Tag: Uttar Pradesh

Uttar Pradesh

  • Love Jihad: ফের লাভ জেহাদ! হিন্দু নাবালিকাকে ‘অপহরণের ছক’, গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    Love Jihad: ফের লাভ জেহাদ! হিন্দু নাবালিকাকে ‘অপহরণের ছক’, গ্রেফতার মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার লাভ জেহাদের (Love Jihad) ঘটনা সামনে এসেছে। এবারে ১৫ বছর বয়সী এক হিন্দু নাবালিকার ব্রেনওয়াশ করে তাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বাগপাত জেলার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুসলিম যুবকটির নাম সোহেল আনসারি। জানা গিয়েছে, মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে ও যুবকটি মেয়েটির থেকে ১০ বছরের বড়। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় ড্রেনের পাইপ থেকে। ইতিমধ্যেই ছেলেটিকে অপহরণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মেয়েটির সঙ্গে যুবকটির ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। আর তারা দুজনেই পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু মেয়েটি বুঝতে পারে যে, তার বা-মা তাদের পালানোর কথাটি জেনে গিয়েছে। আর সেই ভয়ে যুবকটির সঙ্গে না পালিয়ে, সে একাই অন্য এক জায়গায় গিয়ে লুকিয়ে ছিল। পরে খুঁজতে গিয়ে তাকে এক ড্রেনের পাইপ থেকে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, প্রায় ৯ ঘণ্টা সে সেখানে লুকিয়ে ছিল। ঘটনাটি ঘটে ২৩ নভেম্বর।

    আরও পড়ুন: এবার অসমে লাভ জেহাদের শিকার হিন্দু নাবালিকা! কিশোরীকে গণধর্ষণ চার যুবকের

    সেদিন সে স্কুল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বাড়িতে ফিরে না এলে সে নিখোঁজ বলে জানানো হয় পুলিশকে (Love Jihad) । এরপরেই তাকে খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর জিজ্ঞেস করে জানা যায়, সে বাড়িতে ফিরে গেলেই তার বাবা-মা তাকে বকাবকি করবে ও আর সেই ভয়েই বাড়ি না গিয়ে ড্রেনের পাইপে লুকিয়ে ছিল।

    অভিযোগ উঠেছে যে, সোহেল মেয়েটির ব্রেনওয়াশ করে তাকে নিয়ে পালানোর ফন্দি এঁটেছিল (Love Jihad) । পুলিশ সূত্রে খবর, ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে সিংগাওয়ালি আহির থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর তার অনুসন্ধানের জন্য পাঁচটি থানা থেকে পুলিশের একটি টিম মোতায়েন করার পাশাপাশি কুকুরও মোতায়েন করা হয়েছিল।

    জানা গেছে, অপহরণের অভিযোগে ওই মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোহেলের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৩৬৩-এর পাশাপাশি যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের ধারা ৭/৮ এবং তফসিলি জাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারা ৩(২)৫এ- এর অধীনে সিংগাওয়ালি আহির থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (Love Jihad) ।

  • Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার উত্তর প্রদেশের আব্বাস আনসারি (Abbas Ansari)। তিনি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। মউ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) ছেলে। শনিবার আব্বাসকে গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সংস্থার আধিকারিকরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার করা হয়েছে মুখতারের ছেলেকে।

    ইডির আধিকারিকরা জানান, বছর তিরিশের আব্বাসকে গ্রেফতার করার আগে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ফেডারেল এজেন্সির অফিসে জেরা করা হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতার করা হয় মউয়ের বিধায়ককে। তাঁরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর বাবা (Mukhtar Ansari) এবং পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাসকে। জানা গিয়েছে, মুখতার আনসারির সাতটি স্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। যার মূল্য ১.৪৮ কোটি টাকা।

    মুখতার আনসারি (Mukhtar Ansari) বর্তমানে উত্তর প্রদেশেরই বান্দা জেলে বন্দি। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন। গতবছর এই মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কেবল তাঁকেই জেরা নয়, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর দাদা এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আফজল আনসারির দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। গাজিপুর, মোহম্মদাবাদ, মউ এবং লখনউতেও হানা দিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। মুখতারের (Mukhtar Ansari) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে। এছাড়াও দুটি অভিযোগ দায়ের হয় বিকাশ কনসট্রাকশান নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই কোম্পানিটি চালান মুখতারের স্ত্রী, দুই শ্যালক এবং অন্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) বিচার চলছে সাতটি মামলায়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও। অগাস্ট মাসেই গাজিপুর জেলা প্রশাসন তাঁর দুটি জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে রোজগারের টাকায় কেনা হয়েছিল ওই দুটি জমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Mosambi Juice: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের

    Mosambi Juice: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্লাজমার বদলে ডেঙ্গুর রোগীকে মুসম্বির রস (Mosambi Juice) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও হয়। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এবার প্রয়াগরাজের ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল যোগী সরকার। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একটি নোটিস জারি করে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালটিকে। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গুগলকে ফের জরিমানা করল সিসিআই

    প্রয়াগরাজের বেসরকারি হাসপাতাল গ্লোবাল হসপিটালে ৩২ বছরের এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে প্লেটলেটের বদলে মুসম্বির রস দেওয়া হয়। এরপরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত যুবকের শ্যালক দাবি করেন, “প্লেটলেটের বদলে মোসাম্বির রস দেওয়া হয়েছিল তাঁর ভগ্নিপতিকে। পাঁচ নম্বর প্যাকেটে ফলের রস ছিল। পরে হাসপাতালের আধিকারিকদের সেটা দেখিয়ে পুরো বিষয়টা জানাই।” যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসতেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। কর্তৃপক্ষকে কড়া নোটিস ধরিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নোটিস বলা হয়েছে, পুরসভার কোনওরকম অনুমতি ছাড়া বেআইনি ভাবে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে সেটিকে ফাঁকা করতে হবে। প্রসঙ্গত মুসম্বি বিতর্কের পরেই সিল করে দেওয়া হয় হাসপাতালটিকে। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ ‘বুলডোজার নোটিস’ জারি করল প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। 

    প্রয়াগরাজের সিএমও নানক সরণ বলেন, “তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগে তিন ইউনিট প্লেটলেট রোগীকে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তার পর হাসপাতালের কারও মারফত তাঁরা আরও প্লেটলেট জোগাড় করেন। তাতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরের দিন রোগীর মৃত্যু হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Spoon Swallow: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল ৬৩টি চামচ! কীভাবে এল জানেন?

    Spoon Swallow: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল ৬৩টি চামচ! কীভাবে এল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের পেটের ভিতরে মিলল চামচ! একটা, দুটো নয়, ৬৩টি। অবিশ্বাস্য এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মিরাটের এক বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় এক ব্যক্তির। ঘণ্টা দুয়েকের অস্ত্রোপচারে (Operation) বের করা হয় ৬৩টি মাথাবিহীন চামচ (Spoon)। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল (Stable)। কয়েক দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে।

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই? 

    উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মুজাফফর (Muzaffarpur) জেলার বাসিন্দা বিজয় চৌহান ১৫ দিন আগে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হন। পরীক্ষানিরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর পেটে ৬৩টি মাথাবিহীন চামচ রয়েছে বলে নিশ্চিত হন। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় চামচ। 

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ জানান, ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত (Addicted) ছিলেন। নেশা ছাড়ানোর জন্য পরিবার তাঁকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে (Drug De-addiction Center) ভর্তি করেছিল। গত সাত মাস ধরে ভর্তি ছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তির পেটে কীভাবে এই মাথাবিহীন চামচগুলি এল, তার সদুত্তর দিতে পারেননি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তারা।

    আরও পড়ুন: হিন্দু নেতাদের হত্যা থেকে হাওয়ালা কারবার! কী কী করত পিএফআই, জানেন? 

    তবে হাসপাতালের এক চিকিৎসক (Doctor) জানান, রোগী একবার বলেছিলেন যে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরা জোর করে চামচ গিলতে বাধ্য করেছিলেন তাঁকে। তবে ফের রোগীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, স্বেচ্ছায় চামচ গিলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: দ্বিগ্বিজয়, কমল নাথ না গেহলট! কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী কে? 

    রোগীর পরিবারেরও দাবি, নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্মীরাই রোগীকে জোর করে চামচ খেতে বাধ্য করেছিলেন। যদিও তাঁরা এনিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    Al Qaeda Terrorist: বাংলাদেশি ব্লগার হত্যায় জড়িত? আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার মালদার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি (Terrorist) সন্দেহে গ্রেফতার মালদহের সুজাপুরের নাজিরপুর এলাকার যুবক। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হল হাসনাত শেখকে। সাহারানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের (Calcutta Police) এসটিএফ (STF)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের (Al Queda Indian Sub Continent) সদস্য। ২০১৫ সালে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার (Blogger) অভিজিৎ রায়। ওই ঘটনায় হাসনাতের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জেরা করে এ রাজ্যে জঙ্গিদের শেকড় কতটা গভীরে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।  

    পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পঁচিশের হাসনাত প্রথমে সুজাপুরের লাল মহম্মদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। পরে পড়াশোনা করে বর্ধমানের একটি মাদ্রাসায়। বছর সাতেক আগে ধর্মশিক্ষার জন্য সে চলে যায় উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের একটি মাদ্রাসায়। মাস চারেক পরে মৌলবী হয়ে ফেরার কথা ছিল তার। ঘটনার জেরে বিস্মিত হাসনাতের প্রতিবেশীরা। নাজিরপুর এলাকায় ভদ্র ও মৃদুভাষী হিসেবেই পরিচিত ছিল সে। তাই তার সঙ্গে জঙ্গিযোগের খবর মেনে নিতে পারছেন না হাসনাতের পরিবারও। হাসনাতের মা রেজি বিবি বলেন, কিছু দিন আগেই ছেলে বাড়ি ঘুরে গেল। ওর কাছে ফোন ছিল না। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার মাদ্রাসা হস্টেলের সুপারের ফোন থেকে বাড়িতে কথা বলত। আমি বিশ্বাস করি না জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওর আছে।   

    আরও পড়ুন : বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    তবে এসটিএফ সূত্রে খবর, হাসনাত আল কায়দা ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সদস্য। সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পেয়েছিলেন, বাংলাদেশি ব্লগার অভিজিৎ রায় খুনের নেপথ্যে ছিল আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক জঙ্গি সংগঠনের হাত। ওই ঘটনায় সম্প্রতি ফয়জল আহমেদ নামে ধৃত এক বাংলাদেশিকে জেরা করে হাসনাতের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এর পরেই হাসনাতকে গ্রেফতার করতে উঠপড়ে লাগে পুলিশ। প্রথমে তদন্তকারীরা যান সুজাপুরে। সেখানে তার নাগাল পাননি তাঁরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, হাসনাত রয়েছে সাহারানপুরে। এর পরেই তদন্তকারীদের একটি দল চলে যায় সেখানে। দিন কয়েক ধরে কড়া নজর রাখা হয় হাসনাতের গতিবিধির ওপর। শেষমেশ বুধবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

    উত্তর ২৪ পরগনার শাসন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর। গত এক মাসেরও কম সময়ে এই এলাকা গুলি থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেফতার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গি। এবার সেই তালিকায় উঠল মালদহের সুজাপুরের নামও। কারণ সাহারানপুরে ধৃত হাসনাত এখানকারই বাসিন্দা।  

    বাংলা কি তবে ক্রমেই জঙ্গিদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ মামলায় ‘সুপ্রিম’ রায়ে স্বস্তি পেলেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণা ভাষণ (Hate Speech) ছড়ানোর মামলায় রেহাই পেলেন উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রায়দান হয় ওই মামলার। সেখানেই দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানিয়ে দেন, এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

    ২০০৭ সালে গোরক্ষপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন যোগী। তখন তিনি সাংসদ। অভিযোগ, ওই সভায় ঘৃণা ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয় মামলা। ওই মামলারই শুনানি চলছিল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার বেঞ্চে। ২৪ অগাস্ট ওই মামলার শেষ শুনানি ছিল। শুক্রবার হয় রায়দান। ঘটনাচক্রে এদিনই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রামানার শেষ দিন। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলা আর চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। প্রসঙ্গত, ১০১৮ সালেও এই একই রায় দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। তার পরেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জনৈক আবেদনকারী। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেন রামানা।

    আরও পড়ুন : ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    শুনানিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের হয়ে সওয়াল করছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহতাগী। ওই মামলায় প্রধান বিচারপতি রামানার নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে তিনি জানান, ওই মামলা সংক্রান্ত সিডি জমা দেন সিএফএসএলের কাছে। এবং তাতে কিছু মেলেনি। তিনি বলেন, আবেদনকারী সে পিটিশন দাখিল করেছেন সেটা আগেই হাইকোর্ট পরীক্ষা করেছে। এর পরেই তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে এই মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া অর্থহীন। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তিনি এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    Loan Apps: ঋণের টোপ দিয়ে টাকা-তথ্য হাতিয়ে চিনে পাচার, দেশজুড়ে গ্রেফতার ২২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণ (loan) দেওয়ার টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত শিকার। এক বার ফাঁদে পড়লেই কেল্লাফতে। ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে শুরু হত ব্ল্যাকমেইলিং। ঋণ নেওয়া ব্যক্তির ছবি বিকৃত করে পর্ন সাইটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত মোটা অঙ্কের টাকা। সেই তথ্য এবং টাকা পাচার হত ড্রাগনের দেশ চিনে। এভাবে ৫০০ কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। একশোটিরও বেশি লোন অ্যাপের (Loan App) মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌ থেকে দুষ্কৃতীরা কারবার চালাচ্ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতারণা চক্রের নেপথ্যে কয়েকজন চিনা (China) নাগরিক রয়েছে। চক্রের শেকড় কত গভীরে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    সম্প্রতি একে একে প্রতারণার শ খানেক অভিযোগ পায় দিল্লি পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত। চক্রের পর্দাফাঁস করেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, মূলত লোন অ্যাপের মাধ্যমেই ফাঁসানো হত গ্রাহকদের। এই অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ মিলত। তবে অনায়াসে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঋণ মিলত। ঋণ দেওয়ার সময় গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। সুদ সমেত আসল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই তারা ধারণ করত স্বমূর্তি। ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতানো হত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। এভাবেই জালিয়াতি করা হয় ৫০০ কোটি টাকা। হাওয়ালা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সেই টাকা পাঠানো হয় চিনে।

    আরও পড়ুন : প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ নানা রাজ্যে জাল বিছিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতারকরা মূলত যে লোন অ্যাপগুলি ব্যবহার করত সেগুলি হল ক্যাশ পোর্ট, রুপি ওয়ে, লোন কিউব, ওয়াও রুপি, স্মার্ট ওয়ালেট, জায়ান্ট ওয়ালেট, হাই রুপি, সুইফট রুপি, ওয়ালেটউইন, ফিশক্লাব, ইয়েহক্যাশ, ইম লোন, গ্রোটি, ম্যাজিক ব্যালেন্স, ইয়োক্যাশ, ফরচুন ট্রি, সুপারকয়েন এবং রেড ম্যাজিক। অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫১টি মোবাইল, ২৫টি হার্ড ডিস্ক, ৯টি ল্যাপটপ, ১৯টি ডেবিট কার্ড, ৩টি গাড়ি এবং নগদ ৪ লক্ষ টাকা। এদিন যে বাইশজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের জেরা করে চিনা চক্রের নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

     

  • Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    Nupur Sharma: খুনের ভার পড়েছিল নূপুর শর্মাকে! উত্তর প্রদেশ পুলিশের জালে জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) ঠিক আগেই জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পশ্চিমের সাহারানপুর (Saharanpur) জেলা থেকে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad) ও তেহরিক-ই-তালিবান (Tehreek-e-Taliban ) জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় বছর পঁচিশের ওই যুবককে।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) দাবি, ওই যুবককে গ্রেফতার করায় ফাঁস হল বড়সড় নাশকতার ছক। পুলিশের দাবি, জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবককে  বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে খুনের দায়িত্ব দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, সাহারানপুরের কুন্দাকালা গ্রামের ওই বাসিন্দার নাম মহম্মদ নাদিম। পুলিশের দাবি, নূপুরকে হত্যা করতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের এক চাঁই ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল বলে স্বীকারও করেছে নাদিম। সে তার আরও কয়েকজন সহযোগীর নামও জানিয়েছে পুলিশকে। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

    আরও পড়ুন : হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি সাসপেন্ড করে দলের মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে। তার পরেও এক শ্রেণীর দুষ্কৃতী তাণ্ডব চালায় দেশের বিভিন্ন অংশে। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিজেপির পার্টি অফিসে হামলা সবই হয়েছে। দিন দুই হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর পথে নামে পুলিশ। তার পরেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সেই নূপুরকেই খুন করতে ওই যুবককে দায়িত্ব দিয়েছিল জঙ্গিরা।

    উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নাদিমের। জইশ-ই-মহম্মদ ও তেহরিক-ই-তালিবান দুই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল সে। তার ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান ও সিরিয়াও যেতে বলা হয়েছিল তাকে। কীভাবে আইইডি তৈরি করতে হয়, ফোনের মাধ্যমে তাকে তার কৌশলও শিখিয়েছিল জঙ্গিরা। পুলিশের দাবি, তার ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন চ্যাট এবং ভয়েস বার্তায়ও জইশ এবং তেহরিক-ই-তালিবানের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত নাদিম। উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজিপি প্রশান্ত কুমার বলেন, নাদিমের কাছ থেকে দুটি সিম কার্ড এবং বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরির কৌশল লেখা কিছু কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

     

  • Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    Uttar Pradesh: স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক! উত্তরপ্রদেশে ধৃত আইএস জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে নাশকতার ছক বানচাল করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (Uttar Pradesh Anti-Terrorist Squad)। এক সন্দেহভাজন আইএস (IS) জঙ্গিকে আজমগঢ় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসের আগে একাধিক জায়গায় হামলার ছক কষেছিল সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। ধৃত জঙ্গির নাম সাবাউদ্দিন আজমি (Sabauddin Azmi)। 

    রাজ্যপুলিশের এডিজি প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের আজমগড় থেকে আইএস জঙ্গি সন্দেহে রাজ্যপুলিশের বিশেষ অপরাধ দমন শাখা ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। ধৃতের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার কাজ চলছে, বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে নতুন  ছেলেদের কাজে লাগানো হত। হাতে কলমে চলত হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা এবং আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ। 

    আরও পড়ুন: আচমকাই উধাও দেশের ২৪ টি স্মৃতিসৌধ! এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি

    অন্যদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছকও বানচাল করা গিয়েছে। পুলওয়ামায় উদ্ধার হয়েছে ৩০ কেজি বিস্ফোরক। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা (Pulwama) জেলার সার্কুলার রোড সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখনই তাহাব ক্রসিং এলাকায় একটি আইইডি নজরে আসে তাঁদের। বিস্ফোরকটির ওজন ছিল ২৫ থেকে ৩০ কিলোর মধ্যে। 

    কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের আগে জঙ্গিরা নাশকতা ঘটাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনী সতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যে আইইডিটিকে নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে উপত্যকায় এহেন বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার ও জঙ্গিদের তৎপরতায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

LinkedIn
Share