Tag: voter query eci reply

  • West Bengal SIR: এসআইআর হিয়ারিংয়ে আপনাকে ডাকা হয়েছে কীভাবে জানবেন? সঙ্গে কী কী নথি রাখবেন?

    West Bengal SIR: এসআইআর হিয়ারিংয়ে আপনাকে ডাকা হয়েছে কীভাবে জানবেন? সঙ্গে কী কী নথি রাখবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। আপাতত সেই তালিকায় রয়েছে ৭ কোটি ৮ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৩১ জনের নাম। একইসঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে রাজ্যজুড়ে বাদের তালিকা। যাতে রয়েছে ৫৮,২০,৮৮৯ নাম। এবার শুরু হতে চলেছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ— হিয়ারিং। এখন প্রশ্ন হল, খসড়া তালিকায় আপনার নাম থাকা মানেই কি চূড়ান্ত তালিকাতেও আপনার নাম থাকবে? একেবারেই তা নয়। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এখন প্রায় ২ মাস ধরে চলবে চুলচেরা বিশ্লেষণ। ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২২ বা ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নোটিস পাঠানোর কাজ। তারপরই শুরু হবে হিয়ারিং। অন্যদিকে, যদি আপনার নাম খসড়া ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে আপনাকে নির্বাচন কমিশনের কাছে নতুন আবেদন করতে হবে। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি একজন ভারতীয় নাগরিক এবং যোগ্য ভোটার।

    সমন আসলে দিতে হবে হাজিরা

    কমিশন সূত্রে খবর, খসড়া ভোটার তালিকা ম্যাপিং হয়েছে ৩ ভাগে— প্রোজেনি ম্যাপিং, সেল্ফ ম্যাপিং ও নো-ম্যাপিং। কমিশন সূত্রে খবর, প্রোজেনি ম্যাপিং ও সেল্ফ ম্যাপিংয়ে নাম থাকা ভোটারদের হিয়ারিংয়ে ডাকার সম্ভাবনা কম। কিন্তু, যাঁদের নো-ম্যাপিং হয়েছে, তাঁদের ডাক পড়ার সম্ভাবনা বেশি। খসড়া তালিকায় নাম ওঠা ভোটারদের মধ্যে যাঁদের ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে সঠিক ম্যাপিং হয়নি, অথবা যাঁদের তথ্যে গরমিল বা সংশয় রয়েছে, তাঁদের শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। অর্থাৎ, আপনার কোনও তথ্য নিয়ে কমিশনের যদি সন্দেহ হয়, আপনার কাছে চলে আসবে সমন। আপনার দিতে হবে হাজিরা। কমিশন সূত্রে খবর, অসঙ্গতি রয়েছে প্রায় দেড় কোটিরও বেশি মানুষের নামে। হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে ফর্মে অসঙ্গতি থাকা ভোটারদের।

    কীভাবে জানা যাবে?

    উল্লেখ্য, আপনাকে নোটিস আকারে সমন পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। আর সেই নোটিস নিয়ে আপনার কাছে আসবেন বিএলওরা। অর্থাৎ, আপনার বিএলওই আপনাকে জানাবে আপনাকে কোথায় যেতে হবে হিয়ারিংয়ের জন্য। এ ছাড়াও আপনার মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে আপনাকে জানাতে পারে ইলেকশন কমিশন। তবে এই হিয়ারিং কোথায় হবে, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। ডিইও-দের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের সিইও দফতর। প্রতিটি বিধানসভার জন্য একজন করে ইআরও, ১০ জন এইআরও রয়েছেন। এই ১১ জন আধিকারিক হিয়ারিং টেবিলে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। প্রতিদিন ১০০ জনকে হিয়ারিংয়ে ডাকা হতে পারে।

    হিয়ারিংয়ের দিন হাজির না হলে…

    এসআইআরে হিয়ারিং পর্ব চলবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যেই সব ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হবে। হিয়ারিংয়ে থাকবেন ইআরও বা এইআরও। শুনানির ক্ষেত্রে ভোটারদের স্বার্থ দেখা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানান, উল্লেখিত দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, তা হলে সঙ্গত কারণ দেখালে তাঁকে পরবর্তীতে ফের সময় দেওয়া হবে। শুনানির দিন পাল্টানোর জন্য ইআরও-র কাছে আবেদন করতে হবে। শারীরিক অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে শুনানিতে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকলে প্রয়োজনে ভার্চুয়াল শুনানির ব্য়বস্থাও করতে পারে।

    হিয়ারিংয়ে লাগতে পারে কী কী নথি?

    ১) রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী অথবা পেনশনভোগী হিসেবে পরিচয়পত্র

    ২) ১৯৮৭ সালের আগে পোস্ট অফিস, ব্যাংক, এলআইসি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নথি

    ৩) জন্ম শংসাপত্র

    ৪) পাসপোর্ট

    ৫) মাধ্যমিক বা অন্য যে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র

    ৬) রাজ্য সরকারের অধীন কোনও সংস্থার দেওয়া আবাসিক শংসাপত্র

    ৭) ফরেস্ট রাইটসের শংসাপত্র

    ৮) জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট

    ৯) ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (NRC) — শুধুমাত্র আসামের ক্ষেত্রে

    ১০) স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা পারিবারিক রেজিস্টার

    ১১) সরকারের দেওয়া জমি লিজ বা বাড়ি লিজ সংক্রান্ত শংসাপত্র

    — উপরে উল্লিখিত নথিগুলির সঙ্গে আধার পরিচয়পত্রও রাখবেন।

     

    খসড়া ভোটার তালিকাতে নেই নাম, ডাকা হয়নি শুনানির জন্যও, কী করবেন?

    এ ক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ফর্ম ৬ পূরণ করতে হবে। এর সঙ্গে জমা দিতে হবে অ্যানেক্সচার-৪ এবং অন্যান্য নথিও।

    কেউ যদি ভুয়ো নথি জমা দেন, তাহলে…

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৩৩৭ অনুযায়ী, কেউ নথি জাল করলে তার সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি ফর্ম কমিশনের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে ভোটারের দেওয়া সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তবেই ঠিক করা হবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানির জন্য ডাকা হবে কি না। আগে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে দিনে সর্বোচ্চ ৫০টি শুনানি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এখন কমিশন সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করতে প্রয়োজনে দিনে একশোর বেশিও শুনানি হতে পারে।

LinkedIn
Share