Tag: Uttar Pradesh

Uttar Pradesh

  • Snake Bite: মর্মান্তিক! সাপের কামড়ে মৃত দাদার সৎকারে গিয়ে সর্পাঘাতে মৃত ভাই-ও

    Snake Bite: মর্মান্তিক! সাপের কামড়ে মৃত দাদার সৎকারে গিয়ে সর্পাঘাতে মৃত ভাই-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্পদষ্ট (Snake Bite)  দাদার শেষকৃত্যে (Funeral) যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভাই। সর্পাঘাতে মৃত্যু হল তাঁরও। পর পর দুই ভাইয়ের সাপের কামড়ে মৃত্যুতে শোকে পাথর উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) ভবানীপুর গ্রাম।

    উত্তর প্রদেশের ভবানীপুর গ্রাম। ছবির মতো সাজানো গোছানো এই গ্রামেই বাড়ি অরবিন্দ মিশ্রের। প্রবল গরমে ঘরের দাওয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন বছর আটত্রিশের অরবিন্দ মিশ্র। গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে কোনওভাবে সাপে কামড়ায় তাঁকে। আর্ত চিৎকারে জেগে ওঠেন বাড়ির লোকজন। দ্রুত চলে আসেন পড়শিরাও। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। খবর পেয়ে লুধিয়ানা থেকে চলে আসেন অরবিন্দের ভাই গোবিন্দ মিশ্র। বছর বাইশের গোবিন্দের সঙ্গে লুধিয়ানা থেকে দেশের বাড়ি ফেরেন চন্দ্রশেখর পাণ্ডে। আত্মীয়তা সূত্রে মিশ্র বাড়িতেই থাকেন তিনিও।

    অরবিন্দকে দাহ করে বাড়ি ফেরেন গোবিন্দ এবং চন্দ্রশেখর। গরমের চোটে ওই রাতে দাওয়ায় ঘুমোচ্ছিলেন গোবিন্দ এবং চন্দ্রশেখরও। ঘুমোঘোরে তাঁদের দুজনকেও সাপে কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে এই দুজনকেও নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোবিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। বছর বাইশের চন্দ্রশেখর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।

    আরও পড়ুন :মানসিক ভারসাম্যহীন সন্তানকে পাঁচ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন দন্ত চিকিৎসক মা, গ্রেফতার

    একই গ্রামের একই বাড়িতে পরপর তিনজনের সর্পদষ্ট হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সিনিয়র মেডিক্যাল এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা এদিনই যান ওই গ্রামে। স্থানীয় বিধায়ক কৈশাশ নাথ শুক্লা দেখা করেছেন মিশ্র পরিবারের সঙ্গে। এক সঙ্গে রোজগেরে দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর মিশ্র পরিবারকে জানিয়েছেন সমবেদনা। দিয়েছেন পাশে থাকার আশ্বাসও। ভবিষ্যতে যাতে ফের এই ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।  

    পুলিশের সার্কেল অফিসার রাধারমণ সিং বলেন, গোবিন্দ মিশ্রকেও সাপে কামড়েছে। তিনিও ঘুমোচ্ছিলেন। ওঁর এক আত্মীয় চন্দ্রশেখরকেও সাপে কামড়ায়। সর্পাঘাতে মৃত অরবিন্দের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : অভিবাদন প্রিয়তমা! যুদ্ধ ভুলে ভারতে হিন্দু রীতিতে বিয়ে ইউক্রেনীয়-রুশ যুগলের

  • Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    Bundelkhand Expressway: এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহে পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটি (Bundelkhand Expressway) পেতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। বুন্দেলখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগসাধনের জন্যেই ২৯৬ কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের জন্যে ৩৬ মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল যোগী সরকার (Yogi Adityanath Government)। কিন্তু কোভিডকালেও মাত্র ২৮ মাসেই শেষ হয়েছে রাস্তা তৈরির কাজ। আগামী ১২ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। 

    আরও পড়ুন: “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

    রাস্তা তৈরিতে যে শুধু সময় বাঁচিয়েছে যোগী সরকার তাই নয়, বেঁচে গিয়েছে বেশ কিছু টাকা। বরাদ্দ টাকা থেকে ১,১৩২ কোটি টাকা বাঁচিয়েছে যোগী সরকার। যা বরাদ্দ মোট টাকার প্রায় ১২.৭২%। এই মুহূর্তে এই এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনের হলেও, ভবিষ্যতে ৬ লেনের করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাজ্যের সাত জেলার মধ্যে যোগাযোগ ঘটাবে এই রাস্তা। 

    প্রধানমন্ত্রী ওইদিন এক্সপ্রেসওয়ে ধরে জালালুন জেলার কাথেরি গ্রামে গিয়ে রাস্তার উদ্বোধন করবেন। এই এক্সপ্রেস ওয়ের অন্যতম বিশেষত্ব হল, ইটাওয়াতে আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেস ওয়েতে মিশবে এই রাস্তা। দিল্লি এনসিআরের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। লখনৌ থেকে বুন্দেলখণ্ডের যাত্রাও এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পরে অনেকটাই সহজ হবে।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের  

    আগামীদিনে সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই সহজ হবে যাতায়াত। চিত্রকূটে এই রাস্তা শেষ হচ্ছে জাতীয় সড়ক ৩৫-এ। ঝাঁসি এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে এই রাস্তা। 

    ইউপি এক্সপ্রেসওয়েস ডেভলপমেন্ট অথরিটির প্রধান আনিস কুমার আবাস্তি বলেন, “এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখণ্ডের সার্বিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা পালন করবে। কৃষি, পর্যটন, শিল্প সবটাই সমৃদ্ধ হবে। দিল্লি এনসিআর- এর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হিসেবে কাজ করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।   

    গত বছরের নভেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী ঝাঁসিতে ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প, ভারত ডায়নামিক লিমিটেডের (Bharat Dynamics Limited) শিলান্যাস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই রাস্তার গুরুত্ব অসীম। 

    উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই চারটি এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। নয়ডা- গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেস ওয়ে, যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা-লখনৌ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে। ১২ জুলাই পঞ্চম এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন হতে চলেছে।   

     

     

     

  • Yogi Adityanath:  যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    Yogi Adityanath: যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পূরণ করল উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। তিনি বলেন, এই একশো দিন সমর্পণ করা হয়েছে জনগণের সেবা-সুরক্ষা এবং সুশাসনের প্রতি। মুখ্যমন্ত্রী (CM) বলেন, জনতার কাছে যা কথা দিয়েছি, তা আমরা পূরণ করবই। এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের অর্থ ব্যবস্থাকে এক ট্রিলিয়নে পরিণত করার চেষ্টা চলছে।

    উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় এসেই রাজ্যকে ‘কুশাসন’ মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান যোগী। যার সুফল ঘরে তুলছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর জয় মিলেছে বিধান পরিষদ নির্বাচনেও। সম্প্রতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আজমেঢ় ও রামপুর উপনির্বাচনেও জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত গেরুয়া শিবির। যোগী আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশকে আরও সংগঠিত করতে দশটি বিভাগ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি হল কৃষি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, আরবান ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম ও কালচার, শিক্ষা, রাজস্ব এবং আইন। এগুলির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ আধিকারিকদের হাতে। প্রত্যেককে বেঁধে দেওয়া হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত কয়েক বছরে মোট ২৯২৫ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে মাফিয়া ও সমাজবিরোধীদের গতিবিধি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাফিয়াদের ৮৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তিও। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, গত পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে উত্তর প্রদেশ পরিচিতই ছিল দাঙ্গা ও অশান্তির জন্য। কিন্তু বিজেপি সরকার আসার পরেই উত্তর প্রদেশে আর একটিও দাঙ্গার খবর নেই।

    আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ সময়ের আগেই, বাঁচল হাজার কোটি টাকারও বেশি

    কেবল আইনশৃঙ্খলাই নয়, আর্থিকভাবেও ঢের উন্নতি লাভ করেছে যোগীর রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মাত্র পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশের জিডিপি দ্বিগুণ হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়ও। তিনি জানান, ধর্মীয়স্থানে অনাবশ্যক লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। ২০ হাজারেরও বেশি লাউড স্পিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও জানান আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত একশো দিনে প্রায় ১০ হাজার জনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, আমাদের লক্ষ্য উত্তর প্রদেশের সব যুবককে অন্তত দু লক্ষ করে টাকা লোন দেওয়া। এই টাকা নিয়ে তারা যাতে ব্যবসা করতে পারে, সেজন্য সব রকম ব্যবস্থা করবে সরকার। আদিত্যনাথ বলেন, ২০১৭ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রায় ৮৬ লক্ষ কৃষকের লোন মকুব করে। ২০২২ সালে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে ১৫ কোটি গরিব মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

  • Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    Nupur Sharma Row: প্রয়াগরাজে হিংসার মাস্টারমাইন্ডের বাড়িতে মিলল বন্দুক, সাহারানপুরে গ্রেফতার তরুণ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশজুড়ে অশান্তি বিক্ষোভকারীদের। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে (Prayagraj) হিংসার মাস্টারমাইন্ড জাভেদ মহম্মদের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল চক্রী বছর আঠারোর এক তরুণকে। মুজাম্মেল (Muzammil) নামের ওই তরুণ একটি মাদ্রাসার ছাত্র। এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে কেবল উত্তর প্রদেশ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে চারশোজনের বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশজুড়ে।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    দিন দশেক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ঘটনার পরে পরেই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশজুড়ে অশান্তির আগুন ছড়িয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ, কোথাও দোকানপাঠ ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, কোথাও আবার বাড়িঘর এবং বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।

    অশান্তির আঁচ নিভু নিভু হতেই মাস্টারমাইন্ডদের খোঁজে হন্যে হয় পুলিশ। জানা যায়, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের মূল চক্রী জনৈক জাভেদ মহম্মদ। এর পরেই তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় একটি ১২ ও একটি ৩১৫ বোরের অবৈধ পিস্তল। মেলে কার্তুজও। বাড়িতে আপত্তিকর কিছু পোস্টারও মেলে। বাড়িটিও বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর পরেই বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মহম্মদের বাড়ি। পুলিশের দাবি, জাভেদের বাড়ির কিছু নথি ‘আদালতের চোখে আপত্তিকর’।

    এদিকে, উত্তর প্রদেশেরই সাহারানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মুজাম্মেল নামের এক তরুণকে। পুলিশ জেনেছে, জুম্মার নমাজেরর পরেই অশান্তি পাকায় সে। মুজাম্মেল স্থানীয় এক মাদ্রাসার ছাত্র। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাহারানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোয় দুজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। অবৈধ নির্মাণ করায় তাদের বাড়ি বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মুজাম্মলির উসকানিতেই মূলত অশান্তি ছড়ায়। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য এক চক্রীর নাম সলমান। সে প্রাপ্ত বয়স্ক। সে-ই পোস্টার ছাপিয়েছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অর্থ সাহায্য করে এই অশান্তির আগুনে কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    এদিকে, অশান্তি পাকানোর অভিযোগে উত্তর প্রদেশের আট জেলা থেকে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১৬ জনকে। বাংলায় গ্রেফতারির সংখ্যা একশোর কাছাকাছি। হাজার খানেক প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, অশান্তি ঠেকাতে গিয়ে ১০ জুন রাঁচিতে দুজনের মৃত্যু হয়। জখমও হয় বেশ কয়েকজন।

     

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

    তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।

    আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

    মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

     

  • Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    Mathura Mosque: এবার মথুরার শাহি ইদগাহে উঠল আজান বন্ধের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠল মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।

    পরে, ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।

    আরও পড়ুন : ম্যাঙ্গালুরুর বিতর্কিত সেই মসজিদে ধর্মীয় আচার পালন ভিএইচপি, বজরং দলের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে দাবি করেন শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অখিল ভারত হিন্দু কোষাধ্যক্ষ দীনেশ শর্মার দাবি, যেহেতু ইদগাহটি ছিল ভগবান কৃষ্ণের গর্ভগৃহ, তাই এখানে আজান হওয়া ঠিক না। তিনি বলেন, মসজিদের আশেপাশে যাঁরা বসবাস করেন, আজানের ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।দীনেশ বলেন, যেহেতু লাউডস্পিকারে আজান বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, তাই এখানেও মাইকে আজান না হওয়াই উচিত।  

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদে পাওয়া ‘শিবলিঙ্গ’ বিশ্বেশ্বরের! দাবি কাশীর প্রধান মহন্তর

    এর আগেও বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন মথুরার আদালতে মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ১০টি পিটিশন দাখিল করেছিল। এই মসজিদ লাগোয়া একটি কৃষ্ণের মন্দিরও রয়েছে, কাটরা দেব মন্দির। মসজিদের এলাকা আগে কেশব দেব মন্দিরের ছিল বলেও দাবি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। এর মধ্যেই ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে মথুরার মসজিদ বিতর্ক।

  • National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    National Anthem: মাদ্রাসাগুলিতে প্রার্থনার সময় গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত, উত্তরপ্রদেশের পথে হরিয়ানাও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাদ্রাসা (madrassa) বা স্কুলগুলিতে প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর কোনও সমস্যা হতে পারে না, অভিমত হরিয়ানার (Haryana) শিক্ষামন্ত্রী কানোয়ার পালের। এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকারের সঙ্গে একমত তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সব মাদ্রাসায় প্রার্থনার পর জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) বাধ্যতামূলক করেছে যোগী সরকার। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কানোয়ার জানান, হরিয়ানাতেও সব মাদ্রাসা বা স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে সরকার।

    কানোয়ার বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত সব জায়গায় গাওয়া যেতে পারে। এটা দেশবাসীর কাছে গর্বের। স্কুল হোক বা মাদ্রাসা, জাতীয় সঙ্গীত গাইলে কারোর বাধা দেওয়া উচিত নয়।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত “জন গণ মন” গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সরকারের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। 

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি মাদ্রাসায় সকালে হয় জাতীয় সঙ্গীতের সুর বাজাতে হবে না হলে গাইতে হবে। এই নির্দেশিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রার এস এন পান্ডেও সমস্ত মাদ্রাসায় এই নির্দেশ জারি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।       

    নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্লাস শুরুর আগে, রাজ্যের সমস্ত স্বীকৃত, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং অ-সহায়ক মাদ্রাসায় আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষক এবং ছাত্রদের দ্বারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। কিছু কিছু মাদ্রাসায় অবশ্য জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তবে এবার প্রতিটি মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করে দিল যোগী সরকার।  

    হরিয়ানাতেও কী এধরনের পদক্ষেপ করা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে কানোয়ার জানান “জন গণ মন” গাওয়াতে কোনও সমস্যা নেই। হরিয়ানা সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। হরিয়ানা সরকারের ক্লাস নাইনের ইতিহাস বইতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে কানোয়ার জানান, কোনও দলের ইচ্ছানুসারে ইতিহাস রচনা করা যায় না।

  • Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    Gyanvapi Mosque Update: জ্ঞানবাপী মামলার রায়দান স্থগিত মঙ্গলবার পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদিনের মতো শুনানি শেষ হল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (kashi viswanath temple)- জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque) মামলার। আগামিকাল পর্যন্ত রায়দান মুলতুবি রেখেছে বারাণসী জেলা আদালত (Varanasi district court)। আদালতে মোট ৩টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যার ওপর এদিন হয় শুনানি। শুনানি হয় জেলা বিচারক অজয় কুমার বিশ্বেশার এজলাসে। শুনানি চলে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে।

    মুসলিমদের তরফে আবেদন করেছে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid Committee)। আর হিন্দুদের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন লক্ষ্মীদেবী, রাখি সিং, সীতা সাহু, মঞ্জু ব্যাস এবং রেখা পাঠক।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!

    সোমবার শুনানির সময় ১৯ জন আইনজীবী এবং ৪ জন আবেদনকারী সহ মোট ২৩ জনকে আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় আদালত চত্বরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। বারাণসী আদালতে উভয় পক্ষের তরফে মোট ৭টি দাবি পেশ করা হয়েছে। হিন্দুদের দাবি পাঁচটি। আর মুসলমানদের তরফে দাবি করা হয়েছে দুটি। হিন্দুদের দাবি, শৃঙ্গার গৌরীতে (Shringar Gauri) নিত্যদিন পুজোর অনুমতি দিতে হবে। ওজুখানার জলাধারে পাওয়া শিবলিঙ্গের (shivling) পুজোর অনুমতি দিতে হবে। বিকল্প ওজুখানার (Wazukhana) ব্যবস্থা করতে হবে। নন্দীর সামনের দেওয়াল ভেঙে ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে হবে। এবং শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত জরিপ করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    এদিকে, একটি পিটিশন দাখিল করে মুসলিম পক্ষ দাবি করেছে দুটি। তারা ওজুখানা সিল করার বিরোধিতা করেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, জ্ঞানবাপী জরিপ (Gyanvapi survey) ও ১৯৯১ সালের প্রার্থনাস্থল  আইনে (Places of Worship Act, 1991) মামলা নিয়ে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বারাণসী আদালতকে শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছে।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞাপবাপী মসজিদ। হিন্দুদের দাবি, মসজিদ তৈরি হয়েছিল মন্দির ভেঙে, ষোড়শ শতকে। পরে বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। আর মুসলিম পক্ষের দাবি হল, ভারতীয় সংবিধানে উপাসনা স্থান সংক্রান্ত বিশেষ বিধান। এই আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্টের আগে তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। সেই কারণেই জ্ঞানবাপী মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।

     

  • Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    Sri krishna Janmabhoomi: কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ মামলা গ্রহণ করল মথুরার আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণ জন্মভূমির (Sri krishna Janmabhoomi) জমিতে শাহি ইদগাহ মসজিদ (shahi idgah mosque) গড়ে ওঠার অভিযোগ জানিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য। এমনটাই জানাল মথুরার আদালত (Mathura court)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি খারিজ করে দেওয়া সিভিল কোর্টের আদেশও বাতিল করে দিয়েছে জেলা আদালত।

    মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয়েছিল মামলা। আবেদনে দাবি করা হয়, ১৩.৩৭ একর জমি মন্দিরের। ফলে, মসজিদ সরিয়ে ওই জমি মন্দিরকে হস্তান্তর করা হোক।

    ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তাঁরা দাবি করেছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থানে দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি। দু’পক্ষের শুনানি শেষে আদলত রায় সংরক্ষণ করে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আদালতে আরও একটি আবেদন করেছিলেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার জাতীয় কোষাধ্যক্ষ দীনেশ কৌশিক। দায়রা বিচারক সিনিয়র ডিভিশন মথুরার কাছে একটি আবেদনে তিনি দাবি করেন, শাহি ইদগাহ মসজিদের ভিতরে থাকা লাড্ডু গোপালকে পবিত্র করার এবং সেখানে নিয়মিত পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।

    ভারত দীর্ঘকাল মুসলমান শাসকের অধীনে ছিল। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের অভিযোগ, ওই সময়কালে বহু মন্দির ভেঙে গড়ে উঠেছে মসজিদ। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে সবচেয়ে বেশি মন্দির ধ্বংস হয়েছিল বলে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি। তাঁদের দাবি, এই সময়ই বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ। এই মসজিদে শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি এক আইনজীবীর। মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে যে মসজিদ তৈরি হয়েছিল, তাও প্রমাণও মিলেছে এক ইতিহাস বইতে।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    এহেন আবহে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক। গত ১৭ তারিখ এই বিতর্কিত ইদগাহ চত্বর সিল করার দাবিও মথুরার একটি আদালতে করেছিল আবেদনকারীরা। বিতর্কিত জায়গাটি সিল করা না হলে পরিবর্তিত হবে সম্পত্তির ধর্মীয় চরিত্র। মসজিদ চত্বরে নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়। 

    আবেদনে শাহী ইদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা বাড়ানো, যে কোনও ধরনের চলাচল নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের দাবিও জানানো হয়। পাশাপাশ, জ্ঞানবাপীর মতো এখানেও আদালত নিযুক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে গোটা চত্বরে ভিডিও সমীক্ষা চালানো হোক বলেও দাবি করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

     

  • Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    Yogi Adityanath: যোগীর ট্যাটু বুকে নিয়ে ঘুরছেন উত্তরপ্রদেশের মুসলিম যুবক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় নায়ক কিংবা নায়িকার ছবি ট্যাটু (Tattoo) করতে দেখা যায় অনেককেই। তবে কোনও রাজনীতিবিদ বা মুখ্যমন্ত্রীর (CM) জন্মদিনে নিজের শরীরে ট্যাটু করানোর ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। তবে এবার দেখা গেল। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ছবি বুকে ট্যাটু করিয়ে ঘুরছেন এক যুবক। শুনতে অবাক লাগলেও, এমন ঘটনাই ঘটেছে। হয়েছে ভাইরালও। জানা গিয়েছে, ছবিতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম ইয়ামিন সিদ্দিকী। বছর তেইশের ওই যুবক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই তাঁর আদর্শ বলে মনে করেন। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সরাই আগস্তে।  

    দিন দুয়েক আগেই দ্বিতীয় দফায় একশো দিন পেরল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রথম দফার পরে দ্বিতীয় দফায়ও যোগী আদিত্যনাথের কাজের ধরন ও জনগণের জন্য তাঁর নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে মুগ্ধ ইয়ামিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আবেগ এতটাই যে ৫ জুন যোগীর জন্মদিনে নিজের বুকে আদিত্যনাথের ট্যাটু করিয়েছেন তিনি।ইয়ামিন মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম অন্ধ ভক্ত। আদিত্যনাথের সঙ্গে এখনও দেখা হয়নি তাঁর। তবে তিনি চান, শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। দেখাতে চান বুকে আঁকা আদিত্যনাথের ছবি।

    আরও পড়ুন :যোগী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ১০০ দিনের রিপোর্ট কার্ড পেশ

    নিজের শরীরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ট্যাটু করানোর পরে কম গঞ্জনা সইতে হয়নি ইয়ামিনকে। তাঁর মুসলিম বন্ধুরা যখন বিষয়টি জেনেছিলেন, তখন তাঁরা ইয়ামিনের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন। তাতে অবশ্য দমে যাননি ওই তরুণ। বলেন, উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার গঠনের পর থেকেই বদলে গিয়েছে রাজ্যের ছবি। যোগী সরকারের বিভিন্ন স্কিম গরিবদের জন্যও। কেউ কখনও বৈষম্যের শিকার হননি। হিন্দু বা মুসলিম প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সবাই সমানভাবে।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বক্তব্যের পরে পাথর ছোড়া ও রাজ্যে অশান্তি প্রসঙ্গে ইয়ামিন বলেন, যোগী আদিত্যনাথ ভাল সরকার চালাচ্ছেন। তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পাথর ছোঁড়ে, তাণ্ডব চালায়।

    আরও পড়ুন : “সব স্বচ্ছ নীতির প্রতিফলন…!” যোগী-রাজ্যে গিয়ে কী বললেন মোদি?

LinkedIn
Share