Tag: Vaishno Devi

Vaishno Devi

  • Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    Heavy Rains in Himachal-Jammu: শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম, মানালিতে বিয়াস! প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব-হিমাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর। শ্রীনগরে ফুঁসছে ঝিলম নদী। জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মঙ্গলবারের ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের (Heavy Rains in Himachal-Jammu) জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (SDMA) তথ্য অনুসারে, এখনও পর্যন্ত উত্তর ভারতের ২ রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৩৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুগুলির মধ্যে, বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনা যেমন- ভূমিধস, হড়পা বান, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ডুবে যাওয়া, বজ্রপাত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া এবং অন্যান্য আবহাওয়াজনিত কারণে হয়েছে। শুধু প্রাণহানিই নয়, বহু টাকার সম্পত্তিও নষ্ট হয়েছে। বৃষ্টিতে ভাসছে পাঞ্জাবও। দিল্লি-কাটরা বন্দেভারত-সহ ১৮টি ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

    বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ, ২৪ জনের দেহ শনাক্ত

    দুর্যোগে জম্ম-কাশমীরে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই পুণ্যার্থী। বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার জম্মুর রেইসি জেলায় অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। ওই ধসের জেরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জম্মুর ডোডা জেলায় বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৈষ্ণোদেবীর পথে ধসে নিহতদের দেহ কাটরা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে জম্মুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য বৈষ্ণোদেবী যাত্রা বন্ধ রয়েছে।

    নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তা

    ধস নেমে পূণ্যার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বুধবার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে মোদি লেখেন, ‘বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করুক। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে সহায়তা করছে। সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করি।’ কাটরার এক হাসপাতালে ১৩ জন আহত পুণ্যার্থী ভর্তি রয়েছেন। বুধবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিং। আহতদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। তাঁদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারপিছু ৯ লক্ষ আর্থিক সহায়তারও ঘোষণা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

    জম্মুতে রেকর্ড বৃষ্টি

    জম্মুতে গত ১১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। আধিকারিক সূত্রে খবর, জম্মুতে মঙ্গলবার ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১৯১০ সালে জম্মুতে বৃষ্টিপাত পরিমাপের ব্যবস্থা শুরু হয়। তার পর থেকে সেখানে ২৪ ঘণ্টায় এত বৃষ্টি দেখা যায়নি। এর আগে ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৭০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল জম্মুতে। জম্মুতে তাওয়ি নদীর উপর এক সেতু হড়পা বানে ভেঙে গিয়েছে। শ্রীনগরে ঝিলম নদী প্রায় কানায় কানায় ভরে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে ২০১৪ সালের বন্যার কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করছে শ্রীনগরের প্রশাসনও।

    উদ্ধারে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী

    হড়পা বান এবং ভূমিধসের কারণে জম্মু-পাঠানকোট, জম্মু-শ্রীনগর এবং বাতোতে-ডোডা-কিশ্তওয়ার সংযোগকারী জাতীয় সড়কেও কিছু কিছু অংশে যান চলাচলও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। গত তিন দিনের ভারী বর্ষণের জেরে জম্মুর বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা এবং উদ্ধার অভিযানে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল, পুলিশ এবং সেনা। আটকে পড়া মানুষদের নৌকায় করে উদ্ধার করা হচ্ছে। জম্মুর বিভিন্ন নীচু এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাশ্মীরের সব স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    হিমাচলে হাহাকার

    এ বছর দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে রাজ্যে। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াসে। চরম বৃষ্টির জেরে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভেসে গিয়েছে। হাইওয়ে সব গিলে খেয়েছে নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। কোথাও ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। কোথাও দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে পাহাড়। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, সে রাজ্যের প্রায় ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৫২৪টি ট্রান্সফরমার এবং ১৪৫টি জল সরবরাহের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও, ভূমিধসের কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

    চলবে বৃষ্টি

    উত্তর ভারতে বৃষ্টির জেরে নানা ভাবে চলতি বছরে ৩৬৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুর্যোগে সরকারি সম্পত্তির মোট আনুমানিক ক্ষতি ২.৪৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, ৩২৪টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৩৯৬টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার দোকান, গোয়ালঘর এবং অন্যান্য কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রিপোর্টে ১,৮৪৬টিরও বেশি গবাদি পশু এবং ২৫,৭৫৫টি হাঁস-মুরগির ক্ষতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী দুই তিন দিন মানালি ছাড়াও আবহাওয়া দফতর কাংরা উপত্যকা, চাম্বা ও লাহুল-স্পিতি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুলু ও শিমলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের অন্য প্রান্তে জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা।

  • Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    Landslide in Vaishno Devi: বৈষ্ণদেবী মন্দিরে পথে ধসে মৃত অন্তত ৩১, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভয়াবহ ভূমিধস। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা ধসে গিয়ে বিপর্যয়। কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত ২৩। তবে এখনও ধসের কবলে অনেকে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথ নয়, ভারী বৃষ্টির জেরে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। রাস্তাঘাট বন্ধ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। বুধবার সকালেও বৃষ্টি চলছে। হিমাচল প্রদেশেরও সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। মেঘ-বাঙা বৃষ্টিতে কুলুতে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি।

    বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে অর্ধকুঁয়ারীতে ভূমিধস

    গত তিন দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরে বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে কোথাও কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার ধস নেমেছে। জম্মুর পরিস্থিতি বেশি খারাপ। ভেঙে পড়েছে সেতু। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, ক্ষতিগ্রস্ত মোবাইল টাওয়ারগুলি। রিয়াসির এসএসপি পরমবীর সিং জানিয়েছেন, বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের (Landslide in Vaishno Devi) কাছে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সেই ধসের নীচে চাপা পড়ে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে সমানতালে। বিভিন্ন সংস্থা সেই উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। মঙ্গলবার দুপুরে অর্ধকুঁয়ারীতে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের কাছে ধস নামে। আতঙ্ক দেখা দেয় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। ধসের পর পরই বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটির সদস্যেরা, নিরাপত্তাবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। যাত্রাপথে থাকা অন্য পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখনও ওই যাত্রাপথে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তার খোঁজ চলছে।

    সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হল

    মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অস্থায়ী ত্রাণশিবিরে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও করা হচ্ছে ক্যাম্পে। তবে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘অবিরাম বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বার বার বাধা পাচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সকলকে যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

    সহযোগিতার আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-র

    অগাস্টের মাঝামাঝি মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বান হয়েছিল কিস্তওয়ারে। তারপর কাঠুয়ায়ও মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছিল। ২ জায়গাতেই প্রাণ গিয়েছিল অনেকের। এবার ভারী বৃষ্টির জেরে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের যাত্রাপথে ধস নামে। ধসে মৃত্যুর ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। ধস নামার পরই উদ্ধারকাজে নামে এনডিআরএফ (NDRF) এবং সিআরপিএফ (CRPF)। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। আহতদের চিকিৎসায় সবরকম ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    উপত্যকায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস 

    পরিস্থিতি এখনই বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আপাতত আরও দু’তিন দিন জম্মু-কাশ্মীরের আবহাওয়া এমনই থাকবে। আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোনও কোনও জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাটরা, জম্মু, সাম্বা, রিয়াসি, উধমপুর, ডোডা এবং কিশতোয়ার জেলায় ভূমিধস এবং হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। পাহাড় ও নিচু এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের (KU) সব পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত তারিখ পরে জানানো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ব্যাহত জম্মুর ট্রেন চলাচলও। জম্মু শহরে একদিনেরও কম সময়ে ২৫০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । জম্মু ও কাটরা রেলওয়ে রুটে ২২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ব্যাপক সমস্যায় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা। একদিকে ধসে বন্ধ রাস্তা অন্যদিকে বাতিল ট্রেনও।

    হিমাচল প্রদেশেও দুর্যোগ অব্যাহত

    সবুজ পাহাড়ে ঘেরা উত্তর ভারতের রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ। বছরভর যেখানে লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান। সেই হিমাচল প্রদেশ চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টির জেরে ‘মৃত্যু উপত্যকা’য় পরিণত হয়েছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক অঞ্চল। কোথাও ধস, কোথাও হড়পা বান, কোথাও আবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াস নদীতে। কুলুতে মঙ্গলবার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাড়ি-গাড়ি। চলতি সপ্তাহেও হিমাচল প্রদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, আজ বিলাসপুর, সোলান, হামিরপুরে সমস্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ রয়েছে। দুটি জাতীয় সড়ক সহ মোট ৪৮৪ টি সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ২৪৫টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। কুলুতে বন্ধ ১০২টি রাস্তা।

  • Vaishno Devi: ৬ ঘণ্টার পথ মাত্র ৬ মিনিটে! বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে

    Vaishno Devi: ৬ ঘণ্টার পথ মাত্র ৬ মিনিটে! বৈষ্ণো দেবী মন্দিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈষ্ণো দেবী (Vaishno Devi) মন্দিরে যাওয়ার জন্য বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে দেবীর দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা। আর তার জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হচ্ছে রোপওয়ে (Ropeway)। মূলত কাটরা শহর থেকে সাঞ্জিছটকে সংযোগ করা হবে এই রোপওয়ের মাধ্যমে।  

    কবে চালু হবে রোপওয়ে? (Vaishno Devi)

    বৈষ্ণো দেবী (Vaishno Devi) বোর্ডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রোপওয়ে চালু হয়ে যাবে। বোর্ডের সিইও আনশুল গর্গ বলেন, রোপওয়ে একটি নিরাপদ, দ্রুত এবং আরও সুবিধাজনক পরিবহণ। ৬-৭ ঘণ্টা সময় বাঁচিয়ে দেবে। এটি তীর্থযাত্রীদের মাত্র ছয় মিনিটে কঠিন যাত্রাপথ সম্পূর্ণ করতে সক্ষম করবে। একবার চালু হলে এই সুবিধাটি প্রতিদিন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী পাবেন। ফলে, এতদিনের ঐতিহ্যবাহী ট্রেকিং রুটে যানজট কমিয়ে সবার জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। কাটরা থেকে সাঞ্জিছট পর্যন্ত রোপওয়ে করে ভক্তরা যেতে পারবেন। তারপরে মন্দিরে যেতে হাঁটা পথে ৩০-৪৫ মিনিট লাগবে। এটি প্রতি ঘন্টায় ১ হাজার যাত্রী পরিবহণে সক্ষম। রোপওয়ে প্রকল্পটি গুরগাঁও-ভিত্তিক জিআর ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দ্বারা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে কাজ করবে। জানা গিয়েছে, এই বছরের শুরুর দিকে বোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার পর কোম্পানিটি গত মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গ চলছে কিং জং উনের শাসনের মতো’’, বেলডাঙাকাণ্ডে মমতাকে আক্রমণ গিরিরাজের

    তীর্থযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা

    এই বছর ৮৬ লক্ষেরও বেশি ভক্ত ইতিমধ্যে পবিত্র মন্দির (Vaishno Devi) পরিদর্শন করেছেন। সেই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই তুলনায় গত বছর ৯৫ লক্ষের বেশি পুণ্যার্থী এসেছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে, বোর্ড তীর্থযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। যেমন মাতা বৈষ্ণো দেবী ভবনে একটি স্কাইওয়াক, উন্নত রান্নাঘর এবং রেলওয়ে নিবন্ধন কেন্দ্র। উপরন্তু, কাটরাতে একটি আধুনিক কল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তা দিয়ে সারা ভারত এবং বিদেশে তীর্থযাত্রীদের থেকে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার কল নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    Vaishno Devi: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে প্রাণ হারালেন ১০ পুণ্যার্থী৷ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। মঙ্গলবার সকালে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে ঠাসা বাস সেতু থেকে খাদে পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাসে অন্তত ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন। অমৃতসর থেকে কাটরার উদ্দেশে যাচ্ছিল সেই বাসটি। ঝাজ্জর কোটলি গ্রামের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। বাসের মধ্যে পুণ্যার্থীরা বেশিরভাগই বিহারের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় যাত্রীদের জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাসে অনেক মহিলা এবং শিশুও ছিল। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে দুর্ঘটনা

    জম্মু পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট চন্দন কোহলি জানিয়েছেন, ‘‘দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৫৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন স্থানীয় মানুষও।’’ বাসটিতে অত্যন্ত ভিড় ছিল বলেও জানান তিনি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, অত্যধিক ভিড়ে চালক বাসটির নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি, এটাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?

    রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে রাজস্থানের (Rajasthan) ঝুনঝুনু জেলায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত মনসা মাতা মন্দির থেকে ফেরার পথে খাদে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি ট্রাক্টর ট্রলি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের। যার মধ্যে ৬ মহিলা ও ২ শিশু। এছাড়া গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২৬ জন। সোমবার রাতে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল (PMNRF) থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Katra Theme Park: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে কাটরা থিম পার্ক

    Katra Theme Park: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে কাটরা থিম পার্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ করে রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কাছে তৈরি হচ্ছে পুরাণ কেন্দ্রিক একটি থিম পার্ক। পর্যটন মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীরের  আরও একটি দিক তুলে ধরবে কাটরা থিম পার্ক এমনটাই দাবি প্রশাসনের। 

    ওই পার্ক তৈরির জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ওই পার্ক তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে এমন সংস্থার খোঁজ চলছে। ডিজনির ধাঁচে ওই পার্ক তৈরি করা হবে। এখানে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি প্রশাসনের। শিক্ষা এবং বিনোদনের মিশেলে তৈরি হবে এই পার্ক।

    পর্যটন শিল্প কাশ্মীরের অর্থনৈতিক ভিত্তি। এখানকার পর্যটন শিল্পের কর্তারাও দাবি করেন, সীমান্ত সমস্যা নানা সংশয় জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝেই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবুও দেশের পর্যটন মানচিত্রে বরাবরই উজ্জ্বল বিন্দু জম্মু-কাশ্মীর। এখানকার কাটরায় একটি প্রাচীন গুহার ভেতরে অবস্থিত প্রাচীন বৈষ্ণোদেবী মন্দির। বহু দূর থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। মনে করা হয় মাতা বৈষ্ণো দেবীর কাছে একবার কোনও জিনিস চাইলে মা সবসময় তাঁর ভক্তদের মনের ইচ্ছা পূর্ণ করেন। যে ভক্তরা এখানে মন্দির দর্শন করতে আসবেন, তাঁদের কাছে এই থিম পার্ক আরেকটি আকর্ষণ হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। আশা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পার্ক সেখানকার অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রও হতে পারে। 

LinkedIn
Share