Tag: Uttar Pradesh

Uttar Pradesh

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    Ram Mandir: অযোধ্যায় বাড়ির ছাদে ছাদে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ পতাকা, এ যেন হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র!

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা

    ২২ জানুয়ারি তো এখনও ঢের দেরি। নয় নয় করে আরও ২৮ টা দিন। কিন্তু সোমবার অযোধ্যায় (Ram Mandir) পা রাখতেই মনে হল, উৎসব শুরুই হয়ে গেছে। পুণ্যভূমির সর্বত্র শুধু ভগবান শ্রীরামচন্দ্র। দোকানে, বাড়ির দেওয়ালে, এমনকী বাড়ির দরজাতেও। বুঝতে অসুবিধা হল না, গোটা অয্যোধ্যা এখন রামচন্দ্রময়। জলে, স্থলে, আকাশে, বাতাসে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে একটাই ধ্বনি, ‘জয় শ্রীরাম’। আগের অযোধ্যার সঙ্গে ফারাকও বিস্তর। ২২ জানুয়ারির সেই শুভ মুহূর্তটা যত এগিয়ে আসছে, কর্মব্যস্ততা ততই বাড়ছে। কারণ, প্রশাসনও জানে, ক’টা দিন পরই গোটা বিশ্ব হয়ে উঠবে অযোধ্যামুখী। তাঁদের আকৃষ্ট করতে প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই।

    রামের ঘরে ফেরা (Ram Mandir)

    ২৮টা দিন অয্যোধ্যাবাসীর কাছে অবশ্য কিছু নয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলেই বোঝা গেল, তাঁদের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট থেকে পুরাতন বাড়ি, সব জায়গায় চলছে সংস্কার। আমার মতো অযোধ্যায় পা রেখে যে কারও মনে হতেই পারে, হিন্দু সংস্কৃতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অযোধ্যা (Ram Mandir)। বাড়ির দেওয়াল থেকে পার্ক, সর্বত্রই ছাপ সনাতন সংস্কৃতির। দোকানের দরজাতেও লেখা ‘জয় শ্রীরাম’। দেদার বিক্রি হচ্ছে রামচন্দ্র-হনুমানের ছবি আঁকা গৈরিক পতাকা। এ যেন সত্যিই রামের ঘরে ফেরা।

    ভগবান রাম যেন সবার (Ram Mandir)

    এখানকার মানুষ একটা বিষয় নিয়ে বেজায় খুশি। তা হল, এ শুধু রামের ঘরে ফেরাই নয়, অযোধ্যার (Ram Mandir) অর্থনীতিরও আমূল পরিবর্তন আসছে। রামসীতা-হনুমানের মূর্তি তৈরি করেন জনৈক সন্তোষ শর্মা। তাঁর চোখেমুখে যেন খুশি ঝরে পড়ছে। তাই প্রতিবেদককে অকপটেই বলে দিলেন, ‘‘আগের থেকে বিক্রি বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে।’’ রামনগরীতে ঢোকার মুখে দিব্য কুণ্ড জলাশয় বাঁধানোর কাজ চলছে। দেখলাম, সেটাও প্রায় শেষের দিকে। শ্রমিকরা বললেন, ‘‘গত ১ বছর ধরেই চলছে কাজ। আর কয়েক দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’’ প্রশাসনও নিরাপত্তার নিরিখে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই পথের মোড়ে মোড়ে চোখে পড়ল পুলিশি ব্যারিকেড। বুঝলাম, নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রামনগরী। অযোধ্যার অলি-গলি-তস্য গলি চষে বেড়িয়ে দেখলাম, কমবেশি সব বাড়ির ছাদেই উড়ছে শ্রীরামের ছবি বসানো পতাকা। কোনও ধনী-দরিদ্র ভাগ নেই। ভগবান রাম যেন সবার হয়ে উঠেছেন।

    ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা (Ram Mandir)

    ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টে এফিডেফিট দাখিল করে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার জানিয়েছিল, রামের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু অযোধ্যার রাস্তাঘাট, পার্ক, জলাশয়, দোকান, বাড়ির ছাদ সবেতেই দেখা যাচ্ছে রামচন্দ্রকে। সন্ধ্যায় পুণ্যতোয়া সরযূ নদীর ধারে ভক্ত সমাগমই বলে দিচ্ছে আধ্যাত্মিক ভূমির (Ram Mandir) মাহাত্ম্য। জানা গেল, এখানে রোজই চলে সরযূ আরতি। চলতি বছরের দীপাবলি থেকে শুরু হয়েছে অযোধ্যায় লেজার শো। গোটা রামায়ণকে লাইট শো-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সরযূ আরতির পরে দেখানো হয়। অযোধ্যা কি বদলে গিয়েছে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্ন শুনে সরযূ-আরতি সমিতির সভাপতি মহারাজ শশীরকান্ত দাস বললেন, ‘‘আগে তো কেউই অযোধ্যা আসতেন না। দেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় সেভাবে দেখাও যেত না। কারণ সবাই ভীত ছিলেন কখন ঝামেলা শুরু হয়ে যাবে! তখন অযোধ্যার প্রতি সবাই ছিলেন একেবারেই উদাস। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। মন্দির নির্মাণ হচ্ছে, যার অবদান, কৃতিত্ব অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির। বদলেছে অযোধ্যা। পাঁচশো বছর পরে নগরী ফিরে পেয়েছে পুরনো মর্যাদা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ক্ষমতায় এসে দেশকে অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করব, গ্যারান্টি দিলাম”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ক্ষমতায় এসে দেশকে অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করব, গ্যারান্টি দিলাম”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে দেশকে অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করব। এই গ্যারান্টি দিলাম।” সোমবার বারাণসীতে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার দু’দিনের সফরে নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশকে অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার গ্যারান্টি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর কয়েক মাসের মধ্যেই দেশজুড়ে হবে সাধারণ নির্বাচন। এবং মোদি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছে, তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে দেশকে অর্থনৈতিক শক্তিকে পরিণত করবে। আপনাদের জন্য দেশকে এই গ্যারান্টি দিচ্ছি। বারাণসীবাসী আমার পাশে দাঁড়াবেন। তাঁরাই আমায় শক্তিশালী করবেন।”

    উন্নয়নের জোয়ার

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পরেই দেশে কার্যত আসে উন্নয়নের জোয়ার। যার জেরে ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। তালিকায় ভারতের জায়গা ছিল ১০ নম্বরে। মোদি (PM Modi) জমানায় ব্রিটেনকে নিচে নামিয়ে পাঁচ নম্বর জায়গাটি দখল করে মোদির ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের মহিলা, যুব, কৃষক এবং দরিদ্রদের উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে এরাই হল চারটি সম্প্রদায়। যদি এই চার সম্প্রদায় শক্তিশালী হয়, তাহলে দেশও শক্তিশালী হবে।” তিনি বলেন, “দশকের পর দশক ধরে উপেক্ষিত ছিল দেশের পূর্বাঞ্চল। সেই এলাকায়ও উন্নয়ন করা হয়েছে। মহাদেবের আর্শীবাদে আমি রয়েছি আপনাদের সেবায়।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরাধীনতার সময় যে অত্যাচারীরা ভারতকে দুর্বল করতে চেয়েছিল, তারা প্রথমেই আমাদের প্রতীককেও টার্গেট করেছিল। স্বাধীনতার পরে আমাদের সাংস্কৃতিক এই প্রতীককে পুনর্নির্মাণ করা জরুরি ছিল। আমরা যদি আমাদের সাংস্কৃতিক অস্বিত্বকে শ্রদ্ধা করতাম, তাহলে আমাদের ঐক্য ও আত্ম-শ্রদ্ধা আরও শক্তিশালী হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটা হয়নি। স্বাধীনতার পরে সোমনাথ মন্দির পুনর্নির্মাণের বিরোধিতাও করা হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ এখন মনের ক্রীতদাসত্বের মুক্তির বার্তা দিচ্ছে। ভারত তার ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত।” তিনি (PM Modi) বলেন, “সোমনাথ থেকে যে কাজ শুরু হয়েছে, সেটাই এখন প্রচার করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, কী বলল হাইকোর্ট?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adulterated Ghee: ভেজাল ঘি তৈরির জন্য পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড উত্তরপ্রদেশে

    Adulterated Ghee: ভেজাল ঘি তৈরির জন্য পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড উত্তরপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেজাল ঘি তৈরির দায়ে পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল উত্তরপ্রদেশের জেলা আদালত। ১৪ বছরের পুরনো এই মামলায় দোষীদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। শনিবার এই সাজা শুনিয়েছেন বরেলীর অতিরিক্ত জেলা বিচারক অরবিন্দ কুমার।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের মামলায় দেশের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় সাজা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। পুলিশ সূত্রে খবর, দোষীদের মধ্যে চার জন বুলন্দশহরের এবং অন্য জনের বাড়ি বরেলীতে। পাঁচ জনই ভেজাল ঘি তৈরির কারবারে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের হেফাজত থেকে প্রায় ২৬ কেজি ভেজাল ঘি, রিফাইনড তেল এবং বনস্পতি ঘি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এর পর ২০০৯ সালে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। এই মামলার সরকারি কৌঁসুলি তেজপাল সিং রাঘব জানিয়েছেন, ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল ঘি তৈরি করতেন ওই পাঁচ জন। তবে এই মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে প্রমাণাভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তেজপাল বলেন, ‘‘গত ১৪ বছর ধরে এই মামলার শুনানি চলছে। শুনানি চলাকালীন আট জনকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।’’

    আরও পড়ুন: আপনি সিনেপ্রেমী! দেখে নিন অগাস্টে কী কী রয়েছে আপনার জন্য?

    ঘি একটি সুপারফুড, এখন বিদেশীরাও এই সত্যটি মেনে নিয়েছে। ভারতীয় বাড়িতে এটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এটি পূজাতেও ব্যবহৃত হয়। ঘি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, অনেক পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি শরীরে গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বাড়ন্ত শিশুদের জন্য ঘি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ভেজাল ঘি শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। উদ্ভিজ্জ তেল এবং পশুর শরীরের চর্বি ঘিতে মেশানো হয় যা দেখতে হুবহু ঘি-র মতো হয়। এছাড়া হাড়ের ধুলো, সীসা ইত্যাদির মতো আজকাল অনেক কিছু মেশানো হচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, ধৃত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন

    Yogi Adityanath: যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, ধৃত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিনকে। শনিবার উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। কোতোয়ালি থানার আধিকারিক অজয়কুমার শেঠ জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে করা মন্তব্যটি গত ৪ অগাস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।  ওই মন্তব্য নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসতে থাকে পুলিশের কাছে। তারপরেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। 

    ধৃতের নাম শাহাবুদ্দিন আনসারি

    জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শাহাবুদ্দিন আনসারি। তবে যে ওই মন্তব্যটি হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপে করেছিল, তাকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারেনি বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে গ্রুপটির নাম ‘নগর পালিকা পরিষদ ভাদোহি’, গ্রুপটি সরকারি নামের হলেও তা সরকারের নয়। এটা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে পুলিশ।  তবে ওই গ্রুপে অধিকাংশই কাউন্সিলার রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং অপরাধমূলক আইনের (সংশোধিত) বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে (Uttar Pradesh) জানা গিয়েছে,  ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কাজ ছিল জনগণের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনা এবং তার সমাধান করা। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়।

    কয়েকদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে হিংসা নিয়ে সরব হন যোগী আদিত্যনাথ

    “যাঁরা বড় বড় কথা বলেন, তাঁরা দেখুন, উত্তরপ্রদেশ আর বাংলায় কীভাবে নির্বাচন হয়। ওঁরা গোটা দেশকে পশ্চিমবঙ্গ বানাতে চান!” একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি দিন কয়েক আগেই বলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “দেখুন, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করিয়েছে তৃণমূল সরকার। সবাই দেখেছে, বাংলায় কীভাবে বিরোধীদের হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না, সবাই চুপ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Religious Conversion: ফের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে

    Religious Conversion: ফের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ৪০০ জনেরও বেশী মানুষকে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ নিয়ে শোরগোল যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে।স্থানীয় গরিব বস্তিবাসীকে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠল ৯ জন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।কোভিড কালে মেরঠ জেলার মঙ্গতপুরমের মালিন গ্রামে গরীব মানুষদের সাহায্যের প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল।ভুক্তভোগীরা জানান, অবৈধভাবে ধর্মান্তরণ করা হচ্ছিল তাদের অভাবের সুযোগ নিয়ে। এমনকী এই ৯ ব্যক্তি তাদের ঘরে রাখা হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি গুলিও নষ্ট করতে বলেন।পূজো বন্ধ করে চার্চে যাবার নির্দেশ দেন।

    এক বস্তিবাসী বিষয়টি জানানোর পরেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি জানার পরেই বিজেপি নেতারা ভুক্তভোগীদের সাথে ব্রহ্মপুত্রী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, মঙ্গতপুরের প্রায় ৪০০ জনকে ধর্মান্তরণের অভিযোগে তাঁরা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে। তাঁরা আরও জানান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ওই ৯ জন ব্যক্তি ধর্মপরিবর্তন করার পাশাপাশি তাদের জোরপূর্বক আধার কার্ডে নাম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেয়। এমনকি অভিযুক্তরা দীপাবলী পূজোর দিন বাড়িতে ঢুকে মূর্তি ভাঙ্গচুর করার চেষ্টা করে। তারা এর প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা করে জনপ্রতি দাবী করে অভিযুক্তরা।

    [tw]


    [/tw]

    রাজ্যে শাসকদল বিজেপি সরকার এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি দীপক শর্মা দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ব্রহ্মপুরী থানায় বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে বজরং দল এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের নেতা কর্মীরাও এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন। গরীব ওই বস্তিবাসী তাদের এফআইআরে ৯ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন যথাক্রমে ছাবিলি ওরফে শিবা, বিনওয়া, অনিল, সর্দার, নিক্কু, বসন্ত, প্রেমা, তিতলি এবং রানী।

    ওই বস্তিবাসী আরও অভিযোগ করেছেন, না জানিয়ে কৌশলে তাঁদের ধর্মান্তকরণ হয়েছিল। যদিও তাঁরা হিন্দু ধর্মে থাকতে চান। পুলিশের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

    এদিকে এই খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ২০ থেকে ২৫ বছর আগে কয়েকটি আদিবাসী পরিবার মঙ্গতপুরমের একটি সরকারী ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় বসতি স্থাপন করেন কিন্তু সময়ের সাথে সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পরিত্যক্ত জমিটির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই জমিটি কেউই আর খালি করতে চায় না। ফলে কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন ভাবে এই জায়গাটি দখলের চেষ্টা করেছে। তাই ধর্মান্তরণের চেষ্টার সাথে জমি দখলের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

    পুলিশ সুপার পীষূষ সিং জানিয়েছেন, শুক্রবার কিছু ব্যক্তি থানায় তাদের ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে ৯ জনের নামে এফআইআর দিয়েছেন।বিষয়টি তদন্ত করে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, এর আগেও উত্তরপ্রদেশে মুসলিম মৌলবীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Lok Sabha Elections 2024: “উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে আজমগড়”, যোগীভূমে দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    Lok Sabha Elections 2024: “উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে আজমগড়”, যোগীভূমে দাবি প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজমগড় আজ উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে।” রবিবার উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সভায় (Lok Sabha Elections 2024) এ কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনের সভায় ৩৪ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সেই সভায়ই তিনি বলেন, “আজ কেবল উত্তরপ্রদেশের আজমগড় নয়, উন্নয়ন হচ্ছে দেশজুড়ে। অথচ একটা সময় ছিল, যখন দেশের এই অংশে কোনও উন্নয়ন হত না। এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আজমগড় উন্নয়নের আলোয় ঝলমল করছে। একটা সময় ছিল যখন দিল্লিতে কোনও প্রকল্পের সূচনা হত, গোটা দেশ থেকে লোককে আসতে হত। আর আজ আজমগড়েই উদ্বোধন হচ্ছে প্রকল্পের। আর দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষ এতে অংশ গ্রহণ করছেন (Lok Sabha Elections 2024)।”

    ‘আজমগড়ে নতুন ইতিহাস’

    তিনি বলেন, “আজ শুধু আজমগড় নয়, দেশজুড়ে চলছে উন্নয়নের জোয়ার। আজমগড়ে নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে। এখানকার মানুষ একটা সময় মাফিয়ারাজ দেখেছেন। আর আজ এখানকার মানুষ আইনের শাসন দেখছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ভারতে পরিণত করার জন্য কাজ করে চলেছে মোদি সরকার। আজ কৃষকদের এমএসপির পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে।”

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলে ধাক্কা, ভোটের আগে আড়াইশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে গত সাত বছরে অনেক কাজ হয়েছে রাজ্যে। যাঁরা মাফিয়া শাসন ও চরমপন্থা দেখেছেন, তাঁরা এখন আইনের শাসনও দেখছেন।” তিনি বলেন, “দেশ যতই উন্নয়নের সাক্ষী থেকেছে, বিরোধীরা প্রতিদিন মোদিকে গালি দিচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, মোদির নিজের পরিবার নেই। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন দেশের ১৪০ কোটি মানুষ মোদির পরিবার।”

    এদিন আজমগড়, চিত্রকূট এবং আলিগড় বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আজমগড়ে মহারাজা সুহেল দেব স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনাও করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগের সরকারের আমলে যেসব ঘোষণা করা হত, তা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য। আমি যখন বিশ্লেষণ করতে বসি, তখন দেখি, এসব ঘোষণা ৩০-৩৫ বছর আগে করা হয়েছে। নির্বাচন এলেই তারা একটা করে ফলক পুঁতে দিত। নির্বাচন-পর্ব মিটলেই তা উধাও হয়ে যেত। বেপাত্তা হয়ে যেতেন নেতারাও। আর আজ দেশ দেখছে, মোদি অন্য ধাতুতে গড়া (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • UP Court: বরেলি হিংসার মূল চক্রী মৌলানা তাকির রাজাকে ফের তলব কোর্টের

    UP Court: বরেলি হিংসার মূল চক্রী মৌলানা তাকির রাজাকে ফের তলব কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরেলি হিংসার মূল চক্রী মৌলানা তৌকির রাজা। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত দায়রা আদালত (UP Court) তাঁকে তলব করল ১১ মার্চ। ওই হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন রাজা। ২০১০ সালের ওই হিংসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল বরেলি শহরের।

    হিংসার আগুন বরেলিতে (UP Court)

    ২০১০ সালের ২ মার্চ হিংসার আগুন জ্বলে বরেলিতে। ছাবাইয়ে ফারাওয়াফতের শোভাযাত্রার রুটকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বির্তক হয়েছিল হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে। তার জেরে শুরু হয় হিংসা। দাবানলের মতো যা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোড়া, ভাঙচুর মায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছিল আকছার। মিছিলের আয়োজক ছিলেন (UP Court) সুন্নি মুসলমানেরা। বরেলি সেক্টরের মিলাদ-উন-নবি সংস্কৃতি বহন করেন এই সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। প্রথমে যে রুটে যাওয়ার কথা ছিল শোভাযাত্রার, পরে তা বদলে দেওয়া হয়। তার জেরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। পরে হিংসা শুরু হলে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত নামানো হয় বাহিনী। অবশ্য তার আগেই জ্বলে-পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল বহু বাড়ি, দোকানপাট।

    গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজাকেও

    পরে পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হলে শুরু হয় ধরপাকড়। গ্রেফতার করা হয় মৌলানা তৌকির রাজাকেও। অভিযোগ, জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছিলেন তিনি। রাজা গ্রেফতার হতেই শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। পাল্টা হিংসাও শুরু হয়। ফের নামানো হয় বাহিনী। তার পরেই স্বাভাবিক হয় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। প্রবীণ পুলিশ সুপার এমকে ভাসারকে বদলি করে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওায়া হয় পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজীব সাভারওয়ালকে। তিনি ছিলেন স্টেট অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের ডিআইজি। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আশিস কুমারকেও। তাঁর বদলে জেলাশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অনিল গর্গকে।

    আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে গ্রেফতার আরও এক, কেন কেরলের যুবকদের মধ্যে বাড়ছে আইসিস-প্রীতি?

    এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা বলেন, “আমরা যদি হিংসার ঘটনাপ্রবাহের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব হিংসার পক্ষে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। হিংসার ধরণ দেখলেও বোঝা যায়, দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একবারও প্রত্যক্ষভাবে হিংসায় জড়িয়ে পড়েনি। ২ মার্চও মানুষ পাথর ছুড়ছিল। তার পরেই সংগঠিত একদল লোক বাড়িঘর-দোকানদানিতে আগুন লাগাচ্ছিল, ভাঙচুর করছিল। হিংসার দ্বিতীয় পর্যায়েও যুক্ত ছিলেন না দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। ছিল সংগঠিত দু’দল জনতা। আর ছিল প্রশাসন (UP Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘রাম’ ধাক্কায় উত্তরপ্রদেশ, অসমে কুপোকাত বিরোধীরা, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের রাম ধাক্কায় লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবেন বিরোধীরা! সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায়ই এই তথ্য উঠে এসেছে। আর উত্তরপ্রদেশের রাশ মুঠোয় এসে গেলে বিজেপি যে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম

    কথায় বলে, উত্তরপ্রদেশের রশি যার হাতে থাকবে, কেন্দ্রের কুর্সিতেও বসবে সেই দল। সম্প্রতি প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা করেছিল ফেডেরাল পুথিয়াথালাইমুরাই অ্যাপ্ট ২০২৪ নামে একটি সংস্থা। সেই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, গেরুয়া ঝড়ে উত্তরপ্রদেশে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি। কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, হিন্দি বলয়েও ব্যাপক ফল করবে পদ্ম শিবির। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসমেও বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল করবে বলে প্রকাশ সমীক্ষায়। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে রাম মন্দিরের। এদিনই গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বালক রাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এরই অ্যাডভান্টেজ পেতে চলেছে গেরুয়া শিবির।

    গেরুয়া ঝুলিতে কত আসন?

    প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় (Lok Sabha Elections 2024) জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৮টিতে ফুটবে পদ্ম। শতাংশের হিসেবে এ রাজ্যে বিজেপি পাবে ৫৪.৩৩ শতাংশ ভোট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যোগী রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬২টি আসন। সেবার গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৪৯.৯৮ শতাংশ ভোট। উনিশের আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপি পেয়েছিল ৭১টি আসন। সমীক্ষায় প্রকাশ, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির হাতে যাবে ৭৮টি আসনের রশি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হচ্ছেটা কী?’’ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের রাজ্যকে ভর্ৎসনা বিচারপতি বসুর

    এ রাজ্যে কংগ্রেস জিততে পারে একটি আসনে। আর একটি আসন দখল করতে পারে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অখিলেশের দল পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি আসন, কংগ্রেস একটি। এ রাজ্যের মাত্র ২০ শতাংশ ভোটার মনে করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির চেয়ে ভালো অখিলেশ। এই সমীক্ষায়ই জানা গিয়েছে, মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি পেতে পারে মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট।

    বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) চোখ ধাঁধানো ফল করবে অসমেও। উত্তরপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ভোটারদের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ১০টি জিততে পারে বিজেপি। বাকি চারটি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Online Gaming: অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে দেনা, মাকে খুন করে যমুনায় ভাসাল ছেলে

    Online Gaming: অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে দেনা, মাকে খুন করে যমুনায় ভাসাল ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলের অনলাইন গেমের (Online Gaming) আসক্তির বলি প্রৌঢ়া! মাকে গলা টিপে খুন করে দেহ বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য।উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে বাড়ি জনৈক হিমাংশুর। নিত্যদিন অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলে জীবনবীমা বাবদ ৫০ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে জেনেছিল সে।

    অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে দেনা

    এদিকে, অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে প্রথমে বাড়ি থেকে টাকা নিত সে। পরে জড়িয়ে পড়ে ঋণের জালে। দেনা শোধ করতে তার মাথায় আসে মায়ের নামে থাকা জীবনবীমার টাকার কথা। তার পরেই (Online Gaming) সে নৃশংসভাবে খুন করে মাকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হিমাংশু অনলাইন প্লাটফর্মের জনপ্রিয় গেম জুপিতে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। জুপির নেশা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে টাকা ধার করেও খেলা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। এক সময় সে জানতে পারে তার দেনার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ টাকা। কীভাবে পাওনাদারদের এত টাকা সে শোধ করবে, তা ভেবে পাচ্ছিল না ওই যুবক। তার পরেই সে মাকে খুনের মতো নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নেয়।

    গয়নাও চুরি করেছিল

    পাওনাদারদের ঋণ মেটাতে চুরি করতেও শুরু করেছিল হিমাংশু। আগে পিসিমার গয়নাও চুরি করেছিল সে। পরে সেই টাকায় মায়ের নামে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার জীবনবীমা করে। পুলিশ জানিয়েছে, হিমাংশুর বাবা যখন বাড়িতে ছিলেন না, তখনই সে গলা টিপে খুন করে মা প্রভাকে। পরে মায়ের নিথর দেহ বস্তায় ভরে নেয় হিমাংশু। ট্রাক্টরে বস্তা নিয়ে গিয়ে ভাসিয়ে দেয় যমুনায়।

    আরও পড়ুুন: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    হিমাংশুর বাবা রোশন সিংহ বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না, চিত্রকূট মন্দিরে গিয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে প্রভা ও ছেলেকে দেখতে পাইনি। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করেছি। তাঁরা কেউ কিছু বলতে পারেননি। পরে অন্য একজন জানান, তিনি হিমাংশুকে ট্রাক্টর নিয়ে নদীর পাড়ে দেখেছেন।” তার পরেই প্রকাশ্যে আসে হিমাংশুর কীর্তি। প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক বিজয় শঙ্কর মিশ্র বলেন, “মাকে খুন করে ছেলে পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা তাঁকে ধরেছি। ফাঁস করেছি নৃশংস খুনের রহস্য (Online Gaming)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: বাংলা, বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও অশান্তি ইন্ডি জোটে!

    INDI Alliance: বাংলা, বিহারের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও অশান্তি ইন্ডি জোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়ছে বিজেপি। অথচ ছন্নছাড়া দশা ইন্ডি জোটের (INDI Alliance)। বাংলা এবং বিহারের পর এবার আসন রফা নিয়ে জোর ধাক্কা উত্তরপ্রদেশে। প্রত্যাশিতভাবেই জোটের আয়ু কতদিন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বিজেপি বিরোধী জোট

    কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে জোট বেঁধেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। তার পর থেকে জোটের অন্দরে কেবলই বয়ে চলেছে অশান্তির চোরাস্রোত। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে, জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী বাংলায় ন্যায় যাত্রায় এসে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। বিহারের ছবিটা আবার (INDI Alliance) অন্য রকম। সেখানে ইন্ডি জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মহাগটবন্ধনের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আবার ফিরেছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে।

    সমস্যা উত্তরপ্রদেশেও

    এহেন আবহে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশেও। জানা গিয়েছে, যে আসনগুলিতে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চেয়েছে, সেগুলি হাত-শিবিরকে ছাড়তে নারাজ ইন্ডি জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে ১৬টি আসনে। এই আসনগুলির মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এই আসনগুলি হল, সম্ভাল, ধাউরাহা, ফৈজাবাদ, লখিমপুর খেরি এবং লখনউ।

    আরও পড়ুুন: “কামাখ্যা করিডর হবে উত্তর-পূর্ব ভারতে পর্যটনের প্রবেশদ্বার”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বরাবাঁকি আসনটিও চেয়েছিল কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই আসনগুলিতে সমাজবাদী পার্টির যেসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী কংগ্রেস দিতে পারলে আসনগুলি তারা ছেড়ে দেবে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে। তবে সমাজবাদী পার্টির তরফে কংগ্রেসকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই আসনগুলি তারা কোনওমতেই কংগ্রেসকে ছাড়বে না। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস। তারা আসন রফার বিষয়টি ছেড়ে দিতে চাইছে দলের হাইকমান্ডের হাতে।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি উত্তর প্রদেশে আসবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় বেরিয়েছেন তিনি। সেই সূত্রেই তিনি আসবেন যোগী রাজ্যে। রাহুলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে ইন্ডি জোটের (INDI Alliance) দলগুলিকে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল ২১টি আসনে। এই আসনগুলিতেও দরাদরি করবেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share