Tag: UPA

UPA

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    Modi Shah: এনডিএ আমলেই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু, মনে করালেন মোদি-শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৪০ দিনে দুবার বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তামিলনাড়ুকে (Tamil Nadu) মনে করিয়ে দিলেন যে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তুলনায় বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কেন্দ্র থেকে তামিলনাড়ুকে তিনগুণ বেশি অর্থ দিয়েছে। সেই সময় ডিএমকে এনডিএ জোটের অংশ ছিল। তামিলনাড়ু নির্বাচনের আগে এটি বিজেপির একটি মূল বার্তা (Modi Shah)। রবিবার রামেশ্বরমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ কথা বলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে কোয়েম্বাটোরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছিলেন।এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত এক দশকে, কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাড়ুকে যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা ২০১৪ সালের আগের তুলনায় তিন গুণ বেশি। তবুও কিছু মানুষের অকারণে অভিযোগ করার অভ্যাস আছে। তারা সব সময় কিছু না কিছু নিয়ে কাঁদতে থাকে। মোদি সরকার তামিলনাড়ুকে যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছে, তা ইন্ডি জোটের ক্ষমতায় থাকার সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি। ডিএমকে সেই সরকারেরই অংশ ছিল।”

    কী বলেছিলেন শাহ (Modi Shah)

    ২৬ ফেব্রুয়ারি কোয়েম্বাটোরে ভাষণ দিয়েছিলেন শাহ। তিনি আরও স্পষ্টভাবে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৪-২৪ সময়কালে রাজ্যটিকে ৫,০৮,৩৩৭ লাখ কোটি টাকা দিয়েছে। আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের আমলে (২০০৪-২০১৪) তামিলনাড়ু মাত্র ১.৫২ লাখ কোটি টাকা পেয়েছিল। আর আপনি কিনা বলছেন মোদি সরকার অবিচার করছে। কিন্তু ইউপিএ শাসনকালেই রাজ্যটির প্রতি অবিচার হয়েছিল, যখন আপনি সেই সরকারের অংশ ছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়াও এনডিএ সরকার তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১.৪৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

    শীর্ষ সরকারি সূত্রে খবর, এটি বিজেপির একটি প্রচার। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তামিলনাড়ুকে অর্থ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত করেছে, বারবার এমনই মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তারই জবার দিতে রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বক্তব্য পেশ করেন মোদি-শাহ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন (Tamil Nadu), “বিকশিত ভারতের যাত্রায় তামিলনাড়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে তামিলনাড়ু যত শক্তিশালী হবে, ভারতের উন্নয়ন তত দ্রুততর হবে।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র তামিলনাড়ুর অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তামিলনাড়ুর পরিকাঠামো সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গত এক দশকে তামিলনাড়ুর জন্য রেলওয়ে বাজেট সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৪ সালের আগে, তামিলনাড়ুর রেলওয়ে প্রকল্পগুলির জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল মাত্র ৯০০ কোটি টাকা (Modi Shah)।”

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন রামানাথপুরম জেলার রামেশ্বরমে নয়া পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজের উদ্বোধন করেন। এটি ভারতের পরিকাঠামোর উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী একটি রিমোটের সাহায্যে সেতুর উল্লম্ব লিফট স্প্যানটি পরিচালনা করেন। এর ফলে কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ নীচ দিয়ে চলে যায়। নয়া উদ্বোধন করা কাঠামোটি দেশের প্রথম উল্লম্ব লিফট রেলওয়ে সমুদ্র সেতু, যা দেশীয় প্রযুক্তিতে একটি বড় অগ্রগতি। রবিবার ছিল রামনবমী। এদিন তামিলনাড়ুতে সড়ক ও বিভিন্ন রেল প্রকল্প মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    পাম্বান রেলওয়ে ব্রিজ

    রেল সূত্রে খবর, শতবর্ষ প্রাচীন সেতুটি অকেজো হওয়ায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নয়া সেতুটি তৈরি করেছে রেল। প্রধানমন্ত্রী মান্নার উপসাগরে দেশের প্রথম সেই উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেল সেতুর উদ্বোধন করেন। প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মাঝ বরাবর জাহাজ চলাচলের পথ খোলা রাখতে তৈরি করা হয়েছে ৭২ মিটার লম্বা ও ৬৪০ টন ওজনের উল্লম্ব একটি অংশ। বৈদ্যুতিক মোটর ও ক্রেনের সাহায্যে (Tamil Nadu) তা জলস্তর থেকে ১৭ মিটার উঠে পথ খুলে দেবে। পুরানো পাম্বান সেতুতে ওই চ্যানেল খুলতে সময় লাগত ৪৫ মিনিটের বেশি। নয়া সেতুতে সেই কাজটিই হয়ে যাবে মাত্র সাড়ে পাঁচ মিনিটে। আর্দ্র আবহাওয়ায় সেতু সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ প্রযুক্তিতে এমন রং করা হয়েছে, যা প্রায় ৩৮ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে (Modi Shah)।

    এদিন প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রামেশ্বরম ও তাম্বারমের মধ্যে একটি নয়া ট্রেন পরিষেবার উদ্বোধনও করেন। এর ফলে আরও উন্নত হবে আঞ্চলিক যোগাযোগ। যাত্রী ও তীর্থযাত্রীরা আরও মসৃণভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। নীলগিরির এই অনুষ্ঠানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন (Tamil Nadu)। এই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ইউপিএ সরকারের চেয়ে এনডিএ সরকারের আমলে ঢের বেশি বরাদ্দ পেয়েছে তামিলনাড়ু (Modi Shah)।

  • PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    PM Modi: মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসংস্থান ইস্যুতে বিরোধীদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya)। বৃহস্পতিবার তিনি এই ইস্যুতে একহাত নিলেন পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে। নিজের বিবৃতিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন, মনমোহন জমানায় মাত্র ২.৯ কোটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল ১০ বছরে। প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ছিল ইউপিএ সরকার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ১৭.১৯ কোটি।

    মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য, ইউপিএ জমানার থেকে এগিয়ে মোদি জমানা (PM Modi)

    কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৪-১৫ সালে সারাদেশে কর্মসংস্থানের যে অবস্থা ছিল তা বর্তমানে ৩৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান ছিল ৪৭.১৫ কোটি,  কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে এই কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৩৩ কোটি। অন্যদিকে, ২০০৩-০৪ সালে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দেশের কর্মসংস্থান ছিল ৪৪.২৩ কোটি, কিন্তু ইউপিএ সরকারের একেবারে শেষের বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান হয় ৪৭.১৫ কোটি। অর্থাৎ মাত্র ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল কর্মসংস্থান।

    কমেছে বেকারত্ব

    একই সঙ্গে ইউপিএ জমানায় উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছিল মাত্র ৬ শতাংশ। কিন্তু মোদি জমানায় ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ শতাংশ, এমনটাই জানিয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদিকে, পরিষেবা ক্ষেত্রে ইউপিএ আমলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ কিন্তু মোদি জমানায় এই হার ৩৬ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য। একই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ২০১৭-১৮ সালে মোদি জমানায় (PM Modi) ছিল ৩১.৪ শতাংশ, ২০২৩-২৪ সালে তা অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ৪১.৭ শতাংশ। যেখানে যুবকদের বেকারত্বের হার ২০১৭-১৮ তে ছিল ১৭.৪ শতাংশ এবং তা বর্তমানে ১০.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মনসুখ মান্ডব্য জানিয়েছেন, বিগত সাত বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪.৭ কোটি যুবক ইপিএফও-র আওতায় এসেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ইউপিএ-র নির্দেশনামা মেনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় বলা যাবে না, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    BJP: ইউপিএ-র নির্দেশনামা মেনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় বলা যাবে না, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েনাড়ে (Wayanad Landslides) ভূমিধস বিপর্যয়ের মধ্যেই রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা দাবি জানিয়েছিলেন যে এই দুর্যোগকে, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে হবে। তবে রবিবারই এর উত্তর দিয়েছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবির (BJP) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে পূর্বতন সরকারের নির্দেশনামা অনুসারেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা যাচ্ছে না। এই নিয়ম ইউপিএ সরকারের আমলে তৈরি করা হয়েছে বলেও তোপ দেগেছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের অন্যতম নেতা ভি মুরলীধরন তাঁর সমাজ মাধ্যমের পাতায়, ২০১৩ সালের পার্লামেন্টের একটি নথি পোস্ট করেছেন। সেখানে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রামচন্দ্রন মুল্লাপ্পলির একটি বিবৃতি উল্লেখ করা রয়েছে। ওই বিবৃতিটি হল, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করার কোনও বিধান নেই।

    জাতীয় দুর্যোগের কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞাও নেই, জানাল বিজেপি (BJP)

    ভি মুরলীধরন আরও জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা না করার নির্দেশিকা ইউপিএ সরকারের আমল থেকেই রয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ৬ অগাস্ট এমনই বিবৃতি সংসদে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ভি মুরলিধরন এদিন আরও জানিয়েছেন, সাধারণভাবে জাতীয় দুর্যোগের কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞাও নেই। প্রতিটি দুর্যোগকে তার তীব্রতা অনুযায়ী মোকাবিলা করতে হয় এবং সেই সময় যেকোনও ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ বা বিতর্ক তৈরি না করাই ভালো।

    কেন্দ্র সরকার সাহায্য করছে কেরল সরকারকে

    নিজের বিবৃতিতে ভি মুরলিধরন (BJP) আরো জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রকমের পদক্ষেপ করেছে এবং যাবতীয় সহযোগিতা করেছে কেরল সরকারকে। টানা ছয় দিন ধরে দেশের সেনাবাহিনী বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এবং ত্রাণ বিলি করছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি নেতা ভি মুরলিধরন। তিনি আরও জানান, বিপর্যয়ের (Wayanad Landslides) পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারগুলিকে দু লাখ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ফোনে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন বলেও জানিয়েছেন ভি মুরলিধরন।

    যোগ্য জবাব রাহুলকে

    নিজের বিবৃতিতে ভি মুরলিধরন বারবার জোর দেন যে কেউ যেন এই দুর্যোগের সময় ভিত্তিহীন কোনও বিতর্ক তৈরি না করেন। বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সম্প্রতি গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে। তারপরেও তিনি জানান, তাঁর কাছে এটি জাতীয় বিপর্যয় সরকার কী মনে করে সেটা দেখা যাক! ঠিক সেই আবহে রবিবার রাহুল গান্ধীকে যোগ্য জবাব দিলেন বিজেপি নেতা মুরলিধরন, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দশ বছর আগে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপোস করত সরকার, এখন আর করে না।” বৃহস্পতিবার গুজরাটের সবরকান্থা জেলায় কংগ্রেসকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর শাসনকালে যে সন্ত্রাসবাদ দমনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির (PM Modi)

    এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দশ বছর আগে সরকার সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোস করত। সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর জানা সত্ত্বেও কংগ্রেস পাকিস্তানে দলিল পাঠিয়ে পছন্দ করে নিতে বলত।” তাঁর দশ বছরের রাজত্বকালে যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বদলছে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আর ভারত সন্ত্রাসবাদের মূল চক্রীদের দলিল পাঠায় না। উল্টে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের (সন্ত্রাসবাদীদের) বাড়িতে ঢুকে গিয়ে হুমকির জবাব দিয়ে আসে।”

    দুই সরকারের পার্থক্য

    সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে যে পূর্বতন সরকারের সঙ্গে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ‘নিউ ইন্ডিয়া’র যে দায়বদ্ধতা, দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা রক্ষায় যে অঙ্গীকার, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মহারাষ্ট্রজুড়ে একাধিক সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি জনসভায়ই তাঁর আমলে দেশে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তারও ফিরিস্তি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিন তালাক প্রথার অবলুপ্তি যে কেবল মহিলাদের সুরক্ষা দিয়েছে তা নয়, নিরাপত্তা দিয়েছে পরিবারকেও।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি মুসলিম বিরোধী নয়”, স্পষ্ট বার্তা মিঠুনের

    বিরোধীদের তুষ্টিকরণের রাজনীতিকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলেও, ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে তিন তালাক নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কংগ্রেস। আমি ভোটব্যাঙ্কের তোয়াক্কা করি না।” বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ যে দেশকে স্থায়ী সরকার দিয়েছে, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার দেশকে দিয়েছে সুশাসনও। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যখন বলি এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত, তখন জ্বরে কাঁপতে থাকেন কংগ্রেসের যুবরাজ। যারা দেশকে লুট করেছে, তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। এটাই হল মোদির গ্যারান্টি।”

    ন্যায় বিচার ও জনকল্যাণের প্রতি তাঁর সরকার যে দায়বদ্ধ, তাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আমাদের সরকার প্রকৃতপক্ষে সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত্তিকে পোক্ত করেছে।” কারও কাছ থেকে কোনও কিছু কেড়ে না নিয়ে তাঁর সরকার যে সর্বদা জনকল্যাণে নিয়োজিত, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • P Chidambaram: কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    P Chidambaram: কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের ছেলের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনএক্স (INX) মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস (Congress) সাংসদ পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে কার্তি চিদম্বরমের ১১ কোটি ৪ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। মঙ্গলবারই এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, এই তালিকায় কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর চারটি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে একটি স্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে। ইডির দাবি, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    ইডি সূত্রে খবর, কার্তির বিরুদ্ধে ইউপিএ জমানায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থা, তার মালিক পিটার মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রানীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করার অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ৩০০ কোটি টাকার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রক ওই সংস্থাকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। কার্তি যখন এসব করেন, তখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তাঁর বাবা পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। অভিযোগ, সেই সুবাদেই প্রভাব খাটিয়ে কার্তি তাঁদের ছাড়পত্র পাইয়ে দিয়েছিলেন। এই দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, বাবার মাধ্যমে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কার্তি ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও একবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কার্তির সম্পত্তি। সেটা ২০১৯ সাল। সেবারও কার্তির বহু কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুুন: ফ্রিজ করা হল জীবনকৃষ্ণের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! যুক্ত আর কোন কোন নেতা, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    কেবল তাই নয়, আইএনএক্স মিডিয়ার বিরুদ্ধে আয়কর তদন্ত স্থগিত করার জন্যও কার্তির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। এই মামলায় ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডিও। তার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কার্তিকেও। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানায়, ২০০৭ সালে চিদম্বরম (P Chidambaram) মন্ত্রী থাকাকালীনই কার্তি আইএনএক্স মিডিয়ায় অর্থ তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ। ৩০৫ কোটি টাকার অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে কার্তির বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Amit Shah : ‘‘পাটনায় বিরোধী নেতাদের ফটো সেশন চলছে’’! কটাক্ষ অমিত শাহের

    Amit Shah : ‘‘পাটনায় বিরোধী নেতাদের ফটো সেশন চলছে’’! কটাক্ষ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের রণকৌশল তৈরি করতে পাটনায় বৈঠকে বসেছেন বিরোধীরা। এই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিরোধী ঐক্য নিয়ে উপহাস করে শাহ বলেন, ‘‘ওখানে তো ফোটোসেশন হচ্ছে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কোনও বিরোধী জোটের সম্ভাবনাই নেই।’’ফের বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন, শাহ।

    বিরোধীদের অলীক কল্পনা

    বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলির বৈঠক চলাকালীনই জম্মু ও কাশ্মীরে সফরে গিয়ে শাহ (Amit Shah)বলেন, শেষ পর্যন্ত যদি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোট হয়, তা হলেও তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই ।  তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই বিরোধী নেতাদের বলতে চাই যে, আপনাদের ঐক্য প্রায় অসম্ভব এবং শেষ পর্যন্ত যদিও বা তা বাস্তব হয়, অনুগ্রহ করে জনগণের সামনে সেই ঐক্য তুলে ধরুন। ২০২৪ সালে, ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রত্যাবর্তন আটকাতে পারবেন না।’’

    ইউপিএ সরকার ‘দুর্নীতির’ সঙ্গে জড়িত

    দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে হওয়া দুর্নীতি রুখেছে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এই প্রসঙ্গে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনাও করেছেন তিনি। শাহের অভিযোগ, ইউপিএ সরকার ১২ লক্ষ কোটির ‘দুর্নীতির’ সঙ্গে জড়িত। ইউপিএ সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের অতীতের পরিস্থিতির জন্য ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি এবং কংগ্রেসকে দায়ী করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে সে প্রশ্নও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    কী নিয়ে বিরোধী বৈঠক

    অমিত শাহ (Amit Shah) ছাড়াও বিরোধীদের বৈঠককে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রবীণ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদও। লোকসভা ভোটে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে বৈঠকে বসে বিরোধীরা। মোট ২০টি দলের তাবড় তাবড় নেতা-নেত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার একে ৪৭-এর গুলি, গ্রেনেড! কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

    আসন ভাগাভাগি সহ একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকে, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সীতারাম ইয়েচুরি সহ বাম দলের একাধিক নেতা ছাড়াও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিম অখিলেশ যাদব ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি।তবে, এই বৈঠকে যোগ দেননি তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগমনোহন রেড্ডি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে (IRCTC Scam) জামিন পেয়েছেন বিহারের (Bihar) উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। এবার তাঁর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে দিল্লি আদালতে গেল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন আধিকারিককে তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী হুমকি দেন। এভাবে তিনি মামলায় প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।

    আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের। অভিযোগ, রাঁচি এবং ওড়িশার পুরীতে ওই সংস্থার দুই হোটেল সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপ হয়। ২০০৬ সালের ওই ঘটনায় নাম জড়ায় তেজস্বীর। তদন্তে নেমে সিবিআই ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এদিন সিবিআইয়ের জামিন খারিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে তেজস্বীকে নোটিশ পাঠায় আদালত।

    আরও পড়ুন : চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    জানা গিয়েছে, গত মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের কি মা এবং ছেলেমেয়ে নেই? তাঁদের কি পরিবার নেই? তাঁরা কি চিরকাল সিবিআই অফিসার হিসেবেই থাকবেন? তাঁরা কি অবসর নেবেন না? কেবল এই দলই কি চিরকাল বিহারের ক্ষমতায় থাকবে? কী বার্তা আপনারা পাঠাতে চাইছেন? আপনাদের উচিত সৎ ভাবে সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।

    তেজস্বী যখন এভাবে সিবিআইকে হুমকি দিচ্ছেন, তার ঠিক আগে আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের মামলায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই সিবিআইকে তেজস্বী হুমকি দেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায়ও নাম জড়িয়েছে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। সেই সময়ই ওই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bihar Politics: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    Bihar Politics: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে মঙ্গলবারের বারবেলায় দিয়েছিলেন ইস্তফা। পরের দিনই ইউপিএ-র (UPA) হাত ধরে ফের বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তার পরেই তাঁকে ফের আক্রমণ শানিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বলেন, পল্টুরাম (Palturam) হলেন কাল্টুরাম (Kalturam)।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হন নীতীশ। তার আগে শামিল হয়েছিলেন মহাজোটের সঙ্গে। এবার যখন লোকসভা নির্বাচনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে, তখন ফের ত্যাগ করলেন পদ্ম শিবির। ভিড়ে গেলেন আরজেডি এবং বাম-কংগ্রসের মহাজোটে। এবং যে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বসলেন সেই তখতে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গিরিরাজ বলেন, এক সময় লালুপ্রসাদ ওঁকে সাপ সম্বোধন করেছিলেন। তিনি বলেন, গতকালও যিনি ছিলেন পল্টুরাম, তিনিই হয়ে গেলেন কাল্টুরাম। গিরিরাজ বলেন, আমি শুনেছি যে লালু প্রসাদ ওঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অথচ এই লালুই একবার ট্যুইট করে বলেছিলেন, সাপ যেমন বারবার খোলস ত্যাগ করে, নীতীশ তেমনই প্রতিবার নতুন জোটে গিয়ে ভিড়ে যান। বক্তব্যের সমর্থনে ২০১৭ সালে লালুর সেই ট্যুইটবার্তাও শেয়ার করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গিরিরাজের প্রশ্ন, নীতীশ কুমার যে দু বছর অন্তর খোলস ছাড়ে না, এ নিয়ে কি কোনও সন্দেহ আছে? প্রসঙ্গত, লালু সঙ্গ ছেড়ে ২০১৭ সালে নীতীশ বিজেপির হাত ধরায় ওই ট্যুইট করেছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দুবার নীতীশ বিজেপির হাত ছেড়ে ভিড়ে গেলেন আরজেডি, বাম-কংগ্রেসের মহাজোটে।

    আরও পড়ুন : অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    গিরিরাজ মনে করিয়ে দেন, ১৯৯৬ সালে বিজেপি নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নিয়েছিল, কারণ তখন তারা বিহারে বড় দল ছিল। বিজেপির চেয়ে জেডিইউয়ের আসন সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও ২০২০ সালেও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাঁর এই ‘প্রবঞ্চনা’ যে ভাল চোখে দেখেছেন না বিজেপি নেতৃত্ব, গিরিরাজের কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

  • Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    Narendra Modi: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশে মহারণ। লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha)। ওই ভোটে দেশবাসী প্রধানমন্ত্রী (PM) হিসেবে ফের চাইছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। সমীক্ষার নাম ছিল মুড অফ দ্য নেশন (Mood of the Nation)। দেশের সিংহভাগ ভোটারই ফের পাঁচ বছরের জন্য চান মোদি-রাজ।

    ইউপিএ (UPA) সরকারকে হারিয়ে ২০১৪ সালে দিল্লি দখল করে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA)। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন অমিত শাহ। তার পর থেকে দেশের অগ্রগতি যেন অশ্বমেধের ঘোড়া। ২০১৪ পর লোকসভা নির্বাচন হয় উনিশে। ফের একবার বিরোধীদের কুপোকাত করে দিল্লির সিংহাসনে আসীন হন নরেন্দ্র মোদি। তার পর দেশ জুড়ে দেখা গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, কোভিড অতিমারি। দাম বেড়েছে জ্বালানির। তার পরেও মোদির জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি এতটুকুও। সি-ভোটারের সঙ্গে একটি সংবাদ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সমীক্ষায়ই উঠে এসেছে এই তথ্য। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদে আট বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে মোদির। তার পরেও তাঁর জনপ্রিয়তার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর কাছাকাছি কেউই নেই।

    আরও পড়ুন : দিল্লি গিয়ে সেটিং কি হল, দিদিকে কী বললেন মোদি?

    ওই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। ৯ শতাংশ মানুষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ওই পদে দেখতে চান। আর রাহুলের পিছনে রয়েছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান তাঁকে।

    ওই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে অংশগ্রহণকারীদের চল্লিশ শতাংশ কংগ্রেসকে ভাল বিরোধীদল হিসেবে উল্লেখ করেছে। দুর্বল তকমা দিয়েছে ৩৪ শতাংশ ভোটার। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই যে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে তা বিশ্বাস করেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৩ শতাংশ মানুষ। আর ১৬ শতাংশ মানুষ ওই ভূমিকায় দেখতে চান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। গান্ধী পরিবারেরই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার পক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯ শতাংশ মানুষ।

    আরও পড়ুন : ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনও একটি পদে সর্বাধিক পর পর দুটো টার্ম থাকতে পারেন কোনও একজন। প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির দ্বিতীয় টার্ম চলছে। তবে তুঙ্গ জনপ্রিয়তার কারণে ফের তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী মুখ করে চব্বিশের মহারণে লড়তে পারে বিজেপি। এই সমীক্ষার ফলও তো পড়ে ফেলেছে দেশবাসীর মন!

     

LinkedIn
Share