Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭০ ঘণ্টার ওপর উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapse) এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। এত জন শ্রমিককে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যাবে কিনা, সে নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সুড়ঙ্গের ভিতরে ক্রমশই ধৈর্য হারাচ্ছেন আটক শ্রমিকরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখনও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে। শুক্রবার বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায় সুড়ঙ্গ থেকে। এর পরেই স্থগিত রাখা হয় যাবতীয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, ধসের কারণেই ওই শব্দ শোনা গিয়েছিল। তার পরেই পাঁচ পরিকল্পনা মেনে উদ্ধারকাজ চালানোর বিষয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষকর্তারা। অর্থাৎ একটি পরিকল্পনার ওপর আর ভরসা রাখছে না উদ্ধারকারী দল।

    শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রমিকরা (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    আটক হওয়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে প্রথম দিন থেকেই পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সরবরাহ করা হচ্ছে ভিটামিন, শুকনো ফল এবং অবসাদ রোখার ওষুধ। অক্সিজেন সাপ্লাইও করা হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে রয়েছেন এই শ্রমিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতদিন সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে থাকার ফলে শ্রমিকরা নিশ্চিতভাবেই মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ১৯ নভেম্বর রবিবার উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যে সুড়ঙ্গে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন তার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে আরেকটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা করছেন। এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে আনা হয়েছে ড্রিল করার মেশিন।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা? (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি দলও হাজির রয়েছে সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবের মতে, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, একটি পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel Collapse) না চালিয়ে একই সঙ্গে পাঁচটি পরিকল্পনা মেনে যত দ্রুত সম্ভব আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো উচিত।’’ তিনি জানিয়েছেন, আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। তবে ঈশ্বর দয়া করলে আগেও উদ্ধারকাজ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারী এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা কিছু সম্ভব সবটাই করা হচ্ছে। সমস্ত রকমের বিশেষজ্ঞ দল এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এক নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Rescue) মধ্যে আটকে পড়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র এবং এই যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গে করা হবে উদ্ধার কাজ। গত রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ১২০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে ২৫ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করা গিয়েছে। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা। উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের চারধাম বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী তীর্থস্থানগুলিতে সংযোগ আরও সরল করতে এই সুড়ঙ্গ পথের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বিপত্তি ঘটে সুড়ঙ্গে।

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের বক্তব্য (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাস এবং ৬ মিটার দীর্ঘ দুটি পাইপ সম্পূর্ণ ঢোকানো হয়েছে। প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে ড্রিল করে ঢোকাতে হবে। ২৪ টন ওজনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র ঘণ্টায় ৫ মিটার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। তবে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে শক্ত কিছু পড়লে সাময়িক ভাবে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এই উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও এবং আইটিবইপির মোট ১৬৫ জন কর্মী উদ্ধার কাজে নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ন্যাশনাল হাইওয়েস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বক্তব্য

    ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে (এনএইচআইডিসিএল) ডিরেক্টর আংশু মনীশ খালখো বলেছেন, “গ্যাস কাটার ব্যবহার করে ধাতব অংশ কাটার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রয়েছে। প্ল্যান বি সফল হবে বলে আশা রাখছি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আমরা সাফল্য পাবো। যন্ত্রের যাতে কোন ক্ষতি সাধন না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীদের এই উদ্ধার (Uttarkashi Tunnel Rescue) কাজে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

    খাবার, জল, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে

    সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবর, জল, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের কাছেই একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাতে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mount Kailash: আর দুর্গম পথে হাঁটতে হবে না, এবার সরাসরি  সড়ক পথে গাড়ি পৌঁছাবে কৈলাসে

    Mount Kailash: আর দুর্গম পথে হাঁটতে হবে না, এবার সরাসরি সড়ক পথে গাড়ি পৌঁছাবে কৈলাসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৈলাসে (Mount Kailash) যাওয়ার নতুন রাস্তা চালু হল। দুর্গম পথে আর পায়ে হেঁটে যেতে হবে না পুণ্যার্থীদের। এবার থেকে সরাসরি গাড়ি পৌঁছে যাবে কৈলাস পর্বতে। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় স্থান হল উত্তরাখণ্ডের আদি কৈলাস মন্দির। পুরাণে রয়েছে কৈলাসে সমাধিস্থ হওয়ার আগে ভগবান শিব এবং মা পার্বতী এখানেই কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন। এখানেই মা পার্বতীর মন্দির রয়েছে। পৌরাণিক মতে মা পার্বতী স্নান করেন এই মন্দিরের কুণ্ডে।  

    সরাসরি গাড়ি পৌঁছে যাবে কৈলাসে (Mount Kailash)

    কৈলাস (Mount Kailash) মন্দিরে পুণ্যার্থীদের আগে পায়ে হেঁটে যাত্রা করতে হতো। দিনের পর দিন লেগে যেতো, দুর্গম পথ অতিক্রম করে মন্দির দর্শন করতে। কিন্তু এবার লেপুলেখ পর্যন্ত সড়ক পথ নির্মিত হওয়ার ফলে, এই ধর্মস্থলের যাত্রাপথ অনেক সহজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য লেপুলেখের পাশেই ইন্দো-নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। সীমান্তের পাশে থেকে দেখা যায় মাউণ্ট কৈলাস। ধরাচুল থেকে তাওয়াঘাট পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করে। এর পরের স্থান থেকে কৈলাস মন্দির পর্যন্ত পথ, পায়ে হেঁটে ভক্তদের যেতে হতো। প্রায় ১০ দিনের বেশী সময় লাগতো ভক্তদের মন্দিরস্থলে পৌঁছাতে। এই এলাকার মানুষের একটা বড় আয়ের উৎস হল পুণ্যার্থীদের আদি কৈলাস ভ্রমণ।

    ৫ হাজার ৯৪৫ মিটার উচু আদি কৈলাস পর্বত

    উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড়ে অবস্থিত এই আদি কৈলাস পর্বত (Mount Kailash), যার উচ্চতা ৫৯৪৫ মিটার। ধরচুল থেকে যাত্রা করে যাওয়া যায় কৈলাস সরোবর এবং আদি কৈলাস মন্দিরে। তবে আদি কৈলাস ভারত সীমান্তের মধ্যে হলেও কৈলাস সরোবর, আবার তিব্বত সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত। যদিও এই অংশকে চিন নিজের বলে দাবি করে থাকে। সীমান্ত জটিলতার কারণে এই কৈলাস সরোবরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশাধিকার সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। এই আদি কৈলাসের কাছে জলিকংয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনার আইটিবিপি বেস ক্যাম্প। এখান থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে ভারত-নেপাল-তিব্বত বর্ডার। ভক্তরা এই স্থান পর্যন্তই পরিদর্শন করতে যেতে পারেন।

    মোদির আদি কৈলাস যাত্রা

    সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি দেবভূমি আদি কৈলাসে (Mount Kailash) পুজো দিতে গিয়েছিলেন। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন তিনি। স্থানীয় গুঞ্জি নামক গ্রামে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর উত্তরাখণ্ডের জন্য একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেন। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রতিশ্রুর কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে। কোথাও হড়পা বান, কোথাও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস, প্রকৃতির এই প্রলয়ে হিমাচলের (Himachal Pradesh) জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সিমলা-কালকা রেলপথের একাংশ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে জলের তোড়ে। পাশের রাজ্য উত্তরাখণ্ডেরও অনেকটাই একই অবস্থা। প্রবল ভূমিধসের কারণে সেখানে আপাতত স্থগিত রয়েছে চারধাম যাত্রা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিমাচলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। 

    রবিবার রাতেই সোলান জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সিমলা শহরের একটি শিব মন্দির ধসে পড়েছে অতি বৃষ্টির কারণে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে কংক্রিটের নিচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকজন। এর পাশাপাশি হিমাচল (Himachal Pradesh) এর মান্ডি জেলায় সম্বল গ্রামে হড়পা বানে সোমবার ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

    কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?

    হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচলে (Himachal Pradesh) একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদীর। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই নামছে ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সড়ক। জানা গিয়েছে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড মিলিয়ে প্রায় ৭০০ রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। তবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে রেহাই এখনই মিলবে না বলে জানা যাচ্ছে।

    মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১১ 

    রবিবার রাতে সোলান জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচণ্ড গর্জন শুনতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগে এই মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রবল জলস্রোত আছড়ে পড়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশ কিছু বাড়িঘর। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে জানা গিয়েছে একটি পরিবারের সাত সদস্যই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন। 

    টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড

    অন্যদিকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডও। সেখানকার একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির জেরে চলছে ভূমিধস। এখনও পর্যন্ত বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৭ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ১,১৭৯ টি বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Yatra: ফের ধস কেদারনাথ যাত্রাপথে, চাপা পড়েছে দোকানপাট, কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ

    Kedarnath Yatra: ফের ধস কেদারনাথ যাত্রাপথে, চাপা পড়েছে দোকানপাট, কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথ যাত্রাপথে (Kedarnath Yatra) ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিরাট ধস নেমেছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথ যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ধস নামার খবর জানা গেছে। ধসের ফলে তলিয়ে গেছে রাস্তার পাশের বহু দোকান। চাপা পড়েছেন অন্তত ১২ জন। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Kedarnath Yatra)?

    গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উত্তরাখণ্ডে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভোরের দিকে কেদারনাথের পথে (Kedarnath Yatra) ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুণ্ডের দাঁতপুলিয়া এলাকায় ধস নেমেছে। উল্লেখ্য কেদারনাথ যাত্রায় গৌরীকুণ্ড হল একটি বিশেষ বেস ক্যাম্প। সমস্ত কেদারনাথ পুণ্যার্থীরা এই পথেই পৌঁছান কেদারনাথ ধামে। তাই ধসের কারণে আপাতত বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু দোকান বড় পাথরের নিচে চাপা পড়েছে।

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বক্তব্য

    রুদ্রপ্রয়াগ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অফিসার দলিপ সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে ধস (Kedarnath Yatra) নেমেছে। অন্তত ১০ থেকে ১২ জন মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধসের কারণে বেশ কিছু দোকানও চাপা পড়েছে। এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় বাহিনীর অফিসার। রুদ্রপ্রয়াগ পুলিশ সুপারের বক্তব্য, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকায় অনেক বাড়ি ধসে গিয়েছে।

    কতটা সুরক্ষিত কেদারনাথ যাত্রা?

    উল্লেখ্য গত বছর জুলাই মাসেও প্রবল বৃষ্টিপাত হয় সোনপ্রয়াগ, গৌরীকুণ্ডতে। সেই সময় সাময়িক ভাবে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra) বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ৬ মাস বন্ধ রাখার পর, এই বছর এপ্রিলে আবার খোলা হয় কেদারনাথ ধাম। এই ধস এবং অতি ভারী বর্ষণের ফলে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং বদ্রীনাথ যাত্রা কতটা সুরক্ষিত হবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২০১৩ সালেও অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল উত্তরাখণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা নামার (Heavy Rain) পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। একই অবস্থা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অপর রাজ্য হিমাচলেরও। বিগত একমাস ধরে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম একাধিক রাজ্য বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরের বদলে দিন কাটছে ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যে রাজ্যে বেড়েই চলেছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বন্যার কারণে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। নতুন করে আবার ভারী বর্ষণ (Heavy Rain) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। যার জেরে রীতিমতো উদ্ধিগ্ন রাজধানীর বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর পূর্বে অসম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি তেরি হয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে ধসের খবর প্রতিদিনই মিলছে দেবভূমিতে। শুক্রবার জলের প্রবল দাপটে ভেসে গেল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে চামোলি জেলায়।  শুক্রবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস নামার খবর আসতে থাকে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে হিমাচলেও। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেই চলেছে এই রাজ্যে। শুক্রবার সিমলার ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। পাশাপাশি চলছে মেঘভাঙা বৃষ্টি। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়। যার জেরে দুটো সেতু ভেঙে পড়ে। পাঁচটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি! দিল্লিবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে

    শনিবাকর সকাল থেকেই দিল্লিতে চলছে অতিভারী বর্ষণ (Heavy Rain)। যার জেরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে। আগামী কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে এখনও বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। তবে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন বলছে, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৬ মিটার। যমুনার বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ফলে বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। 

    তেলেঙ্গানাতে শুক্রবার বন্যার কারণে ১১ জনের মৃত্যু

    উত্তর ভারতের মতোই এখন বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা। জেলায় জেলায় একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে (Heavy Rain) বাড়িতে। এরমাঝে আবার বিপদ বাড়িয়েছে হড়পা বান। এর আগে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শুক্রবারে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা (NDRF)। জানা গিয়েছে, আচমকা হড়পা বান চলে আসে বেশ কিছু এলাকায়। আর তাতেই জলের তোড়ে ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। এরমধ্যে ৩ জন নিঁখোজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন। তেলঙ্গানার একটি গ্রাম ফুট জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডালেও আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যায় নাজেহাল ছিল দিল্লিবাসী। ফের বৃষ্টি হলে যমুনার জলস্তর আরও বাড়তে পারে। বুধবারও ভারী বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। এর ফলে রাজধানীর বহু এলাকায় ফের জল জমতে শুরু করে। সমস্যা দেখা দেয় দিল্লির ট্রাফিকে। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবারের জন্যও আগাম হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, দিল্লিতে বৃষ্টি চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    দিল্লিতে ফের ফুঁসছে যমুনা, গ্রেটার নয়ডা প্লাবিত হিন্দনের জলোচ্ছ্বাসে

    টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে ফের একবার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার জলস্তর। রাজধানীর নিচু এলাকাগুলি এর ফলে ডুবতে শুরু করেছে। যার জন্য সেখানে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সরানো হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মানুষকে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে যোগী রাজ্যের হিন্দন নদীও। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সূত্রের খবর, যমুনা এবং হিন্দন নদীর জলোচ্ছ্বাসের ফলে ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, ৩১ হাজার দুর্গতকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে প্রশাসন। যমুনার জলোচ্ছ্বাসে ইতিমধ্যে নাংলি ওয়াজিদপুর, শাহপুর গোবর্ধনপুর খাদার, চকবসন্তপুর, বসন্তপুর, ইয়াকুতপুর-সহ বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।

    মহারাষ্ট্রে বন্ধ স্কুল-কলেজ

    উত্তর ভারতের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রিপোর্ট বলছে, মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গের বহু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হবে। জানা গিয়েছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা বর্তমানে জলের তলায় রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে একনাথ শিন্ডে সরকার। মহরাষ্ট্রে রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে নাগপুরেও।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের জনজীবন বন্যায় একেবারে বিপর্যস্ত। বর্ষা নামার পর থেকেই হিমালয়ের কোলে এই দুই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিত তৈরি হয়। অতিবৃষ্টি (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের জেরে দুই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জেলায় বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ধসের জেরে উত্তরাখণ্ডের ২৪১টি সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঋষিকেষ-যমুনেত্রী সড়ক। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে ২০০ জেসিবি। পাশাপাশি হিমাচলের  ৯টি জেলায় বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা (Heavy Rain) জারি করেছে মৌসম ভবন। এগুলি হল, শিমলা, সোলান, মান্ডি, সিরমুর, বিলাসপুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর এবং উনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    Uttarakhand: উত্তরাখণ্ডে বিস্ফোরণ ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মারে, মৃত ১৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) নতুন বিপদ। অলকানন্দা নদীর ধারে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় মঙ্গলবার রাতে। ফেটে যায় ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের ট্রান্সফর্মার। আর তাতেই কম করে ঝরে গেল অন্তত ১৬টি প্রাণ। জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই শ্রমিক। এই ঘটনায় আহত কমপক্ষে ২১ জন। দুর্ঘটনায় এক পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের সকলেই কোনও না কোনওভাবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে একটি গোটা সেতু বিদ্যুৎবাহী (ইলেক্ট্রিফায়েড) হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সেতুটি নমামি গঙ্গা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল। গোটা সেতুটি বিদ্যুৎবাহী হয়ে যাওয়ায় সেই সেতুর উপরে কর্মরত প্রত্যকেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জনই মারা গিয়েছেন বলে খবর। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে চামেলি জেলা প্রশাসন।

    কী বলছে চামোলি জেলা প্রশাসন?

    সূত্রের খবর মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজ চলছিল। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, আসে উদ্ধারকারী দলও। চামেলি পুলিশের এসপি পরমেন্দ্র ডোভাল নিজে ঘটনাস্থলের তদারকি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে বেশিরভাগজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উদ্ধারকাজ চলছে। আহতদের হেলিকপ্টারে করে ঋষিকেশ এইমসে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’ এদিনের ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    Uttarakhand: মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে ভাঙল সেতু! আটকে বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শুরু হতেই উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) একের পর এক দুর্যোগ চলছেই। এবার মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে রাজ্যের পিথোরাগড় জেলায় একটি আস্ত সেতু জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে ওই এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকেরাও। বর্ষা শুরু হতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে। 

    মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভাঙল সেতু

    দিনকয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী ধামি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নির্দেশ দেন সতর্ক থাকতে। জেলায় জেলায় খোলা হয় ত্রাণ শিবির। কারণ ভারতবর্ষের এই রাজ্যে (Uttarakhand) বর্ষার সময় হড়পা বান, ধস এগুলো হয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে পিথোরাগড়ের ধরচুলা এলাকার চল গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে একনাগাড়ে বৃষ্টি পড়ছিল বলে খবর। মেঘভাঙা বৃষ্টির দাপটে যে সেতুটি ভেঙে পড়েছে, সেটিই ছিল গ্রামের সঙ্গে সংযোগের একমাত্র মাধ্যম। পার্বত্য এলাকা এমনিতেই দুর্গম, একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম ভেঙে পড়ায় জীবন জীবিকার রশদ ক্রমশই ফুরিয়ে আসছে। ওই গ্রাম এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বলছে, ‘‘সেতু ভাঙার পর তার ধ্বংসাবশেষ ভেজা মাটির সঙ্গে মিশে দীর্ঘ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছে। ফলে ওই অংশে পৌঁছতে পারছেন না কেউই।’’

    প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনাস্থলের ভিডিও

    ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেতুর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এলাকা পরিষ্কার করার কাজ করছেন স্থানীয়রাই।

    এমন বিপত্তির মাঝেও অবশ্য রেহাই আপাতত মিলবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচদিন ধরে। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সমেত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এবং পশ্চিম ভারতের গুজরাতের বেশ কিছু অঞ্চলে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধসের মুখোমুখি হতে পারেন মানুষ। সেই কারণে আগে থেকেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: ভারী বৃষ্টিপাত উত্তরাখণ্ডে! মৃত ২, জারি কমলা সতর্কতা

    Uttarakhand: ভারী বৃষ্টিপাত উত্তরাখণ্ডে! মৃত ২, জারি কমলা সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক ঘোষণা করেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্ধ থাকবে কেদারনাথ যাত্রা। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে গিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি খুঁটিয়ে দেখেন রবিবারই। ধস প্রবণ এলাকায় মোতায়েন করা হয় জেসিবি। সূত্রের খবর, বর্ষায় ভারী বৃষ্টি নামতেই এদিন দেবভূমিতে মৃত্যু হল কমপক্ষে দু’জনের। একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো খবরও মিলেছে। বেশ কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা (Orange Alert)। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এই পরিস্থিতি আগামী বেশ কয়েকদিন ধরেই চলবে। এদিকে, কেদারনাথের মন্দির বন্ধ হলেও জারি রয়েছে চার ধাম যাত্রা।

    কী বলছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী?

    ভারী বর্ষার মধ্যে তীর্থযাত্রীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। রবিবার তিনি বলেন, পুণ্যার্থীরা যেন চার ধাম যাত্রা শুরু করার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নেন। রবিবারই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কন্ট্রোল রুমে যান মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি গোটা পরিস্থিতির খবর নেন। জেলায় জেলায় ত্রাণ শিবির খোলার নির্দেশ রবিবারই দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমি সকল পুণ্য়ার্থীদের কাছে অনুরোধ করছি, যদি আবহাওয়া খারাপ হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে যাত্রা বন্ধ করে দিন। যাত্রা শুরু করার আগে মৌসম ভবনের পূর্বাভাসও অবশ্যই দেখে নেবেন”। নদীর পাড়ে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদেরও অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ হড়পাবানের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে ভারী বৃষ্টিতে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থাও করতে বলেছেন তিনি।

    দু’জনের মৃত্যু

    এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে রবিবার রুদ্রপ্রয়াগে ধস নামে। ভয়াবহ ধসে পাথরের নীচে চাপা পড়ে যায় তিনটি গাড়ি। গাড়ির মধ্যে থাকা অনিল বিস্ত (৫০) নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরাকাশী জেলার পুরোলা তেহশিলে বৃষ্টির মধ্য়ে ধান রোপণ করছিলেন বছর কুড়ির অভিষেক। সেসময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। আরও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share