Tag: Waqf Act

  • Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Waqf Act: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Act) প্রতিবাদে এবার সারা দেশে বিক্ষোভে নামছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এমন ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনের তরফ থেকে। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দেশের সংসদে যে আইন পাশ হল ওয়াকফ সম্পত্তিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, সেটাই নাকি সংবিধান বিরোধী মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কাছে (AIMPLB)। শুধু তাই নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আরও দাবি, মোদি সরকারের পাশ করা এই আইন নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সরাসরি হুমকি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

    ৭ জুলাই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (Waqf Act)

    আন্দোলনের দিনক্ষণও স্থির করেছে তারা (Waqf Act)। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৭ জুলাই দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এই বোর্ডের একজন সদস্য মৌলানা গয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন একথা। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধন আইন পাশের আগে দেশের দশটি বড় শহরে আলোচনায় মতামত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় ৯৭ লাখ ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৈরি হয় ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act)। যেখানে দরিদ্র মুসলিমদের সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    নয়া সংশোধনী আইন পাশ হওয়াতে বদলে গিয়েছে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act ) সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই আইন গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন আইন আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’

  • Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Waqf Act: সংসদে পাশ হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য! ওয়াকফ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন (Waqf Act), ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশন খারিজ করার জন্য শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রাথমিক হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। সরকার ওই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণভাবে বৈধ। আরও জানিয়েছে, এই আইনের বিরুদ্ধে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা ভ্রান্ত। এই আইন কখনও ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করেনি। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এক সপ্তাহের ভিতরে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছিল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকার হলফনামা জমা দেয়। সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে। ওয়াকফ আইন নিয়ে ইচ্ছাকৃত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর বিবরণ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করে কেন্দ্র। মোদি সরকার আরও জানিয়েছে, সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করার সমতুল্য!

    কী জানাল কেন্দ্রীয় সরকার (Waqf Act)?

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পূর্ণ বৈধ এবং দেশের সংসদে আইন মেনেই তা পাশ করানো হয়েছে।

    ● দেশের সংসদে তৈরি করা সংশোধনী আইন সংবিধান মেনেই পাশ করানো হয়েছে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ২২ জনের ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ দুইজন অমুসলিম প্রতিনিধি থাকতে পারেন। এটা এমন একটা সংখ্যা যা ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্তকেই প্রাভাবিত করতে পারবে না।

    ● দেশের সংসদ তার নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করেছে, যাতে ওয়াকফ বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বেশ কিছু মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক অধিকারকে সংশোধন করা হয়েছে। এটা ঠিক নয়।

    ● কেন্দ্রের মতে, ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে যেভাবে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, তা আসলে এদেশের বিচারবিভাগীয় মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে যায়।

    ● কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তির একাধিক অপব্যবহার সামনে এসেছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটিতে দীর্ঘ আলোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এই সংশোধনী আইন আনা হয়েছে।

    ● কেন্দ্র জানিয়েছে, কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তা না জেনে, একটা বিধানের (সংসদে পাশ করা আইন) ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা অনভিপ্রেত। যদি সংসদে প্রণোদিত কোনও আইনের উপর এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তা হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্য (Waqf Act) নষ্ট করার সমতুল্য!

    ১৭ এপ্রিল মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টকে হলফনামা দিতে বলে কেন্দ্র

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিলই (Waqf Act) এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৯৯৫ সালের আইনে নথিভুক্ত রয়েছে এমন ওয়াকফ সম্পত্তিতে কোনওরকমের বদল ঘটানো যাবে না। একইসঙ্গে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, নিয়োগ করা যাবে না ওয়াকফ বোর্ড বা পর্ষদেও। তখনই কেন্দ্রকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশও দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক হলফনামা জমা করল শীর্ষ আদালতে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শেরশা সি শেখ মহিউদ্দিন এই হলফনামা জমা দেন শীর্ষ আদালতে।

    ৩৬ বার যৌথ সংশোধনী কমিটির বৈঠক, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদারের পরামর্শ

    প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভাতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে যৌথ সংশোধনী কমিটির ৩৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ৯৭ লক্ষেরও বেশি অংশীদার তাঁরা নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। যৌথ সংসদীয় কমিটি দেশের দশটি বড় শহরে ঘুরে জনসাধারণের মতামত নিয়েই নয়া ওয়াকফ আইনের খসড়া তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার আগে পর্যন্ত যেকোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ প্রপার্টি হিসেবে ঘোষণার অধিকার এতদিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। অতীতে বহুবার এদের বিরুদ্ধে গরিব মুসলমানদের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের (Waqf Act) ব্যক্তিগত সম্পত্তি হরণের অভিযোগ উঠেছে। তবে নয়া সংশোধনীতে এই অধিকার একেবারে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কোন সম্পত্তি ওয়াকফ হবে এবং কোনটি ওয়াকফ নয় তা বিচার করা চূড়ান্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার ১৯৫৪ সালে প্রথমবার ওয়াকফ আইন পাশ করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইনের সংশোধন এনে ফের ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা বাড়িয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।

  • Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    Waqf Act: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল,” মুর্শিদাবাদের হাড়হিম করা ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে কচুকাটা করা হয়েছিল।” মুর্শিদাবাদের ঘটনার নৃশংসতা বোঝাতে (Waqf Act) গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের (NCW Member) সদস্য অর্চনা মজুমদার। শনিবার তিনি হিংসা কবলিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে মুর্শিদাবাদের হিংস্রতাকে ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন তিনি। এই ঘটনার দায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর বর্তায় বলেও মন্তব্য করেন অর্চনা।

    মুর্শিদাবাদের হিংস্রতা (Waqf Act)

    তিনি বলেন, “কোনও মহিলা স্বামী হারিয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন পুত্রকে।” এর পরেই তিনি বলেন, “লোকগুলোকে বাড়ি থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে হত্যা করা হয়েছে। এটা ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা, আমি জানি না। আমরা এই প্রথম এ সব দেখলাম। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই।”

    জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    শনিবার সকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাতকর, হিংসা কবলিত মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “কমিশন জনগণের দাবিগুলি সরকারের কাছে পেশ করবে। এই মানুষগুলো যে কষ্ট ভোগ করে চলেছেন, তা অমানবিক। আমরা সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরব।”

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের বাংলা সফরে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দল (Waqf Act)। দলের সদস্যরা ঘুরে দেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে আতঙ্কিত নারীদের মনোবল বাড়ানোই আমার এই সফরের উদ্দেশ্য।”

    গত ১১ এপ্রিল সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাংশ। সূতি, সামশেরগঞ্জে হিংসা ধারণ করে ভয়াবহ আকার। ওই ঘটনায় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। উন্মত্ত মৌলবাদীদের হিংসায় জখমও হন বেশ কয়েকজন হিন্দু। বেছে বেছে ভাঙচুর করা হয় হিন্দুদের ঘরবাড়ি (NCW Member)। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পার হয়ে মালদায় আশ্রয় নেন আতঙ্কিত হিন্দু জনতা (Waqf Act)।

  • Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    Anti Waqf Act Violence: থমথমে মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার ১৫০, ঘরছাড়া ৪০০ হিন্দু পরিবার, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে (Anti Waqf Act Violence) আন্দোলনের জেরে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত রয়েছে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলায় মোতায়েন করা (BJP) হয়েছে প্রায় ৮ কোম্পানি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে ডিজি স্তর থেকে অতিরিক্ত এসপি পর্যন্ত পদস্থ কর্তাদের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তবে শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

    হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ (Anti Waqf Act Violence)

    কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দেরিতে সাড়া দেওয়ার সমালোচনা করে হাইকোর্ট বর্তমান পরিস্থিতিকে “গুরুতর ও অস্থিতিশীল” বলে অভিহিত করেছে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

    অশান্তির সূত্রপাত

    অশান্তির সূত্রপাত হয় এই সপ্তাহের শুরুতেই (Anti Waqf Act Violence)। শুক্রবার ও তার পরের দিন তা তীব্র আকার ধারণ করে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুন্ডাবাহিনীর হামলা চালায়, অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। জেলার সাঁতরাগঞ্জ, সূতি ও ধুলিয়ান-সহ বিভিন্ন এলাকায় হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে। গুন্ডারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, বাড়িঘরেও হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে উন্মত্ত জনতার একাংশ। এ পর্যন্ত হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাতের হিংসায় তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সাঁতরাগঞ্জের ৬৫ বছর বয়সী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ৪০ বছর বয়সী পুত্র চন্দন দাস। অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি থেকে জোর করে টেনে এনে হত্যা করা হয়। সূতিতে মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের এক যুবকের।

    বিজেপির দাবি, ধুলিয়ান থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০০ মানুষ, যাদের মধ্যে নারী ও কিশোরীও রয়েছেন, নৌকায় করে বৈষ্ণবনগরের পার্লালপুর গ্রামে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদারেরও দাবি, হিংসার মধ্যেই ধুলিয়ানের একাধিক পরিবারকে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে একাধিক পরিবারকে চরমপন্থী মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের হয়রানির কারণে মালদার পার্লালপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এই সময়েও স্থানীয় তৃণমূল প্রতিনিধিরা তাঁদের এলাকা ছেড়ে যেতে হুমকি দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে (BJP)। স্বাধীন ভারতের মাটিতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বিভীষিকাময় দেশভাগের ইতিহাসের সাক্ষী বানাচ্ছেন (Anti Waqf Act Violence)।”

  • BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    BJP: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে, উসকানি দিচ্ছেন মমতা”, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় টার্গেটেড হিংসা চলছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হিংসাকে উৎসাহিত, সমর্থন এবং উসকানি দিচ্ছেন। বাংলায় টার্গেটেড হিন্দুবিরোধী হিংসাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুরক্ষা দিচ্ছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন।” ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ (Anti Waqf Act Protests) করতে গিয়ে যেসব হিংসার ঘটনা ঘটছে রাজ্যে, সে সম্পর্কে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির (BJP) মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী।

    বিজেপির তোপ (BJP)

    তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী বিবেকানন্দের ভূমি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ভূমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকে তোষণের ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছেন। পাশের রাজ্য অসমে সব শান্তিপূর্ণ, দেশের অন্যান্য অংশে শান্তি থাকলেও, বাংলায় কেন হিংসা হচ্ছে? কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটাকে সমর্থন করছেন।” বিজেপির মুখপাত্র বলেন, “এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “এক দিকে এসএসসি কেলেঙ্কারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ায় পুলিশ-প্রশাসন লাঠি ও বেতন ব্যবহার করে। অন্যদিকে, মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় যখন সুনির্দিষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করে উগ্রপন্থী জনতা হামলা চালায়, তখন পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। যখন তাদের ওপর পাথর ছোড়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তখন পুলিশ চুপচাপ বসে থাকে (Anti Waqf Act Protests)।” তিনি বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলার হিন্দুদের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা কি আপনার দায়িত্ব নয়? আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, এবং এজন্য সরাসরি দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের (BJP) ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সেই মামলার শুনানি হল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গত (BJP) কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। এই হিংসায় এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারি সূত্রের খবর (Anti Waqf Act Protests)।

  • VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ জেলার জুড়ে মৌলবাদীদের তাণ্ডব সামনে এসেছে। এই আবহে এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এমন চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা ডক্টর সুরেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, যে ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে সেখানেই মেকি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও জিহাদিদের মধ্যে একটা আঁতাত তৈরি হয়েছে। এরাই এই আইনের বিরোধিতা করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিষয়ে এক কোটিরও বেশি ভারতীয় তাঁদের মতামত দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২৫ ঘন্টা ধরে দেশের সংসদে আলোচনা চলেছে, তর্কবিতর্ক হয়েছে তবেই পাস হয়েছে এই আইন।

    ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা সর্বদাই সংবিধানের কথা বলেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন না। তার বদলে তাঁরা হিংসা ছড়ানোর জন্য সমস্ত রকমের উস্কানি দিচ্ছেন। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘১৮টিরও বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। যাঁরা এই অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের সংবিধানের প্রতি ন্যূনতম মর্যাদা রাখা উচিত। বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা উচিত। ভারতীয় মূল্যবোধের প্রতি আস্থা রাখা উচিত।’’ এদিন তিনি অভিযোগ আনেন যে ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

    নিজের বক্তব্যে উদাহরণও তুলে ধরেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা এ নিয়ে ২০১৩ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে গুরুগ্রামের পালম্বী হার পার্ককে হঠাৎই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করা হয়। কোনও রকমের প্রমাণ ছাড়াই সেখানে প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। তৎকালীন হরিয়ানাতে চলছিল কংগ্রেস সরকার এবং তারা কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই ওই সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণাও করে। এইভাবেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দিল্লিতে ১২৩টি সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফকে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা।

  • Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    Muslim Rashtriya Manch: ওয়াকফ আইন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বিরোধীরা, মোকাবিলায় পথে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ করে ছেড়েছেন তাঁরা। তার পরেও ক্ষমতায় ফিরতে নয়া ওয়াকফ আইন (Waqf Act) নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। অথচ খোদ মুসলমানদেরই একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন ওয়াকফ আইনকে। জনমানসে বিভ্রান্তি কাটাতে এবং বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে পথে নামছে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (Muslim Rashtriya Manch)। মঞ্চের সিদ্ধান্ত, নয়া আইন সম্পর্কে গুজব দূর করতে এবং বিভ্রান্তি কাটাতে দেশজুড়ে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স করা হবে। আয়োজন করা হবে ৫০০-রও বেশি আলোচনাসভার। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের মেন্টর ইন্দ্রেশ কুমার জানান, নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে যে ভুল ধারণা ও গুজব ছড়ানো হয়েছে, তা দূর করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ কুমার (Muslim Rashtriya Manch)

    দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ইন্দ্রেশ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “এই আইনের উদ্দেশ্য এবং সুবিধাগুলি প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মঞ্চ সারা দেশে ১০০টিরও বেশি প্রেস কনফারেন্স এবং ৫০০টিরও বেশি সেমিনারের আয়োজন করবে। এই আইন মুসলিম সম্প্রদায়ের আত্মমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমানাধিকারকে আরও বেশি করে শক্তিশালী করবে।” দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার ও অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলির উল্লেখ করে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন এই সম্পত্তিগুলির স্বচ্ছ ও সমতাভিত্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে। এর ফলে উপকৃত হবেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি বলেন, “নয়া এই আইন কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং সকল মুসলমানের স্বার্থেই প্রণয়ন করা হয়েছে।”

    যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল সম্পর্কিত যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল বলেন (Muslim Rashtriya Manch), “এই নয়া আইনটিতে সম্মতি দিতে গোটা দেশ যেন একজোট হয়েছে, এমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে।” নয়া ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই আইনটি সমাজে দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা, দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে একটি সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।” জেপিসির চেয়ারম্যান বলেন, “এই আইনটি কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির স্বচ্ছ ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করবে না, বরং সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও বঞ্চিত অংশের অধিকার সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।”

    কী বলছেন রামলাল

    আরএসএস নেতা রামলাল ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্প্রীতি বাড়ানোর দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই পরিবর্তন ভারতীয় সমাজকে নতুন শক্তি দেবে এবং সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এই মন্ত্র বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” রামলাল আরও বলেন, “নতুন এই আইনটি কেবল একটি আইনি পরিবর্তন নয়, বরং এটি সামাজিক ও নৈতিক সংস্কারের দিকে একটি বড় অগ্রগতি (Muslim Rashtriya Manch)।” রামলাল জনগণকে তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নতুন ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে সমাজের প্রতিটি অংশ এর তাৎপর্য বুঝতে পারে।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে। এরা মুসলিমদের দ্বারা দান করা সম্পত্তি পরিচালনা করে।

    সরকারের দাবি

    নয়া আইন অনুযায়ী, ওয়াকফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে দু’জন মহিলা সদস্যও থাকবেন। এছাড়াও, কোনও সম্পত্তি ওয়াকফের না সরকারের, তা এখন থেকে জেলা কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বের পদস্থ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয় (Muslim Rashtriya Manch)। বিরোধী দলগুলি নয়া ওয়াকফ আইনের সমালোচনা করে একে অসাংবিধানিক ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও মুসলিম-বিরোধী পদক্ষেপ নয়, বরং নতুন এই আইন ওয়াকফ সম্পত্তি ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে (Waqf Act)। কংগ্রেস, এআইএমআইএম এবং আপ-সহ বিরোধী দলগুলির কিছু নেতা নয়া ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পৃথক আবেদন দাখিল করেন (Muslim Rashtriya Manch)।

LinkedIn
Share