Tag: Vishwakarma Puja

Vishwakarma Puja

  • Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল বিশ্বকর্মা পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, পরের দিন দুপুরে মাংসভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা। অন্যান্য বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপিত হবে।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী 

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranna Puja 2022: অরন্ধন কী? কেন পালন করা হয়? জানুন এই উৎসবের তাৎপর্য

    Ranna Puja 2022: অরন্ধন কী? কেন পালন করা হয়? জানুন এই উৎসবের তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। সারা বছর ধরেই বাঙালিদের কিছু না কিছু উৎসব লেগেই থাকে। এরই মধ্যে একটি পার্বণ হল অরন্ধন উৎসব বা রান্না পূজা। এই পুজোর প্রধান নিয়মই হল ভাদ্র মাসে রান্না করে আশ্বিনে খাওয়া। আবার এদিন মনসা পূজাও করা হয়। এই মনসা পূজারই একটি অংশ হল এই রান্না পূজা। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে অমাবস্যা থাকে, আর এই অমাবস্যার রাতেই এই পুজো করা হয়। এইদিন সারা রাত ভরে রান্না ঘরে বিভিন্ন খাবার রান্না করা হয় ও পরের দিন বাসি খাবার খাওয়া হয়।

    সাধারণত এই অরন্ধন উৎসব বছরে দুবার পালন করা হয়। একবার অরন্ধন উৎসব হয় মাঘ মাসে, সরস্বতী পুজোর পরের দিন। ঐদিন থাকে শীতল ষষ্ঠী। ঐদিন শিলনোড়া পুজো করা হয়। এইদিন বাড়িতে গোটা সেদ্ধ খাওয়ার রীতিও রয়েছে। আর একবার হয় আজ, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে। আর এই ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতেই মা মনসার পুজো করা হয়।

    আরও পড়ুন: অনন্ত চতুর্দশী কবে জানেন? কেন পালন করা হয় এই বিশেষ দিন? কী এর মাহাত্ম্য?

    এদিন রান্নাঘরে উনুন জ্বালানোর নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রাতেই রান্না করে পরের দিন খাওয়ার রীতি রয়েছে। এই দিন রান্নাঘরের সমস্ত জায়গা ভালো করে পরিষ্কার করে ফণীমনসার ডাল অথবা শালুক গাছের ডাল দিয়ে মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং মা মনসার পুজো করা হয়। পুজোতে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় মরশুমি শাক, সবজি, মাছ ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ভোগ দেওয়া হয়, কোথাও আমিষ বা কোথাও আবার নিরামিষ। যার মধ্যে পান্তা উল্লেখযোগ্য। নিরামিষ ভোগের ক্ষেত্রে ইলিশ ও চিংড়ি মাছ অন্যতম ও নিরামিষের ক্ষেত্রে নানা রকমের ভাজা, ছোলা -নারকেল দিয়ে কচু শাক সহ একাধিক শাক ইত্যাদি।

    দেবীপক্ষের আগে রান্না পুজোই বাঙালিদের শেষ উৎসব। এরপর মহালয়ার পরেই শুভক্ষণে উৎসব শুরু হয়। যদিও এই অরন্ধন উৎসব বা রান্না পুজোর রীতিনীতি এখন আর বেশি দেখা যায় না। তবে শহরে কম হলেও, গ্রামে  এখনও এই উৎসব ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share