Tag: war

war

  • India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    India China War: সেনাপ্রধান পদে থাপারের নিয়োগ, নেহরুর সিদ্ধান্তে চিনের কাছে ভারত খুইয়েছে ভূখণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৬১ সাল। দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। চিফ আর্মি স্টাফ পদে নিয়োগ করলেন প্রাণনাথ থাপারকে (India China War)। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত আজও ইতিহাসের আতশ কাচের তলায়। এখনও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওঠে বিতর্কের ঝড়। ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের কাকা এই প্রাণনাথ। তাঁর ছেলে করণ থাপার নাম করা জার্নালিস্ট। সেনা প্রধান পদে প্রাণনাথকে নিয়োগ করেছিলেন জওহরলাল। নেহরুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের খাতিরেও ওই পদে বসানো হয় তাঁকে।

    প্রাণনাথ থাপার (India China War)

    প্রাণনাথের জন্ম ঝিলামে। বর্তমানে এটি পাকিস্তানে। নাম করা ডালি কলেজের পাঠ চুকিয়ে প্রাণনাথ চলে যান ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি (India China War)। বর্মায়(অধুনা মায়ানমার) ফোর্থ ইন্ডিয়ান ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন তিনি। ভারতীয় সেনার পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তুলতে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। পুণের খাদাখাওসলায় তিনি স্থাপন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি। এই প্রতিষ্ঠানে আজও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ভবিষ্যতের সেনানায়কদের।

    সেনা প্রধান পদে নিয়োগ

    এহেন প্রাণনাথের সেনা প্রধান পদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল। লেজেন্ডারি জেনারেল কেএম কেরিয়াপ্পা অবশ্য সেনাপ্রধান পদে চেয়েছিলেন জেনারেল থোরাটকে। তাঁর যুক্তি ছিল, চিন সীমান্ত নিয়ে থোরাটের অভিজ্ঞতা বিস্তর। সেনাবাহিনীকে ফরওয়ার্ড পজিশনে মোতায়েন করার কথা বলায় তখন তিনি প্রাণনাথের চেয়ে ঢের বেশি যোগ্য বলেই দাবি করেছিলেন কেরিয়াপ্পা। কিন্তু পারিবারিক যোগাযোগ থাকায় কেরিয়াপ্পার কথা কানে তোলেননি নেহরু। সেনা প্রধান পদে বসিয়ে দেন থাপারকে।

    আর পড়ুন: “ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বাজেট সংস্কার করা হয়েছে”, বললেন নির্মলা

    সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ

    ১৯৬২ সালে হয় সাইনো-ইন্ডিয়ান যুদ্ধ। এই সময় সেনা প্রধান পদে ছিলেন থাপার। তখনই ধরা পড়ে যুদ্ধের জন্য আগাম কোনও প্রস্তুতিই ছিল না ভারতীয় সেনার। ভারতীয় সেনার দুর্বলতাও প্রকাশ্যে চলে আসে। চিন সীমান্ত সম্পর্কে থাপারের জ্ঞান ছিল খুবই কম। সেই কারণেই ওই যুদ্ধের মোকাবিলা করতে গিয়ে সমলোচনার তিরে বিদ্ধ হন তিনি। থাপারের নির্দেশের জেরেই চিনের কাছে ভারতকে খোয়াতে হয় ৪০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা। হাজার হাজার ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়। ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও লেগে রয়েছে যে রক্তের দাগ। দেশ হারতেই থাপার সেনা প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চান। অনেকের মতে, এটা ছিল লোক দেখানো। জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এই সময় নেহরু তাঁকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করেন। ভিন দেশে সেই পদেই অবসর নেন তিনি (India China War)।

    আগুনে ঘি পড়ে

    তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে যেন আগুনে ঘি পড়ে। সেনাপ্রধান পদে ব্যর্থতার কারণে যাঁর মূল্য চোকানোর প্রয়োজন ছিল, তাঁকেই কিনা রাষ্ট্রদূতের পদ উপহার! যদিও চিনের কাছে দেশ যে ভূখণ্ড খুইয়েছে, সংসদে সে দাবি অস্বীকার করেছিলেন নেহরু। তার জেরে আরও খেপে যান বিরোধীরা। অনেকের মতে, থাপারের বদলে ওই সময় জেনারেল থোরাটকে সেনা প্রধান পদে নিয়োগ করা হলে চিনের কাছে হারতে হত না ভারতকে, খোয়াতে হত না ভূখণ্ডও। থোরাটকে টপকে থাপারকে সেনা প্রধান পদে বসানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, ভারতীয় সেনার ইতিহাসে আজও তা একটি বিতর্কিত অধ্যায়। সেনা প্রধান পদে রাজনৈতিক প্রভাবের পরিণাম কী হতে পারে, তা নিয়ে আজও আলোচনা হয় সেনার অন্দরে।

    সেনাবাহিনীর ইতিহাসে থাপারের অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি তাঁকে নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্কও। এখনও তাঁর নিয়োগ নিয়ে চর্চা হলে তুফান ওঠে চায়ের কাপে। থাপারের নিয়োগ প্রমাণ করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এক, আর মিলিটারি স্ট্র্যাটেজি আর এক। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যেমন খুশি হলে তার খেসারত দিতে হয় দেশকে। আর সেনার ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিই শেষ কথা। যে দেশের যুদ্ধ কৌশল যত প্রাসঙ্গিক হবে, সেই দেশের জয় ততই নিশ্চিত হবে। রক্তও ঝরবে কম। প্রাণবলির আশঙ্কাও থাকে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিন সীমান্ত সম্পর্কে খুব কম ধারণা থাকায় থাপার ঠিক মতো ঘুঁটি সাজাতে পারেননি। যার জেরে ভারতের একটি বিরাট অংশ দখল করে ফেলেছিল চিন। সেদিন থাপারকে ওই পদে বসানোর সিদ্ধান্ত যদি নেহরু না নিতেন, তাহলে ভারতকে জমি খুইয়ে চোকাতে হত না মূল্য (India China War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Israel Hamas War: প্যালেস্তাইনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইজরায়েলের, শিশুসহ হত ২১

    Israel Hamas War: প্যালেস্তাইনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইজরায়েলের, শিশুসহ হত ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যালেস্তাইনে ফের হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel Hamas War)। শনিবার প্যালেস্তাইনের রাফায় লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। কেবল রাফা নয়, গাজার আরও বেশ কয়েকটি এলাকায়ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েল। এই হামলায় অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রাফায় ইজরায়েলি অভিযান চলতে থাকলে বিশাল বিপর্যয় নেমে আসবে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “ইজরায়েল যদি রাফায় পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে তাহলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।”

    রাফায় অভিযান (Israel Hamas War)

    প্রসঙ্গত, দিন (Israel Hamas War) পাঁচেক আগেই রাফায় অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা। তাদের দাবি, অভিযান শুরুর আগে রাফার পশ্চিম দিক থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।ইজরায়েল মূলত হামলা চালিয়েছে গাজার উত্তর দিকে। ইজরায়েলি সেনার দাবি, রাফাকে ঘাঁটি বানিয়ে ফের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছিল হামাস জঙ্গিরা। সেই কারণেই রাফায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

    হামাসের অভিযোগ

    শনিবারই হামাস অভিযোগ করেছিল, রাফায় ক্রমেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছে ইজরায়েলি সেনা। তারা ঢুকে পড়েছে শহরের পূর্ব ও মধ্য অংশে। এদিকে, ইজরায়েলি সেনার দাবি, মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করেছে তারা। মাটির নীচে জঙ্গিদের ব্যবহৃত বহু সুড়ঙ্গের হদিশও মিলেছে।

    আরও পড়ুুন: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    ইজরায়েলি সেনা রাফায় অভিযান চালানোয় ক্ষুব্ধ আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, রাফায় বড় মাপের অভিযান চালালে আমেরিকার কাছ থেকে আর কোনও অস্ত্র পাবে না ইজরায়েল (Israel Hamas War)। সূত্রের খবর, ইজরায়েলকে ইতিমধ্যেই গোলা-বারুদ সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। রাফায় ইজরায়েলের হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আন্তর্জাতিক আদালতে করা আবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাফায় ইজরায়েলের অভিযান সেখানকার মানবিক সহায়তা ও মৌলিক সেবার জন্য চরম হুমকি তৈরি করেছে। প্যালেস্তাইনে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও গাজায় প্যালেস্তাইনিদের বেঁচে থাকাও হুমকির মধ্যে পড়েছে। ইজরায়েল গণহত্যার কনভেনশনও ক্রমাগত লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে ইজরায়েল (Israel Hamas War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukrane war: “আমায় বাঁচান”, আর্তি চাকরির খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ যাওয়া বঙ্গবাসীর

    Russia Ukrane war: “আমায় বাঁচান”, আর্তি চাকরির খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ যাওয়া বঙ্গবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। সেখানে তাঁদের জুতে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধে (Russia Ukrane war)। তার জেরে না জেনে অনেকেই শরিক হয়ে যাচ্ছেন বছর দুয়েকেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এ খবর আপনাদের অনেক আগেই জানিয়েছে মাধ্যম

    উদ্ধারের করুণ আর্তি (Russia Ukrane war)

    সম্প্রতি ফের প্রকাশ্যে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের আরও এক বাসিন্দার উদ্ধারের করুণ আর্তি। উর্জেন তামাং কালিম্পংয়ের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। সেই ভিডিও দিয়ে তাঁর স্ত্রী অম্বিকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কাছে তাঁর স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছেন। ওই ভিডিওয়ও একই আবেদন করতে দেখা গিয়েছে উর্জেনকে (Russia Ukrane war)। দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ বিজেপির রাজু বিস্ত বিদেশমন্ত্রক ও রুশ দূতাবাসে কথা বলে উর্জেনকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

    গহীন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ

    উর্জেন প্রাক্তন সেনাকর্মী। তাঁর দাবি, চাকরির জন্য জানুয়ারি মাসে একটি সংস্থার মাধ্যমে ভায়া দিল্লি হয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন তিনি। ১৭-১৮ দিন ধরে তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বন্ড পেপারে সই করিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলের মধ্যের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে। সেখানে ফের একপ্রস্ত প্রশিক্ষণ চলে। ১০-১২ দিন ধরে বন্দুক চালানো শেখানো হয়। তার পরেই তাঁকে জানানো হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে লড়তে তাঁকে যেতে হবে রণাঙ্গনে। ভিডিও-বার্তায় উর্জেনকে বলতে শোনা যায়, ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি, দয়া করে আমায় বাঁচান। এজেন্টদের কথায় ভরসা করে ফেঁসে গিয়েছি।

    আরও পড়ুুন: হোলির রঙিন শুভেচ্ছা বাইডেনের, টাইমস স্কোয়্যারও মাতল রঙের উৎসবে

    রাশিয়ায় গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন কর্নাটকের কালবুর্গির বাসিন্দা সুফিয়ানও। ভিডিও-বার্তায় সুফিয়ান তাঁকে নিয়ে মোট চারজনের দুর্দশার কাহিনি শুনিয়েছিলেন। এই চারজনকেও অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে। সুফিয়ান বলেছিলেন, “দয়া করে আমাদের বাঁচান। আমরা হাইটেক জালিয়াতির শিকার।” সুফিয়ানের ভিডিও-বার্তা প্রকাশ্যে চলে আসার দিন কয়েক পরেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে হায়দরাবাদের মহম্মদ আসফান নামে বছর ত্রিশের এক যুবকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। কেন্দ্রের তরফে চলতি মাসেই এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল, রাশিয়ায় এভাবে আটকে রয়েছেন আনুমানিক ২৪ জন। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে (Russia Ukrane war)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • War In Russia: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির

    War In Russia: “রাশিয়ার যুদ্ধে ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান”, ভারতের কাছে কাতর আর্জি ৪ নেপালির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাশিয়ার যুদ্ধে (War In Russia) ফেঁসে গিয়েছি, বাঁচান।” নরেন্দ্র মোদির দেশের কাছে এই কাতর আবেদন যাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ভারতের কেউ নন, বিদেশি। আরও স্পষ্ট করে বললে, নেপালি। রাশিয়ায় কাজের সন্ধানে গিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চার যুবক।

    ভারতের কাছে উদ্ধারের আর্তি

    অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নামে নিয়ে গিয়ে জোর করে তাঁদের লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধে। গত দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধেই রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে হচ্ছে ওই চার কর্মপ্রার্থীকে। প্রাণে বাঁচতে ভারতের কাছে উদ্ধারের আবেদন জানিয়েছেন পড়শি দেশের ওই চার যুবক। মোটা অঙ্কের মাইনের চাকরির টোপ দিয়ে রাশিয়া ‘ছেলে ধরছে’ বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে ভারতের কয়েকজন যুবকও রাশিয়ার কবল থেকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছিলেন। রাশিয়ায় যাঁরা বেড়াতে যাচ্ছেন, তাঁদেরও ধরে ধরে যুতে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের কাজে।

    টোপ দিয়ে ধরা হচ্ছে ছেলে!

    রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের অনেক (War In Russia) জায়গায়ই রুশ সেনাদের পাশাপাশি ভারতীয় তরুণদের আগ্নেয়াস্ত্র হাতে লড়াই করতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এবার সেই একই অভিযোগ করলেন নেপালের চার চাকরিপ্রার্থীও। কাজের খোঁজে রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন সঞ্জয়, রাম, কুমার এবং সন্তোষ নামে চার যুবক। এজেন্টের মাধ্যমে তাঁরা পৌঁছে যান রাশিয়ায়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রুশ সেনাবাহিনীতে সাহায্যকারী কিংবা পরিচারকের কাজ করতে হবে। অভিযোগ, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হতেই ট্রেনিং দিয়ে তাঁদেরও লাগিয়ে দেওয়া হয় যুদ্ধ করতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তাঁদের বাধ্য করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।

    আরও পড়ুুন: বিহার থেকে বাঙালি তাড়িয়েছিলেন বাবা, তাঁর ছেলেকে বাংলায় প্রার্থী তৃণমূলের, তোপ মালব্যর

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো একটি ভিডিও বার্তায় নেপালের ওই চার যুবক জানিয়েছেন, তাঁরা ফেঁসে গিয়েছেন। এজেন্ট তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মিথ্যে কথা বলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাশিয়ায়। পরে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় তাঁদের জীবন বিপন্ন বলেও জানান ওই চার নেপালি যুবক। সঞ্জয় বলেন, “আমাদের ভারতীয় সহকর্মীদের উদ্ধার করছে তাঁদের দেশের সরকার। কিন্তু নেপাল সরকার কিংবা দূতাবাসের তরফে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না। ভারত সরকারের কাছে আমাদের বিরাট আশা। ভারত শক্তিশালী দেশ। তাই তাদের সাহায্য চাইছি। এখানকার (War In Russia) সব নেপালিই বাড়ি ফিরতে চান।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের টাকার চাকরি দেওয়ার অছিলায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War)। যুযুধান এই দুই দেশের সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    ভারতীয়দের অনুরোধ করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়তে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই যেসব ভারতীয় রুশ বাহিনীতে সহায়কের কাজ করছিলেন, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বন্ধু দেশ ভারতের দাবি মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Russia Ukraine War) এও জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    রুশ বাহিনীতে নিয়োগ 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দু বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই কারণে রাশিয়ার তরফে বাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে বিদেশি নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ২০০ নেপালিকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, যেসব নেপালি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০ জন। নিখোঁজ শতাধিক। এসব খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে ভারত।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া সেনার নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, রুশ সেনার সঙ্গে থাকা ভারতীয়রা মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে। এ সংক্রান্ত কিছু ভুল রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, প্রতিটি বিষয় মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের নজরে আনা হয়েছে। রাশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের নজরে আসা বিষয়গুলি নিয়েও দিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের কথায়, ফল স্বরূপ বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে নয়াদিল্লি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সকল ভারতীয়কে সতর্ক হতে ও এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না।’ ভারতীয়দের এই মর্মেই সতর্ক করে দিল নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভারত সরকার জানতে পেরেছে, মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয়দের লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের কাজে (Russia Ukraine War)। সেই কারণেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের।

    বিবৃতি জারি বিদেশ মন্ত্রকের

    শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কিছু ভারতীয় রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন। তাঁদের যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কোয় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সকল ভারতীয় নাগরিককে বলছি, তাঁরা যেন দ্বন্দ্ব (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ) থেকে দূরে থাকেন।” সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন ভারতীয়রা।

    সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে বহু ভারতীয়

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের সিকিউরিটি হেল্পার হিসেবে নিযুক্ত হতে চুক্তিতে সই করছেন বহু ভারতীয়। পরে তাঁদের জোর করা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সৈন্যদের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। মারিউপোল, খারকিভ এবং রোস্তভ অন ডভ সীমান্তে এ ছবি দেখা যাচ্ছে আকছার। রাশিয়ার (Russia Ukraine War) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কয়েকজন ভারতীয় নিহতও হয়েছেন বলে খবর। রাশিয়ান সেনা দলে যেসব ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দিতেও রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ২০০ নেপালিকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করেছে রুশ সরকার। গত ডিসেম্বরে নেপালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন নেপালি। তার পর নেপাল সরকারও রুশ সেনায় নেপালিদের নিয়োগ না করতে অনুরোধ করেছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও রাশিয়াকে করেছে নেপাল সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল যে যুদ্ধ, তা চলছে এখনও (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • G20 Summit: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    G20 Summit: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-কে সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবে এই প্রযুক্তিকে অবশ্যই তার আগে সমাজের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” বুধবার ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলনে (G20 Summit) কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের নেতৃত্বে জি২০ সম্মেলনের শেষ বৈঠকটি হয়েছে বুধবার। উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, “এআইকে সব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবে এই প্রযুক্তিকে অবশ্যই তার আগে সমাজের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ডিপফেক বর্তমানে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই জনসাধারণের জন্য নিরাপদ হওয়া উচিত। মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এআই ব্যবহার করা উচিত।”

    ডিপফেক নিয়ে উদ্বেগ

    রবিবারই এআই ডিপফেক নিয়ে বিজেপির বিজয়া সম্মেলনীতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ডিপফেকের অপব্যবহার সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ডিপফেকের অনিষ্টকারী দিক সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেদিন জানিয়েছিলেন, তাঁর একটি গরবা নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনি জানান, স্কুল জীবনের পর তিনি আর কোনওদিন গরবা নাচেননি। জি২০ সম্মেলনেও এআই ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মোদি।

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গ

    প্রত্যাশিতভাবেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে (G20 Summit) এসেছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রসঙ্গ। চারদিনের জন্য যে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জি২০ গোষ্ঠীর কাছে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদই গ্রহণযোগ্য নয়।” পণবন্দিরা দ্রুত মুক্তি পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই মুম্বই হামলায় জড়িত পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল। পনের বছর আগের ওই ঘটনার এতদিন পরে লস্করকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদ রোধে একজোট হতে হবে তামাম বিশ্বকে। বুধবার সেই একই সুর শোনা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠেও।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপিকে ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব” হুমকি তৃণমূল নেতার

    বক্তৃতায় মোদি বলেন, “আজকে বিশ্ব চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। এই সময় পারস্পরিক বিশ্বাসই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে। পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারব।” ভারতের সভাপতিত্বে জি২০তে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রবেশ এবং জি২০-র (G20 Summit) সাফল্যও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    Hamas Israel War: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ৪ দিনের বিরতি, কোন শর্তে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। শেষমেশ তাতে পড়ল ইতি। তবে মাত্রই চার দিনের জন্য। হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে (Hamas Israel War) গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হল চারদিনের। বুধবার ইজরায়েল ক্যাবিনেটের তরফে মঞ্জুর করা হয় হামাসের দেওয়া চুক্তি।

    ৫০ পণবন্দিকে মুক্তি

    জানা গিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দি প্রায় ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। তার বিনিময়েই মিলছে সাময়িক যুদ্ধবিরতি। পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল হামাসের তরফে। ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে, সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে মানবতার স্বার্থেই। ইজরায়েলের এক সরকারি আধিকারিক জানান, ৫০ জন ইজরায়েলি ও বিদেশি পণবন্দি নাগরিককে মুক্ত করা হবে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। এর পরিবর্তে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে চারদিন। এই চুক্তির পর প্রতি ১০ জন করে পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলে আরও একদিন করে যুদ্ধ বন্ধ রাখবে তেল আভিভ।

    ‘জারি রাখা হবে যুদ্ধ’

    ইজরায়েলের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইজরায়েলি সরকার, ইজরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে, হামাসকে নির্মূল করতে ও গাজা থেকে ইজরায়েলের ওপর যাতে কোনও ঝুঁকি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে যুদ্ধ জারি রাখা হবে।” তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বিবৃতি দেওয়া হয়েছে হামাসের তরফেও। তাতে (Hamas Israel War) বলা হয়েছে, “মানবিকতার স্বার্থে এই আবেদন। তবে আমরাও দেখতে চাই ১৫০ জন প্যালেস্তিনীয়কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে কিনা।”

    আরও পড়ুুন: মোদির নেতৃত্বে আজ শুরু ভার্চুয়াল জি২০ সম্মেলন, যোগ দেবেন কি ট্রুডো?

    হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে যে সাময়িক বিরতি হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল মঙ্গলবারই। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, “পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে শিগগিরই চুক্তি সই হতে চলেছে।” হামাসের পলিটিক্যাল চিফ ইসমাইল হানিয়েও বলেছিলেন, “কাতারের মধ্যস্থতায় আমরা যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি।”

    গত ৭ অক্টোবর ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের ওপর প্রথম হামলা চালায় ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের সশস্ত্র বাহিনী হামাস। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইজরায়েলি নাগরিকদের। তার পরেই প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েল। ইজরায়েলি সেনার হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে হামাস। হামলার প্রথম দিনেই ইজরায়েল থেকে ২৫০ জনকে অপহরণ করে পণবন্দি করে হামাস। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে যেমন মুক্তি দিয়েছে হামাস, তেমনি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে খুনও করা হয়েছে (Hamas Israel War) বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    Israel Hamas War: লোহিত সাগরে ছিনতাই ভারতমুখী পণ্যবাহী জাহাজ! লোপাটের নেপথ্যে হুথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে ছিনতাই হয়ে গেল পণ্যবাহী জাহাজ। ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের ওই জাহাজটির আসার কথা ছিল ভারতে। ইজরায়েলের (Israel Hamas War) দাবি, জাহাজটি ছিনতাই করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠন হুথি। হুথির পাশাপাশি জাহাজ ছিনতাইয়ের নেপথ্যে রয়েছে ইরানের হাতও।

    ভারতে আসার পথে ছিনতাই 

    ব্রিটেনের একটি সংস্থার মালিকানাধীন জাহাজটি জাপানের একটি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী নিয়ে জাহাজটি ভারতের দিকে যাচ্ছিল। জাহাজে ছিলেন ইউক্রেন, বেলারুশ, মেক্সিকো সহ বিভিন্ন দেশের ২৫ জন কর্মী। পণ্যবাহী জাহাজ ছিনতাই করার অভিযোগ কবুল করেছে হুথি। ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি ইজরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজকে দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হুথির তরফে জানানো হয়েছে, জাহাজে থাকা ২৫ জন কর্মীকে ইসলামিক রীতিনীতি ও আদর্শ অনুযায়ী হেফাজতে রাখা হবে।

    কী বলছে ইজরায়েল?

    ইজরায়েলি (Israel Hamas War) সেনার তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে ইয়েমেনের কাছে হুথিরা একটি পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণ করেছে। জাহাজটি তুরস্ক থেকে ভারতের পথে রওনা হয়েছিল। যাত্রাপথে সেটি অপহৃত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের নাগরিক সেই জাহাজে রয়েছে। তবে এটি ইজরায়েলি জাহাজ নয়।  ইজরায়েলের কোনও নাগরিকও এই জাহাজে ছিলেন না। গোটা বিশ্বে এর প্রভাব পড়বে। ঘটনার জেরে ইরানকেও দুষছে ইজরায়েল। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সচিবালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের মদতে আন্তর্জাতিক জলপথের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    গত ৭ অক্টোবর গাজা স্ট্রিপের হামাস প্রথম ইহুদি দেশ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায়। নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইহুদিদের। ছোড়া হয় রকেটও। তার জেরে ইজরায়েলের বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এর পরেই পাল্টা আঘাত হানে তেল আভিভ। ইসলামি রাষ্ট্র প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপ দীর্ঘ দিন ধরে দখল করে রেখেছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। সেই হামাসরাই ইজরায়েল আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। হামাসের পাশে দাঁড়ায় হুথিও। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, পরোক্ষে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে ইরানও। হামাস পাশে পেয়েছে তুরস্ককেও। মাসাধিক কাল ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই দু’ পক্ষের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েলের হানায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে হামাস। এমতাবস্থায় ছিনতাই করা হল আস্ত একটি জাহাজ। যারা ছিনতাই করল, তারা হামাসের সহযোগী। যুদ্ধের ((Israel Hamas War)) ‘রক্ত’ কতদূর গড়ায়, এখন তাই দেখার!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share