Tag: USA

USA

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    Iran: ইরানে চলছে ষড়যন্ত্র! নিজের দেশেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন খামেনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের (Iran) সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা চলছে। সেদেশের প্রশাসনিক মহলেই শুরু হয়েছে এই গোপন প্রক্রিয়া। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন এই অস্থির সময়ে ইরানের ভিতরে চলছে এই ষড়যন্ত্র, যেখানে সরাসরি লক্ষ্য করা হয়েছে খামেনিকে। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ইরানের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি খামেনির সময় ফুরিয়ে আসছে। তিনি যদি অফিসে থেকে যান, তবুও আর তাঁর হাতে প্রকৃত ক্ষমতা থাকবে না। কারণ ক্ষমতা তাঁর হাত থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছে।

    চলছে ষড়যন্ত্র (Iran)

    একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ইতিমধ্যে তাঁকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তাঁর বয়স (৮৫ বছর) এবং শারীরিক অসুস্থতাকেই এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আমেরিকা ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে, তখন ইরানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের (Iran) সেনাবাহিনীর দক্ষতার অভাব আছে, যা ইজরায়েল ও আমেরিকার মতো রাষ্ট্রের আধুনিক সামরিক আক্রমণ প্রতিহত করতে যথেষ্ট নয়।

    ইরানের পাশে রাশিয়া

    এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকটে প্রবেশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রাশিয়া ইরানের পাশে থাকবে। পুতিন আমেরিকার সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দাও করেছেন। তিনি ওয়াশিংটনকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এই আগ্রাসন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।” এই প্রেক্ষাপটে, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি (Iran) সম্প্রতি মস্কো সফর করেন এবং সেখানে পুতিনের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন।

    উত্তরসূরি বেছেছেন খামেইনি (Iran)

    গত বুধবার আয়াতুল্লাহ খামেনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলির দাবি, তিনি বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড (Khamenei) অবস্থায় রয়েছেন এবং একটি সুরক্ষিত বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে খামেনি ইতিমধ্যেই তাঁর উত্তরসূরি বাছাই শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর তিনজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলেন তাঁর ৫৬ বছর বয়সি ছেলে মোস্তফা খামেনি।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    Indian Airspace: ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানে হামলা মার্কিন বোমারু বিমানের? সত্য প্রকাশ পিআইবি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করে ইরানের ওপর হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই দাবিকে ‘মিথ্যে’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর সময় ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে চা ভিত্তিহীন বলে বিবৃতি দিয়েছে পিআইবি।

    পিআইবি-র বিবৃতি

    সরকারি তথ্য প্রচার দফতর পিআইবি (PIB) এক বিবৃতিতে জানায়, “কয়েকটি সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট দাবি করছে যে অপারেশন মিডনাইট হ্যামারের সময় মার্কিন বাহিনী ভারতীয় আকাশপথ ব্যবহার করেছে। এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো।” পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট জানায়, এই অপারেশনের পর যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, অভিযানে ব্যবহৃত মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি অন্য রুটে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা কোনওভাবেই ব্যবহার করা হয়নি।

    শান্ত থাকার আহ্বান ভারতের

    ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ওই হামলার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এর মধ্যেই খবর ছড়ায়, ইরানে ‘মিডনাইট হ্যামার’ মিশনে ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন। যা সম্পূর্ণত ভুয়ো খবর। কেন্দ্র সরকার এই গুজব পুরোপুরি নাকচ করে দিয়ে জানায়, ভারত নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা থেকে সরে এসে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    মোদির বার্তা

    ইরানে মার্কিন হামলার পরই সেখানকার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন। মোদি এই প্রসঙ্গে লেখেন, “ইরানের রাষ্ট্রপতি পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সম্প্রতি উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অবিলম্বে উত্তেজনা কমানো, আলোচনা এবং কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল হোক পরিস্থিতি এই দাবি জানিয়েছি।”

    আমেরিকার হামলা নিয়ে বিতর্ক

    গত ২০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা। কার্যক্ষেত্রে বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে (ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে) ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা চালাতে ‘বাঙ্কার বাস্টার’ এবং ‘বি ২ বম্বার’ কাজে লাগানো হয়েছে। ২১ জুন রাতের দিকে পরিচালিত ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ ছিল সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম জটিল ও বৃহৎ বিমান হামলা। ইরানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করতে আমেরিকা ব্যবহার করেছে জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। এই বোমার ওজন ১৩ হাজার কেজির বেশি। কনক্রিটের ১৮ মিটার ভিতরে এবং মাটির ৬১ মিটার নীচে গিয়ে হামলা চালাতে পারে এই বোমা। যদিও ফরদোয় ইরানের পরমাণুকেন্দ্র মাটির ৮০ থেকে ৯০ মিটার নীচে অবস্থিত বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তাই আমেরিকার এই বোমা আদৌ ইরানের পরমাণুকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। তবে ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমেরিকার এই বোমা হামলা ‘সফল’ বলে দাবি করেছেন।এর মধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ায়, মার্কিন বোমারু বিমানগুলি নাকি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপ থেকে উড়ান দিয়েছিল। আন্দামান সাগর অতিক্রম করে আরব সাগর হয়ে ইরানের ‘স্ট্রাইক জোনে’ পৌঁছায় সেগুলি। স্বভাবতই ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে কথা বিতর্ক শুরু হয়। জল্পনা ছড়ায় যে ভারত হয়তো এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছে।

    সত্য জানাল দিল্লি

    ভারত অবশ্য প্রথম থেকেই এই দাবি খারিজ করে দেয়। ফ্যাক্ট চেকের পর দেখা গিয়েছে, ভারত আদৌ তাদের আকাশসীমা (Indian Airspace) ব্যবহার করতে দেয়নি মার্কিন সেনাকে। তাছাড়া সেই প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, গুয়াম থেকে মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানে হামলা চালায়নি। মনে করা হচ্ছে, ভারতের শত্রুপক্ষই আকাশসীমা ব্যবহার নিয়ে বাজারে মিথ্যে খবর ছড়াচ্ছে। মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কাইন আমেরিকার হামলার পর যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন, সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন কোন রুট ব্যবহার করে ইরানে ঢুকেছিল মার্কিন বোমারু বিমান। সেখানে কোথাও ভারতের এয়ারস্পেস ব্যবহার করার কথা বলা হয়নি।

  • USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলের পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। কিন্তু ঠিক দু’দিনের মাথাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাল।

    কোন তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল মার্কিন বিমান বাহিনী?

    ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর সব বিমান বর্তমানে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি পোস্টে লিখেছেন, মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না, যা তারা করে দেখিয়েছে। এখন শান্তির সময়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরানকে এখন এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।

    কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?

    এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি, তারপর শান্তি।” প্রসঙ্গত, ইরানে এই হামলা চালানোর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বিরোধ শেষ না করলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে।”
    সাংবাদিকদের তিনি (Trump) বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো এভাবেই যুদ্ধ চলবে।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি (USA) বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য হল ইরানের পারমাণবিক উৎপাদন এবং পরমাণু বোমার হুমকিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।”

  • Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অভিবাসীদের হাতে ট্রোলড হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Trump Munir Meet)। জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে এতকিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ হওয়ার পিছনে একাধিক কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

    পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র

    প্রথমত, ধারণা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের (Trump Munir Meet) কয়েকটি অঞ্চলে — বিশেষ করে নূর খান ও কিরানা হিলস এলাকায় — আমেরিকার গোপন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ভারতের বিমান হামলার পর ওই অঞ্চলগুলিতে মার্কিন উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন, নুর খান এয়ারবেস এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের কোনও কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে আমেরিকার কার্গো আসা-যাওয়া করত। ওই কার্গোর ভিতরে কী থাকে, সেই সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাও জানে না। একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা। অর্থাৎ এখন পাকিস্তানের এয়ারবেসের ভিতরে কী হচ্ছে, তা পাকিস্তান নিজেই জানতে পারছে না। আমেরিকা এই এয়ারবেসের কার্যত দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই পাকিস্তানকে ভেঙে পড়তে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিরাপদ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক দীপক ভোরার মতে, আসলে পাকিস্তানের নিজের বলে কিছুই নেই পুরোটাই অন্যের থেকে নেওয়া।

    ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা

    দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প (Trump Munir Meet) পরিবারের পাকিস্তানে বড়সড় ক্রিপ্টো ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলে গুঞ্জন। পাকিস্তানের মুদ্রার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছেন। এই নতুন বাজারে প্রবেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখছে ট্রাম্প পরিবার। পাকিস্তানে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে ট্রাম্প পরিবার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ (ডব্লিউএলএফ)। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিফাই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের হাতে। ডব্লিউএলএফ-এর সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার স্টিভ উইটকফের পুত্র। কোম্পানিটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্টেবলকয়েন এবং ডিফাই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ (প্রস্তাবপত্র) সই করে ডব্লিউএলএফ। এই কাউন্সিলটি গঠিত হয় মাত্র এক মাস আগে, যার নেতৃত্বে আছেন বিলাল বিন সাকিব – পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পদ টোকেনাইজেশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সের জন্য স্টেবলকয়েন চালু এবং ডিফাই পাইলট প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষা করা আমেরিকার নিজেদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহ

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প (Trump Munir Meet) কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে বাধ্য করছে আমেরিকা। ইসলামিক বিশ্বের যে কথা এতদিন ইসলামাবাদ বলে এসেছে। তা-ও আসলে ভাঁওতা। ইসলামিক বিশ্বে সংঘাত একটি জটিল সমস্যা। তা সে শিয়া-সুন্নি বিভেদই হোক বা বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলেও কিছু নেই — আছে কেবলমাত্র স্থায়ী স্বার্থ। ভূরাজনীতির জগৎ আবেগের উপর নির্ভর করে না, বরং জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করে। একটি দেশের জন্য যা কিছু ভালো তা তার স্থায়ী স্বার্থ এবং যে দেশ এটি অর্জনে তাকে সহায়তা করে সেই দেশ তার বন্ধু। এই নীতিকেই সামনে রেখে ভারতও তার বিদেশনীতি পরিচালনা করছে, যেখানে দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে।

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

  • Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    Hinduphobia: আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ হিসেবে হিন্দু-বিদ্বেষ রুখতে বিল আনল জর্জিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় হিন্দু-বিদ্বেষ (Hinduphobia) বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই। এই আবহে হিন্দু-বিদ্বেষ রোখার জন্য বিল আনল জর্জিয়া (Georgia)। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, আমেরিকায় প্রথম কোনও প্রদেশ এমন পদক্ষেপ করল। জানা যাচ্ছে, বিলটি আইনে পরিণত হলে হিন্দু বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে

    সম্প্রতি, এসবি ৩৭৫ নামে ওই বিলটি জর্জিয়ার আইনসভায় পেশ করা হয়েছে বলে খবর। বিলটিকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলেরই জনপ্রতিনিধিদের। রিপাবলিকান দলের দুই সেনেট সদস্য শন স্টিল, ক্লিন্ট ডিক্সন এবং ডেমোক্র্যাট দলের দুই সেনেট সদস্য জেসন এস্টিভস, এমানুয়েল জন এই বিলটি উত্থাপন করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিলটি উত্থাপনের পরে শন বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, দেশে হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।’’ এই বিলটিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার যে কোনও ঘটনাকে ‘বৈরিতামূলক, ধ্বংসাত্মক, অবমাননাকর’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    হিন্দু ধর্মের অকুণ্ঠ প্রশংসা করা হয়েছে বিলটিতে (Hinduphobia)

    জর্জিয়ার (Georgia) আইনসভার এমন সিদ্ধান্তে হিন্দুদের (Hinduphobia) একটি সংগঠন ‘কোয়ালিশন অফ হিন্দুস অফ নর্থ আমেরিকা’ সেনেটরদের এবিষয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই বিলটির জন্য ওই সেনেটরদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তারা গর্বিত। বিলে সনাতন ধর্মের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হল হিন্দু। বৃহত্তর ধর্মও বটে। প্রায় ১০০টি দেশে ১২০ কোটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছড়িয়ে রয়েছেন। বৈচিত্র্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিকে সমর্থন করে এই ধর্ম।

    আমেরিকায় হিন্দুদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

    আমেরিকায়ও হিন্দুর সংখ্যা অনেক। জর্জিয়ায় প্রায় ৪০ হাজার হিন্দুর বাস। সেখানে গত কয়েক বছরে আমেরিকায় হিন্দুদের (Hinduphobia) বিরুদ্ধে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, ‘গাভিষ্ঠি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠন হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আমেরিকায় হিন্দুদের বিরুদ্ধে ১,৩১৪টি ‘ধর্মীয় হিংসা’-র ঘটনা ঘটেছে।

LinkedIn
Share