Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Uniform Civil Code: প্রতিশ্রুতি রাখছে বিজেপি সরকার, উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি!

    Uniform Civil Code: প্রতিশ্রুতি রাখছে বিজেপি সরকার, উত্তরাখণ্ডে চালু হচ্ছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করতে চলেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পুষ্কর সিং ধামী। বিধি চালু হলে উত্তরাখণ্ডই হবে দেশের প্রথম অঙ্গরাজ্য, যারা এই বিধি লাগু করবে। জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংক্রান্ত বিল পাশের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি

    উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধামী। গত বছরের ওই নির্বাচনে উত্তরাখণ্ডে জয়ী হয় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন ধামী। তার পরেই শুরু হয় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার তৎপরতা। আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে কমিটিও গড়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। কমিটি (Uniform Civil Code) গঠিত হয় ২০২২ সালের ২৭ মে। এ পর্যন্ত তিনবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ওই কমিটির। বিচারপতি দেশাই ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌর, প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেথা দাঙ্গওয়াল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া

    জানা গিয়েছে, একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যবাসীর মতামত জানতে চেয়েছিল ওই কমিটি। পরামর্শ পাঠিয়েছিলেন ২০ লাখ মানুষ। ইতিমধ্যেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন ধামী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ড অভিন্ন দেওয়ানি কমিটির চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা দেশাই ও কমিটির অন্য সদস্যরা।

    আরও পড়ুুন: “যিনি শ্রীরামচন্দ্রকে ঘৃণা করেন তিনি হিন্দু নন”, বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা

    সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলবীর সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন ২১তম আইন কমিশনের সুপারিশ ছিল, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকারের মতো পারিবারিক বিষয়ে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সি, জৈন সকলের জন্য একই আইন চালু করার প্রয়োজন নেই। যদিও কেন্দ্র চাইছে, দেশজুড়ে চালু হোক অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কারণ তাতে এক সঙ্গে সমাধান হবে অনেক সমস্যার।

    প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু হলে বাস্তবায়িত হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক দেশ, এক আইন নীতি। দেশে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক নেওয়ার নিয়ম, উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন রয়েছে ধর্ম ভেদে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে দেশবাসীর জন্য একটিই আইন থাকবে, তা তিনি যে ধর্ম বা বর্ণেরই হোন না কেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভূকম্পন (Earthquake) উত্তর ভারতে। দিল্লির পর এবার কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়। গতকাল, রবিবার দিল্লি সহ এনসিআরের অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলের এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪।

    কখন কম্পন অনুভূত হয় (Earthquake)?

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎস ছিল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে উত্তর-পর্ব দিকে ৪৮ কিমি দূরে। এদিন সকাল ৯টা বেজে ১১ মিনিটে কম্পন অনুভব করা যায়। কম্পনের কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়

    গতকাল দিল্লিতে ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে দেশের রাজধানীতে কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল। ওই দিন ঠিক দুপুরবেলার পরে পরেই ৪টে ৮ মিনিট নাগাদ সময়ে কম্পনের জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.১। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৯ কিমি পূর্বে। ফলে দিল্লি সহ নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এলাকাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের লখনউ, হাপুর, আমরোহাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের কিছু কিছু অংশ, চণ্ডীগড়, জয়পুরেও কম্পনের প্রভাব পড়ে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল যথাক্রমে ৪.৬, ৬.২, ৩.৮ এবং ৩.১।

    এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এলাকার মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ভয়ে মানুষ এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য আবারও আফগানিস্তানের এদিন ভূমিকম্প অনুভব করা যায়। এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল হেরাট প্রদেশে এবং কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩।

    ভূবিজ্ঞানীদের মতামত

    দিল্লির ভূমিকম্প (Earthquake) নিয়ে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির নির্দেশক ভূবিজ্ঞানীর ওপি মিশ্র জানিয়েছেন, “ভারতে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে। প্রতিদিন খুব মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। জমে থাকা শক্তি মাঝে মাঝেই মুক্ত হতে থাকে। ফলে সেই থেকেই অনেক সময় কম্পন জোরাল হয়ে যায়।” ভারতের টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় উপমাহদেশের ঘনঘন ভূমিকম্প হয়। সম্প্রতি সময়কালে বারবার কম্পনের কবলে পড়েছে দিল্লি। আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথাও বিজ্ঞানীরা বলেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পুজোর মুখে উপহারের ডালি নিয়ে দু’ দিনের সফরে দেবভূমিতে প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: পুজোর মুখে উপহারের ডালি নিয়ে দু’ দিনের সফরে দেবভূমিতে প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই দু’ দিনের উত্তরাখণ্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেবভূমিতে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন তিনি। বুধবার সরকারি এক বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে এ খবর। উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে আলমোড়ার জগেশ্বর ধামেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। পুজো দেবেন পার্বতী কুণ্ডেও। সাক্ষাৎ করবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী, আইটিবিপি এবং বিআইও আধিকারিকদের সঙ্গে।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি

    জানা গিয়েছে, সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী যাবেন পিথাগোড়া জেলায়। সেখানে থাকবেন মায়াবতী আশ্রমে। এদিন চিন সীমান্তের কাছে অবস্থিত পবিত্র আদি কৈলাসেও যেতে পারেন তিনি। সেখানে দেবেন পুজো। ফি বছর বহু পুণ্যার্থী আসেন আদি কৈলাসে। বিয়াস উপত্যকায় অবস্থিত জোলিকাং ঘুরে দেখার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    পিথোরাগড়ে সরকারি অনুষ্ঠান

    আদি কৈলাস দর্শনের পর পিথোরাগড়ে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক, সেচ, পানীয় জল, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্প। দেরাদুনে রাজ্য জরুরি অপারেশন সেন্টারের উন্নয়ন ও বালিয়ানালা, নৈনিতালে ধস প্রতিরোধ করতেও একাধিক পদক্ষেপ করা হবে কেন্দ্রের এই প্রকল্পের অধীনে। জগেশ্বর ধাম, হাত কালিকা ও নয়নাদেবী মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যও কেন্দ্রের তরফে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমেশ্বরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে ১০০ শয্যার উপজেলা হাসপাতাল তৈরি করা হবে। চম্পায় তৈরি করা হবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল বেলক।

    আরও পড়ুুন: কামদুনিকাণ্ডের শেষ দেখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ টুম্পা-মৌসুমীরা, ফের নিশানা রাজ্যকে

    অনুষ্ঠান শেষে তিনি যাবেন গুঞ্জি গ্রামে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। এখানেই ভারতীয় সেনাবাহিনী, আইটিবিপি জওয়ান এবং বিআরও আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সফর বিঘ্নহীন করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না স্থানীয় প্রশাসন। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরের জায়গাগুলি ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।

    দোরগোড়ায় পুজো। তার আগেই শুরু হয়ে যাবে নবরাত্রি উৎসব। এই নবরাত্রি উৎসবের দিনগুলিতে প্রধানমন্ত্রী উপোস করেন। সেজন্য অবশ্য পরিশ্রমে খামতি থাকে না তাঁর। নবরাত্রি উৎসবের সময় বিদেশে থাকলেও, এর অন্যথা হয় না প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Landslide in Himachal: হিমাচল-উত্তরাখণ্ডে অতিবর্ষণ! ভূমি ধসে মৃত ১৩, ভেঙে পড়েছে পরপর বাড়ি, দেখুন ভিডিও

    Landslide in Himachal: হিমাচল-উত্তরাখণ্ডে অতিবর্ষণ! ভূমি ধসে মৃত ১৩, ভেঙে পড়েছে পরপর বাড়ি, দেখুন ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের বুকে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড, দুই রাজ্যেই অতিবর্ষণ এবং ভূমিধসের কবলে ফের জনজীবন সঙ্কটের মুখে। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। অন্যদিকে হিমাচলের কুলুতে বহুতল ভেঙে (Landslide in Himachal) পড়ল তাসের ঘরের মতো। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই শিহরিত হচ্ছেন। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। এসবের পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের পিণ্ডারি নদী এবং সেটির শাখানদী প্রাণমতীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় চামেলি জেলায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

     

    কোথায়, কীভাবে মৃত্যু (Landslide in Himachal)?

    হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড জেলায় বুধবার পর্যন্ত যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে হিমাচলেই মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। মান্ডি এবং শিমলায় ধসে (Landslide in Himachal) চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তিন জন। জলে ডুবে মারা গেছেন দু’জন। উত্তরাখণ্ডের পৌড়ীতে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই শিমলা, সিরমুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর, সোলান, বিলাসপুর এবং কুলুতে অতি ভারী বর্ষণ এবং হড়পা বানের সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।

    হিমাচলে ধসে পড়ল বহুতল বাড়ি

    বৃহস্পতিবার হিমাচলের কুলুতে পাহাড়ের বুকে গড়ে ওঠা বহুতলের আবাসগুলি অতি বৃষ্টিপাত এবং ভূমি ধসজনিত (Landslide in Himachal) কারণে আকস্মিক ভেঙে পড়ে। এই ভেঙে পড়ার ভিডিও দেখে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই কুলুর এই বহুতলগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু বহুতলকে প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে খালি করেছিল। হিমাচলে প্রায় গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে এক টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অধিক বৃষ্টিপাতে হড়পা বানের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কুলুর আনি মহকুমার বাসস্ট্যান্ডের কাছে চারটির বেশি বাড়ি রীতিমতো ধসে গেছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    ঘটনাস্থলে স্থানীয় (Landslide in Himachal) প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল এসে পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়। জানা গেছে রাজ্যে মোট ৭০৯ টি সড়ক ধসের কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে। ২৪ শে জুন থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হিমাচলে মৃত্যুর সংখ্যা কমপক্ষে ২২৪ জন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণ (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে, এই বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উত্তরাখণ্ড। পাশাপাশি দিল্লিতে ফের বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে (Heavy Rain)

    হিমাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) কত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কত মানুষ হতাহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানের কথা গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সরকার সরকারি ভাবে জানিয়েছেন। শুক্রবারের আপডেট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নতুন করে শিমলায় শিব মন্দিরে ভূমিধসের ফলে চারজন মাটির নিচে আটকে পড়েছেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত অধিক হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছে গিয়েছে।

    বেহাল উত্তরাখণ্ড

    অপর দিকে তেহরি-গাড়োয়াল জেলার টোটাঘাটি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে, সেখানেও যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তেহেরি গাড়োয়ালের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, টোটাঘাটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) ব্যাপক ধস নেমেছে। এমনকী, প্রধান সড়ক পথ অবরুদ্ধ। রাস্তাকে দ্রুত সচল করার জন্য প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি নিজে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ঋষিকেশে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি নিয়েও ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

    ফের বন্যার সম্ভাবনা দিল্লিতে

    গত জুন মাসে অধিক বৃষ্টিপাতের (Heavy Rain) ফলে দেশের রাজধানী জলমগ্ন হয়ে সাধারণ জীবন অত্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল। অগাস্ট মাসেও এই প্রবল বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফের নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গার জল। বৃষ্টিজনিত নানা দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন জনের। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১২ জন। ধসের কারণে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। জখম হয়েছে একজন। গৌরীকুণ্ড এলাকার ওই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া।

    গৌরীকুণ্ডে ধস 

    প্রসঙ্গত, এই গৌরীকুণ্ড থেকেই শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। গত পাঁচ দিনে এ নিয়ে ধস নামল দ্বিতীয়বার। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে। অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সাত নম্বর জাতীয় সড়কও। 

    সঙ্কট বিদ্যুৎ, পানীয় জলের

    বৃষ্টি ও ধসের কারণে নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের। বিপন্নদের উদ্ধার করতে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাত মিলিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গৌরীকুণ্ডের যে এলাকায় এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মেরেকেটে আধ কিলোমিটার হবে ৪ অগাস্ট যেখানে ধস নেমেছিল, সেই জায়গাটি। সেই ধসে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। নিখোঁজ ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের পউরি জেলায় পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে জলবন্দি হয়েছেন হৃষিকেশের (Uttarakhand) ধালওলা ও খারার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। হৃষিকেশে বহু বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলে। দুর্গতদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তারা উদ্ধার করেছেন ৫০ জন দুর্গতকে।

    আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বলেন, “রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে আমরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছিলাম। দিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছি। উদ্ধার কাজ করছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধারকাজে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাই না।” তিনি বলেন, আমি তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করব, আবহাওয়ার খবর নিয়েই যেন বাড়ির বাইরে বের হন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kedarnath Yatra: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ধসে মৃত ৩, এখনও নিখোঁজ ১৭, চলছে উদ্ধারকার্য

    Kedarnath Yatra: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে ধসে মৃত ৩, এখনও নিখোঁজ ১৭, চলছে উদ্ধারকার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবার যে ধস নেমেছিল, সেই ধসের কবলে মৃত ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা সূত্রে খবর, কেদারনাথ (Kedarnath Yatra) থেকে ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত গৌরীকুণ্ডে এই ধসের বিপর্যয় ঘটেছে। ধসে রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার কারণে আপাতত কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ। 

    কীভাবে ঘটেছিল ধস (Kedarnath Yatra)?

    গত বৃস্পতিবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শক্রবার সকালে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এরফলে কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra) আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। রাস্তার পাশেই থাকা দোকান এবং তাতে থাকা মানুষজন ধসের নিচে চাপা পড়েছেন। ধসের ফলে পাহাড়ের পাথর উপর থেকে নিচে মন্দাকিনী নদীর মধ্যে গিয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার থেকেই উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাপক বাধাপ্রাপ্ত হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, ধসের সময় কয়েকজন স্থানীয় এবং বেশ কিছু নেপালের মানুষ ছিলেন। বর্তমানে এসডিআরএফ দল ঘটনা স্থলে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক ধসের কারণে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই বছর বর্ষায় এখনও পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন এবং মোট ১১৭৬টি বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

    বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ধসের ফলে এই কেদারনাথ যাত্রা আপাতত বন্ধ হয়ে পড়েছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে এই পুণ্যার্থীদের কেদারনাথ যাত্রা চলার কথা। এই শ্রাবণ মাসেই কেদারনাথ মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। কেদারনাথ (Kedarnath Yatra) যাওয়ার পথে গৌরীকুণ্ডে বিশেষ বিশ্রামাগার নেওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। দেবী পার্বতীর নামে এই জায়গার নাম গৌরীকুণ্ড। এখানে রাস্তার পাশে প্রচুর দোকান ছিল। কিন্তু রাতভর অতিভারি বৃষ্টির ফলে ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত জনজীবনের চিত্র যেন কিছুতেই বদলাচ্ছেনা। শুক্রবার সকালেও দেবভূমির বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। ধসের কারণে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একই চিত্র হিমাচলেরও। সেখানেও ধস নেমেছে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। একাধিক নদী সেখানে বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে। ইতিমধ্যে সেখানে ১৯০০ বন্যা (Heavy Rain) দুর্গতকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সবমিলিয়ে তেলঙ্গানার পরিস্থিতি বেশ খারাপ।

    ধসের কারণে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক

    উত্তরাখণ্ডে ধস ক্রমশই সেখানকার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ধস নামায় এবং রাস্তার উপর ধ্বংসস্তূপ এসে পড়ায় শুক্রবার সকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। ধ্বংসস্তূপ পড়ায় ধরসু এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক।’’ ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain), ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যার জেরে একেবারে বিপর্যস্ত দেবভূমি। অন্যদিকে একই ছবি হিমাচলপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ভারী বৃষ্টিতে ধস নামছে ব্যাপক। যার জেরে শিমলা এবং কিন্নর জেলায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দু’টি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত তেলঙ্গানা

    ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে তেলঙ্গানার বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদী বিপদসীমা পেরিয়ে জনপদে চলে এসেছে। রাজ্যের কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে রাজ্যের জয়শঙ্কর ভূপালপল্লি জেলাতে। এই জেলার স্থানীয় গ্রাম মোরাঞ্চাপল্লি বর্তমানে ১৫ ফুট জলের নিচে চলে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ গাছের উপরে, বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার কারণে গতকাল থেকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। সে রাজ্যে হনুমানকোণ্ডায় বি প্রেম সাগর নামে এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। জলমগ্ন রাস্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতেই এনডিআরএফ এর দল উদ্ধারের কাজে নামে মোরাঞ্চাপল্লি গ্রামে। বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারও নামাতে হয় দুর্গতদের উদ্ধার (Heavy Rain) করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Badrinath: বন্ধ বদ্রীনাথ! প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ

    Badrinath: বন্ধ বদ্রীনাথ! প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যা ও ধসে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। টানা বৃষ্টির জেরে ধুইয়ে গেল জাতীয় সড়ক। সোমবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলার ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে (Hrishikesh-Badrinath) ধস নেমেছে। নদীর জলের তোড়ে ধুয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যমুনোত্রী হাইওয়ে। ফলে বদ্রীনাথ ও যমুনোত্রী যাত্রা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। মাঝপথে আটকে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী।

    যান চলাচল ব্যাহত

    উত্তরাখণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চামোলি জেলার পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর, বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে নন্দপ্রয়াগ এবং পুরসারির মাঝে ধস নেমেছে। ওই এলাকার ধসের একটি ভিডিয়োও শেয়ার করা হয়েছে।  এই সময়ে চারধাম যাত্রা চলছে।  জাতীয় সড়কগুলির উপর বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে আসায় যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন পুণ্যার্থীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা থেকে ওই ধস সরিয়ে যান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। উত্তরাখণ্ডে দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির তাণ্ডব চলছে। এর আগেও বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে এই মরসুমে একাধিক বার ধস নেমেছে। যার জেরে ব্যাহত হয়েছে বদ্রীনাথ যাত্রাও। আবার ধস নামায় এই পুণ্যযাত্রায় প্রভাব পড়েছে।

    আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা! ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদির

    ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    চামোলি প্রশাসন সূত্রে খবর, অবিরাম বৃষ্টির জেরে বদ্রীনাথ হাইওয়ের ৬০-৭০ মিটার ধুয়ে গিয়েছে। এছাড়া বহু বাড়ি, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চামোলি জেলা পুলিশের আধিকারিক। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা উত্তরকাশী জেলার। উত্তরকাশীর জেলাশাসক জানান, উত্তরকাশী জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার অন্তত ৫০টি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং চাষজমি ধুইয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪০টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে যমুনা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর উপর নতুন করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তারা জানিয়েছে, ২৫ এবং ২৬ জুলাই ভারী বৃষ্টি হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণ, তার ওপর আবার  মেঘভাঙা বৃষ্টি। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি (Uttarakhand)। ভাঙন দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন নদীতে। ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। প্রবল জলের তোড়ে একটি সড়কের ১৫০ মিটার এলাকা ভেসে গিয়েছে। এই সড়ক ধরেই বঙ্গপানি থকে জরাজিবালি যাওয়া যায়। এদিকে, শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের সাতটি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে হরিদ্বার, উত্তরকাশী, তেহরি, পাউরি, দেরাদুন, পিথোরগড়, বাগেশ্বর এবং চম্পাওয়ায়। প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তরকাশীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারকোটের কাছে রাজতার গাংনানী এলাকায় বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি।

    বন্ধ বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা

    প্রবল ধারাপাতের (Uttarakhand) জেরে ধস নেমেছে বদ্রীনাথ ধামে যাওয়ার রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা। চামোলি জেলার কাছে ধস নামায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরে চামোলি জেলার কালিমতির কাছে ১০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কর্ণপ্রয়াগ ও নৈনিতাল।

    বিপর্যয়-প্রবণ

    এদিকে, এদিন রাজ্যের (Uttarakhand) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। হরিদ্বারে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। জলমগ্ন এলাকাগুলিকে বিপর্যয়-প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়। সরকারের তরফে আগামী তিন মাসের জন্য বিদ্যুতের বিল, জলের বিল সহ অন্য সরকারি পরিষেবার জন্য প্রদত্ত বকেয়া বিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে বন্যা রুখতে নদীগুলির গতিপথ পরিষ্কার ও অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হবে। স্থায়ী ত্রাণ শিবিরও তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরকাশী জেলার কস্তুরবা ইন্টার কলেজ স্কুল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রেসিডেন্সিয়াল এই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ করছে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের লোকজন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুলটির সব পড়ুয়াকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলটিতে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ পড়ুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share