Tag: visa

visa

  • Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    Indian Origin CEOs: ভিসা বিতর্কের মধ্যেই ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে শীর্ষ পদে বসাল দু’টি বড় মার্কিন সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্টো পথে হেঁটে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে শীর্ষ (Indian Origin CEOs) পদে বসাল আমেরিকারই দু’টি বড় কোম্পানি। সোমবারই এ খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই খবরটি এমন একটা সময়ে এল যখন ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার (H1B Visa) নিয়মগুলি কঠোর করছে।

    ‘শ্রীনি’ গোপালন (Indian Origin CEOs)

    জানা গিয়েছে, মার্কিন টেলিকম জায়ান্ট টি-মোবাইলের প্রধান এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে দায়িত্ব নেবেন বছর পঞ্চান্নর শ্রীনিবাস ‘শ্রীনি’ গোপালন। আইআইএম আমেদাবাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গোপালন বর্তমানে টি-মোবাইলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত। তিনি মাইক সিভার্টের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এই সিভার্ট ২০২০ সাল থেকে কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তাঁকে বসানো হচ্ছে অধুনা সৃষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান পদে। লিঙ্কডইনের এক পোস্টে গোপালন লেখেন, “টি-মোবাইলের পরবর্তী সিইও (প্রধান কার্যনির্বাহী আধিকারিক) হিসেবে দায়িত্ব নিতে পেরে আমি দারুনভাবে সম্মানিত। এই কোম্পানি যা অর্জন করেছে, তা আমায় দীর্ঘদিন ধরে মুগ্ধ করেছে—গ্রাহকদের এমনভাবে সেবা দেওয়ার জন্য তারা নির্ভীকভাবে বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে, যা আগে কেউ ভাবতেও পারেনি।”

    গোপালনের কেরিয়ার

    গোপালনের কেরিয়ার মহাদেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারে ম্যানেজমেন্ট ট্রেনি হিসেবে শুরু করে তিনি ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন, ক্যাপিটাল ওয়ান এবং ডয়চে টেলিকমে সিনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন (H1B Visa)। সেখানে তিনি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ করেছেন। লাখ  লাখ বাড়িতে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছেন। জার্মানিতে রেকর্ড পরিমাণ মোবাইল বাজারের শেয়ারও ধরে ফেলেছিলেন তিনি (Indian Origin CEOs)। টি-মোবাইলে তিনি প্রযুক্তি, ভোক্তা এবং ব্যবসা বিভাগগুলির তত্ত্বাবধান করেছেন। ৫জি, এআই এবং ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন গোপালন। গোপালনকে অত্যন্ত দক্ষ, আবেগপ্রবণ এবং অবিশ্বাস্যভাবে জ্ঞানসম্পন্ন বলে অভিহিত করেছেন সিভার্ট। তিনি জানান, গোপালনের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তিনি আমাদের কর্মী ও গ্রাহক অভিজ্ঞতাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

    নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও

    এদিকে, শিকাগো-ভিত্তিক পানীয় জায়ান্ট মলসন কুরস তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে বছর ঊনপঞ্চাশের রাহুল গোয়েলকে। ১ অক্টোবর থেকে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। গোয়েল বসছেন গ্যাভিন হ্যাটার্সলির জায়গায় (H1B Visa)। হ্যাটার্সলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ২৪ বছর ধরে (Indian Origin CEOs)।

    ভারতে জন্ম রাহুল গোয়েলের। মাইসুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরে যান বিজনেস স্টাডি পড়তে। সেখানেই সেটেলড হয়ে যান। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ভারতে কুরস ও মলসন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন। মলসন কুয়ার্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড কুয়ার্স বলেন, “একটি দীর্ঘ সিইও উত্তরসূরি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার পর স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আমাদের পরবর্তী প্রবৃদ্ধির ধাপকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি রাহুলই নিয়ে এসেছেন।” গোয়েল জানান (H1B Visa), তিনি কোম্পানির ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত (Indian Origin CEOs)।

  • Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    Rubio Jaishankar Meet: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক,” বললেন আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” সোমবার নিউ ইয়র্কে দ্বিপাক্ষিক ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের পর কথাগুলি বলেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও। অস্থির অংশীদারিত্বকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ওই বৈঠকে বসেছিলেন রুবিও এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (Rubio Jaishankar Meet)। এই বৈঠকেরই দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নয়া এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa Row) জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের ফি (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেও রুবিও-র এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Rubio Jaishankar Meet)

    রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল ভারত ও আমেরিকার প্রথম মুখোমুখি আলোচনা। কারণ এই গ্রীষ্মের শুরুতে ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া হারে মার্কিন শুল্ক আরোপিত হওয়ায় বাণিজ্যিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে দুই নেতাই আন্তরিকভাবে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। উভয় দেশই ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যেও সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বার্তা তুলে ধরতে আগ্রহী ছিল।

    ভারত মার্কিন সম্পর্ক

    এদিন বৈঠক শেষে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রুবিও বলেন, “ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্পর্ক।” তিনি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ওষুধশিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে নয়াদিল্লির অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, “কোয়াডের মাধ্যমেও একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে আমরা এক সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।” ফের একবার ধৈর্যের প্রয়োজনীয়তার কথার উল্লেখ করে বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “আমাদের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় (Rubio Jaishankar Meet) অন্তর্ভুক্ত ছিল। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি আনতে ধারাবাহিক সম্পৃক্ততার গুরুত্ব নিয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা যোগাযোগ বজায় রাখব।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভিসা ঘোষণা

    শুক্রবার ভিসা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তামাম বিশ্বে, বিশেষত ভারতে। কারণ এইচ-১বি ভিসার সব চেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ ভারত। গত বছর যেখানে মোট অনুমোদনের ৭১ শতাংশ ভারত পেয়েছিল, সেখানে চিন পেয়েছিল ১২ শতাংশেরও নীচে। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া  এই ফি ভারতীয় আইটি পরিষেবা (H 1B Visa Row) দানকারীদের ব্যয় অত্যধিক বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ তারা এর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল (Rubio Jaishankar Meet)।

    শুল্ক বিবাদ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই আঘাতটি দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরে আবারও অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের হার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। কারণ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে। শুধু তাই নয়, সেই তেল বিক্রিও করছে ভারত। স্রেফ এই কারণ দর্শিয়েই চুপ করে যাননি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারিও দেন  যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করলে মাশুল গুণতে হবে নয়াদিল্লিকে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক আরোপের ফলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তার ওপর প্রভাব পড়ে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে উভয় পক্ষই ফের আলোচনায় বসেছিল। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে একে ইতিবাচক আলোচনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, এটি একটি চুক্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করে (H 1B Visa Row)।

    কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত

    নানান বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে। জুলাই মাসে রুবিও এবং জয়শঙ্কর জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াডের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করেছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবারের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, যা শুল্কবিরোধ বাড়ার পর প্রথম, তার উদ্দেশ্যই ছিল এই বার্তা দেওয়া যে দুই দেশের সহযোগিতা এখনও অটুট রয়েছে (Rubio Jaishankar Meet)।

    প্রসঙ্গত, শুল্কবিতর্কে থমকে যাওয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই। দিন কয়েক আগেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি এসেছিল আমেরিকার বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল। সোমবার ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আমেরিকার গিয়েছেন (H 1B Visa Row)। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয়, সেই পথ আরও মসৃণ করতেই ফের ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা (Rubio Jaishankar Meet)।

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    Indian Passport: ভারতীয় পাসপোর্টের চোখ ধাঁধানো উত্থান, এক লপ্তে এগোল ৮ ধাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো উত্থান ভারতীয় পাসপোর্টের (Indian Passport)! গত বছর যেখানে ভারতীয় পাসপোর্টের ক্ষমতা নেমে গিয়েছিল পাঁচ ধাপ, সেটাই এবার এক লাফে আট ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। ২২ জুলাই প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচক ২০২৫ অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট ৭৭তম স্থানে উঠে এসেছে (Visa)। গত বছর এটাই ছিল ৮৫তম ধাপে। জানা গিয়েছে, এই র‌্যাঙ্কিং নির্ধারিত হয় প্রতিটি দেশের পাসপোর্টধারীরা পূর্ববর্তী ভিসা ছাড়াই কতগুলি দেশে যেতে পারেন, তার ভিত্তিতে।

    শুধু পাসপোর্টেই যাওয়া যাবে এই দেশগুলিতে (Indian Passport)

    বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই বা ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা পাচ্ছেন ৫৯টি দেশে। ভিসা ছাড়াই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে যেসব দেশে যাওয়া যাবে সেগুলি হল, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং তাইল্যান্ড। ভিসামুক্ত আরও কয়েকটি দেশ হল ভুটান, ইরান, কাজাখস্তান, কেনিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ডোমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, হাইতি, কিরিবাস, ম্যাকাও, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, নিউই, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ভানুয়াত, অ্যাঙ্গোলা এবং বারবাডোস।

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা

    ভিসা-অন-অ্যারাইভালের সুবিধা রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, মলদ্বীপ, বলিভিয়া, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ইথিওপিয়া, গিনি-বিসাউ, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, নামিবিয়া, পালাউ দ্বীপপুঞ্জ, কাতার, সামোয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, সেন্ট লুসিয়া, তাঞ্জানিয়া, তিমোর-লেস্তে এবং তুভালু (Indian Passport)। এবার আসা যাক ইটিএ প্রসঙ্গে। ইটিএ হল একটি ডিজিটাল ভ্রমণ পারমিট যা ভারতীয়দের ভিসা-মুক্ত প্রবেশের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণ বা ট্রানজিটের জন্য একটি দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই তালিকায় ৫৯তম দেশ হিসেবে রয়েছে সেশেলসের নাম।

    এই র‍্যাঙ্কিং উন্নতি ভারতের বিশ্বমঞ্চে ক্রমবর্ধমান মর্যাদা ও উন্নত কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে (Visa)। এটি ভারতীয় পর্যটকদের প্রতি বাড়তি আস্থা এবং দেশের স্থিতিশীলতারও ইঙ্গিত দেয়। ভারতের নাগরিকদের জন্য এটি বিশ্ব ঘোরার নতুন দোর খুলে দেয় (Indian Passport)।

  • UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    UPI: ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরাট সাফল্য! ভিসাকে ছাপিয়ে দৈনিক লেনদেনে বিশ্বের শীর্ষে ভারতের ইউপিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস বা ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) উল্লেখযোগ্য মাইলফলকে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, নয় বছর আগেই শুরু হয় এই ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্ম। নগদহীন ইউপিআই প্লাটফর্ম বর্তমানে লেনদেনের পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম এবং বড় ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ইউপিআইয়ের (UPI) সাফল্য ভারতের বাইরেও ব্যাপকভাবে নজরে পড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই এই প্ল্যাটফর্ম বর্তমানে কাজ চালাচ্ছে। মোদি সরকারের আমলে তৈরি ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অন্যতম অংশ ছিল এই ইউপিআই ব্যবস্থা। আজ তা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছল।

    ইউপিআই ছাপিয়ে গিয়েছে ভিসাকেও

    ইতিমধ্যে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুন ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমে ৬৪.৪ কোটি লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ২ জুন ইউপিআই লেনদেনের সংখ্যা পার করে ৬৫ কোটির গণ্ডী, যা ছাপিয়ে গেছে গিয়েছে ভিসার লেনদেনকে। ২০২৪ সালের আর্থিক বছরে ভিসার গড় দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৩.৯ কোটি। অর্থাৎ যে পরিসংখ্যার সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, বিশ্বের জনপ্রিয়তম ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা ভিসাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের ইউপিআই। ভারতের ইউপিআইয়ের (UPI) দৈনিক লেনদেন বর্তমানে ভিসার চেয়ে অনেকটাই বেশি।

    ভিসার (Visa) পরেই রয়েছে মাস্টারকার্ড

    ভিসার পরে স্থান রয়েছে মাস্টার কার্ডের। প্রতিদিন প্রায় ৪৫ কোটি লেনদেন হয় এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে সর্বশেষ তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ডিজিটাল পেমেন্টে ভারতের অংশ ৪৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যা মূলত ইউপিআই-এর (UPI) মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

    ডিজিটাল পেমেন্টের ৮৫ শতাংশই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে

    যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে আরও দেখা যাচ্ছে, টাকার অঙ্কে ভিসা (Visa) এবং মাস্টারকার্ড- এই দুটোকেই ছাপিয়ে গিয়েছে ইউপিআই। ২০২৫ সালের মে মাসে ইউপিআই-এর লেনদেনের মূল্য অন্যান্য সমস্ত কার্ড লেনদেনের থেকে ১২ গুণ বেশি ছিল। পরিসংখ্যান বলছে এই সময়কালে ২৫ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন ইউপিআই-এর মাধ্যমে করা হয়েছিল। ভারতের সমস্ত ডিজিটাল লেনদেনের ৮৫ শতাংশ বর্তমানে ইউপিআইয়ের মাধ্যমেই পরিচালিত হয় বলে জানা গিয়েছে।

  • Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী পর্যটন গন্তব্য থেকে চরিত্র বদলে দেশটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে ভিয়েতনাম (Vietnam)। এই লক্ষ্যে তারা চালু করেছে ১০ বছরের একটি “গোল্ডেন ভিসা” (Golden Visa Program)। বিদেশি বিনিয়োগকারী, দক্ষ কর্মী এবং দীর্ঘমেয়াদী পর্যটকদের —বিশেষ করে ভারতের মতো উদীয়মান বাজার থেকে লোক টানতেই এই ভিসা চালু করেছে এশিয়া মহাদেশের এই দেশটি।

    গোল্ডেন ভিসা (Vietnam)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গোল্ডেন ভিসা উদ্যোগটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভিয়েতনামকে একটি বৈশ্বিক ব্যবসা, সংস্কৃতি ও সহযোগিতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভিয়েতনাম এখন বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে ভিয়েতনামকে নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে। ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অথরিটি অফ ট্যুরিজমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩১ শতাংশ। প্রশ্ন হল, কী এই গোল্ডেন ভিসা? জানা গিয়েছে, গোল্ডেন ভিসায় যাঁরা ভিয়েতনামে যাবেন, তাঁদের সে দেশে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। এই ভিসা নবীকরণও করা যাবে। বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানো এবং অর্থনীতির ভিত মজবুত করার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে এই ভিসা।

    ভারত ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক

    যদিও গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ এখনও শুরু হয়নি এবং চূড়ান্ত যোগ্যতার মানদণ্ডও এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি আরও স্থায়ী ভিত্তি খুঁজছেন এমন উচ্চ-সম্পদশালী ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ডিজিটাল যাযাবরদের দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেওয়া। এ ধরনের ব্যক্তিরা পর্যটন, উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ভারত ও ভিয়েতনামের (Vietnam) মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটি পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ভারতীয় পর্যটকদের ভিয়েতনাম ভ্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ হল দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতার মতো প্রধান ভারতীয় শহরগুলোর সঙ্গে বিমান যোগাযোগের উন্নতি (Golden Visa Program)।

    ফোর্বসের বক্তব্য

    ফোর্বসের মতে, ভিয়েতনাম ২০২৫ সালে ২.৩ কোটি পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। এর একটা বড় অংশই ভারতীয় পর্যটক হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পটি কেবল পর্যটনের ক্ষেত্রেই নয়, বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও অনেক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। যেসব ভারতীয় তাঁদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চান বা বিদেশে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাঁরা ভিয়েতনামের উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগ করে আইনসম্মতভাবে ব্যবসা করতে পারেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ভিয়েতনামে মোট ১৬,০২৪ জন ভারতীয় বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭,৫৫০ জন হচ্ছেন অনাবাসী ভারতীয় (NRI), ৪৬২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (PIO), এবং ৮,০১২ জনকে প্রবাসী ভারতীয় (Golden Visa Program) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প (Vietnam) চালু হলে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।

    সুবর্ণ সুযোগ ভারতীয়দের সামনে 

    ভারতীয় উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল নোমাডদের জন্য ভিয়েতনাম শুধু আবাসনের সুযোগই নয়, বরং ব্যবসার বিকাশেরও বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে। তথ্য প্রযুক্তি(IT), বস্ত্রশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ও পর্যটন পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ভিয়েতনাম দ্রুত উন্নতি করছে, যা দেশের তরুণ কর্মশক্তি ও গতিশীল অর্থনীতির দ্বারা সমর্থিত। ভারতের পর্যটন খাতের জন্য ভিয়েতনাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠেছে। ভিয়েতনামের সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারিত প্রবাসী-সহায়ক পরিকাঠামো ভারতীয় দক্ষ কর্মী, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য কর্মীদের আকর্ষণ করছে।

    প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু

    অনুমোদন মিললে সরকার এই কর্মসূচি প্রথমে বিদেশিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু করবে, যার মধ্যে রয়েছে হো চি মিন সিটি, হ্যানয় এবং দা নাং (Vietnam)। মার্চ মাসে ভিয়েতনাম পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইজারল্যান্ডের পর্যটকদের জন্য ভিসা-মুক্ত থাকার মেয়াদ ৪৫ দিনে বাড়িয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া-সহ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের জন্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত ভিসা ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে। ভিয়েতনামের জাতীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দেশটি (Golden Visa Program) ৭.৬৭ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক পেয়েছে — যা এখনও পর্যন্ত ত্রৈমাসিক হিসেবে সর্বোচ্চ এবং ২০২৪ সালের এই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি (Vietnam)।

  • China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    China Visa: পাশে চাই ভারতকে! তাই কি ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে লড়াইতে ভারতকে পাশে পেতে চাইছে চিন (China Visa)। তার জেরে আপাতত ভারত-চিন সম্পর্কে উন্নতি হয়েছে (Trump Tariff Threats)। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি শান্ত। এহেন আবহে বেজিং বারবার ভারতের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বন্ধুত্বের হাত। ভারত-চিন সম্পর্কের কী উন্নতি হয়েছে তা জানাতে গিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজার ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। তিনি জানান, ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস ও উপদূতাবাস চিনে যাওয়ার জন্য ৮৫ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয়রা যাতে আরও বেশি করে চিন ভ্রমণ করেন, সেই আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    ভিসা নিয়ম শিথিল (China Visa)

    ভারত ও চিনের মধ্যে সফর অনায়াস করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে বেজিং। শিথিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নিয়মও। আগে চিনে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করতে গেলে আগে থেকে অনলাইনে সময় নিতে হত। এখন আর তা করতে হয় না। সরাসরি ভিসা কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে পারেন ভারতীয় নাগরিকরা। ভিসা দ্রুত মঞ্জুর করার বিষয়টির ওপরও জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

    দিল্লিকে পাশে চাইছে বেজিং

    মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগেই বদলাতে শুরু করেছে ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক (China Visa)। তিক্ততা ভুলে দুই দেশই ক্রমশ কাছাকাছি আসতে চাইছে। সম্প্রতি ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চিনের ক্ষেত্রে এই হার ছিল অত্যধিক চড়া। এ নিয়ে শুরু হয় চিন আমেরিকা শুল্ক যুদ্ধ। শুল্ক হার নিয়ে তামাম বিশ্ব তোলপাড় হওয়ায় তিন মাসের জন্য শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই তালিকায় নেই চিন। উল্টে চিনা পণ্যের ওপর চাপানো হয়েছে আরও চড়া শুল্ক হার। চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ যখন তুঙ্গে, তখন ক্রমশই চিন বেশি করে ঝুঁকছে ভারতের দিকে। চিনের একাধিক কর্তার মতে, ক্ষমতার রাজনীতি ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে চিন ও ভারতকেই (Trump Tariff Threats)।

    দুঃসময়ে যে ‘হাতি’কে বড্ড বেশি প্রয়োজন ‘ড্রাগনে’র (China Visa)!

  • S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বৈধ উপায়ে আমেরিকায় যান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা (US Visa Delay) করতে হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এই সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। পরে ভারতীয় দূতাবাস থেকে তিনি বলেন, “যদি সাধারণ নাগরিকদের ভিসা পেতে এতদিন সময় লেগে যায়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঠিকভাবে পালিত হয় না। ভিসায় এই দেরির কারণে ব্যবসায়, পর্যটনে প্রভাব পড়ে। আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হল মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। ভিসায় দেরি হলে এই প্রক্রিয়া সীমিত হয়।”

    বিদেশমন্ত্রী কী বললেন? (S Jaishankar)

    অভিবাসন প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “অভিবাসনের ক্ষেত্রে আমাদের একটি নীতিগত অবস্থান রয়েছে, যা প্রতিটি দেশের জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বৈধ অভিবাসনে সব সময় সমর্থন করি। আমরা বিশ্বাস করি বৈশ্বিক কর্মস্থলে। আমরা চাই, ভারতীয়দের প্রতিভা ও দক্ষতা বিশ্বে সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক।” ভারত যে অবৈধ অভিবাসন সমর্থন করে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বলেন, “আমরা অবৈধ যাতায়াত এবং অভিবাসনের তীব্র বিরোধিতা করি। কারণ যখনই কোনও একটি অবৈধ ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে আরও অনেক অবৈধ কার্যকলাপ জুড়ে যায়। এটি দেশের সুনামের দিক থেকে কখনওই ভালো নয়।”

    ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকায় বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠাতে চায় আমেরিকা (S Jaishankar)। (যদিও, ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেদেশের আদালত।) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও জানান, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে নয়াদিল্লির সহযোগিতা নিচ্ছে ওয়াশিংটন। জয়শঙ্কর বলেন, “যদি কোনও দেশে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী থাকেন এবং যদি দিল্লি নিশ্চিত হয় যে তিনি ভারতীয় নাগরিক, তাহলে তাঁকে ভারতে ফেরাতে কেন্দ্র সব সময় প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “এটি কেবল আমেরিকার জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর ফলে বৈধ উপায়ে সংশ্লিষ্ট দেশে ভারতীয়দের (US Visa Delay) যাতায়াত আরও সহজ হবে।” তিনি বলেন, “তবে ওঁরা ভারতীয় নাগরিক কিনা, তা যাচাই করে দেখতে হবে (S Jaishankar)।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    Rule Change: বছরের প্রথম দিন থেকেই ইপিএফও, ইউপিআই, জিএসটি ও ভিসার নিয়মে বদল এসেছে, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পরিবর্তিত হল ইপিএফও (EPFO), ইউপিআই (UPI), জিএসটি (GST) এবং ভিসা (Visa) কিছু নিয়ম। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু নিয়ন্ত্রক এবং আর্থিক পরিবর্তন কার্যকর হচ্ছে। ফলে সারা দেশের নাগরিকদের প্রভাবিত করবে এই নিয়মগুলি (Rule Change)। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) পদ্ধতি থেকে শুরু করে ইউপিআই-এর ব্যবহার— সব কিছুর মধ্যে বদল কার্যকর হল বুধবার থেকেই। কেমন সেই নতুন নিয়মগুলি, একবার জেনে নেওয়া যাক।

    এপিএফও-র নতুন নিয়ম (Rule Change)

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পেনশন পেমেন্ট সিস্টেমের (EPFO UPI GST Visa) অংশ হিসেবে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পিএফ থেকে পেনশন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটিকে আরও সুগম করা হবে। পেনশনভোগীরা এখন বাড়িতে ভেরিফিকেশনের ঝামেলা দূর করে যে কোনও ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন তোলার সুবিধা পাবেন। এটিএম থেকেও টাকা তোলার প্রক্রিয়া শীঘ্রই চালু করবে ইপিএফও। ফলে, গ্রাহক ২৪ ঘণ্টাই টাকা তোলার সুবিধা পাবেন।

    জিএসটি

    জিএসটি (EPFO UPI GST Visa) পোর্টালে ভালো নিরাপত্তার জন্য করদাতাদের মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বাধ্যতামূলক করা হবে (Rule Change)। অতিরিক্তভাবে, ই-ওয়ে বিল শুধুমাত্র ১৮০ দিনের পুরনো নথিগুলির জন্য তৈরি করা যাবে।

    ইউপিআই এবং কৃষক ঋণ

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এর সম্প্রতি একটি সার্কুলার দিয়ে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ইউপিআই ১২৩পে-র মাধ্যমে (EPFO UPI GST Visa) করে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা অনলাইন পেমেন্ট করে লেনদেনের সীমা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নতুন সীমা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। একই ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কৃষকদের জন্য অসুরক্ষিত ঋণের সীমা ১.৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করেছে। এই বৃদ্ধি বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে (Rule Change)। কৃষকদের আরও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে সবরকম ভাবে উন্নত কৃষি ব্যবস্থা এবং বিনিয়োগে সহায়তা করার কথাও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বছরের প্রথম দিনেই সুখবর, রান্নার গ্যাসের দাম কমল সিলিন্ডার প্রতি ১৬ টাকা!

    ভিসার প্রয়োজনীয়তা

    ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে অ-অভিবাসী ভিসা (EPFO UPI GST Visa) আবেদনকারীরা প্রথমবার বিনামূল্যে তাঁদের নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিনক্ষণ পাল্টাতে পারবেন। তবে দ্বিতীয়বার থেকে নতুন করে ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রক্রিয়াকে সুগম করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এইচ-১বি ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন (Rule Change)

    নতুন নিয়মে ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে এইচ-১বি ভিসার (Visa) প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করা হয়েছে। নিয়োগকর্তাদের নিয়মে সরলীকরণ করা হয়েছে। ভারতীয় এফ-১ ভিসাধারীদের জন্য সহজলভ্য করে তোলা হচ্ছে প্রক্রিয়াকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Visa for Skilled Indians: দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ভিসার কোটা বছরে ৯০ হাজার করল জার্মানি

    Visa for Skilled Indians: দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ভিসার কোটা বছরে ৯০ হাজার করল জার্মানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানিতে গিয়ে কাজ করতে চান? ভিসা (Visa for Skilled Indian) মিলবে চট জলদি। দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের জন্য একলাফে ভিসার সংখ্য়া ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। শুক্রবার এই কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ফলে বহু ভারতীয়র এবার জার্মানিতে চাকরির সুযোগ বাড়বে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

    দুই-দেশের মধ্যে আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন জার্মান Germany) চ্যান্সেলর। বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে পৌঁছেছেন তিনি। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রাতরাশ বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় তাঁদের। এর পরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে সরকারি প্রতিনিধিস্তরের সপ্তম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদির সঙ্গে শোলৎজের বৈঠকে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলি স্থান পেয়েছে। এই সময়ে দু’জন যথাক্রমে বিশ্বের পঞ্চম এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি গঠনকারী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়।

    জার্মানিতে স্বাগত ভারতীয়রা

    জার্মান বিজনেস ২০২৪-এর ১৮তম এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে বক্তৃতার সময় শোলৎজ বলেন, ‘‘আজ ভারতীয়রা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃহত্তম দল। শুধু গত বছরই জার্মানিতে কর্মরত ভারতীয়ের সংখ্যা বেড়েছে ২৩ হাজার। এই প্রতিভা আমাদের শ্রমবাজারে একটি স্বাগত সংযোজন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জার্মানি দক্ষ শ্রমিকদের জন্য উন্মুক্ত। ডিজিটাইজেশন, দ্রুত প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ব্যবহারকারীবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াও উন্নত করা হবে। দক্ষ শ্রমিকদের জন্য ভিসার (Visa for Skilled Indian) সংখ্যাও বাড়বে।’’ এরপরই বর্ধিত ভিসার সংখ্যা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর ফলে যাঁরা ভিসার সমস্যার জন্য জার্মানিতে কাজে যেতে পারছেন না, তাঁদের সাফল্যের রাস্তা সহজ হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share