Tag: war

war

  • World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার উপকূলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউরোপের কাছাকাছি (World War 3) চারটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দুই উন্নত দেশের এই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে বিশ্বের ঈশান কোণে ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। এই বিমানগুলি অতীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে।

    কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদল (World War 3)

    ট্রাম্পের এই নির্দেশের আগে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাশিয়া দ্রুত তাদের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদলে ফেলে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, “মার্কিন সাবমেরিনগুলি এখন সেখানেই রয়েছে, যেখানে থাকা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মস্কোর প্রতি একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, রুশ বোমারু বিমানগুলি আর্কটিক অঞ্চলের মুরমানস্ক এলাকার ওলেনিয়া এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার পর এবার সেগুলিকে ফের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু বিমান সারাতভ অঞ্চল থেকেও সরানো হয়েছে। কারণ রাশিয়ান সামরিক ভবনে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ

    এই বোমারু বিমানগুলি রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ। তবে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ মিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে এগুলি (World War 3)।এদিকে, ইউক্রেন একটি বড় সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা একটি রুশ জেট ফাইটার গুলি করে নামিয়েছে এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় চালানো এক হামলায় চারটি সামরিক বিমানের ক্ষতি করেছে। এই হামলাটি ঘটেছে মাত্র এক দিন আগেই।

    প্রসঙ্গত, মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এর আগে ট্রাম্পকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “রাশিয়া ইজরায়েল বা ইরান নয়, এবং সতর্ক করেন যে ট্রাম্পের প্রতিটি হুমকি বিশ্বকে একটি (Putin) পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।” এই সতর্কতার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। যা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে (World War 3)।

  • Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    Tariff War: বক্তব্যে ‘ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ’! ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রাম্প-প্রীতি দেখাতে গিয়ে ঘরে-বাইরে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “মৃত অর্থনীতি” মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাহুল চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আক্রমণ করতে (Tariff War)। তবে তা যে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের এই নেতা। কারণ তাঁর দলের সহকর্মী এবং ‘ইন্ডি’ জোটের কিছু নেতাও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের মন্তব্যকে সমর্থন করার মাধ্যমে রাহুল একদিকে যেমন বিজেপিকে রাজনৈতিক পাল্টা আক্রমণের সুযোগ করে দিয়েছেন, তেমনই বিরোধ বাঁধিয়ে দিয়েছেন দলের অভ্যন্তরেই।

    ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য (Tariff War)

    রবিবার ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করার পরের দিনই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ভারত ও রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, তিনি একেবারেই চিন্তিত নন দিল্লি-মস্কোর মধ্যের এই সম্পর্ক নিয়ে। এই দুই দেশই তাদের মৃত অর্থনীতি এক সঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, “আমি চিন্তা করি না ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে। তারা চাইলে তাদের মৃত অর্থনীতিকে এক সঙ্গে তলিয়ে যেতে দিতে পারে। এতে আমার কিছু আসে যায় না। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। ওদের শুল্ক হার অত্যন্ত বেশি। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উচ্চ। একইভাবে, রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যেও প্রায় কোনও ব্যবসা নেই। সেটাই থাকা উচিত।”

    কংগ্রেসে মতবিরোধ

    ট্রাম্পের এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই রাহুল সংসদে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) ঠিকই বলেছেন। এটা সবাই জানে, শুধু প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছাড়া। আমি খুশি যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথাই বলেছেন।” রাহুল যখন ট্রাম্পের মন্তব্য সমর্থন করে (Tariff War) কেন্দ্রকে নিশানা করেন, তখন কংগ্রেসেরই প্রবীণ নেতা শশী থারুর এবং রাজীব শুক্লা ভারতের অর্থনীতির শক্তির দিকটি তুলে ধরেন। থারুর বলেন, “দিল্লির উচিত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।” শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী)-র সাংসদ এবং বিরোধী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ট্রাম্পকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য স্রেফ অহংকার বা অজ্ঞতার প্রকাশ (Rahul Gandhi)।”

    রাহুলের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিযোগ এনে রাহুল দায়ী করেন নোটবন্দি এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটিকে। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, “অ্যাসেম্বল ইন ইন্ডিয়া – যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র একটি পরোক্ষ সমালোচনা – ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, কৃষকদের পিষে ফেলা হয়েছে।” রাহুলের এই মন্তব্যের একেবারে উল্টো সুর শোনা গিয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা থারুরের গলায়। তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ব্রিটেনের সঙ্গে একটি চুক্তি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছি। যদি আমেরিকায় প্রতিযোগিতা করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের মার্কিন বাজার ছেড়ে অন্য বাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে (Rahul Gandhi)। আমাদের কাছে বিকল্পের অভাব নেই।”

    থারুরের যুক্তি

    থারুর বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আচরণ করে, তাহলে ভারতকে অন্য কোথাও এগিয়ে যেতে হবে। এটাই ভারতের শক্তি। আমরা চিনের মতো পুরোপুরি রফতানি- নির্ভর অর্থনীতির দেশ নই। আমাদের একটি শক্তিশালী ও বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। আমাদের দর কষাকষির জন্য যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের সমর্থন করতে হবে যাতে সম্ভব হলে সেরা চুক্তিটি করা যায়। আর যদি ভালো চুক্তি সম্ভব নাও হয়, তাহলে আমাদের সেখান থেকে সরে আসতে হতেই পারে (Tariff War)।”

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ অমিত

    রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতা যখন ট্রাম্পের মৃত অর্থনীতি মন্তব্যকে তোল্লাই দেন, তখন তিনি এক নয়া নিম্নস্তরে পৌঁছে যান। এটি ভারতীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা, সাফল্য এবং মঙ্গলকে লজ্জাজনকভাবে অপমান করা (Rahul Gandhi)”। তিনি বলেন, “কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এখানে একমাত্র যা সত্যিকার অর্থে ‘মৃত’, তা হল রাহুল গান্ধীর নিজের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা ও উত্তরাধিকার। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও ভারত আজ বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতির দেশ। আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্ক এর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ওপরের দিকেই বলে জানিয়েছে।” মালব্য বলেন, “এটি কোনও মৃত অর্থনীতি নয়। এটি একটি উত্থানশীল, দৃঢ় ভারত।”

    তাঁর প্রশ্ন, “রাহুল গান্ধী আসলে কার হয়ে কথা বলছেন? কেন তিনি বারবার এমন বিদেশের হয়ে প্রচার করেন, যা ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে?” মালব্য বলেন, “আমি আজ একই বিষয়ে কংগ্রেসের দুই নেতার মন্তব্য শুনেছি (Rahul Gandhi)। একজন ভারতের স্বার্থে কথা বলেছেন, আর অন্যজন এমন সুরে কথা বলেছেন যা তাঁর বিদেশি (Tariff War) প্রভুদের খুশি করবে।”

  • Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    Iran Israel Conflict: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে জড়াল আমেরিকাও, পরিণতি কী হতে পারে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Iran Israel Conflict) এবার জড়িয়ে পড়ল আমেরিকাও। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমানবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে চড়ছে উত্তেজনার পারদ (US Attacks Iran)। এদিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা ইরানি কাঠামোগুলির ওপর খুবই সফল হামলা চালিয়েছে। তেহরান (ইরানের রাজধানী)-কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত বন্ধ না করলে ইরানকে আরও বড় পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে পাঁচটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের।

    পরিস্থিতি ১ (Iran Israel Conflict)

    ইরান তার তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন ঘাঁটিগুলোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, “এখন অঞ্চলজুড়ে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক বা সামরিক সদস্য একটি লক্ষ্যবস্তু।” এদিকে, নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

    পরিস্থিতি ২

    ইজরায়েল হাই অ্যালার্ট জারি করতে পারে এবং ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ওপর আগাম হামলা চালাতে পারে। গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের সব অঞ্চল থেকে অপরিহার্য কার্যকলাপ পরিচালিত হবে। শিক্ষাদান, জমায়েত এবং কর্মক্ষেত্র আপাতত বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র (US Attacks Iran)।”

    পরিস্থিতি ৩

    ইরান লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাতে হিজবুল্লা ও অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করতে পারে। হিজবুল্লা, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া এবং গাজায় হামাস — এই গোষ্ঠীগুলো মিলে ইরানের কথিত “প্রতিরোধ অক্ষ” গঠন করেছে, যার লক্ষ্য শক্তি প্রদর্শন, আমেরিকা ও ইজরায়েলি প্রভাব প্রতিহত করা এবং সরাসরি সংঘর্ষ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। তবে এই মিত্র গোষ্ঠীগুলি এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। এদের অনেকেই এখন দুর্বল, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং নিজ নিজ সমস্যার সমাধান করতেই ব্যস্ত (Iran Israel Conflict)। সম্প্রতি হিজবুল্লাহ প্রধান শেখ নাইম কাসেম ঘোষণা করে, ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সংগ্রামে তিনি সব ধরনের সহায়তা দেবেন। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয়। এই তথ্য জেরুজালেম পোস্টই প্রকাশ করেছে।

    পরিস্থিতি ৪

    চিন ও রাশিয়া এই দুই অন্যতম মহা শক্তিধর দেশ এবং যাদের বৈশ্বিক প্রভাবও অনেক, তারা হয়তো শান্তির আবেদন জানাবে। যদিও গোপনে কূটনৈতিকভাবে ইরানকে সমর্থন করতে পারে। মঙ্গলবার চিন অভিযোগ করেছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে তেল ঢেলে দিচ্ছেন। কয়েকদিন পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সব পক্ষকে, বিশেষ করে ইসরায়েলকে সংঘর্ষ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একইভাবে রাশিয়া আমেরিকাকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ না করে (US Attacks Iran)। রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল যদি ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়, তাহলে তা চেরনোবিল ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    পরিস্থিতি ৫

    ইরানের ওপর হামলার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। কারণ ইরান একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। মার্কিন হামলার জেরে ইরান বন্ধ করে দিতে পারে হরমুজ প্রণালী। মনে রাখতে হবে, এটি একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ, যার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল রফতানি করা হয়।

    ‘দ্য কনভারসেশনে’র মতে, অনেক তেল বিকল্প সরবরাহপথে পাঠানো যেতে পারে। যেমন সৌদি আরবের বিশাল (৬ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন) পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন, যা লোহিত সাগরের দিকে নিয়ে যায়, সেই পথে তেল পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া আছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির একটি পাইপলাইন, যা হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। তবুও, বাড়তি ঝুঁকি ও পরিবহণ খরচের কারণে পেট্রোল পাম্পে দামের বড়সড় লাফ দেখা যেতে পারে (Iran Israel Conflict)।

    প্রসঙ্গত, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া ট্রাম্প লিখেছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমানবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে (US Attacks Iran)। তিনি লেখেন, অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অভিযান চালাতে পারেনি। এখন শান্তির সময় এসেছে (Iran Israel Conflict)।

  • Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    Operation Sindoor: দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একবার নয়, দু’-দু’বার ভারতের কাছে সংঘর্ষ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিল পাকিস্তান। প্রথম অনুরোধটি এসেছিল ৭ মে সন্ধ্যায়। সেদিন পাকিস্তানের (Pakistan) ডিজিএমও আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ভারতের কাছে। পাকিস্তানের এই অনুরোধ আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) অধীন যখন পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি নয়াদিল্লি। কারণ ইসলামাবাদের আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ ছিল নয়াদিল্লির। এরও কারণ রয়েছে। সেটি হল, শান্তির আহ্বানের পাশাপাশি ভারতীয় সামরিক পরিকাঠোমাগুলির ওপর নতুন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তান।

    সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব (Operation Sindoor)

    এর পরে দুই দেশের সংঘর্ষ চলে আরও তিনদিন। ১০ মে ফের বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে যুযুধান দুই দেশের ডিজিএমও স্তরের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানেই সমঝোতায় পৌঁছয় দুই দেশ। উদ্দেশ্য ছিল পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তজনা কমানো। এর আগে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন, পাকিস্তানের ডিজিএমও তার ভারতীয় সমকক্ষের সঙ্গে আলোচনার অনুরোধ জানান। কারণ ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলির ওপর নির্ভুল আঘাত হেনেছিল।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। সূত্রের খবর, এই অপারেশনে নিহত হয়েছেন ১৬০ জনেরও বেশি। এর মধ্যে যেমন জঙ্গিরা রয়েছে, তেমনি রয়েছে তাদের সহযোগী এবং পাক সেনাকর্মীরাও। এর মধ্যে ২০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছে বাহাওয়ালপুরে (Operation Sindoor)। এটি জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহাওয়ালপুরে নিহতদের অনেকেই জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে।

    পাক সশস্ত্র বাহিনীরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। অনুমান, ৩৫ থেকে ৪০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ১১ জন সেনা নিহত ও ৭৮ জন জখম হওয়ার কথা কবুল করেছে। ১০ মে প্রতিশোধমূলক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে ভারত। এই হামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক বিমানঘাঁটিতেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে (Operation Sindoor)।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    Indian Railways: কারগিল যুদ্ধের শহিদকে শ্রদ্ধা ভারতীয় রেলের, আস্ত লোকোমোটিভ উৎসর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। তাঁর স্মৃতিতে একটি ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করল তারা। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হয় তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে। ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের (Kargil War Hero) এই বীর শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হল এই অনুষ্ঠান।

    কারগিল যুদ্ধের নায়ক

    ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ার কারগিল যুদ্ধে অসম সাহস দেখিয়ে আত্মত্যাগ করেন। তাঁর বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র দেওয়া হয়। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় রেল জানিয়েছে, “বীরত্ব অমর! ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধে মহাবীর চক্র প্রাপক ক্যাপ্টেন অনুজ নায়ারের অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগকে স্মরণ করে, ভারতীয় রেলওয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁর স্মৃতিতে ডব্লুএজি-৯ এইচসি লোকোমোটিভ উৎসর্গ করেছে আরাক্কোনামের ইলেকট্রিক লোকো শেডে।”

    নায়ারের গুরু দায়িত্ব

    ১৯৭৫ সালের ২৮ অগাস্ট দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন নায়ার। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু ডিপিএস মথুরা রোডে। তারপর চলে যান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। পরে যোগ দেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, দেরাদুনে। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৭ জাঠ রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন। অপারেশন বিজয়ের সময়, ক্যাপ্টেন নায়ার মুশকোহ উপত্যকায় পয়েন্ট ৪৮৭৫ পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর ইউনিটকে শত্রুর ভারী গোলাগুলির মধ্যে খাড়া, কঠিন ভূখণ্ডে শত্রুর বাঙ্কার ধ্বংসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল (Indian Railways)। ৬ জুলাই ১৯৯৯ সালে, যখন তাঁর দল অগ্রসর হচ্ছিল, তখন পাকিস্তানি সেনারা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু করে।

    তীব্র গোলাবর্ষণের মধ্যেও ক্যাপ্টেন নায়ার তাঁর সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন। ধ্বংস করেন চারটি শত্রু বাঙ্কার। নিকেশ করেন বহু শত্রু সেনাকে। ভয়ঙ্কর গোলাবর্ষণের মধ্যেও তিনি অবিচলভাবে এগিয়ে যান। নিশ্চিত করেন মিশনের সাফল্য। পরে শত্রুর একটি আরপিজি শেলের আঘাতে শহিদ হন তিনি। সেনা সূত্রে খবর, শহিদ হওয়ার আগে তিনি ন’জন শত্রু সেনাকে খতম করেন (Kargil War Hero)। শত্রু সেনার তিনটি মাঝারি মেশিনগানের অবস্থানও ধ্বংস করে দেন এই অসম সাহসী বীর (Indian Railways)।

  • Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দাঁড়ি পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি পুতিন (Putin) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আপস করার জন্য উন্মুক্ত।

    কোনও পূর্বশর্ত নেই (Ukraine Russia War)

    তিনি বলেন, আলোচনার জন্য কোনও পূর্বশর্ত নেই। তবে যে কোনও চুক্তিতে অবশ্যই বৈধ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কথা বলেননি। তবে তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। রাশিয়া দুর্বল জায়গায় রয়েছে, একথা মানতে রাজি নন পুতিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর পরেই পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি বলেন, কিভকেও আপসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    স্থায়ী শান্তি চুক্তি

    সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি স্থায়ী শান্তি চুক্তির পক্ষে (Ukraine Russia War) মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইস্তানবুলের বৈঠকে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, এই খসড়া চুক্তিকে কিছু ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ আত্মসমর্পণ হিসেবেই বিবেচিনা করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসবের জেরে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলোর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পুতিন এই আক্রমণকে নেটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান হিসেবে সমর্থন করেছেন। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যদি অন্য রকম কিছু ভাবতাম, তাহলে ২০২২ সালের আগেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে পুতিন (Putin) স্বীকার করেন, যুদ্ধের (Ukraine Russia War) জন্য রাশিয়ার আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    Nuclear War: দোরগোড়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ! পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি শিথিল করলেন পুতিন, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি দোরগোড়ায়? এবার কি তবে পারমাণবিক যুদ্ধ (Nuclear War)? অন্তত এমনই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে (World War III)। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে বদলে এনে প্রয়োগের সীমা (Nuclear Weapons Doctrine) কমিয়ে এনেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এর পরই, শঙ্কিত ইউরোপ। বিশ্বের আকাশে যে ক্রমেই যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে, তা স্পষ্ট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির পরিস্থিতি দেখেও। ওই দেশগুলি ইতিমধ্যেই তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে পুস্তিকা বিলি করেছে।

    কী পরিবর্তন রাশিয়ার নয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে?

    পুতিনের স্বাক্ষর করা নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, শুধু পারণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ দেশের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিধর নয় এমন দেশেও হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। অর্থাৎ, যদি কোনও পরমাণু শক্তিধর দেশের সাহায্যে রাশিয়ার মাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় কোনও পরমাণু শক্তিশূন্য রাষ্ট্র, সেক্ষেত্রেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া। এক্ষেত্রে দেশটি পরমাণু শক্তিধর না হলেও হামলা চালাতে পিছুপা হবে না ক্রেমলিন।

    কী বলছে সুইডেন (Nuclear War)

    জানা গিয়েছে, সুইডেন তার নাগরিকদের পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় ‘আশ্রয় নিন’ বলে সতর্ক করে একটি পুস্তিকা বিলি করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মাত্র পাঁচবার এমন পুস্তিকা বিলি করা হয়েছে। সেই পুস্তিকা এবার সুইডেনের প্রতিটি বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে এক সপ্তাহ আত্মনির্ভরশীল থাকা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ দিয়ে একটি জরুরি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে নরওয়ে-ও। এর মধ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

    ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ!

    বছর তিনেক ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একাধিকবার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও, বন্ধ হয়নি সংঘাত। এহেন আবহে মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনীয় বাহিনী আমেরিকায় তৈরি ছ’টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (ATACMS) নিক্ষেপ করেছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই এ খবর জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এটি মস্কোর কাছে একটি বড় উসকানি হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রত্যাশিতভাবেই বাজতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III) এমনকী, পরমাণু যুদ্ধের (Nuclear War) দামামা।

    আরও পড়ুন: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    অনেক ন্যাটো দেশ তাদের নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলছে। ডেনমার্ক ইতিমধ্যেই সে দেশের নাগরিকদের ইমেল পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুকনো খাবার, জল এবং ওষুধ মজুত করুন। জরুরি পরিস্থিতিতে, এমনকী পারমাণবিক হামলার (Nuclear War) সময়ও যাতে তিন দিনের জন্য বেঁচে থাকা যায়, তাই এগুলি মজুত করতে হবে।

    ফিনল্যান্ডও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia War) ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ঘটনা ও সঙ্কট মোকাবিলার প্রস্তুতি সম্পর্কে তাদের অনলাইন ব্রোশিওর আপডেট করেছে। এদিকে, মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি সংশোধিত পারমাণবিক নীতি অনুমোদন করেছেন (Nuclear Weapons Doctrine)। তার জেরে যুদ্ধের ১০০০তম দিনে পারমাণবিক উত্তেজনা (World War III) বৃদ্ধির আশঙ্কা তীব্রতর হয়ে উঠেছে বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের (Nuclear War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    War In Israel: নেতানিয়াহুর বাড়িতে ফের হামলা, বোমা ফাটলেও নিরাপদে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবরের পর ফের নভেম্বর। আবারও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) হত্যার চেষ্টা। তাঁর বাড়িতে (War In Israel) বোমা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পর পর দুটি বোমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাগানে। সেই সময় অবশ্য ওই বাড়িতে ছিলেন না নেতানিয়াহু কিংবা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

    আত্মঘাতী ড্রোন (War In Israel)

    অক্টোবরে আত্মঘাতী ড্রোন উড়ে গিয়েছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। বিস্ফোরণ হয়েছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। সেদিনও বাড়িতে ছিলেন না ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ফের হল আক্রমণ। রবিবার সকাল পর্যন্তও হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি কোনও গোষ্ঠী। তবে কারা এই হামলা চালাল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইজরায়েল প্রশাসন।

    এবার ছোড়া হল বোমা

    প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হামলার পর বিবৃতি জারি করেছে ইজরায়েল পুলিশ। তারা জানায়, শনিবার দুটি বোমা ছোড়া হয় কেসারিয়া শহরে প্রধানমন্ত্রী বাড়ি লক্ষ্য করে। দুটি বোমাই পড়ে (War In Israel) তাঁর বাড়ির বাগানে। বাড়িটিতে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। তাই কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “সমস্ত দফতরকে সতর্ক করা হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “ইরান ও তার সহযোগী দেশগুলি এক দিক থেকে যখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করছে, তখন ঘরের ভিতরেও তিনি একই হুমকির মুখোমুখি হবেন, এটা হতে পারে না। নিরাপত্তারক্ষী ও বিচারবিভাগীয় সংস্থাগুলিকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জগ। জনসাধারণের ক্ষেত্রে হিংসা বৃদ্ধি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি শিন বেটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত তদন্ত ও দমন করতে জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    প্যালেস্তাইনের হামাসের পর ইজরায়েলের যুদ্ধ চলছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে। এরই মধ্যে (Benjamin Netanyahu) মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দুবার টার্গেট করা হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগে ইজরায়েলি সেনা (War In Israel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share