Tag: Waqf Property

  • Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেল্লোর জেলার আনাইকাট্টু তালুকের কট্টুকোল্লাই গ্রামে হঠাৎ এক নোটিশ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫০টি পরিবার সম্প্রতি এমন একটি নোটিশ পেয়েছেন, যেখানে তাদের বসবাসের জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ভেল্লোর জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। নোটিশটি সাঈদ আলি সুলতান শাহ নামে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কট্টুকোল্লাই গ্রামের জমি একটি স্থানীয় দরগার সম্পত্তি এবং গ্রামবাসীদের হয় সেই জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে, অথবা দরগাকে কর (ট্যাক্স) দিতে হবে।

    অযৌক্তিক দাবি

    গ্রামবাসীদের কথায়, তারা প্রায় চার প্রজন্ম ধরে তামিলনাড়ুর ওই গ্রামে বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশের কাছেই সরকারি দলিলপত্র রয়েছে। তারা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং এই জমিই তাদের একমাত্র জীবিকা। এই দাবির ফলে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হিন্দু মুনানির নেতা মহেশ এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন এবং প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই গ্রামে চার প্রজন্ম ধরে মানুষ বসবাস করছেন। তাদের কাছে সব ধরনের সরকারি দলিল আছে। অথচ এখন সার্ভে নম্বর ৩৩০/১-এর জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।” তিনি প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের নামে ‘পাট্টা’ (মালিকানা দলিল) জারি করার দাবি জানান, যাতে তাদের বসবাস এবং জীবিকা সুরক্ষিত থাকে।

    এই দাবি নতুন নয়, তাই ওয়াকফ বিল

    তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার থিরুচেন্দুরাই গ্রামেও সম্প্রতি ওয়াকফ বোর্ড প্রায় ৪৮০ একর জমি এবং একটি ১৫০০ বছরের পুরনো চোল যুগের মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে। সেখানেও গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল, তারা জমি বিক্রি করতে পারবেন না, যদি না ওয়াকফ বোর্ড থেকে ‘না-আপত্তি সনদ’ (NOC) নেন। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, ১৯৫৪ সালের সরকারি জরিপ অনুযায়ী তাদের মালিকানায় রাজ্যের ১৮টি গ্রামে প্রায় ৩৮৯ একর জমি রয়েছে। তবে এসব দাবি বহু বাসিন্দার কাছে অজানা ছিল, যতক্ষণ না তারা জমি বিক্রির উদ্যোগ নেন। এই ইস্যুটি জাতীয় স্তরেও আলোড়ন তোলে। সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল আলোচনা চলাকালে বিষয়টি তুলে ধরেন। সংসদে ১২ ঘণ্টার বিতর্কের পরে, উক্ত বিল দুই কক্ষে পাশ হয় এবং ৫ই এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেওয়ার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

     

     

     

     

     

     

  • Andhra CM: মুসলিম উন্নয়ন বাদে আয় বাড়াতে ওয়াকফ সম্পত্তি লিজের পরিকল্পনা! রুখে দিলেন চন্দ্রবাবু

    Andhra CM: মুসলিম উন্নয়ন বাদে আয় বাড়াতে ওয়াকফ সম্পত্তি লিজের পরিকল্পনা! রুখে দিলেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াকফ বোর্ড ৩০ হাজার একর জমি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে লিজ দেওয়ার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তবে গত বৃহস্পতিবারই চন্দ্রবাবু নাইডু সরকার ওই বিজ্ঞপ্তিকে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। এমন নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু (Andhra CM)। নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার যখন এমন পদক্ষেপ করছে, তখন এরাজ্যে ঠিক যেন বিপরীত চিত্র ধরা পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, তাঁর সরকার এই আইনকে সমর্থন করেনা। এই আইন পশ্চিমবঙ্গে লাগুও হবে না। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। দরিদ্র মুসলিম সমাজের কল্যাণে যে আইন পাশ হল দেশের সংসদে, তা লাগু না করার কথা কোন স্বার্থে বলছেন মমতা।

    কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (Andhra CM)

    তারপরে সে রাজ্যের সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগ গত বুধবারে তা বাতিল করার আদেশ জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু (N Chandrababu Naidu) জানিয়েছেন, এই ধরনের জমি শুধুমাত্র মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা উচিত। তা অন্য কোনও কাজে যেন ব্যবহার না করা হয়। এ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর আজিজ জানিয়েছেন, তাঁরা অবগত অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তে।

    পেট্রোল পাম্প, শপিং কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবনকে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা

    জানা যাচ্ছে, এই জমিগুলি বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে লিজ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে পেট্রোল পাম্প, শপিং কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবন, মাল্টিপ্লেক্স- এই সমস্ত কিছুই ছিল। ওয়াকফের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, তাতে ৮ মে পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সে সবই বাতিল হল সরকারের সিদ্ধান্তে। এনিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর (Andhra CM) এমন বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সংখ্যালঘু বিভাগকে তিনি তা জানিয়ে দিয়েছেন। ওয়াকফ সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু (N Chandrababu Naidu)।

  • Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    Waqf Amendment Act: দেশব্যাপী কার্যকর নয়া ওয়াকফ আইন, শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাস হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Act)। এর পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা পরিণত হয়ে গিয়েছে আইনে। এবার  ৮ এপ্রিল, থেকে দেশের সর্বত্র তা কার্যকার হল। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে মঙ্গলবার তা জানিয়ে দিল মোদি সরকার। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ -এর ধারা (১) এর উপধারা (২) এর ক্ষমতা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে এই আইনকে কার্যকর করল। ওয়াকফ আইন কার্যকর হওয়ার পরেই বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। তাঁর মতে, আগের ওয়াকফ আইন সংবিধানের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। যা হতে দেওয়া যায় না। কারণ, দেশের সংবিধান সবার ওপরে।

    সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল কেন্দ্রের (Waqf Amendment Act)

    লোকসভায় ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়ে যেতেই পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধীরা। দেশের শীর্ষ আদালতে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল এই আবেদনের শুনানি হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে ওয়াকফ আইনের বিষয়ে। এই আইন বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে শুনানির আবেদন করেছে সরকার। অর্থাৎ, সরকারপক্ষের যুক্তি না শুনে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারবে না শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী রাজনীতিবিদরা ছাড়াও অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ সহ দশটিরও বেশি সংগঠন আবেদন করেছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দেন ৯৫ জন সদস্য। এরপরেই বিলটি (Waqf Amendment Act) পাশ হয়ে যায়। এর আগে ৩ এপ্রিল লোকসভায় বিলটি পাশ হয়। ২৮৮ জন সদস্য এই বিলকে সমর্থন করেন। ২৩২ জন সদস্য এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।

    মোদির বিবৃতি

    এই আবহে সামনে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি। ওয়াকফ আইন (Waqf Amendment Act) নিয়ে মোদি বলেন, ‘‘তোষণের ওই বীজ রোপণ হয়েছিল স্বাধীনতার সময়ে। ভারতের সঙ্গে যে দেশগুলি স্বাধীন হয়েছিল তাদের কাউকে বিভাজনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। কিন্তু কিছু ব্যক্তির রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে ক্ষমতার লোভে দেশের বিভাজন হয়। এতে কংগ্রেস ও কট্টর মুসলিমদের লাভ হয়। কিন্তু গরিব, পিছিয়ে থাকা পসমন্দা মুসলিম সমাজের কী লাভ হয়? তাঁরা অশিক্ষা ও আয় না থাকার চক্রে আটকে পড়েন। আর মহিলারা শাহ বানোর মতো অবিচারের শিকার হন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘যে সংবিধান ন্যায়ের কথা বলে তার থেকেও শক্তিশালী ছিল ওই আইন। ওই আইন এনে কট্টরপন্থী মুসলিম ও ভূমি মাফিয়াদের হাত শক্ত করা হয়। তাঁদের জমি হরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। যে আইন ন্যায়ের জন্য ছিল তা ভয়ের কারণে পরিণত হয়।’’

  • Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদে দুই পক্ষের পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Act)। পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত। এই আইনের একটা সংস্থান হল জমি বা সম্পত্তি দানে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’। কী এটা? নতুন আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম পাঁচ বছর ধরে পালন করলে, তারপরেই ওয়াকফ দান করা যাবে।

    কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

    অতীতে ওয়াকফ দান ঘিরে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ছবি সামনে এসেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ওই হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, তিনি ওই জমি ওয়াকফ হিসেবে দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, বহু হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে স্রেফ তাঁর জমি দখল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম তার প্রতিকার দেওয়া রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে পালন করলে তবেই ওয়াকফ দান করা যাবে। অর্থাৎ যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাঁরাও আগে পাঁচ বছর ধরে ইসলামকে পালন করুক। ইসলামকে বুঝুক। তার পর যদি তাঁদের মনে হয়, ওয়াকফে দান করবেন, তখন তাঁরা জমি দান (Waqf Amendment Act) করতে পারবেন।

    কেন এই সংস্থান তাৎপর্যপূর্ণ?

    এ নিয়েই একজন বিজেপি সাংসদ যিনি জেপিসি-র সদস্যও বটে, তিনি বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হল, ধর্মান্তরিতরা যাতে না প্রতারিন হন, তা নিশ্চিত করা। আর পাঁচ বছর সময়সীমা রাখা হয়েছে, কারণ, এটা বাস্তবসম্মত। কোনও নতুন বিষয়কে বোঝার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার। তিনি এও জানান, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না যাঁরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে। এটা প্রযোজ্য যাঁদেরকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে তাঁদের ক্ষেত্রেই। কারণ তাঁদেরকে বুঝতে সময় দেওয়া উচিত যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা ঠিক কি! এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে ১৯১৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড মিলিতভাবে ১৮ লক্ষ একর জমির মালিক ছিল। কিন্তু বিগত ১২ বছরে তারা অতিরিক্ত ২১ লক্ষ একর জমির মালিকানা (Waqf Amendment Act 2025) দাবি করছে।

    কীভাবে করা যাবে চিহ্নিত?

    কিন্তু সরকার কীভাবে সেই সমস্ত মুসলিমদেরকে চিহ্নিত করবে যারা পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে (Waqf Amendment Act) পালন করছে! এমন প্রশ্নই সংসদে করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং সৈয়দ নাসির হোসেন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের উত্তরে বলেন, ‘‘নতুন ওয়াকফ আইন যখন বাস্তবায়িত হবে, সেখানেই এনিয়ে বিস্তৃত লেখা থাকবে। কে মুসলিম কে অমুসলিম সেটা বাছাই করা হবে প্রামাণ্য নথি দিয়েই।’’

  • Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    Shaheen Bagh: পাল্টে গেল শাহিনবাগ! ওয়াকফ আইনের সমর্থনে মুসলিমদের মিছিল, মোদির প্রশংসায় উঠল স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার খবরের শিরোনামে চলে এল দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh)। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে এই শাহিনবাগেই দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল আন্দোলন। কয়েকশো মহিলা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ধর্নায় বসেছিলেন (Waqf Property)। রবিবার সেই শাহিনবাগেই বের হল বিশাল মিছিল। নয়া ওয়াকফ আইনের সমর্থনেই এদিন পদযাত্রায় যোগ দেন মুসলিমরা। ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের আহ্বায়ক শাহজাদ আলি ইদ্রিসি বলেন, ‘ক্লিন ওখলা গ্রিন ওখলা’ সংগঠনের এই সমাবেশে শাহিনবাগ ও পার্শ্ববর্তী ওখলা – উভয়ই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ৭০ জনেরও বেশি মুসলিম পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।

    পদযাত্রায় মুসলিমরা (Shaheen Bagh)

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিলের সমর্থনে সংগঠনের কর্তারা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।” ইদ্রিসি বলেন, “এতকাল ধরে স্বঘোষিত মুসলিম নেতারা, আইএমপিএলবি এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদীরা আমাদের সম্প্রদায়ের কথাকে হাইজ্যাক করে রেখেছে। আজ শাহিনবাগ দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা প্রগতির পক্ষে, তাদের পক্ষে নয় যারা ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করে তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা, যাঁদের অনেকেই একসময় একই রাস্তায় সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কার আনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। এদিনের পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সিদ্দিকি। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেশ কিছু মুসলিম ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেন, “এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নয়। এটি গরিব ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। ওয়াকফ লুটের মাধ্যমে যারা নিজেদের (Waqf Property) পকেট ভারী করেছে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বিষয় (Shaheen Bagh)।”

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    প্রসঙ্গত, ৩০ মার্চ লোকসভায় পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়ে যায়। পরে অনুমোদনের জন্য সেটি পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই বিলটি পরিণত হয় আইনে। ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে নানা সময় বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ধর্মীয়, সামাজিক ও দাতব্য কাজের জন্য দান করা ওয়াকফ সম্পত্তি (Waqf Property) রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ধর্মগুরু ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ব্যক্তিগত জমিদারিতে পরিণত হয়েছিল।

    দেশজুড়ে সমীক্ষা

    বিলটি লোকসভায় পেশ করার আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে একটি সমীক্ষা করে। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বেরেলিতে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে একটি বাড়ির উল্লেখ থাকলেও, প্রকৃত পক্ষে সেখানে ছিল ২১টি দোকান, দুটি বাড়ি এবং একটি মসজিদ। হাথরাসে তহশিল রেকর্ডে ওয়াকফ সম্পত্তিকে অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে আয় হয়েছিল মাত্র ৫ লাখ টাকা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান সালিমরাজ স্বীকার করেন, “প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ রেজিস্ট্রির পর প্রাইম ওয়াকফ সম্পত্তিতে দোকান ও শোরুম খুলেছে।” বিহারে শিয়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে (Shaheen Bagh)।

    এআইএমপিএলবির বিরুদ্ধাচরণ করার ডাক

    ভামসি ডিজিটাল পোর্টালে হাজার হাজার আনভেরিফায়েড ওয়াকফ সম্পত্তি জমা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশের সুন্নি ও শিয়া বোর্ড সহ রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলি দুবছর আগে জমা দেওয়া সমীক্ষায় প্রাপ্ত ডেটা যাচাই করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজস্থানেই ৭০৬টি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল হওয়ায় ভাজনলাল শর্মার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার রাজ্যস্তরে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, এদিনের পদযাত্রাটি কেবল ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত হওয়ার কারণেই নয়, এটি ছিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের (এআইএমপিএলবি) বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক। কারণ এই সংস্থাই সুপ্রিম কোর্টে নয়া আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিক্ষোভ প্রদর্শনের ডাক দিয়েছে (Waqf Property)।

    কী বললেন সিদ্দিকি

    এদিন সিদ্দিকি সাফ জানিয়ে দেন, “এআইএমপিএলবির কোনও আইনি সংস্থা নয়, জনমানসে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতাও নেই, অথচ তারা দাবি করে যে তারা সব মুসলমানের পক্ষে কথা বলে। আমি আগেই তাদের ‘বোর্ড’ শব্দটি সরানোর জন্য লিখিত অনুরোধ করেছি। এখন আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তাদের অর্থনীতি, কার্যক্রম এবং মুসলমানদের ভুল পথে চালিত করার ভূমিকা তদন্তের অনুরোধ করব (Shaheen Bagh)।”

    উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি মূলত ধর্মীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গঠিত হলেও, এখন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংস্কারে বাধা দেওয়া, অবৈধ ওয়াকফ সম্পত্তি দখল রক্ষা করা এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার। ইদ্রিসি বলেন, “ওয়াইসি ও মাদানি পরিবার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয়ে আছে। এই দেশের গরিব মুসলমানদের চাকরি, শিক্ষা ও নিরাপদ বাসস্থান (Waqf Property) চাই, কেবল বিক্ষোভ নয় (Shaheen Bagh)।”

LinkedIn
Share