জানা গিয়েছে যে ভারতে আরও হামলা হতে পারে। তাই, প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য বাধ্য হয়েই ভারত সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের পদক্ষেপগুলি পরিমিত, উত্তেজনা না বাড়ানো, সমানুপাতিক ও দায়িত্বশীল ছিল। এগুলি কেবল জঙ্গিদের পরিকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত ছিল (UNSC)।’’

    পহেলগাঁওকাণ্ডের বদলা

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পরেই সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশনের নামও ঠিক করে দেন তিনি – ‘অপারেশন সিঁদুর’। মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সূত্রের খরব (Vikram Misri)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় সেনার তরফে। সেখানে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান,  মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অসামরিক মানুষ ও তাঁদের পরিকাঠামোর ক্ষতি যাতে না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহতদের ও তাঁদের পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ৯টি জঙ্গি শিবির সফলভাবে ধ্বংস করা হয়। বেসামরিক পরিকাঠামোর ক্ষতি বা প্রাণহানি এড়াতেই এই জায়গাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছিল (UNSC)।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশিও। তিনি জঙ্গি শিবির ধ্বংসের ভিডিও চিত্র তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে সরকার জানিয়েছিল, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে (Vikram Misri)।

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    India At UN: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত ভারতের, বললেন প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বের তৃতীয় সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া (India At UN)। কথাগুলি ভারতের কোনও কর্তা ব্যক্তি বলেননি। বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান (Ex UNSC Chief) তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ কিশোর মাহবুবানি। তিনি সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন কূটনীতিকও। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রয়েছে তার একটি ব্রিটেন। তাদের উচিত ভারতের জন্য সরে দাঁড়ানো।”

    কী বললেন মাহবুবানি? (Ex UNSC Chief)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাহবুবানি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের পর ভারত আজ নিঃসন্দেহে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শক্তিশালী দেশ (India At UN)। গ্রেট ব্রিটেন আর গ্রেট নয়।” তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।” ২০০১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০০২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান ছিলেন মাহবুবানি। তিনি জানান, প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ব্রিটেন দশকের পর দশক ধরে তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি। এর পরেই তিনি বলেন, “ব্রিটেনের উচিত তার আসনটি ভারতকে ছেড়ে দেওয়া।”

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারত রয়েছে (Ex UNSC Chief) পাঁচ নম্বরে। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা ছিল ব্রিটেনের দখলে। ব্রিটেনকে হঠিয়ে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত (India At UN)। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে এক ধাপ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ পাঁচটি। এগুলি হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, চিন, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। ভারত সাধারণ সভার সদস্য হয়েছে ৮ বার। যেহেতু ক্রমেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ওপরের দিকে উঠছে ভারত, তাই নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শুধু বিচার চাই’’, আরজি করকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    ভারত (India At UN) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক, চায় আমেরিকাও। রাশিয়াও চায়। তবে চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে এখনও অবধি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারেনি ভারত। পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্যা না বাড়লে ভারতের ঢোকার জায়গাও নেই। সেই কারণেই ব্রিটেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রাক্তন প্রধান। ভারত জি৪-এর সদস্য। এর আরও তিন সদস্য রাষ্ট্র হল ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান। এরা প্রত্যেকেই একে অন্যের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন করে (Ex UNSC Chief)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    Indias Nuclear Test: পোখরানে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ৫০ বছর, জানেন দিনটির গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ে পায়ে পেরিয়ে এসেছি পঞ্চাশ বছর। ১৯৭৪ সালের ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত (Indias Nuclear Test)। অপারেশনের নাম ছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। পারমাণবিক এই অস্ত্র পরীক্ষার আগে পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাকপক্ষীতেও টের পায়নি। পরীক্ষার পরে পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘটনাটিকে “শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিস্ফোরণ” বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভারত ‘নিউক্লিয়ার ক্যাপাবিলিটির লিগ অফ নেশনসে’র তালিকায় ঢুকে পড়েছিল।

    পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার খবর (Indias Nuclear Test)

    পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার (Indias Nuclear Test) ঠিক পরের দিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে ফলাও করে বেরিয়েছিল ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সেই খবর। খবরে এও বলা হয়েছিল, মাটির নীচে এই পরীক্ষা হয়েছে। প্লুটোনিয়ামের এই ডিভাইসের রেঞ্জ ১০-১৫ কিলোটন। খবরে এও বলা হয়েছিল, ভারতের অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান ড: এইচএন শেটনা এবং ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর ড: আর রামান্না যাঁরা পরীক্ষার তদারকি করেছিলেন, বিস্ফোরণের পরেই দ্রুত উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে।

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’

    ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’ অপারেশনের পর ভারতই প্রথম দেশ যারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের সঙ্গে এক সারিতে বসার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র হল আমেরিকা, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ব্রিটেন। পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। সমালোচকদের বক্তব্য ছিল, ১৯৭০ সালে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই পোখরানে পারমাণবিক পরীক্ষা ভারতের। যদিও অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “এই পরীক্ষার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক চাল নেই। যা রয়েছে, তা হল আমার নিজস্ব সিদ্ধান্ত।”

    আর পড়ুন: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার রূপায়িত হলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ”, বললেন মোদি

    ১৯৪৫ সালে শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে নিহত হন লক্ষাধিক মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন রাশিয়ার ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরেই অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ওই মানুষদের। ১৯৬৮ সালে ন্যূনতম শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশে স্বাক্ষরিত হয় ‘পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ চুক্তি’ (এনপিটি)। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল পারমাণবিক অস্ত্রধারী বিভিন্ন দেশ। এর ঠিক ছ’বছর পরেই পোখরানে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। এই পরীক্ষার পরে দীর্ঘদিন কার্যত হাত গুটিয়ে বসেছিল ভারত। ১৯৯৮ সালে ফের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করে নয়াদিল্লি। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। এই অপারেশনের নাম ছিল ‘শক্তি’ (Indias Nuclear Test)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    India US Relation: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, ফের রাষ্ট্রসংঘে সুর চড়াল আমেরিকাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা হোক ভারতকে। দিন কয়েক আগে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এমনই দাবি করেছিলেন (India US Relation)। এবার তাঁর সুরে সুর মেলাল আমেরিকাও। যদিও মাস্কের ঢের আগেই এই একই দাবি জানিয়েছিল জো বাইডেনের দেশ। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ৫। এই দেশগুলির প্রত্যেকেরই ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের দাবি (India US Relation)

    বাকি চার দেশ ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেও, চিনের ভেটোর জেরে প্রতিবারই ছিটকে যেতে হয়েছে ভারতকে। লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির তরফে যে ইস্তাহার (সঙ্কল্পপত্র) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও বলা হয়েছে ভারতকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যে পরিণত করতে জোরদার চেষ্টা চালানো হবে। এহেন (India US Relation) আবহেই মাস্ক দাবি করলেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত ভারতের। একই দাবি আবারও করল আমেরিকা।

    কী বললেন বেদান্ত প্যাটেল?

    বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ পেতে বাড়তি সমর্থন মিলেছে।” মাস্কের দাবির প্রেক্ষিতে বেদান্ত বলেন, “প্রেসিডেন্ট (জো বাইডেন) এ ব্যাপারে আগেও বলেছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রায় সব সাধারণ সভায়। সেক্রেটারি সে বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা চাই নিরাপত্তা পরিষদ-সহ রাষ্ট্রসংঘের সব ক্ষেত্রে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা বাস করছি একবিংশ শতাব্দীতে। রাষ্ট্রসংঘে সংস্কারের যে প্রয়োজন রয়েছে, তা আমরা স্বীকার করি।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরও বেশি করে ভোট দিন’’, পাঁচ ভাষায় প্রথম বারের ভোটারদের আবেদন মোদির

    জানুয়ারি মাসেই টেসলার সিইও মাস্ক বলেছিলেন, “নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্য পদ নেই, এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।” এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে মাস্ক লিখেছিলেন, “কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের কাঠামোয় সংস্কার সাধন করা প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হল, যে সব দেশের হাতে প্রভূত ক্ষমতা রয়েছে, তারা তা ছাড়তে রাজি নয়। ভারতের মতো জনবহুল একটি দেশের নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই না হওয়াটা আশ্চর্যের বিষয়। সামগ্রিকভাবে আফ্রিকারও স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (India US Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    Narendra Modi: ‘‘বাদ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’’! নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত (India)। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের তালিকায় নেই তারা। তাহলে তো রাষ্ট্রসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে!ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য মোদির।

    রাষ্ট্রসংঘে স্থায়ী সদস্যপদের দাবি

    ফ্রান্স (France) সফরের আগে সেদেশের প্রথম অর্থনৈতিক সংবাদপত্র ‘লেজেকো’-কে সাক্ষাৎকার দিলেন মোদি (Narendra Modi)। ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে বিশ্ব রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে যুদ্ধ নয়, যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  সন্ত্রাস মুক্ত বিশ্বই ভারতের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান। দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। অথচ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (United Nations Security Council) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নেই। এখানেই প্রশ্ন থেকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের দাবি, গোটা বিশ্বের হয়েই তারা কথা বলে। কিন্তু সেখানে যদি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রই না থাকে, তাহলে কি এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলা যায়? শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা নয়, আরও বড় প্রশ্ন ওঠে রাষ্ট্রসংঘের এহেন আচরণে।”

    বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত

    বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যভুক্ত দেশগুলি হল আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন। ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য একমাত্র চিন ছাড়া বাকি দেশগুলি সম্মতি দিয়েছে। স্থায়ী সদস্যগুলির মধ্যে যে কোনও একজনের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা থাকায়, চিনের আপত্তিতে স্থায়ী সদস্যপদ পাইনি ভারত। তবে, ফ্রান্স সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) স্থায়ী সদস্যপদের সওয়াল, যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য থাকা সত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে পেরেছি আমরা। বৈচিত্র্যের মধ্যেও ঐক্য বজায় রাখা যায়, সেটাই দেখাতে পারে ভারত। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যোগ্য স্থান দিতে হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে।”

    আরও পড়ুন: ফ্রান্সের উদ্দেশে রওনা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, দুদিনের সফরে কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    সাক্ষাৎকারে ‘পশ্চিমী মূল্যবোধের সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন মোদি (Narendra Modi)। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি কোণায় দর্শন ও সংস্কৃতির কথা বিবেচনা করতে হবে। পুরনো ধারণা ত্যাগ না করলে পৃথিবী কখনই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে পারবে না। পৃথিবী একটাই। কিন্তু এখানে অনেক দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গি আছে।’ পাশাপাশি যোগ ও আয়ুর্বেদের পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, যোগ আজ একটি পারিবারিক শব্দ। তিনি বলেন, প্রাচীন কাল থেকে ভারতে আয়ুর্বেদ চর্চা হয়েছে আসছে। বিশ্ব জুড়ে যোগ ও আয়ুর্বেদ চর্চাকে ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

    মহাসচিবের বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে জইশ জঙ্গিনেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ভারতকে বাধা চিনের

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে জইশ জঙ্গিনেতাকে কালো তালিকাভুক্ত করতে ভারতকে বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পথে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা আব্দুল রউফ আজহারকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব রেখেছিল ভারত। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে চিন। 

    জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই রউফের জন্ম পাকিস্তানে ১৯৭৪ সালে। ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান অপহরণ কাণ্ড সহ ভারতে একাধিক নাশকতামূলক ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে রউফ জড়িত। কোথাও হামলার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা তো কোথাও জঙ্গি হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া। ২০০১ সালে পার্লামেন্টে হামলা ও ২০১৬ সালে পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার সময়ও রউফ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তদন্তে উঠে এসেছিল। 

    আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কাশ্মীরে জি২০-র বৈঠক, বানচাল করতেই কি লাগাতার জঙ্গি হামলা?

    জানা গিয়েছে, পরিষদের (UNSC) ১২৬৭ আইএসআইএল এবং আল কায়দা নিষেধাজ্ঞা তালিকায় আব্দুল রউফের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু, সেই প্রস্তাবে আপত্তি তোলে বেজিং। ২০১০ সালে রউফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে, গত বছরের অগাস্ট মাসে রউফকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করার যৌথ প্রস্তাব রেখেছিল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাব কার্যকর হলে বিশ্বব্যাপী রউফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হত। তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ হত। কিন্তু, তখনও সেই প্রস্তাবেও ‘ভেটো’ দিয়েছিল পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য চিন। 

    পাকিস্তানের ‘সব-ঋতুর বন্ধু’ বলে পরিচিত চিন। গত বছর একইভাবে নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) তোলা হাফিজ সঈদ, লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি শাহিদ মাহমুদ এবং সাজিদ মিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও আটকে দিয়েছিল বেজিং। একইভাবে, গত বছরই লস্করের ডেপুটি প্রধান আব্দুল রেহমান মাক্কিকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রস্তাবেও আপত্তি জানিয়েছিল চিন। যদিও, গত জানুয়ারি মাসে হাফিজের ভাই মাক্কির ওপর থেকে চিন আপত্তি তুলে নেওয়ায় তাকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করা হয়।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত! ‘জবাবেরও অযোগ্য’, নস্যাৎ নয়াদিল্লির

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত! ‘জবাবেরও অযোগ্য’, নস্যাৎ নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি (Jammu & Kashmir) নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা করল পাকিস্তান (Pakistan)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক বিতর্কে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি উপত্যকার শান্তিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলতে চেষ্টা করেন। যদিও তাঁর অভিযোগ নস্যাৎ করে নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ‘‘পাক বিদেশমন্ত্রীর ঘৃণ্য, ভিত্তিহীন মন্তব্য জবাব দেওয়ারই যোগ্য নয়।’’

    পাকিস্তানের দাবি খারিজ ভারতের

    রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিতর্কে’ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে বিলাবল অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র কাশ্মীরের মহিলাদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে! তারই জবাবে রুচিরা বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মাফিক বিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে পাকিস্তান।’’ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রমাগত ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন বিলাবল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেছেন তিনি।  ফেব্রুয়ারিতে পাক সরকার আয়োজিত ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ কর্মসূচিতে ভারতকে আক্রমণ করে বিলাবল বলেন, “কাশ্মীরিদের নিজভূমেই একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। কাশ্মীর উপত্যকায় পরিকল্পনামাফিক অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দাদের বসতি স্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে ভারত সরকার। এর ফলে কাশ্মীরের ভূমিপুত্রদের অধিকার খর্ব হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর মন্তব্যের  তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয় ভারতের তরফে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের  প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ পাক মন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কটাক্ষ করেন। পাক মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ জম্মু কাশ্মীর নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তা ভারতের তরফে খারিজ করা হচ্ছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন রুচিরা। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যে মিথ্যাচার করছে, তার জবাব দেওয়ার অযোগ্য বলে ভারত মনে করে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে এমনই জানান ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share