Tag: Up

Up

  • Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    Yogi Adityanath: ১৯৭৮ সালের সম্ভল হিংসা মামলা পুনরায় খোলার নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪৭ বছরের পুরানো একটি হিংসার (Sambhal Riot) রিপোর্ট চাইল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল এলাকায় সেই হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ। দুই গোষ্ঠীর হিংসার জেরে প্রাণ গিয়েছিল বহু মানুষের।

    মৃত্যুর দীর্ঘ তালিকা

    সরকারি রিপোর্ট বলছে, হিংসায় মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। যদিও সেই হিংসার হাত থেকে যাঁরা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাঁদের বিবৃতি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে, ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। দখল করে নেওয়া হয়েছিল ঘরবাড়ি, দোকানদানি। হিংসার জেরে গৃহহীন হয়েছিলেন বহু মানুষ। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে নামে প্রশাসন। দু’মাসের জন্য জারি করা হয়েছিল কারফিউ। দায়ের হয়েছিল ১৬৯টি মামলা। যদিও সিংহভাগ অভিযুক্তকেই চিহ্নিত করা যায়নি।   

    আরও পড়ুন: গোধরাকাণ্ডের পর কীভাবে নিজের আবেগ সামলেছিলেন, পডকাস্টে খোলসা করলেন মোদি

    নথি হস্তান্তরের নির্দেশ

    ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি মোরাদাবাদ কমিশনার অঞ্জনেয় সিং সম্ভলের জেলাশাসক রাজেন্দ্র পেনসিয়াকে ওই হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারি সম্ভল পুলিশ সুপার (এসপি) কেকে বিষ্ণোইয়ের একটি চিঠির প্রেক্ষিতে। এই চিঠিতে তিনি উত্তরপ্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য শ্রীচন্দ্র শর্মার পুনঃতদন্তের দাবির কথা জানান। শর্মার চিঠিতে হিংসায় হতাহতের সংখ্যা এবং এর পরিণতি নিয়ে বিশদ তদন্ত দাবি করা হয়। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি নিয়ে সম্ভল পুলিশের কাছে দুটি চিঠি এসেছে। এর একটি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের সহ-সচিবের কার্যালয়ের তরফে। অন্য চিঠিটি পাঠানো হয়েছে পুলিশ সুপার (মানবাধিকার) এর পক্ষ থেকে। এর পরেই পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের মধ্যে এ নিয়ে চিঠি চালাচালি হয়। পরে স্থির করা হয়, একটি সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পুলিশের দাবি, আঠাত্তরের হিংসা নিয়ে আরও গভীর তদন্ত করতেই এই রিপোর্ট (Sambhal Riot) চাওয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা জমা করা হবে।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিধানসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্ভলের সাম্প্রদায়িক হিংসার একটি ঐতিহাসিক ধারার কথা তুলে ধরেন। যা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সালে, স্বাধীনতার সময়। তিনি জানান, সম্ভলে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৭, ১৯৪৮ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে। ১৯৭৮ সালের হিংসা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৮ সালে ১৮৪ জন হিন্দুকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে কারফিউ জারি ছিল। এরপর ১৯৮০-১৯৮২, ১৯৮৬ এবং ১৯৯০ সালেও আবারও হিংসার ঘটনা ঘটে। যেখানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিলেন বহু মানুষ।”

    বিরোধীদের তুলোধনা

    বছরের পর বছর নীরব থাকায় এদিন বিরোধীদের তুলোধনা করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “সম্ভলের বজরংবলী মন্দির, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে সেই ১৯৭৮ সাল থেকে।” ১৯৭৮ সালের ওই মর্মান্তিক ঘটনা অসংখ্য বেঁচে থাকা মানুষকে ঠেলে দিয়েছিল এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। অনেকের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ওই হিংসার সময় তাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল (Sambhal Riot)। তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সুরক্ষাও দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ভিটেছাড়া হওয়ার মানসিক যন্ত্রণা এবং তাদের ক্ষতির প্রতি উপেক্ষার অভিযোগও করেছেন।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    স্থানীয় (Yogi Adityanath) বাসিন্দারা জানান, আনুষ্ঠানিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকৃত ট্র্যাজেডির মাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কম করে দেখানো হয়েছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপরাধীদের রক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল, তার ফলে কয়েক দশক ধরে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আবারও সাম্প্রদায়িক সংবেদনশীলতাকে উদ্দীপিত করেছে। গত ডিসেম্বর মাসে প্রশাসন শহরের একটি “প্রাচীন মন্দিরের দ্বার ফের খুলে দেয় পুণ্যার্থীদের জন্য। তা নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে শাহী জামা মসজিদের একটি আদালত নির্দেশিত সমীক্ষায় বাধা দেওয়া হয়। সেখানে মুসলিম জনতার বিরোধিতার মুখে পড়েন কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ এই ঘটনাগুলিকে সম্ভলের শান্তি বিঘ্নিত করার এবং ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা নষ্ট করার চেষ্টার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

    এসপি কেকে বিষ্ণোই বলেন, “একটি সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা আদালত ও পুলিশের রেকর্ড থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি, যাতে মামলাগুলি এবং মৃত্যুর কারণ পুনর্মূল্যায়ন করা যায়।” কমিশনার বলেন, “বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উত্থাপিত জমিজমা-সম্পর্কিত যে কোনও বিরোধ আইনি উপায়ে সমাধান করা হবে। যদি সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অধিগ্রহণ করা (Sambhal Riot) হয়, তাহলে সেগুলি প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    Mahakumbh 2025: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি-পর্ব। এই শহরই সাক্ষী হয়ে উঠছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে সনাতন ধর্ম প্রচারের এক অভূতপূর্ব উদ্যোগের। মুখ্যমন্ত্রী যোগীর স্লোগান, “বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে” (বিভাজন ধ্বংস ডেকে আনে), দেশের বিভিন্ন স্থানের সাধুদের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।

    সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ

    তাঁরা তাঁদের সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Yogi) সনাতন ধর্মের পুনর্জাগরণ ও আধুনিক যুগে তাঁর বিকাশের অগ্রদূত হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তাঁদের মতে, মহাকুম্ভ ২০২৫-এর অতুলনীয় পরিসর সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে। সঙ্গম এলাকার চারপাশে বড় বড় হোর্ডিংগুলিতে সনাতন ধর্ম প্রচারের বার্তা দেওয়া হয়েছে। নানিজ ধাম দক্ষিণ পীঠের জগদগুরু রামানন্দাচার্য নরেন্দ্রাচার্যের একটি বিশাল পোস্টারে লেখা হয়েছে, “সনাতন শান্তিপূর্ণ, দুর্বল নয়।”

    যোগী “যুগ পুরুষ”

    হিন্দু ঐক্য ও সনাতন মূল্যবোধের প্রতি ভক্তি জাগাতে জোর দেওয়া বিভিন্ন স্লোগান ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা ও গর্বের উদ্রেক করছে (Mahakumbh 2025)। দক্ষিণ পীঠ থেকে অযোধ্যা ধাম পর্যন্ত সাধুরা মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে “যুগ পুরুষ” অভিধায় ভূষিত করেছেন। অযোধ্যার শ্রী রাম বৈদেহী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তথা রঘুবংশ সংকল্প সেবার প্রধান, স্বামী দিলীপ দাস ত্যাগী মহারাজ, মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে একজন ধর্মপরায়ণ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    ত্যাগী মহারাজ বলেন, “উত্তরপ্রদেশে বহু মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। তবে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো এত বিশাল ও মহৎ মহাকুম্ভের আয়োজন করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর মহাকুম্ভ নগরে ঘন ঘন পরিদর্শন তাঁর ভক্তদের কল্যাণ ও সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতি আন্তরিক প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” ত্যাগী মহারাজের মতে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi) কেবল উত্তরপ্রদেশের ভক্তদের প্রয়োজন পূরণ করছেন না, বরং সারা দেশের তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা এবং নির্বিঘ্ন আয়োজন নিশ্চিত করতে তাঁর নিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    Mahakumbh 2025: ১৪০০ বছর আগেও কুম্ভমেলায় এসেছিলেন চিনা পর্যটক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ (Mahakumbh 2025) বলা হয়। ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি চিনাদেরও কাঙ্খিত গন্তব্য হয়ে উঠেছে (Prayagraj)। এই স্থায়ী সম্পর্কের শুরু ৭ম শতকে, যখন খ্যাতনামা চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং এই অঞ্চলে আসেন এবং এর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করেন। প্রায় ১৬ বছর ধরে ভারতবর্ষ ঘুরে দেখেন তিনি।

    “সি-ইউ-কি” (Mahakumbh 2025) 

    তাঁর বই “সি-ইউ-কি”-তে হিউয়েন সাং বিশেষভাবে ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজা হর্ষবর্ধনের শাসনকালের প্রশংসা করেছেন। এই বইতে প্রয়াগরাজের প্রচুর শস্য, অনুকূল আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যকর সুবিধাগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফলদায়ক গাছগুলির উপস্থিতি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক আকর্ষণও উল্লেখ করেন। চিনা পর্যটকের শহরের নম্রতা, বুদ্ধিবৃত্তিক সাধনা এবং প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে প্রশংসা আজও প্রাসঙ্গিক।

    প্রয়াগরাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব

    প্রয়াগরাজের (Mahakumbh 2025) ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে হিউয়েন সাংয়ের বর্ণনায়, যেখানে তিনি শহরের বিশাল ধর্মীয় উৎসবের কথা বলেছেন। তাঁর বর্ণনা থেকেই জানা যায়, সেখানে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন উপমহাদেশের বিভিন্ন কোণ থেকে আসা রাজা ও শাসকরাও। গঙ্গা ও যমুনা নদীর মধ্যে শহরের কৌশলগত অবস্থান, এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তৈরিতে করতে সহায়ক ছিল।

    হিউয়েন সাং যে সব মন্দিরে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি হল পাটালপুরী মন্দির। এই মন্দির গুরুত্বপূর্ণ তার অলৌকিক বিস্ময়গুলির জন্য। হিউয়েন সাং উল্লেখ করেছেন যে ভক্তরা বিশ্বাস করতেন, মন্দিরে একটি মুদ্রা দান করা মানে হাজার মুদ্রা দান করা। মন্দিরের উঠোনে রয়েছে একটি পবিত্র গাছ, অক্ষয়বট। বিশ্বাস করা হয়, যে এর নীচে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    এছাড়াও গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হন। হিউয়েন সাং লিখেছেন, ধনী তীর্থযাত্রীরা সঙ্গমে স্নান করে তাদের ধন-সম্পদ দান করে চলে যেতেন। এই প্রাচীন প্রথা আজও বহমান, এবং মহাকুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ (Prayagraj) হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    Uttar Pradesh: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস খ্যাত ২৫০ বছরের পুরানো মন্দির। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়েরি অঞ্চলের এই মন্দির চার দশক ধরে দখল করে রেখেছিল জনৈক ওয়াজিদ আলি ও তার পরিবার। গঙ্গা মহারানির (Ganga Maharani Mandir) সেই মন্দিরই দখলমুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। কিলা এলাকার কাটঘরে অবস্থিত এই মন্দিরটি রাকেশ সিংয়ের পূর্বপুরুষদের দ্বারা নির্মিত। আধ্যাত্মিক তো বটেই, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির।

    পাহারাদারের মন্দির দখল (Uttar Pradesh)

    ইসলামপন্থী ওয়াজিদ আলি ছিলেন এই মন্দিরের পাহারাদার। ধীরে ধীরে মন্দির প্রাঙ্গন দখল করে নেন তিনি। পরে পুজো বন্ধ করে দেন। মন্দিরের দরজায় ঝুলিয়ে দেন তালা। অভিযোগ, ওয়াজিদ মন্দিরের মূর্তিগুলি সরিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ছিল একটি সাদা শিবলিঙ্গও। বিগ্রহগুলি সরিয়ে ওয়াজিদ সেখানে তুলে দেন ইসলামি পতাকা। স্বাভাবিকভাবেই মন্দিরে আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায় ভক্তদের। মন্দিরটি একসময় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার কেন্দ্র ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে পুজো-অর্চনা বন্ধ করে দেন ওয়াজিদ। বছরের পর বছর ধরে মূল ট্রাস্টিদের বংশধর রাকেশ সিংহ এবং হিন্দু সংগঠনগুলো জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়ার হুমকি টাইকুন এস আলমের?

    মন্দিরের জমি দখল মুক্ত

    একটি দৈনিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার তদন্তের নির্দেশ দেন। এসডিএম সদর গোবিন্দ মৌর্য এবং সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা জায়গাটি পরিদর্শন করেন এবং মালিকানার নথি যাচাই করেন। তদন্তে দেখা যায়, মন্দিরের জমি ১৯০৫ সাল থেকে গঙ্গা মহারানি ট্রাস্টের অধীনে নিবন্ধিত ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই খারিজ হয়ে যায় ওয়াজিদ আলির আইনি দখলের দাবি। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা সমবায় সমিতির একজন প্রহরী ছিলেন (Uttar Pradesh)। সেখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তবে, সমবায় সমিতির সচিব বিকাশ শর্মা স্পষ্ট করেন যে ওয়াজিদ বা তার বাবার কোনও চাকরির রেকর্ড তাঁদের কাছে নেই। ২০ ডিসেম্বর, জেলা প্রশাসন, এসপি সিটি মনীশ পারিখের নেতৃত্বে, উচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে। এর পরেই ওয়াজিদ ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ২১ ডিসেম্বর পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় মন্দির (Ganga Maharani Mandir)। অভিষেক-পুজোপাঠও হয় ওই দিনই (Uttar Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    Yogi Adityanath: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা ইজরায়েলে ছেলে পাঠাচ্ছি আর কংগ্রেস ব্যাগ নিয়ে ঘুরছে।” ঠিক এই ভাষায়ই কংগ্রেস নেত্রী তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। দিন কয়েক আগেই প্যালেস্তাইনের গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময় তাঁকে নিশানা করেছিল বিজেপিও। সোমবার কাঁধে প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ ঝুলিয়ে সংসদে যান প্রিয়ঙ্কা। তারই প্রেক্ষিতে সোনিয়া-তনয়াকে ধুয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বললেন যোগী?

    এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা সাড়ে পাঁচ হাজারের ওপর যুবককে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। অথচ একজন কংগ্রেস নেত্রী প্যালেস্তাইন লেখা ব্যাগ নিয়ে পার্লামেন্টে ঘুরছেন। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেরা গিয়ে সেখানে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তাঁরা মাসে অন্তত দেড় লাখ টাকা বেতন পান। শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েল সরকার তাঁদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে।” এর আগে এই ব্যাগ নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে বিঁধেছিলেন সাংসদ বিজেপির গুলাম আলি খাতনা। তিনি বলেছিলেন, “খবরে আসার জন্য অনেকে এমন কাজ করেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করলে মানুষ এরকমই পথ অনুসরণ করে থাকেন।”

    আরও পড়ুন: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ

    ইজরায়েলে বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কাজ করতেন প্যালেস্তাইনের কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর বদলে গিয়েছে পুরো পরিস্থিতি (Yogi Adityanath)। গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে অধিকাংশকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে ফেলেছে ইজরায়েল। সেই ‘শূন্যস্থান’ই পূরণ করছে ভারত। গত বছরের নভেম্বরে এক লাখ ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজরায়েল। এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ইহুদি দেশটিতে কাজ করতে গিয়েছেন ছ’ হাজারের ওপর ভারতীয়। এখনও বহু যুবক কাজ করতে এদেশ থেকে ইজরায়েলে যাচ্ছেন। এঁদের একটা বড় অংশই উত্তরপ্রদেশের। এদিন প্রিয়ঙ্কাকে নিশানা করতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনলেন (Priyanka Gandhi) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Yogi Adityanath: “৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি ভক্তের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে”, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই মন্দির রাতারাতি উদ্ভব হয়নি। এই মন্দির আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য ও ইতিহাসের সত্যের প্রতীক।” সম্ভালের (Sambhal Temple) মন্দির প্রসঙ্গে কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ ছিল সম্ভালের একটি মন্দির। রবিবার খোলে সেই মন্দিরের দ্বার। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ নিয়ে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ৪৬ বছর আগের স্মৃতিচারণ করেন। সেই হিংসায় বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন বহু মানুষ।

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন? (Yogi Adityanath)

    আদিত্যনাথের প্রশ্ন, “যে গণহত্যা ঘটেছিল, সেই ঘটনায় দোষীদের কেন আজও বিচারের আওতায় আনা যায়নি?” তিনি বলেন, “ওরা সত্য দমন করতে চায়। কলঙ্কিত করতে চায় কুম্ভের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিকে।” আদিত্যনাথ বলেন, “সত্যের কণ্ঠস্বর প্রায়ই হুমকির সম্মুখীন হয় এবং স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়। সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের অ্যান্টি-এনক্রোচমেন্ট অভিযানের পর কয়েক দশক পর ফের খোলা হয়েছে মন্দির।” তিনি মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এখানে প্রাচীন বজরংবলীর মূর্তি ও একটি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে।

    চিরন্তন ঐতিহ্য

    তিনি বলেন, “এই মন্দির এক রাতের মধ্যে প্রকাশিত হয়নি। এটি আমাদের চিরন্তন ঐতিহ্য এবং আমাদের ইতিহাসের সত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৪০ কোটি ভক্ত আসবে আশা করা হলেও, ৪৫ দিনব্যাপী মহাকুম্ভে ১০০ কোটি লোকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার মূল মুহূর্তে আনুমানিক ৬ কোটি ভক্ত পবিত্র স্নান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেদিন অবশ্য ১০ কোটি ভক্তের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ২০১৯ সালের কুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে তিনি (Yogi Adityanath) বলেন, “যাঁরা ২০১৯ সালের কুম্ভ দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই দেখেছেন কীভাবে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এই অনুষ্ঠান পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সুসংগঠিত হয়েছিল। আগে এই অনুষ্ঠান ময়লা, বিশৃঙ্খলা, হুড়োহুড়ি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভরা ছিল। বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে এক মহিমান্বিত এবং ঐশ্বরিক অনুষ্ঠানে।”

    আরও পড়ুন: “রামমন্দিরের শ্রমিকরা সম্মান পেয়েছেন, তাজমহলের সময় আঙুল কাটা হয়েছিল”, বললেন যোগী আদিত্যনাথ

    কংগ্রেস ও বিরোধীদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওরা ভারতের ঐতিহ্যের একচেটিয়া মালিকানা দাবি করে। কিছু মানুষ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার স্বঘোষিত চুক্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ বইটিকে এমনভাবে দেখায় যেন এটি এই (Sambhal Temple) দেশের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ।” তিনি বলেন, “২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর শ্রী রাম জন্মভূমি নিয়ে ঐতিহাসিক সুপ্রিম কোর্টের রায় বহু দশকের পুরনো বিতর্কের সমাধান করেছিল। তবুও, কিছু মানুষ এখনও যাঁরা ওই রায় দিয়েছিলেন, তাঁদের হুমকি দিয়ে চলেছেন (Yogi Adityanath)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    Mahakumbh 2025: নারীর ক্ষমতায়ন! ত্রিবেণী সঙ্গমের মহাকুম্ভে ক্যান্টিন চালাবেন গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে হবে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এই মেলাই হতে চলেছে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের উৎস (Economic Growth)। রাজ্য জীবিকা মিশনের অধীনে গ্রামীণ অঞ্চলের স্ব-সহায়ক গ্রুপগুলির মহিলাকে মহাকুম্ভ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল এবং দোকান বরাদ্দ করা হবে।

    গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়ন (Mahakumbh 2025)

    রাজ্য জীবিকা মিশনের দ্বারা পরিকল্পিত পুরো পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে লক্ষ্য রেখে করা হয়েছে। মাঘ মেলা, কুম্ভ মেলা বা মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠানগুলি লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। এই সব আচার-অনুষ্ঠানে খাবার, স্ন্যাকস ও গৃহস্থালীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। এই মিশনের লক্ষ্য গ্রামীণ মহিলাদের মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা।

    ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব

    ডেপুটি কমিশনার এনআরএলএম রাজীব কুমার সিং জানান, পরিকল্পনাটির মধ্যে মহিলাদের মেলা প্রাঙ্গণে পাঁচটি ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কুম্ভ মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে এই মহিলাদের জন্য প্রতিটি সেক্টরে ১০টি করে দোকান বরাদ্দ করার একটি প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেলার সরস হাট সেকশনে ৪০টিরও বেশি দোকান রয়েছে। এই উদ্যোগটি ৫,০০০-এরও বেশি গ্রামীণ মহিলার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) গ্রামীণ মহিলাদের তৈরি স্টল এবং দোকানে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলি প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের ব্র্যান্ডিংকে প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হবে, যা শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রাম্য রাস্তায় এর পরিচিতি ছড়িয়ে দেবে।”

    আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি শ্রদ্ধা, পতাকা দিবস তহবিলে দান করার আবেদন শাহের

    উপজেলা কমিশনার রাজীব কুমার সিংয়ের মতে, এই স্টলগুলিতে বিভিন্ন ধরণের বহুমুখী পণ্য থাকবে। মহাকুম্ভের সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান সহ মাফলার তৈরি করা হচ্ছে যাতে উষ্ণতা বজায় থাকে। তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা সেলফি ক্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যা শীত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি সেলফির জন্য স্টাইলিশ টাচ প্রদান করবে।”

    একলব্য আজীবিকা মহিলা সমূহের তরফে নেহা নিশাদ বলেন, আমার গ্রুপের মহিলারা এই পণ্যগুলো তৈরি করছেন। প্রতিটি (Economic Growth) পণ্যে কুম্ভের লোগো থাকবে। প্রসাদের জন্য প্রস্তুত করা ঝুড়িগুলিতে রাখা অঙ্গবস্ত্রেও মহাকুম্ভের লোগো এবং স্লোগান থাকবে (Mahakumbh 2025)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    Sambhal Violence: ‘‘গোধরার মতো পূর্বপরিকল্পিত’’, সম্ভল সংঘর্ষে বিরোধীদের নিশানা করলেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে সংঘর্ষের (Sambhal Violence) জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ বিজেপির গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তাঁর মতে, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত, গোধরার মতো।

    মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের (Sambhal Violence)

    রবিবার মুঘল আমলে তৈরি জামা মসজিদে আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সমীক্ষার কাজ। সেই সময় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। জখম হন ২০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে একজন কনস্টেবলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার মৃত্যু হয় জখম হওয়া আরও একজনের। অশান্তির আঁচ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই এলাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) প্রয়োগ করা হয়েছে।

    তদন্তের নির্দেশ

    জানা গিয়েছে, হিংসার ঘটনার কারণ জানতে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় পুলিশ সাতটি এফআইআর দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটিতে অভিযুক্ত করা হয়েছে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বার্ক এবং স্থানীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক ইকবাল মাহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালকে। এদিকে, সম্ভল মসজিদ কমিটি অশান্তির জন্য দায়ী করেছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    ঘটনার (Sambhal Violence) নেপথ্যে বিরোধীরা রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাঁর অভিযোগ, ঘটনাটি বিরোধীদের কারণে ঘটেছে। তারা দেশকে পুড়িয়ে দিতে চায়। সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। গিরিরাজ বলেন, “বিরোধীদের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। এটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত কৌশল, গোধরাকাণ্ডের মতো।” তিনি আরও বলেন, “এটি সমীক্ষক দলের ওপর আক্রমণ ছিল না। আক্রমণ ছিল ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্রের ওপর। তারা (পড়ুন বিরোধীরা) দেশকে জ্বালিয়ে দিতে চায়। তারা সম্ভলকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়। যারা মারা গিয়েছে তারা হামলাকারীদের গুলিতে মারা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে নয়। ময়নাতদন্ত থেকেই এটা পরিষ্কার।” মন্ত্রী (Giriraj Singh) বলেন, “দেশ এটা সহ্য করবে না (Sambhal Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    BJP: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের কুন্দারকি বিধানসভা আসনে বিজেপির জয় এক নয়া নজির তৈরি করেছে। এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন বিজেপির (BJP) রামবীর সিং ঠাকুর (Ramveer Singh)। তিনি পরাস্ত করেছেন ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে, যাঁরা প্রত্যেকেই মুসলমান। সবচেয়ে বড় কথা কুন্দারকি কেন্দ্রে ৬৫ শতাংশ ভোটারই হলেন মুসলমান। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রামবীর সিং ঠাকুর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করেছেন ১ লাখের থেকেও বেশি ভোটে। প্রসঙ্গত, এখানে বিজেপির (BJP) মোকাবিলায় অখিলেশ যাদবের দল প্রার্থী করে হাজি রিজওয়ানকে, যিনি একজন তুর্কি মুসলমান বলে পরিচিত। এর পাশাপাশি তিনি বর্তমানে সাংসদও রয়েছেন।

    ভোটে হারতেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ অখিলেশের দলের 

    ভোটে হারতেই প্রতিবারের মতো এবারও অখিলেশ যাদবের দল ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছে। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামবীর সিং ঠাকুরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং একেবারে মাটির সঙ্গে যোগাযোগই তাঁকে এমন সাফল্য এনে দিয়েছে। কুন্দারকি কেন্দ্রে  বিজেপি (BJP) প্রার্থীর এই জয় ইতিমধ্যে গোটা উত্তরপ্রদেশে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, হাজি রিজওয়ানকে নিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বড় অংশের একাধিক আপত্তির কারণও ছিল।

    রামবীর সিংয়ের ব্যক্তিগত ইমেজ (BJP)

    হাজি রিজওয়ানের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হল, তিনি ভোটের মাঝেই বিতর্কিত দাবি করেন যে, নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে এমন আজব দাবির কারণেই রামবীর সিং ঠাকুর (Ramveer Singh) অনেকটাই এগিয়ে যান। এমন দাবিকে সমর্থন করতে পারেনি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বড় অংশ। অন্যদিকে, সেখানকার স্থানীয় মুসলিমদের রামবীর সিংকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল, তাঁর ব্যক্তিগত ইমেজ। তাঁকে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়র নেতারাও খুব ভরসা করেন। ঠিক এই কারণেই রামবীর সিংয়ের আশ্বাসগুলিকে মেনে নেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষজন। উপনির্বাচনে তাই আসে বিপুল জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    Uttar Pradesh: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে নকল টাকা ছড়ানোর চক্রান্ত ভেস্তে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড (ATS)। মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, এটিএস প্রয়াগরাজ এলাকার কাছে সারনাথ থেকে সুলেমান ও ইদ্রিশ নামে দু’জনকে আটক করে। তাদের কাছে প্রায় ১.৯৭ লক্ষ মূল্যের নকল টাকা মেলে। এদের ধরতে পারলেও পুলিশ এখন জাকিরের খোঁজ চালাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড জাকির।

    বাংলার যোগ

    উত্তরপ্রদেশ এটিএস সূত্রে খবর, জাকির পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা। জাকিরই সুলেমান ও ইদ্রিশকে ভুয়ো মুদ্রা সরবরাহ করত। যেগুলি তারা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করত। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, জাকির ভুয়ো ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসত। সুলেমান ও ইদ্রিশ, বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। মালদায় সুলেমানের পরিচয় হয়েছিল জাকিরের সাথে। সুলেমানকে জাল টাকা সহ আগেও বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তখন সে হাজিপুর জেলে প্রায় ৬ মাস ছিল।

    কীভাবে অভিযান

    এটিএস-এর (ATS) ইনস্পেক্টর ভারতভূষণ তিওয়ারি সারনাথ থানায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা নথিভুক্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর এটিএস গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, একটি দল ভুয়ো মুদ্রা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বারাণসীতে এসেছে। পুলিশ সন্দেহভাজনদের খোঁজ করতে শুরু করে। ফরিদপুর বাইপাসে দুজন ব্যক্তিকে ব্যাগসহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ। পুলিশকে সামনে দেখে পালিয়ে যায় তারা। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। তাদের কাছে ছিল একটি মোবাইল ফোন, প্যান কার্ড, টিকিট ও নগদ টাকা। তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার ভুয়ো নোটের ব্যান্ডেল উদ্ধার হয়। 

    আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, গায়ানা-বার্বাডোজেও সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রধানমন্ত্রীকে

    জেরায় সুলোমান ও ইদ্রিশ জানায়, দুই দিন আগে তারা বৈশালী থেকে মালদা এসেছিল এবং জাকির তাদের প্রায় ২ লক্ষ টাকার ভুয়ো নোট সরবরাহ করেছিল। তারা আরও জানায় যে, তারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ভুয়ো নোটগুলি বারাণসীতে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছিল এবং বাকি নোটগুলি আগামী জানুয়ারি মাসে পরবর্তী মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে প্রয়াগরাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share