Tag: vhp

vhp

  • Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    Ram Navami: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আপত্তি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। রামনবমীর (Ram Navami) দিন শর্তসাপেক্ষে হুগলির শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি দিল আদালত (Calcutta High Court)। লোকসভা ভোটের আগে শান্তি বজায় রাখতে মিছিলে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শুক্রবার রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে মিছিল করার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। অশান্তি এড়াতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে মিছিল করতে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। 

    কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট

    শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানিয়ে দেয়, শ্রীরামপুরে জিটি রোডের উপর দিয়ে ৭০০ মিটার এলাকা দিয়ে রামনবমীতে (Ram Navami) মিছিল করা যাবে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ১৩টি মিছিলে ২০০ জন করে সর্বাধিক থাকতে পারবেন। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোকসংখ্যা কম করার নির্দেশ দিলেও রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। আদালত মনে করে, হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার মতো দক্ষতা পুলিশের আছে। রাজ্য প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সহায়তা নিতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়া সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মিছিলে হিংসাও হয়। যার তদন্ত করছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি

    একই সঙ্গে ১৪ এপ্রিল বাসন্তী পুজো উপলক্ষে শোভযাত্রা করার জন্য ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রতি বছর মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাসন্তী পুজো উপলক্ষে মিছিল বার করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। গোলমালের আশঙ্কায় এবার তার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সঙ্ঘ। তাদের মিছিলেরও অনুমতি দিয়ে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত বিশ বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটবে। সেখানে মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তিযুক্ত?’’ বিচারপতি সেনগুপ্তর বেঞ্চ বলে, ‘‘অশান্তি আশঙ্কা রয়েছে এই যুক্তিতে আমরা কি প্রতিদিনের কাজকর্ম বন্ধ করে বসে থাকব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Katchatheevu Island: শুধু কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, দেশের অখন্ডতাকেও ভেঙেছে কংগ্রেস, অভিযোগ ভিএইচপির

    Katchatheevu Island: শুধু কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, দেশের অখন্ডতাকেও ভেঙেছে কংগ্রেস, অভিযোগ ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কচ্ছতিভু দ্বীপ (Katchatheevu Island) নিয়ে বিতর্ক চলছেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ নিয়ে অভিযোগ করেন, ৫০ বছর আগে এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কাকে দান করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এই দ্বীপ ইস্যুতে প্রথমে কংগ্রেস তারপর দক্ষিণ ভারতের দল ডিএমকেকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতিকেই সিলমোহর দিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) জানিয়েছে, শুধুমাত্র কচ্ছতিভু দ্বীপ নয়, সমগ্র ভারতবর্ষের অখন্ডতাকেও টুকরো টুকরো করেছে কংগ্রেস।

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আবেদন 

    বৃহস্পতিবার, নিজেদের বিবৃতিতে (Katchatheevu Island) বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সুরেন্দ্র জৈন ব্যাখা করেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশপ্রেমী এবং জাতীয়তাবাদী মানুষেরা সেই সরকারকে নির্বাচিত করবেন কেন্দ্রে, যারা অসংসদীয়ভাবে অন্য রাষ্ট্রকে দান করা দ্বীপ উদ্ধার করতে পারবে। তার পাশাপাশি,  ভারতবর্ষের যে সমস্ত ভূখণ্ড, জলসীমা এবং আকাশ সীমা আগ্রাসনকারীদের দখলে রয়েছে, সেগুলিকেও উদ্ধার করার ক্ষমতা যাদের রয়েছে। তাদেরই নির্বাচিত করবেন দেশের মানুষ। নিজেদের একটি বিবৃতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আরও জানিয়েছে, ঐতিহাসিকগতভাবে কচ্ছতিভু দ্বীপ সর্বদাই অখন্ড ভারতের অংশ। ইন্দিরা গান্ধীর সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা অসংসদীয়। যা ভারতের সার্বভৌমত্বের ওপরে আঘাত করেছে। ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থার প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর সিদ্ধান্ত।

    বেরুবারি মামলার রায় মানেনি ইন্দিরা সরকার 

    ৫০ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের (Katchatheevu Island) নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, ১৯৭৪ সালের ২৬ জুন ইন্দিরা গান্ধী সরকার কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত এই কচ্ছতিভু দ্বীপকে শ্রীলঙ্কাকে প্রদান করে। এটি অসংসদীয়। কারণ ১৯৬০ সালের বেরুবারি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যদি অন্য কোনও দেশকে ভারতের কোন ভূখণ্ড দিতেই হয়, তাহলে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের সংসদ এবং ভারতের সংসদের সম্মতি প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, এই সম্মতি হতে হবে সংশ্লিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী মানুষদের মতামতের ওপরে ভিত্তি করেই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগ, এর কোনওটাই মানেনি ইন্দিরা গান্ধীর সরকার।

    পাকিস্তান ও চিন দখল করেছে ভারতের ভূখণ্ড

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Katchatheevu Island) আরও অভিযোগ, কংগ্রেস জমানায় কাশ্মীরের ৪২ হাজার ৭৩৫ বর্গ কিলোমিটার জায়গা চিন দখল করেছে। ৩৪,৬৩৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা পাকিস্তান দখল করেছে বলেও অভিযোগ আনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই দখল স্বাধীনতার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পন্ন করেছে তারা। কংগ্রেস নেতৃত্বকে তারা প্রশ্নও ছুড়েছে, কেন দেশের প্রতি এত অবহেলা তাদের!

    কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে মোদির ট্যুইট

    সম্প্রতি কচ্ছতিভু দ্বীপ সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে মোদি লেখেন, ‘‘কচ্ছতিভু দ্বীপ নিয়ে আরটিআই রিপোর্ট খুবই চমকপ্রদ। এই রিপোর্ট আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। এখান থেকে পরিষ্কার, কংগ্রেস কেমন নিষ্ঠুর ভাবে ওই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ৫৫টি দেশের একশোর বেশি শীর্ষ আধিকারিক হাজির থাকবেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনে

    Ram Mandir: ৫৫টি দেশের একশোর বেশি শীর্ষ আধিকারিক হাজির থাকবেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৫টি দেশের প্রায় একশোর উপর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক হাজির থাকবেন রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এঁদের মধ্যে যেমন রাষ্ট্রদূতরাও রয়েছেন, তেমন বিদেশের সাংসদরাও আছেন। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি আন্তর্জাতিক স্তরের অনুষ্ঠান হতে চলেছে, এমনটাই মত ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্বামী বিজ্ঞয়ানন্দের। তিনি আরও জানিয়েছেন যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কোরিয়ার রানিকেও, যিনি প্রভু শ্রী রামের বংশধর বলে নিজেকে দাবি করেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হাজির থাকবেন কোরিয়ার রানি।

    কোন কোন দেশ থেকে অতিথিরা আমন্ত্রিত?

    জানা গিয়েছে, নিম্নলিখিত দেশগুলি থেকে অতিথিরা আমন্ত্রিত রয়েছেন রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই দেশগুলি হল- আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলারুশ, কানাডা, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ডোমিনেশিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ঘানা, হংকং, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মায়ানমার, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, উগান্ডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া ইত্যাদি।

    ২০-২১ জানুয়ারির মধ্যে হাজির হবেন বিদেশি অতিথিরা 

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদেরও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন বিজ্ঞয়ানন্দ, যিনি আন্তর্জাতিক স্তরে রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ভিভিআইপি বিদেশি অতিথিরা ২০ এবং ২১ জানুয়ারির মধ্যে লক্ষ্ণৌ বিমানবন্দরে নামবেন এবং তাঁরা অযোধ্যা পৌঁছাবেন। শীতকালের কুয়াশার কারণে বিমান চলাচলের সমস্যা হতে পারে, তাই অতিথিদের আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, স্বামী বিজ্ঞয়ানন্দ আগেই জানিয়েছিলেন যে বড় সংখ্যার অতিথিদের আমন্ত্রণ (Ram Mandir) জানানো যায়নি, তার কারণ অযোধ্যা ছোট শহর। তাই সে কারণেই কাটছাঁট করেই তৈরি করতে হয়েছে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা।

    চলছে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি

    অন্যদিকে মন্দির উদ্বোধনের শেষ লগ্নের প্রস্তুতি চলছে। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট (Ram Mandir) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২২ জানুয়ারি সমস্ত বৈদিক আচার অনুষ্ঠান মেনেই প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাচ্ছে যা চলবে এক সপ্তাহ ধরে। গত দুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দির উদ্বোধনের ১১ দিন আগে তাঁর বিশেষ ব্রতের কথাও ঘোষণা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Thailand’s Ayutthaya: তাইল্যান্ডের আয়ুথায় যেন ভারতের অযোধ্যা, দুই নগরের সেতুবন্ধনে রামচন্দ্র

    Thailand’s Ayutthaya: তাইল্যান্ডের আয়ুথায় যেন ভারতের অযোধ্যা, দুই নগরের সেতুবন্ধনে রামচন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যা ও আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) দুই শহর। একটি অবস্থিত ভারতে এবং অপরটি তাইল্যান্ডে। এই দুটি স্থানের মধ্যে ভৌগলিক দূরত্ব অনেকটাই কিন্তু দুই শহরকে জুড়েছে আধ্যাত্মিকতা এবং ধর্ম বিশ্বাস। ভারতের রাম জন্মভূমির প্রতিধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিদেশি শহর আয়ুথায়তে। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সাজসাজো রব চলছে অযোধ্যায়। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। অন্যদিকে তাইল্যান্ডের আয়ুথায়তেও চলছে সেই মুহূর্তের উদযাপনের প্রস্তুতি।

    আয়ুথায় থেকে মাটি ও জল এসেছে অযোধ্যায় 

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে ইতিমধ্যে আয়ুথায় থেকে মাটি ও জল আনা হয়েছে। তাইল্যান্ডের ৩ নদীর জল এসেছে রাম মন্দিরের নির্মাণে। এই নদীগুলি হল চাও ফ্রায়া, লোপ বুড়ি, এবং পা সাক। নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীন শহর আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) ব্যাংকক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং তা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমাও পেয়েছে, শহরে গৌরবময় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জন্য।

    কী বলছেন হিন্দু সংগঠনগুলির নেতৃত্ব

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ব্যাংকক শাখার সদস্যরা বলছেন, আয়ুথায়তে (Thailand’s Ayutthaya) অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দিরগুলিতে বড় স্ক্রিন লাগানো হবে ২২ জানুয়ারি এবং সরাসরি সম্প্রচারিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন মাটির প্রদীপ সেখানে জ্বালানো হবে সন্ধ্যা বেলায়। রামায়ণ পাঠ এবং তার সঙ্গে রাম ভজনও চলবে দিনভর। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলছেন, “আয়ুথায় হল তাইল্যান্ডের অযোধ্যা। আমরা সেখান থেকে পবিত্র মাটি এবং জল পেয়েছি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের জন্য।” স্বামী বিজ্ঞয়ানন্দ হলেন ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “অযোধ্যার নামকরণ থেকেই আয়ুথায় নামটি এসেছে। ভগবান রামের জন্মস্থান এবং হিন্দু ধর্মের সঙ্গে সম্পর্ক বোঝাতেই এমন নামকরণ আয়ুথায়।” তিনি আরও জানান, রাজা রামাথিবোদি ছিলেন আয়ুথায়ের প্রথম শাসক। তিনিই এই শহরের নামকরণ করেন। এবং এই নামকরণেই বোঝা যায় যে রামায়ণের প্রভাব ঠিক কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাঁর পরবর্তী চক্র রাজ বংশের রাজারাও রামকে গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, আয়ুথায়ের রামায়ণ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা প্রচার করেছিলেন। তাইল্যান্ডের স্থানীয় ভাষায় যার নাম হয়েছিল রামাকিয়েন। ফ্রা নাখোন সি  হল আয়ুথায়ের সরকারি নাম। এই শহর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দে এবং এটি ছিল সিয়ামিজ রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী।

    ১৭৬৭ সালে বর্মা সেনার আক্রমণে ধ্বংস হয় আয়ুথায় 

    সিয়ামিজ বংশের রাজা কিং ইউথং তিনি পরবর্তীকালের জনপ্রিয় হয়েছিলেন রামাথিবোদি নামে।  জানা যায়, ১৪ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে খুবই  দ্রুত বেড়ে উঠেছিল এই শহর এবং পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম নগর হয়ে উঠেছিল। জানা যায়, ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে বর্মা সেনা আক্রমণ করে এই শহর এবং লুটপাট চালায় প্রচুর। এখানকার বাসিন্দারা শহর ছাড়তে বাধ্য হন। কার্যত বর্মার সেনারা এই শহরকে জ্বালিয়ে দেয়। পরবর্তীকালে তা নতুনভাবে আর গড়ে ওঠেনি সেই একই স্থানে এবং এটি একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইট হিসেবেই থেকে গিয়েছে। আয়ুথায় (Thailand’s Ayutthaya) এখন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্কিওলজিক্যাল ধ্বংসাবশেষ হিসেবে থেকে গিয়েছে।

    তাইল্যান্ডের রামায়ণ হল রামাকিয়েন

    সংস্কৃতের পণ্ডিত পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত সত্যব্রত শাস্ত্রী তাই ভাষায় রামাকিয়েনকে সংস্কৃততে অনুবাদ করেন। রামাকিয়েন বাল্মিকী রচিত রামায়ণকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠেনি অথবা অন্য কোনও ভারতীয় রামায়ণকে অনুসরণও এখানে করা হয়নি। তাইল্যান্ডের (Thailand’s Ayutthaya) অন্যতম অধ্যাপক সুরেশ পাল গিরি বলেন, “বর্মার সৈন্যরা যখন এই শহরকে ধ্বংস করেছিল, তখন একজন নতুন রাজার উত্থান হয়েছিল।” তিনি নিজেকে প্রথম রাম বলে অভিহিত করেছেন। ওই রাজা একটি শহরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা বর্তমানে ব্যাংকক নামে পরিচিত। তিনি রামাকিয়েন লেখেন যা কিনা স্থানীয় ভাষায় রামায়ণ বলেই পরিচিত। এই রামায়ণ বর্তমানে সে দেশের জাতীয় মহাকাব্য হিসেবে উঠে এসেছে এবং বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতেও রামাকিয়ানের বিভিন্ন বাণী নজরে পড়ে। জানা যায়, ওই রাজা একজন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন তবুও তিনি ভগবান রামের আরাধনা করতেন।

    হিন্দু সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তাইল্যান্ড

    তাইল্যান্ডে এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক শুধুমাত্র রামচন্দ্র বা অযোধ্যাকেন্দ্রিক নয়। এর প্রতিফলন বিভিন্ন উৎসবেও মেলে। যেমন ভারতের দীপাবলি তাইল্যান্ডে পালিত হয় লয় কার্থং নামে। তাইল্যান্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দেখা মেলে শিব, পার্বতী, গণেশ, ইন্দ্র এই সমস্ত মূর্তির। হিন্দু সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্র বলা চলে এই দেশকে। ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরের দেওয়ালে নজরে পড়ে সমুদ্র মন্থনের বিভিন্ন দৃশ্য যা বিষ্ণু পুরাণ থেকে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আয়ুথায় ছাড়াও তাইল্যান্ডের প্রায় প্রত্যেক মন্দিরেই ২২ জানুয়ারি মহাসমারোহে পালন করা হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন উৎসব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গর্ভগৃহে কৃষ্ণশিলায় নির্মিত রামলালার মূর্তি বসানোর ছবি সমানে এল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২৮ মিনিটের মাহেন্দ্রক্ষণে মন্দিরে বাসনো হয় এই মূর্তি। গর্ভগৃহের এই মূল বেদিতেই বিরাজমান থাকবেন প্রভু রাম। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই ছবি প্রকাশিত হতেই রামভক্তদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    শোভাযাত্রা করে বসানো হল মূর্তি (Ayodhya Ram Temple)

    বুধবার সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা করে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) নিয়ে আসা হয়েছিল রামলালার মূর্তি। এরপর বৃহস্পতিবার দুপরে শিশু সুলভ সরল বালক রূপী রামের ৫১ ইঞ্চির মূর্তিটি ‘শুভ মুহূর্তে’ গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর, বৈদিক মতে মূর্তিটির বিশেষ পুজো করেন ব্রাহ্মণ এবং আচার্যরা। ওই পুজোতে অংশ গ্রহণ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ট্রাস্টের সদস্যরা। পবিত্র বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে এদিন মূর্তির পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তার পর রামলালার সেই প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা ছবিটি প্রথম প্রকাশ্যে তুলে ধরেন। তবে মূর্তির মূখমণ্ডল হলুদ কাপড়ের আবরণে আবৃত। গায়ে ছিল সাদা চাদর। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এই মূর্তি উন্মোচিত হবে।

    ভোটের মাধ্যমে মূর্তি নির্বাচিত হয়

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টদের সদস্যরা ভোটদানের মাধ্যমে এই মূর্তিকে মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গর্ভগৃহের জন্য নির্বাচিত করেন। মূর্তির শিল্পী হলেন কর্নাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। জানা গিয়েছে, যোগীরাজের পরিবার কয়েক পাঁচ পুরুষ ধরে মূর্তি নির্মাণের কাজ করে থাকেন। মূর্তিটি কৃষ্ণশিলা থেকে খোদাই করে তৈরি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মূর্তিকে আকর্ষণীয়, টেকসই, ভাস্কর্যের বিচারে চমকপ্রদ করতে কৃষ্ণশিলা ব্যবহার করা হয়েছে। মেঙ্গালুরুর কাছেই কারকালা শহরে পাওয়া যায় এই শিলা। 

    ২২ জানুইয়ারি হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের দিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে গর্ভগৃহে বাসানো এই মূর্তিটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রধান যজমানের ভূমিকা পালন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা আচার-অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান, সমন্বয় এবং পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শ্রী গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। প্রধান আচার্য হবেন কাশীর শ্রী লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় গর্ভগৃহে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পরিচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    Ram Temple: অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে থাকবেন লালকৃষ্ণ আডবাণীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীও। বুধবার এ খবর জানান বিশ্বহিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার। এদিনই অলোক কুমারের সঙ্গে আডবাণীর বাসভবনে গিয়েছিলেন আরএসএস নেতা কৃষ্ণ গোপাল। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রবীণ বিজেপি নেতাকে।

    উপস্থিত থাকবেন আডবাণী

    অলোক কুমার জানান, যেহেতু প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আদবানি উপস্থিত থাকবেন, তাই তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হচ্ছে মন্দির চত্বরে। ২২ তারিখে রাম মন্দিরের (Ram Temple) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে রামলালার বিগ্রহের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। গর্ভগৃহে মূর্তিটি বসাবেন তিনিই। তার পরেই হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানটি ২২ তারিখে হলেও, তার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।

    অনুষ্ঠান চলবে চার দিন ধরে 

    মন্দির কমিটির তরফে জানা গিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অক্ষত পুজোর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান। মূল অনুষ্ঠানের দিন গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হবে দুপুরের শুভক্ষণে। তার পরেই শুরু হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষ্ঠান। যদিও এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজো-পাঠ। এদিন রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার কাজটি করবেন বারাণসীর পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত  অযোধ্যায় চলবে অমৃত মহোৎসব।

    আরও পড়ুুন: মোদি-মন্তব্যে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র, জোরালো হচ্ছে মুইজ্জুকে বরখাস্ত করার দাবি

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেশ-বিদেশের ৭ হাজার মানুষকে। এঁদের মধ্যে তিন হাজারই ভিআইপি। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সাধু-সন্তরাও। আমন্ত্রিতদের থাকার জন্য ইতিমধ্যেই বুক করা হয়ে গিয়েছে অযোধ্যার হোটেলগুলি। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরেরও। যেহেতু ২২ তারিখে প্রধান অনুষ্ঠান, তাই দেবভক্তরা বিগ্রহ দর্শন করতে পারবেন ২৩ তারিখ থেকে। আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তাই এই ব্যবস্থা।

    এদিকে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েও যাচ্ছেন না কংগ্রেসের কেউ। মন্দির কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সোনিয়া গান্ধী এবং অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না বলে (Ram Temple) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল সিপিএম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    Ram Mandir: রাম মন্দিরে দানের নামে অর্থ সংগ্রহ করছে লুটেরারা, সতর্ক করল ভিএইচপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক একুশ দিন পরে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। তার সপ্তাহখানেক আগেই শুরু হয়ে যাবে অক্ষত সংগ্রহ অনুষ্ঠান। এমতাবস্থায় রাম মন্দির ট্রাস্টের নামে ভক্তদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুট করছে লুটেরারা। সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তার পরেই বিশ্বহিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে পুণ্যার্থীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলছে লুটের কারবার

    বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ছেত্র অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ নামের একটি জাল সোশ্যাল মিডিয়া পেজ তৈরি করা হয়েছে। পেজটিতে কিউআর কোড রয়েছে। রাম মন্দির নির্মাণের নামে সেখানে ইউজারদের ডোনেশন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশকেও জানানো হয়েছে।’ বিশ্বহিন্দু পরিষদের অযোধ্যার এক (Ram Mandir) সদস্য বলেন, “লুটেরারা বলছে, যত পারেন দান করুন। ডায়েরিতে আপনার নাম এবং নম্বর লিখে রাখা হবে। যখন মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে, আপানাদের সকলকে অযোধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমি অযোধ্যা থেকেই বলছি। লুটেরারা বলছে, আপনারা জানেন হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে লড়াই চলছে। মুসলমান সম্প্রদায় তাদের মন্দির তৈরি করার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই তারা তাদের মন্দির নির্মাণে অর্থ সংগ্রহ করছে।”

    কী বললেন ভিএইচপি মুখপাত্র

    বনশল বলেন, “শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যায় কাউকে অর্থ সংগ্রহের অধিকার দেয়নি। আমি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখেছি। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি পাঠিয়েছি। মানুষ যেন এই সব প্রতারকদের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। মানুষকেও এ ব্যাপারে সচেতন হবে হবে। এটা আনন্দের উৎসব। আমরা আমন্ত্রণপত্র পাঠাচ্ছি। আমরা কোনও ডোনেশন নিই না (Ram Mandir)।

    আরও পড়ুুন: ভারত-বিরোধী প্রচার, নিষিদ্ধ করা হল ভূস্বর্গে সক্রিয় তেহরিক-ই-হুরিয়তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    Ram Mandir: রামমন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বাংলায় ব্যাপক জনসংযোগ করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন নরেন্দ্র মোদি। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। বাংলাতেও রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমেছে সঙ্ঘ পরিবার। বাংলাতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সঙ্ঘ। এছাড়াও উদ্বোধনের পর কয়েক হাজার ভক্তকে ট্রেনে চাপিয়ে রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শন করাতে অযোধ্যাও নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক গত মাসে গুজরাটের ভুজে বসেছিল। সেখানেই স্থির হয়েছে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি রামমন্দিরের ছবি হাতে ৫ লাখ গ্রামে জনসংযোগ করবে সঙ্ঘ।

    রামমন্দির দর্শন

    এ রাজ্যে সমাজের প্রতিটি বর্গের মানুষকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামিল হওয়ার আবেদন জানাবে সঙ্ঘ। উদ্বোধনের দিন প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ছোট-বড় নানা উৎসবের আয়োজনও করবে সঙ্ঘ পরিবার। এমনটাই ঘোষণা করেছেন মোহন ভাগবত। চলতি বছরের বিজয়া দশমীর ভাষণেই একথা বলতে শোনা যায় সঙ্ঘ প্রধানকে। সূত্রের খবর, উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ২৬ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রামমন্দির (Ram Mandir) দর্শনের কর্মসূচি নেবে সঙ্ঘ পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ৬ হাজার ভক্তকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। আপাতত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলার ভক্তরা রওনা দেবেন রামনগরীতে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণবঙ্গের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সারা দেশের প্রতিটা প্রান্ত থেকে সমস্ত রাম ভক্তদের কাছে নিমন্ত্রণ নিয়ে যাব। প্রতিটা গ্রাম, শহর অলিতে-গলিতে যাব। সবাইকে বলব রাম মন্দির দেখতে আসুন।’’

    কী বলছেন বাংলার আরএসএস নেতা?

    এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা ৪০ লক্ষ পরিবারে যাব। অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রসাদ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাব। ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি এই কর্মসূচি চলবে। ১ জানুয়ারি কল্পতরু দিবসের দিন শুরু হবে। ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যাব। মার্চ পর্যন্ত উদ্বোধনপর্ব চলবে। সেখানে এক একটা প্রান্তকে এক একটা সময় দেওয়া হবে। প্রতিদিন এক থেকে দেড় লক্ষ মানুষের ব্যবস্থা থাকবে যাতে সুষ্ঠুভাবে কর্মসূচি হয়। তার জন্য আবেদন করব, আপনারাও আসুন সময় করে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: সমপ্রেম বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম-রায়ে একসুর! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কী বলছে হিন্দু-মুসলিমরা?

    Same Sex Marriage: সমপ্রেম বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম-রায়ে একসুর! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে কী বলছে হিন্দু-মুসলিমরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।  কেন্দ্র-সহ সব পক্ষের মতামত শোনার পর  সমলিঙ্গের বিয়েকে আপাতত বৈধতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রকেই দিয়েছে আদালত। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে একযোগে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার এবং শীর্ষস্থানীয় মুসলিম ধর্মগুরু মৌলানা সাজিদ রশিদি। দু’জনের মতেই সমপ্রেম ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ নয়। তাঁদের মতে, এটি বিদেশ থেকে আসা সংস্কৃতি।

    কী বলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার বলেছেন, “দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ের মধ্যে সম্পর্ককে বিয়ে (Same Sex Marriage) হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যায় না বলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণ করায় আমি খুশি।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সমকামী বিবাহকে আইনি বৈধতা না দিলেও সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ সমকামী দম্পতিরা লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেই পারেন। নিজেদের পছন্দ মতো সঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। তবে সন্তান দত্তক নেওয়ার প্রশ্নে পাঁচ বিচারপতির ৩ বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, মৌলানা রশিদি বলেন, ‘সমপ্রেম (Same Sex Marriage) ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। এই বিষয়গুলি খুব খোলাখুলি ভাবে চলে ইউরোপীয় ও পশ্চিমী দেশে। তবে ভারতে এই কাজকর্মকে কখনই উৎসাহ দেওয়া বা অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। ভারতের সব বৈবাহিক অনুশীলনগুলির শিকড় আমাদের মূল্যবোধ ও সামাজিক ঐতিহ্যের মধ্যে গেঁথে রয়েছে। শীর্ষ আদালতের উচিত এই বিষয় চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে আমাদের মূল্যবোধ ও বিশ্বাসগুলিকে সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা।’ এক কদম এগিয়ে সমপ্রেমের সম্পর্কে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন রশিদি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়,  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে ফের নতুন করে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানায় (Haryana Violence)। নুহ জেলায় ঘটা সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন গুরুগ্রামের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ সিং। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, গোটা পরিস্থিতির ছবি প্রকাশ্যে আনেন গুরুগ্রামের সাংসদ। তিনি বলেন, যদি দুই সম্প্রদয়ের হাতেই অস্ত্র থাকে, তাহলে কে তাদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে, হরিয়ানা সরকার তা খতিয়ে দেখবে। যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, নুহ-এর হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে। কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    অশান্ত হরিয়ানার বিভিন্ন অঞ্চল

    একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আবার মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের (Haryana Violence) সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। হরিয়ানার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এনসিআর (NCR) এলাকা, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাতে বিক্ষোভ মিছিলের (rallies) আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও তাদের শাখা সংগঠন বজরঙ্গ দল (Bajrang Dal)। এই মিছিল আটকাতে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত মিছিলের অনুমতি দিলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।  বিক্ষোভ মিছিল থেকে যাতে কোনও ঘৃণ্য ভাষণ (hate speeches) বা হিংসা (violence) না ছড়ায় তা দেখার। প্রয়োজনে পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট

    হরিয়ানার হিংসা (Haryana Violence) ছড়িয়ে পড়তে পারে দিল্লিতেও। আগাম সাবধানতা হিসেবে রাজধানী দিল্লিতেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গত তিনদিন ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হরিয়ানা। ১১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনায় ৪১টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হরিয়ানার নুহ-তে গত পরশু থেকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। নূহ-র সাইবার ক্রাইম থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠছে হরিয়ানার একাধিক এলাকা। গুরুগ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনা। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নূহ এবং গুরুগ্রামের একাধিক জায়গায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share