Tag: Uttar Pradesh

Uttar Pradesh

  • Paper Leaks Ordinance: প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব যোগীর মন্ত্রিসভায়, শাস্তি কী জানেন?

    Paper Leaks Ordinance: প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব যোগীর মন্ত্রিসভায়, শাস্তি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিট ইউজি’ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে ‘নেটে’রও। এমন অভিযোগ পেয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেন্দ্র। এবার একই পথে হাঁটল উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারও। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে মঙ্গলবার অধ্যাদেশ জারির প্রস্তাব (Paper Leaks Ordinance) পাশ করল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Paper Leaks Ordinance)

    এই অধ্যাদেশের বলে প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে দুই থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডিত করা হবে। কেবল তাই নয়, জরিমানা গুণতে হতে পারে এক কোটি টাকা পর্যন্ত। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং এজাতীয় ঘটনা রুখতেই এদিনের মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পেশ হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনও পাবে না। এই জাতীয় অপরাধের বিচার হবে দায়রা আদালতে (Paper Leaks Ordinance) এবং অ-কম্পাউন্ডেবল হবে। জামিনের ক্ষেত্রেও কঠোর বিধান রয়েছে। জেল ছাড়াও জরিমানারও ব্যবস্থা থাকবে। অভিযুক্তদের সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হবে।

    অর্ডিনেন্সের আওতায় কী কী পরীক্ষা?

    উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক মুখপাত্র জানান, এই অর্ডিনেন্সের আওতায় থাকবে উত্তরপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ইউপি সাবর্ডিনেটস সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড, ইউপি বোর্ড, স্টেট ইউনিভার্সিটিজ এবং অথরিটি, বডিজ এবং এজেন্সি যাদের তারা নিয়োগ করবে। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও এই অধ্যাদেশ কাজ করবে। অধ্যাদেশের আওতায় থাকবে জাল প্রশ্নপত্র বিলি, নকল নিয়োগ ওয়েবসাইট বানানোও। দোষী সাব্যস্ত হলে এরাও চলে আসবে শাস্তির আওতায়। যোগী সরকারের ওই মুখপাত্র জানান, যদি কোনও পরীক্ষায় এর (জালিয়াতির) প্রভাব পড়ে, তাহলে যারা টাকা নিয়ে এই কাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে। যেসব কোম্পানি এবং সার্ভিস প্রোভাইডার এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তাদেরও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

    আর পড়ুন: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন-পর্ব মিটে যাওয়ার পরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে যোগী রাজ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল (Paper Leaks Ordinance)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Pradesh: প্রশ্ন ফাঁস থেকে শিক্ষা! কড়া আইন আনছে যোগী সরকার

    Uttar Pradesh: প্রশ্ন ফাঁস থেকে শিক্ষা! কড়া আইন আনছে যোগী সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিট’ এবং ‘নেট’ পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক চরমে। উঠছে জালিয়াতির অভিযোগ এবং প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আনছে বিরোধীরা। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি নতুন আইন আনতে চলেছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে যোগী সরকারের তরফে।  

    প্রশ্ন ফাঁস রুখতে যোগী রাজ্যে আসছে আইন

    জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এমন একটি কড়া আইন আনতে চলেছে, যেখানে থাকছে কঠিন শাস্তির বিধান। থাকবে মোটা অংকের জরিমানা থেকে জেলের ব্যবস্থা। এমনকি বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিধানও থাকতে পারে। সূত্রের খবর ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি ‘নেট’ এবং ‘নিট’ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করতেই উত্তরপ্রদেশ সরকার এ বিষয়ে কঠোর আইন আনতে তৎপর হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আলাদা প্রিন্টার থেকে ছাপানো হবে দুটি সেটে প্রশ্নপত্র।  এমনকি উত্তর পত্রে কোডিং-এর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার কেন্দ্র হবে একমাত্র সরকারি স্কুল ডিগ্রী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কিংবা মেডিকেল কলেজ। তাও আবার যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেকর্ড ভালো সেগুলিকে সেন্টার হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। প্রত্যেকটি সেন্টারে সিসিটিভি থাকবে। চারটি ভিন্ন এজেন্সি নিয়োগ করা হবে যারা পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্বে থাকবে। বাড়ির কাছে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। পরীক্ষা কেন্দ্র হোম ডিভিশনের বাইরে থাকবে। তবে বিশেষভাবে সক্ষম ও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু এই নিয়মের ফাঁক গলে কেউ যাতে টুকলি না করে তার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা কড়া রাখা হবে।

    আইনে থাকছে কড়া শাস্তির বিধান

    যদি কোন ক্ষেত্রে ৪ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী হয়, তাহলে দুই ভাগে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে করা হবে। রেজাল্টে যাতে কোন অনিয়ম না থাকে, তার জন্য কমিশন ও বোর্ড ও এমআর শিট স্ক্যান করার দায়িত্বে থাকবে। প্রশ্নপত্রে থাকবে সিক্রেট কোড। পাশাপাশি ইউনিক বারকোড, কিউআর কোড এবং সিরিয়াল নম্বরও থাকবে । প্রশ্নপত্র ট্যাম্পার প্রুফ, মাল্টিলেয়ার প্যাকেজিং করে

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুরা নয়, শুধুমাত্র একটি ধর্মই সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়’’, তোপ হিমন্তের

    বহন করে নিয়ে যাওয়া হবে। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন স্মার্টফোন কিংবা ক্যামেরা নিয়ে ঢোকা যাবে না। প্রিন্টিং প্রেসেও স্মার্টফোন এবং ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ থাকবে। প্রেস চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে। এবং সেই রেকর্ডিং এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ইন্ডি জোটের ৬ সাংসদের মাথায় ফৌজদারি মামলার খাঁড়া, বদলাবে উত্তরপ্রদেশের ফল?

    Uttar Pradesh: ইন্ডি জোটের ৬ সাংসদের মাথায় ফৌজদারি মামলার খাঁড়া, বদলাবে উত্তরপ্রদেশের ফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে নির্বাচনে পরাজয়ের ক্ষত, তার ওপর উত্তরপ্রদেশের ছয় সাংসদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ফৌজদারি মামলা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড হতে পারে দু’বছরেরও বেশি। যার জেরে বিপদে পড়তে পারে ইন্ডি জোট। বদলে যেতে পারে উত্তরপ্রদেশ লোকসভা নির্বাচনের ফল। কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশে সমানে সমানে টক্কর হয়েছে বিজেপি এবং ইন্ডি জোটের। 

    ইন্ডি জোটের কীর্তি! (Uttar Pradesh)

    বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোট এমন ছ’জনকে টিকিট দিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন গাজিপুরের সাংসদ আফজল আনসারি। এঁর সব চেয়ে বড় পরিচয় হল ইনি গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া মুখতার আনসারির বড় ভাই। ইন্ডি ব্লকের টিকিটে জয়ী হয়েছেন ধর্মেন্দ্র যাদবও। তাঁর মাথার ওপর ঝুলছে চারটি ফৌজদারি মামলার খাঁড়া। জৌনপুরের সাংসদ বাবু সিং কুশওয়াহার বিরুদ্ধে রয়েছে এনআরএইচএম কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পর্কিত ২৫টি মামলা।

    দোষী সাব্যস্ত হলে কী হবে

    সুলতানপুর আসনে জয়ী হয়েছেন ইন্ডি জোটের প্রার্থী রামভুল নিশাদ। তিনি আটটি মামলার আসামি। এর মধ্যে একটি আবার দায়ের হয়েছে গ্যাংস্টার আইনে। চান্দৌলির সাংসদ বীরেন্দ্র সিং ও সাহারানপুরের সাংসদ ইমরান মাসুদের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। ইন্ডি জোটের এই ছয় সাংসদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অর্থ পাচার, ভয় দেখানো এবং গ্যাংস্টার আইনের বিভিন্ন ধারা। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ড হতে পারে দুবছরেরও বেশি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে কোনও সাংসদ বা বিধায়কের দু’বছর কিংবা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ। দোষ প্রমাণ হলে ইন্ডি জোটের ওই ছয় সাংসদের দু’বছরেরও বেশি কারাদণ্ড হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে খোয়াতে হবে সাংসদ পদ। যার জেরে খালি হবে ইন্ডির ঝুলি।

    আর পড়ুন: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (২০২৪) উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে ৩৬টি। এর মধ্যে আবার বিজেপি একাই পেয়েছে ৩৩টি আসন। ইন্ডি জোটের হাতে গিয়েছে ৪৩টি কেন্দ্রের রাশ। ইন্ডি জোটের যে ছয় সাংসদের বিরুদ্ধে ঝুলছে ফৌজদারি মামলার খাঁড়া, দোষী প্রমাণ হলে এবং সাংসদ পদ খোয়ালে ইন্ডি জোটের সাংসদ সংখ্যা কমে হবে ৩৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • 3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! সম্প্রতি এই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন জনকে গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) করল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে চলছিল সিকিউরিটি চেকিং। সেই সময় সংসদ ভবনের ফ্ল্যাপ গেট এন্ট্রিতে সিআইএসএফ কর্মীরা এই তিনজনকে আটক করে। তারপর এদের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই তিন জন সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (3 arrested In Parliament)

    মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের গণনা চলছিল সারা দেশে। আর সে দিনই ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন পেশায় শ্রমিক এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)  বাসিন্দা কাসিম, মোনিস এবং শোয়েব। সংসদের একটি প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সময় তাঁদের দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হলে তিন জনেই আধার কার্ড দেখান। কিন্তু সেই আধার কার্ড দেখে জওয়ানদের সন্দেহ আরও বাড়ে। খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, তিনটি আধার কার্ডই ভুয়ো। 

    আরও পড়ুন: দুই মন্ত্রীকে নিয়ে মোদির শপথ গ্রহণে আসছেন মুইজ্জু?

    অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের 

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই তিন জন (3 arrested In Parliament) সংসদ চত্বরে একটি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তাঁরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই তিনজনকে কাজে ঢুকিয়েছিল ডি ভি প্রজেক্টস লিমিটেড। সংসদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এমপির লাউঞ্জ নির্মাণে নিযুক্ত ছিল তারা। ঘটনার পরেই তিন অভিযুক্তকে সিআইএসএফ কর্মীরাই দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কারন বর্তমানে সিআরপিএফ এবং দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বদলে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৪৬৫ ধারা (জালিয়াতি),৪১৯ ধারা (প্রতারণা), ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) সহ বিভিন্ন ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধৃত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা শত্রুদেশের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ জাল আধার কার্ড ছাড়াও ধৃত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল পাসপোর্টও। 
    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক রয়েছে এনডিএ-র। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জোটের তাবড় সব নেতারা। এর পরই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথেরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ঠিক তার আগে সংসদ ভবন চত্বর থেকে এই তিন সন্দেহভাজনের গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একি আজব কাণ্ড বলুন দেখি! চুরি করতে এসে স্বয়ং চোরই (Burglar Enters House) কিনা ঘুমিয়ে পড়ল? আসলে চুরি করতে এসে এসির ঠান্ডা হাওয়া পেতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। আর সেই ঘুম ভাঙল পুলিশের ডাকে। মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউতে (Lucknow)। আর এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হেসে লুটোপুটি খেতে শুরু করে নেটিজেনরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি লখনউ-এর (Lucknow) ইন্দিরানগর থানা এলাকার সেক্টর-২০ এর। সুনীল পান্ডে নামের ওই এলাকার এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে পড়ে চোর। পেশায় ডাক্তার সুনীলবাবু ওইদিন  কাজের সূত্রে ছিলেন বারাণসীতে। আর সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে (Burglar Enters House) ঢুকে পড়ে চোর। বাড়ির মেন গেট খুলে ড্রয়িং রুমে পৌঁছতেই সেখানে এসি রয়েছে দেখে সেটা চালিয়ে দেয় সে। ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করতেই চোখ ক্রমশ পড়ে আসতে থাকে চোরের। আর এরপর চুরি করা বাদ দিয়ে এক সময় সে মেঝেতে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষনের মধ্যেই গভীর ঘুমে চলে যায় চোর। 
    এদিকে, প্রতিবেশীরা গেট খোলা দেখে বাড়ির মালিক ডাক্তারবাবুকে ফোন করে খবর দেন। এরপর সুনীল বাবু বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় চোর ঘরের এসি চালিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।   

    আরও পড়ুন: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই! ভোটগণনা ঘিরে তৎপর কমিশন

    পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্য (Burglar Enters House) 

    এ প্রসঙ্গে ঘটনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “চোর চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকেছিল (Burglar Enters House) কিন্তু সে এসির ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং এতটাই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় যে সে আর উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীরা খবর দিলে তাকে আটক (Arrest) করা হয়।”

      
    যদিও চুরি করতে এসে চোরের ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অন্ধ্র প্রদেশের গোদাবরী জেলায় এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করতে এসে এসি-র মায়ায় পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    Yogi Adityanath: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই নির্বাচন রাম ভক্ত বনাম রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে পছন্দ করে নেওয়ার নির্বাচন।” শনিবার কথাগুলি বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা প্রচারকের তালিকায় থাকা নেতা যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে তিনি ‘রাম-দ্রোহী’ বলে দেগে দিলেন। তাঁর অভিযোগ, গো-হত্যাকারীদের মদত দিয়ে দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করতে চায় তারা। তারা মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করতে চায়।

    কী বললেন যোগী? (Yogi Adityanath)

    বিহারের বেগুসরাই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন যোগী। সেখানেই তিনি বলেন, “যে নির্বাচন চলছে, সেখানে আপনাদের হয় বেছে নিতে হবে রাম ভক্তদের নয়ত রাম-দ্রোহীদের।” এর পরেই তিনি স্লোগান দেন, “যো রাম কো লায়া হ্যাঁয়, হম উনকো লায়া হ্যাঁয় (যিনি রামকে নিয়ে এসেছেন, আমরা তাঁকে নিয়ে আসব)।” উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath) বলেন, “আমি প্রভু রামের দেশ থেকে এসেছি। আমি জানি, বিহারের বাসিন্দাদের হৃদয়ে অযোধ্যার জন্য একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে। কারণ সীতাদেবী জন্মেছিলেন এখানেই।” সমাজবাদী পার্টির (ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক) নাম না নিয়েই যোগী বলেন, “রাম-দ্রোহীদের মধ্যে রয়েছে তারাও, যারা রামভক্তদের গুলি করেছিল। এরাই আবার মাফিয়া ডনের মৃত্যুতে কান্নাকাটি করে।”

    কংগ্রেস-সপাকে নিশানা

    প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে অযোধ্যায় করসেবকদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব। সরাসরি না বলে এদিন এই ঘটনারই উল্লেখ করেন যোগী। বিহারে এনডিএ ক্ষমতায় আসার আগে আইন-শঙ্খলার অবনতির জন্য আরজেডি-কংগ্রেসকেই দায়ী করেন তিনি। বলেন, “ওরা দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার একটা পরিকল্পনা করে এসেছিল। মুসলমানদের জন্য সংক্ষরণ করতে চেয়েছিল। বাবা সাহেব অম্বেডকরের(সংবিধান রচয়িতা) সঙ্গে প্রতারণা করেই ওরা এটা করতে চেয়েছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “সংরক্ষণের কোটা যদি ভাগ হয়ে যায় তবে আমাদের দলিত এবং ওবিসিদের কী হবে?” কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন সাচার কমিটি গড়ে এসব করার ষড়যন্ত্র করেছিল বলেও দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)।

    আরও পড়ুুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Loksabha Vote: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    Loksabha Vote: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার বড়সড় ধাক্কা খেল ‘ইন্ডিয়া’ জোট (Loksabha Vote)। জানুয়ারির শেষের দিকে জোট ছেড়েছিলেন নীতীশ কুমার। এ বার অখিলেশের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গেলেন রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধরি। শনিবারই উত্তরপ্রদেশে ৮০টির মধ্যে ৫১টি লোকসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরে বিজেপির পক্ষে প্রবল হাওয়া বইছে উত্তরপ্রদেশে। সে কথা বুঝেই আরএলডি-এর এই পদক্ষেপ এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন জয়ন্ত?

    শনিবারইএনডিএ শিবিরে যোগদানের কথা জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দরিদ্র কল্যাণে অভূতপূর্ব বিকাশ (Loksabha Vote) ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাজির সঙ্গে দেখা করে এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এনডিএ উন্নত ভারতের সংকল্প। লোকসভা ভোটে ৪০০-র বেশি আসন পাবে।’’

    জেপি নাড্ডার ট্যুইট

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শনিবার লেখেন, “অমিত শাহজির উপস্থিতিতে (Loksabha Vote) আজ আরএলডির প্রধান জয়ন্ত চৌধরিজির সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। এনডিএ পরিবারে তাঁর যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমি আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানাই।”

    অমিত শাহের ট্যুইট

    এনডিএ শিবিরে জয়ন্তের যোগদানের পর অমিত শাহও তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জয়ন্তকে স্বাগত জানান। তিনি লেখেন, “আমি রাষ্ট্রীয় লোকদলের প্রধান জয়ন্ত চৌধরিজিকে এনডিএ পরিবারে স্বাগত জানাচ্ছি। এনডিএতে জয়ন্তের যোগদান কৃষক, দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণির উন্নয়নের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    Krshina Janmabhumi: শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ভেঙে মসজিদ করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব, এএসআই রিপোর্টে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরায় মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব। কাশীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ছিল আদি বিশ্বনাথের মন্দির, এই খবরের পর ভগবান কৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) সম্পর্কে বড় খবর প্রকাশ্যে এল। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিয়েছে এএসআই। শাহি ইদগাহ মসজিদের উপর রিপোর্ট তলব করে আরটিআই করলে তার সাপেক্ষে এএসআই এই ঐতিহাসিক সত্যকে উত্তরপত্রে উল্লেখ করে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ তথা এএসআই, কৃষ্ণ জন্মভূমির মন্দির কমপ্লেক্সের ১৯২০ সালের একটি গেজেটের তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেছে এএসআই (Krshina Janmabhumi)?

    ১৯২০ সালের নভেম্বর মাসে গেজেট থেকে আরটিআই-এর উত্তর দিয়ে তারা জানিয়েছে, “কাটরা ঢিবির অংশগুলি নাজুল প্রজাদের দখলমুক্ত ছিল। এক সময় সেখানে কেশবদেবের একটি মন্দির (Krshina Janmabhumi) ছিল। পরবর্তী সময়ে ওই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। এই জায়গায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়।”

    আরটিআই করে তথ্য জানা গিয়েছে

    মন্দির ভাঙা বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ময়নপুরীর বাসিন্দা অজয় প্রতাপ নিজে আরটিআই করেন। এই আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের (Krshina Janmabhumi) বিষয়ে তথ্য। এরপর তৎকালীন ব্রিটিশ শাসিত ভারতের ১৯২০ সালের গেজেটের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করা হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট করে বলা হয়, এখন যেখানে মসজিদ, সেখানে আগে কাটরা কেশবদের মন্দির ছিল। এরপর মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়। একই ভাবে অজয় প্রতাপ খুব স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছিলেন, মন্দির ভাঙা হয়েছিল কিনা। কিন্তু আরটিআই-এর উত্তরে কৃষ্ণ জন্মভূমি শব্দের উল্লেখ না করলেও মসজিদের জমি যে কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের, একথা বলা হয়েছে। মুঘল সম্রাট এই কেশবদেবের মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণের কথা উত্তরপত্রে স্পষ্ট করে বলা হয়। ফলে এএসআইয়ের রিপোর্টকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্যকর তথ্য উঠে আসে।

    কৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি নিয়াস সংগঠনের বক্তব্য

    কৃষ্ণ জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) মুক্তি নিয়াসের সভাপতি আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “ব্রিটিশ শাসনকালে গণপূর্তি বিভাগ বিল্ডিং ও সড়ক বিভাগকে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানের ৩৯টি স্মৃতিস্তম্ভের তালিকা। এরপর তাকে রেকর্ড করা হয় গেজেটে। ১৯২০ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টে প্রকাশ করা হয় এই রিপোর্ট। এই তালিকার ৩৭ নম্বরে উল্লেখ করা হয় কেশবদেবের মন্দিরকে। এই তথ্যকে বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাই এই প্রামাণ্য তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি কমিশন গঠনের জন্য আবেদন করা হবে।”

    শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির মূল বিবাদ কী?

    শ্রীরামের জন্মস্থান অযোধ্যা, বাবা বিশ্বনাথের আদি মন্দির জ্ঞানব্যাপীর মতো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি (Krshina Janmabhumi) নিয়েও বিরাট বিবাদ তৈরি হয়েছে। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যায় রাম জন্মভূমির মন্দিরকে যেমন বাবরের সেনাপতি মীরবাকি ভেঙে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেছিল, ঠিক একই ভাবে মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ সালে শ্রীকৃষ্ণের কেশবদেবের মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার মোট বিবদমান জমির পরিমাণ ১৩.৩৭ একর। যার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের জমির পরিমাণ ১০.৯ একর। বাকি আড়াই একরে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। উল্লেখ্য কংসের যে কারাগারে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই কারাগারের গা ঘেঁষেই মসজিদ নির্মাণ হয়। ফলে কারাগার এবং যমুনা নদী পর্যন্ত দীর্ঘ সুড়ঙ্গ মসজিদের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে বলে দাবি হিন্দু পক্ষের। তাই পুরো জমিটাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। এখানে মসজিদ অবৈধ নির্মাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram temple: অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে মুসলিম সদ্যোজাতের নাম রাখা হল ‘রাম রহিম’ 

    Ram temple: অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে মুসলিম সদ্যোজাতের নাম রাখা হল ‘রাম রহিম’ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram temple) উদ্বোধনের দিনে জন্ম নেওয়া নিজের সদ্যোজাত সন্তানের নাম ‘রাম রহিম’ রাখলেন উত্তরপ্রদেশের এক মুসলিম মহিলা। ২২ জানুয়রি দিনটি ছিল এক ঐতিহাসিক ‘শুভ মুহূর্ত’। প্রায় ৫০০ বছরের আন্দোলন-সংঘর্ষের পর রাম জন্মভূমিতে পুনর্নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করতে এমন এক পবিত্র দিনকেই বেছে নিয়েছিলেন অনেক মা। তাঁদেরই একজন ফিরোজাবাদের ফারজানা।

    ফিরোজাবাদের ডাক্তারের বক্তব্য(Ram temple)

    মন্দিরে (Ram temple) রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠানের দিনেই সোমবার ফিরোজাবাদে ফারজানা নামে এক মুসলিম মহিলা হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা দিতে তাঁর সন্তানের নামের সঙ্গে প্রভু রামের নাম জুড়ে দিলেন। জেলা মহিলা হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ নবীন জৈন জানান, “সোমবার ফারজানা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এখন মা এবং সন্তান উভয়েই ভালো রয়েছেন। এই সন্তানের ঠাকুরমা হোসনা বানু জানান, “মায়ের ইচ্ছায় সদ্যোজাতের নাম রাখা হয়েছে রাম রহিম। এই নামের মধ্যে রয়েছে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের প্রতীক।”

    কানপুরে ২৫ শিশুর জন্ম

    রামলালার (Ram temple) অভিষেকের দিন কানপুরেও জন্ম নেওয়া শিশুদের ঘিরে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। কানপুরের গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সীমা দ্বিবেদী জানিয়েছেন, “গতকাল প্রভু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার ‘শুভ মুহূর্তে’ এই হাসপাতালে মোট ২৫টি শিশুর জন্ম হয়েছে। তবে ২৫টি শিশুর মধ্যে ১০টি মেয়ে এবং বাকিরা ছেলে। এখন সকলেই সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ভারতী মিশ্র নামে যিনি একটি ছেলের জন্ম দিয়েছেন, তার নাম রাখা হয়েছে রাম। তাঁদের বিশ্বাস এই দিনে জন্মের ফলে নবজাতক শিশুর ব্যক্তিত্বের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মায়েরা তাঁদের সদ্যজাত সন্তানদের নাম রেখেছেন প্রভু রামের নামানুসারে। তাদের নামকরণ হয়েছে নাম রাঘব, রাঘবেন্দ্র, রঘু ইত্যাদি। একই ভাবে মেয়ে সদ্যজাতদের নাম রাখা হয়েছে জানকী বা সীতা।

    ভাদোহিতে ৩৩ শিশুর জন্ম

    অনেক মা নিজেদের সন্তান প্রসবের জন্য রামলালার (Ram temple) প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনকেই বেছে নিয়ে ডাক্তারদের অনুরোধ করেছিলেন। ডাঃ বন্দনা সাক্সেনা নামক এক নার্সিংহোমের মালিক বলেছেন, “অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের অভিষেকের দিনে আমার নার্সিং হোমের ডেলিভারি রুম এবং নবজাতক শিশুর ঘরটিকে গেরুয়া রঙে সাজিয়ে ছিলাম। প্রভু রামের আশীর্বাদ আমাদের কাম্য ছিল।” পাশাপাশি ভাদোহিতে মোট মন্দির উদ্বোধনের দিনে ৩৩টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে হাসপাতালে। ভাদোহির চিফ মেডিক্যাল অফিসার সন্তোষ কুমার চাক বলেছেন, “এই মায়েদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতাল প্রশাসনের কাছে ২২ জানুয়ারী অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই তাঁদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share