Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    CM Dhami: “পড়ুয়াদের সুনাগরিক করতে উত্তরাখণ্ডের স্কুলে পড়ানো হবে গীতা”, বললেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল পাঠ্যক্রমে ঢুকে পড়ল গীতা (Gita)। শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের যাতে নৈতিক মূল্যবোধের পাঠও দেওয়া যায়, তারা যাতে আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ হয়ে উঠতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (CM Dhami)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “আমাদের সরকার শ্রীমদ্ভগবদ গীতাকে স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি শুধু ধর্মীয় উপদেশ নয়, বরং জীবনের কলা ও নৈতিকতার দর্শন।”

    মূল্যবোধের পাঠ (CM Dhami)

    তিনি বলেন, “এখন আমাদের সন্তানরা শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধের পাঠও পাবে, যা তাদের আরও ভালো নাগরিক ও সহানুভূতিশীল মানুষ করে তুলবে।” ওই বৈঠকে শিক্ষা বিভাগকে তিনি ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সমস্ত কার্যকলাপের একটি রজত জয়ন্তী ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করতে বলেছেন। বর্ষার আগেই নাগরিক পরিকাঠামোর পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন করার কথাও বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্লাস্টার স্কুলগুলিতে আবাসিক হস্টেলের সুবিধার জন্য অন্যান্য রাজ্যের শ্রেষ্ঠ অনুশীলন মূল্যায়নের পর একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। আবাসিক হস্টেলগুলিতে শিশুদের জন্য আরও ভালো সুবিধা থাকা উচিত। প্রথম পর্যায়ে প্রতিটি জেলায় একটি করে আবাসিক হস্টেল নির্মাণ করা উচিত (CM Dhami)। ৫৫৯টি ক্লাস্টার স্কুলের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ছাত্রদের পরিবহণ ব্যবস্থার জন্যও একটি প্রস্তাব দ্রুত তৈরি করতে হবে।” পড়ুয়ারা যাতে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক পায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও এদিন কর্তাদের দিয়েছেন ধামি।

    বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত

    তিনি বলেন, “শিক্ষা বিভাগে বদলির প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা থাকা উচিত। এজন্য জেলা, বিভাগ এবং রাজ্যস্তরে সমস্ত দিক বিশদভাবে অধ্যয়ন করে একটি প্রস্তাব তৈরি করা উচিত। স্কুলগুলিতে এনসিসি এবং এনএসএস প্রচার করা উচিত। যেসব স্কুলে এই সুবিধা নেই, সেগুলিকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন করা হবে।” শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকেও কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের মাধ্যমে সাহায্যের (Gita) অনুরোধও জানানো হবে বলে জানান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM Dhami)।

  • Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    Char Dham Yatra 2025: শুরু চারধাম যাত্রা, শুক্রবার খুলছে কেদারনাথের দ্বার, মন্দির সাজবে ১৩ কুইন্টাল ফুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ২ মে খুলছে কেদারনাথ ধামের দ্বার (Char Dham Yatra 2025)। ভগবান কেদারনাথের মন্দিরকে সাজানো হচ্ছে ১৩ কুইন্টাল ফুল দিয়ে। বৃহস্পতিবার ১ মে কেদারনাথের মূর্তি ধামে পৌঁছাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ কেদারনাথের দরজা খুলবে। অন্যদিকে, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী ধামের দরজা খুলে গিয়েছে গত ৩০ এপ্রিল। অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ এবং পুজো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দরজা খোলা হয়। এর সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা।

    প্রথম পুজো করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra)

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভক্তদের ওপর পুষ্প বৃষ্টি করা হয়। গঙ্গোত্রী ও যমুনেত্রী মন্দিরে। অন্যদিকে, যমুনেত্রী মন্দিরে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি প্রথম পুজো করেন। মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পুজো শুরু করেন (Char Dham Yatra 2025)। প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী, চারধাম যাত্রার দ্বারোদঘাটনের পুজোয় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে পুজো দেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে চারধাম যাত্রা যাতে সফলভাবে সংঘটিত হয় এবং ভক্তদের জীবনে যাতে সুখ সমৃদ্ধি শান্তি আসে সেই কামনাও করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। বৈদিক রীতি রীতি মেনে ৩০ এপ্রিল সকালেই পুজো শুরু হয় গঙ্গোত্রী মন্দিরে, ভক্তদের জন্য গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল সাড়ে দশটায়।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    অন্যদিকে, যমুনেত্রী ধামের দরজা খোলা হয় ঠিক সকাল ১১:৫৫ মিনিট নাগাদ। এখানেও বৈদিক রীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এরপরেই সাংবাদিকদের সামনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেন, ‘‘চারধাম যাত্রার অনুষ্ঠানিক সূচনা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হল। চারধাম যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। এখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত দেশ থেকে আসেন। বিদেশ থেকেও আসেন অনেকে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের পরম্পরা হল অতিথি দেব ভব। তাই সমস্ত ভক্তরা চারধাম যাত্রায় আসবেন, তাঁদের যথাযোগ্য স্বাগত জানানো হবে। একই সঙ্গে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Char Dham Yatra 2025)। যাতে এই চারধাম যাত্রা পরিবেশবান্ধব হয়।

  • Uttarakhand: দাসত্বের চিহ্ন মুছে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা, ১৫ জায়গার নাম বদল করল উত্তরাখণ্ড সরকার

    Uttarakhand: দাসত্বের চিহ্ন মুছে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠা, ১৫ জায়গার নাম বদল করল উত্তরাখণ্ড সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ১৫টি জায়গার নাম বদল করল পুষ্কর সিং ধামির সরকার। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই নাম বদল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার (Uttarakhand Govt)। জানা গিয়েছে, হরিদ্বার, দেরাদুন, নৈনিতাল এবং উধম সিং নগর জেলার ১৫টি জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল সোমবারই একথা জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    কী বলছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    কিন্তু হঠাৎ কেন এই নাম পরিবর্তন করা হল? এনিয়ে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, রাজ্যের মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই স্থানগুলির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির দাবি, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ভারতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণে অবদান রাখা মহান ব্যক্তিত্বদের সম্মান জানিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা।

    কোন কোন জায়গার নাম বদল?

    উত্তরাখণ্ড রাজ্যের (Uttarakhand) সরকার জানিয়েছে, হরিদ্বারের অন্তর্গত ঔরঙ্গজেবপুরের নাম পরিবর্তন করে শিবাজিনগর, ঘাজিওয়ালির নাম পরিবর্তন করে আর্যনগর, মহম্মদপুর জাটের নাম মোহনপুর জাট, খানপুর কুরসালির নাম আম্বেদকর নগর, ইদ্রিশপুরের নাম নন্দপুর, খানপুরের নাম কৃষ্ণপুর এবং আকবরপুর ফজলপুরের নাম বিজয়পুর করা হচ্ছে। একইভাবে, দেরাদুনের অন্তর্গত মিয়াওয়ালার নাম রামজিওয়ালা, পীরওয়ালার নাম কেশরি নগর, চাঁদপুর খুর্দ-এর নাম পৃথ্বীরাজনগর এবং আবদুল্লানগরের নাম দক্ষনগর করা হয়েছে। নৈনিতালের অন্তর্গত নবাবি রোডের নাম বদলে অটল মার্গ এবং পাঁচাক্কি থেকে আইটিআই রোডের গুরু গোলওয়াকার রোড করা হচ্ছে। উধম সিং নগরে নগর পঞ্চায়েত সুলতান পট্টির নাম বদল করে কৌশল্যাপুরী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুষ্কর সিং ধামির সরকার। পুষ্কর সিং ধামি সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকেই। উত্তরাখণ্ডের বিজেপির মিডিয়া ইন-চার্জ মানবীর সিং চৌহান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত উত্তরাখণ্ডের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকেই তুলে ধরবে।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে তুষারধস, বরফের নিচে আটকে ৪৭ নির্মাণকর্মী, চলছে উদ্ধারকাজ

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে তুষারধস, বরফের নিচে আটকে ৪৭ নির্মাণকর্মী, চলছে উদ্ধারকাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলায় ব্যাপক তুষারধস (Avalanche)। এর ফলেই সীমান্ত সড়ক সংস্থার (বিআরও) ৪৭ নির্মাণকর্মী বরফের নিচে আটকে পড়েছেন বলে খবর মিলেছে। শুক্রবারই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, শ্রমিকরা যখন মানা গ্রামের সীমান্ত এলাকায় কাজ করছিলেন, তখনই ঘটে এই বিপত্তি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং সেনাবাহিনীর কর্মীদের নামানো হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের আইজি নিলেশ আনন্দ ভর্নে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মানা গ্রামের নিকটবর্তী সেনা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী জানালেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    ইতিমধ্যে সামনে এসেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির বিবৃতি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, আইটিবিপি, বিআরও এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই আটকে পড়া সকল শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মানা গ্রামের কাছে বিআরও পরিচালিত নির্মাণকাজের সময় একটি তুষারধসের ফলে বহু শ্রমিক আটকে পড়েছেন। আমরা তাঁদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’’

    আবহাওয়া খারাপ, কঠিন হচ্ছে উদ্ধারকাজ

    বিআরও-র ইঞ্জিনিয়ার সিআর মীনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভারী তুষারপাতের কারণে উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়ছে। তিন থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, তবে দুর্গম আবহাওয়ার কারণে দলে পৌঁছানোতে দেরি হচ্ছে। এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবারই লাহুল ও স্পিতি পুলিশ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই অঞ্চলে তুষারধসের সতর্কতা জারি করেছে। এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মাঝারি আকারের তুষারধসের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সবাইকে নির্দিষ্ট নিরাপদ রাস্তায় চলাচলের (Uttarakhand) পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই আবহে দিল্লির মৌসম ভবন উত্তরাখণ্ড-সহ বেশ কয়েকটি পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য কমলা সতর্কতাও জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের (২০ সেমি পর্যন্ত) সম্ভাবনা রয়েছে৷ হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশ-এ বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    PM Modi: উত্তরাখণ্ডের চিন সীমান্তে পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম ট্রেকিং পথের উদ্বোধন করবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সফর করবেন। এই সফরে তিনি উদ্বোধন করবেন জনাকতল এবং মুলিঙ্গানা পাস এই দুটি ট্রেকের। জানা যাচ্ছে, এরমধ্যে জনাকতল ট্রেক হল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রেকিং রুট। এই উদ্বোধন কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জনাকতল ট্রেক একেবারে চিন সীমান্তে অবস্থিত।  প্রধানমন্ত্রীর মোদির এই সফর এই সফরে আগামীদিনে উত্তরাখণ্ডে পর্যটক আরও বাড়বে বলেই মনেক করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত (PM Modi)

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনাকতল ট্রেকটি ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের জাদুং থেকে জনাকতল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ রয়েছে। পার্বত্য উপত্যকায় রয়েছে এই পথ। জানা যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৭১৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই ট্রেকটি।

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে

    প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে চলছে। নেলং, জাদুং, সোনম প্রভৃতি স্থানে সাজোসাজো রব। এই স্থানগুলিতে আগামীদিনে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে একাধিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সেরাজ্যের হারসিল থেকে শুরু হবে মোটরবাইক র‍্যালি। একইসঙ্গে দুটি ট্রেকিং অভিযান সহ একাধিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    মোদির (PM Modi) সম্মানে বাইক র‍্যালি

    জানা গিয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনী হারসিল থেকে মোটরবাইক-ATV-RTV র‍্যালির নেতৃত্ব দেবে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড পর্যটন উন্নয়ন বোর্ডও (UTDB) একটি মোটর বাইক র‍্যালি করবে। জানা যাচ্ছে, এই র‍্যালি সম্পন্ন হবে সেরাজ্যের জাদুং-এ। অন্যদিকে নীলাপানি থেকে মুলিং লা বেস পর্যন্ত একটি ট্রেকিং অভিযানও সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP)। এর পাশাপাশি, জাদুং থেকে জনকতাল পর্যন্ত আরেকটি ট্রেকিং অভিযানও অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।

    মোদির (PM Modi) সফরে পর্যটনের প্রচার

    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তরাখণ্ড সরকার প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে উত্তরাখণ্ডে শীতকালীন পর্যটন প্রচারের একটি বড় সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চায়। ধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে তিনি গঙ্গা মন্দিরে পুজোও করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    প্রশাসনের তরফ থেকে পরিদর্শন

    মোদির (PM Modi) সফরের আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হারসিলের স্থান পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই স্থানের ট্রাফিক, পার্কিং, বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছেন। উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি প্রদর্শনীও করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

  • Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    Uttarakhand: ইউসিসি রেজিস্ট্রেশনে ব্যাপক সাড়া উত্তরাখণ্ডে, সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে বেড়েই চলেছে ভিড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৭ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC Registration)। তারপর থেকে এনিয়ে সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধির নিয়মে কী কী পরিবর্তন এসেছে, সে সংক্রান্ত সবকিছু জানতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন সরকারি দফতরের ওয়েবসাইটগুলিতে প্রবেশ করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিন্ন অভিন্ন অনুযায়ী একত্রবাসের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মে বদল আনা হয়েছে এবং রেজিস্ট্রি করার পরে পরে লিভ-ইন করা যাবে উত্তরাখণ্ডে।

    সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে ব্যাপক ভিড়

    এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে সে রাজ্যের মানুষ ব্যাপকভাবে প্রবেশ করছেন সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পোর্টালে যাঁরা প্রবেশ করছেন এই সংখ্যা ব্যাপক। ২৭ জানুয়ারি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১,০০৬ জন এই পোর্টালে প্রবেশ করেছেন এবং তাঁরা নিজেদের বিবাহকে রেজিস্ট্রি করেছেন।

    কী বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী?

    ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে সমস্ত মানুষ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছিলেন, তাঁরাও বর্তমানে বুঝতে পারছেন যে এই নিয়ম বিধির আমাদের রাজ্যের জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই আইন কারও বিরুদ্ধে আনিনি, কাউকে হয়রানি করতেও আনিনি। এই আইন আনা হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) জনগণের সুবিধার জন্য।

    প্রতিদিন ওয়েবসাইটে শত শত মানুষ বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন

    প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি ইউসিসি পোর্টালে গিয়ে নিজের বিবাহকে নিবন্ধন করিয়েছেন। তারপর থেকেই প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ তাঁদের বিবাহ নিবন্ধন করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টালে কোনওরকমের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয় কেউ নিবন্ধন করেনি বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে দেখার পরেই গুজরাতে বিজেপির সরকার কমিটি তৈরি করেছে। মনে করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গুজরাতেও চালু হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি।

  • UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    UCC: কথা রাখলেন ধামি, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কার্যকর হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ডই দেশের প্রথম রাজ্য যেখানে লাগু হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। সোমবার দুপুরে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরাখণ্ড সফরের আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে দিল ধামি সরকার।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)

    ২০২৫ সালের শুরুতেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। এই বিধি অনুযায়ী, সব ধর্মের মানুষের জন্য জমি, সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, বিয়ে এবং বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত এক ও অভিন্ন আইন প্রচলন হবে। উত্তরাখণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ইউসিসি পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই অনুষ্ঠানের পরেই উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হয়ে গেল ইউসিসি (UCC)। এর পাশাপাশি, এবার থেকে উত্তরাখণ্ডে কোনও যুগল লিভ-ইন করতে চাইলে বাধ্যতামূলকভাবে অনুমতি নিতে হবে পুলিশ বা জেলা আধিকারিকের।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা

    পোর্টাল উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২৭ জানুয়ারি রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির দিন হিসেবে পালিত হবে। ইউসিসি কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব শত্রুঘ্ন সিং বলেন, বিধিটি কার্যকর করার জন্য বহু গবেষণা করা হয়েছে। কমিটির তিনজন সদস্য রাজ্যের প্রতিটি জেলা ঘুরে দেখেন। এরপর আইন কমিশনের রিপোর্ট-সহ বাকি রিপোর্ট পড়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরও মতামত নেওয়া হয়েছে (UCC)।

    ২০২২ সালে হয় উত্তরাখণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিজেপি জিতলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ২৭ মে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। বিধি কার্যকরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জনাপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে। গত বছর ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দেয় সেই কমিটি। ৮ মার্চ বিধানসভায় পাশ হয় বিলটি। পরে পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। রাষ্ট্রপতির অনুমতি মিললে ১৩ মার্চ এ (Uttarakhand) ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উত্তরাখণ্ড সরকার (UCC)।

     

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    Uttarakhand: ‘এক দেশ এক আইন’, ২৬ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী কী পরিবর্তন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৬ জানুয়ারি সারাদেশে পালিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। ওই দিনই এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য। উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ওই দিন থেকে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাজ্য হতে চলেছে উত্তরাখণ্ড। যেখানে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তাই চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস উত্তরাখণ্ডের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি মাইলস্টোন হিসেবে থেকে যাবে, সে রাজ্যের ইতিহাসে।

    ২০২২ সালে বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাস ছিল ইউসিসি (Uttarakhand) 

    ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার তৈরি করে বিজেপি। নির্বাচনের পূর্বে গেরুয়া শিবির উত্তরাখণ্ডের জনগণকে আশ্বাস দিয়েছিল যে, ক্ষমতায় এলে সেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হবে। এবার নিজেদের দেওয়া সেই আশ্বাসই পূরণ করতে চলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে, রাজ্যের সমস্ত নাগরিকদের জন্য একই আইন চালু হবে। এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে কী কী সুবিধা মিলবে এবং এর প্রভাবই বা কী? সে নিয়েই এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) কী কী পরিবর্তন আনবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডের সমস্ত ধর্মের জন্য যে ব্যক্তিগত আইন বা পার্সোনাল ‘ল’ গুলি রয়েছে, যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার আইন, দত্তক আইন, ভরণপোষণ সংক্রান্ত আইন- এই সমস্ত কিছুকেই সংস্কার করা হবে এবং ব্যক্তিগত আইনে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে যে বৈষম্য রয়েছে সেগুলিকেও নির্মূল করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্ত বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ এবং একত্রবাস এই সমস্ত কিছুকে নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রি করা হবে। তথ্য রাখা হবে একটি পোর্টালে। যে পোর্টালটি পরিচালনা করবে উত্তরাখণ্ড সরকার। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

    ● যদি কোনও পুরুষ-মহিলা একত্রবাস করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে একত্রবাসের এক মাস আগে তা রেজিস্ট্রি করাতে হবে। যদি কেউ এই নিয়মকে লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁদের তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।

    ● উত্তরাখণ্ডের এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ● প্রসঙ্গত, এই আইনের মাধ্যমেই উত্তরাখণ্ডের জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মহিলা তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার পাবেন।

    ● এই আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ হবে বহুবিবাহ প্রথাও। একের বেশি বিয়ে কোনওভাবেই করা যাবে না। যদি তা কেউ করেন তবে তা আইনত দণ্ডনীয়  অপরাধ বলে বিবেচ্য হবে।

    ● এই আইনের মাধ্যমে একত্রবাসের ফলে যদি কোনও শিশু জন্ম নেয়, তাহলে ওই শিশুকে বৈধ বলেই বিবেচনা করা হবে এবং জন্ম নেওয়া শিশু সমানভাবে উত্তরাধিকার পাবে অর্থাৎ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবে।

    ● একত্রবাস যদি কেউ শেষ করতে চায়, তাহলে ওই একত্রবাসের সঙ্গী এবং সঙ্গিনীকেই সেটি রেজিস্ট্রি করে জানাতে হবে এবং আইনি স্বীকৃতি নিতে হবে। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

    ● বহুবিবাহ এবং ইদ্দত এরফলে নিষিদ্ধ হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত মুসলিম মহিলাদের তালাক দেওয়া হয়, তাঁদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করানো হয়, এটাকেই বলা হয় ইদ্দত। এই সমস্ত কিছুই এবার বন্ধ হতে চলেছে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মাধ্যমে।

    আইনি প্রক্রিয়া হতে চলেছে সরল

    ● উত্তরাখণ্ডের নাগরিকরা (Uniform Civil Code) অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হলেই, অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের উইল, যে কোনও আপিল বা অভিযোগ জানাতে পারবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।

    ● গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত কর্মীরাই সাব-রেজিস্টার হিসেবে কাজ করবেন। তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়নে।

    ● বিভিন্ন নথি যাচাই করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেবে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    ● একই সঙ্গে গড়ে তোলা হবে কমন সার্ভিস সেন্টার। জানা গিয়েছে, ঘরে ঘরে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে সরকার।

    ● অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে দশ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    শীর্ষ আদালতের বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়ে সরকার

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নির্বাচনে বিজেপি বিপুল জয় পেতেই শুরু হয় উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এরপরে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে কমিটি ৪০০ পাতার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। প্রসঙ্গত এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিধানসভাতে আগেই উত্থাপন করে বিজেপি।

    ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ বিলে সই রাষ্ট্রপতির

    ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় উত্থাপন করা হয় ইউনিফর্ম সিভিল কোডের বিল। বিরোধীরা ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। হইহট্টগোল শুরু করে। বিজেপি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঠিক তার পরের দিনই বিলটিকে পাস করানো হয়। ২০২৪ সালে ১৩ মার্চ ওই বিল রাষ্ট্রপতি সই করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাহিলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়। এর পরেই ইউসিসির বাস্তবায়নের জন্য জোর কদমে মাঠে নামে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার। এবার ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সে রাজ্যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে ইউসিসি।

    চালু হতে পারে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বিজেপি এই কারণে উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল রাজ্য হিসেবে সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছে। কারণ ভারতবর্ষের প্রথম কোনও রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে পারল উত্তরাখণ্ড সরকার। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে— অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে খোলাখুলি ভাবে সমর্থন করেছেন। অন্যদিকে, ইউসিসির বাস্তবায়ন কেন গুরুত্বপূর্ণ!এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি রাজ্য সভাপতি কেশবপ্রসাদ মৌর্য।

    লিঙ্গ বৈষম্য দূর হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে নারী অধিকার

    বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে যদি এভাবেই ইউসিসি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়ে উঠবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এ কথা যখন বিজেপি নেতারা বলছেন তখনই তাঁরা উত্তরাখণ্ডকে একটি মডেল হিসেবে তুলনা করছেন। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞই উত্তরাখণ্ডের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রশংসা করছেন। কারণ তাঁরা মনে করছেন যে এর ফলে লিঙ্গবৈষম্য দূর হয়। এর ফলে ন্যায়বিচার আরও সহজে আসে এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি প্রশস্ত হবে। অন্যদিকে, বেশ কিছু মৌলবাদী অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োগের খবর সামনে আসতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে উঠে পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, এর ফলে বহুবিবাহ এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ওপর ইউসিসি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই সময় দেখা যাচ্ছে নারী অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারের ওপর যে সমস্ত সংগঠন কাজ করে, সেগুলি ইউসিসির বিধানগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ, এর ফলে সমানভাবে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। বহুবিবাহ নিষিদ্ধ হবে এবং লিভ-ইন সম্পর্কে মহিলারা সুরক্ষিত থাকবেন।

    সমস্ত রাজ্যের নজর উত্তরাখণ্ডের ওপর 

    এখন দেখার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই ইউসিসি কীভাবে কার্যকর হয়! যদিও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার, রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতগুলিকেই ইউসিসি কার্যকর করার দায়িত্ব ইতিমধ্যে অর্পণ করেছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রস্তুতি যখন উত্তরাখণ্ডজুড়ে চলছে, তখন ভারতের অন্যান্য অংশগুলিও এর ওপরে গভীরভাবে লক্ষ্য রাখছে। কারণ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনি অধ্যায়। এই আইন সফল হবে নাকি ব্যর্থ! সেই ধারনাই গড়ে উঠবে আগামী ২৬ জানুয়ারির পর থেকে। উত্তরাখণ্ডে এই আইন শুধুমাত্র বিজেপির নির্বাচনী আশ্বাসকেই বাস্তবায়িত করছে না, একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share