Tag: Viksit bharat 2047

  • PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “একবিংশ শতাব্দীর ভবিষ্যৎ ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির হাতেই”, বিশ্বকে নতুন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরালো করার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ভার্চুয়ালি আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের ( ASEAN Summit) ভাষণে ঘোষণা করেন যে একবিংশ শতাব্দীতে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলোর যৌথ নেতৃত্বেই গঠিত হবে নতুন ভবিষ্যৎ। মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আসিয়ান ভারতের (India-ASEAN Relations) অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি–র অন্যতম মূল স্তম্ভ।

    উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে

    মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির গোষ্ঠী আসিয়ান-এর বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত না-থাকলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। নিজের বক্তব্যে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “একবিংশ শতাব্দী আমাদের শতাব্দী। এটা ভারত এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, আসিয়ান কমিউনিটি ভিশন ২০৪৫ এবং বিকশিত ভারত ২০৪৭ গোটা মানবতার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।” বক্তৃতায় আসিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে বোঝাপড়ার দিকটি তুলে ধরেন মোদি। একই সঙ্গে এ বছর সফল ভাবে আসিয়ান গোষ্ঠীর সম্মেলন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার ইব্রাহিমকে। ২০২৬ সালের সম্মেলন আয়োজন করবে ফিলিপিন্স। প্রসঙ্গত, এই বছরের আসিয়ান সম্মেলনকে ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে। পূর্ব তিমুর-লেস্তে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিয়ানের ১১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গত ২৬ বছরের মধ্যে এমনটা প্রথম হল। প্রায় ১৪ লক্ষ জনসংখ্যার এই ছোট দেশটি এখন আসিয়ানের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন কাঠামোর অংশ হয়ে উঠবে।

    আসিয়ানে ভারতের গুরুত্ব

    আসিয়ান সম্মেলনে ভারতের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। ভারত যে আসিয়ান (India-ASEAN Relations) দেশগুলোর নেতৃত্ব দিতে চায়, তা পরিষ্কার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে আসিয়ান গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল ভারত। ভারত ওই বছর আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হিসেবে যুক্ত হয় এবং ১৯৯৫ সালে পূর্ণাঙ্গ ‘ডায়ালগ পার্টনার’ হয়। তার পরে এই গোষ্ঠীতে ভারতের প্রভাব ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৮ সালে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ করেছিল ভারত। আসিয়ান সম্মেলনে রবিবার সকালেই মালয়েশিয়ায় পৌঁছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে শোনা গিয়েছিল আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকেই মোদি এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। পরে অবশ্য জানা যায়, মোদি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন না। এদিন ভার্চুয়ালি মোদি বলেন, “ভারত সর্বদা আসিয়ানের নেতৃত্ব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এর নীতিকে সমর্থন করে। ভারত এবং আসিয়ান একসঙ্গে বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশর প্রতিনিধিত্ব করে। কেবল ভৌগোলিক নয়, গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে এই দেশগুলোর। বলা যায়, আমরা গ্লোবাল সাউথের সহযাত্রী। একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করি। একইসঙ্গে নানাক্ষেত্রের নীতি নির্ধারণে নিজেদের বক্তব্য পেশ করি।”

    মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) কথায়, “বর্তমান আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের মূল বিষয় হল অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব। ভারত সর্বদা আসিয়ান-কেন্দ্রিকতা এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে আসছে। অনিশ্চয়তার এই যুগেও, ভারত-আসিয়ান অংশীদারিত্ব অগ্রগতি করেছে। একবিংশ শতাব্দী ভারত এবং আসিয়ানের শতাব্দী, এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। ভারত আসিয়ানের দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবে। সব রকমের সঙ্কটে একসঙ্গে কাজ করবে।” উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রায় সব আসিয়ান–ভারত সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, শুধু ২০২২ সালের সম্মেলন ব্যতিক্রম। বর্তমানে ১০টি দেশ আসিয়ানের সদস্য। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, ব্রুনেই, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম। এ বারের সম্মেলনে পূর্ব তিমুরও আসিয়ানের সদস্য হয়েছে। মোদি তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারত ও আসিয়ানের অংশীদারিত্ব আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং মূল্যবোধে আমরা অভিন্ন।’

    ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর

    মোদি (PM Modi) আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নীল অর্থনীতিতে ভারত ও আসিয়ানের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৬ সালকে ‘ভারত–আসিয়ান সামুদ্রিক সহযোগিতার বছর’ হিসেবে উদযাপন করা হবে, যা ভারত মহাসাগরজুড়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততার নতুন অধ্যায় সূচিত করবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী মোদি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করে ‘এক্স’–এ লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তাঁকে মালয়েশিয়ার আসিয়ান চেয়ারম্যানশিপের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি এবং আসন্ন সম্মেলনগুলোর সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” মোদির অনুপস্থিতিতে সোমবার আসিয়ানের ইস্ট এশিয়া সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।

  • Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    Finance Bill: লোকসভায় পাশ হল নয়া অর্থ বিল, এসেছে ৩৫টি বদল! জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নতুন অর্থ বিল ২০২৫ (Finance Bill)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নয়া অর্থ বিলকে করদাতাদের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক বলে দাবি করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহে ১৩.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির ফলে বেশ কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই বিল পাশ করা হয়েছে যা বাস্তবসম্মত। লোকসভায় (Lok Sabha) মঙ্গলবার এছাড়াও একাধিক বিল পাশ করানো হয়েছে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) সময়সীমা ২০২৫-এর বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নিম্ন কক্ষে বয়লার বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে।

    নয়া অর্থ বিলে সুবিধা

    অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বলেছেন যে এই বিল করের স্থিতিশীলতা (Tax Certainty) নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসা করার সুবিধা (Ease of Doing Business) বাড়াতে আনা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে এই বিলে অভূতপূর্ব কর ছাড় (Tax Relief) দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি সম্পত্তির উপর কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। সীতারামন বলেছেন যে, এই বিলটি (Finance Bill) ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত (Viksit Bharat 2047) গড়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মাধ্যমে সরকার ট্যাক্স সংক্রান্ত একাধিক সংস্কার করেছে, যা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।

    অর্থ বিলে নানা বদল (Finance Bill)

    নয়া অর্থ বিলে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারি এবং মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশের উপর থেকে আমদানি কর বাতিল করা হয়েছে। এখন বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যাটারির ৩৫টি যন্ত্রাংশ এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ২৮টি যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে। আয়কর রিটার্নের ১৪৩ (১) ধারায় নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। আয়কর বিভাগ এখন থেকে গত বছরের জমা করা আয়কর রিটার্নে ভুল সংশোধন করবে এবং আগামী রিটার্নে এগুলি সংশোধিত হবে। নয়া বিল (Finance Bill) অনুযায়ী ১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে অনলাইন বিজ্ঞাপনের উপরে ৬ শতাংশ ডিজিটাল ট্যাক্স বাতিল করা হবে।

    প্রয়োজনীয় সংশোধনী

    নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে, এবার থেকে করদাতারা তাদের বছরে ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত কর ছাড় পাবেন। গত কয়েক বছরে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহের হার ২০ শতাংশ হারে বেড়ে গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে অনুমান করা হয়েছে ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ হবে ১৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবর্ষের জন্য আয়কর সংগ্রহের পরিমাণ হতে পারে ১২.২ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে ১১ হাজার ১৬২ জন করদাতা তাদের রিটার্ন সংশোধন করে বৈদেশিক সম্পদের ফর্ম পূরণ করে ১১ হাজার ২৫৯ কোটি টাকার সম্পদের ঘোষণা করেছেন।

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে বিতর্ক

    নতুন আয়কর আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনে পরিবর্তন করবে নতুন বিল (Finance Bill)। বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আয়কর আইনের ধারা কমিয়ে ৫৩৬-এ নামিয়ে আনা হবে।’’ আয়করের নিয়ম সরল করবে নতুন বিল, এমনটাই মত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। গত ১ এপ্রিল নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছিলেন তাতে বেশ কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব এসেছিল। সেগুলির মধ্যে ৩৫টি গৃহীত হয়েছে। সেই সংশোধনী-সহ অর্থবিল (Finance Bill) হিসাবে বাজেটটি লোকসভায় পাশ হল। এর পর বাজেট রাজ্যসভায় পাশ হলেই বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে যাব। বাজেটে ৫০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে, যা চলতি অর্থবর্ষের তুলনায় ৭.৪ শতাংশ বেশি।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ 

    লোকসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির (JPC) রিপোর্ট পেশ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। JPC-র চেয়ারম্যান পিপি  চৌধুরী (PP Chaudhary) সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল ২০২৪-এর উপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য সময়সীমা ২০২৫ সালের বর্ষাকালীন অধিবেশন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন, যা লোকসভা মঞ্জুর করেছে। সরকারের দাবি, এই বিল দেশে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সুবিন্যস্ত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হবে, যার ফলে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করানো সম্ভব হবে।

    বয়লার বিল 

    লোকসভায় বয়লার বিল-ও পাশ হয়েছে, যা এর আগে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) থেকে অনুমোদন পেয়েছিল। বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal) এই বিলটি পেশ করেন। সরকারের বক্তব্য, এই বিল ব্যবসা করার সুবিধা বাড়াতে আনা হয়েছে, যা এমএসএমই সেক্টরের বয়লার ব্যবহারকারীদের সুবিধা দেবে। এই বিলে একাধিক পুরনো নিয়ম বাতিল করা হয়েছে এবং জন বিশ্বাস অ্যাক্ট ২০২৩-এর অধীনে অপরাধের জন্য শাস্তির নিয়ম সরল করা হয়েছে।

  • Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালে। সেই সময় দেশকে বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবেই দেখার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর কাজও করে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন যে নিছক স্বপ্ন নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার (Arvind Panagariya) কথায়। নয়াদিল্লিতে ৪৯তম সিভিল অ্যাকাউন্টস ডে উদযাপনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

    পানাগাড়িয়ার বক্তব্য (Viksit Bharat)

    সেখানেই পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত জাতির মর্যাদা অর্জনের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত।” তিনি সেই বৃদ্ধির পথের কথা উল্লেখ করেন যা ভারতকে আগামী দশকে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। তিনি জানান, ২০০৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত বর্তমান মূল্যে মার্কিন ডলারের হিসেবে গড়ে ১০.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি বজায় থাকলে, ভারতের অর্থনীতি আগামী দশ বছরে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। তিনি ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ভারতের অর্থনৈতিক (Viksit Bharat) যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল ২০৪৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানো। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২,৫৭০ মার্কিন ডলার। পানাগাড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ডলারের মূল্যে, ভারতকে উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৪,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয় দরকার। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলে, এই লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির একটি হল নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বছরে মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত অভিযানের সম্ভাবনাগুলি তাই বাস্তবায়নযোগ্য থাকে।” ভারতের সামাজিক অগ্রগতির (Arvind Panagariya) ওপর জোর দিয়ে পানাগাড়িয়া বলেন, “দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাপের পদ্ধতি যাই হোক না কেন (Viksit Bharat)।”

LinkedIn
Share