Tag: Viral Hepatitis

Viral Hepatitis

  • Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    Hepatitis: প্রকোপ বাড়ছে হেপাটাইটিসের! জমা জলেই কি বিপত্তি? কী পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে বাড়ছে নানা রোগের দাপট। আর তার মধ্যে সব চেয়ে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস (Hepatitis)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হেপাটাইটিসের সমস্যা বাড়ছে। লিভারের এই রোগে শিশু এবং বয়স্কদের ভোগান্তি বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি বেশ জটিল হচ্ছে। বর্ষার জমা জলের জেরেই হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন বাড়ছে হেপাটাইটিসের প্রকোপ? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বর্ষার মরশুমে জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। একটানা বৃষ্টি হলেই রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় জল জমে যায়‌। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যায়। আর এর জেরে অনেক সময়েই পানীয় জল পরিশ্রুত থাকে না। নিকাশি নালা ফেটে যায়। কোথাও আবার পানীয় জলের পাইপও ফেটে যায়। পানীয় জল, নোংরা জলের সঙ্গে মিশে যায়। আর এই ধরনের ঘটনার জেরেই হেপাটাইটিসের মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, চলতি মরশুমে শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ছে‌। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে একটানা বৃষ্টির জেরে জল জমেছে (Stagnant Water)। অনেক সরকারি স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জল নেই। বহু শিশুকেই স্কুলে গিয়ে অপরিশ্রুত জল খেতে হচ্ছে। যার জেরে হেপাটাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কীভাবে চিনবেন হেপাটাইটিস?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জ্বর, ক্লান্তি বোধের পাশপাশি হেপাটাইটিস (Hepatitis) আক্রান্ত হলে রোগীর পেটে ব্যথা হয়, হাত ও পায়ের চামড়ায় হলদে ভাব আসে। চোখের সাদা অংশেও হলুদ ছোপ দেখা যায়। আবার রোগীর বারবার বমির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। কোন ধরনের হেপাটাইটিসে রোগী আক্রান্ত, সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

    কীভাবে এই রোগের মোকাবিলা করতে হবে? (Hepatitis)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকা জরুরি। শিশুদের হেপাটাইটিস টিকাকরণ জরুরি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, শিশুদের হেপাটাইটিসের টিকা দেওয়া হলে এই রোগের ঝুঁকি কমে। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও হেপাটাইটিসের টিকা নেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঠিকমতো টিকাকরণ হলে এই রোগের দাপট যেমন কমবে, তেমনি ভোগান্তিও কমবে। এর পাশপাশি জল নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শিশুদের সুস্থ রাখতে বর্ষার মরশুমে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পানীয় জল যাতে পরিশ্রুত হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জল ঢেকে রাখা কিংবা যে পাত্রে জল রাখা হচ্ছে, তা নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। তবেই এই রোগের মোকাবিলা সম্ভব (Stagnant Water)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেই লিভারের অসুখ হল “হেপাটাইটিস”। মূলত লিভারের প্রদাহ। লিভারের প্রদাহ দেখা দিলে, একটা সময় ক্ষতর সৃষ্টি হয় এবং লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, টক্সিন, ওষুধ এইসব হেপাটাটাইটিসের কারণ হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণেও হেপাটাইটিস হতে পারে। তবে, হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হল ভাইরাল সংক্রমণ। ভারতে সবথেকে বেশী যে ভাইরাল হেপাটাইটিস (Viral Hepatitis) দেখা যায়, সেগুলি হল, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি ও হেপাটাইটিস ই।  

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? 

    ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।  

    এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?

    • ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গগুলি (Symptoms) অনেকটাই ফ্লুয়ের মতো। 
    • এছাড়াও রয়েছে ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের প্রস্রাব, জ্বর, বমি ও জণ্ডিসের (ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় ) মতো উপসর্গ। 
    • তবে, এই ভাইরাসগুলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না এবং অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় না। 
    • বিরল ক্ষেত্রে, তীব্র ভাইরাস হেপাটাইটিসের ফলে লিভারের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে লিভারের কার্যকারিতার চরম অবনতি ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    শারীরিক সম্পর্কে কী হেপাটাইটিস ছড়ায়?

    সবচেয়ে বেশি যে সংক্রমণ ছড়ায় তা হল হেপাটাইটিস এ। এই হেপাটাইটিস এ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। স্পর্শে সবসময় হেপাটাইটিস না ছড়ালেও বডি ফ্লুইডের আদানপ্রদানে ছড়াতে পারে এই রোগ। যারা ড্রাগ নেন, একই সূচের ব্যবহারে তাঁদের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ। 

     

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে।  

    ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে কী কী করবেন (Prevention)?

    পরিষ্কার জল পান করুন 

    পানীয় জল যেন পরিষ্কার হয়। ভালো ব্র্যান্ডের ইউভি, ক্যান্ডেল যুক্ত ফিল্টার ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের ও বিশ্বাসযোগ্য রিটেলারের জল পান করুন।   

    রাস্তার ধারের খাবার এড়িয়ে চলুন 

    রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ফলের রস, মিল্কশেক। 

    স্যালনে গেলে সাবধান থাকুন 

    নাপিতের দোকান, বিউটি স্যালনে যেন ভালোভাবে স্টেরিলাইজ না করে একই ক্ষুর, মেটাল স্ক্র্যাপার একাধিক ব্যক্তির ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর ফলে সংক্রমণের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।  

    সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস

    এইচসিভির তুলনায় হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণ বেশী হয়। সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। 

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ থেকে সচেতনতা  

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ ব্যবহার ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সূচ দিয়ে ড্রাগ নেন একাধিক ব্যক্তি। এর ঝুঁকি সম্পর্কে নিজের সন্তানদের সচেতন করুন। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    টিকা  

    হেপাটাইটিস এ ও বি টিকার দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার দ্বারা প্রতিরোধক্ষম একমাত্র ক্যান্সার হল হেপাটাইটিস বি-র ফলে হওয়া লিভার ক্যান্সার। 
     
    শনাক্তকরণ

    এইচবিভি ও এইচসিভিকে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। উভয় ভাইরাসের জন্যই কার্যকরী চিকিৎসা উপলব্ধ আছে। ঠিক সময় শনাক্ত করা না গেলে, এর থেকে লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। 
     

LinkedIn
Share