Tag: Uttarakhand

Uttarakhand

  • Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    Joshimath: মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে জোশীমঠ! আতঙ্কের ছবি শেয়ার করল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোশীমঠ ঘিরে আতঙ্ক ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গত ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গেছে জোশীমঠ! এমনই উদ্বেগজনক তথ্য মিলল ইসরোর রিপোর্টে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের তরফে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই দেখা গিয়েছে দ্রুতগতিতে বসে যাচ্ছে জোশীমঠের মাটি। জানা গিয়েছে, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে গত ৮ জানুয়ারির মধ্যে জোশীমঠের মাটি ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে।

    ইসরোর প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র

    ইসরো-র ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি) জানাচ্ছে, ২০২২ সাল থেকে এই ধস শুরু হয়। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত একটি তথ্য দিয়েছেন এনআরএসসি। জানা গিয়েছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই সাত মাসে জোশীমঠের জমি ধসেছে প্রায় ৯ সেন্টিমিটার। আবার ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ দিনেরও একটি রিপোর্ট সংস্থা সামনে নিয়ে এসেছে। প্রকাশ্যে এনেছে বেশ কিছু স্যাটেলাইট ছবিও। আর তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে ভূমি ধস ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। আর তা বেড়ে ৫.৪ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার।

    আর্মি হেলিপ্যাড এবং নরসিংহ মন্দিরের আশেপাশের অঞ্চলে মধ্য জোশীমঠের মাটির দ্রুত স্থানান্তর ঘটেছে। ইসরো-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, “নিম্নপতনের শীর্ষস্থানটি ২ হাজার ১৮০ মিটার উচ্চতায় জোশীমঠ-আউলি রোডের কাছে অবস্থিত।”

    আরও পড়ুন: জোশীমঠের গৃহহীনদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু, স্থানীয়দের আশ্বস্ত করলেন ধামি

    ডুবন্ত জোশীমঠ…

    জোশীমঠকে (Joshimath) একটি ডুবতে থাকা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে সেখানকার প্রশাসন, ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েকদিন ধরে জোশীমঠের (Joshimath) বহু বাড়িতে ফাটল ধরেছে। একের পর এক বাড়িতে ফাটল বেড়েই চলেছে। হোটেল মালারি ইন ও মাউন্ট ভিউ, পাশাপাশি দুটি হোটেল ভাঙা শুরু হয়েছে। হোটেলের পিছনের দিকে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদেরও সরানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে হোটেলের এক একটা তলা ধীরে ধীরে ভেঙে সরানো হচ্ছে। বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে রেড ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। আজ দেরাদুনে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Joshimath: ‘ডুবছে’ জোশীমঠ! কারণ জানতে বিশেষজ্ঞ কমিটি, সরানো হল ৪৭ পরিবারকে

    Joshimath: ‘ডুবছে’ জোশীমঠ! কারণ জানতে বিশেষজ্ঞ কমিটি, সরানো হল ৪৭ পরিবারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিধসের কারণে বৃহস্পতিবার ফাটল দেখা গিয়েছিল জোশীমঠে (Joshimath)। এলাকার বেশ কিছু বাড়ির দেওয়ালেও ফাটল দেখা গিয়েছে। ঝুঁকি তৈরি হয়েছে শত শত বাড়ি মাটির তলায় চলে যাওয়ার। তার পরে এদিন রাতেই এলাকার বেশ কিছু পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে এ রকম প্রায় ৪৭টি পারিবারকে প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। ভূমিধসের জেরে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রশাসনের তরফে তাঁদের ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে।

    জোশীমঠের পরিস্থিতি…

    হিমালয়ের শহর জোশীমঠের বিস্তীর্ণ অংশে কেন ফাটল ধরল, তা জানতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, ভূমধসের কারণেই এলাকায় দেখা গিয়েছে বিরাট ফাটল। ফাটল ধরেছে এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে। ঘটনার জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (CM) পুষ্কর সিং ধামি জানান, জোশীমঠের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি জোশীমঠ পরিদর্শনে যাবেন। ধামি বলেন, জোশীমঠে ভূমিধস এবং তার জেরে বাড়িতে ফাটল সম্পর্কে আলোচনা করতে এদিন সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করব। আগামিকাল আমি জোশীমঠ পরিদর্শন করব। বিজেপির তরফেও একটি দলকে পাঠানো হবে জোশীমঠে।

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) চামোলি জেলায় রয়েছে জোশীমঠ (Joshimath)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ছ হাজার ফিট। বদ্রীনাথ থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ধরেছে। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার ৫৬১টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রবিগ্রামের ১৫৩টি, গান্ধীনগরের ১২৭টি, মনোহরবাগের ৭১টি, সিংধরের ৫২টি, পারসারির ৫০টি, আপার বাজারের ২৯টি, সুনীলের ২৭টি, মারওয়াড়ির ২৮টি এবং লোয়ার বাজারের ২১টি বাড়ি।

    এদিকে, ভূমিধসের কারণে আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে চার ধাম যাত্রার রাস্তা চওড়া করার কাজ। হেলং থেকে মারওয়াড়ি পর্যন্ত ওই রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছিল। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তা চওড়া করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সেই কাজই আপাতত বন্ধ থাকছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।  

     

  • Virushka: উত্তরাখণ্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা, ধরা দিলেন ভক্তদের ক্যামেরায়

    Virushka: উত্তরাখণ্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট-অনুষ্কা, ধরা দিলেন ভক্তদের ক্যামেরায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপ শেষ হতেই খুদে মেয়েকে কোলে নিয়েই উত্তরাখাণ্ডে ছুটি কাটাতে উড়ে গিয়েছেন ক্রিকেটার-অভিনেতা দম্পতি বিরাট- অনুষ্কা (Virushka)। মাঝে কয়েক মাস ব্যস্ত ছিলেন দুজনেই। ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অনুষ্কা, টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বিরাট। এবার পরিবারকে সময় দেওয়ার পালা। দুজনেরই পাহাড় বড় প্রিয়। তাই পাহাড়েই কাটবে ‘মি টাইম’।  

    আরও পড়ুন: লড়াইয়ের অবসান, কাজে দিল না প্রার্থনা, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা 

    এই মুহূর্তে মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অনুষ্কা-বিরাট রয়েছেন নৈনিতালের কাইঞ্চি ধাম। হনুমানের কাছে পুজো দেন তিন জন মিলে। সেখানের ভক্তদের সঙ্গে ফোটোও তুললেন তারকা দম্পতি। সেখানকার বিখ্যাত নিম করোলি বাবা আশ্রমেও গিয়েছিলেন আশীর্বাদ নিতে। একাধিক ছবি তাঁদের ভাইরাল আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

    অন্যান্য সময়ের মত নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই এবারের সফরে। তাই তারকা দম্পতিদের কাছে সহজেই পৌঁছে যেতে পারছেন ভক্তরা। ভক্তদের সঙ্গে হাসি মুখে ছবি তুলছেন বিরুষ্কাও। সকলের সঙ্গে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার সেই ছবি এখন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

    দেখে নিন ছবি 

     


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Modi at Uttarakhand: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    Modi at Uttarakhand: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Centre) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। বছরের পর বছর বঞ্চিত থেকেছে রাজ্য। এজন্য আগের সরকারকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এখন আর তা হচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ এলাকার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রামে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Pm Modi)।

    দু দিনের উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন কেদারনাথে রোপওয়ের শিলান্যাস করেন তিনি। এই প্রকল্প চালু হলে মাত্র ৩০ মিনিটেই গৌরীকুণ্ড থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে কেদারনাথ মন্দিরে। এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানটি হয় মানা গ্রামে। এই অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, উজ্জ্বয়িনী এবং অযোধ্যার প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সাম্প্রতিক বছরে এই তিন ক্ষেত্রেই বড়সড় সংস্কারের কাজ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অথচ বছরের পর বছর এই ক্ষেত্রগুলি উপেক্ষিত হয়ে থেকেছে। তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ নিয়ে অহংকার করতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর ভারত গড়তে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। এই মানা গ্রামটি ভারত-চিন সীমান্ত ঘেঁষা। এদিন কেদারনাথ ছাড়াও হেমকুণ্ড সাহিবেও একটি রোপওয়ে প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    মোদি বলেন, মানা গ্রামকে ভারতের শেষ গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু এখন থেকে সীমান্তের গ্রামগুলি বিবেচিত হবে ভারতের প্রথম গ্রাম হিসেবে। হেমকুণ্ড সাহিবে প্রধানমন্ত্রী যে রোপওয়ের শিলান্যাস করেন, সেটি গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিব পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দুই রোপওয়ের শিলান্যাস করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে রোপওয়ের শিলান্যাস হল, এটা কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে নয়, এই রোপওয়ে চালু হলে রাজ্যের আর্থিক হালও ফিরবে। তিনি বলেন, কেবল রোপওয়ে চালুই নয়, আমাদের সরকার পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে জিনিসপত্র পরিবহণেও কাজ করছে। মোদি বলেন, এই সমস্ত অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ করছে আমাদের সরকার। দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। দিল্লি-দেরাদুন অর্থনৈতিক করিডর রাজ্যের ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ড সফরে গিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথে পুজো করেন। পরে শিলান্যাস করেন রোপওয়ের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    Avalanche: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ তুষারধসে অন্তত দশজনের মৃত্যু হয়েছে। আটকে রয়েছেন তিন বাঙালি পর্বতারোহী। উত্তরাখণ্ডের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিংয়ের (NIM ) তরফে জানানো হয়েছে,মঙ্গলবার নবমীর সকালে উত্তরকাশীতে দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ পর্বত শৃঙ্গে তুষারধসে আটকে পড়েছিল ৪১ সদস্যের একটি পর্বতারোহী দল। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতেই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।  বাকিরা আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। ৩ বাঙালি পর্বতারোহীর নাম হল সৌরভ বিশ্বাস,অমিত কুমার সাউ এবং সন্দীপ সরকার।

    এনআইএম-এর অধ্যক্ষ কর্নেল অমিত বিষ্ট বলেন,  তুষারধসের খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ১০টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। যার মধ্যে ৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করে উত্তরাখণ্ডের তুষার ধস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন দুর্ঘটনায় তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। 

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যেই আইটিবিপি জওয়ানরা রয়েছেন। রাতে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এনডিআরএফ এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তল্লাশি চালাচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি নিজে উদ্ধারকাজের খোঁজ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পুস্কর সিং ধামিকে ফোন করে জানিয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনাকে উদ্ধার কাজে লাগানো হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার চিতা হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বায়ুসেনার কপ্টারে করে আহতদের উদ্ধার করে দেরাদুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Uttarakhand Himachal Travel Tips: হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে রাখুন এই বিষয়গুলো

    Uttarakhand Himachal Travel Tips: হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে যাচ্ছেন? জেনে রাখুন এই বিষয়গুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দুই পাহাড়ি রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখন্ডে। অপরদিকে হিমাচলে প্রায় ৩৬জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এরই মধ্যে যদি আপনারা উত্তরাখন্ড ও হিমাচলে যেতে চান ও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে, তবে তাঁদের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া দরকার।

    আবহাওয়াবিদরা কী বলছেন

    ২২ অগাস্ট আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, ২৫ অগাস্ট হিমাচলের বিভিন্ন জায়গা যেমন চাম্বা, কুল্লু, সোলান, মান্ডি, সিমলায় বৃষ্টি ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এই জায়গাগুলোতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটক ও স্থানীয়দের কোনও নদী ও ব্রিজের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    যাতাযাতের ব্যবস্থা

    হিমাচলের পাঠানকোট থেকে যোগীন্দর পর্যন্ত ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। ধর্মশালার চক্কি নদীর ওপর রেলওয়ে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরাখন্ডের একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাস ও বিমানের তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ, দেখুন সেই পরিস্থিতি

    রাস্তার অবস্থা

    ধসের ফলে হিমাচলের একাধিক জায়গা জুড়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। মান্ডি থেকে বিভিন্ন জায়গার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মান্ডিতে মানালি-চন্ডিগড় হাইওয়ে, কাউটালা হয়ে মান্ডি-কুল্লু রাস্তা এবং সিমলা-কালকা রাস্তার পাশাপাশি সোলান জেলার কান্দাঘাট জাতীয় সড়ক 5-এ বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রায় ৭০০টির মত রাস্তা বন্ধ হিমাচেলে। অন্যদিকে উত্তরাখন্ডে তোটাঘাটিতে ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ হাইওয়ে, নাগনীতে ঋষিকেশ-গঙ্গোত্রী হাইওয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

    পর্যটন ও বিমান কর্তৃপক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে

    কর্তৃপক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপদে ও সাবধানে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।

    এমার্জেন্সি হেল্প লাইন

    জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়): ০২২-২২০২৭৯৯০

    উত্তরাখণ্ড

    উত্তরাখণ্ড রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ

    স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার: ০১৩৫-০৩৩৪, ১০৭০ (টোল-ফ্রি)।

    জেলা জরুরী অপারেশন কেন্দ্র: ১০৭০

    হিমাচল প্রদেশ

    হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ

    স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার: ১০৭০

    জেলা জরুরী অপারেশন রুম: ১০৭৭

    জরুরী পরিষেবা: ১০৮,১১

  • Weather Forecast: প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, মৃত ২৫

    Weather Forecast: প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হিমাচল প্রদেশ-উত্তরাখণ্ড, মৃত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাহাড়ের কোলের দুই রাজ্য। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস (Land Slide) ও বন্যা (Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। ৫০০ টি গ্রাম এবং ৪ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিবেশি রাজ্য উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেরাদুনও মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। শনিবার সকালে মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloud Burst) কারণে তছনছ হয়ে গেছে একটি গ্রাম। দুই রাজ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছে সরকার। ত্রাণ বিলিও শুরু হয়েছে। কাজে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে রূপ নিচ্ছে সাইক্লোনের, আপনার জেলাতেও কি আছড়ে পড়বে ঝড়?     
     
    শনিবার ভোরবেলা উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের রায়পুর-কুমালদা এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। যার ফলে একধিক পাহাড়ি নদীর তীর ভেঙে যায়। বেশ কয়েকটি নদীর জল এতটাই বেড়ে যায় জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেল ব্রিজ বা সাধারণ ব্রিজ। টন নদীর তীরে অবস্থিত বিখ্যাত তাপকেশ্বর শিবমন্দিরের গুহাতেও ঢুকে পড়েছে নদীর জল।    

    স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শনিবার ভোর রাত ২.১৫ মিনিটে প্রবল বৃষ্টি হয়। তাতেই ভেসে গেছে সং নদীর ওপরের একটি সেতু। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে মুসৌরির জনপ্রিয় ঝর্না স্পট কেম্পটি ফলস। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২টিরও বেশি বাড়ি কাদায় চাপা পড়েছে। গ্রামে আটকে থাকাদের উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি হল, মালদেবতা, ভুতসি, তাউলিয়াকাটাল, থাতুদা, লাভারখা, রিঙ্গলগড়, ধুত্তু, রাহদ গাও ও সরখেত।  

    প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক, ঋষিকেশ-গঙ্গোত্রী মহাসড়ক, নরেন্দ্রনগর-রানিপোখরি মোটর রাস্তার বেশ কিছু পয়েন্টে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। 

    প্রতিবেশি রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হয়। তারই কারণে ভূমিধস আর হড়পা বানের কবলে পড়ে এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান প্রশাসনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাংড়া জেলার চাক্কি সেতু। সেতুর তিনটি স্তম্ভ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। চাকি নদীর ওপর এই রেল সেতুটি এই এলাকার অন্যতম মূল যোগাযোগ ব্যবস্থা।      

    ধর্মশালায় মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে মাণ্ডি জেলায় বন্যা দেখা যায়। বহু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভেসে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি হয়েছে কাংড়া, কুলু জেলাতেও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। তবে এখনই শেষ হচ্ছে না বৃষ্টির ভয়ঙ্করতা। হিমাচলে আরও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। নদীর তীরবর্তী এলাকা খালি করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।  

     

  • Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করা। যেমনটা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উধম সিং নগর জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলবে।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের তখতে ফিরেছেন পুষ্কর সিং ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে কোমর বেঁধে নামেন তিনি। কুর্সিতে বসেই ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তখনই ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। এবং এই আইন রাজ্যে কার্যকর করা হবে। এটিই প্রথম রাজ্য যেখানে এই আইন কার্যকর করা হবে। উধম সিং নগর জেলার এদিনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যে খুব শীঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই আইন কার্যকর করা উচিত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডবাসীর সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান ধামি। 

    আরও পড়ুন : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    গত কয়েক দশক ধরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-ই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। প্রশ্ন হল, কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং দত্তকের ক্ষেত্রে দেশের সকল নাগরিককে একই আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ‘সংবিধান-বিরোধী!’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পথে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারও হাঁটতে চলেছে, কিছুদিন আগে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যোগী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাওয়া ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগ সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।

     

  • Liquid-Mirror Telescope: এশিয়ার বৃহত্তম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ স্থাপন করা হল ভারতে

    Liquid-Mirror Telescope: এশিয়ার বৃহত্তম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ স্থাপন করা হল ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) দেবাস্থল অবজ়ারভেটরিতে (Devasthal observatory) ভারতের প্রথম লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope) স্থাপন করা হল। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি (ILMT) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২,৪৫০ মিটার উচ্চতায় হিমালয়ের কোলে স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু যেমন— গ্রহাণু, মহাকাশে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ (space debris), সুপারনোভা (supernova) খুব সহজেই ও স্পষ্টভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এটি স্থাপন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    কী এই লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপ (liquid-mirror telescope)?

    ভারত, বেলজিয়াম, কানাডার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই টেলিস্কোপটি তৈরি করেছেন। এটি ৪ মিটার ব্যাসের কাচের ওপর তরল পারদের পাতলা আস্তরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজ়ারভেশনাল সায়েন্সেস (ARIES)-এর মালিকানাধীন দেবাস্থল অবজারভেটরি ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয়েছে এটি। মাল্টি লেন্সের দ্বারাই আলো প্রতিফলিত হতে পারে ও এর ফলেই স্বচ্ছ ছবি পাওয়া যায়। বড় আকৃতির ইলেকট্রনিক ক্যামেরাটি টেলিস্কোপের ফোকাসে স্থাপন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি সহ দেবস্থলে মোট তিনটি টেলিস্কোপ রয়েছে। এই বছরের অক্টোবর মাস থেকেই এই টেলিস্কোপটি ব্যবহার করা শুরু হবে।

    কারা এটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে?

    বেলজিয়াম, ভারত, কানাডা, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান এই দেশগুলি ইন্টারন্যাশনাল লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটি  স্থাপনে সাহায্য করেছে। বেলজিয়ামের ‘অ্যাডভান্সড মেকানিক্যাল এন্ড অপটিক্যাল সিস্টেম কর্পোরেশন’ (The Advanced Mechanical and Optical Systems Corporation)  টেলিস্কোপটি তৈরিতে সাহায্য করেছে। ভারত এটিকে চালনা করবে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপটির ব্যবহার কী?

    এই টেলিস্কোপটি আকাশের স্ক্যান করতে, বিভিন্ন নক্ষত্রপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা হবে। তাছাড়াও মহাকাশ থেকে ছিটকে পড়া বিভিন্ন ধূমকেতুর দিকে নজর রাখতেও ব্যবহার করা হবে।

    সাধারণ টেলিস্কোপ থেকে এটির কী পার্থক্য?

    সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের শুধুমাত্র একটি মহাজাগতিক বস্তুকেই পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু লিকুইড-মিরর টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশের অনেকটা জায়গা জুড়ে পর্যবেক্ষণ করা যায়। মহাকাশের একটি জায়গার সমস্ত তারা, নক্ষত্রপুঞ্জ, ধূমকেতু ও বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নজর রাখা যায়।

  • 2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    2 jawans missing: চিন সীমান্তের কাছে নিখোঁজ দুই ভারতীয় জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’সপ্তাহ পরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না দুই ভারতীয় জওয়ানের (Indian Soldier)। চিন (Chin) সীমান্তের কাছে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন হরেন্দ্র নেগি ও প্রকাশ সিং রানা নামের দুই জওয়ান। উত্তরাখণ্ডের ৭ম গাড়োয়াল রাইফেলসের ওই দুই জওয়ান গত ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর,কোনও স্পষ্ট প্রমাণ না মিললেও মনে করা হচ্ছে অরুণাচলের অঞ্জ জেলার কাজব উপত্যকায় নদীতে পড়ে যান ওই দু’জন। অনুমান, প্রকাশ কোনওভাবে পা পিছলে নদীতে পড়ে গিয়েছিল। হরেন্দ্র তাঁর বন্ধুকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তিনও ভেসে যান। দুজনেই উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার উখিমঠের বাসিন্দা। 

    প্রকাশ সিং রানার স্ত্রী মমতা রানা জানান, সেনা কর্মকর্তারা ২৯ মে তাঁকে প্রথম ফোন করে জানায় যে তাঁর স্বামী ২৮ মে থেকে নিখোঁজ। দ্বিতীয় ফোনটি  আসে ১১ জুন। সেনার তরফে জানানো হয়, প্রকাশ ও তাঁর বন্ধু হরেন্দ্র দুজনেই নদীতে ডুবে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবু আশায় বুক বেঁধে আছেন মমতা এবং তাঁর দুই সন্তান অনুজ (১০)এবং অনামিকা (৭)। প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করেই চলেছেন তাঁরা।

    এদিকে হরেন্দ্র নেগির স্ত্রী পুনম নেগির বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তাঁর স্বামী এবং সহকর্মী নদীর কাছে গিয়েছিলেন অথচ কেউ জানত না। হরেন্দ্রর বিয়ে হয়েছে সবে তিন বছর, এক বছরের একটি সন্তান আছে তাঁদের। 

    গত ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ চিন-অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে মোতায়েন থাকা দুই জওয়ান। সেনা সূত্রে খবর, তাঁদের খোঁজ চলছে। আকাশপথে খোঁজ করা হচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কুকুরকেও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট জানান, নিখোঁজ সেনাদের অনুসন্ধানে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত,চলতি বছরের শুরুতেই অরুণাচল প্রদেশের এক কিশোর নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।  এক সপ্তাহ পর জানা যায়, চিনের সেনারা তাকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল। পরে দুই দেশের সেনা ও কুটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে ওই কিশোরকে ভারতে ফেরত আনা হয়। এই জওয়ানদের সঙ্গেও এরকম কিছু ঘটেছে কি না তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।

LinkedIn
Share