Tag: vizhinjam port protestors in kerala attacked police station

vizhinjam port protestors in kerala attacked police station

  • Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দর নির্মাণ ঘিরে ধুন্ধুমার! থানায় হামলা চালাল বিক্ষোভকারীরা, আহত ৩০

    Vizhinjam Port: ভিজিঞ্জাম বন্দর নির্মাণ ঘিরে ধুন্ধুমার! থানায় হামলা চালাল বিক্ষোভকারীরা, আহত ৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের তিরুবনন্তপুরমের ভিজিঞ্জামে (Vizhinjam Port) আদানি বন্দর নির্মাণ ঘিরে আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিল। বন্দর নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এক মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। কেরল পুলিশের হাতে  এক আন্দোলনকারী গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর মুক্তির দাবিতে রবিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা তিরুবনন্তপুরমের স্থানীয় থানায় ভয়াবহ হামলা চালাল।

    থানায় হামলা

    অভিযোগ, কেরালার আদানি বন্দর (Vizhinjam Port) নির্মাণের প্রতিবাদে রবিবার লাতিন ক্যাথলিক চার্চের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা ভিজিঞ্জাম থানায় হামলা চালায়। রবিবারের সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের চারটি জিপ ও একটি মিনিভ্যান ভাঙচুর করেছেন। পুলিশের গাড়ি উলটেও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান জেলাশাসক। হামলার খবর পেয়ে শহরের পুলিশ কমিশনার ও অন্যান্য আধিকারিক সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তড়িঘড়ি ভিজিঞ্জাম থানায় গিয়ে উপস্থিত হন।  পুলিশ সূত্রে খবর এই ঘটনায় পুলিশের ৪টি জিপ, ২টি ভ্যান ও ২০টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। থানায় আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও নষ্ট করা হয়। থানায় হামলার পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এলাকায় ২০০ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহত হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মীও।

    আরও পড়ুন: ভিজিঞ্জাম বন্দরে যাওয়ার রাস্তা আটকানো যাবে না, নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ

    মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, এই বন্দরের (Vizhinjam Port) নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই উপকূলবর্তী একালায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমি ক্ষয় শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মৎসজীবীদের উপর। ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তারপর সামুদ্রিক মাটি অনেকটাই ক্ষয়ে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরা জানিয়েছে, এর উপর প্রায় ৫৬ হাজার মৎস্যজীবি সম্প্রদায় মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। তাই,অবিলম্বে সরকার এই নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিক। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এডিজি বলেন, “বিক্ষোভ গত ১২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে। আমরা সংযম বজায় রেখে চলেছি। কিন্তু রবিবার, জনতা থানা ভাংচুর করে এবং আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়।” রাজ্য সরকারের তরফে, লাতিন আর্কডায়োসিস থেকে ১০৪ দিনের ধর্মঘটের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির পূরণ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্দর নির্মাণকারী সংস্থা ২০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছে। এরই মধ্যে গির্জার কর্মকর্তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। ফাদার ই পেরেইরা বলেছেন যে চার্চ শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share