Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    Narendra Modi: ‘‘এমন নেতার প্রয়োজন’’, মোদিকে সমর্থন উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সমর্থনে এগিয়ে এলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান হাজি শাদাব শামস। তিনি বললেন, “ভারতে সংবিধান কিংবা মুসলমান কেউই বিপদে নেই। বিপদে রয়েছে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রাজনৈতিক দোকান।

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান

    প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে তিনি আরও বলেন, “যখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ চলছে, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো এমন শক্তিশালী নেতার প্রয়োজন রয়েছে। গোটা বিশ্বে নানান প্রান্তে যুদ্ধের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। মোদির (Narendra Modi) মতো শক্তিশালী নেতার তৃতীয়বার অবশ্যই ভারতের মসনদে বসা উচিত। যদি এরকম না হয় তাহলে দেশের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গল কামনা করে তিনি হরিদ্বারের পিরান কলিয়ার এলাকায় সাবির সাহেবের মাজারে চাদর চড়ান।

    প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরির চেষ্টা বিরোধীদের

    ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের (Uttarakhand Waqf Board) এহেন মন্তব্য রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)— সকলেই লোকসভা ভোট চলাকালীন (Loksabha Election 2024) বিজেপিকে মুসলিম বিরোধী বলে আক্রমণ করে চলেছেন। রাজ্যে ইমামদের সংগঠন তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের মন্তব্য খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সহ গোটা গেরুয়া শিবির দাবি করে এসেছে তাঁদের সরকারের প্রকল্প সকল মানুষের কথা ভেবে হয়। সেই কথাই এদিন বলেছেন ওয়াকফ বোর্ডের (Uttarakhand Waqf Board) চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হ্যাটট্রিক করা উচিত। কারণ ভারত তার নেতৃত্বে উন্নয়ন করছে, এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের লাভ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের প্রত্যেক স্তরে পৌঁছাচ্ছে। যাদের মাথায় আগে ছাদ ছিল না তাঁরা আজ বাড়ি পেয়েছে। শৌচালয় পেয়েছে। দেশে শেষ প্রান্ত অবধি রাস্তা তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রত্যেক কোণায় প্রগতি হচ্ছে।”

    কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে

    সংবাদ মাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে শাদাব শামস (Uttarakhand Waqf Board) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে না মুসলিম সমাজ বিপদে আছে, না দেশের সংবিধান। যদি বিপদে থাকে, তাহলে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বিপদে আছে। বিরোধী দলের নেতারা দেশের মুসলিমদের ভুল বুঝিয়ে নিজের রাজনৈতিক দোকান চালাচ্ছেন। তাঁরা আসলে মুসলমানদের ক্ষতি করছেন। তারা আমাদের শুধু ভোট ব্যাঙ্কের মত ব্যবহার করে। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটা মুসলিম বিরোধী ছবি তৈরি করেছেন। মিথ্যে প্রচারের উপর নির্ভর করে। বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের জন্য বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের লাভ দিয়েছেন। আগে কেন্দ্র থেকে সরকার যে টাকা পাঠাত তার বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর আগেই উধাও হয়ে যেত। এখন সেই জিনিস বন্ধ হয়ে গেছে। আজ অবধি দেশের প্রান্তিক মানুষের জন্য যিনি সবচেয়ে বেশি ভেবেছেন তাঁর নাম নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    Char Dham Yatra: উত্তরাখণ্ডের ‘চারধাম যাত্রা’র জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ড সরকার ‘চারধাম যাত্রা’ (Char Dham Yatra) সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে চালু হয়ে গেল অনলাইন পোর্টাল। অনলাইন নিবন্ধিকরণের মাধ্যমে এই চারধামে পুণ্যার্থীরা তীর্থ দর্শন করতে পারবেন। আজ মঙ্গলবার থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকারের পর্যটন দফতর এই পোর্টাল চালুর কথা জানিয়েছে। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা চালু হল।

    অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (Char Dham Yatra)

    উত্তরাখণ্ডে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রী এই চার ধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) করতে এবার থেকে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ভক্তরা। সারা দেশে হিন্দু ধর্মমতে এই চার ধাম গভীর আধ্যাত্মিক চেতনার প্রাণ কেন্দ্র হিসাবে মনে করা হয়ে থাকে। এই যাত্রা যাতে আরও মসৃণ, সুন্দর এবং নিরাপদ হয় সেই কথা ভেবেই এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকার এই চারধাম যাত্রা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন।

    হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এই চারধাম

    এই চারধাম যাত্রা (Char Dham Yatra) শুরু হবে আগামী মে ১০ তারিখ থেকে। গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ হুয়ে এই যাত্রা বদ্রীনাথ পৌঁছাবে মে মাসের ১২ তারিখে। এই ১২ তারিখ থেকেই বাবা বদ্রীনাথনাথের মন্দির খোলা হবে। এই চারধাম যাত্রাকে হিন্দু শাস্ত্রে অত্যন্ত পবিত্র এবং পুণ্যের মনে করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক বছর মূলত এপ্রিল-মে থেকে এই যাত্রা শুরু হয় এবং চলে অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রত্যেক বছর এই ধাম যাত্রা গ্রীষ্মকালীন সময়ে খোলা থাকে এবং শীত পড়তে পড়তে মন্দির ধামগুলি বন্ধ হয়ে যায়। আগেই উত্তরাখণ্ডের চম্বল জেলার জেলা শাসক হিমাংশু খোরানা ইতিমধ্যে বদ্রীনাথ ধাম পর্যবেক্ষণ করেছেন।

    আরও পড়ুন: গাজনে শিবভক্তদের ওপর হামলা, মন্দিরে ভাঙচুর! দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব বেলডাঙায়

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    এই বছর থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। যাত্রা আগে অন লাইনে নথিভুক্ত করতে হবে ভক্তদের। আবেদনকারীদের নিজেদের আধার, পাসপোর্ট দিয়ে বায়োমেট্রিক বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের ক্ষেত্রে প্রথমে পোর্টালে নিজের নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর দিতে হবে। পোর্টালে ফর্ম ফিলাপ করে আইডি প্রুফ জমা করলে ওটিপি আসবে। তথ্যের সত্যতা যাচাই করার পর মিলবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর। এই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে লগইন করলে ভ্রমণের তারিখ, দর্শনীয় স্থান এবং যাঁরা যাবেন তাঁদের সকলের পরিচয় জানা যাবে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী সড়ক পথে এবং আকশ পথেও ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট দিলেই ২০ শতাংশ ছাড় রেস্তরাঁয়! উত্তরাখণ্ডে বিশেষ উপহার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Lok Sabha Election 2024) দেওয়ার পর যে কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে গেলে খাবারের বিলে পাওয়া যাবে ২০ শতাংশ ছাড়। উত্তরাখণ্ডে ভোটারদের উৎসাহ দানের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে মৌ স্বাক্ষর করা হয়েছে।

    কতদিন, কীভাবে মিলবে পরিষেবা

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৯ এপ্রিল ভোটকেন্দ্র থেকে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বেরিয়ে কোনও ভোটার যদি হোটেল বা রেস্তরাঁয় খেতে যান, তবে খাবারের বিলে তিনি ২০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিষেবা ভোগ করতে পারবেন ভোটারেরা। উত্তরাখণ্ডের সমস্ত হোটেল এবং রেস্তরাঁ সংগঠনের সভাপতি এই প্রসঙ্গে জানান, খাবারের বিলে ছাড় দেওয়ার আগে আঙুলে কালির ছাপ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন আদপে তাঁরা ভোট দিয়েছেন কি না। উত্তরাখণ্ডের হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে থাকা সমস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁতেই এই অফার পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    কেন এই উপহার

    আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু দেশে। ১ জুন সাত দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) শেষের পর ৪ জুন জানা যাবে কারা ফিরছে মসনদে। উত্তরাখণ্ডে প্রথম দফায় ভোট হবে। উত্তরাখণ্ডে ৫টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে।  ১৯ এপ্রিল নির্বাচন রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই অফার দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য ইলেকটোরাল অফিসার বিজয় কুমাক যোগদান্দে এই বিষয়ে বলেছেন, “রাজ্যে ভোট শতাংশ বাড়াতে একাধিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। উত্তরাখণ্ড হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবনা এনেছিল এবং নির্বাচন কমিশন এতে রাজি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১৭ দিনের পর যুদ্ধ জয়। শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই আবেগে ভেসেছে গোটা দেশ। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel) সফল হতেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) ৪১ জন শ্রমিককে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে। নিজের ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সাহস প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা। অন্যদিকে, শ্রমিকদের সাহস ও ধৈর্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘অবশেষে সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে বেরোতে পেরেছেন সকলে। প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি। এতদিন পর তাঁরা সবাই পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। এই পরিবারগুলিও যে সাহস এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আর যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করলেন, তাঁদের এই সাহসকে কুর্নিশ (Uttarkashi Tunnel)। আপনাদের সাহসিকতার জন্যই সব শ্রমিকরা শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। আজকের এই দিন মানবতা আর পরিশ্রমের মেলবন্ধনের সাক্ষী হল।’’

    রাষ্ট্রপতির ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘গত ১৭ দিন ধরে উদ্ধারকারী দলকে নানা ঝুঁকি, নানা প্রতিকূলতার (Uttarkashi Tunnel) মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে। কিন্তু এঁরা কেউ হাল ছাড়েননি। শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সবাই। আজ আমি দারুণ খুশি। সকলকে অভিনন্দন। এই জয় আমায় আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ৮ দিন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ শ্রমিক, আর কতদিন পর উদ্ধার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭০ ঘণ্টার ওপর উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel Collapse) এখনও আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। এত জন শ্রমিককে সুস্থ, স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যাবে কিনা, সে নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সুড়ঙ্গের ভিতরে ক্রমশই ধৈর্য হারাচ্ছেন আটক শ্রমিকরা। এমতাবস্থায় প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এখনও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগবে। শুক্রবার বিকট শব্দ শুনতে পাওয়া যায় সুড়ঙ্গ থেকে। এর পরেই স্থগিত রাখা হয় যাবতীয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, ধসের কারণেই ওই শব্দ শোনা গিয়েছিল। তার পরেই পাঁচ পরিকল্পনা মেনে উদ্ধারকাজ চালানোর বিষয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষকর্তারা। অর্থাৎ একটি পরিকল্পনার ওপর আর ভরসা রাখছে না উদ্ধারকারী দল।

    শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রমিকরা (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    আটক হওয়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে প্রথম দিন থেকেই পাইপের মাধ্যমে তাঁদের সরবরাহ করা হচ্ছে ভিটামিন, শুকনো ফল এবং অবসাদ রোখার ওষুধ। অক্সিজেন সাপ্লাইও করা হচ্ছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে রয়েছেন এই শ্রমিকরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখাতে পারেনি প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতদিন সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে থাকার ফলে শ্রমিকরা নিশ্চিতভাবেই মানসিক এবং শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ১৯ নভেম্বর রবিবার উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা যে সুড়ঙ্গে শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন তার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে আরেকটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার চেষ্টা করছেন। এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে আনা হয়েছে ড্রিল করার মেশিন।

    কী বলছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা? (Uttarkashi Tunnel Collapse) 

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি দলও হাজির রয়েছে সেখানে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবের মতে, ‘‘বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, একটি পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel Collapse) না চালিয়ে একই সঙ্গে পাঁচটি পরিকল্পনা মেনে যত দ্রুত সম্ভব আটক শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো উচিত।’’ তিনি জানিয়েছেন, আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে। তবে ঈশ্বর দয়া করলে আগেও উদ্ধারকাজ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারী এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যা কিছু সম্ভব সবটাই করা হচ্ছে। সমস্ত রকমের বিশেষজ্ঞ দল এখানে উপস্থিত রয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    Uttarkashi Tunnel Rescue: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা, কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে এক নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel Rescue) মধ্যে আটকে পড়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। দিল্লি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র এবং এই যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গে করা হবে উদ্ধার কাজ। গত রবিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রায় ১২০ ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা ধ্বংসস্তূপকে সরিয়ে ২৫ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করা গিয়েছে। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন উদ্ধারকারীরা। উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডের চারধাম বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী তীর্থস্থানগুলিতে সংযোগ আরও সরল করতে এই সুড়ঙ্গ পথের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বিপত্তি ঘটে সুড়ঙ্গে।

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের বক্তব্য (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতরে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাস এবং ৬ মিটার দীর্ঘ দুটি পাইপ সম্পূর্ণ ঢোকানো হয়েছে। প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত সুড়ঙ্গের ভিতরে ড্রিল করে ঢোকাতে হবে। ২৪ টন ওজনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র ঘণ্টায় ৫ মিটার করে সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। তবে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে শক্ত কিছু পড়লে সাময়িক ভাবে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। এই উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও এবং আইটিবইপির মোট ১৬৫ জন কর্মী উদ্ধার কাজে নেমেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    ন্যাশনাল হাইওয়েস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের বক্তব্য

    ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে (এনএইচআইডিসিএল) ডিরেক্টর আংশু মনীশ খালখো বলেছেন, “গ্যাস কাটার ব্যবহার করে ধাতব অংশ কাটার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রয়েছে। প্ল্যান বি সফল হবে বলে আশা রাখছি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আমরা সাফল্য পাবো। যন্ত্রের যাতে কোন ক্ষতি সাধন না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। থাইল্যান্ড এবং নরওয়ের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারীদের এই উদ্ধার (Uttarkashi Tunnel Rescue) কাজে সংযুক্ত করা হয়েছে।”

    খাবার, জল, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে

    সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবর, জল, অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীরা (Uttarkashi Tunnel Rescue) আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সুড়ঙ্গের কাছেই একটি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে সতর্ক রাখা হয়েছে। উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাতে নিয়ে যাওয়া যায় সেই বিষয়েও সচেতন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mount Kailash: আর দুর্গম পথে হাঁটতে হবে না, এবার সরাসরি  সড়ক পথে গাড়ি পৌঁছাবে কৈলাসে

    Mount Kailash: আর দুর্গম পথে হাঁটতে হবে না, এবার সরাসরি সড়ক পথে গাড়ি পৌঁছাবে কৈলাসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৈলাসে (Mount Kailash) যাওয়ার নতুন রাস্তা চালু হল। দুর্গম পথে আর পায়ে হেঁটে যেতে হবে না পুণ্যার্থীদের। এবার থেকে সরাসরি গাড়ি পৌঁছে যাবে কৈলাস পর্বতে। হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় স্থান হল উত্তরাখণ্ডের আদি কৈলাস মন্দির। পুরাণে রয়েছে কৈলাসে সমাধিস্থ হওয়ার আগে ভগবান শিব এবং মা পার্বতী এখানেই কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন। এখানেই মা পার্বতীর মন্দির রয়েছে। পৌরাণিক মতে মা পার্বতী স্নান করেন এই মন্দিরের কুণ্ডে।  

    সরাসরি গাড়ি পৌঁছে যাবে কৈলাসে (Mount Kailash)

    কৈলাস (Mount Kailash) মন্দিরে পুণ্যার্থীদের আগে পায়ে হেঁটে যাত্রা করতে হতো। দিনের পর দিন লেগে যেতো, দুর্গম পথ অতিক্রম করে মন্দির দর্শন করতে। কিন্তু এবার লেপুলেখ পর্যন্ত সড়ক পথ নির্মিত হওয়ার ফলে, এই ধর্মস্থলের যাত্রাপথ অনেক সহজ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য লেপুলেখের পাশেই ইন্দো-নেপাল-তিব্বত সীমান্ত। সীমান্তের পাশে থেকে দেখা যায় মাউণ্ট কৈলাস। ধরাচুল থেকে তাওয়াঘাট পর্যন্ত গাড়ি চলাচল করে। এর পরের স্থান থেকে কৈলাস মন্দির পর্যন্ত পথ, পায়ে হেঁটে ভক্তদের যেতে হতো। প্রায় ১০ দিনের বেশী সময় লাগতো ভক্তদের মন্দিরস্থলে পৌঁছাতে। এই এলাকার মানুষের একটা বড় আয়ের উৎস হল পুণ্যার্থীদের আদি কৈলাস ভ্রমণ।

    ৫ হাজার ৯৪৫ মিটার উচু আদি কৈলাস পর্বত

    উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড়ে অবস্থিত এই আদি কৈলাস পর্বত (Mount Kailash), যার উচ্চতা ৫৯৪৫ মিটার। ধরচুল থেকে যাত্রা করে যাওয়া যায় কৈলাস সরোবর এবং আদি কৈলাস মন্দিরে। তবে আদি কৈলাস ভারত সীমান্তের মধ্যে হলেও কৈলাস সরোবর, আবার তিব্বত সীমান্তের মধ্যে অবস্থিত। যদিও এই অংশকে চিন নিজের বলে দাবি করে থাকে। সীমান্ত জটিলতার কারণে এই কৈলাস সরোবরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশাধিকার সাময়িক ভাবে বন্ধ রয়েছে। এই আদি কৈলাসের কাছে জলিকংয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনার আইটিবিপি বেস ক্যাম্প। এখান থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে ভারত-নেপাল-তিব্বত বর্ডার। ভক্তরা এই স্থান পর্যন্তই পরিদর্শন করতে যেতে পারেন।

    মোদির আদি কৈলাস যাত্রা

    সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি দেবভূমি আদি কৈলাসে (Mount Kailash) পুজো দিতে গিয়েছিলেন। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন তিনি। স্থানীয় গুঞ্জি নামক গ্রামে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর উত্তরাখণ্ডের জন্য একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেন। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রতিশ্রুর কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে। কোথাও হড়পা বান, কোথাও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস, প্রকৃতির এই প্রলয়ে হিমাচলের (Himachal Pradesh) জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সিমলা-কালকা রেলপথের একাংশ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে জলের তোড়ে। পাশের রাজ্য উত্তরাখণ্ডেরও অনেকটাই একই অবস্থা। প্রবল ভূমিধসের কারণে সেখানে আপাতত স্থগিত রয়েছে চারধাম যাত্রা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিমাচলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। 

    রবিবার রাতেই সোলান জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সিমলা শহরের একটি শিব মন্দির ধসে পড়েছে অতি বৃষ্টির কারণে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে কংক্রিটের নিচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকজন। এর পাশাপাশি হিমাচল (Himachal Pradesh) এর মান্ডি জেলায় সম্বল গ্রামে হড়পা বানে সোমবার ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

    কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?

    হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচলে (Himachal Pradesh) একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদীর। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই নামছে ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সড়ক। জানা গিয়েছে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড মিলিয়ে প্রায় ৭০০ রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। তবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে রেহাই এখনই মিলবে না বলে জানা যাচ্ছে।

    মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১১ 

    রবিবার রাতে সোলান জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচণ্ড গর্জন শুনতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগে এই মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রবল জলস্রোত আছড়ে পড়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশ কিছু বাড়িঘর। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে জানা গিয়েছে একটি পরিবারের সাত সদস্যই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন। 

    টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড

    অন্যদিকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডও। সেখানকার একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির জেরে চলছে ভূমিধস। এখনও পর্যন্ত বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৭ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ১,১৭৯ টি বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Yatra: ফের ধস কেদারনাথ যাত্রাপথে, চাপা পড়েছে দোকানপাট, কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ

    Kedarnath Yatra: ফের ধস কেদারনাথ যাত্রাপথে, চাপা পড়েছে দোকানপাট, কমপক্ষে ১২ জন নিখোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেদারনাথ যাত্রাপথে (Kedarnath Yatra) ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিরাট ধস নেমেছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার কেদারনাথ যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ধস নামার খবর জানা গেছে। ধসের ফলে তলিয়ে গেছে রাস্তার পাশের বহু দোকান। চাপা পড়েছেন অন্তত ১২ জন। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Kedarnath Yatra)?

    গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উত্তরাখণ্ডে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভোরের দিকে কেদারনাথের পথে (Kedarnath Yatra) ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার গৌরীকুণ্ডের দাঁতপুলিয়া এলাকায় ধস নেমেছে। উল্লেখ্য কেদারনাথ যাত্রায় গৌরীকুণ্ড হল একটি বিশেষ বেস ক্যাম্প। সমস্ত কেদারনাথ পুণ্যার্থীরা এই পথেই পৌঁছান কেদারনাথ ধামে। তাই ধসের কারণে আপাতত বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু দোকান বড় পাথরের নিচে চাপা পড়েছে।

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বক্তব্য

    রুদ্রপ্রয়াগ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অফিসার দলিপ সিং রাজওয়ার জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে ধস (Kedarnath Yatra) নেমেছে। অন্তত ১০ থেকে ১২ জন মানুষ চাপা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধসের কারণে বেশ কিছু দোকানও চাপা পড়েছে। এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় বাহিনীর অফিসার। রুদ্রপ্রয়াগ পুলিশ সুপারের বক্তব্য, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বার করতে অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকায় অনেক বাড়ি ধসে গিয়েছে।

    কতটা সুরক্ষিত কেদারনাথ যাত্রা?

    উল্লেখ্য গত বছর জুলাই মাসেও প্রবল বৃষ্টিপাত হয় সোনপ্রয়াগ, গৌরীকুণ্ডতে। সেই সময় সাময়িক ভাবে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra) বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ৬ মাস বন্ধ রাখার পর, এই বছর এপ্রিলে আবার খোলা হয় কেদারনাথ ধাম। এই ধস এবং অতি ভারী বর্ষণের ফলে গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং বদ্রীনাথ যাত্রা কতটা সুরক্ষিত হবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২০১৩ সালেও অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল উত্তরাখণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা নামার (Heavy Rain) পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। একই অবস্থা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অপর রাজ্য হিমাচলেরও। বিগত একমাস ধরে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম একাধিক রাজ্য বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরের বদলে দিন কাটছে ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যে রাজ্যে বেড়েই চলেছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বন্যার কারণে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। নতুন করে আবার ভারী বর্ষণ (Heavy Rain) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। যার জেরে রীতিমতো উদ্ধিগ্ন রাজধানীর বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর পূর্বে অসম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি তেরি হয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে ধসের খবর প্রতিদিনই মিলছে দেবভূমিতে। শুক্রবার জলের প্রবল দাপটে ভেসে গেল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে চামোলি জেলায়।  শুক্রবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস নামার খবর আসতে থাকে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে হিমাচলেও। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেই চলেছে এই রাজ্যে। শুক্রবার সিমলার ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। পাশাপাশি চলছে মেঘভাঙা বৃষ্টি। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়। যার জেরে দুটো সেতু ভেঙে পড়ে। পাঁচটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি! দিল্লিবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে

    শনিবাকর সকাল থেকেই দিল্লিতে চলছে অতিভারী বর্ষণ (Heavy Rain)। যার জেরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে। আগামী কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে এখনও বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। তবে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন বলছে, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৬ মিটার। যমুনার বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ফলে বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। 

    তেলেঙ্গানাতে শুক্রবার বন্যার কারণে ১১ জনের মৃত্যু

    উত্তর ভারতের মতোই এখন বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা। জেলায় জেলায় একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে (Heavy Rain) বাড়িতে। এরমাঝে আবার বিপদ বাড়িয়েছে হড়পা বান। এর আগে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শুক্রবারে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা (NDRF)। জানা গিয়েছে, আচমকা হড়পা বান চলে আসে বেশ কিছু এলাকায়। আর তাতেই জলের তোড়ে ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। এরমধ্যে ৩ জন নিঁখোজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন। তেলঙ্গানার একটি গ্রাম ফুট জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডালেও আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share