Tag: vote

vote

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বিতর্ক ঘনায় ভোটদানের হার নিয়েও। এবার সেই (Voter Turnout Trends) সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এবার থেকে নির্বাচন চলাকালীন জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার। পুরো কাজটি হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী সেই পদ্ধতি?

    ভিটিআর (ECI)

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নয়া এই পদ্ধতিটিকে ভোটার টার্নআউট রেশিও বা ভিটিআর বলা হচ্ছে। ইসিআইএনইটি অ্যাপের সাহায্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের তথ্য আপলোড করবে। এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই নয়া প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর নতুন ইসিআইএনইটি অ্যাপে সরাসরি ভোটদানের হার তুলে ধরবেন। এতে ভোটদানের হার আপডেট করার সময়সীমা কমানো যাবে। তবে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার কথা বললেও, পুরনো পদ্ধতি অর্থাৎ পোলিং এজেন্টদের ফর্ম ১৭সি পূরণ করার নিয়মে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।

    ভোটদানের হার

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচনের পর ভোটদানের হার সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এমনই আবহে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে। বছর ঘুরলেই বাংলার নির্বাচন, ভোট হবে তামিলনাড়ুতেও। নয়া পদ্ধতি চালু করে ভোট প্রক্রিয়াকে আরও অভিযোগমুক্ত করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর প্রিসাইডিং অফিসাররা সরাসরি ভোটদানের হার (ECI) আপলোড করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ ইসিআইএনইটিতে গিয়ে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হার পরীক্ষা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

    ইসিআইয়ের মতে, নতুন ভিটিআর ভাগাভাগি প্রক্রিয়াটি পূর্ববর্তী ম্যানুয়াল রিপোর্টিং পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের ব্যবধান হ্রাস করে। তবে পোলিং এজেন্টদের দ্বারা রেকর্ড করা ভোটের হিসেব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার আইনি প্রয়োজনীয়তা অপরিবর্তিতই থাকছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলবে না, সেখানে সংযোগ পুনরুদ্ধারের পরে (Voter Turnout Trends) এন্ট্রিগুলি অফলাইনে করা এবং সিঙ্ক করা যেতে পারে (ECI)।

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    Rajiv Kumar: ফের একবার ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার ইভিএমে (EVM) কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই যন্ত্রগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার পক্ষে সাফাই দিয়েছে।”

    কী বললেন রাজীব কুমার? (Rajiv Kumar)

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “ইভিএম-এ কোনও অবিশ্বাসযোগ্যতা বা কোনও ত্রুটির প্রমাণ নেই। ইভিএমে ভাইরাস বা বাগ আনার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ইভিএমে অবৈধ ভোটের কোনও সুযোগ নেই। কারচুপি অসম্ভব।” তিনি বলেন, “বিভিন্ন রায়ে উচ্চ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্ট বারবার এ কথা বলেছে। এর বাইরে আর কী বলা যায়? গণনার জন্য ইভিএম সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

    ব্যালট সিস্টেমে ফেরা হবে না

    ইভিএমে কারচুপি করা হয় এই অভিযোগ তুলে ব্যালট সিস্টেমে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৃণমূল-সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিন সেই পরামর্শও উড়িয়ে দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Rajiv Kumar) বলেন, “পুরনো কাগজের ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় এবং পশ্চাৎমুখী। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা।” ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন রাজীব কুমার। বলেন, “যে কোনও অভিযোগ এবং আপত্তি যা ওঠে – তা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শেয়ার করা হয়। ভারতীয় ভোটাররা অত্যন্ত সচেতন। ভোটার তালিকা নিয়ে অনেক গল্প ছড়াচ্ছে, এমনকি এখনও। প্রায় ৭০টি ধাপ রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে থাকেন। ফর্ম ৭ ছাড়া কোনও নাম বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    তিনি বলেন, “যাঁরা মহিলাদের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “লোকেরা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তারা নির্বাচনী কর্তাদের হুমকি দেয়। কিন্তু আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করি। তারকা প্রচারক ও যাঁরা রাজনৈতিক প্রচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কর্তব্যই হল শিষ্টাচার বজায় (EVM) রাখা।” এর পরেই তিনি (Rajiv Kumar) বলেন, “যদি কেউ মহিলাদের সম্পর্কে কিছু বলেন, আমরা খুব, খুব কঠোর হব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) বৈঠক হবে ৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেন, “এক দেশ, এক নির্বাচন পরিচালনা করা সহজ কাজ নয়। যৌথ সংসদীয় কমিটি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।” তিনি বলেন, “যখন সংসদীয় কমিটি বসবে, তখন সব বিষয় তাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং আলোচনা করা হবে।”

    যৌথ বিবৃতি (One Nation One Election)

    বামপন্থী দলগুলো সরকারের ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সেই কারণেই লোকসভায় দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজ্য বিধানসভাগুলির অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। যৌথ বিবৃতিতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) মুক্তি, বিপ্লবী সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা বলেন, “সংবিধানে প্রস্তাবিত সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাজ্য আইনসভা ও তাদের নির্বাচিত জনগণের অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। এটি কেন্দ্রীকরণের একটি রেসিপি এবং আইনসভাগুলির পাঁচ বছরের মেয়াদকে অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে জনগণের ইচ্ছাকে সংকুচিত করার চেষ্টা।”

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’

    প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন (One Nation One Election) অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত দুটি বিল। ওই বিলে ভারতের সর্বত্র লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার জন্য এক সঙ্গে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার স্বার্থে বিল পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলটি পর্যালোচনার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন সদস্য লোকসভার। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং মণীষ তিওয়ারি, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির পিপি চৌধুরী, বাঁসুরি স্বরাজ এবং অনুরাগ সিং ঠাকুর। রাজ্যসভার দশজন সদস্যকেও প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যরা সংশোধনীগুলোর বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের যুক্তি, প্রস্তাবিত পরিবর্তনটি শাসক দলকে অযথা সুবিধা দিতে পারে। যার ফলে রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার অতিরিক্ত প্রভাব পড়বে। ক্ষুণ্ণ হবে আঞ্চলিক দলের স্বায়ত্তশাসন (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cash For Vote: রাহুল, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তিন নেতাকে মানহানির নোটিশ পাঠাল বিজেপি

    Cash For Vote: রাহুল, খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তিন নেতাকে মানহানির নোটিশ পাঠাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের তিন নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকে দেওয়ার (Cash For Vote) হুমকি দিলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেটকে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তাওড়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা বিলি করার অভিযোগ তুলেছেন।

    ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি (Cash For Vote)

    আইনি নোটিশে তাঁদের নিঃশর্তে তাওড়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে দেওয়ানি মানহানির মামলা এবং ফৌজদারি মানহানির মামলা করবেন। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাওড়ে বলেন, “কংগ্রেস নেতারা আমাকে ও আমার দলের মানহানির জন্য নির্বাচনের আগে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।”

    কী বলেছিলেন খাড়্গেরা?

    তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে, ১৯ নভেম্বর, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং দলের মুখপাত্র সুপ্রিয়া বলেছিলেন যে বিনোদ তাওড়েকে ভোটারদের মধ্যে ৫ কোটি টাকা বিলি করার সময় হাতে-নাতে ধরা হয়েছে। তাঁরা কেবল (Cash For Vote) আমাকে ও আমার দলের মানহানি করতে চেয়েছিল।”

    বিজেপির এই নেতা বলেন, “আমি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছি। আমি একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি কখনওই এমন কিছু করিনি। কংগ্রেস নেতারা আমাকে, আমার দল ও আমার নেতাদের মানহানি করতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংবাদমাধ্যম ও জনগণের কাছে এই মিথ্যা কথা বলেছিলেন। তাই আমি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নোটিশ পাঠিয়েছি যে তারা যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান, অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: নিজ্জর খুনের ঘটনা জানতেন না মোদি-জয়শঙ্কর-ডোভাল, দিল্লির চাপে ‘ঢোঁক গিলল’ ট্রুডো সরকার

    তাওড়ের বিরুদ্ধে টাকা বিলির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। পদ্ম-সাংসদ সম্বিত পাত্র বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমাদের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে স্পষ্টভাবে রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে তিনি এসে (BJP) সিসিটিভির ফুটেজ দেখুন, নিজেই দেখুন এবং বলুন কোথায় অর্থ রয়েছে (Cash For Vote), কে বিতরণ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি এবং তমলুকে ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একই ভাবে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ফলে ২০২১ সালে তৃণমূলের জয়ী হওয়া বিধানসভাগুলিতে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত শুভেন্দু ম্যাজিকে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    ৩০ শতাংশ মুসলমান এলাকায় এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)

    ২০২১ সালে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচনে জয় ধরে রেখে ব্যাপক ভাবে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুটিতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃণমূলকে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে। আবার কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রায় ৪৮ হাজার ভোটে। একই ভাবে মুসলমান অধ্যষিত বিধানসভাগুলিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। কোলাঘাটে ৩০ শতাংশ মুসলমান রয়েছে, সেখানেও এবার বিজেপি ২৭১১ ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিম এলাকাগুলিতেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বরাবর তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন জনসাধারণ। মুসলমান সমাজের উন্নয়ন নিয়ে মমতা সরকারের দুর্নীতির কথাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন তিনি। একই ভাবে মসজিদের ইমাম ও মুসলমান সমাজের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যকে এগিয়ে নিতে গেলে বিজেপিকে কেন গ্রহণ (Election Result 2024) করা উচিত, সেই দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃবিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী নিজের বুথে হেরেছেন। তিনি বলেছেন, “গোটা জেলাতেই তৃণমূলের ফল (Election Result 2024) অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কেন এই রকম ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের সাংগঠনিক ভাবে দুর্বলতা ছিল। কিছু লোক বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচনে। আমরা পর্যালোচনা করে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার ভোট শুরু, জানুন ভাগ্য পরীক্ষায় কারা রয়েছেন

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফার ভোট শুরু, জানুন ভাগ্য পরীক্ষায় কারা রয়েছেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ৭ মে। শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। এদিন ভোট গ্রহণ চলছে দেশের ৯৩টি আসনে (Lok Sabha Election 2024)। যদিও এদিন নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৯৪টি আসনে। তবে সুরাট কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। যে আসনগুলিতে এদিন ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলি ছড়িয়ে রয়েছে ১২টি রাজ্য ও ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে।

    নির্বাচন হবে সাত দফায় (Lok Sabha Election 2024)

    প্রসঙ্গত, অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে দুটি দফায় ভোট গ্রহণ। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে ১৯ এপ্রিল। সেদিন ভোট গ্রহণ হয়েছে ১০২টি আসনে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয়েছে ২৬ এপ্রিল। এই দফায় নির্বাচন হয়েছে ৮৯টি আসনে। সাত দফায় সব মিলিয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ৫৪৩টি আসনে।

    ভোট হচ্ছে কোথায়?

    তৃতীয় দফায় ভোট গ্রহণ চলছে গুজরাটের ২৬টি আসনে (Lok Sabha Election 2024), মহারাষ্ট্রের ১১টি আসনে, কর্নাটকের ১৪টি আসনে, ছত্তিশগড়ের ৭টি আসনে, উত্তরপ্রদেশের ১০টি আসনে, মধ্যপ্রদেশের ৮টি আসনে, বিহারের ৫টি আসনে, অসমের চারটি আসনে, পশ্চিমবঙ্গের ৪টি আসনে, জম্মু-কাশ্মীরের একটি আসনে, গোয়ার ২টি আসনে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২টি কেন্দ্রে। গুজরাটের সবকটি আসনেই নির্বাচন চলছে এদিন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই দফায় ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর। প্রথম দফায় লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন ১ হাজার ৬২৫ জন। তার পরের দফায় ভাগ্য যাচাই করেছেন ১ হাজার ১৯৮ জন প্রার্থী।

    আরও পড়ুুন: ভারত জেনোফোবিক! মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মুখের মতো জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

    এদিন যাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মনসুখ মাণ্ডব্য, প্রহ্লাদ জোশী, এসপি সিং বাঘেল, শিবরাজ সিং চৌহ্বান, বাসবরাজ বোম্মাই, অখিলেশ যাদব, ডিম্পল যাদব, সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, মহারাষ্ট্রের ওসমানাবাদ কেন্দ্র মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৭ জন প্রার্থী। এদিনের পর হবে চতুর্থ দফার নির্বাচন। সেটি হবে ১৩ মে। তার পর নির্বাচন হবে আরও তিন দফায়। এগুলি হল ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। নির্বাচনের ফল বের হবে ৪ জুন (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “আরও বেশি করে ভোট দিন”, আবেদন মোদি, শাহের

    Lok Sabha Elections 2024: “আরও বেশি করে ভোট দিন”, আবেদন মোদি, শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আজ, ২৬ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হচ্ছে দেশের ৮৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। সেবার ভোট হয়েছিল দেশের ১০২টি কেন্দ্রে। এদিন যে আসনগুলিতে নির্বাচন হচ্ছে, সেগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। প্রথম দফার মতো এবারও আরও বেশি সংখ্যক ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রত্যেক নাগরিকই যাতে ভোট দেন, সেই আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আরও বেশি করে যাতে তরুণ ও মহিলা ভোটাররা দ্বিতীয় দফার ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন (Lok Sabha Elections 2024), সেই আবেদনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? (Lok Sabha Elections 2024)

     এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে, সেখানকার প্রত্যেককে আবেদন জানাচ্ছি আরও বেশি করে ভোট দিন। যত বেশি ভোটার ভোট দেবেন, ততই শক্তিশালী হবে আমাদের গণতন্ত্র। আমি বিশেষ করে অনুরোধ জানাই তরুণ এবং মহিলা ভোটারদের আরও বেশি করে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে। আপনার ভোট আপনার স্বর!”

    শাহি আবেদন

    এদিন যেসব কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে, সেখানকার প্রত্যেক ভোটার যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, সেই আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। শক্তিশালী, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন করতেই প্রত্যেককে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে বলেও জানান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ দ্বিতীয় দফার লোকসভার নির্বাচন। আমি আপনাদের সবার কাছে আবেদন করছি (যাঁদের এলাকায় আজ নির্বাচন রয়েছে) পূর্ণ উদ্যমে যোগ দিন গণতন্ত্রের উৎসবে এবং ভোট দিন রেকর্ড সংখ্যক। শক্তিশালী, সুরক্ষিত ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে যা প্রয়োজন। শক্তিশালী ভারত গড়তে আপনার বন্ধু এবং পরিবারকেও উৎসাহিত করুন।”

    ওই পোস্টে শাহ আরও লিখেছেন, “সেই সরকারকেই বেছে নিন, যারা দেশের উন্নয়নকেই গুরুত্ব দেয়, সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে, দেশের হৃত গরিমা ফিরিয়ে আনে এবং জাতীয় স্বার্থে শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নেয়। আপনাদের প্রতিটি ভোটই উন্নত ভারতের ভিতকে শক্তিশালী করবে। আপনার বন্ধু ও পরিবারকে ভোট দিতে উৎসাহিত করুন (Lok Sabha Elections 2024)।”

  • SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) মামলায় যুগান্তকারী রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সোমবার বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের প্যানেল। চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে দেখা দিয়েছে জটিলতা। বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।

    কী হবে চাকরি খোয়ানোদের নিয়ে? (SSC Recruitment Scam)

    এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার। পরের দফার নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এই দফায় যাঁরা ভোটের ডিউটিতে যাবেন, তাঁদের ট্রেনিং হয়ে গিয়েছে। ভোট নিতে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়, তাও নিয়েছেন তাঁরা। তবে হাইকোর্টের এদিনের রায়ে চাকরি গিয়েছে এঁদের অনেকেরই। এমতাবস্থায় তাঁরা ভোটের ডিউটিতে (SSC Recruitment Scam) যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চাকরি খোয়ানো অযোগ্য শিক্ষকরা ভোটের ডিউটিতে যেতে পারবেন কিনা, চাকরি না থাকায় তাঁরা আদৌ যেতে রাজি হবেন কিনা, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে তাঁরা আর সরকারি কর্মী নন, তাই তাঁদের দিয়ে নির্বাচন করানো যাবে কিনা, এসব হাজারো প্রশ্ন উঠছে।

    কী বলছে কমিশন?

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের অ্যাডিশনাল সিইও অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “আমাদের ভোটকর্মীদের মধ্যে একটা অংশ শিক্ষক। তবে ভোট কর্মীদের ২০-২৫ শতাংশ রিজার্ভ থাকে। তাই তাঁদের দিয়েই ভোট করিয়ে নিতে পারব।” তিনি বলেন, “রিজার্ভ ফোর্সে থাকা ভোট কর্মীদের ডিসি অফিসে রিপোর্ট করার চিঠি চলে গিয়েছে। তাঁরা ডিসি অফিসে চলে যাবেন। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিজার্ভ ভোট কর্মী দিয়ে রিপ্লেস করা হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ৯৪৬ জন সহকারি শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৭৫৬ জন। গ্রুপ সি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল ২ হাজার ৬৭ জনকে। আর গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ৪ হাজার ৫৫০ জন (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share