Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Uttarakhand Bus Accident: উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় খাদে যাত্রীবোঝাই বাস, অধিকাংশের মৃত্যু

    Uttarakhand Bus Accident: উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায় খাদে যাত্রীবোঝাই বাস, অধিকাংশের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে পড়ল গভীর খাদে। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ায়। অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতরে এখনও কিছু যাত্রী আটকে আছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। 

    খরস্রোতা নদীতে বাস

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে সোমবার সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। বাসটি পাউরি থেকে নৈনিতালের দিকে যাচ্ছিল। মার্চুলার সল্ট এলাকায় পাহাড়ের খাদে গড়িয়ে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন স্থানীয়রাও। তারা ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে। স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। 

    কেন দুর্ঘটনা

    পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। ২০০ মিটার গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ার পর নদীর ধারে এসে পড়ে সেটি। বাসটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত ৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ৫ জন নিখোঁজ। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনকে। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কীভাবে বাসটি উল্টে পড়ল, চালক কেন নিয়ন্ত্রণ হারালেন, তা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিলেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। 

    ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

    উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি এই ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনয়ীয় সকল পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রামনগরের কাছে বাস দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের। জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁদের প্রয়োজনে আকাশপথে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।’’ মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: শীতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল উত্তরাখণ্ডের যমুনোত্রী-কেদারনাথ ধামের দরজা

    Uttarakhand: শীতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল উত্তরাখণ্ডের যমুনোত্রী-কেদারনাথ ধামের দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন শীতের জন্য বন্ধ করা করে দেওয়া উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) যমুনোত্রী ধাম। রবিবার দুপুরের ১২ টা ৫ মিনিটের শুভ মুহূর্তে মন্দিরের দরজা বন্ধ করে, একটি সজ্জিত পালকিতে মাতা যমুনোত্রীকে বসিয়ে শোভাযাত্রা করে খরসালি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এই শোভাযাত্রাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ছিল ভক্তদের। একই ভাবে কেদারনাথ (Yamunotri-Kedarnath Dham) মন্দিরের ভগবান শিবকে বৈদিক মতে পুজো করে মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়। এই দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়েছিলেন।

    ভারতীয় সেনা ব্যান্ডে ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন (Uttarakhand)

    জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমে মা যমুনোত্রীকে (Yamunotri-Kedarnath Dham) এই খরশালি গ্রামের যমুনা মন্দিরের নিয়ে আসা হয় এবং এখানেই মায়ের পুজো অর্চনা করা হবে। যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা খোলা না হওয়া পর্যন্ত ভক্তরা এই খরসালি (Uttarakhand) মন্দিরেই পুজো করতে পারবেন। অপর দিকে রবিবারেই আবার শীতের জন্য কেদারনাথ ধামের মন্দির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরের দরজা বন্ধের সময় ওম নমঃ শিবায়, জয় বাবা কেদারনাথ এবং ভারতীয় সেনা ব্যান্ডের ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করে বৈদিক আচার এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের রীতি পালন করা হয়। একটি সরকারি বিবৃতি অনুসারে বলা হয়েছে, ১৫ হাজারের বেশি ভক্ত মন্দিরের দরজা বন্ধের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন। দীপাবলির দিনেই মন্দির প্রাঙ্গণকে খুব সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ কৈলাশের পথেই কি কেলেঙ্কারি! কয়েক হাজার কঙ্কাল উদ্ধার পিথোরাগড়ের গুহায়

    পঞ্চমুখী উৎসব পালকি মন্দির থেকে বের করা হয়

    কেদারনাথ (Uttarakhand) মন্দিরে রবিবার ভোর ৫টায় পুজাচার শুরু করা হয়। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি আজ্যেন্দ্র অজয়, আচার্য, বেদপাঠী এবং আরও অনেক পুরোহিতেরা। এই শৈব ধামের স্ব-প্রকাশিত শিবলিঙ্গকে ছাই, ফুল, বেলপাতা দিয়ে পুজো করা হয়েছে। এরপর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বাবা কেদারের পঞ্চমুখী উৎসব পালকি মন্দির থেকে বের করা হয়। এরপর কেদারনাথ (Yamunotri-Kedarnath Dham) মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীতের মরশুমে জুড়ে মন্দিরের ফটক বন্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: রেললাইনে ডিটোনেটর! উত্তরাখণ্ডে বড় নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার এক যুবক

    Uttarakhand: রেললাইনে ডিটোনেটর! উত্তরাখণ্ডে বড় নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগে ভারতীয় রেলে বড়সড় নাশকতার ছক। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেরাদুনে রেললাইনে মিলল ডিটোনেটর (Detonator)। ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর সেই ছক বানচাল করল রেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই ষড়যন্ত্রকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে কেন লাইনের ওপর ডিটোনেটর ফেলে রাখা হয়েছিল, সে সম্পর্কে এখনও কোনও ধারণা মেলেনি। ধৃত যুবক ছাড়াও অন্য কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এক তদন্তকারী অফিসার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttarakhand)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হরিদ্বারের মোতিচুর স্টেশনের কাছে রেললাইন দেখভালের সময় ওই ডিটোনেটর নজরে আসে রেলকর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রেল পুলিশকে। ঘটনাস্থলে আসেন রেলের পদস্থ কর্তারা। উদ্ধার করা হয় ওই বিস্ফোরক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই যুবকই লাইনে ডিটোনেটর ফেলে রেখেছিলেন। দীপাবলির আগে বড়সড় নাশকতা ঘটাতেই পরিকল্পিতভাবে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সৌভাগ্যবশত কোনও দুর্ঘটনা ঘটার আগেই বিষয়টি নজরে আসে রেলকর্মীদের। পুলিশের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    বারবারই নাশকতার ছক!

    বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন লাইনচ্যুত (Uttarakhand) হওয়ার ঘটনা ঘটছে। কখনও গুজরাট, কখনও মধ্যপ্রদেশ, আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হয়। রেললাইনের ওপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত, কখনও মাটি ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মধ্যপ্রদেশের নেপানগর বিধানসভা এলাকার সাগফাতা স্টেশনের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ডিটোনেটরের সাহায্যে ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে। রেললাইনে ফেলে রাখা ডিটোনেটরের ওপর থেকে ট্রেন যাওয়ার সময় জোরদার বিস্ফোরণও ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে চালকের তৎপরতায় বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে, আবার অনেক সময় রেলকর্মীরাই রুখে দিয়েছেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলের যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে খাবার বিক্রেতাদের পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস, থাকতে হবে ফটো আইডি

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে খাবার বিক্রেতাদের পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস, থাকতে হবে ফটো আইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগী রাজ্যের পরে এবার উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে বড় নির্দেশিকা জারি করলেন। উত্তরপ্রদেশের মতো এবার উত্তরাখণ্ডেও খাদ্য বিক্রেতাদের ফটো আইডি পরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যে কোনও ধরনের খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ধাবা- সমস্ত ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন (Food Safety Guidelines)। একইসঙ্গে, খাবার বিক্রেতাদের মাস্ক, গ্লাভস ইত্যাদিও ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ধাবা, রান্নাঘরগুলিতে ক্যামেরা ইনস্টল করার কথাও নির্দেশিকায় জানিয়েছে পুস্কর সিং ধামির প্রশাসন  (Uttarakhand)।

    মুসৌরিতে (Uttarakhand) খাবারে থুতু দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেরাদুন পুলিশ, মুসৌরিতে একটি চায়ের পাত্রে থুতু ফেলার জন্য দুজনকে গ্রেফতার করে। ঠিক এর পরেই অন্যান্য জায়গা থেকেও খাবারে থুতু ফেলা বা প্রস্রাব মেশানোর মতো ঘটনাগুলি (Food Safety Guidelines) সামনে আসতে থাকে। এরপরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনা-চিন্তা করে উত্তরাখণ্ড সরকার। প্রসঙ্গত, একইসঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন এবং তাদেরকেও ফটো আইডি কার্ড সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিক্রি করা মাংস, হালাল নাকি ঝটকা, তা সাইনবোর্ডের মাধ্যমে লিখে রাখতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশ অমান্য করলে জরিমানা  (Uttarakhand)

    ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, এ সংক্রান্ত নির্দেশ অমান্য করলে অপরাধীদের ২৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হবে। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বজায় রাখা নিশ্চিত করতে রাজ্যজুড়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে, বিভিন্ন হোটেল রেঁস্তোরাগুলিতে ঢুকে খাবারের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন খাবার বিক্রির দোকানগুলিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকাও জারি করেছে। সেখানে অপরিহার্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাদ্য তৈরি বা পরিবেশন সহ যে কোনও কাজে যুক্ত রাখা যাবে না। একই সঙ্গে ওই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, খাবার বিক্রেতারা তাঁদের লাইসেন্সগুলিকে স্পষ্টভাবে দোকানের সামনে রেখে দেবেন এবং কোথা থেকে কাঁচামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, কিভাবে খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং কত পরিমাণ খাবার বিক্রয় হচ্ছে, তার দৈনিক হিসাবও তাঁরা রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    Love Jihad: লাভ জিহাদ-এর বিরুদ্ধে লড়াই, উত্তরাখণ্ডে ছয় শতাধিক মেয়েকে উদ্ধার হিন্দু সংগঠনগুলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বড় সাফল্য  হিন্দু সংগঠনগুলির। সম্প্রতি, একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই রাজ্য থেকে লাভ জিহাদ-এর খপ্পর থেকে ছ’শোর বেশি হিন্দু মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ (Hindu Jagran Manch), রুদ্র সেনা (Rudra Sena) এবং বৈদিক মিশন (Vaidik Mission)।

    লাভ জিহাদ-এর (Love Jihad) বিরুদ্ধে লড়াই হিন্দু সংগঠনগুলির

    দীর্ঘদিন ধরেই ধর্মান্তরণ এবং শোষণের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, বৈদিক মিশনের মতো হিন্দু সংগঠনগুলি। এই সংগঠনগুলি লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে এ পর্যন্ত ৬০০-রও বেশি মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্বল মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে এই সংগঠনের নেতারা।

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন এবং তার আশেপাশের এলাকায় ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad)  ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে বিশেষ করে দরিদ্র হিন্দু মেয়েদেরকে ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে প্রেমের সম্পর্কে ফাঁদে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, রুদ্র সেনা, এবং বৈদিক মিশনের মতো কয়েকটি হিন্দু সংগঠন। তারা অসহায় মেয়েদের রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। উত্তরাখণ্ডের পবিত্র দেবভূমিতে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ রোধে সদা সক্রিয় এই সংগঠনগুলি।

    লাভ জিহাদ কী (Love Jihad)

    ভালোবাসা ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেন মুসলিম ছেলেরা। বাধ্য করা হয় ধর্মান্তকরণে। হিন্দু-মুসলিম বিবাহে আপত্তি নেই। কিন্তু জোর করে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের চেষ্টাই হল লাভ জিহাদ। বিয়ের পর শুরু হয় অত্যাচার। কখনও কখনও মেরেও ফেলা হয় মেয়েটিকে। এরকম বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মানুষ। কেরলের হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কী ভাবে যুক্ত করা হয়েছে তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি পরিচালকের তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। সারা দেশে এক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে লাভ জিহাদ। 

    ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে লড়াই

    উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভিন্ন ধর্মে বিবাহ (Love Jihad) নিয়ে আইন থাকলেও সম্প্রতি সেখানে লাভ জিহাদের ঘটনা বাড়ছে। রুদ্র সেনার নেতা রাকেশ তোমার ‘উত্তরাখণ্ডি’ দাবি করেছেন যে প্রতিবেশী অঞ্চল থেকে মুসলিম পুরুষরা বিশেষত জৌনসার বাওয়ার উপজাতীয় বেল্টের মেয়েদের টার্গেট করছে। তিনি জানান, এই ছেলেরা মিথ্যে, মূলত ভুয়ো হিন্দু পরিচয় দিয়ে এবং বিভিন্ন প্রলোভনমূলক কৌশল ব্যবহার করে দরিদ্র এবং নাবালিকা মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এরপর শুরু হয় যৌন নির্যাতন। অভিযোগ, এই মেয়েদের সঙ্গে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের নানা গোপন মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। তারপর সেই ভিডিও রেকর্ড দেখিয়ে চলে ব্ল্যাকমেল। সব শেষে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরণে বাধ্য করা হয়। রাকেশ জানান, গত দুই বছর ছয় মাসে রুদ্র সেনা ৩৮ জন মেয়েকে লাভ জিহাদের ‘চক্র থেকে’ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই মেয়েদের তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বেশ কিছু রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে তারা।

    বৈদিক মিশনের আইনি লড়াই

    বৈদিক মিশনের প্রধান ব্যক্তি জগদ্বীর সাইনির গলাতেও উদ্বেগের সুর। তিনি উল্লেখ করেছেন যে পাসওয়া দুন অঞ্চলে এমন ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে, যার অনেকগুলিই বর্তমানে আইনি পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। তিনি চারজন দরিদ্র মেয়ের হয়ে আদালতে লড়াই করছেন যারা, মুসলিম ছেলেদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই শেষ দ্বিতীয় দফাও, হাত উপুড় করে ভোট দিলেন ভূস্বর্গবাসী

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রচেষ্টা

    হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রতিনিধি মুকেশ আনন্দ জানিয়েছেন, গত দশ বছরে তারা লাভ জিহাদের (Love Jihad) ৫৮৫টি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) অভিনব কুমার জানিয়েছেন, এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ডেও চালু আছে লাভ জিহাদ বিরোধী আইন। ফলে পুলিশ-প্রশাসন খবর পেলেই বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হয়। মেয়েদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই বিয়ে কি সত্যিই প্রেমের পরিণতি নাকি অন্য কিছু। কোনওরকম সন্দেহ হলেই পদক্ষেপ করা হয়। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর দাবি, বেশিরভাগ সময়েই মেয়েরা ভয়ে কিছু বলতে পারে না।

    সক্রিয় সরকার (Uttarakhand)

    সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের পুরুলা শহর, দারচুলা, চামোলি, নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ (Love Jihad) ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের (Love Jihad) মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand: লাভ ও ল্যান্ড জিহাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুরুলা শহর, ধারচুলা, চামোলি নন্দনগর, সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে। এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষগুলির কারণ হিসেবে বেশিরভাগ জায়গাতেই উঠে এসেছে লাভ জিহাদ ও ল্যান্ড জিহাদের তত্ত্ব। এরপরেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে মুসলিম অনুপ্রবেশের (Land Jihad) কারণে জনবিন্যাসের পরিবর্তন। এই কারণে ধর্মান্তকরণ এবং লাভ জিহাদের মতো ঘটনাগুলিও ঘটছে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী সে রাজ্যের ডিজিপি অভিনব কুমার এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।

    কী বলছেন ডিজিপি (Uttarakhand)?

    লাভ জিহাদের বিষয়ে উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক তাঁদের পছন্দ মতো জীবনসঙ্গী বেছে নিতেই পারেন, কিন্তু যদি কারও ধর্ম পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করা হয়, তখন পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। সম্প্রীতি বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে, দেরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল প্রভৃতি জায়গাতে ইসলামপন্থী মানুষজনের (Land Jihad) জনসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছেন।

    ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী রাজ্যের হিন্দু ৮৩ শতাংশ

    সাংবাদিক সম্মেলনের ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে (Uttarakhand) অনুপ্রবেশের কারণে বদলে গিয়েছে জনবিন্যাস। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা শুরু হবে এবং এ নিয়ে অভিযানও করা হবে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে উত্তরাখণ্ডের জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১০ লক্ষ। এর মধ্যে ৮৪ লাখ হিন্দু যা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৪ লাখ মুসলিম বসবাস করেন উত্তরাখণ্ডে, শতাংশের হিসেবে ১৩.৯।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    Helicopter Crash in Kedarnath: এয়ারলিফ্‌ট করতে গিয়ে সমস্যা, কেদারনাথে বিকল কপ্টার ছিঁড়ে পড়ল মন্দাকিনীর ধারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুলস্থুল কাণ্ড কেদারনাথে। মাঝ আকাশ থেকে মন্দাকিনীর ধারে ছিঁড়ে পড়ল বিকল হেলিকপ্টার (Helicopter Crash in Kedarnath)। শনিবার সকালে কেদারনাথ ধামে অবতরণের সময় যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিকল হয়ে গিয়েছিল একটি হেলিকপ্টার। সেটিকে এয়ারলিফ্‌ট করে ফিরিয়ে আনছিল উদ্ধারকারী এমআই-১৭ চপার। সেটির সঙ্গে চেন দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসা হচ্ছিল বিকল হেলিকপ্টারটি। সেই সময়েই মাঝ আকাশ থেকে ছিঁড়ে পড়ে ওই হেলিকপ্টার। ভাগ্যক্রমে সেই হেলিকপ্টারে কেউ ছিল না। ওই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দুর্ঘটনার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

    কখন, কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা

    প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, কেদারনাথ ও গৌচরের মাঝে ভীমবালির কাছে লিঞ্চোলিতে দুর্ঘটনাটি (Helicopter Crash in Kedarnath) ঘটেছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কেদারনাথ থেকে এয়ারলিফ্‌ট করে আনার পথে একটি হেলিকপ্টার চেন থেকে ছিঁড়ে লিঞ্চোলিতে থারু শিবিরের কাছে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। অল্প দূরত্ব পার করতেই এমআই-১৭ ভারসাম্য হারায়, হাওয়ার ধাক্কায় স্ট্রাপ ছিঁড়ে যায়। স্থানীয় থানা থেকে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কাছে সেই তথ্য যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।” জানা গিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারটি একটি বেসরকারি সংস্থার। 

    এই ধরনের হেলিকপ্টারে (Helicopter Crash in Kedarnath) করেই কেদারনাথ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই থেকে আচমকাই কেদারনাথ ধামে পুণ্যার্থীদের সংখ্যা কমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি এবং ট্রেকিংয়ের রুটে ঘনঘন ধস নামার কারণে মন্দিরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নন অনেকেই। সম্প্রতি নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গৌরীকুণ্ড থেকে কেদারনাথ যাওয়ার পথে বহু মানুষ আটকে পড়েন। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক এবং M-17 চপারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হয়েছে একাধিক বেসরকারি চপারও। চলতি বছর ১০ মে শুরু হয়েছিল চারধাম যাত্রা। এখনও পর্যন্ত ৩৩ লক্ষ পুণ্যার্থী কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী গিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    Pirul Handicrafts: পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাইন বর্জ্য ব্যবহারের (Pirul Handicrafts) মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য জীবিকা নির্বাহের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন দিল্লির বাসিন্দা দুই বোন নূপুর এবং শর্বরী পোহারকর। ২০২১ সালে ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’ নামে একটি স্টার্টআপ তৈরি করেন তাঁরা। গ্রামের অন্তত ১০০ জন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০,০০০ কেজি পাইন বর্জ্যকে ব্যবহারযোগ্য পণ্যে পরিণত করতে সক্ষম হয় এই সংস্থা।

    কবে থেকে, কীভাবে শুরু

    নেপাল সীমান্তে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝেমাঝেই দাবানল দেখা যায়। দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে পাইন গাছের বর্জ্য (Pirul Handicrafts) থাকায়। উত্তরাখণ্ডের ৭১ শতাংশ জমি বনাঞ্চল। পাইন গাছগুলি রাজ্যের প্রায় ১৬ শতাংশ বনাঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। গরম কালে পাইন গাছের সূঁচ বা কাঁটা জমা হওয়া অঞ্চলে অনেক সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের বন বিভাগ এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। পিরুল জমা করার কথাও বলা হয়েছে। সালটা ২০২০। দিল্লির তরুণী নূপুর পোহারকর পশু চিকিৎসক হিসেবে উত্তরাখণ্ডে কাজ করতে যান। তখনই পাইন বর্জ্যের কারণে হওয়া একটি অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হন তিনি। এরপরই তিনি ভাবতে থাকেন এর থেকে পরিত্রাণের উপায়। 

    পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প 

    ২০২১ সালে, নূপুর ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখেন যেখানে পাইন সূঁচ থেকে হস্তশিল্প তৈরি করা হয়। এটি একটি খুব সাধারণ হস্তশিল্প নয়। শুধুমাত্র কয়েকটি গ্রাম হিমাচল প্রদেশে সক্রিয়ভাবে এই পাইন বর্জ্য থেকে এই পণ্যগুলি তৈরি করে। এটা নূপুরের খুব ভালো লাগে। তাঁর ডিজাইনার বোন শর্বরীর সঙ্গে আলোচনা করার পরে, নূপুর পাইন বর্জ্য থেকে হস্তশিল্প তৈরিতে মনোনিবেশ করেন। শুরু হয় দুই বোনের স্টার্টআপ ‘পিরুল হ্যান্ডিক্রাফ্টস’। নূপুর এবং শর্বরী গ্রামের লোকজনকে কাছাকাছি বন থেকে পাইন বর্জ্য সংগ্রহ করতে উদ্দীপিত করেন।

    আরও পড়ুন: ছুটির অভাবে ঘুরতে যেতে পারছেন না? অগাস্টেই আসতে পারে সেই সুযোগ!

    কীভাবে চলে কাজ

    প্রথমে ১৫ জন মহিলা মিলে কাজ শুরু হয় এখন ৭টি গ্রামের মোট ১০০ জন মহিলা এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। চম্পাওয়াত অঞ্চলের খেতিখান, ত্যরসুন, পাটন, চাঁনমারি, পান্ডা, পাটি, এবং ঝুলাঘাট গ্রামের মেয়েরা এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। তাঁরা প্রথমে এই পাইন (Pirul Handicrafts) সূঁচগুলি সংগ্রহ করে, এরপর এগুলি পরিষ্কার করে এবং কিছু সময়ের জন্য জলে ভিজিয়ে রাখে। তারপর, কোলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজ পণ্য তৈরি করা হয়। দলটি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে যেমন চা কোস্টার, কানের দুল, সংরক্ষণ বাক্স, হ্যান্ডব্যাগ, পরিবেশন ট্রে, টেবিল ম্যাট, এবং প্ল্যান্টার। এই কাজ করে গ্রামের মহিলারা প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। এখনও পর্যন্ত, এই গ্রামীণ মহিলারা প্রায় ১২,০০০ পণ্য বিক্রি করেছেন। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ শুধু নয়, আমেরিকাতেও  উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এই পণ্যের চাহিদা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    Chaukori: কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি থেকে তুষারধবল শৃঙ্গ দর্শন এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুমায়ুন হিমালয়ের (Kumaon Himalayas) পিথোরাগড় জেলার এক অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর পার্বত্য পর্যটন কেন্দ্র চৌকোরি (Chaukori)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ওক, পাইন, দেওদার, রডোডেনড্রন, ফার গাছের জঙ্গলে ঢাকা এই চৌকোরি প্রকৃতিপ্রেমিক পর্যটকের এক অত্যন্ত প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। চৌকোরি থেকে নন্দাদেবী, পঞ্চচুল্লি প্রভৃতি হিমালয়ের তুষারধবল শৃঙ্গগুলি দর্শন করা এক স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা।

    কাছেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান (Chaukori)

    মূলত এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দূরন্ত আকর্ষণের জন্যই বারবার এখানে ছুটে আসেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি থেকে প্রায় ৩-৪ কিমি দূরের মাস্ক ডিয়ার রিসার্চ সেন্টার, মহাত্মা গান্ধীর সুযোগ্য শিষ্যা সরলা বেনের আশ্রমও। চৌকোরি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে রয়েছে আরও একটি জনপ্রিয় এবং মনোরম পর্যটন কেন্দ্র বেরিনাগ। ২৪ কিমি দূরে গঙ্গোলী হাট। চৌকোরি থেকে পাতাল ভুবনেশ্বর যাওয়ার পথে অবস্থিত এই গঙ্গোলী হাট হল কুমায়ুনী শিল্প-সংস্কৃতির এক অন্যতম পীঠস্থান। এখানে রয়েছে মহাকালী মন্দির।

    ঘুরে আসুন পাতাল ভুবনেশ্বর

    আবার ইচ্ছে এবং হাতে সময় থাকলে ঘুরে নেওয়া যায় চৌকোরি (Chaukori) থেকে প্রায় ৩৮ কিমি দূরে পাতাল ভুবনেশ্বরও। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পাতাল ভুবনেশ্বরের অন্যতম খ্যাতি শৈবতীর্থ হিসেবে। স্বয়ং আদি শঙ্করাচার্যর পদধূলিধন্য এই পাতাল ভুবনেশ্বর। এখানকার প্রাচীন গুহা মন্দিরটি কুমায়ুন অঞ্চলের অন্যতম পবিত্র ও প্রসিদ্ধ শৈবতীর্থ। প্রচলিত বিশ্বাস, এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৩ কোটি দেবতার আবাস। এখানে একাধিক গুহায় জল চুঁইয়ে স্ট্যালাকটাইট এবং স্ট্যালাগমাইটে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু অবয়ব। অনেকটা অন্ধ্রপ্রদেশের বোরহালু কেভ বা বোরহা কেভের মতোই চমৎকার সব সৃষ্টি। চৌকোরি থেকে সকালে বেরিয়ে পাতাল ভুবনেশ্বর ঘুরে আবার চকৌরিতেই রাত্রিবাস করা যায়। 

    যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়া (Chaukori)

    যাতায়াত-ট্রেনে এলে নামতে হবে কাঠগুদাম। এখান থেকে গাড়িতে যেতে হবে চৌকোরি। দূরত্ব প্রায় ১৯৮ কিমি। আসা যায় লালকূয়া বা হলদোয়ানি থেকেও। সরাসরি গাড়ি নিয়ে আসা যায় ৮৬ কিমি দূরের আলমোড়া বা ১৭৩ কিমি দূরের নৈনিতাল থেকেও।
    থাকা-খাওয়া-চৌকোরিতে (Kumaon Himalayas) আছে কেএমভিএন (KMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪২) এবং বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল। আর পাতাল ভুবনেশ্বরে থাকতে চাইলে এখানেও আছে কেএমভিএনের ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস (ফোন-০৮৬৫০০০২৫৪৩) এবং কিছু বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    Haridwar: গঙ্গার ঘাটে অপূর্ব সন্ধ্যারতি, শান্ত কঙ্খল আশ্রম! হরিদ্বার যেন সত্যিই ‘মায়াপুরী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই নয়, ভারতের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার (Haridwar)। পুণ্যতোয়া গঙ্গা এই হরিদ্বার থেকেই নেমে এসেছে সমতল ভূমিতে। প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর এখানেই বসে পূর্ণকুম্ভের আসর। উপনিষদে এর নাম পাওয়া যায় ‘মায়াপুরী’ বলে। পুরাণেও উল্লেখ আছে এই স্থানের।

    পাহাড়ের শীর্ষে মনসাদেবীর মন্দির (Haridwar)

    হরিদ্বারে এলে দেখে নিন চণ্ডী পাহাড়। ছোট্ট একটা পাহাড়, পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে চণ্ডীদেবীর মন্দির। আদি শঙ্করাচার্যের আমলে চণ্ডী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দিরে। এর কাছেই রয়েছে আরও একটি ছোট্ট পাহাড় ‘মনসা পাহাড়’। এই পাহাড়ের শীর্ষে রয়েছে মনসাদেবীর মন্দির। চণ্ডী পাহাড় আর মনসা পাহাড়ে ওঠা-নামার জন্য রয়েছে রোপওয়ের ব্যবস্থা।

    সন্ধ্যারতি, কঙ্খল, হৃষিকেশ

    হরিদ্বারের (Haridwar) অন্যতম সেরা আকর্ষণ এখানকার বিখ্যাত ‘হর কি পৌড়ি’ ঘাটের সন্ধ্যারতি। পুরাণ মতে, রাজা বিক্রমাদিত্য তাঁর ভাইয়ের স্মরণে এখানে ব্রহ্মকুণ্ডে ঘাট নির্মাণ করেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে গঙ্গার বুকে আরতি দর্শনের জন্য প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয। কঙ্খল হর কি পৌড়ি ঘাট থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে। এই কঙ্খলে রয়েছে একাধিক মন্দির ও আশ্রম। এর মধ্যে রয়েছে সপ্তর্ষি আশ্রম, আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম, ভারতমাতা মন্দির, দক্ষ প্রজাপতির মন্দির, হরিহর আশ্রম, দক্ষেশ্বর শিব মন্দিরটিও। পুরাণ মতে, এখানেই নাকি দক্ষ মহারাজ দেবাদিদেব মহাদেবকে নিমন্ত্রণ না করেই যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। কঙ্খলের শান্ত, অনাবিল, আশ্রমিক পরিবেশ মনকে শান্ত করে। হরিদ্বার থেকে অটো বা রিকশ নিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় কঙ্খল থেকে। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে হরিদ্বার থেকেই অটো বা গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসা যায় মাত্র ২৪ কিমি দূরের হৃষিকেশ থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Haridwar)

    যাতায়াত, থাকা-খাওয়া-নৈনিতাল, দিল্লি, আগ্রা থেকে নিয়মিত বাস যাচ্ছে হরিদ্বার। দূরত্ব যথাক্রমে ২৪৫, ২১৪ এবং ৩৮৬ কিমি। হাওড়া থেকে সরাসরি হরিদ্বার যাচ্ছে দুন এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস, কুম্ভ এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। এখানে থাকার জন্য রয়েছে জিএমভিএন (GMVN)-এর ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস রাহি মোটেল ফোন (০১৩৩৪) ২২৮৬৮৬ এবং হোটেল অলকানন্দা (০১৩৩) ২২৬৩৭৯। এছাড়াও এখানে রয়েছে বহু বিভিন্ন দাম ও মানের হোটেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share