Tag: us

us

  • Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    Tulsi Gabbard: জঙ্গিদের খুঁজতে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা, জানালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)। শুক্রবারই জঙ্গি হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতকে সাহায্য করবে আমেরিকা বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন তুলসি গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard) নিজের সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পহেলগাঁওতে ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করেছে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীরা (Pahalgam Attackers)। এর নিন্দা করছি এবং আমরা ভারতের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছি। যাঁরা তাদের প্রিয়জন হারালেন তাঁদের প্রতি আমার প্রার্থনা এবং গভীর সহানুভূতি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের সমস্ত নাগরিকের পাশে আছে আমেরিকা। এই জঘন্য হামলার জন্য দোষীদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ভারতের পাশে আছে আমেরিকা।’’

    বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও নিন্দা জানিয়েছেন

    অন্যদিকে, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসও জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Attackers) নিয়ে এক পাক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। পরে নিজের বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং সেক্রেটারি রুবিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করছি আমরা।’’

    আগেই ভারতের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প

    প্রসঙ্গত, আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকা ভারতের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন এবং গভীর সহানুভূতি রয়েছে।’’

    বুধবারই মোদিকে ফোন করেন ট্রাম্প

    গত বুধবারই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোন করে শোক প্রকাশ করেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এবিষয়ে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই জঘন্য হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে আছে।’’

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

  • PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হল টেসলা ও স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk)। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটনে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মোদির। এবার হল টেলিফোনিক কনভার্সেশন।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানিয়ে মোদি লেখেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    টেলিফোনে কথাবার্তা

    মাস্কের সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে নিয়োগ শুরু করেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভারতে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে চাপানউতোর ছিল। মাস্কের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়িতে উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে বৈদ্যুতিন গাড়িতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরেই ওয়াশিংটনে হয় মোদি-মাস্ক মুখোমুখি বৈঠক (PM Modi)। এবার হল টেলিফোনে কথাবার্তা।

    মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব কারও অজানা নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির মাথায় বসানো হয় তাঁকে। মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত খরচের হিসেব রাখে এই দফতর।

    প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ইলন মাস্কের। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গিনী শিভন জিলিস ও মাস্কের তিন শিশু সন্তান। মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স মহাকাশযানের একটি অংশও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীও মাস্কের (Elon Musk) তিন সন্তানের জন্য বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বইও (PM Modi)।

  • JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    JD Vance: ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারতে আসছেন সস্ত্রীক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে হবে কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) ও তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ত্রী ঊষা ভান্স। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই ভারতে আসতে পারেন তাঁরা। ভান্সের এই ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ভান্স কবে ভারতে আসছেন, তা জানা যায়নি। ইটালি সফরেও যাবেন তাঁরা। ইটালি সফর শেষে তাঁরা ভারতে আসতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    ‘শুল্কযুদ্ধে’র আবহে ভারত সফরে ভান্স (JD Vance)

    ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছিল। অনুমান, ভান্সের ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেগুলি আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভান্স এমন একটা সময়ে ভারতে আসছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘিরে গোটা বিশ্বে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ট্রাম্প যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। তবে চিন ছাড়া আপাতত ৯০ দিন বাকি দেশগুলির ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা

    আসন্ন ভারত সফরে তিন সন্তান ইউয়ান, বিবেক ও মিরাবেলকেও সঙ্গে আনতে পারেন ভান্স। ভারত সফরে এসে নয়াদিল্লির পাশাপাশি জয়পুর ও আগরায়ও যাওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের। পিটিআই সূত্রে খবর, আগামী ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন ভান্স (JD Vance)। বৈঠকে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও পারস্পরিক শুল্কের হার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে ভারতের। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও সেরে এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর। সম্প্রতি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দু’দেশই চাইছে বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। তবে জয়শঙ্কর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে নয়া বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফার্স্ট এবং বিকশিত ভারতের নীতি নিয়ে এগোবে নয়াদিল্লি।

    উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে অনুমান (JD Vance)।

  • China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    China India Relation: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ ঠেকাতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ‘শুল্ক জুজু’ প্রতিহত করতে এবার ভারতের সাহায্য চাইল চিন (China India Relation)। চিনা পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক (Trade War) আরোপ করেছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, “চিনের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং শক্তিশালী উৎপাদন ভিত্তি বাকি বিশ্বের জন্য ইতিবাচক পরিসর তৈরি করেছে।” তিনি বলেন, “চিন-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পারস্পরিক সুবিধার ওপর প্রতিষ্ঠিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহারে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে একত্রিত হওয়া উচিত বিশ্বের দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের। বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। সব দেশের উচিত সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতার পথ অনুসরণ করা।”

    ইউ জিংয়ের বক্তব্য (China India Relation)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে এমন একটি ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত চিনা অর্থনীতি। গোটা বিশ্বের ওপর আমাদের অর্থনীতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রমাগত আপগ্রেডেড শিল্প ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চিনা উৎপাদন। গবেষণা, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনের ওপর একটি শক্তিশালী ফোকাসের ওপর নির্মিত আমাদের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন ও বহুপাক্ষিকতার দৃঢ় সমর্থক চিন। এই বহুপাক্ষিকতাই বিশ্ব অর্থনীতিতে শক্তিশালী প্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য বাকি বিশ্বের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” মার্কিন শুল্ক আরোপের আগেই আমেরিকাকে তোপ দেগেছিল চিন। বলেছিল, “ভুলের ওপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও একবার আমেরিকার ব্ল্যাকমেইল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।” বেজিং জানিয়ে দিয়েছিল, “আমেরিকা যদি এভাবেই চলার কথা ভাবে, তাহলে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।”

    শুল্ক যুদ্ধ

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারও চিনের ওপর ৩৪ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চিন শুক্রবার একই হারে শুল্ক চাপিয়ে দেয় মার্কিন পাণ্যের ওপর। চিনের এই পদক্ষেপের পরেই ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, চিন যদি এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে তাহলে মঙ্গলবারের মধ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে চিনা পণ্যের ওপর (China India Relation)। সেই মতো মঙ্গলবার বেজিংয়ের ওপর চাপানো হয় আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক। প্রথমে ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল, পরে দুধাপে চাপানো হয় আরও ৩৪ ও ৫০ শতাংশ। সব মিলিয়ে চিনের ঘাড়ে (Trade War) মোট শুল্কের বোঝা চাপল ১০৪ শতাংশ।

    ভারতের অবস্থান

    চিনের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও, ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন ২৬ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। এটি কার্যকর হয়েছে আজ, বুধবার থেকে। গত সপ্তাহেই ট্রাম্পের এই পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর থেকে বাজার ধসের মুখে থাকায় এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেখানে এই প্রভাব কমানোর কৌশল নির্ধারণ করা হবে। চিন যখন আমেরিকার সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটছে, তখন ভারত-সহ বেশিরভাগ দেশই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মিটিয়ে নিতে আগ্রহী। নয়াদিল্লির তরফে সক্রিয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। একের পর এক দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকের আর্জি জানিয়েছে (China India Relation)।

    সতর্ক পদক্ষেপ

    ভারতের জন্য একটি ইতিবাচক দিক হল, ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর, তামা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানিতে এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প বারবার ভারতকে বাণিজ্য সম্পর্কের “বড় অপরাধী” বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক জেনেরিক ওষুধই পাঠানো হয় ভারত থেকে। তবে অটো পার্টস, রত্ন ও গয়নার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সূত্রের খবর, শুল্কের প্রভাব কমানোর জন্য প্রয়োজনে রফতানিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারত। জানা গিয়েছে, ভারত এই ইস্যুতে সতর্ক পদক্ষেপ করছে। ভারত আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করার পথে হাঁটছে না। এর বদলে মোদি সরকার (Trade War) সক্রিয়ভাবে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করা হয়েছিল এই বছরের শুরুতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফরের সময়। মার্চ মাসে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির (বিটিএ) শর্তাবলীতে রাজি হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লিকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের মতে, গত বছর রাশিয়ায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। ভারত ও চিনের শক্তির কথা বলতে গিয়ে হাতি ও ড্রাগনের উপমা ব্যবহার (Trade War) করেছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “ড্রাগন ও হাতির মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাগন আর হাতিকে এক সঙ্গে নাচিয়ে দিতে হবে (China India Relation)।”

  • Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    Tahawwur Rana: বিশেষ বিমানে ভারতের পথে ২৬/১১-এর চক্রী তাহাউর রানা, এনআইএ হেফাজতে হবে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবারই দেশে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় (26/11 Attack) অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের ফর্মালিটি পূরণ করেছে ভারতের এক প্রতিনিধি দল। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ভারতে আসার বিমানে চেপেছেন রানা। বুধবার গভীর রাত অথবা বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছবে বিমান।

    বিমানবন্দর, জেলে কড়া নিরাপত্তা

    মার্কিন আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী, দিল্লি ও মুম্বইয়ের জেলে গোপনে তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও রাজপথেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতে আনার পর, রানাকে প্রথম কয়েক সপ্তাহ এনআইএ হেফাজতে রাখা হবে। সেখানে তাঁকে জেরা করা হবে। এই পুরো অভিযানটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তৎপরতায় রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে!

    ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা (Tahawwur Rana)। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। ৬৪ বছরের রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। সে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাহাউর রানার ভারতে প্রত্যর্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, তাহাউর রানাকে হাই সিকিউরিটি কোনও জেলে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহাড় এবং মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে তার প্রস্তুতি চলছে। দুই জেল কর্তৃপক্ষকেই অ্যালার্ট করা হয়েছে। এ দিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) তাহাউর রানার মামলা মুম্বই থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছে। ভারতে পা রাখার পরই মুম্বই হামলার এই মূলচক্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানাবে এনআইএ।

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    Hindu Temple Vandalized: ফের মন্দিরে হামলা, দেওয়ালের গায়ে হিন্দুরা ফিরে যাও স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)। আবারও খবরের শিরোনামে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া। এবার চিনো হিলসে বিএপিএসের একটি মন্দিরে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। দিন কয়েক পরেই রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’।

    হিন্দু মন্দিরে হামলা (Hindu Temple Vandalized)

    তার আগেই হামলা চালানো হল হিন্দু মন্দিরে। বিএপিএসের অফিসিয়াল পেজ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে এই ঘটনা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেওয়া হবে না। শান্তি এবং সহানুভূতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।’ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে বিএপিএসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স লিখেছে, “আর একটি মন্দির অবমাননার মুখে। এবার চিনো হিলস, ক্যালিফোর্নিয়ায়, হিন্দু সম্প্রদায় ঘৃণার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। চিনো হিলস ও দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার সম্প্রদায়ের সঙ্গে একসঙ্গে, আমরা কখনওই ঘৃণাকে শেকড় গাড়তে দেব না। আমাদের সাধারণ মানবতা ও বিশ্বাস নিশ্চিত করবে যে শান্তি ও সহানুভূতি বিজয়ী হবে।”

    হিন্দু বিরোধী স্লোগান

    এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে উত্তর আমেরিকার হিন্দুদের সংস্থা সিওএইচএনএ। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার (Hindu Temple Vandalized) এই আইকনিক বিএপিএস মন্দিরের অবমাননা লস অ্যাঞ্জেলেসে তথাকথিত ‘খালিস্তানি গণভোট’-এর আগে ঘটেছে। গত বছরও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে অবস্থিত বিএপিএস শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনার দিন দশেক আগেই নিউ ইয়র্কের বিএপিএস মন্দিরেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।

    মন্দিরের গায়ে লিখে দেওয়া হয়, ‘হিন্দুরা ফিরে যাও’। দুষ্কৃতীরা মন্দিরের জলের লাইনও কেটে দিয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রবাসী হিন্দুরা জড়ো হন মন্দিরে। সেখানে তাঁরা শান্তি প্রার্থনা করেন। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ অ্যামি বেরি। তাঁর সাফ কথা, স্যাক্রামেন্টোতে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ঘৃণার কোনও স্থান নেই। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা জড়িত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সংগঠনই এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে শিখদের উগ্রবাদী সংগঠন এই হামলা করে থাকতে পারে (Hindu Temple Vandalized) বলে অনুমান।

LinkedIn
Share