Tag: US Attacks Iran

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Iran Israel Conflict) এবার জড়িয়ে পড়ল আমেরিকাও। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমানবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ (US Attacks Iran)। এদিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইরানি কাঠামোগুলির ওপর খুবই সফল হামলা চালিয়েছে। তেহরান (ইরানের রাজধানী)-কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ না করলে ইরানকে আরও বড় পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের।

    পরিস্থিতি ১ (Iran Israel Conflict)

    ইরান তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, “এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক সদস্য একটি লক্ষ্যবস্তু।” এদিকে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    পরিস্থিতি ২

    ইজরায়েল হাই অ্যালার্ট জারি করতে পারে এবং ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ওপর আগাম হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সব অঞ্চল থেকে অপরিহার্য কার্যকলাপ পরিচালিত হবে। শিক্ষাদান, জমায়েত এবং কর্মক্ষেত্র আপাতত বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র (US Attacks Iran)।”

    পরিস্থিতি ৩

    ইরান লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে হিজবুল্লা ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। হিজবুল্লা, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং গাজায় হামাস — এই গোষ্ঠীগুলো মিলে ইরানের কথিত “প্রতিরোধ অক্ষ” গঠন করেছে, যার লক্ষ্য শক্তি প্রদর্শন, আমেরিকা ও ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করা এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তবে এই মিত্র গোষ্ঠীগুলি এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের অনেকেই এখন দুর্বল, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং নিজ নিজ সমস্যার সমাধান করতেই ব্যস্ত (Iran Israel Conflict)। সম্প্রতি হিজবুল্লাহ প্রধান শেখ নাইম কাসেম ঘোষণা করে, ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সংগ্রামে তিনি সব ধরনের সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়। এই তথ্য জেরুজালেম পোস্টই প্রকাশ করেছে।

    পরিস্থিতি ৪

    চিন ও রাশিয়া এই দুই অন্যতম মহা শক্তিধর দেশ এবং যাদের বৈশ্বিক প্রভাবও অনেক, তারা হয়তো শান্তির আবেদন জানাবে। যদিও গোপনে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে সমর্থন করতে পারে। মঙ্গলবার চিন অভিযোগ করেছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে তেল ঢেলে দিচ্ছেন। কয়েকদিন পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একইভাবে রাশিয়া আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ না করে (US Attacks Iran)। রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়, তাহলে তা চেরনোবিল ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    পরিস্থিতি ৫

    ইরানের ওপর হামলার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরান একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন হামলার জেরে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালী। মনে রাখতে হবে, এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়।

    ‘দ্য কনভারসেশনে’র মতে, অনেক তেল বিকল্প সরবরাহপথে পাঠানো যেতে পারে। যেমন সৌদি আরবের বিশাল (৬ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন) পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন, যা লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে যায়, সেই পথে তেল পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি পাইপলাইন, যা হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। তবুও, বাড়তি ঝুঁকি ও পরিবহণ খরচের কারণে পেট্রোল পাম্পে দামের বড়সড় লাফ দেখা যেতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    প্রসঙ্গত, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে (US Attacks Iran)। তিনি লেখেন, অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। এখন শান্তির সময় এসেছে (Iran Israel Conflict)।

LinkedIn
Share